এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩৯ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩৯
লেখনীতে: তানজিল মীম

“স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো বিয়ে বাড়ি,,বিয়ে হতে আর মাএ কয়েক ঘন্টায়ই তো বাকি এমন একটা মুহুর্তে রুহির এমন কথা শুনে বিষম খায় সবাই’!!
“হুট করে রুহি যে এমন কিছু একটা করবে এটা একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল আমার!’পুরো হা হয়ে তাকিয়ে আছি আমি রুহির দিকে…
“এদিকে….

“রুহির কথা শুনে রুহির বাবা বলে উঠলঃ
—“তোর কি মাথা ঠিক আছে রুহি কি সব উল্টো পাল্টা কথা বলছিস তুই….
“রুহির তার বাবার কথা শুনে নির্ভয়ে বলে উঠলঃ
—“ঠিকই বলছি বাবা,এই বিয়ে হবে না…
“রুহির বাবা রুহির গালে একটা থাপ্পড় দিতে যাবে এমন সময় রিয়াদের বাবা এসে হাত ধরলো তার,তারপর বললোঃ
—“কি করছিস মাথা ঠিক আছে তোর…
—“তুই বুঝতে পারছিস না ও কি বলছে…
—“ধৈর্য্য ধর আগে রুহি কি কারনে বিয়েটা করতে চাইছে না সেটা তো জানি,,,
“এতটুকু বলে রিয়াদের বাবা এসে দাঁড়ালো রুহির সামনে’!!তারপর বললেনঃ
—“কেন বিয়ে করবে না রুহি…
“রিয়াদের বাবার কথা শুনে রুহি মাথা নিচু করে বললোঃ
—“খালু এই বিয়েটা হয়ে গেলে একসাথে চারটে জীবন নষ্ট হয়ে যাবে….
—“ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলো রুহি,
—“বলছি খালু,,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“তারপর রুহি ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলে উঠলঃ
—“খালু রিয়াদ তানজু একে অপরকে ভালোবাসে আর আমি অভ্রকে আর অভ্র আমাকে ভালোবাসে….
“রুহির কথা শুনে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম আমার,কি রুহি অভ্রকে ভালোবাসে তাহলে সেদিন রাতে যে ফোন করে বললো ও রিয়াদকে ভালোবাসে’!!রুহির কথা শুনে সবাই তাকালো আমাদের দিকে,আমি তো ভয়ে কারো দিকে তাকাতেই পাচ্ছি না’!!রিয়াদের বাবা অবাক হয়ে বললোঃ

—“এসব কি বলছো তুমি রুহি,,
—“ঠিকই বলছি খালু আমার অভ্রের পরিচয় হয়ে ছিল আরো দু’বছর আগে তখন থেকেই আমরা একে অপরকে ভালোবাসি আমার ভুলে জন্য আজ এইসব কিছু হয়েছে…
“এবারের কথা শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো কি অভ্র রুহির সেই হারানো ভালোবাসা,,
—“তোমার জন্য হয়েছে মানে?'(রিয়াদের বাবা)

“এরপর রুহি একে একে সব বলতে লাগলো তার সাথে কিভাবে অভ্রের আলাপ,কি কারনে সে অভ্রকে ভুল বুঝে ওকে ছেড়ে দিয়েছে,,তার সাথে রিয়াদের প্রতি তার ভালোলাগাকে ভালোবাসা মনে করা,তানজুকে সেদিন রাতে রিয়াদের কথা বলা,রিয়াদের প্রপোজ সব স্টেপ বাই স্টেপ বললো রুহি,,
“সবাই রীতিমতো অবাক হচ্ছে!’ রুহির মুখে এসব শুনে,অভ্রের শুরুতে খারাপ লেগেছিল রিয়াদকে ভালোবেসেছিল রুহি,কিন্তু পরক্ষণেই রুহির ভালো লাগার কথা শুনে ভালো লেগেছে তার’!!রুহি পুরো ব্যাপারটা সবাইকে বলে মাথা নিচু করে সবার সামনে হাত জড়ো করে বললোঃ

—“প্লিজ তোমরা আর এই বিয়ের জন্য জোর করো না,আমার সাথে অভ্রের সম্পর্ক নাই বা মেনে নেও দয়া করে রিয়াদ তানজুর সম্পর্কের কথাটা মেনে নেও,,আজকে আমার বিয়ে না হলেও আমার তোমাদের কাছে রিকুয়েষ্ট রিয়াদ তানজুর বিয়েটা দিয়ে দেও,,আমার জন্য ওরা এতদিন অনেক কষ্ট পেয়েছে, প্লিজ আর ওদের কষ্ট দিও না…..
“বলতে বলতে কেঁদে দেয় রুহি!’রুহির কান্না দেখে রিয়াদের মা এসে ধরলেন ওকে’!!তারপর বললোঃ
—“আর কাঁদিস না, যা হওয়ার হয়ে গেছে,,সত্যি বলতে কি আমি তো শুরু থেকেই রিয়াদের জন্য তানজুকে বেছে নিয়েছিলাম কিন্তু সেদিন রাতে…..

|| “ফ্লাসবেক… ||
“একদিন রাতের বেলা তানজু এসেছিল রিয়াদের মায়ের কাছে,এতরাতে তানজুকে নিজের রুমে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে বললেন উনিঃ
—“তুই!’ তাও আবার এতরাতে আমার বাসায় তানজু কিছু কি হয়েছে?’..
—“না মানে আসলে তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে খালামনি….
—“কথা তাও আবার এতরাতে…
—“হুম খালামনি একটু জরুরি ছিল…
—“ঠিক আছে যখন চলেই এসেছিস তখন বল….
—“খালামনি রুহিকে তোমার কেমন লাগে…
“তানজুর কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললেন মুক্তা বেগমঃ
—“তুই এতরাতে আমায় এটা জিজ্ঞেস করতে রুমে এসেছিস….
—“আহ্!’খালামনি তোমায় যেটা বলছি সেটার উওর দেও না…
—“কিসের উওর….

—“বললাম তো!আচ্ছা আবার বলছি রুহিকে তোমার কেমন লাগে?’
—“হুম ভালো লাগে কিন্তু কেন বলতো…
—“রুহির সাথে রিয়াদ ভাইয়ার বিয়ে হলে তুমি কি খুশি হবে খালামনি…
—“হঠাৎ এ কথা কেন তানজু?’
—“আসলে খালামনি রুহি রিয়াদ ভাইয়াকে ভালোবাসে তাই ভাবছি রুহি আর রিয়াদ ভাইয়ার বিয়েটা দিলে কেমন হবে?’
—“খারাপ হবে না কিন্তু আমি তো তোকে আমার রিয়াদের বউ বানাতে চেয়েছিলাম…
“রিয়াদের মায়ের কথা শুনে তানজুর বুকটা কেঁপে উঠল,তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বললো সেঃ
—“কিসব বলছো তুমি খালামনি,আমার সাথে রিয়াদ ভাইয়ার যায় নাকি,তুমি তো জানো আমি কেমন সারাদিন লাফালাফি, দৌড়াদৌড়ি করি,সারাদিন মার কাছে কতো বকা খাই আরও কতকিছু তার তুমি এসব দেখেও বলো আমাকে তোমার ছেলের বউ বানাবে,তুমিও না,, কোথায় আমি আর কোথায় রিয়াদ ভাইয়া,,কিন্তু রুহির সাথে খুব যাবে ভাইয়ার সাথে, শান্ত স্বভাবের মেয়ে,দেখতেও আমার থেকে সুন্দর তাই তুমি আর না করো না রুহির সাথেই রিয়াদ ভাইয়ার বিয়েটা দিয়ে দেও….

“আর এই কারনেই তো রিয়াদের মা রিয়াদের জন্য রুহিকে বেছে নিয়ে ছিল,,কিন্তু সে বুঝতে পারে নি এর পিছনে এর বড় কারন থাকতে পারে,তারই ভুল হয়েছে রিয়াদ রুহিকে পছন্দ করে কি না এটা না জেনেই বিয়ে ঠিক করা!’
|| ফ্লাসবেক ওভার… ||
“রাগী লুক নিয়ে সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!এই জন্যই বলে কারো ভালো করতে নেই আমি তো রুহির ভালোর জন্য এসব করেছিলাম,
“কুটকুটে নীরবতায় ঘিরে ধরেছে পুরো বাড়ি,সবাই যেন এক নিস্তব্ধতায় আঁটকে গেছে,কারো মুখে কোনো কথা নেই’!!এই মুহূর্তে সবাই গভীর ভাবনায় মগ্ন!’রিয়াদের বাবা,তানজুর বাবা,অভ্রের বাবা তিনজনের বাবাই একসাথে আলোচনা করছে,,,আর বাকিরা টেনশনে শেষ,
না জানি কি হবে এখন…??’

“এদিকে রুহি মনে মনে ভেবেই নিয়েছে আজ বাকিদের বিয়ে হলেও তার অভ্রের বিয়ে কিছুতেই হবে না!’অভ্রের পরিবার তাকে কখনোই মেনে নিবে না!’
“আধ ঘন্টা পর….
“নীরবতার শিকল ছিঁড়ে বলে উঠল রিয়াদের বাবাঃ
—“যা হওয়ার হয়ে গেছে, আর এই কারনের জন্য যে বিয়েটা হবে না এটা কিন্তু হচ্ছে না,তোমরা ভালো করেছো বিয়ে হওয়ার আগেই সবটা বলে দিয়ে,না হলে তোমাদের সবার ভবিষ্যৎই নষ্ট হয়ে যেতো’!!তাই আমরা সবাই মিলে ভেবেছি আজই তোমাদের বিয়ে দিবো,রিয়াদের সাথে তানজুর,অভ্রের সাথে রুহির,আর আহানের সাথে শিফার,আমাদের কোনো আপওি নেই তোমাদের মেনে নিতে,তাই এখন আর কেউ মন খারাপ না করে তৈরি হয়ে এসো আর দু’ঘন্টার মধ্যেই তোমাদের বিয়ে হবে ….
“রিয়াদের বাবার কথা শুনে সবার মুখে নিমিষেই হাসির ঝলক ফুটে উঠলো!’দিহান চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—“ডিজে মামা গান ছাড়ুন….
“সাথে সাথে পুরো বাড়ি আবার আগের মতো হয়ে গেল’!!বিয়ের হুল্লোড় পড়ে গেল পুরো বাড়ি জুড়ে’!!

“এদিকে রুহি মাথা নিচু করে রয়েছে এখনও,,এমন সময় অভ্রের মা এসে রুহির মাথায় হাত রাখলো’!!কারো হাতের স্পর্শ পেতেই রুহি মাথা তুলে তাকালো’!!অভ্রের মাকে দেখে কিছুটা চমকে উঠলো রুহি’!!অভ্রের মা রুহির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললোঃ
—“হয়েছে আর কাঁদতে হবে না,এখনই সব পানি খরচ করে ফেললে কিছুক্ষন পরে কি করবে,আমি কিন্তু খুব স্ট্রিট শাশুড়ী মা বলেদিলাম….
“অভ্রের মায়ের কথা শুনে রুহি হাল্কা হাসলো’!!তারপর অভ্রের মায়ের হাত ধরে বললঃ
—“সরি আন্টি…
—“হু আন্টি নয় শাশুড়ি মা বল…

“এবারের কথা শুনে রুহি আরো খুশি হয়,খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরল সে অভ্রের মাকে!’অভ্রের মাও ধরলেন রুহিকে,,
“কিছুক্ষণ পর রুহি অভ্রের মাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় তানজুর সামনে’!!তারপর বললোঃ
—“তুই আমায় এতো ভালোবাসিস তানজু যে আমার জন্য নিজের ভালোবাসাকেও ভুলতে চেয়েছিলি,তোর জায়গায় আমি থাকলে হয়তো পারতাম না..
“বলেই তানজুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় রুহি!’উওরে তানজু আর কিছু বললো না,তার এসব দেখে মুখের কথা বলাই বন্ধ হয়ে গেছে!’
“রুহি রিয়াদের কাছেও সরি বললো,রিয়াদও ক্ষমা করলো তাকে,কারন আর যাই হোক এই সবকিছুর জন্য শুধুমাএ তানজু দাই একবার তো কথা বলতে পারতো সে রুহির সাথে,রিয়াদ রেগে আছে,অসম্ভব ভাবে রেগে আছে তানজুর ওপর কিন্তু এই মুহুর্তে আর তা প্রকাশ করলো সে,,বিয়েটা হয়ে যাক একবার তারপর রিয়াদ হারে হারে বুঝিয়ে দিবে তাকে কষ্ট দেওয়ার ফল কতটা ভয়ংকর হতে পারে…..

“এরই মাঝে সবার সামনে এসে হাজির হলো একটা মেয়ে,পড়নে তার,ব্লাক লেহেঙ্গা, চুলগুলো খোলা সাথে ভাড়ি মেকাপ,অভ্র তো মেয়েটাকে দেখে খুব খুশি হয়,মেয়েটির সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মেয়েটিকে!’তারপর বলেঃ
—“এত সময় লাগলো তোর এখানে আসতে….
“অভ্রের কথা শুনে মেয়েটি হেঁসে বলে উঠলঃ
—“কি করবো বলো ভাইয়া আমেরিকার তো ঢাকার পরেই তাই এত দেরি হলো….
“মেয়েটির কথা শুনে হেঁসে উঠলো অভ্র’!!মেয়েটি হলো অভ্রের বোন অনু!’আমেরিকায় থেকে পড়াশোনা করে,বিয়ে উপলক্ষেই আজ এসেছে সে’!!আরো আগেই আসলো বাট টিকেট ভিসা সবকিছু গোছাতে একটু সময় লাগলো…
“এদিকে…

“মেয়েটির ফেস দেখে রুহির আর বুঝতে বাকি রইলো না ওই মেয়েটি এই মেয়েটা,যাকে কিনা সে অভ্রের সাথে ছবিতে দেখেছিল,সেসব ভাবলে নিজের প্রতি নিজেরই খারাপ লাগে রুহির,,এরই ভিতর রুহির সামনে এসে দাঁড়ালো অনু’!!তারপর বললোঃ
—“তুমি রুহি ভাবি রাইট ভাইয়ার ফোনে কতবার তোমার ছবি দেখেছি….
“বিনিময়ে হাল্কা হাসলো রুহি!’সাথে অনুও হাসলো….

“অবশেষে সব বাঁধা পেরিয়ে বিয়ের আসরে পৌঁছালো রিয়াদ-তানজু,অভ্র-রুহি আর আহান-শিফা’!!সবাই খুব সুন্দর করে সেঁজেছে ছেলেরা সেরোয়ানি আর মেয়েরা লেহেঙ্গা পড়েছে,তানজুর চুল খোঁপা করে মাথায় ঘোমটা দেওয়া, রুহির চুলখুলে ঘোমটা দেওয়া আর শিফার চুলগুলো বেনুনী করে ঘোমটা দেওয়া,তিনজনই ভাড়ি মেকাপ,ভাড়ি জুয়েলারি আর ভাড়ি সাজে বধু বেঁধে অপূর্ব লাগছে,,একেক জনের বররা তো তাদের থেকে চোখই সরাতে পারছে না,শুধু রিয়াদ যে কিনা ভালো ভাবে তাকায় নি তানজুর দিকে বিষয়টা তেমন খেয়াল করে নি তানজু,,সে তো মহা খুশি লাস্ট টাইমে এসে এমন কিছু ঘটবে সে তো ভাবতেই পারে নি,অবশেষে সে মন খুলে রিয়াদকে বলতে পারবে সে ভালোবাসে রিয়াদকে,,
“কবুল বলার মাধ্যমে তিন জুটিরই বিয়ে হয়ে গেল!’অতঃপর হাজারো কান্না হাজারো স্মৃতি নিয়ে পাড়ি জমালো একেক জুটি একেক জনের গন্তব্যের দিকে…

“রাত_১১ঃ০০টা….
“বাসর ঘরে বসে আছে শিফা,, এক অন্যরকম ভালোলাগা, ভালোবাসা নিয়ে বসে আছে সে!’সে স্বপ্নেও ভাবে নি এতটা ইজিলি তার সাথে আহানের বিয়ে হয়ে যাবে!’আজ শিফা অনেক খুশি!’কতদিনের ভালোবাসা আজ তাদের পূর্ণতা পেল,,,কিন্তু আহানের তার রুমে আসার খবর নেই,,একরাশ ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে বসে আছে শিফা….
“আধ ঘন্টা পর….
“এখনও আহানের খবর নেই,এখন শিফার বিরক্ত লাগছে আহানের বাচ্চা গেল কই!’

“ছাঁদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ আর ওর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে আহান’!!কিছু বোঝাচ্ছে সে সেটা হলোঃ
—“দেখ রিয়াদ আমি জানি তুই এই মুহুর্তে তানজুর ওপর অনেক রেগে আছিস,,হয়তো তোর জায়গায় আমি থাকলেও সেইম ভাবে রেগে থাকতাম,কিন্তু এখন যখন একবার তোর সাথে তানজুর বিয়ে গেছে এখন তুই আবার তানজুর সাথে খারাপ ব্যবহার করিস না,তুই তো জানিস তানজু কতটা ছেলে মানুষ,, যা হয়েছে সব ভুলে যা আর নতুনভাবে সবকিছু শুরু কর…

“একের পর এক উপদেশ দিয়ে যাচ্ছে আহান রিয়াদকে!’কারন সে বিয়ের আসর থেকেই লক্ষ্য করেছে রিয়াদ একদম চুপচাপ ছিল পুরোটা সময় শুধু কবুল বলার সময় তিনবার মুখ খুলেছিল এছাড়া আর কোনো কথা বলে নি সে,,আরো একটা জিনিস লক্ষ্য করেছে আহান,সেটা হলো রিয়াদ একবারও তাকায় নি তানজুর দিকে তাই তো সে বুঝতে পেরেছে রিয়াদ তানজুর ওপর চরম ভাবে রেগে রয়েছে না জানি তানজুকে সামনে পেলে কি করে….

“১০ মিনিট পর….
“রিয়াদ বলে উঠলঃ
—“তোর কি আরো কিছু বলার আছে নাকি যাবি,নিচে তোর বউ তোর জন্য অপেক্ষা করছে,,
“এতক্ষণ পর আহানের মনে পরলো শিফার কথা সে তো ভুলেই গিয়েছিল আজ রিয়াদের মতো তারও বাসররাত!’আহান চোখ বড় বড় করে বললোঃ
—“দেখছো তোরে উপদেশ দিতে দিতে আমি তো ভুলেই গেছিলাম….
—“তাইলে এখন আর বক বক না করে যা তুই…
—“ঠিক আছে দোস্ত আমি গেলাম তুই একটু ভেবে দেখিস আমার কথাগুলো…
“উওরে কিছু বললো না রিয়াদ,,

“নিশ্চুপে সে তাকিয়ে রইলো আকাশের পানে!’আর ভাবলো যতই আহান তাকে বলুক না কেনো, এমনি এমনি ছেড়ে দিবে নাকি সে তানজুকে,কতটা না কষ্ট দিয়েছে তানজু তাকে,কতটাই না পুড়িয়েছে তাকে,তার একটুও ফেরত দিবে না এমনটা তো হতে পারে!’ রিয়াদ কারো ঋণ বেশিদিন নিজের কাছে রাখে না,আর তানজুর এত বড় ঋণ কি করে রাখবে সে?’আনমনেই কথা গুলো ভাবলো রিয়াদ….

“নিজের রুমে উঁকি ঝুঁকি মারছে আহান,,কেমন ভয় ভয় লাগছে তার,না জানি শিফা তারওপর কতটা রেগে আছে!’ ধুর কেন যে তখন রিয়াদকে উপদেশ দিতে গেল সে,,এমনতেও রিয়াদ তার কথাগুলো মানবে বলে মনে হচ্ছে না হুদাই এতক্ষণ বক বক করলো সে’!!আহান উঁকি ঝুঁকি মেরে আস্তে আস্তে রুমের ভিতর ঢুকলো তারপর দরজা বন্ধ করে খুঁজতে লাগলো শিফাকে’!!কিন্তু না শিফাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না সে’!!কিছুটা চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠল সেঃ
—“শিফা কোথায় তুমি….
“সাথে সাথে খাটের পিছন থেকে বালিশ ছুঁড়ে মারলো শিফা আহানের দিকে,,তারপর রাগী কন্ঠে বলে উঠল সেঃ
—“শালা তোর এতক্ষণে আসার সময় হলো,কতক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা করতে ছিলাম…
—“সরি বউ একটু লেট হয়ে গেল ওই রিয়াদের সাথে ছাঁদে বসে কথা বলছিলাম আর কি…
—“এখানে একটু লেট,ছয়তান পুলা

“বলেই আর একটা বালিশ ছুঁড়ে মারলো শিফা আহানের দিকে!” এবারের বালিশটা আহান তার হাত দিয়ে ধরে নিলো তারপর শিফার দিকে এগোতে এগোতে বললোঃ
—“সরি বললাম তো…
—“তোমার সরির গুষ্টি তুষ্টি,আর একদম এগোবে না বলেদিলাম…
“এই বলে পিছিয়ে যেতে লাগলো শিফা’!!আহান শিফার কথায় পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে গেল’!!শিফা আহান দিকে তাকিয়ে বললোঃ

—“তোমাকে এগোতে বারন করেছি না…
—“কেনো ভয় হচ্ছে বুঝি…
—“ভয় কেনো হবে,আমি তো রেগে আছি…!
“শিফার কথা শুনে আহান দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে বললোঃ
—“কাছো আসো বেবি তোমার সব রাগ কমিয়ে দিবো আমি….
“আহানের কথা শুনে শিফার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম’!!চোখ বড় বড় করেই বলে উঠলঃ
—“কি…?
—“বুঝতে পারো নি জানেমন…
—“একদম উল্টো পাল্টা চিন্তাভাবনা করবে না বলে দিলাম, আমি থাকবোই না তোমার সাথে
“বলেই চলে যেতে নেয় শিফা!’সাথে সাথে আহান শিফার হাত ধরে দিলো টান,,আহানের কাজে শিফা তাল-সামলাতে না পেরে পড়ে যায় আহানের বুকে’!!আহান শিফাকে নিয়েই পড়ে যায় তুলতুলে নরম, ফুল দিয়ে সাজানে বিছানায়’!!তারপর বলেঃ

—“আজকের রাতে কেউ রাগ করে বুঝি,,আজ রাতে তো শুধু তোমায় ভালোবাসবো,ভালোবাসবো শুধুই ভালোবাসবো “মায়াবিনী”…
“আহানের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যায় শিফা,,লজ্জা পেয়ে মুখ লুকায় সে আহানের বুকে,,শিফার কাজে মুঁচকি হেঁসে জড়িয়ে ধরে আহান শিফাকে,,কতদিনের ভালোবাসা তাদের পূর্ণতা পেল,এই ভালোবাসা কখনোই হারাবে না আহান,যত্ন করে বুকে জড়িয়ে রাখবে আজীবন,,ভেবেই শিফার কপালে চুমু কাটে আহান,তারপর চোখ বন্ধ করে ফিল করে সে কিছু একটা,শিফাও চোখ বন্ধ করে আছে হয়তো সেও কিছু ফিল করছে,অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে দুজনের,,
“হয়তো দুজনের মাঝেই মিলিয়ে যাবে দুজন….

—“তোমার কি আমার উপর কোনো রাগ নেই অভ্র..
“বিছানার উপর কনে বেসে বসে থেকে মাথা নিচু করে বলে উঠল রুহি অভ্রকে’!!কিছুক্ষণ আগেই অভ্র এসে ঢুকলো রুমে,,তারপর এসে বসলো সে রুহির পাশে,,রুহির মাথার ঘোমটা সরাতেই রুহি সালাম দিলো অভ্রকে,অভ্রও সালামের উওর দিলো’!!সালামের জবাব পেতেই রুহি ওই কথাটা বলে উঠল’!!অভ্র রুহির কথার জবাব না দিয়ে জড়িয়ে ধরল’!!তারপর বললোঃ

—“রাগ কেন থাকবে বলো,মানুষ মাএই ভুল হয় আর তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক….
“অভ্রের কথা শুনে রুহি অভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলঃ
—“সরি অভ্র,আই এম এক্সট্রিমলি সরি,, ভুল হয়ে গেছে আমার আর কখনো এমন ভুল হবে না…
“রুহির কথা শুনে মুচকি হাসলো অভ্র’!!তারপর বললোঃ
—“হইছি পাগলী আর কাঁদতে হবে না,,অনেক কেঁদেছো আর নয়…
“এতটুকু বলে রুহিকে ছেড়ে রুহির কপালে চুমু দেয় অভ্র’!!অভ্রের স্পর্শে হাল্কা কেঁপে উঠল রুহি’!!অভ্রের কথা শুনে রুহি হেঁসে বলেঃ

—“তুমি এতো ভালো কেনো অভ্র…
“অভ্র রুহির গাল টেনে দিয়ে বললোঃ
—“তোমার জন্য..
—“তুমি আমায় খুব ভালোবাসো তাই না…
—“মটেও বাসি না….
—“কি…
—“তোমার মাথা…

“এতটুকু বলে রুহিকে জড়িয়ে ধরল অভ্র আর রুহিও অভ্রকে’!!অনেক দিনে ইচ্ছে পূরণ হলো অভ্রের’!!অভ্র সত্যি ভাবে নি সে তার পুরনো ভালোবাসাকে আবার ফিরে পাবে,,আজ সে সত্যি খুশি, খুব খুশি!’আর হারাতে দিবে না অভ্র তার ভালোবাসাকে, কোনো ভাবেই দিবে না!’
“ভেবেই চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরল সে রুহিকে,

“বাসর ঘরে বসে আছি আমি,,ভালোও লাগছে, খারাপও লাগছে,সাথে ঘুম পাচ্ছে, ভয় হচ্ছে, বিরক্ত লাগছে সবমিলিয়ে অবস্থা যাচ্ছে তাই!’না জানি রিয়াদ ভাইয়া কেমন ব্যবহার করবে আমার সাথে,,অবশ্য আমি যেটা করেছি তাতে রাগ হওয়াই উচিত,,আচ্ছা ভাইয়া কি আমায় মারবে টারবে নাকি,,ওরে বাবা গো,,উফ!’ঘুমে ধরছে ঘুমিয়ে পরবো,যদি ভাইয়া রেগে যায় তখন?’আচ্ছা ভাইয়া তো আমায় ভালোবাসে তাহলে আর যাই করুক আমায় মারবে না,,ইউ নো তানজু, রিয়াদ তোমায় খুব ভালোবাসে,

“এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না রিয়াদ ভাইয়ার সাথেই আমার বিয়ে হলো,উফ রিয়াদের মতো গুলুমুলু, সুন্দর হ্যান্ডসাম পোলাডা আমার জামাই,, যত আবিজুবি কথা বার্তা আছে সব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে,,উফ জামাই কখন আইবা তুমি আর আমি তোমায় জড়িয়ে ধরে বলবোঃ
—“এওতো এওতো ভালোবাসি তোমায়…
“এরই মাঝে দরজার খোলার শব্দ পেলাম,,সাথে সাথে বুক কেঁপে উঠল আমার!’লে কান্ড এতক্ষণ রিয়াদ কেন আসছিল না এটা ভেবে চিন্তা হচ্ছিল আর এখন কেন এসেছে এটা ভেবে চিন্তা হচ্ছে….!!দরজার খোলার শব্দ নড়েচড়ে বসলাম আমি!’

“রিয়াদ রুমের দরজা বন্ধ করে অগ্রসর হচ্ছে তানজুর’!!চোখে মুখে তার রাগের ছাপ’!!
“এদিকে রিয়াদ ভাইয়া যতই কাছে আসছে ততই যেন বুকের ধুকপুকানি বেড়ে চলেছে আমার,কি করবো বুঝতে পারছি না দৌড়ে পালিয়ে যাবো রুম থেকে থেকে,,
“রিয়াদ হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় ওয়াশরুমের দিকে এমন একটা ভাব নিচ্ছে তার রুমে যে কেউ আছে সেটা সে জানেই না!’আধ ঘন্টা পর ফ্রেশ হয়ে বের হলো রিয়াদ’!!

“রিয়াদ ভাইয়া কান্ড কারখানা কিছু বুঝতে পারছি না আমি,,আস্তে আস্তে ভাড়ি লেহেঙ্গাটা ধরে বিছানার ছেড়ে নামলাম আমি!’তারপর সোজা রিয়াদ ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—“তুমি কি আমার উপর রেগে আছো…
“রিয়াদ চুপ!’
—“আমার সাথে কথা বলবে না ভাইয়া!’
“রিয়াদ চুপ!’

—“আমি মানছি আমার ভুল হয়ে গেছে কিন্তু বিশ্বাস করো আমি তো রুহির কথা ভেবে এমনটা করেছিলাম….
“রিয়াদ এবারও কিছু বললো না’!!তানজুকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নেয় সে’!!সাথে সাথে তানজু রিয়াদের হাত ধরে ফেলে তারপর রিয়াদের মুখোমুখি হয়ে রিয়াদের দু’গাল হাত দিয়ে চেপে ধরে বলেঃ
—“সরি ভাইয়া!ভুল হয়ে গেছে এই ভুল আর হবে না!’
—“আমায় ছাড়!’আমার খুব ঘুম পেয়েছে আমি ঘুমাবো….
—“ওহ তোমার ঘুম পেয়েছে এটাই বললেই হতো,,যাও তুমি গিয়ে ঘুমাও এমনিতেও তোমার আমার বিয়ে তো হয়েই গেছে,সো এখন তুমি তো শুধু আমারই,আমি জানি তুমি আমার উপর খুব রেগে আছো,কিন্তু আমি এটাও জানি খুব তাড়াতাড়ি তোমার রাগ ভেঙে যাবে, আমায় খুব ভালোবাসো কিনা’…
তুমি গিয়ে ঘুমাও ভাইয়া!’না আজ থেকে আর তোমায় ভাইয়া ডাকবো না অন্য কিছু ডাকবো,,ওকে জামাই গুড নাইট কাল কথা হবে…

“এতটুকু বলে সরে আসলাম আমি!’তারপর সোজা চলে গেলাম সোফার কাছে, তারপর রিয়াদ ভাইয়ার রুমের টিভিটা অন করলাম,উফ,কতদিন হলো ঠিক মতো “টম এন্ড জেরি” দেখি না!’আজ আমি খুব খুশি,,আমার খুশি দেখে কে?’
“ভাড়ি লেহেঙ্গা নিয়ে ধপাশ করে বসে পরলাম আমি সোফায়,,এত সাজ একদম সহ্য হচ্ছে না আস্তে আস্তে সব খুলতে লাগলাম আমি,,হাতের চুড়ি,গলার নেকলেস,কানের দুল সাথে খোঁপা করা চুলগুলো টান মেরে খুলে ফেললাম,, এতক্ষণে যেন শান্তি মিললো,,তারপর আরাম করে সোফা বসে টিভি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরলাম আমি…

“এদিকে রিয়াদ বিছানায় শুয়ে তানজুর কান্ডে চোখ আঁটকে যায়,খোলা চুলে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে রিয়াদের’!!কিন্তু এই মুহুর্তে রিয়াদ তার ভালো-লাগাকে কোনোভাবেই তানজুকে দেখাবে,খুব রেগে আছে সে’!!কিন্তু সে তো তানজুকে কষ্ট দিতে চেয়েছিল,কিন্তু তানজুর চোখ মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে সে খুশি,তানজুর এই ডোন্ট কেয়ার ভাব ভালো লাগছে না রিয়াদের’!!বিছানায় কতক্ষণ এপাশ ওপাশ করে বিছানা থেকে উঠে গেলো’!!ঘুম আসছে না তার,,একরাশ রাগ নিয়ে রিয়াদ এগিয়ে গেল তানজুর দিকে,তারপর সোজা দাঁড়ালো সে তানজুর মুখোমুখি!’

“হুট করে যে রিয়াদ ভাইয়া টিভির মাঝখানে এসে দাঁড়াবে এটা তো একদমই ভাবি নি আমি,আমি তো ভেবেছিলাম ভাইয়া ঘুমিয়ে পড়েছে!’কিছু না বলে সোফার অন্য সাইডে গিয়ে বসলাম আমি যাতে টিভিটা দেখা যায় কিন্তু ভাইয়া সেদিকে গিয়েও দাঁড়ালো’!!পরপর দু’বার এমনটা হওয়াতে আমি সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালাম তারপর কোমড়ে হাত দিয়ে বললামঃ
—“তুমি এইভাবে টিভির মাঝখানে কেনো দাঁড়াচ্ছো…
“রিয়াদ চুপ!’
—“সরো জামাই আমাকে দেখতে দেও…
“কিন্তু কে শুনে কার কথা!’

—“বলছিলাম তুমি তো বলেছিলে তোমার খুব ঘুম পাচ্ছে তাহলে ঘুমাচ্ছো কেনো,যাও ঘুমাও..আর আমায় টিভি দেখতে..
“আর কিছু বলার আগেই ফট রিয়াদ তানজুকে কোলে তুলে নিলো!’আচমকা ভাইয়ার এমন কাজে ঘাবড়ে গিয়ে শার্টের হাতা খামছে ধরে ফেললাম তারপর কাঁপা কাঁপা বললামঃ
—“এটা কি হলো,তুমি আমায় কোলে তুলে নিলে কেনো?
“উওরে রিয়াদ কিছু না বলেই হাঁটা শুরু করলো তানজুকে নিয়ে!’তানজু তো ভয়ে শেষ!’

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩৮

—“প্লিজ জামাই মেরো না, আমায় মারলে তুমি বিধবা হয়ে যাবে,,তারপর আমার ছেলেমেয়ে গুলোও তোমায় পাপা বলে ডাকতে পারবে না,,ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া,,তুমি আমায় শুধু বলো আমার জায়গায় যদি তুমি থাকতে তাহলে কি করতে,যদি আহান ভাইয়া শিফাকে ভালো না বেসে আমায় বাসতো আর তখন যদি আমি তোমায় প্রপোজ করতাম তাহলে তুমি কি মেনে নিতে আমায়,নিতে না আহান ভাইয়া তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাইয়া তাই না,প্লিজ ভাইয়া আমায় মেরো না…
“পুরো এক শ্বাসে কথাগুলো বলে ফেললাম আমি,,এদিকে রিয়াদ এই মুহুর্তে তানজুর কোনো কথাই কানে তুললো না কিন্তু এমন নয় যে সে শোনে নি তানজুর কথা,কিন্তু এই মুহুর্তে মাথায় নিলো না তানজুর কথা গুলো….

“রিয়াদ তানজুকে কোলে তুলে সোজা নিয়ে গেল ওয়াশরুমে’!!
—“তুমি আমায় ওয়াশরুমে কেনো নিয়ে এলে…..
“রিয়াদ কিছু না বলেই সাওয়ার অন করে দিলো!’সাথে সাথে রিয়াদ তানজু দুজনেই পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে!’রিয়াদের কাজে তানজু অবাক হয়ে বললোঃ
—“এটা কি করছো জামাই ভিজে যাচ্ছি তো…
ঠান্ডা লেগে যাবে…
“আর কিছু বলার আগেই রিয়াদ তানজুকে ওয়াশরুমের দেওয়ালের সাথে চেপে ধরল’!!রিয়াদের কাজে ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো তানজু,,থরথর করে কাঁপছে তার শরীর, হুট করে রিয়াদের এমন কাজের জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না সে…..

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৪০