একটা বসন্ত বিকেলে গল্পের লিঙ্ক || অরনিশা সাথী

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ১
অরনিশা সাথী

“হ্যালো, হ্যালো আয়ু, কোথায় তুই?”
ফোনের ওপাশে ইরার অস্থির কন্ঠস্বর শুনে ক্ষানিকটা চমকে উঠলো আয়াত৷ তড়িঘড়ি করে জবাব দিলো,,
“ইরা কিছু কি হয়েছে? এভাবে কথা বলছিস কেন? ওপাশে সব ঠিকঠাক আছে তো?”
ইরার কান্নারত কন্ঠস্বর,

“কিচ্ছু ঠিক নেই আয়ু, ফা্ ফারাবী ভাইয়া বিয়ে করছে আজ।”
ইরার কথায় আয়াতের হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো। ফারাবীর বিয়ে মানে? কিসব মজা করছে ইরা? এ ধরনের মজা আয়াতের একদম পছন্দ না৷ আজ খুব করে ইরাকে বকে দিবে৷ এই ভেবে আয়াত আবার ফোন উঠিয়ে কানে তুলে নিলো৷ তারপর বেশ কঠিন গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“এসব কি-রকম মজা ইরা? আমি বলেছি না এ-ধরনের মজা আমার পছন্দ না।”
“আমি মজা করছি না আয়ু, আজ সত্যিই ফারাবী ভাইয়ার বিয়ে।”
“মানে কি ইরা? ফারাবীর বিয়ে হলে তো আমার সাথেই হবে তাই না? আর ওর বিয়ে আমি জানবো না?”
“তুই সত্যিই কিছু জানিস না?”
“তুই কি বলবি স্পষ্ট করে বল ইরা।”
“আজ ফারাবী ভাইয়ার বিয়ে তা-ও আবার রাইতার সাথে।”

আয়াত এবারে ঘামতে শুরু করলো। রাইতা মেয়েটাকে ওর আগে থেকেই পছন্দ না। রাইতা ফারাবীর কাজিন৷ সবসময় ওর সাথে লেগে থাকতো। সেই নিয়ে ফারাবী আর আয়াতের মাঝে বেশ কয়েকবার ঝগড়াঝাটিও হয়েছে। আচ্ছা ফারাবী তো আয়াতকে ভালোবাসে, তাহলে রাইতাকে কেন বিয়ে করবে? এটাই আয়াতের মাথায় একদমই খেলছে না। আয়াত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,

“ইরা, বের হো বাসা থেকে। ফারাবীর বাসায় যাবো আমরা।”
“আমার কথা শোন, তুই আগে ফারাবী ভাইয়াকে ফোন করে___”
“আমি সরাসরি কথা বলবো, তুই বের হো।”
সাথে সাথেই লাইন কেটে দিলো আয়াত। তারপর বাসার পরণে জামা পড়েই বের হয়ে গেল। আয়াতের বড় ভাই আয়াশ বোনকে এভাবে ছুটে বের হতে দেখে ডাকলো বেশ কয়েকবার। কিন্তু আয়াত সেদিকে খেয়াল না করে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। তা দেখে আয়াশ নিজেও বোনের পিছু নিলো।

আয়াতদের বাসা থেকে ইরারদের বাসা মিনিট দুয়েকের পথ। ইরাদের বাসার নিচে আসতেই দেখলো ইরা দাঁড়িয়ে আছে। ইরা আয়াতের কাছে গিয়ে বলল,
“পাগল হইছিস? এভাবে রাস্তা দিয়ে ছুটছিস কেন? যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়ে যায়?”
“সময় নেই ইরা, চল আমার সাথে।”

বলেই আয়াত আবার ফারাবীদের বাসার উদ্দেশ্যে চলতে লাগলো৷ ইরা পেছন থেকে ডেকে বলল,
“আরেহ দাঁড়া তো, একটা রিকশা অন্তত নেই। এভাবে দৌড়ে দৌড়ে কি তুই ফারাবী ভাইয়ার বাসায় যাবি?”
আয়াত পেছন ফিরে তাকিয়ে বলল,
“রিকশার জন্য অপেক্ষা করার মতো সময় নেই ইরা।”
বলে আবার দৌড় লাগালো। ইরা ওর পিছু নেওয়ার জন্য এগোতেই আয়াশ বাইক নিয়ে ইরার পথ আটকে দাঁড়ায় এবং বলে,

“আয়াতের কি হইছে? ও এভাবে ছুটছে কেন?”
“ফারাবী ভাইয়ার বিয়ে আজ, তাই ও__”
“ফারাবী কে?”
“পরে সব বলবো এখন এত কথা বলার সময় নেই৷ আমাকে আয়ুর সাথে যেতে হবে।”
বলে সামনে তাকাতেই আর আয়াতকে দেখতে পেলো না ইরা৷ আয়াশ বললো,

“ফারাবীর বাসা চেনো?”
ইরা মাথা দুলাতেই আয়াশ বলল,
“বাইকে উঠো শীঘ্রই।”

ইরা বিনাবাক্যে আয়াশের বাইকে উঠে বসল। চারতালা বিল্ডিংয়ের সম্পূর্ণটাই ডেকোরেশন করা। ফারাবীদের বিল্ডিং এটা। ওরা চারতলায় থাকে আর বাকী তিনতলা ভাড়ায় চলে। গেটের সামনে ইংলিশে বড় বড় অক্ষরে “ফারাবী ওয়েডস রাইতা” লিখা৷ যা দেখে আয়াতের মাথা ঘুরে যায়। বিল্ডিংয়ের সামনে বাগানে বড় করে স্টেজ করা। সেখানে ফারাবী আর রাইতা হাসিমুখে বসে ফটোশুট করছে।

আয়াত দৌড়ে স্টেজের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ফারাবীর সাথে চোখে চোখ পড়ে ওর। ফারাবী বিধস্ত আয়াতকে দেখে চমকে উঠে। চুলগুলো এলোমেলো, গায়ের উড়নাটাও ঠিকমতো নেই। আয়াতের এমন অবস্থা হবে তা ফারাবী আগেই বুঝতে পেরেছে। তাই তো বিয়ের কথাটা গোপন রাখতে চেয়েছিলো। কিন্তু সেই তো সবটা জেনে গেলো৷ আয়াত স্টেজে উঠে ফারাবীর হাত ধরে বললো,

“ফা্ ফারাবী? এসব কি? তুমি বিয়ে করছো? তাও আমাকে না জানিয়ে? তুমি না আমায় ভালোবাসো? তাহলে আজ, আজ রাইতাকে কেন বিয়ে করছো তুমি?”
ফারাবী হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
“সেই কৈফিয়ত আমি তোমাকে দিতে বাধ্য নই। তুমি চলে যাও এখান থেকে।”
আয়াত এক প্রকার চিৎকার করেই বললো,

“আমি আমার প্রশ্নের জবাব না নিয়ে এখান থেকে এক পা নড়বো না ফারাবী। আমাদের এতদিনের সম্পর্ক ভেঙে তুমি কি করে আজ অন্য কাউকে বিয়ে করে নিচ্ছো?”
রাইতা হাসিমুখে আয়াতের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
“বলেছিলাম না ফারাবী আমার হবে? দেখেছো ও আজ আমার স্বামী৷ তুমি আসার কয়েক মূহুর্ত আগেই আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তুমি আগে এলেও আমাদের বিয়ে আটকাতে পারতে না৷ ফারাবী আমার হওয়ার ছিলো, আর তাই ও আমারই হয়েছে।”

আয়াত রাইতাকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে ফারাবীকে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ফারাবী আমার, ও আমি ছাড়া অন্যকাউকে বিয়ে করতে পারে না।”
রাইতা আয়াতকে টেনে ফারাবীর বুক থেকে ছাড়িয়ে নিলো। তারপর ধাক্কা দিয়ে স্টেজ থেকে নামিয়ে দিয়ে দাড়োয়ানকে বললো,

“ওকে বাড়ির বাইরে বের করে দিন। ও যেন আর ভিতরে ঢুকতে না পারে।”
রাইতা আয়াতকে ধাক্কা মারতেই ফারাবী একপ্রকার চিৎকার করে উঠলো। ধমকের স্বরে বললো,
“আয়াতকে এভাবে ধাক্কা দেওয়ার সাহস হয় কি করে তোমার? স্যরি বলো ওকে।”
রাইতা তাচ্ছিল্য হেসে বললো,
“স্যরি মাই ফুট।”

রাইতার কথামতো দাড়োয়ান আয়াতকে স্পর্শ করতে গেলেই ফারাবী চিৎকার করে বলে,
“একদম স্পর্শ করবে না কেউ ওকে।”
রাইতা ফারাবীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বললো,
“একদম বেশি দরদ দেখাতে যাবে না ফারাবী। নয়তো তুমিও জানো আমি কি কি করতে পারি।”

রাইতার কথায় ফারাবী চুপ হয়ে গেলো। রাইতা আবারো দাড়োয়ানকে ইশারা করতেই একজন দাড়োয়ান গিয়ে আয়াতের হাত ধরে টেনে ওকে বাড়ির বাইরে বার করে দিয়ে গেট আটকে দেয়। আয়াত সেখানেই বসে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। তখনই আয়াশ আর ইরা এসে উপস্থিত হয় সেখানে। আয়াশ আয়াতকে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু আয়াত গেট আকড়ে ধরে কাঁদছে আর চিৎকার করে বলছে,

“আমি ওকে ভালোবাসি, ও আমাকে ছেড়ে বিয়ে করতে পারে না।”
আয়াশ আর ইরা আয়াতকে টেনে উঠিয়ে আনলে আয়াত আবার গেটের কাছে গিয়ে বসে পড়ে। গেট ধাক্কা দিচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে,

“ফারাবী, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি এভাবে অন্যকাউকে বিয়ে করে নিতে পারো না। ফারাবী___”
কথাগুলো বলে আবারও কাঁদতে শুরু করে আয়াত। আয়াতের এরকম পাগলের মতো চিৎকার করে কান্না দেখে অনেকেই আফসোস করছে ওর জন্য। কেউ কেউ আবার ফারাবীকে বেশ বকাঝকাও করছে। একপর্যায়ে আয়াত জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আয়াশ বোনের এমন অবস্থা দেখে রেগে ভিতরে যেতে গেলেই ইরা ওকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
“আগে আয়ুকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। ওকে বাসায় নিয়ে চলো।”

ইরার কথামতো আয়াশ আয়াতকে কোলে তুলে নিয়ে একটা সিএনজি থামিয়ে তাতে উঠে পড়ে। ইরাও উঠে বসে। আয়াশ ওর এক বন্ধুকে ফোন করে বলে দেয় বাইকটা বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

আয়াতের পুরো নাম ইনসিয়া আয়াত৷ এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ড্রয়িংরুমে চিন্তিত মুখে বসে আছেন আয়াতের আব্বু আম্মু। আয়াতের আব্বু ইরফান চৌধুরী একজন বড় বিজনেসম্যান এবং আম্মু আশা চৌধুরী একজন গৃহিণী। আয়াতের বড় ভাই আয়াশ চৌধুরী পড়াশোনা শেষ করে বাবার বিজনেস দেখছে৷ ইরা আয়াতের বেস্ট ফ্রেন্ড প্লাস আয়াশের গার্লফ্রেন্ড। আয়াশ আর ইরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। ওদের সম্পর্কের কথা দুই পরিবারের সকলেই জানে৷ ওদের সম্পর্কে দুই পরিবারই রাজি।

দীর্ঘ সময় পর আয়াত পিটপিট করে চোখ মেলে তাকাতেই দেখলো, ওর পাশে ইরা বসে বসে ঘুমোচ্ছে। ইরাকে এভাবে বসে বসে ঘুমোতে দেখে মৃদু হাসলো আয়াত৷ পরমূহুর্তেই যখন মনে হলো আজ ফারাবী রাইতাকে বিয়ে করে নিয়েছে তখনই আবার চিৎকার করে পাগলামি শুরু করে দেয় ও। আয়াতের চিৎকারে ইরার ঘুমভাব ভেঙে যায়। আয়াশ আর ওর বাবা মা দৌড়ে আসে মেয়ের এমন চিৎকারে। আয়াত রুমের সবকিছু এলোমেলো করে দিচ্ছে, হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই ফ্লোরে ছুঁড়ে মারছে। ইরা আর আয়াশ ওকে থামানোর চেষ্টা করছে৷ এক পর্যায়ে আয়াত ক্লান্ত হয়ে ফ্লোরে বসে পরে। আয়াশ গিয়ে বোনকে জড়িয়ে ধরে বললো,

“কাঁদিস না বোন। আমরা আছি তো। আমরা থাকতে তুই ওই ফারাবীর জন্য কেন কাঁদবি বল? আমরা আছি না তোকে ভালোবাসার জন্য? তোর জন্য অনেক ভালো কাউকে খুঁজে এনে দিবো আমি। লক্ষি বোন আমার কাঁদিস না।”
“আমি ওকে ভালোবাসি ভাইয়া, ও কি করে পারলো অন্যকাউকে বিয়ে করে নিতে? ওকে এনে দাও না ভাইয়া৷ আমার ওকে চাই। ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি।”

“ওকে এনে দেওয়া সম্ভব না বোন। এনে দেওয়া সম্ভব হলে আমি অবশ্যই এনে দিতাম। তবে হ্যাঁ এমন একজনকে তোর লাইফে এনে দিবো যে তোর পুরোনো সব ত্যক্ত স্মৃতিগুলো মুছে ফেলবে তোর জীবন থেকে।”
আয়াত উঠে দাঁড়িয়ে চোখের পানি মুছে নিলো। তারপর বললো,
“কাউকে চাই না আমার। কাউকে না। আমি একাই থাকবো। কাউকে দরকার নেই আমার লাইফে।”
ইরফান চৌধুরী এসে মেয়েকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,

“কাঁদে না মা। ওই ছেলে তোমার ভালোবাসা ডিজার্ভ করে না। তুমি ওর থেকেও ভালো কাউকে ডিজার্ভ করো তাই তো আল্লাহ ওকে তোমার করে দেয়নি। তুমি একদম কাঁদবে না আম্মু। কাঁদবে তো সে, যে তোমার এই খাঁটি ভালোবাসা হারিয়েছে।”

আয়াতের আম্মু আশা চৌধুরীও বেশ বোঝালেন মেয়েকে। তারপর শান্ত করে খাওয়ানোর জন্য ডাইনিংয়ে নিয়ে গেলেন। আয়াত একদমই খেতে চাইছিলো না। আয়াশ আর ওর বাবা এক প্রকার জোর করেই আয়াতকে খাইয়ে দিচ্ছেন। আয়াতের গলা দিয়ে কিছুতেই খাবার নামছে না। ও উঠে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। আয়াশ ওরা বেশ কয়েকবার ডাকলো। কিন্তু আয়াত একা থাকতে চাই বলে দিলো ওদের।

তাই ওরা আয়াতের রুমের সামনে থেকে চলে গেলো।
সারা রাত আয়াতের কাঁদতে কাঁদতে কাটলো। যখনই চোখ বন্ধ করেছে তখনই ওর চোখে ভেসে উঠেছে ফারাবীর বুকে মাথা দিয়ে রাইতা শুয়ে আছে। যে বুকে আয়াতের থাকার কথা আজ সে বুকে মাথা রেখে অন্য একজন ঘুমোচ্ছে। আয়াত ক্ষানিক বাদে বাদেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছে৷ সারা রাত দু চোখের পাতা এক করতে পারেনি। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করেছে আয়াত। বারবার ফারাবীর সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা মনে হয়েছে ওর। যখনই মনে পড়েছে আজ থেকে ফারাবী আর ওর নেই। রাইতার হয়ে গেছে তখনই চিৎকার করে কেঁদে উঠেছে।

গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাইতা। সামনেই ফারাবী রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে রাইতার দিকে৷ রাইতা গাল থেকে হাত নামিয়ে বললো,
“আমাদের ফার্স্ট নাইটে তুমি আমাকে চ/ড় মারলে ফারাবী?”
“ফার্স্ট নাইট মাই ফুট। ভুলে যেওনা কেন বিয়ে করেছি তোমায় আমি।”

“যে কারনেই হোক না কেন আমাদের বিয়ে হয়েছে তো। তুমি এভাবে পরনারীর জন্য আমার গায়ে হাত তুলতে পারো না।”
“পরনারীর কাকে বলছো তুমি? আয়াতকে? ভুলে যেওনা আয়াতকে আমি কতটা ভালোবাসি। তোমার সাহস হয় কি করে ওভাবে দারোয়ান দিয়ে ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার?”

“যা করেছি বেশ করেছি। ওর সাহস হয় কি করে আমার সামনেই আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরার?”
“স্ত্রীর অধিকার ফলাতে আসবে না একদম। বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছি তোমায়। নয়তো তোমার মতো মেয়ের দিকে আমি ঘুরেও তাকাই না।”
কথাগুলো বলেই গটগট করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ফারাবী৷ রাইতা বিছানায় ধপ করে বসে চোখের জল ফেলতে লাগলো৷ আর বলছে,

“আয়াতের থেকে তো কোনো অংশে কম না আমি৷ তাহলে আমাকে কেন ভালোবাসলে না ফারাবী? আমি যে তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি। তাই তো তোমাকে পাওয়ার জন্য এই মিথ্যে নাটকটা করতে হয়েছে আমার। আজ হোক বা কাল তোমার ভালোবাসা আমি ঠিক নিজের করে নিবো দেইখো।”

|নতুন গল্প নিয়ে আবার চলে এলাম। আশা করছি অন্যসব গল্পের মতো এই গল্পের পাশেও থাকবেন। আমার লেখনী অত ভালো না আমি জানি, গল্প ঠিকঠাকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি না। প্রথমে ঠিকঠাক থাকলেও লাস্ট মোমেন্টে গিয়ে উলোটপালোট হয়ে যায় সবটা। তবুও চেষ্টা করি কিছুটা। লিখার হাত ভালো না আমার তাই আগেই স্যরি বলে নিচ্ছি।
এই গল্প শেষেই #তুমি_শুধু_আমারই_হও গল্পের সিজন টু আসবে। বেশি বড় হবে না, শেষের প্রশ্নগুলোর উন্মোচন করতেই আর কয়েকটা পার্ট আসবে মাত্র। ততদিন না হয় সবাই একটু অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ|

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ২