এই শহর আমার পর্ব ৮ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

এই শহর আমার পর্ব ৮
Suraiya Aayat

ঘুমের জন্য চোখ জ্বালা করছে মুগ্ধতার , সেই কখন থেকে বই পড়েই যাচ্ছে , 9.30টার সময় ডিনার করে এসে আবার পড়তে শুরু করেছে তারপর এখন প্রায়1.30 টা বাজে, এখনো বই পড়েই যাচ্ছে ,একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আর কতো পড়বে !

স্পর্শও এতক্ষন ধরে ল্যাপটপে মুখ গুজে কাজ করছিলো মুগ্ধতার পাশে বসেই কিন্তু এখন ব্যালকনিতে গিয়ে কফি খাচ্ছে ৷ নিজের কফিটা নিজেই বানিয়ে নিয়েছে, আসলে তার বউটাতো আর ব্ল্যাক কফি বানাতে পারে না তাও আবার উইথআউট সুগার তাই ও নিজেই বানিয়ে নিয়েছে, মুগ্ধতা বানাতে পারলেও হয়তো মুগ্ধতার পড়ার ডিসটার্ব করে ওকে কখনোই কফি বানাতে বলতো না স্পর্শ ৷

মুগ্ধতা দেখছে যে স্পর্শ কফি খাচ্ছে আর ব্যালকনিতে পাইচারি করছে ৷ ফিজিওলজির বইটা ব্যাগেই আছে এটা এখনো ব্যাগ থেকে বার করেনি, বইটা ওর খুবই অপছন্দের ভাগ্গিস স্পর্শ এখনো জানে না ৷
মুগ্ধতা বইটা বন্ধ করে বলল

” আমার আর ভালো লাগছে না?, আমি একটু ঘুমাবো, এই লেট নাইট ঘুমিয়ে আমি সকালে তাড়াতাড়ি উঠবো কি করে?? ওনার না হয় কালকে নাইট ডিউটি তাই সারা সকাল পড়ে পড়ে ঘুমাবে আর আমি কি না, দেরি করে ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি উঠবো এটা হবে না ৷”
মুগ্ধতার বিড়বিড় স্পর্শর কানে যাচ্ছে, মুগ্ধতার দিকে একপলক তাকিয়ে মুগ্ধতাকে উদ্দেশ্য করে বলল
” পড়ার আওয়াজ আসছে না কেনো আমার কান অবধি ! ফিনিস দা চ্যাপটার, ফাস্ট ৷”
মুগ্ধতার খুব রাগ লাগছে স্পর্শর ওপর , লোকটা এমন কেন?
মুগ্ধতা বলল

” পড়ছি তো, বয়রা হয়ে গেছেন নাকি ?”
“ওকে তাহলে আরো এক্সটা স্টাডি আওয়ার হিসাবে 30 মিনিট বাড়ানো হলো ৷”
মুগ্ধতা মনে মনে
” আমি জ্ঞান হারাবো,মরেই যাবো, বাঁচাতে পারবেনা কেউ ৷ মুগ্ধতা তু তো আজ গায়া, এভাবে বললে হবে না, আমাকে সুইট ভাবে বলতে হবে ৷ কি কিউট আর কলিজা মার্কা বিহেভ করতে হবে যা আমি একদমই পারিনা? ৷”
মুগ্ধতা এবার নরম সুরে বলল
” আসলে বলছিলাম কি আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো ৷ ওয়াশরুমে যেতে গেলেও তো আপনার পারমিশন লাগে তাই বলছিলাম আরকি ৷?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” গো,,, বাট যদি রুমের বাইরে একপা ও বাড়িয়েছে বা আম্মুর রুমে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছো তাহলে কিন্তু খবর আছে ৷”
” এইইই বুঝে গেল কি করে ৷ আমি তো ভেবেছিলাম ওয়াশরুমের নাম করে টুক করে ফুপির ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বো ৷ আসলে ফকিন্নী মার্কা বান্দর জামাই হলে যা হয় আর কি ৷ ওনার সাথে ঘুমালেই উনি কতো কাছে চলে আসে , আমার হার্টবিট কি বেড়ে যাই, কেমন মাথা ভনভন করে ঘোরে?, তবে যাই হোক সেই সুযোগে একটু ওয়াশরুম থেকে তো ঘুরে আসতে পারবো ৷”(মুগ্ধতা মনে মনে ভাবছে)
মুগ্ধতা বিছানা থেকে নামলো, হেলেদুলে ওয়াশরুমে ঢুকলো ৷

কয়েক মিনি‌টের মধ্যেই মুগ্ধতা বেরিয়ে এলো, বিছানার দিকে এগোতেই দেখলো ওর ফোন বাজছে ৷ কিন্তু তার আগে ওর স্পর্শর দিকে চোখ গেছে, স্পর্শ এতোরাতে কার সাথে যেন বেশ হেসে হেসে কথা বলছে ৷ মুগ্ধতা পা টিপে টিপে আড়ালে গিয়ে শোনার চেষ্টা করলো যে স্পর্শ ঠিক কার সাথে কথা বলছে, যদি স্পর্শ এতরাতে কোন মেয়ের সাথে খোশগল্প জুড়ে দেই তো মুগ্ধতা স্পর্শকে জানে মেরে দেবে, আর যাই হোক ও স্পর্শকে অন্য কারোর সাথে সহ্য করতে পারে না ‍ও ৷
” আসলে কালকে আমার নাইট ডিউটি আছে তো তাই একটু লেট করেই উঠবো সকালে ৷ আর এখন একটু রাত জাগতে ইচ্ছা করছে তাই আর কি ৷”

” ওহহ তোমারো কালকে নাইট ডিউটি আছে ? বাহ তাহলে তো টুকটাক কথা বলাই যেতে পারে ৷”
ওপর পাশে একটা ছেলে কথা বলছে নাকি মেয়ে কথা বলছে মুগ্ধতা বুঝতে পারছে না, তবে রাগ লাগছে স্পর্শকে এভাবে ফোনে হেসে হেসে কথা বলছে দেখে কই ওর সাথে তো স্পর্শ কখনো এমন হেসে কথা বলেনা ? ৷
মুগ্ধতা আবার কান পাততে যাবে তখনই আবার ওর ফোন বেজে উঠলো, তাই স্পর্শর বাকি কথা ওর আর শোনা হলো না ৷
মুগ্ধতা দৌড়ে গিয়ে ফোন তুললো ৷ শুভ্রতা ফোন করেছে ৷
ফোন ধরতেই শুভ্রতা রেগে গিয়ে বলল
” কি করে ফোন ধরতে এতক্ষন সময় লাগে ? জানিস কতবার কল দিয়েছি ??”
মুগ্ধতা বাকা চোখে তাকিয়ে বলল
” কতবার??”
” 1 বার ৷”

” সত্তিই অনেকবার কল করে ফেলেছিস দোস্ত ৷ ফকিন্নীর মতো কথা বলিস ক্যান , 1 বার কল করেছিস 2 বারের বেলায় ধরেছি ৷”(চেঁচিয়ে)
শুভ্রতা হো হো করে হেসে বলল
” দোস্ত শান্ত হ, আমি তো মজা করছিলাম ৷ আমি তো ভাবছিলাম বাসর রাতে জামাইয়ের সাথে রোমান্স করছিলিস তাই আমার ফোন ধরিস নাই ৷”
” হাহ ! বাসর তাও আবার আমার আর ওই বান্দরের, ইম্পসিবল, আর কার সাথে বাসর করবো ! ওই পিংকিশ বান্দরটার সাথে যে কিনা এত রাত অবধি একটা কলিজা মার্কা নাগিনকে জাগিয়ে রেখে বই পড়াচ্ছে, আবার স্টাডি টাইম 30 মিনিট বাড়িয়েও দিয়েছে ৷ আর তুই বাসরের কথা বলিস? ! আর আমার বিয়ের কথা তুই কি করে জানলি, আমি তো বলিনাই ৷”

” হমমম তুমি তো বলোনাই, রোজা ভাবি বলেছে ৷ আমার তো এখন তোর ওপর প্রচুর রাগ লাগছে , আর যাই হোক তুই আমাকে বলবিনা !”
” দোস্ত আমি তো সিরিয়াস সুইসাইড করতে গিয়েছিলাম,ঘুমের ওষুধের শিশি থেকে 7টা ঘুমের ওষুধ ও খেয়েছিলাম কিন্তু কোন কালি নাগ অর নাগিন ওখানে হজমের ওষুধ রেখে দিয়েছে ৷”
কথাটা শুনে শুভ্রতা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে, হজমের ওষুধ খেয়ে কিনা সিরিয়াস সুইসাইড ৷
শুভ্রতাকে হসতে দেখে মুগ্ধতা রেগে বলল
” হাসবিনা একদম ৷ বুঝেছি তুই ও ওই পিংকিশ বা…ন্দ…রে…র….”
আর বেশি কিছু বলতে পারলো না, স্পর্শ ওর দিকে বাকা চোখে তাকাতে তাকাতে রুমে ঢুকছে ৷
মুগ্ধতা স্পর্শকে দেখে বলল

” শুভ্রতা ফোন করেছে, কথা বলি??”
” ইয়াহ কন্টিনিউ বাট অনলি 5 মিনিটস, 5 মিনিটস মানে 5 মিনিটস ৷”
মুগ্ধতা একগাল হাসি নিয়ে বলল
” আপনার ওই কিউট কলিজা মার্কা ব্যালকনিতে গিয়ে কথা বলি ? রুমে গরম লাগছে তাই আরকি ? ৷”
” রুমে এসি চলছে তাও গরম লাগছে ? আমি তো জানতাম নাগিনদের রক্ত ঠান্ডা , বাট তোমার তো দেখছি গরম ৷ তোমার কি মিউটেশন হচ্ছে মুগ্ধ ?”
” মে বি ? ৷ এখন যাই ?”
” কোথায় যাবে এত রাতে ?”

” ওই যে ব্যালকনিতে ,শুভ্রতার সাথে কথা বলতে ৷ আপনি কত সহজে সব ভুলে যান, আপনি ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন ভাবলেই অবাক লাগে ?৷ ”
কতটা শুনে স্পর্শর খুব হাসি পেলো ৷
” এভাবে তাকিয়ে আছেন যে , আমাকে সুন্দর লাগছে তাইনা ? তবুও এবার যাই? শুভ্রতা কলে আছে?”
” হমম যাও, বাট আবার সুইসাইড করার চেষ্টা করে ব্যালকনি থেকে ঝাপ দিয়ে হাত পা ভেঙোনা , কারন ওখান থেকে পড়লে তুমি মরবেনা ৷”
” এবার যাই ??”
” হমম, গো, বাট ফাইভ 3 মিনিটস ওনলি ‌৷”
” 5 ছিলো 3 হলো কীভাবে?”
” এই যে তুমি এতো আজাইরা কথা বলে 2 মিনিট নষ্ট করলে সেই জন্য ৷ 2 মিনিটস লেফট ৷ আমি ঘুমাবো তুমি আসলে , নাও ফাস্ট ৷”

কথাটা শুনতেই মুগ্ধতা দৌড় দিলো ব্যালকনিতে ৷
শুভ্রতা ওদের কথা শুনছে আর হেসে কুটোকুটি হচ্ছে, দুজনে সারকদিন টম এন্ড জেরির মতো ঝাগড়া করে ৷
মুগ্ধতা ব্যালকনিতে গিয়ে পিছন ফিরে বাইরের দিকে তাকিয়ে শুভ্রতার সাথে গল্প করছে, 2 মিনিটের ও বেশি হয়ে গেছে ৷
হঠাৎ মুগ্ধতা অনুভব করলো ও হাওয়াতে ভাসছে ৷ চোখ বন্ধ করে ছিলো এতখন, হঠাৎ চোখ খুলে দেখলো স্পর্শ ওকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে যাচ্ছে ৷
স্পর্শকে কোলে নিতে দেখে মুগ্ধতা বলল
” এই আপনি কোলে নিলেন কেন নামান, আমার এখনো শুভ্রতার সাথে কথা কমপ্লিট হয়নি ৷”
স্পর্শ বলল
” তোমার 2 মিনিট শেষ, আর তোমার শুভ্রতার সাথে কথা কখনো শেষ হবেও না, তাই আর বেশি চেঁচামেচি করো না, নতুন বউ বেশি চেঁচামেচি করলে আব্বু আম্মু ভাববে আমি বেশি অত্যাচার করছি তোমার ওপর, তাই শান্ত হয়ে থাকো ৷”

স্পর্শ এবার শুভ্রতাকে উদ্দেশ্য করে বলল
” শুভ্রতা আজকে তোমার এই বেস্ট ফ্রেন্ডের বাসর রাত,তাই বুঝতেই তো পারছো ৷”
শুভ্রতা মুচকি হেসে বলল
” ওকে ভাইয়া আল্লাহ হাফেজ , প্লিজ কন্টিনিউ, এখন আর ডিসটার্ব করছি না ৷ হ্যাপি বাসর ভাইয়া ৷”
কথাটা বলে শুভ্রতা ফোন কেটে দিলো ৷
মুগ্ধতার গলা শুকিয়ে আসছে ভয়ে, আবার সেই আগের মতো ফিলিংস আসছে, হার্টবিট বড়ছে ,অদ্ভুত এক অসস্তি কাজ করছে, স্পর্শকেও নরমাল লাগছে না, অদ্ভুত নেশাগ্রস্ত চাহনি তার ৷
মুগ্ধতাকে বিছানায় নামাতেই, মুগ্ধতা পালাতে গেলেই স্পর্শ হাত ধরে বলল
” রোমান্স ইজ রোমান্স, ডোন্ট ক্রিয়েট এনি ডিসটারবেন্স ৷ ”
মুগ্ধতা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
” স্পর্শ ৷”
গুড মর্নিং জনঘন? ৷

মুগ্ধতা সকাল সকাল উঠে পড়েছে, স্পর্শর আগেই উঠেছে ৷ শাওয়ার নিয়ে রেডিও হয়ে গেছে কলেজের জন্য ৷ একটা হোয়াইট টপ আর একটা ব্ল্যাক জিন্স পড়েছে, আর হোয়াইট আ্যপ্রোনটা এক হাতে ঝুলিয়ে নিয়েছে ৷
স্পর্শ এখনো ঘুমাচ্ছে ৷ স্পর্শর সামনে গিয়ে বলল
“আপনি কি আমাকে আজকে কলেজে দিয়ে আসবেন নাকি আমি একাই চলে যাবো ৷”
স্পর্শ ঘুমে কাতর ৷ এতো ঘুম ও ঘুমায় না, নিজের ঘুম কন্ট্রোল করেই রাখে ৷
স্পর্শ উঠছে না দেখে মুগ্ধতা বলল
” আপনি দিয়ে আসবেন নাকি আমি একাই চলে যাবো ৷”
স্পর্শ চোখ খুলে পিটপিট করে তাকিয়ে বলল
” হমম আমি দিয়ে আসবো ৷ ওয়েট 10. মিনিটস ‌৷”
মুগ্ধতা মনে মনে

” রোজ রোজ দিয়ে আসার কি আছে, একদিন তো আমাকে একা যেতে দিন, আমাকে পুরো ঢাকা ঘুরে কলেজে পৌছানোর তো একটা সুযোগ দিন ৷ ”
আর তাছাড়া সিফাত স্যার আজকে মুগ্ধতার পেরেন্টসকে দেখা করতে বলেছিলো ওনার সাথে, যদিও এসব কাজ স্পর্শই সামলাই ৷ আর আজ যদি স্পর্শ কলেজে যাই তো মুগ্ধতা শেষ ৷
ও কোনভাবেই চাইছে না আজ কলেজে যেতে আর না স্পর্শকে যেতে দিতে ৷ এখন যদি ও বলে ওর শরীর ভালো না তবুও স্পর্শ ওর কথা বিশ্বাস করবে না কারন এটা পুরোনো বাহানা ৷
তাই স্পর্শকে দেখে আন্দাজে একটা ঢিল ছুড়লো

” আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি অসুস্থ ! কিছু হয়েছে আপনার ?”
স্পর্শ মাথা নীচু করে বলল
” হমম, একটু মাথা ধরেছে ৷”
মুগ্ধতা একটা সুযোগ পেয়েছে ৷ তা এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না ৷
স্পর্শকে বলল
” আপনার শরীর ভালো না, আপনার যাওয়ার দরকার নেই, তাছাড়া আমি তো এখন যথেষ্ট বড়ো হয়ে গেছি, একা একা তো আর যাচ্ছি না, বাসার গাড়ি করে যাচ্ছি ৷ চিন্তা কিসের ৷”
” নাহ আমি দিয়ে আসবো তোমাকে ৷”
স্পর্শর কোন কথা মুগ্ধতা শুনলো না, অবশেষে এই প্রথমবার স্পর্শকে পটিয়েপাটিয়ে ও কোন কাজ হাসিল করতে পেরেছে ৷

এই শহর আমার পর্ব ৭

মুগ্ধতার খুশি আর দেখে কে ৷ আজ ও কলেজে যাবে না, পুরো পুরান ঢাকা ও আজ ঘুরবে, হাতিরঝিল থেকে শুরু করে সব জায়গা ঘুরবে ৷
10.30,,,
” কিরে মুগ্ধ তুই আজ কলেজে এলি না যে, রাতে ঘুম হয়নি বলে কি এখনো ঘুমাচ্ছিস নাকি ৷”
” হাসস,,, আজকে আমি স্বাধীন পুরো স্বাধীন ৷ আজ কলেজে যাবো না, আজ পুরো পুরান ঢাকা ঘুরবো আমি? ৷”
” ভাইয়ার সাথে নাকি ?”
” আরে নাহ, আমি একা ৷ ? ওনাকে বোকা বানিয়েছি আমি এই প্রথমবার ৷”
” কীভাবে??”
মুগ্ধতা শুভ্রতাকে সব বলল ৷ শুভ্রতা অবাক ৷

” তুই আমাকে বলিস নি কেন? আমিও তোর সাথে যেতাম ৷”
” পুরান ঢাকাতে নাহিদ ভাইয়ার বাসা তাই তুই আসিস না এই চত্বরে তাই বলিনি,?”
” হমমম, ঠিক? ৷ বাট স্পর্শ ভাইয়া যদি জানে যাই যে তুই কলেজে না এসে ভাইয়াকে বোকা বানিয়ে ঢাকা ঘুরছিস তাহলে বুঝতে পারছিস ভাইয়া তোর কি হাল করবে ৷”
” কিছু হবে না, আমি ঠিক সামলে নেব ৷”
মুগ্ধতা কল কেটে হাতিরঝিলের দিকে গেল,,,,,,

এই শহর আমার পর্ব ৯