এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ৩৯

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ৩৯
কায়ানাত আফরিন

-‘তোমার তো আবার রাগ করলে বেশি ক্ষুধা লাগে, তাই এই স্যান্ডউইচটা আগে খেয়ে এনার্জি গেইন করো। তারপর নাহয় রাগের বশে চুল ছিড়ো অথবা রাগ কমানোর জন্য আমায় আদর করো, দ্যাটস ইউর চয়েস। আইডিয়াটা ভালো না আহি?’

আমি অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেলাম উনার এমন গা ছাড়া কথায়। লজ্জায় কান নাক দিয়ে রীতিমতো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি ঘাড় বাকিয়ে আশপাশেও তাকিয়ে নিলাম যে কেউ শুনেছে কি-না। কিন্ত আনভীর কথাটা বলেছিলেন খুবই আস্তে , এমনভাবে বলেছিলেন আমি ছাড়া আর কারও কাছেই উনার এই মারাত্নক কথাটি বোধগম্য হবে না। তাছাড়া এখানকার স্টুডেন্টরা আর স্যার-টিচাররা একটু অন্যরকম। অন্যদের প্রতি আগ্রহ কম দেখায় আর নিজেদের প্রতি আগ্রহ দেখায় বেশি। আমার শরীর তবুও অস্বস্তিতে রীতিমতো রি রি করছে।আমি দাঁতে দাঁত চেপে বলে দিলাম,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-‘অনেক ভালো আইডিয়াটা। আপনারে তো নোবেল দেওয়া উচিত।নেক্সট টাইম আপনি রেগে গেলে আপনাকে আমি এক বালতি মধু এনে দিবো নে। তারপর আমার সাথে ক্যাচ ক্যাচ না করে মুখে মধু পুড়ে বসে থাকবেন।’
আনভীর যেন মজা পেয়ে গেলেন আমার এ কথায়। তাই বললেন,
-‘আমার নোবেল-মধু কিছুই লাগবেনা তো। তোমার জাস্ট একটু আদর পেলেই চলবে। ‘

আমি কপালে হাত দিয়ে আড়নজরে আশপাশ আবার তাকালাম। নাহ্ , কারওই আমাদের দিকে নজর নেই। তাছাড়া আমার মনেও হয়না যে নজর দিবে। দূর থেকে দেখলে এটাই মনে হবে যে আমাদের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কেউ যদি কাছে এসে এই অসভ্য লোকের অসভ্য কথাগুলো শুনতো নির্ঘাত এতক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতো।আমি কথা বাড়ালাম না এবার। টেবিল থেকে উঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতেই উনি থমথমে গলায় বলে ওঠলেন,

-‘তুমি ভালোমতই জানো আমি এখানে তোমায় জোর করে না খাওয়াতে পারলেও বাসায় ভালোমতো সাইজ করতে পারবো। এটা ক্যাম্পাস , এন্ড আমি চাচ্ছিনা সবার সামনে তোমার খাওয়া দাওয়া নিয়ে ন্যাকামি করতে। সকালে কিছুই খাওনি তুমি আহি। এখন ফটাফট খেয়ে নেও।’

উনার এই থ্রেড আমায় ভয় দেখানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো। আমি শেষমেষ বাধ্য মেয়ের মতো প্লেট থেকে স্যান্ডউইচ নিয়ে নিলাম। কিন্ত মুখের রাগ প্রকাশের থেকে এক বিন্দুও এদিক সেদিক নড়িনি। এতদিন আপনি রাগারাগি করেছেন, আজ আমি রাগ করবো। নায়িকা শাবনূরের মতো অভিমানের চোটে তথাকথিত নায়ক সালমান শাহ্ এর সাথে যেভাবে দু’দিন কথা বন্ধ রেখেছিলেন সেভাবেই আমি আনভীরের সাথে কথা বন্ধ রাখবো।
ব্যাটায় থাকুক ঐই রোজনীল ওরফে নীল গোলাপ-কালো গোলাপ নিয়ে। যতদিননা উনি সালমান শাহ্ এর মতো আমার অভিমান ভাঙাবেন না , ততদিন আমি গলছি না হুহ্। উনার বুকেও আগুন ধরাবো। আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাক , দরকার পড়লে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে উনারে ভর্তি করিয়ে রাখবো তবুও ওই ম্যামের টপিকের জন্য উনায় মাফ করবো না। আনভীর আমার খাওয়ার সময় আকাশ কুসুম কল্পনা করতে দেখে বলে ওঠেন,

-‘মনে হচ্ছে রাগটা কমার বদলে বেড়ে গেলো।’
আমি কিছু বললাম না। খেয়েদেয়ে উনার উদ্দেশ্যে বললাম,
-‘আমি বাসায় যাচ্ছি।’
-‘ওয়েট করো। আমি দিয়ে আসি তোমায়।’
-‘আমি বাচ্চা না বুঝেছেন? ওই নীল গোলাপ কালো গোলাপ ম্যাডামের কাছে যান।’
বলেই বড়ো বড়ো কদম ফেলে চলে গেলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।

আজ পুরোটা দিন কড়াকড়ি ইগ্নোর করেছি উনাকে। উনি আমার সামনে আসলেই আমি দু’মাইল দূরে সরে আসতাম।আনভীর কিছুক্ষণ পরপরই অসহায়ের মতো তাকাচ্ছিলেন আমার দিকে। তবে আজ উনার এই অভিনব কায়দা একটুও মন গলাতে পারলো না আমার। আমি ওপর দিয়ে মুখ টসটসে আলুর মতো করে রাখলেও ভেতর ভেতর পৈশাচিক আনন্দে মেতে আছি। খুব শখ না বউ ছেড়ে ওই ম্যামের সাথে হেসে খেলে কথা বলার?

তাও আবার জমে ক্ষীর হওয়া টাইপ কথাবার্তা , একটু চিনি মিশালেই যেন কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে ঝড়ঝড় করে মিষ্টি পড়বে। আনভীর অনবরত ব্যর্থ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন আমার সাথে দুদন্ড কথা বলার জন্য। কিন্ত আমিও নিজ মনে প্রবল। আমি এবার মায়ের রাতের খাবারের পর ওষুধগুলো খাইয়ে বাবার কাছে গেলাম। বাবার নিত্যদিনের অভ্যাস রাতে খাবারের পর বারান্দায় বসে আমার হাতের চা খাবেন। যদিও এত রাতে চা দিলে ঘুম কেটে যায় তবুও বাবা অভ্যাসমতো রাতে বই নিয়ে বসেন বলে ঘুম কাটানোর জন্য চা বা কফি খান একটু আধটু। কথার এক পর্যায়ে বাবা হঠাৎ বই থেকে চোখ সরিয়ে আমায় জিজ্ঞেস করলেন,

-‘কি হয়েছে আমার ওই পাগল ছেলেটার?’
আমি শূণ্যদৃষ্টি নিয়ে তাকালাম বাবার দিকে। যার অর্থ আমি কিছুই বুঝিনি।বাবা তাই এবার বলে ওঠলেন,
-‘বাসায় আসার পর থেকেই দেখছি ওর মুখ কেমন যেন অস্থির হয়ে আছে। আগের মতো একরোখা ভাবটাও নেই। যেই ছেলে প্রতিদিন খাওয়ার আগে আমার সাথে একটু আধটু কথা বলে যেতো তার তো নজর মনে হয় অন্যদিকে চলে গিয়েছে।,,,,পাগলটার সাথে ঝগড়া-ঝাগড়ি করেছো নাকি?’
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দিলাম বাবাকে। বাবা খানিকটা শব্দ করে হেসে ওঠলেন। উনি তারপর আমায় অভয় দিয়ে বললেন,

-‘সাবাস ! এই নাহয় তুমি আমার ছেলের বউ? ওই ব্যাটাকে এমনেই সাইজ করতে হবে। তারপর দেখবে তোমার কথায় উঠবে আর বসবে।’

বাবাকে দিয়ে এমন একটা কিছুই আশা করেছিলাম। তবে এতটাও আশা করিনি যেমনটা উনি করছেন। এই বাড়ির মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুত। শুরুতে আনভীর আমায় মেনে নিতে চাননি দেখে শ্বাশুড়ি মা কি কান্ডগুলোই না করেছিলো। আমায় নীল শাড়ি পড়িয়ে আনভীরের সামনে নিয়ে যাওয়া, মহাশয়ের পছন্দের জিনিস রান্না করা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। বাবাও অনেকটা সেরকম ।

কই ছেলের সাথে রাগ করেছি বলে আমায় শাসাবে উল্টো আমায় উপদেশ দিচ্ছেন কিভাবে করলে ওই চশমিশ বিলাইয়ের নাকের ডগার ইগো কমানো যায়। এদের থেকেও দু’ধাপ এগিয়ে আছে আজরান ভাইয়া। বিগত কয়েকমাস ধরে হানিমুন-হানিমুন করে আমার আর আনভীরের মাথা ধরিয়ে দিয়েছেন। সুযোগ পেলেই আমায় আর আনভীররে টেনে বাইরে ঘুরতে পাঠিয়ে দেন যাতে উনার রসকষহীন ভাবটা একটু হলেও কমে। আমি শুধু আফসোস করে বলতে পারিনা যে, ‘আজরান ভাইয়া! আপনার এই গর্দেভ ভাই আপনার মতো এতটা রোম্যান্টিক না। সুযোগ পেলেই ধমকের ওপর সিধে করে রাখে।’
বাবা এবার বললেন,

-‘এক কাজ করো তো। একটু কষ্ট করে আজরানকে ডেকে নিয়ে আসো। এখন আনভীর যা থমথমে মুডে আছে , ওকে ডাকাটাই বিপদ আমার জন্য।’
আমি মিহি হেসে চলে গেলাম আজরান ভাইয়াকে ডাকার জন্য। রুমে গিয়ে দেখি শিউলি ভাবি বসে আছেন মুখ ফুলিয়ে। আজরান বাইয়া একপাশে বসে মোবাইল স্ক্রলিং করতে মগ্ন ছিলো। ভাবি একটু নড়লে চড়লেই আজরান ভাইয়া আহত সুরে বলে ওঠেন,

-‘এত নড়াচড়া করছো কেনো বউ? বেশি খারাপ লাগছে?’
-‘না তো ! আমার তো খুশি লাগছে এভাবে সং সেজে বসে থাকতে।’
শিউলি ভাবির কথা শুনে আমি ঠোঁট চেপে হাসলাম। কেননা বুঝতে পেরেছি আজরান ভাইয়া ইতিমধ্যে বহুবার এমন ভাবে জ্বালিয়েছেন ভাবিকে। ডেলিভারির সময়ের এখনও এত টাইম বাকি তবুও ভাইয়ার এধরনের কথাবার্তা আমায় না হাসিয়ে পারলো না।

বেচারা অনাগত সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দে ইতিমধ্যে পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছেন। আমি যদি কখনও প্রেগনেন্ট হই আনভীর আর যাই হোক আজরান ভাইয়ার মতো সিমপ্যাথি দেখাবেন না। হয়তো ধমকের ওপর রাখবেন , নয়তো কেয়ারিং এর চোটে এতটাই ওভারপ্রোটেকটিভ হবেন যে আমার রাতের ঘুম তো হারামই, উনার ঘুমটাও হয়ে যাবে নিশ্চিহ্ন। ‘বাবা ডাকছে’ এই কথাটা আজরান ভাইয়াকে বলতেই ভাইয়া আমায় ভাবির পাশে বসিয়ে চলে গেলেন। বরাবরের মতো বললেন উনার গুলুমুলু বউটার খেয়াল রাখতে। আমি ভাবিকে আলতো হাতে জরিয়ে ধরেই আহ্লাদি সুরে বললাম,

-‘বেবি কিক মারে?’
-‘মারে মানে! কিক মেরে পারলে উড়িয়ে ফেলে।’
ভাবি কথাটি মজার ছলে বলাতে হেসে ফেললাম আমি। ইসসস! কখন যে বেবিটার ছোট ছোট হাতগুলো আমি ধরবো?আজরান ভাইয়া আসার আগ পর্যন্ত এতক্ষণ ভাবির সাথেই ছিলাম আমি। তখনই আজরান ভাইয়ার সাথে হুড়মুড়িয়ে রুমে এসে পড়লেন আনভীর। আমায় শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
-‘কি মিসেস ওয়াইফি? ওয়েট করছি তো? ঘুমাতে আসবেন না?’
-‘আপনি যান, আমি আসছি।’

কোনোমতে কথাটি বলে আমি অন্যদিকে মাথা ঘুরালাম। কিন্ত উনি নড়লেন না। বরং থম মেরে বসে পড়লেন সাইডে চেয়ারটিতে। আজরান ভাই বিরক্ত হয়ে উনাকে বললো,
-‘এভাবে বসে আছিস ক্যান?’
-‘বউ ছাড়া নড়ছিনা আমি।’
উনার কথা শুনে চোখজোড়া ক্রমশ ক্ষুদ্র হয়ে এলো আমার। আজরান ভাইয়াও মহাবিরক্ত। বেচারা কোথায় চেয়েছিলো বউয়ের সাথে একটু কোয়ান্টিটি টাইম স্পেন্ড করতে আর আনভীর তো রীতিমতো অনড় হয়ে বসে আছেন। আজরান ভাইয়া এবার অতি আক্ষেপে বলে ওঠলো,

-‘তোর বউকে কেউ ধরে রেখেছে? নিয়ে গেলে নিয়ে যা। এই আহি ! বোন, যাও না ওর সাথে? নাহলে ও সত্যি সত্যিই এখান থেকে যাবে না।’
আমায় কোনো কথা বলতে না দিয়েই উনি আমায় কোলে তুলে ধপ ধপ শব্দ করে প্রস্থান করলেন এখান থেকে। আমার চোখজোড়া চড়কগাছ। কেননা আমার কল্পনাতীত ছিলো আজরান ভাইয়ার কথায় আমি রাজি হওয়া মাত্রই উনি এভাবে আমায় কোলে তুলে নিবেন।

আমায় বিছানায় ফেলা মাত্রই ব্যাথায় আমি ‘উহ্’ শব্দ করে দিলাম। উনি এবার আমায় পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ গুজে নিমিষেই শান্ত হয়ে গেলেন।রুমটা মৃদু অন্ধকার। ডিম লাইটের আলোতে সবকিছু ঝাপসা দেখাচ্ছে। অন্যসময় উনার এমন কাজে আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতাম। দু’চারটা কিল ঘুষি মারতেও ভুলতাম না। কিন্ত এবার আমি নিশ্চুপ। ওইযে বললাম না, উনার প্রতি মৌনতার অনশন করছি! আমায় প্রতিক্রিয়াহীন দেখে আনভীর জড়ানো গলায় বলে ওঠলেন

-‘আহি!’
আমার সারা শরীরে কেমন যেন একধরনের জমকালো হাওয়া বয়ে গেলো। উনি নির্বিকার। আষ্টেপৃষ্টে আমায় নিজের সঙ্গে মিশিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে মুখ গুঁজে আছেন। উনি এবার বলে ওঠলেন,
-‘রাগ করোনা প্লিজ! মিস. রোজনীল তো এভাবেই কথা বলে আমার সাথে। মাঝে মাঝে আমার নিজেও প্রচন্ড বিরক্ত লাগে৷ কিন্তু উনার মুখের ওপর কি আর না করা যায়? ‘
আমি নিশ্চুপ।
আনভীর আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে বললেন,

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ৩৮

-‘এট এনি চান্স তুমি কি জেলাস?’
উনি ভ্রু নাচিয়ে বললেন। আমি ধৈর্যহারা হয়ে বলে ফেললাম,
-‘শুধু জেলাস না, প্রচন্ড রকমের জেলাস। আমার উত্তর শুনে এবার খুশি তো? ওই মহিলার সাহস কি করে হয় আমার বরের দিকে নজর দেয়?’
আনভীর ঠোঁট কামড়ে হাসলেন। বলে ওঠলেন,
-‘ আমার তোমায় জেলাস করারও ছোটোখাটো একটা ইনটেনশন ছিলো আমার। তাইতো মিস রোজনীল এর সাথে তোমায় দেখিয়ে দেখিয়ে,,,,,,’

কথাটি অসমাপ্ত রেখেই উনি ঠোটজোড়ায় দুষ্টুমির আভাস ছাড়িয়ে দিলেন৷ রাগে আমার সারা শরীর রি রি করে ওঠলো এবার৷ উনার জন্য জেলাসির চক্করে আমি যেদিকে ছোট্টখাট্টো একটা ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম সেখানে এই অসভ্য, বদমাশ চশমিশ বিলাই আমায় দেখানোর জন্য এসব করে বেড়াচ্ছিলো? আপনি ভুল করেছেন, আনভীর রেজওয়ান খান এই আহির সাথে পাঙ্গা নিয়ে। আমি আর দুদন্ড ভাবার সময় নিলাম না।

উনার ওপর ওঠে থুতনির কাছে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে কামড় দিতেই উনি মুখ দিয়ে ছোট্ট একটি আর্তনাদ করেন। ইসসস! ফর্সা মুখের থুতনির কাছে যে কেউ দেখলেই বুঝবে এটা কিসের দাগ। এবার দেখবো এই চশমিশ বিলাইটা কিভাবে আমার লাভ বাইট নিয়ে ভার্সিটিতে যায়?

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ৪০