এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৮ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৮
লেখনীতে: তানজিল মীম

“জোৎসা ভরা রাত!খোলা আকাশের নিচে আলোকিত ল্যামপোস্টের থেকে অনেকটা দূরত্বে সবুজ ঘাসের উপর হাল্কা উঁচু একটা মাঠের নিচে বসে আছে রিয়াদ আর তানজু’!!কিছুক্ষন আগেই তানজু রিয়াদকে এখানে নিয়ে এসেছে’!!জোরে নিশ্বাস ফেলে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“কেমন লাগছে ভাইয়া,তুমি প্রকৃতি দেখতে চেয়েছো আমি নিয়ে এলাম!’
“বিনিময়ে রিয়াদ ভাইয়া কিছু বললো না’!!রিয়াদ ভাইয়া চুপ থাকাতে আমিও আর কিছু বললাম না’!!হুট করেই ভাইয়া সবুজ ঘাসের উপর শুয়ে পরলো’!!হর্ঠাৎ আমার কি হলো কে জানে ভাইয়াকে শুয়ে থাকতে দেখে আমি পাশ দিয়ে শুয়ে পরলাম….

“রাতের জোৎসা ভরা আলো,আকাশে চক চক করছে তাঁরা আর তাদের মাঝখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে মস্ত বড় চাঁদমামা,আমাদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই রয়েছে হাইওয়ের রাস্তা,সময়টা কম হলেও রাত_১০টা বাজে,পরিবেশটা একদমই নির্জন আশেপাশে কেউ নেই বললেই চলে,মাঝে মধ্যে আমাদের উল্টোদিকের রাস্তা দিয়ে চলছে দু’একটা গাড়ি,,চারপাশ থেকে বয়ে আসছে ঠান্ডা শীতল মেশানো বাতাস,মন খারাপ থাকলে যে কেউ এখানে আসলেই মনটা ভালো হয়ে যাবে,আমাদের পাশেই মস্ত বড় একটা গাছ,গাছের পাশেই শুয়ে আছি আর রিয়াদ ভাইয়া!’এখান থেকে একদম পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আকাশটা’!!হর্ঠাৎই বলে উঠলাম আমিঃ

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-“এতগুলো তাঁরার মধ্যে আমি কোনটা হবো ভাইয়া….
—-“আমি বলবো…
—-“হুম বলো তুমি আমারটা বলবে আর আমি তোমরাটা ঠিক আছে…
—-“ঠিক আছে,যেহেতু এই মুহুর্তে আমরা পাশাপাশি আছি তাই তাঁরা দুটো না হয় পাশাপাশি খুঁজি….
—-“ঠিক আছে ভাইয়া, আই হেভ নো প্রবলেম…
“মুচকি হাসলো রিয়াদ’!!অনেক খুঁজে টুজে রিয়াদের চোখ বামদিকে গেল, সব তাঁরার আড়ালে চক চক করছে দুটো তাঁরা, রিয়াদ হাতের ইশারায় তাঁরাগুলোকে দেখিয়ে বললোঃ
—-“ওইটা তুই আর ওইটা আমি…
“রিয়াদ ভাইয়ার দেখানো তাঁরার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“ওখানে তো শুধু দুটো তাঁরাই আছে ভাইয়া…
—-“হুম সবার আড়ালে,যেমন এখন আমরা সবার আড়ালে এখানে বসে আছি তেমন…
“ভাইয়ার যুক্তি শুনে হেঁসে উঠলাম আমি’!!তারপর বললামঃ

—-“তোমার ভালো লাগছে তো এখানে…
“তানজুর কথা শুনে চোখ বন্ধ করে আনমনেই বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“হুম খুব,
“ইচ্ছে করছে সারাজীবন এইভাবেই তোর সাথে থাকি(বিড়বিড় করে)
—-“কিছু বললে ভাইয়া…
“রিয়াদ আমতা আমতা করে বললোঃ
—-“না…
“ইদানীং রিয়াদ নিজের আচরণে নিজেই অবাক তানজুর সামনে আসলেই কেমন একটা হয়ে যায় সে,কিসব আবোলতাবোল বলে,এসব কেন হচ্ছে, রিয়াদ এখনো বুঝে উঠতে পারছে না….
“নিমিষেই চোখ বন্ধ করে জোরে নিশ্বাস নিলো সে’!!
“খোলা আকাশের নিচে এইভাবে ঘাসের নিচে গাছের আড়ালে রাতের বেলা কখনো শোয়া হয়নি তার’!!ইদানীং প্রকৃতির প্রেমে পড়ছে খুব,যেন এক আলাদা টান পাচ্ছে রিয়াদ’!!
“পাশাপাশি চোখ বন্ধ করে ঘাসের উপর শুয়ে আছে রিয়াদ-তানজু, দুজনেই প্রকৃতিকে ফিল করছে….
“বেশকিছুক্ষন ওভাবে কাটানোর পর,আচমকাই চোখ খুলে বলে উঠলাম আমিঃ

—-“এখন তাহলে যাওয়া যাক ভাইয়া…
“তানজুর কথা শুনে চোখ বন্ধ করেই বললো রিয়াদঃ
—-“আর একটু থাকি না প্লিজ…
—-“কিন্তু ভাইয়া রাত তো অনেক হলো….
—-“তাতে কি হয়েছে তোর কি ভয় করছে, নাকি আমার সাথে ভালো লাগছে না…
—-“না ভাইয়া তেমন কিছু নয়, আচ্ছা চল আরেকটা জায়গায় যাই…
—-“আবার কোথায়….
—-“চলই না…..
“বলেই ভাইয়াকে টেনেটুনে উঠালাম আমি,তারপর আবারো গাড়ি করে চললাম আমরা….

“অল্পকিছুক্ষন পর….
“আমাদের গাড়ি এসে থামলো একটা বড় ব্রিজের উপর’!!গাড়ি থেকে নেমে পাশাপাশি হাঁটছি আমরা,ব্রিজের নিচেই রয়েছে বিশাল বড় নদী,ব্রিজের ঠান্ডা বাতাসে মনে হচ্ছে পুরো শরীর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার’ বেশ ভালো লাগছে….

“এদিকে রিয়াদেরও ভালো লাগছে খোলা আকাশের নিচে আলোকিত ল্যামপোস্টের নিচ দিয়ে ব্রিজের উপর হাঁটতে বেশ লাগছে তার,
হর্ঠাৎই চোখ গেল রিয়াদের তানজুর দিকে,বাতাসে তানজুর খোলা চুলগুলো উড়ছে খুব,বার বার হাত দিয়ে তানজু তার মুখের কাছে আসা চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছে,বিষয়টা রিয়াদের কাছে বেশ লাগছে,
“ব্রিজের রেলিং এ হাত রেখে হেঁটে চলেছে রিয়াদ,তার সাথে এসব কি হচ্ছে কেন হচ্ছে বুঝতে পারছে না রিয়াদ,বার বার কেন তানজুর ওপরই রিয়াদের চোখ আঁটকে যায় কেন,কই আগে তো কখনো কোনো মেয়েকে দেখে এমন হয়নি তার,প্রশ্নগুলো মাথায় এসে আঁটকে যাচ্ছে রিয়াদের কিন্তু উওর জানা নেই,লাইফে কম প্রপোজ পায় নি সে,কিন্তু কখনো কোনো মেয়েকে তেমন ভাবে পাত্তা দেয় নি রিয়াদ,
“হর্ঠাৎই কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে নিজের ভাবনায় ছেদ পরলো রিয়াদের’!!স্পর্শটা তানজুর বুঝতে পেরে জিজ্ঞেসাসূচক তাকালো রিয়াদ তানজুর দিকে,মুখে রয়েছে তানজু এক প্রফুল্লের হাসি’!!তানজু রিয়াদের হাত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে উঠলঃ

—-“চল না ভাইয়া ফুচকা খাই….
“তানজুর মুখে এমন অদ্ভুত বায়না শুনে সামনে তাকালো রিয়াদ,তাদের থেকে কয়েক কদম দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল একটা ফুচকাওয়ালা’!!
—-“এতরাতে কেউ ফুচকা খায়…
—-“কেউ না খেলেও আমি খাই চলো না প্লিজ…
—-“ঠিক আছে…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে মুহূর্তেই মনটা খুশিতে ভরে উঠলো আমার’!!আমি তো রিয়াদ ভাইয়াকে রেখেই দৌড়ে চলে গেলাম ফুচকাওয়ালার কাছে,এতরাতে ফুচকাওয়ালাকে পাবো একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল’!!আমি দৌড়ে গিয়ে বললামঃ
—-“মামা ঝাল ঝাল দু’প্লেট ফুচকা দেন….
“আমার কথা শুনে ফুচকাওয়ালাও ফুচকা বানাতে শুরু করল’!!আমার তো এক্ষুনি জিভে পানি চলে এসেছে,এরই ভিতর আমার পাশে এসে দাঁড়ালো রিয়াদ ভাইয়া’!!ওনাকে দেখে হাল্কা হেঁসে উঠলাম আমি’!!
“কিছুক্ষণেই মধ্যেই ফুচকাওয়ালা আমাদের দু’প্লেট ফুচকা দিলো’!!আমিও এক প্লেট রিয়াদ ভাইয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে আরেক প্লেট নিজে নিয়ে খেতে শুরু করলাম’!!

“এদিকে রিয়াদ তাকিয়ে আছে ফুচকার দিকে’!!এর আগে কখনো এসব খায় নি রিয়াদ,খাবে কি খাবে না বুঝে উঠতে পারছে না সে,তারওপর তানজুর হাসিমাখা ফেস দেখে নাও করতে পারছে না’!!
—-“কি হলো ভাইয়া খাচ্ছো না কেন খাও ভালো লাগবে….
—-“বলছিস খাবো…
—-“হুম খাও খুব মজা…
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদও আর বেশি কিছু না ভেবে ‘বিসমিল্লাহ্’ বলে খেতে শুরু করল,প্রথমটা খেতেই ঝালে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে রিয়াদের,রিয়াদ ছোট বেলা থেকেই খুব একটা ঝাল খেতে পারে না,,কোনোরকম চারটে ফুচকা খেতেই রিয়াদের ঠোঁট জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে, চোখগুলো লাল হয়ে গেছে’!!
“হুট করেই ভাইয়ার এমন অভাবনীয় রূপ দেখে হাল্কা কেঁপে বলে উঠলাম আমিঃ
—-“কি হলো ভাইয়া তোমার কি খুব ঝাল লেগেছে….

“বিনিময়ে রিয়াদ কিছু বললো না,ফুচকা খেতে আছে তো খেতেই আছে,ভাইয়ার কান্ড দেখে আমি ভয়ে ভয়ে বলে উঠলামঃ
—-“আরে ভাইয়া কি করছো খেতে যখন পারছো না তাহলে খাচ্ছো কেন,
“বলেই ফুচকার প্লেটটা নিয়ে নিলাম আমি,তারপর তাড়াতাড়ি ফুচকা বিল মিটিয়ে চলে আসলাম আমরা গাড়ির কাছে,ভেবেছিলাম হয়তো গাড়ির ভিতর পানি থাকবে কিন্তু ভাগ্য খারাপ নেই এখন কি করি,
“এদিকে রিয়াদের ঝালে প্রান যায় যায় অবস্থা, এই মুহুর্তে পানি না পেলে সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যাবে সে,আমি আস্তে রিয়াদ ভাইয়া সামনে গিয়ে বললামঃ
—-“তুমি দু মিনিট অপেক্ষা করো আমি এক্ষুনি কিছু করছি….
“বলেই উল্টো দিকে দৌড় লাগালাম আমি,কারন আসার সময় আমি আইসক্রিমের দোকান দেখেছিলাম পিছনে…
“৫ মিনিট পর…
“দু’হাতে দুটো আইসক্রিম নিয়ে চলে আসলাম আমি রিয়াদ ভাইয়ার সামনে,কোনোকিছু না ভেবেই একটা আইসক্রিম প্যাকেট থেকে বের খাইয়ে দিলাম রিয়াদ ভাইয়াকে’!!তারপর রিয়াদ রিয়াদ ভাইয়া ঠোঁটে ফু দিতে দিতে বললামঃ
—-“ঝাল কমেছে ভাইয়া,তুমি ঝাল খেতে পারো না বলবে না আমায়…
“এদিকে রিয়াদ তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে কেমন যেন লাগছে তার,তানজুর কান্ডে আরো অবাক রিয়াদ’!!

“হুট করে আমি কি করে বসেছি ভাবতেই এখন কেমন কেমন লাগছে ছিঃ না জানি রিয়াদ ভাইয়া কি ভাবলো আমায়,
—“সরি…
“বলেই দু’কদম পিছনে সরে আসলাম আমি’!!
“তানজুর কান্ডে হাল্কা হেঁসে উঠলো রিয়াদ’!!আইসক্রিম খাওয়ার ফলে ঝাল অনেকটাই কমে গেছে তার…
“কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটানোর পর বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“এখন তাহলে যাওয়া যাক বাড়ি….
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি গাড়িতে বসে পরলাম,লজ্জায় মাথা কাটা হয়ে যাচ্ছে আমার,,

“রাত ১ঃ০০ টার কাঁটায় ছুঁই ছুঁই…
“বিছানায় শুয়ে আছে রিয়াদ,অনেকক্ষন আগেই তাঁরা এসে পৌঁছেছে বাড়ি,তানজুও তাকে বিদায় জানিয়ে চলে গেছে ওদের বাসায় আর রিয়াদ চলে এসেছে তাদের বাসায়,হাল্কা পাতলা ডিনার সেঁড়ে শুয়ে আছে রিয়াদ ঘুম আসছে না তার,এমন সময় দরজায় নক করলো রিয়াদের বাবা’!!বললেন উনিঃ
—-“রিয়াদ সজাগ আছো,নাকি ঘুমিয়ে পরেছো…
“বাবার ডাক শুনে রিয়াদ বিছানা ছেড়ে উঠে দরজা খুলে বললোঃ
—-“না বাবা কিছু বলবে তুমি…
—-“হুম, আমি তো দিনের বেলা সুযোগ পাই না তোমার সাথে কথা বলার তাই এখন আসলাম ডিস্টার্ব করলাম না তো…
—-“আরে কি যে বলছো বাবা, আসো ভিতরে বিছানায় বসে কথা বলা যাক…
“রিয়াদের কথা শুনে রিয়াদের বাবাও মুচকি হেঁসে গিয়ে বসলেন রিয়াদের বিছানায়!’রিয়াদও গিয়ে বসলো তার বাবার পাশে তারপর বললোঃ

—-“হুম এখন বল বাবা…
—-“তোমার আমেরিকায় যাওয়ার ডেট কবে রিয়াদ….
“আমেরিকায় ফিরে যাবে শুনেই হাল্কা মন খারাপ হলো রিয়াদের’!!তারপরও মুচকি হেঁসে বললো সেঃ
—-“এই তো বাবা আর দু’দিন পর….
—-“ওহ,ওখানে তোমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো রিয়াদ….
—-“না বাবা অসুবিধা কিসের আর আপু তো আছে আমার সাথে…
—-“তা পড়াশোনা কতদূর….
—-“এইতো আর অল্প কিছুদিন তারপরও তোমার ছেলে ডাক্তার হয়ে যাবে…
“মুচকি হাসলেন রিয়াদের বাবা তারপর রিয়াদের মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ
—-“ঠিক আছে রিয়াদ ঘুমিয়ে পরো এখন অনেক রাত হয়ে গেছে….
—-“ঠিক আছে বাবা তুমিও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরো’!!
“রিয়াদের কথা শুনে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো রিয়াদের বাবা, অনেককিছু বলতে চেয়েছিলেন উনি,কিন্তু মনে হচ্ছে তার এটা ঠিক সময় নয়…
“ছোট্ট শ্বাস ফেলে বেরিয়ে গেল রিয়াদের বাবা’!!

“এদিকে রিয়াদ আমেরিকায় ফিরে যাবে ভাবতেই কেমন একটা করে উঠলো বুকের ভিতর’ তাঁর’!!আনমনেই রিয়াদ এগিয়ে গেল তার বেলকনির দিকে’!!বেলকনি থেকে তানজুর রুমের দিকে তাকাতেই দেখলো রিয়াদ কাঁথা মুড়ি দিয়ে আরামে খুঁটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে আছে তানজু,তানজুর ঘুমন্ত ফেস দেখে হেঁসে উঠল রিয়াদ’!!তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো রিয়াদ
“কোথাও এক শূন্যতা কাজ করছে তার ভিতর,,হর্ঠাৎ এমন কেন হলো বুঝতে পারছে না রিয়াদ আর শূন্যতাই বা কিসের তার…?’

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৭

“মোবাইলে ফেসবুকিং করছে আহান,হেঁসে হেঁসেই চ্যাটিং করছে সে,আর চ্যাটিং করছে শিফার সাথে আজকেই ফেসবুকে তারা দুজন এড হয়েছে,আর তখন থেকেই দুজন দুজনের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত,আহান ভেবে নিয়েছে কাল শিফাকে মনে কথা বলে দিবে,কারন তাকে যে ফিরতে হবে,এসব ভেবে মুচকি হাসলো আহান….
“আর অন্যদিকে শিফাও বেশ খুশি আহানের সাথে কথা বলতে পেরে কারন সেও তো ভালোবাসে আহানকে,মনের অজান্তেই কখন যে আহানকে ভালোবেসে ফেলেছে শিফা বুঝতেই পারে নি,ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠলো তার মিষ্টি হাসি…
“হয়তো নতুন স্বপ্ন কুড়ানোর ব্যবস্থা করছে তারা….

“পরেরদিন সকালে ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার!’ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলাম ৯ঃ০০টা বাজে…
“সাথে সাথে মাথায় যেন বাজ ভেঙে পরলো’!!হায় রে আজকে ভার্সিটি যেতে হবে আমায়, তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে হাল্কা তৈরি হয়ে তারপর হাল্কা ব্রেকফাস্ট সেরে গিয়ে বসলাম গাড়িতে,আমি বসতেই ড্রাইভার কাক্কু গাড়ি চালাতে শুরু করল……..

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ১৯