এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩৭

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩৭
Fabiha bushra nimu

চারিদিকে গানের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।পাড়ার সবাই মিলে,পিকনিক করছে।সেখান থেকেই আওয়াজ আসছে।তানহা আর চৈতালি চুলায় আগুন ধরানো নিয়ে ব্যস্ত।
–ভাবি তাড়াতাড়ি চুড়িগুলো খুলে ফেলো।ভাইয়া দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।আমার সাথে তোমাকে-ও বকা দিবে।

–আমি উনাকে ভয় পাই নাকি।আমি কিছুতেই চুড়ি খুলবো না।উনি আমার সাথে এত বড় ফাজলামি কিভাবে করলেন,আমি যেটা পছন্দ করি না।উনি সেটাই করেছেন।এবার উনি যেটা পছন্দ করে না।আমি সেটাই বেশি করে করবো।কথা বলবো না ওনার সাথে?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–তোমার বর তুমি যা খুশি করো।আমার ভাই,আমাকে তেলে ভাজবে বলেছে।আমি ভাইয়াকে প্রচুর ভয় পাই।তুমি চুড়ি গুলো খুলো।বলেই তানহার হাত থেকে চুড়ি গুলো খুলে নিল।নিজের হাতের চুড়ি গুলো-ও খুলে নিল।ছাদের এক কোণে চুড়ি গুলো লুকিয়ে রাখলো।
রোকেয়া বেগম ছাদে আসলেন।তানহা আর চৈতালিকে একা একা কাজ করতে দেখে বলল।

–সাহায্য লাগলে আমাকে বলো।
–আম্মা আপনি হাঁটুর ব্যথা নিয়ে ওপরে আসলেন কেনো?আপনার কোনো কিছুর দরকার পড়লে,
আমাদের বলতে পারতেন।

–আমার মেয়েরা একদিন শখ করছে।আমি’ও তাদের আনন্দে ভাগ বসাতে চাই।আমি বয়সে বুড়ো হয়ে গেছি।আমার মনটা তো’ আর বুড়ো হয় নাই।মন তো’ অনেক কিছুই করতে বলে,লোক লজ্জার ভয়ে কিছু বলি না।আজকে আমি’ও তোমাদের সাথে ছাদে রান্না করবো।রাত জেগে আড্ডা দিব।আমার ছোট বেলার গল্প শোনাবো।তানহা নিচে এসে,চেয়ার নিয়ে ওপরে চলে আসলো।রোকেয়া বেগম’কে বসতে বলল।রোকেয়া বেগম চেয়ার টেনে বসেলেন।ইফাদ ফ্রেশ হয়ে ছাদে আসলো।

–আম্মু তোমরা সবাই ছাদে কি করছো?
–হাওয়া খাচ্ছি।তুই খাবি?
–ছাদে রান্না করবে।এসব বাজে বুদ্ধি কার,অসাবধানতা বসত যদি আগুন গেলে যায়।
–পৃথিবীতে কেউ রান্না করে খাচ্ছে না।তোমার বউ রান্না করতে এসেছে,তাই আগুন নিজ থেকে তোমার বউয়ের শরীরে গেলে যাবে।ইফাদ গম্ভীর মুখ করে চৈতালির দিকে তাকালো।চৈতালি মাথা নিচু করে ফেলল।

–সবকিছু নিয়ে নিচে চল।যা’ করার নিচে গিয়ে করবি।
–এমন করছো কেনো ভাইয়া।একটা দিনই তো’।ভাবি ভাইয়াকে কিছু বলো না।
–বাজে কথায় কান দিও না।আমাকে কয়টা পেঁয়াজ কেটে দাও।কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করো না।

–তানহা সবকিছু নিয়ে,জেদ করতে নেই।তোমাদের পিকনিক করতে হলে,নিচে গিয়ে করো।
–তোমার এত দরদ লাগলে,তুমি ভাবির হয়ে রান্না করে দাও।
–দরকার পড়লে,আমিই রান্না করবো।শাড়ি পড়ে রান্না করতে হবে না।রাত করে চুল খোলা রাখছিস কেনো?দু’জনেই চুলগুলো হাত খোপা করে ফেল।

–তানহা মা উঠে এসো।একটা কাজে-ও ওকে সাহায্য করবে না।কত বড় বড় কথা হয়েছে।নিজেই রান্না করুক।তানহা চুপচাপ উঠে এসে শাশুড়ীর পাশে গিয়ে বসলো।চৈতালি চুলগুলো হাত খোপা করে নিল।তানহা চুলগুলো খোপা করছে না দেখে,ইফাদ রাগী দৃষ্টিতে তাকালো।সেদিকে পাত্তা না দিয়ে,শাশুড়ীর পা টিপে দিতে লাগলো।

–আমাকে এসব বলে লাভ নেই।সৌদি আরবে থাকতে,
সারাদিন কাজ করে এসে,নিজের রান্না নিজেকে-ই করতে হয়েছে।বলেই রান্না করতে শুরু করলো।ইফাদকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে,সে বেশ ক্লান্ত।পরিবারের মুখে হাসি তুলে দেওয়া’র জন্য,যত্ন সহকারে নিজের ঘুমকে আটকে রেখেছে।রান্না শেষ করে,খেয়ে নিচে চলে আসলো সবাই।ঘড়ির কাটায় রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই।তানহা আগেই চৈতালির রুমে এসে বসে আছে।

–ভাবি রুমে যাও।ভাইয়া তোমাকে ডাকছে।
–উনি আমার থেকে দূরে থাকতে চান।এখন পারলে একা থাকুক।আমি তোমার সাথে ঘুমাবো।তোমার যদি সমস্যা হয়।তাহলে আম্মার সাথে ঘুমাবো।

–আমার কোনো সমস্যা নেই।ভাইয়া এসে তোমাকে নিয়ে গেলে,আমাকে দোষ দিতে পারবে না।তানহা কিছু বলল না।শুইয়ে পড়ল।ইফাদ তানহার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেল।জার্নি করার ফলে,শরীরটা বেশ খারাপ লাগছিল।বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম এসে ধরা দিল।তানহা আর চৈতালি গল্প করতে করতে দু’জন ঘুমিয়ে গেল।

পরের দিন সকাল বেলা তানহা রান্না করছে।ইফাদ এসে পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।তানহা মুখটা গম্ভীর করে রেখেছে।নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছে।ইফাদ তানহার সাথে কথা বলার জন্য উসখুস করছে।ইফাদ কিছু বলতে যাবে,তার আগেই চৈতালি আসলো।

–ভাবি তাড়াতাড়ি খেতে দাও।আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।ভাইয়া তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো?তোমার কাজ নেই।চৈতালির কথার কোনো উওর দিল না ইফাদ।না খেয়েই চলে গেল।চৈতালি হতভম্ব হয়ে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

–উনি না খেয়ে চলে যাচ্ছেন।ডেকে নিয়ে আসো চৈতালি।
–তুমি ভাইয়ার সাথে এখনো কথা বলো নাই।
–এত কথা বলছো কেনো?উনি চলে যাবার পরে ডাকতে যাবে।তানহার কথা শুনে,দৌড়ে ভাইয়ের কাছে গেল চৈতালি।ইফাদ ধমকে চৈতালিকে তাড়িয়ে দিল।

–ভাইয়া খাবে না বলছে,আমাকে ধমক দিয়েছে।
–আচ্ছা তুমি বসো।আমি তোমাকে খাবার দিচ্ছি।বলেই চৈতালিকে খাবার দিল।সারাদিন পেড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলো।ইফাদ আর চৈতালি দু’জনেই একসাথে বাসায় ফিরলো।দু’জনকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে,তারা বেশ ক্লান্ত।ইফাদ ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিল।সন্ধ্যার আজান কানে আসতেই ইফাদ মসজিদে চলে গেল।তানহা অজু করে এসে,নিজের রুমে নামাজে দাঁড়িয়ে গেল।নামাজ শেষ করে,রুমটা গুছিয়ে দিল।

দুপুরে গোসল করার পরে মাথায় চিরুনি করা হয় নাই।ভেজা চুলগুলো বেঁধে রেখেছিল তানহা।চুলগুলো খুলে দিয়ে মাথায় চিরুনি করতে লাগলো।
–ভাইয়া টিন গুলো সরিয়ে দেন।এগুলোর আর প্রয়োজন নেই।রিয়াদ তুই চলে এসেছিস।
–আমি না এসে থাকতে পারি।আমার জন্য ভাবি তোর ওপরে রাগ করে আছে।আজকে ভাবির রাগ কমিয়ে দিয়ে,তারপরে যাব।এখন ভাবির চোখ বন্ধ করে নিয়ে আয়।ভাবির রিয়াকশন কেমন হয় দেখার জন্য মনটা উতলা হয়ে আছে।

–আম্মু আর চৈতালিকে-ও নিয়ে আসতে হবে।ওরা-ও আমার ওপরে রেগে আছে।আচ্ছা তুই রুমটা আরো সুন্দর করে গুছিয়ে দে।আমি ওদের নিয়ে আসছি।বলেই ইফাদ বাসার মধ্যে আসলো।চৈতালির রুমে আগে আসলো।তানহাকে দেখতে না পেয়ে বলল।
–তোর ভাবি কোথায় চৈতালি।

–ভাবি মনে হয় তোমার রুমে ভাইয়া।ইফাদ আর কোনো কথা বলল না।নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো।তানহা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলের সাথে যুদ্ধ করছে।তা-দেখে ইফাদ তানহার হাত থেকে চিরুনি কেঁড়ে নিয়ে,নিজে চিরুনি করে দিতে লাগলে,তানহা রুমে থেকে বেড়িয়ে আসতে লাগলো।ইফাদ তানহার হাত ধরে ফেলল।তানহা নিজের হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।ইফাদ তানহার হাত আরো শক্ত করে ধরলো।

তানহা রেগে ইফাদের দিকে তাকালো।ইফাদ তানহাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসলো।তানহার মুখের সামনে আসা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে বলল।
–এত রাগ কেনো তোমার?সারাদিন না খেয়ে আছি।একটা বার খাবার কথা বলতে পারতে।

তানহা ইফাদের কথা কোনো উওর করল না।আগের ন্যায় ইফাদের থেকে দূরে সরে আসার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।কিন্তু ছেলে মানুষের শক্তির সাথে পেড়ে ওঠা এতই সহজ।নিজকে আর কিছুতেই দমিয়ে রাখতে পারছে না তানহা।অবাধ্য অশ্রুকণা গুলো চোখে এসে হানা দিচ্ছে,ধৈর্য হারা হয়ে বলল।

–আমাকে ছেড়ে দিন।একদম আমাকে স্পর্শ করবেন না।কেনো এসেছেন,নাটক করতে এসেছেন।আমাকে আপনার সস্তা মানুষ বলে মনে হয়।যখন ইচ্ছে হবে কাছে টেনে নিবেন।যখন ইচ্ছে হবে,ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে যাবেন।আমি আপনার কাছে থাকবো না।আপনি খুব বাজে লোক।আমি আপনার প্রয়োজন ছিলাম।কখনো প্রিয়জন ছিলাম না।এই বেলায় অবহেলা করে নেন।কারন পরের বেলায় আমি না-ও থাকতে পারি।

–তানহা একদম বাজে কথা বলবে না।আমাকে নিয়ে তোমার যত অভিযোগ আছে।একটা একটা করে অভিযোগ গুলো বলতে থাকো।সময়ের সাথে আমি সেগুলো পূর্ণ করে দিব।কিন্তু আমাকে একা করে দেওয়ার কথা বলো না তানহা।সময়টা তোমারই হোক,কিন্তু মৃত্যুটা আমার হোক।আমি বেঁচে থাকতে তোমার মৃত্যু সহ্য করতে পারবো না।

আল্লাহ তায়ালা তোমার আগে যেনো আমাকে নিয়ে নেন।ইফাদের কথা শুনে তানহা রেগে ইফাদের কাছে থেকে সরে আসতে চাইলো।ইফাদ খুব শক্ত করে তানহাকে জড়িয়ে ধরলো।তানহা যতই ছুটবার চেষ্টা করছে।ইফাদ আরো শক্ত করে নিজের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছে,ধস্তাধস্তি করতে করতে নিস্তেজ হয়ে ইফাদকে ধরেই হাউমাউ করে কান্না করে দিল তানহা।

মেয়েটা পাহাড় সমান কষ্ট বুকে চেপে নিয়ে রাখে,কষ্ট গুলো হালকা করার জন্য হলে-ও কান্না করার দরকার।ইফাদ তানহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।বেশ কিছুক্ষণ পরে তানহার কান্নার গতিবেগ কমে আসলো।তানহার মুখটা ওপরে তুলে অশ্রুভেজা দুই নয়নে অধর ছুঁইয়ে দিল।দু-চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে,মাথায় চিরুনি করে দিয়ে,বিনুনি করে দিল।

কান্না করে চোখ-মুখ ফুলিয়ে ফেলছে একদম।একটা কথা-ও বলছে না ইফাদের সাথে,ইফাদ তানহার দু-চোখ বেঁধে দিল।তানহা বারবার খোলার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু ইফাদের ধমকের কাছে দমে গেল।ইফাদ চৈতালি আর রোকেয়া’কে ডেকে নিয়ে বাহিরে গেল।

–রাত করে বাহিরে আসলি কেনো?
–ভাইয়া আমরা কোথায় যাব?তুমি ভাবির চোখ বন্ধ করে রেখেছো কেনো?
–এত কথা বলিস কেনো?সামনের দিকে তাকা।চৈতালি সামনের দিকে তাকিয়ে বলল।
–ওয়াও ভাইয়া।এসব তুমি কবে করলে,আমি তো খেয়ালই করি নাই।এই জায়গা টুকু টিন দিয়ে ঘেরা ছিল না।

–খুব সুন্দর হয়েছে ইফাদ।এত সুন্দর বুদ্ধি তোকে কে দিয়েছে।
–আমি ছাড়া কে দিতে পারে।বলল রিয়াদ।
–একদম মিথ্যা কথা বলবি না।বুদ্ধিটা আমার রুমটা তুলতে তুই সাহায্য করেছিস।
তানহা কি হচ্ছে জানার জন্য উসখুস করছে।চোখের বাঁধন খুলতে গিয়ে-ও ব্যর্থ হচ্ছে,কারন ইফাদ দু-চোখ ধরে রেখেছে।তানহাকে একটু এগিয়ে নিয়ে গেল।তারপরে চোখের বাঁধন খুলে দিল।

এতক্ষণ চোখ বেঁধে রাখার কারেন সবকিছু ঝাপসা দেখতে পাচ্ছে তানহা।বেশ কিছুক্ষণ সময় নিল।সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।চোখ গুলো গোল গোল করে তাকিয়ে আছে।
–এটা আমার?অবাক হয়ে প্রশ্ন করল তানহা।
–না আমার বউয়ের পছন্দ হয়েছে।

–তুমি এসব কবে করলে,তুমি না বলেছিলে,সামনের জমিটুকু কাকে যেনো থাকার জন্য দিয়েছো।তাহলে তানহা লেডিস কর্নার আসলো কোথায় থেকে।
–এই জন্যই বলে মেয়ে মানুষের বুদ্ধি সব সময় হাঁটুর নিচে থাকে।কেউ সারপ্রাইজ দেওয়ার আগে বলে,যে আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিব।তানহা ইফাদের কথা কান না দিয়ে,সামনের ছোট্ট দোকানটার দিকে তাকিয়ে আছে।দোকানের ওপরে বড় বড় করে লেখা তানহা লেডিস কর্ণার।ভেতরে মেয়েদের নানান রকমের বাহারি পোশাক সাজানো।মেয়েদের সাজসজ্জার জন্য গহনা-ও রয়েছে।ইফাদ তানহার হাতে দোকানের চাবি দিয়ে বলল।

–এই নেন ম্যাডাম আপনার দোকানের চাবি।আপনার জিনিস আপনার হাতে তুলে দিলাম।এখন আমার দায়িত্ব শেষ।তানহা দরজা খুলে রুমের মধ্যে প্রবেশ করল।তানহার সাথে সবাই মিলে প্রবেশ করল।তানহা খুশি হয়ে সবকিছু দেখছে।চৈতালি জামাকাপড় গুলো নেড়েচেড়ে দেখছে।রোকেয়া বেগম সবকিছু মুগ্ধ নয়নে পর্যবেক্ষণ করছে।ইফাদ তানহার দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটা মুখের ভাব এমন করেছে,মনে হয় বিশাল কিছু পেয়েছে।তানহার হাসি মুখখানা দেখে ইফাদের মনে হচ্ছে,তার কষ্টগুলো স্বার্থক হয়েছে।

–ভাইয়া আমি এই ড্রেসটা নিব।তোমার বউকে বলবে,
যেনো আমার থেকে কম করে দাম ধরে।আমি গরিব মানুষ আমার এত টাকা নেই।চৈতালির কথা শুনে,সবাই হেসে দিল।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩৬

(কি লেখছি নিজে-ও জানি না।আজকে জোর করে-ও গল্প লিখায় মন বাসাতে পারি নাই।ভুল ত্রুটি গুলো মার্জনা করবেন।)

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩৮