এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৪ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৪
লেখনীতে: তানজিল মীম

“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম আমি’!!আমার রুমের বিছানার সোজাসুজি রয়েছে একটা আয়না’!!সেই আয়নায় নিজের ফেস দেখেই চমকে উঠলাম আমি’!!কাল রাতের মেকাপ এখনও যায় নি,কাল রাতের কথা ভাবলে এখনও কেমন লাগছে আমার’!!সব শয়তানগুলো মিলে কি কি না করালো আমায় দিয়ে ভূতের মতো সাজিয়ে ব্যাঙের মতো নাচালো তাও আবার কি গান ”মুন্নি বদনাম হুহা ডারলিং তেরে লিয়ে”—আবির ভাইয়াদের দেওয়া উল্টো গানে আমারে দিয়া নাচালো হুহ….

—-“শয়তানগুলা তোদের সবকয়টাকে দেখে নিমু আমি,আমার মতো ইনোসেন্ট মেয়েটারে দিয়ে এইভাবে নাচালো,এই সব হয়েছে ওই বিলেতি হনুমানের জন্য, তোরে তো দেখে নিমু আমি,যদি ভূতের মেকাপ দিয়ে হেনস্তা না করতে পারি তাহলে আমার নামও তানজু না হুম,আয়নার দিকে তাকাতেই কান্না পাচ্ছে আমার,কিভাবে সাজিয়ে দিয়েছে আমায় রিয়াদের বাচ্চা,চোখের কাজল দিয়েছে কি মোটা করে,গালে লিপস্টিক দিয়ে ভূত বানিয়েছে,ছিঃ ছিঃ এইভাবে কেউ সাজায় নাকি মনে হয় বাপের জন্মে কোনোদিন কোনো মেয়েরে মেকাপ দিয়ে সাজায় নাই…
“এমন সময় রুমে ঢুকলো শিফা,রুহি আর তরী,আমার দিকে তাকিয়েই খটখট করে হেঁসে দিল ওঁরা,ওদের হাসি দেখে গা পিওি জ্বলে যাচ্ছে আমার’!!রেগেই বলে উঠলাম আমিঃ

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-“পাগলের মতো হাসছিস কেন?
—-“হায় রে তানজু কি অবস্থা হয়েছিল তোর কাল আমার ভাবতেই হাসি পাচ্ছে….(রুহি)
“ওর কথা শুনে হাতে একটা বাতিল নিয়ে ওর মুখের উপর মেরে বললাম আমিঃ
—-“খুব হাসি পাচ্ছে তাই না,
—-“আরে আমায় মারছিস কেন?(রুহি)
—-“তোদের সব কয়টাকে দেখে নিবো আমি,,
“বলেই বিছানা ছেড়ে উঠে হনহন করে সোজা ঢুকে পরলাম ওয়াশরুমে’!!রাগ হচ্ছে খুব…

“এদিকে তানজু যেতেই সবাই উচ্চস্বরে হেঁসে দিল’!!কালকে রাতের রিয়াদের বলা ডেয়ার ছিলঃ
—-“তানজুকে মেকাপ দিয়ে ভূতের মতো সাজিয়ে “মুন্নী বদনাম হুয়া ডারলিং তেরে লিয়ে” গানে নাচা…
“রিয়াদের এমন ভয়ংকর ডেয়ার শুনে সবাই প্রায় অবাক’!!পরক্ষণেই সবাই মিলেই হেনস্তা করলো তানজুকে’!!আর বেচারি তানজু অন্যদের হেনস্তা করতে করতে নিজেও হেনস্তা হয়ে গেল….

“দুপুর_১২ঃ০০টা……
“আজকে শিউলি আপুর বউভাতের অনুষ্ঠান’!!আর তাই আমরা সবাই মিলে যাবো এখন শিউলি আপুর শশুর বাড়ি’!!একে একে সবাই তৈরি হচ্ছে’!!আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছে শিফা আর রুহি,দুজনেই পুরো আয়না আঁটকে রেখেছে,তাই এই মুহুর্তে গালে হাত দিয়ে বিছানায় বসে তাকিয়ে আছি আমি ওদের দিকে’!!জাস্ট গাউনটা পড়ে বসে আছি,না চুল আঁচড়াতে পারছি,না মেকাপ করতে পারছি,,এমন সময় তৈরি হয়ে মাই মাতাজী হাজির,আমাকে এইভাবে বসে থাকতে দেখে অবাক হয়ে বললো সেঃ

—-“তুই ওখানে বসে আছিস কেন?এখনো তৈরি হোস নি….
—-“কি তৈরি হবো আম্মু ওই দেখো তোমার বোনের দুই কন্যা পুরো আয়না আঁটকে দাঁড়িয়ে আছে এখন এদের মাঝখানে আমি কোথায় দাঁড়াবো….
“আমার কথা শুনে আম্মুও তাকালো ওদের দিকে’!!সত্যি সত্যি পুরো আয়না আঁটকে ওঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো আম্মুঃ
—-“ওরে রুহি,শিফা, তাড়াতাড়ি কর….
—-“এই তো খালামনি আর পাঁচ মিনিট….
—-“হুম বুঝছি তাড়াতাড়ি কর সাথে এই তানজুকেও তৈরি হতে জায়গা দে না হলে যে ওকে রেখেই যেতে হবে আমাদের….

—-“খালামনি ও ইচ্ছে করে বসে আছে,এই দেখো আমাদের পাশে এখনো জায়গা আছে…(একটু সরে)
“ওদের কান্ড দেখে আমি হা হয়ে বললামঃ
—-“এতক্ষণ তো বললি না জায়গা আছে…
“আমার কথা শুনে আম্মু বলে উঠলঃ
—-“তোকে পাঁচ মিনিট সময় দিলাম তার মধ্যে তৈরি হয়ে না আসলে তোকে রেখেই চলে যাবো বলে দিলাম….
“বলেই চলে গেল আম্মু’!!আম্মু যেতেই রুহি,শিফা এক দাঁতকেলানির হাসি দিল’!!তারপর বললো তাঁরাঃ
—-“আমাদের হয়ে গেছে এখন তুই তৈরি হ….
“বলে ওঁরাও চলে গেল’!!আর আমি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম ওদের দিকে’!!
—-“কি শয়তান মেয়েরে বাবা এতক্ষণ আমায় সাজতে না দিয়ে এখন আম্মুর কাছে ভালো সাজছে,দুটোই কান কাটা শয়তান…..

“১০ মিনিট পর….
—-“ওই তোর হলো তানজু আমরা সবাই তৈরি হয়ে নিচে দাঁড়িয়ে আছি তাড়াতাড়ি আয়….
—-“এই তো আম্মু আর পাঁচ মিনিট….
—–“আমরা তাহলে এগোলাম তুই রুহি ওদের সাথে আয়….
—-“ঠিক আছে আম্মু যাও তোমরা….
“তারপর আম্মু,আব্বু, খালামনি-খালুরা,নানাভাইসহ অনেকেই চললো শুধু থেকে গেল রুহি,শিফা,তরী,রিয়াদ,আহান,আর দিহান…..

“গাড়ির সামনে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ!’আর বাকি সবাই গাড়ির ভিতর বসে আছে’!সবাই অপেক্ষায় আছে কখন তানজু আসবে আর তারা বের হবে,কিন্তু তানজুর আসার নাম গন্ধ নেই’!!রিয়াদ একরাশ বিরক্ত নিয়ে বলে উঠলঃ
—-“কোথায় হারিয়ে গেল রে এখনো আসছে না কেন “লেটুস পাতা”….
“রিয়াদের কথা শুনে শিফা বলে উঠলঃ
—-“ভাইয়া তুমি তানজুকে লেটুস পাতা বললে ও যদি জানতে পারে….
—-“সাধে কি বলেছি এতক্ষণ লাগে কারো সাজতে…
“এই মূহুর্তে মনে হচ্ছে শিফা আর রুহির তখন যদি তাঁরা তানজুকে একটু জায়গা দিতো তাহলে আর এতো লেট হতো না!’অপেক্ষা বাদ ভেঙে বলে উঠল রিয়াদঃ
—-“তোরা বস আমি এক্ষুনি ভিতরে গিয়ে ওটাকে টানতে টানতে নিয়ে আসছি….
“এই বলে চললো রিয়াদ বাড়ির ভিতরের দিকে’!!পাঁচ মিনিটের বেশি হয়েছে বাকি সবাই চলে গেছে কিন্তু এরা এখনো বাড়ির ভিতরই আঁটকে আছে!’

“নিজের রুমে তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছি আমি আমার মোবাইলটা,কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না কোথায় রেখেছি মনে পরছে না,মোবাইলটার জন্য আমি বের হতেও পারছি না, না জানি বাকি সবাই কতটা রেগে আছে আমার উপর!’আমার মনে আছে মোবাইলটা আমি আমার মাথা কাছে রেখেই ঘুমিয়ে ছিলাম’!!সকালে ঘুম থেকে উঠেও দেখেছিলাম তাহলে গেল কই…
“হর্ঠাৎই মনে হলো কোনোভাবে মোবাইলটা আলমারির উপর নেই তো!’এই ভেবে বিছানার উপর দাঁড়িয়ে আলমারির উপর দেখতে লাগলাম আমি’!!

“এমন সময় হনহন করে রুমে ঢুকলো রিয়াদ’!! তানজুকে কিছু একটা খুঁজতে দেখে অবাক হয়ে বললো সেঃ
—-“ওখানে কি করছিস তুই..?’
“আচমকা রিয়াদ ভাইয়ার কন্ঠ শুনে হকচকিয়ে উঠলাম আমি’!!সাথে সাথে পা সরাতে যেতেই বিছানা উপর থেকে পড়ে যেতে নিতেই রিয়াদ ভাইয়া এসে ধরলো আমায়’!!আমিও ঘাবড়ে গিয়ে ভাইয়ার শার্টের হাতা খামচে ধরে ফেললাম’!!ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি আমি’!!
“কিছুক্ষন পর…..

—-“আর কতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকবি….
“সাথে সাথে চোখ খুলে সরে আসতে নিলাম সাথে সাথে আবারো পড়ে যেতে নিলাম আমি’ আবারো ধরে ফেললো রিয়াদ ভাইয়া’!!কিছুটা অসস্তিতা নিয়ে বললাম আমিঃ
—-“সরি ভাইয়া….
—-“ওখানে কি করছিলি তুমি এখনি তো পড়ে গিয়ে কোমড়টা ভেঙে যেত….
—-“আসলে ভাইয়া আমার মোবাইলটা খুঁজে পাচ্ছি না….
“বিনিময়ে কিছু না বলেই ভাইয়া আমায় ধরে নিচে নামিয়ে দিলো’!!তারপর বললোঃ
—-“তোর নাম্বারটা বল…
“রিয়াদ ভাইয়ার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

—-“কি…?
—-“তোর নাম্বার বল আমি ফোন দিচ্ছি রিং বাজলেই ফোনটা পেয়ে যাবি…
—-“ওহ হুম লেখো 0172345….
“পুরো নাম্বার দিতেই ভাইয়া ফোন করলো আমার নাম্বারে সাথে সাথে ফোনটা বেজে উঠল’!!চারিদিকে তাকাতেই বিছানার চাঁদরের নিচে ছিল ফোনটা….!’রিয়াদ ভাইয়া ফোনটা বের করেই দিল আমার হাতে তারপর বললোঃ
—-“এখন চল তাড়াতাড়ি নিচে সবাই অপেক্ষা করছে….
—-“হুম…
“বলেই রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!আর আমার পিছন পিছন রিয়াদ ভাইয়াও….

“একরাশ বিরক্তিতা নিয়ে গাড়িতে বসে আছে শিফা,রুহি,তরী,আহান সাথে দিহান’!!হর্ঠাৎই আহান বলে উঠলঃ
—-“এটা কি হলো একজনকে আনতে গিয়ে আরেকজনও হাওয়া হয়ে গেল….
—-“তোমরা বসো আমি গিয়ে দেখি….
“বলেই যেই না রুহি গাড়ি থেকে নামতে যাবে সামনেই তানজু রিয়াদকে দেখে বলে উঠল সেঃ
—-“ওই তো ওঁরা চলে এসেছে….
“বলেই আবারো বসে পরলো রুহি গাড়িতে’!!

—-“তুই কি জোরে হাঁটতে পারিস না….
—-“এই তো হাঁটছি তুমি যাও না আগে….
—-“আমি আগে যাই আর তুই এখানেই থেমে থাকিস এমনিতেই তোর জন্য অনেকটা দেরি হয়ে গেছে…
“বিনিময়ে কিছু বললাম না,সেই কখন থেকে রিয়াদ ভাইয়া বকে চলেছে আমায়’!!আরে আমি কি ইচ্ছে করে দেরি করেছি নাকি এই মোবাইলটার জন্যই তো দেরি হয়ে গেছে….
“এসব ভেবে গাড়ির কাছে আসতেই সবাই শ্বাস ফেলে বললোঃ
—-“অবশেষে তাহলে তোরা এলি,বাবা গো বাবা আমরা তো ভেবে ছিলাম তোদের জন্য আজ যাওয়াই হবে না….
—-“হুম হইছে আর বলতে হবে এখন চলো….
“বলেই আমি বসে পরলাম’!তারপর রিয়াদ ভাইয়াও বসে পরলো’!!
“আমার কথা শুনে দিহান ভাইয়াও গাড়ি চালাতে শুরু করল…..

“বেশকিছুক্ষন পর……
“আমাদের গাড়ি এসে থামলো শিউলি আপুর শশুর বাড়ি’!!একে একে সবাই গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে পরলাম’!!ভিতরে ঢুকতেই আম্মু এসে বললোঃ
—-“তোদের এত দেরি কেনো?
—-“ওই একটু দেরি হয়ে গেছে মা…(দিহান)
—-“আচ্ছা ভিতরে চল এখন শিউলি অনেকক্ষন যাবৎ অপেক্ষা করছে তোদের জন্য….
“আম্মুর কথা শুনে আমরা সবাই খুশি মনে চললাম ভিতরে’!!তারপর শিউলি আপু আর আরুশ দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করলাম….
“সারাদিনে জমজমাট পরিবেশে সাথে কাটলো আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হয়ে গেছে প্রায়’!!এখন আমাদের বাড়ি ফেরার পালা…

“আনমনে হাঁটছি আমি’!!এমন সময় হর্ঠাৎই ডাক দিল কেউ আমায়’!!পিছন ঘুরে শিহাব ভাইয়াকে দেখে হাল্কা হেঁসে বললাম আমিঃ
—-“জ্বী বলুন ভাইয়া….
—-“কোনো অসুবিধা হয় নি তো….
—-“না কিসের অসুবিধা হবে…
—-“খাওয়া দাওয়া সব ঠিকভাবে করছো তো…
—-“হুম…
—-“আসলে আমি ওদিকে একটু বিজি ছিলাম তো তাই তোমাদের খেয়াল রাখতে পারি নি….
—-“ইট’স ওকে ভাইয়া…
—-“তারপর বলো কেমন আছো তুমি…
—-“আমি তো হেব্বি আছি আইমিন ভালো আছি….
“হাসলো শিহাব ভাইয়া’!!তারপর বললো সেঃ
—-“তোমার কথার বলার স্ট্যাইলটা কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে…
“ওনার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বললাম আমিঃ
—-“থ্যাংকু ভাইয়া…
“আমাদের কথার মাঝখানে ডাক পড়লো আমার’!!আমি হাল্কা হেঁসে বললাম শিহাব ভাইয়াকেঃ
—-“ওকে ভাইয়া এখন তাহলে আসি আবার কোনো এক সময় দেখা হবে…
—-“হুম কেন নয়…
“বলেই হাতটা বারিয়ে দিলেন উনি’!!আমিও বেশি কিছু না ভেবে হাত বারিয়ে দিলাম ওনাকে’!!তারপর হ্যান্ডসেক করেই বাই বলে চলে আসলাম আমি’!!
“এদিকে তানজু যেতেই মুচকি হাসলো শিহাব….

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা….
“আনমনেই হেঁটে চলেছি আমি’!!হর্ঠাৎই একটা রুমের দিকে চোখ গেল আমার’!!দরজা দিয়ে উঁকি মারতেই দেখলাম রিয়াদ ভাইয়া বিছানায় ঘুমিয়ে আছে আর রুমেও কেউ নেই’!!সাথে সাথে মাথা একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসলো আমার’!!তানজুর মাথায় যদি দুষ্টু বুদ্ধি না আসে তাহলে তো ও তানজু নয় তানজুর খালাতো বোন হি হি…!!
“ভেবেই উল্টো দিকে দিলাম দৌড়ে, কিছুক্ষণ পর নিজের রুম থেকে দুটো জিনিস নিয়ে এসেই শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে ঢুকে পরলাম রিয়াদ ভাইয়ার রুমের ভিতরে’!!শিউলি আপুর বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে সবাই বেশ ক্লান্ত এখন,এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে না কেউ এই রুমে আসবে’!!ভাবতে ভাবতেই গিয়ে বসলাম আমি রিয়াদ ভাইয়ার সামনে’!!

—-“কালকে আমায় ভূত বানানো হয়েছিল না আজকে আমিও তোমায় দেখাবো বিলেতি হনুমান এই কাজল আর এই লিপস্টিক দিয়ে কিভাবে ভূত বানাতে হয়….
“ভেবেই খুব সুন্দর ভাবে রিয়াদ ভাইয়ার মুখটাকে আর্ট করতে লাগলাম আমি’!!প্রথমে ভাইয়ার কপালে কাজল দিয়ে লম্বা রেগ টেনে আর্ট করে দিলাম,চোখে লিপস্টিক, গালে গোল করে লিপস্টিক দিয়ে তার পাশ দিয়ে আবারো গোল করে কাজল দিয়ে দিলাম,ঠোঁটে ইয়া মোটা করে লিপস্টিক দিয়ে তৈরি আমার বিলেতি হনুমান ভাইয়া মিস্টার রিয়াদ…..?
—-“এই বার তুমি বুঝবে ছুনা কাউকে ভূতের মতো সাজাতে কেমন লাগে….?

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৩

“বেশকিছুক্ষন পর….
“ঘুম ভাঙল রিয়াদের’!!কেমন কেমন লাগছে তার,বিছানা ছেড়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো সে’!!এমন সময় রুমে ঢুকলো আহান,রিয়াদের ফেস দেখে চেঁচিয়ে বললো সেঃ

—-“ভূত…
“বলেই দৌড়ে পালালো আহান,হুট করে আহানকে এইভাবে দৌড়াতে দেখে অবাক হয়ে বললো রিয়াদঃ
—-“ব্যাপার টা কি হলো এখানে ভূত আসলো কোথা থেকে…..?‍♂️
“কিছুক্ষনের মধ্যেই আহান সবাইকে নিয়ে রুমে ঢুকলো’!!রিয়াদের অবস্থা দেখে সবাই উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল’!!

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৫