একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ৮

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ৮
অরনিশা সাথী

ফেসবুকে স্ক্রল করছিলো ফারাবী। এমন সময় আয়াতের ছবি দেখতে পেলো ও। রাফিয়ার আইডি থেকে আপলোড করা হয়েছে সাত মিনিট আগে। আয়াতকে ট্যাগ করা হয়েছে বিধায় ছবিটা ফারাবীর নিউজফিডেও এসেছে। আয়াতের সাথে শ্রাবণকেও ট্যাগ করা হয়েছে। ক্যাপশনে, “নিউলি ম্যারেড কাপল” লিখা।

আয়াত আর শ্রাবণ পাশাপাশি বসা ওদের বাসরঘরে। ছবিটা দেখে মূহুর্তেই ফারাবীর মাথায় যেন আগুন জ্বলে উঠলো। আয়াতের বিয়ে হয়ে গেছে ও এখন অন্য একজনের ঘরে তা যেন ফারাবীর মানতে কষ্ট হচ্ছে। বুকের ভিতর চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করছে। চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। আয়াতকে অন্য কেউ ছুঁয়ে দিবে এটা ভেবে। হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই ছুঁড়ে মারছে। সম্পূর্ণ ঘরে একপ্রকার তান্ডব শুরু করেছে ফারাবী। রাইতা দৌড়ে আসে ঘরে। ফারাবীকে থামাতে গেলে রাইতাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–“আজ শুধুমাত্র তোমার জন্য আমার আয়ুকে অন্যকেউ স্পর্শ করার অধিকার পেয়েছে। শুধুমাত্র তোমার জন্য আমার আয়ু আজ অন্য ছেলের সাথে অন্যের সাজানো ঘরে বসে আছে। আজকের পর থেকে আয়ুকে অন্যকেউ প্রতিনিয়ত স্পর্শ করে যাবে। পারছি না, মানতে পারছি না আমি।”
ফারাবীর কথাগুলো বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো রাইতার। বুঝতে পেরে ফারাবীর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

–“সেদিন না তুমি বললে আমাদের সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিতে চাও? তাহলে আয়াত কি করলো না করলো সেসব নিয়ে এখন এমন পাগলামী কেন করছো ফারাবী?”
ফারাবী কিছু না বলে রেগে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে। রাইতা বেশ কিছুক্ষণ ফারাবীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে ফ্লোর থেকে ভাঙা কাঁচগুলো সাবধানে উঠাতে লাগলো।

ঘুম আসছে না আয়াতের। এপাশ ওপাশ করছে। উঠে বসলো। বিছানা হাতরে ফোন খোঁজার চেষ্টা করলো। পরমূহুর্তেই মনে পড়লো আসার সময় ফোন আনার কথা একদমই খেয়াল ছিলো না ওর। তাই বিছানা থেকে নামলো। শ্রাবণ এখনো ব্যালকোনিতে। ভাবলো একবার ওর থেকে ফোন চাইবে৷ কিন্তু আবার মনে হলো যে ওর সাথে কথা বলেনি তার সাথে ও কেন নিজ থেকে কথা বলতে যাবে? এই ভেবে দরজা খুলতে উদ্যত হলেই পেছন থেকে শ্রাবণ বললো,

–“কোথায় যাচ্ছো?”
আচমকা শ্রাবণের কন্ঠ পেয়ে কেঁপে উঠলো আয়াত৷ বুকটা ঢিপঢিপ করছে। আয়াত পেছনে ফিরে তাকিয়ে বললো,
–“আন্টির কাছে।”
–“কেন?”
–“বা্ বাসায় কথা বলবো৷ আমার ফোন আনিনি।”
শ্রাবণ নিজের ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
–“তার জন্য এতরাতে আম্মুর ঘরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আমার ফোন নিলেই হতো।”
–“আপনি তো ব্যালকোনিতে__”
–“ডাকা যেত নিশ্চয়ই?”

আয়াত আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ শ্রাবণের থেকে ফোনটা নিয়ে ব্যালকোনিতে চলে গেলো। প্রথমেই বাবা মা আর ভাইয়ের সাথে কথা বললো। তারপর ডায়াল করলো ইরার নাম্বারে। ফোন রিসিভ করে আয়াতের কন্ঠ পেয়ে ভ্রু কুঁচকালো ইরা৷ সময় দেখলো একবার। বারোটা বাজে। ইরা বললো,
–“এসময়ে ফোন দিলি যে আয়ু? সব ঠিক আছে?”
–“ভালো লাগছে না আমার।”

–“ভাইয়া ছাড়লো তোকে? না মানে আজ তোদের ফার্স্ট নাইট অথচ তুই আমার সাথে কথা বলে সময় কাটাচ্ছিস।”
–“উনি তো কথাও বলেনি আমার সাথে।”
–“মানে?”
আয়াত বললো ইরাকে সবকিছু। ইরা চুপ করে রইলো ক্ষানিকটা সময়। আয়াত বললো,
–“আমি তোকে বলেছিলাম না উনাকে ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে? উনার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”
–“সেরকম কিছু না। হয়তো হঠাৎ করেই বিয়ে হয়ে যাওয়াতে___”
–“জানি না।”

শ্রাবণের কন্ঠস্বর শুনতে পেলো আয়াত। ওকেই ডাকছে। আয়াত ফোন রেখে দিয়ে দ্রুত ঘরের ভিতর চলে গেলো। শ্রাবণ সোফায় বসা। আয়াত ফোনটা এগিয়ে দিলো। শ্রাবণ ফোন হাতে নিয়ে বললো,
–“বালিশের পাশে তোমার জন্য একটা বক্স রাখা আছে।”
–“কিসের?”
–“খুলেই দেখে নিও। ফার্স্ট নাইটে নাকি বউকে কিছু দিতে হয়?”
আয়াত কিছু বললো না। বিছানার দিকে এগোতেই শ্রাবণ আবারো বললো,

–“আর একটা কথা___”
আয়াত পেছন ফিরে তাকালো। শ্রাবণ বললো,
–“শুধু মাত্র মায়ের জন্য বিয়ের সম্পর্কটা তে জড়িয়েছি আমি। ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার এসবে বিশ্বাসী না আমি।”
কথাগুলো বলে আয়াতের দিকে তাকালো শ্রাবণ। আয়াত শ্রাবণের দিকেই তাকিয়ে ছিলো। শ্রাবণ আবারো বললো,
–“আমি কি বলতে চাচ্ছি তুমি বুঝতে পেরেছো নিশ্চয়ই?”
আয়াত মাথা নাড়ালো। শ্রাবণ আবারো বললো,

–“রাত অনেক হয়েছে, শুয়ে পড়ো এবার।”
আয়াত বিছানার দিকে এগোতে গিয়েও আবার দাঁড়িয়ে পড়লো। শ্রাবণকে জিজ্ঞেস করলো,
–“কোথায় শুবো?”
শ্রাবণ ভ্রু কুঁচকে তাকালো আয়াতের দিকে। শ্রাবণের ওরকম চাহনিতে ভড়কে গেলো আয়াত। আমতা আমতা করে বললো,
–“না মানে আপনি তো ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার এসবে বিশ্বাসী না। তার মানে আমাকে বউ হিসেবেও মানেন না আপনি। তাই জিজ্ঞেস করছিলাম কোথায় শুবো আমি? এখানেই? নাকি গেস্ট রুমে চলে যাবো?”

–“এখানেই থাকো। এই ঘরের বাইরে সকলে জানবে আমরা অন্যান্য সব কাপলের মতোই।”
আয়াত কিছু না বলে বালিশের পাশ থেকে গিফট বক্স হাতে নিলো। তারপর আবার শ্রাবণের কাছে গিয়ে ওর সামনে গিফট বক্সটা রেখে বললো,

–“যেখানে বিয়ে মানেন না সেখানে ফার্স্ট নাইটে বউকে এসব গিফট দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যেদিন বিয়ে সংসারে বিশ্বাসী হবেন সেদিনই না হয় এই গিফট বউকে দিবেন। তার আগে নয়।”

আয়াত আর কিছু না বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো। শ্রাবণ কিছুক্ষণ আয়াতের দিকে তাকিয়ে থেকে তপ্ত শ্বাস ফেললো। ভাবলো মেয়েটাকে এসব বলা কি ঠিক হলো ওর? প্রতিটা মেয়েই তো কত আশা নিয়ে স্বামীর ঘরে আসে। আয়াতও হয়তো সেরকমই আশা নিয়ে এসেছিলো। ভাবতে পারছে না কিছু শ্রাবণ। মাথা নিচু করে দুহাতে চুল খামচে ধরলো। আয়াত দুহাতে মুখ চেপে ধরে নিঃশব্দে কাঁদছে। আজও কি কাঁদার কথা ওর? সব দুঃখ কষ্ট পেছনে ফেলে সামনে এগোতে চাইছিলো তো। সেজন্যই সবার কথা ভেবে এই বিয়েতে রাজি হলো ও। কিন্তু বিয়ের পর স্বামীর ঘরে এসেও কি কাঁদতে হবে ওকে?

মধ্যরাত। ফারাবী এখনো বাসায় ফিরেনি৷ রাইতা ওর জন্যই অপেক্ষা করছিলো। এমন সময় কলিংবেল বাজতেই রাইতা দ্রুত গিয়ে দরজা খুলে দেয়৷ ফারাবী দাঁড়ানো। ছেলেটা কেমন দোলছে। মনে হচ্ছে ঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। রাইতা ফারাবীর কাছে যেতেই বুঝতে পারলো ফারাবী ড্রিংক করে এসেছে। রাইতা ফারাবীকে ধরে ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিলো। তারপর আবার এসে সদর দরজা আটকে গেলো। ঘরে গিয়ে রাইতা দেখতে পেলো ফারাবী বিড়বিড় করে কিছু বলছে। রাইতা সেসব শুনার চেষ্টা চালালো কিছুক্ষণ। আয়াতকে নিয়েই কথা বলে যাচ্ছে ফারাবী৷ রাইতা বললো,

–“ফারাবী আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে তাই না? হ্যাঁ মানছি আমি মিথ্যে বলে জোর করে বিয়ে করেছি তোমায়। সেজন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি আমি। তুমি, বাসার সবাই আমার সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করছো। আর এখন তো আয়াতেরও বিয়ে হয়ে গেছে। নতুন জীবন শুরু করেছে ও। তাহলে আমাকে একটা সুযোগ দিচ্ছো না কেন ফারাবী? আমাদের বিয়ের চারটা মাস তো হতে চললো ফারাবী। এবার তো অন্তত আমাকে একটা সুযোগ দেও প্লিজ। আমাকে নিয়ে অভিযোগ করার মতো কিচ্ছু করবো না আমি। প্লিজ ফারাবী।”
রাইতার কান্না জড়িত কথা শুনে পিটপিট করে ওর দিকে তাকালো ফারাবী। হেসে বললো,

–“কি ক্ষতি করেছিলাম রাইতা? আমাদের মাঝে কেন আসলে তুমি?”
–“ভালোবাসি তোমাকে আমি। আর তাই তো তোমাকে পাওয়ার জন্য___”
কথাটা শুনে উচ্চস্বরে হাসলো ফারাবী। বললো,
–“ভালোবাসা?”
–“প্লিজ একটা সুযোগ দাও।”

ফারাবী আচমকা রাইতার গাল চেপে ধরলো শক্ত করে। ব্যথায় মৃদু চিৎকার করে উঠলো রাইতা৷ রাইতার চোখে পানি দেখে ফারাবী রাইতার গাল ছেড়ে দিলো। এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো৷ আবারো আয়াতের চেহারা ভেসে উঠলো চোখের সামনে। মনে পড়লো আয়াতের বলা শেষ কথা ছিলো, ফারাবী যেন এই সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখে। আয়াত আজ নতুন জীবন শুরু করেছে৷

ভাবলো ভালোবাসার মানুষটার কথা রাখতে ফারাবীও না হয় আজ এই সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখুক। আয়াত তো এখন নিশ্চয়ই এখন ওর স্বামীর বুকেই আছে? মনে মনে এসব ভাবলো ফারাবী। অতঃপর রাইতার দিকে তাকালো। রাইতা তখনো কাঁদছিলো। কান্নার কারনে ঠোঁট জোড়া বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছিলো৷ ফারাবীর কি হলো নিজেও বুঝতে পারলো না৷

আচমকাই রাইতার ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোঁট দিয়ে আকড়ে ধরলো। চুমু খেতে লাগলো পাগলের মতো। ফারাবীর এমন কান্ডে রাইতা কান্না থামিয়ে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে। ফারাবীর স্পর্শ গুলো গভীর হচ্ছে৷ রাইতা চোখ বন্ধ করে নিলো। একপর্যায়ে ফারাবী রাইতাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে গেলো। রাইতা ফারাবীর গলা জড়িয়ে ধরে ধীর কন্ঠে বললো,
–“ফারাবী তুমি এখন ড্রাংক, নিজের মধ্যে নেই।”
–“সজ্ঞানে আছি আমি।”

দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো আয়াত৷ ঘড়িতে সময় দেখলো সকাল সাড়ে আটটা বাজে। সোফার দিকে চোখ যেতেই দেখতে পেলো শ্রাবণ সোফায় শুয়ে আছে৷ আয়াত দ্রুত নেমে শ্রাবণের কাছে গেলো৷ ডাকতে লাগলো ওকে৷ কয়েকবার ডাকতেই চোখ মেলে তাকালো শ্রাবণ৷ আয়াত বললো,
–“আপনি বিছানায় গিয়ে ঘুমান, কেউ এসেছে দরজা খুলতে হবে।”
শ্রাবণ উঠে বসে বললো,-
–“দরজা খুলো তুমি।”

আয়াত গিয়ে দরজা খুলে দিলো। দেখলো রাফিয়া দাঁড়িয়ে আছে৷ আয়াতকে দেখে রাফিয়া ভ্রু কুঁচকে বললো,
–“কি ব্যাপার দরজা খুলতে এত লেট হচ্ছিলো কেন? শ্রাবণ ভাই বুঝি কিছুতেই ছাড়তে চাইছিলো না?”
শ্রাবণ গিয়ে আয়াতের পেছনে দাঁডালো৷ রাফিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“আজকাল বড্ড পেঁকে গেছিস মনে হচ্ছে?”
চোখ রাঙিয়ে কথাটা বললো শ্রাবণ। রাফিয়া মেকি হেসে বললো,

–“কাকিমা নাস্তা নিয়ে বসে আছে। তোমরা ফ্রেশ হয়ে এসো, আমি গেলাম।”
কথাটা বলেই একপ্রকার দৌড়ে পালালো রাফিয়া৷ শ্রাবণ বললো,
–“আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি ততক্ষণে তুমি তোমার ড্রেস লাগেজ থেকে বের করে আলমারিতে তুলে রাখো।”
আয়াত সম্মতি জানালো। শ্রাবণ টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। আয়াত নিজের জামাগুলো একে একে আলমারিতে তুলে রাখলো। মনে মনে বললো,

–“এই লোকটা এমন অদ্ভুত কেন? কাল রাতেই বললো ভালোবাসা, বিয়ে, সংসার মানে না অথচ এখন আবার বলছে উনার আলমারিতে আমার জামা কাপড় রাখতে। আবার ফার্স্ট নাইটে বউকে গিফট দিতে হয় সেজন্য গিফটও এনে রেখেছে। বিয়েই যেখানে মানে সেখানে এসব করার মানে কি?”

কথাগুলো ভেবে তপ্ত শ্বাস ফেললো আয়াত। ততক্ষণে শ্রাবণ ফ্রেস হয়ে বেরিয়েছে। আয়াত একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আধ ঘন্টা বাদে একেবারে গোসল করে বের হলো আয়াত৷ শ্রাবণ ল্যাপটপে অফিসের কাজ দেখছিলো। ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে সেদিকে তাকাতেই কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলো ও। গাঢ় সবুজ রঙের শাড়ি পড়েছে আয়াত। ভেজা চুলগুলো দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে৷ শ্রাবণ দ্রুত চোখ সরিয়ে নিলো। আয়াত ড্রেসিংটেবিল এর সামনে বসে রেডি হতে শুরু করলো। শ্রাবণের চোখ ঘুরেফিরে আয়াতের দিকেই যাচ্ছে৷ শ্রাবণ উঠে দাঁড়িয়ে বললো,

–“নিচে যাচ্ছি আমি, তুমি আসো।”
আয়াত উঠে এসে শ্রাবণের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“হয়ে গেছে, চলুন।”

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ৭

অতঃপর দুজনে একসাথে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো। সানিয়া মেহরাব, শান, রাফিয়া নাস্তার টেবিলে বসে শ্রাবণ আর আয়াতের জন্য অপেক্ষা করছিলো। সিড়ি দিয়ে দুজনকে একসাথে নামতে দেখে মুচকি হাসলো সানিয়া মেহরাব এবং শান। দুজনকে পাশাপাশি কি সুন্দর লাগছে, বেশ মানিয়েছে দুজনকে। মেড ফর এইচ আদার, কথাটা মনে মনে ভেবে মৃদু হাসলো সানিয়া মেহরাব।

একটা বসন্ত বিকেলে পর্ব ৯