এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৭ || লেখনীতে: তানজিল মীম

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৭
লেখনীতে: তানজিল মীম

“টপ টপ করে পানি পরছে রিয়াদ ভাইয়ার চুল থেকে’!!সদ্য গোসল করে আসার ফলে একদম চক চক করছে তার ফেস’!!তার সাথে তার রাগী চোখ,তার চোখ দেখেই ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!ভয়ে হাত পা কাঁপা কাঁপি অবস্থা এই জন্যই বলে “অতি বাড়ে বেড়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে”!!কেন যে দৌড়ে খাটে উঠতে গেলাম তখন দৌড়ে রুম থেকে বাহিরে বের হয়ে গেলেই তো ঝামেলা চুকে যেত’!!হর্ঠাৎই রিয়াদ ভাইয়া কর্কশ কন্ঠে বলে উঠলঃ

—-“আমার ফোন দে…
—-“না দিবো না….
—-“তুই আমার ফোনের পাসওয়ার্ড কি করে জানলি…
—-“বলবো না…
—-“তোর অনেক সাহস বেড়ে গেছে তাই না….
—-“আরে সাহস তো আমার অনেক আগে থেকেই ছিল শুধু ওই ফটোগুলোর জন্য দেখাতে পারি নি,যাইহোক এমনিতেও আমার কাজ শেষ তাই তোমার ফোনটা এখন নিলেও সমস্যা নেই,তাই তোমার ফোন নেও আর আমায় যেতে দেও….
—-“তোকে তো এইভাবে ছাড়ছি না…
—-“তুমি যদি আমায় এইভাবে ধরে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারো আমার কোনো প্রবলেম নেই,
—-“রিয়েলি…?

—-“এত অবাক হওয়ার মতো কিছু বলে নি,একি তো তুমি টাওয়াল পড়ে আছো তারওপর আবার আমায় ধরে আছো বাই এনিচাঞ্জ কেউ যদি আমাদের এভাবে দেখে ফেলে তাহলে কি হবে বুঝতেই পারছো….
—-“কি….
—-“কানে শুনো নি নাকি…
“বলেই ভাইয়ার হাত ছাড়িয়ে তার হাতে ফোনটা দিয়ে একটা ভেংচি কেটে বাহিরে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!আর রিয়াদ তানজুর কাজে হাবলার মতো তাকিয়ে রইলো যেন কি হয়েছে সব তার মাথার উপর দিয়ে গেছে’!!আনমনেই বলে উঠল সেঃ
—-“এটা কি হলো ও কি আমায় ব্ল্যাকমেল করলো নাকি থ্রেট দিল…?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা…..
“সারাবাড়ি ঘুরপাক খেয়ে রুমে ঢুকতেই দেখলাম রুহি আর তিশা ব্যাগ গোছাচ্ছে’!!যা দেখে অবাক হয়ে বললাম আমিঃ
—-“এগুলো কি করছিস তোরা….
—-“কেন তুই দেখতে পাচ্ছিস না আমরা ব্যাগ গোছাচ্ছি… (শিফা)
—-“দেখতে কেন পাবো না,কিন্তু তোরা ব্যাগ গোছাচ্ছিস কেন?
—-“আরে তুই জানিস না আমরা কালকে চলে যাবো….(রুহি)
“রুহির কথা শুনে মুহূর্তেই মুড অফ হয়ে গেল আমার’!!কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বললাম আমিঃ
—-“কেন?
—-“আম্মু বলেছে কাল সকালে আমরা চলে যাবো….
—-“মিথ্যা বলছিস তাই না,আর তোরা চলে যাবি আমরা যাবো না….
—-“তা তো জানি না আম্মু বললো আমাদের ব্যাগ গোছাতে তাই গোছাচ্ছি….
—-“আমি এক্ষুনি গিয়ে খালামনির সাথে কথা বলে আসছি…
—-“হুম যা….
“আমিও আর কথা না বারিয়ে বেরিয়ে আসলাম রুম থেকে’!!ওঁরা চলে গেলে আমার একা একা ভালো লাগবে নাকি….

“রান্না ঘরে কাজ করছিল খালামনি, আমি দৌড়ে চলে গেলাম তার সামনে’!!তারপর বললামঃ
—-“খালামনি তোমরা কালকে চলে যাবে…
“আমার কথা শুনে খালামনি কিছুটা অবাক হয়ে বললোঃ
—-“তোকে কে বললো…
—-“ওই রুহি আর শিফা…..
—-“ওহ ওরা তোর সাথে মজা করছে আমরা কাল নয় দু’দিন পর যাবো কারন কালকে তো শিউলি ওরা আসবে….
—-“কি তার মানে ওরা আমায় বোকা বানালো…

“এদিকে সিঁড়ি উপর দাঁড়িয়ে রুহি আর শিফা হাসতে হাসতে বললোঃ
—-“কি কেমন দিলাম…. (শিফা)
—-“তোদের তো আমি, মাইয়া শয়তান আমি কতটা টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম….
—-“আসলে কি বল তো তোকে টেনশনে দেখতে আমাদের খুব ভালো লাগে….
—-“তবে রে….
“বলেই আমি দৌড়াতে লাগলাম ওঁদের পিছনে’!!আর আমাকে দৌড়াতে দেখে ওরাও দিল দৌড়….
“পুরো ড্রয়িং রুম জুড়ে দৌড়াচ্ছি আমি, রুহি আর শিফা’!!সোফার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল আহান’!!শিফা দৌড়ে গিয়ে তার পিছনে লুকায়, আর তানজুও গিয়ে ধরতে চায় শিফাকে’!!আর আহান শুরু অপলকভাবে তাকিয়ে আছে শিফার দিকে’!!এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে তার ভিতর,আহান হাল্কা হেঁসে বলে উঠলঃ

—-“আরে আরে থামো তোমরা এগুলো কি করছো?
“কিন্তু কে শোনে কার কথা ওঁরা ছুটছে তো ছুটছেই!!এক পর্যায়ে শিফা দৌড়ে চলে গেল সিঁড়ি উপর,শিফা উপরে উঠতেই তানজু চলে যায় রুহির দিকে রুহিও তানজুকে নিজের দিকে আসতে দেখে সেও দৌড়ে উঠতে লাগলো সিঁড়ি উপর….
এমন সময় সিঁড়ির উপর থেকে নিচে নামতে লাগলো রিয়াদ,আচমকাই হোঁচট খায় রুহি রিয়াদের সাথে আচমকা এমনটা হওয়াতে রুহি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে রিয়াদকে সরি বলে সে দৌড়…
“অন্যদিকে আরেকজন এতটাই স্পিডে ছিল যে আচমকা রিয়াদকে সামনে দেখে তাল সামলাতে না পেড়ে খায় ধাক্কা,,ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলেই সাথে সাথে রিয়াদ ধরে ফেলে তার হাত….!!ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে দুজনেই অবাক চোখে তাকালো দুজনের দিকে’!!তানজু ঝুলে আছে একদম সিঁড়ির কোনায়…

“ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে আমার,হায় রে আর একটু হলেই সিঁড়ির উপর থেকে হুমড়ি খেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে যেতাম নিচে’!!ভাগ্যিস রিয়াদ ভাইয়া হাতটা ধরে আছে না হলে….
“আমার ভাবনার মাঝখানে রাগী আওয়াজে বলে উঠল রিয়াদ ভাইয়াঃ
—-“সারাদিন শুধু বাঁদরের মতো দৌড়াস কেন তুই….
—-“বিশ্বাস কর ভাইয়া এই মাএ যা হলো এর জন্য আমি দায়ি নই সব দোষ ওই রুহি আর শিফার…
—-“ইচ্ছে করছে তোকে এখান থেকে নিচে ফেলে দেই…
—-“প্লিজ ভাইয়া এমনটা করো না আমার কোমড়টা ভেঙে দু-ভাগ হয়ে যাবে তারপর আমায় কেউ আর বিয়ে করবে না….

—-“তোকে যে বিয়ে করবে তার জীবনটা পুরো তেজপাতা হয়ে যাবে..
—-“তাতে তোমার কি তোমার জীবন তো আর হবে না….
—-“এত কথা কেন বলিস তুই….
—-“ভালো লাগে তাই…..
—-“তোর হাত ছেড়ে দেই…
—-“প্লিজ প্লিজ এমন করো না….
—-“তাহলে বল তুই আমার ফোনের পাসওয়ার্ড কোথায় পেয়েছিস….
—-“বলবো না….
—-“তাহলে তোর কোমড় ভাঙা থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না…
“বলেই রিয়াদ তার হাতটা আলগা করলো’!!সাথে সাথে আমি ভয়ে আঁতকে উঠে ভাইয়ার হাত শক্ত করে ধরে বললামঃ
—-“তুমি এমন কেন সুযোগ পেলেই শুধু ব্লাকমেল করো….
—-“সোজাভাবে কিছু বললে তো তুই শুনিস না…
—-“তুমি খুব খারাপ….
—-“হুম জানি এখন বল পাসওয়ার্ড কোথায় পেয়েছিস বল না হলে কিন্তু….
“সাথে সাথে ভয়ে ঘাবড়ে গিয়ে বললাম আমিঃ
—-“আরে দুপুরে তুমি যখন নৌকায় বসে তোমার মোবাইল অন করেছিলে তখন আমি দেখেছিলাম

—-“ওহ…
—-“এখন প্লিজ টেনে তুলে ভাইয়া আমায় না হলে যে সত্যি সত্যি কোমড় ভেঙে যাবে আমার…
—-“তোর কোমড় ভাঙলে আমার কি?
“বলেই রিয়াদ ভাইয়া ছেড়ে দিল আমার হাত’!!সাথে সাথে আমি চোখ বন্ধ করে দিলাম এক চিৎকার,,তানজুর চিৎকার শুনে রিয়াদ আবারো তানজুর হাত ধরল তারপর দিল একটান সাথে সাথে তানজু এসে পরলো তার বুকের উপর….

“এদিকে আমি চোখ বন্ধ করে বলছিঃ
—-“হায় রে আমার সাধের কোমড় গেল রে,এখন তোর কি হবে তানজু,তোকে কে বিয়ে করবে,তোর লাইফটা পুরো শেষ করে দিল ওই বিলেতি হনুমান টাই….
“তানজুর মুখে নিজের এমন অদ্ভুত নাম শুনে রিয়াদ চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—“হোয়াট,কি বললি তুই আমায়….
—-“এ কি আমি তো কোমড়ে ব্যাথা অনুভব করছি না উল্টো আরো অনেক কাছ থেকে বিলেতি হনুমানের কন্ঠ শুনতে পাচ্ছি…
—-“আর একবার বাজে বকলে সত্যি সত্যি তোকে ফেলে দিবো নিচে….
“রিয়াদ ভাইয়ার এবারের কথা শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আশেপাশে তাকাতেই দেখলাম আমি সিঁড়ি উপরেই আছি’!!

—-“তার মানে আমি পড়ি নি,আমার কোমড় ঠিক আছে…
—-“তুই আর তোর কোমড় দুটোই ঠিক আছে কিন্তু আমার মাথা ঠিক নেই তুই আমায় কি বললি আমি বিলেতি হনুমান….
—-“হায় রে মুখ ফসকে সব সত্যি কথা বলে ফেলেছি আমি…
—-“কি বললি তুই…
—-“না তোমায় কি বলবো তুমি তো আমার ভালো ভাইয়া,তোমায় আমি উল্টো পাল্টা নামে ডাকতে পারি,,ওটা তো ভয়ে বলে ছিলাম,সলি ভাইয়া আর এওতো এওতো থ্যাংকু আমায় বাঁচানোর জন্য,,
“বলেই ভাইয়াকে ছাড়িয়ে আমি দৌড়!’আমায় আর পায় কে?’

“রিয়াদও আর বেশি কিছু না ভেবে চলে গেল নিচে,রাগ হচ্ছে তার তারপরও রাগটাকে দেখাতে পাচ্ছে না সে,এতে আরো বেশি রাগ হচ্ছে রিয়াদের…

“পরেরদিন সকালেই আসলো শিউলি আপু আর দুলাভাই শিহাব!’সবাই ওনাদের দেখে হাসি মুখে কথা বলতে লাগলো’!!আমিও শিউলি আপুকে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললামঃ
—-“ওহ আপি কেমন আছো তুমি….
—-“আমি ভালো আছি তোরা….
—-“আমরা তো বিন্দাস আছি,শুধু তোমায় একটু না একটু না অনেকখানি মিস করছিলাম…
“আমার কথা শুনে হাসলো শিউলি আপু’!!তারপর বললো সেঃ
—-“তুই আর ঠিক হবি না…
—-“আমি যদি ঠিক হতাম তাহলে তুমি এখন হাসতে নাকি….
—-“তাও অবশ্য ঠিক…
“আবারো হেঁসে দিলাম আমরা দুজনেই’!!তারপর দুলাভাইর সাথে কিছুক্ষন কথা বললাম’!!একে একে সবাই কথা বলতে লাগলো শিউলি আপু আর দুলাভাইর সাথে!’এরই মাঝে রিয়াদ ভাইয়া এসেও খুব সুন্দর ভাবে কথা বলতে লাগলো শিউলি আপু আর শিহাব দুলাইর সাথে’!!যা দেখে মনে মনে বললাম আমিঃ
—-“ভাইয়া তো সবার সাথেই কি সুন্দরভাবে কথা বলে তাহলে আমার সাথে কেন বলে না,,
“পরক্ষেই ভাবলাম,হয়তো প্রথম দিনের সেই কাজটার জন্য….
“মুহূর্তেই কথাগুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলাম আমি’!!আর মনোযোগী হলাম সবার মাঝে….
“সারাদিন গল্প স্বল্প সাথে কাজ কর্ম করেই কেটে গেল’!!

“বিকেল_৫ঃ০০টা……
“সোফায় গোল হয়ে বসে আছে সবাই আম্মু,আব্বু দিহান ভাইয়া,আহান ভাইয়া,রিয়াদ ভাইয়া,রিয়াদ ভাইয়ার আম্মু,আব্বু,শিফা, রুহি, শিফার আম্মু আম্মু,সাথে নানাভাই,নানী,শিউলি আপু, দুলাভাই, মামা মামি মানে, তরী আর শিউলি আপুর আব্বু আম্মু…সহ সবাই…
“সবাই বসে একসাথে আড্ডা দিচ্ছি সাথে চা,বিস্কুট!!এটা এ বাড়ির ডেইলি রুটিন,রোজ বিকালে বাড়ির সবাই মিলে একসাথে চা খাওয়া,এতদিন বিয়ের চক্করে এগুলো সবই মিস গেছে…
“হর্ঠাৎই সেজো খালামনি আই মিন রুহি,শিফার আম্মু বলে উঠলঃ

—-“বাবা এখন তো শিউলির বিয়ে শেষ হয়ে গেছে এখন তো আমাদের সবাইকে ফিরতে হবে….
“নানাভাই কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ
—-“হুম কেন নয়..
—-“বাবা মন খারাপ করো না,
—-“না মন খারাপ করছি না তো আর তোমাদের তো যেতেই হতো….
“এই একটা সেন্টিমেন্টাল সিচুয়েশন,বাড়ি আসলে যতটা না খুশি হয় নানা-নানী তেমনি যাওয়ার সময় ততটাই মন খারাপ হয় তাদের’!!হর্ঠাৎই আম্মু বলে উঠলঃ
—-“সবাই একসাথে এসেছি ঠিকই কিন্তু আমরা সবাই একসাথে যাবো না….
—-“কি বলতে চাইছিস তুই…(খালামনি)
—-“এটাই বলতে চাইছি আমরা সবাই ভাগে ভাগে যাবো সবাই একসাথে চলে গেলে পুরো বাড়ি খালি হয়ে যাবে তখন বাবা মায়ের আরো বেশি খারাপ লাগবে….
“আম্মুর কথা শুনে শিফার বাবা বলে উঠলঃ

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৬

—-“এটা একটা ভালো আইডিয়া,তাহলে আমরা আগে যাই তারপর না হয় তোমরা আর রিয়াদরা একসাথে এসো….
“খালুর কথা শুনে রিয়াদ ভাইয়ার আম্মুও বলে উঠলঃ
—-“এটাই ঠিক হবে….
“সবার আলোচনা শেষ হতেই দিহান ভাইয়া বলে উঠলঃ
—-“এখন তাহলে আমি একটা কথা বলি….
—-“তুই আবার কি বলবি…(আম্মু)
—-“আরে আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে…
—-“কি আইডিয়া ভাইয়া…..
—-“আমরা তো সবাই চলে যাবো তারপর আবার কবে এইভাবে একসাথে দেখা হবে ঠিক নেই তার ওপর রিয়াদও আছে এখন,তাই বলছিলাম কি আমরা সবাই মিলে একটা ছোটখাটো পিকনিক করলে কেমন হবে….
“দিহান ভাইয়ার কথা শুনে সবাই কিছুক্ষন চুপ রইল’!!হর্ঠাৎই নীরবতার মাঝখানে নানাভাই বলে উঠলঃ
—-“আইডিয়াটা খারাপ না হোক না একটা পিকনিক….
“সাথে সাথে সবাই খুশিতে মেতে উঠল’!!সবাই চলে যাবে আর এতবড় বিয়ের মাঝখানে ছোট্ট একটা মেমোরিজ হিসেবে থাকুক না এই পিকনিকটা ক্ষতি কি?’

“রাত_৮ঃ০০টা….
“সারাবাড়ি জুড়ে খুঁজে চলেছি আমি রিয়াদ ভাইয়াকে’!!উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাইয়ার সাথে কিছু কথা বলা,কিন্তু সারাবাড়ি খুঁজেই কোথাও পেলাম না তাকে’!!হর্ঠাৎই মনে হলো রিয়াদ ভাইয়া ছাঁদে নেই তো,এই ভেবে আমিও চলে গেলাম উপরে…
“ছাঁদে উঠতেই দেখলাম……

এক ফালি রোদ্দুর পর্ব ৮