একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ১৬

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ১৬
অরনিশা সাথী

সারা সন্ধ্যা ঘুরাঘুরি করে একটা রেস্তোরাঁয় এসে বসেছে শ্রাবণ আর আয়াত। ভিতরে না বসে রেস্তোরার ছাদে চলে এসেছে দুজনে। রেলিং ঘেঁষে একদম কোনার একটা টেবিলে। পুরো ছাদটা অনেক সুন্দর করে ডেকোরেশন করা। নানান ধরনের ফুল গাছের টব আছে এখানে। ফেইরি লাইট দিয়ে সুন্দর করে ডেকোরেট করা সবকিছু। মাঝে মধ্যে মৃদু বাতাস এসে আয়াতের খোলা চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে যাচ্ছে। আয়াত মুগ্ধ দৃষ্টিতে চারিপাশ দেখতে ব্যস্ত। আর শ্রাবণের দৃষ্টি আটকে আছে ওর সামনে বসা আয়াতের উপর। ঘুরেফিরে আয়াতের দৃষ্টি শ্রাবণের উপর পড়তেই ভ্রু কুঁচকে ফেললো আয়াত। ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

–“কি?”
শ্রাবণ নড়েচড়ে বসলো। আয়াতের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
–“কিছু কথা বলার ছিলো।”
–“বলুন”
–“হ্যাঁ বলবো, তার আগে বলো আমার উপর জমা অভিমানের পাহাড় সরাতে পেরেছি আমি?”
আয়াত ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে বললো,
–“এজন্যই বুঝি এখানে নিয়ে আসা?”
শ্রাবণ হাসলো। আয়াতের হাত উল্টেপাল্টে দেখে বললো,
–“বলতে পারো, তবে আরো একটা কারণ আছে।”
–“কি সেটা?”
–“আমার প্রশ্নের উত্তর পায়নি এখনো।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আয়াত মুগ্ধ চোখে আরো একবার চারিপাশ দেখলো। চোখমুখে খুশির ঝলক। শ্রাবণ যেহাতে আয়াতের হাত ধরে রেখেছিলো সেই হাতের উপর আয়াত হাত রেখে বললো,
–“হ্যাঁ, অভিমানের পাহাড় ভেঙেছে। তবে অভিমান করার পর আমার বিয়ে করা বরটা যদি এরকম ভাবে অভিমান ভাঙায় তাহলে সেই অভিমান আমি বারবার করতে রাজি।”
আয়াতের কথায় শ্রাবণ একগাল হেসে বললো,
–“যো হুকুম আমার বিয়ে করা বউ। তবে অভিমানের যথার্থ কারণ লাগবে। শুধু শুধু অভিমান করে গাল ফুলিয়ে বসে থাকলে আমি অফিসের কাজ ফেলে এসে অভিমান ভাঙাতে পারবো না। আগেই বলে রাখলাম।”
শ্রাবণের কথায় আয়াত হাসলো। হাসি থামিয়ে বললো,

–“এখন বলুন, কি বলবেন?”
–“আমি ঘোরপ্যাঁচ ভাবে কথা বলতে পারি না, তাই যা বলার সরাসরিই বলছি।”
আয়াত স্থির দৃষ্টিতে তাকালো। ভাবলো কি বলতে চায় শ্রাবণ? শ্রাবণ বললো,
–“আমি জানি আমার আগেও তোমার জীবনে একজন ছিলো, যাকে তুমি প্রচন্ড ভালোবাসতে, এখনো ভালোবাসো কিনা সেটা জানি না। তবে আই হোপ অতীত অতীতই থাকবে তোমার কাছে, সেটা বর্তমানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
শ্রাবণের মুখে এসব শুনে আয়াত চমকে গেলো। শ্রাবণ এসব জানলো কি করে সেটাই ভাবছে। শ্রাবণ কি তাহলে সেদিন এয়ারপোর্টে ওকে আর ফারাবীকে একসাথে দেখে ফেলেছিলো? ভাবতে লাগলো আয়াত৷ শ্রাবণ বললো,

–“ভাবছো আমি কি করে জানলাম তাই তো?”
আয়াত সম্মতি জানালো। শ্রাবণ বললো,
–“ইরা বলেছে আমায়। আর কেন বলেছে সেটাও নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো? ও তো চিনে তোমাকে, তুমি যে এটা আমায় বলতে পারবে না ও সেটাও খুব ভালো করেই জানে। তাই তো ও নিজেই আমায় বলেছে পরবর্তীতে যেন তোমার অতীত নিয়ে কোনো ঝামেলা না হয় আমাদের সংসারে। তোমার অতীত নিয়ে যাতে পরবর্তীতে আমি কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারি।”
শ্রাবণের কথাগুলো শুনে চুপ করে রইলো আয়ু। ভাবছে ইরা ওকে এত ভালো কি করে বোঝে? আয়াত কয়েকদিন যাবত ফারাবীর কথা বলতে চাচ্ছিলো, কিন্তু ওর সাহস হচ্ছিলো না। যদি ভুল বুঝে? যদি ভাবে শ্রাবণের বাবার মতো করে আয়াতও ছেড়ে যাবে সে ভয়েই আর বলা হয়ে উঠেনি। ইরা কথাগুলো বলে ভালোই করেছে। সহজ করে দিয়েছে সবকিছু। মনে মনে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালো ইরাকে। আয়াত বললো,

–“আর কিছু জানার নেই? কোনো অভিযোগ নেই কেন আমি আগে বলিনি এসব?”
–“অভিযোগ থাকবে কেন? যা হয়েছে বিয়ের আগে, বিয়ের পরে তো হয়নি যে আমি তোমার দিকে প্রশ্ন তুলবো। একটু আগেও বলেছি এখনো বলছি, অতীতের প্রভাব যেন বর্তমান আর ভবিষ্যতে না পড়ে।”
–“হবে না এমন কিছু, ইট’স মিসেস শ্রাবণ মেহরাব’স প্রমিস।”
কথাটা শুনে শ্রাবণ আলতো হাসলো। ঠোঁটের কোনে হাসি রেখেই বলতে শুরু করলো,

–“আমি জানি আয়ু আমাদের মাঝে ভালোবাসাটা এখনো সৃষ্টি হয়নি। শুধু জানি তোমাকে নিয়ে কিছু তো একটা ফিল করি আমি, দিনকে দিন তোমার মায়ায় আটকে পড়ছি আমি। তোমার টানে অফিসের কাজ দ্রুত সেরে বাসায় চলে আসছি। এটাকে ভালোবাসা বলে কিনা জানি না। কিন্তু আমি থাকতে চাই তোমার সাথে, আমার জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আমি তোমার সাথে থাকতে চাই। আমাদের মাঝে সকল দূরত্ব ঘুঁচাতে চাই আমি। একসাথে থাকতে থাকতে ভালোবাসাটা চলে আসবে। আজ হোক কাল হোক অবশ্যই একে অপরকে ভালোবাসবো, একে অপরের প্রেমে পড়বো এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর পাঁচটা দম্পতির মতোই সুন্দর স্বাভাবিক করবো আমাদের সম্পর্কটা।”
আয়াত চুপচাপ শ্রাবণের কথাগুলো শুনে যাচ্ছে। শ্রাবণ আবারো বললো,

–“তবে ভেবো না আমি বলবো, আমাদের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি না হওয়া অব্দি স্পর্শ করবো না তোমায়। অবশ্যই স্পর্শ করবো, কারণে অকারণে যখন ইচ্ছে হবে ছুঁয়ে দিবো তোমায়। আমার একমাত্র বিয়ে করা বউ বলে কথা, ছুঁয়ে দিতে তো হবেই। খুব করে ছুঁয়ে দিবো, গভীর ভাবে স্পর্শ করবো৷ এখন যতটুকু ফিল করো আমাকে, তার থেকে কয়েকগুন গভীর ভাবে ফিল করাবো আমাকে। জানান দিবো তোমার সর্বস্ব জুড়ে শুধু এই শ্রাবণ মেহরাবের বিচরণ।”
শ্রাবণের এই কথাগুলো শুনে আয়াত অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। ক্ষানিকটা লজ্জাও পেলো বোধহয়, লজ্জা পাওয়ার কথাই৷ রাগচটা গোমড়ামুখো শ্রাবণ মেহরাব নাকি আজ এত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছে, ভাবা যায়? এতক্ষণে সবটা মনোযোগ দিয়ে শুনে আয়াত বললো,

–“আমি প্রথম থেকেই সবটা স্বাভাবিক করতে চেয়েছি। আপনি যদি প্রথম দিনও আমাকে ছুঁয়ে দিতে চাইতেন, তবুও কোনো আপত্তি থাকতো না আমার। কারণ আপনি আমার স্বামী, আর বাকীটা জীবন আপনার সাথেই কাটাতে হবে আমার। তাই আমি শুরু থেকেই চেয়ে এসেছি অন্যসবার মতো আমাদের সম্পর্কটাও স্বাভাবিক হোক।”
শ্রাবণ বাঁকা হেসে বললো,
–“তাহলে আমার বিয়ে করা বউ অনুমতি দিচ্ছে যখন তখন ছুঁয়ে দেওয়ার? দুজনের মধ্যকার দূরত্ব কমানোর?”
আয়াত কিছু না বলে লাজুক হাসলো। আয়াতের হাসির দিকে আরো একবার মুগ্ধ চোখে তাকালো শ্রাবণ।

দশটা নাগাদ বাজে আয়াত আর শ্রাবণ বাসায় ফিরেছে আধ ঘন্টার মতো হবে৷ নিজেরা ডিনার করে সানিয়া মেহরাব আর শানের জন্যও খাবার নিয়ে এসেছে। আয়াত সেগুলো একজন সার্ভেন্টের হাতে দিয়ে গরম করতে বললো। প্রথমেই আয়াত ফ্রেশ হয়ে নিলো। তারপর শ্রাবণ গেলো। আয়াত নিচে নেমে এসে দেখে খাবার অলমোস্ট টেবিলে সার্ভ করা হয়ে গেছে। আয়াত সানিয়া মেহরাব আর শানকে ডেকে এনে খাবার দিলো। খাওয়া-দাওয়া শেষে তিনজনে বসলো সোফায় আড্ডা দিতে। শ্রাবণ রুমেই আছে, ফ্রেশ হয়ে আর বেরোয়নি৷ শান বললো,

–“আয়ু ভাবী, এক মগ কফি প্লিজ?”
আয়াত আলতো হেসে কফি বানাতে চলে গেলো। যাওয়ার আগে সানিয়া মেহরাবকেও জিজ্ঞেস করেছিলো তিনি চা/কফি কিছুই খাবেন না। তাই ও শ্রাবণ, শান আর ওর নিজের জন্যই কফি বানাতে চলে গেলো। আয়াত এক মগ কফি শানের হাতে দিয়ে ওর জন্য আনা কফিটা টি-টেবিলের উপর রেখে বললো,
–“বসো, তোমার ভাইয়াকে কফি দিয়ে আসছি আমি।”
আয়াত ঘরে গিয়ে দেখলো শ্রাবণ আবারো সেই ল্যাপটপ নিয়েই বসেছে। কফির মগটা শ্রাবণের দিকে এগিয়ে দিতেই শ্রাবণ মৃদু হেসে কফিটা হাতে নিলো। কফিতে চুমুক দিয়ে বললো,
–“এসময়ে কফির বড্ড প্রয়োজন ছিলো আয়ু।”
আয়াত হেসে বললো,

–“আপনি আপনার কাজ করুন, আমি নিচে গেলাম। প্রয়োজন হলে ডাকবেন।”
শ্রাবণ মাথা নাড়াতেই আয়াত নিচে চলে গেলো। সোফায় বসে নিজের জন্য বানানো কফির মগটা হাতে তুলে নিলো। সানিয়া মেহরাব ঘুমাতে চলে গেছেন। শান ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে বললো,
–“ব্যাপার কি আয়ু ভাবী? আজ বাসায় ফেরার পর থেকেই মনে হচ্ছে বেশ খুশি খুশি? কারণ কি হুম?”
–“খুশি তো অবশ্যই হবো, অনেক ঘুরাফেরা করেছি আজ। মন এমনিতেই ভালো হয়ে গেছে।”
শান সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

–“শুধু এইটুকুই? নাকি অন্যকিছু?”
আয়াত চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে বললো,
–“ধ্যাত, তুমিও না__”
এই বলে উঠে কিচেনে চলে গেলো। কফির মগটা রেখে সিড়ি বেয়ে উপরে যেতে যেতে বললো,
–“ভার্সিটি যাবো কাল, যাওয়ার সময় নিয়ে যেও আমাকে।”
শান মাথা নাড়ালো। আয়াত নিজের ঘরে এসে দরজা আটকে দিলো। শ্রাবণ তখনো সোফায় বসে ল্যাপটপে কিছু দেখছিলো। আয়াতকে দেখে ল্যাপটপ সেন্টার টেবিলের উপর রেখে বললো,
–“তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।”

আয়াত অবাক হয়। লোকটা ওর জন্য অপেক্ষা করছিলো? কথাটা ভাবালো আয়াতকে। শ্রাবণ আয়াতের হাত ধরে টেনে নিজের পাশে বসালো। তারপর আয়াতের দিকে ঘুরে বসে ওর কাঁধের উপর হাত দিয়ে আয়াতের গলা জড়িয়ে ধরলো। আয়াত একপলক শ্রাবণের হাতের দিকে তাকালো। শ্রাবণ আয়াতকে নিজের দুহাতের মাঝে বন্দী করে বললো,
–“প্রথম দিন তো আমার দেওয়া গিফট নেননি আপনি, আজকে নিবেন তো?”
শ্রাবণের চোখে চোখ রেখেই আয়াত বললো,
–“সেদিন আপনি বলেছিলেন বউ হিসেবে মানেন না আমায়, তাই নিইনি। তবে আজ যদি সত্যিই বউ হিসেবে মেনে থাকেন তাহলে আজ অবশ্যই নেবো।”

শ্রাবণের মুখ হাসি ফুটলো। আয়াত সেন্টার টেবিলের উপর থেকে সেই গিফট বক্সটা হাতে তুলে নিলো। বক্সের ভিতরে থাকা ছোট্ট একটা হোয়াইট গোল্ডের হার্ট শেইপ পেন্ডেন্ট বের করে আয়াতের গলায় পড়িয়ে দিলো। পড়ানো শেষে আয়াতকে জিজ্ঞেস করলো,
–“কেমন হয়েছে?”
আয়াত এক পলক পেন্ডেন্টের দিকে তাকিয়ে তাতে আলতো করে হাত ছোঁয়ালো। মুচকি হেসে বললো,
–“ভীষণ সুন্দর।”

প্রত্যুত্তরে শ্রাবণ মৃদু হাসলো। পকেট থেকে আরো একটা ছোট্ট বক্স বের করলো। আয়াত উৎসুক দৃষ্টিতে বক্সটার দিকে তাকিয়ে আছে। আয়াত দেখেছে শ্রাবণকে আজকে এটা কিনতে, তবে এর ভিতর ঠিক কি আছে সেটা ওকে দেখায়নি। শ্রাবণ বক্স খুলে একটা ডায়মন্ডের রিং বের করে আয়াতের বা হাতের অনামিকা আঙুলে পড়িয়ে দিয়ে হাতে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো। প্রথম বারের মতো শ্রাবণের এমন স্পর্শ পেয়ে আয়াতের সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠলো। অবাক চোখে তাকিয়ে আছে শ্রাবণের দিকে। ক্ষানিকটা লজ্জাও পেয়েছে। শ্রাবণ যে এরকম কাজ করবে ও মোটেও ভাবেনি। শ্রাবণ ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

–“শকড?”
আয়াত মাথা নাড়ালো। শ্রাবণ বাঁকা হেসে বললো,
–“এখন থেকে এর চেয়েও বেশি শকড হবা। নিজেকে প্রস্তুত রেখো সবসময়।”
আয়াত দ্রুতই নিজেকে সামলে নিলো। মৃদু হেসে বললো,
–“আমি প্রস্তুত আছি, বরং আপনি ভালোভাবে ভাবনা চিন্তা করুন কিভাবে আমাকে বিস্মিত করা যায়।”
শ্রাবণ হেসে মাথা নাড়ালো। এই মেয়েটাকে ও লজ্জা পেতে দেখতে চায় কিন্তু কিছুতেই ওর মুখে লজ্জার আভাটা ফুটিয়ে তুলতে পারে না। শ্রাবণ হেসে বললো,

–“বরাবর বন্ধুমহলে শুনে এসেছি মেয়েদের কিস করলে বা রোমান্টিক সব কথা বললে মেয়েরা নাকি লজ্জায় লাল হয়ে যায়, এদিকে আমার বিয়ে করা বউটা তো দেখছি একদম উলটো।”
আয়াত ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
–“আপনি কি চান আমি লজ্জা পাই?”
শ্রাবণ হেসে মাথা নাড়িয়ে বললো,
–“একদমই না। আমার বিয়ে করা বউটা লজ্জা পেলে যে আমার ফিউচার প্ল্যানিংয়ের কাজ শুরু করতে সময় লেগে যাবে অনেকটা।”

–“অসভ্য লোক একটা।”
কথাটা বলেই আয়াত শ্রাবণের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো৷ তারপর বললো,
–“এই আপনি না আগেই ভালো ছিলেন, রাগচটা গোমড়ামুখো। দিন দিন একটু বেশিই মিষ্টি হয়ে যাচ্ছেন, পরে আমার আবার ডায়েবিটিস এর সমস্যা না হয়ে যায়। প্রথমে নিমপাতার মতো তেতো থাকলেও শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এত পরিমান মিষ্টি হয়ে যাচ্ছেন, যা আমার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য যে ভালো হবে না সেটা বেশ বুঝতে পারছি।”
কথাটা বলে আয়াত আর এক মূহুর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে রুমের লাইট অফ করে দিয়ে বিছানার দিকে চলে গেলো। এককোনে গুটিশুটি মেরে শুয়ে রইলো। শ্রাবণ একগাল হেসে বললো,

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ১৫

–“আরেহ আমার বিয়ে করা বউ দেখি আমাকে রেখেই শুয়ে পড়লো, আমি আসছি তো জাস্ট এ সেকেন্ড।”
কথাটা বলে শ্রাবণ নিজেও গিয়ে আয়াতের পাশে শুয়ে পড়লো।

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ১৭