এলোকেশী কন্যা সিজন ২ পর্ব ৫২+৫৩+৫৪

এলোকেশী কন্যা সিজন ২ পর্ব ৫২+৫৩+৫৪
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

তারপর রোদ আলোর সাথে কথা বলে ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেল!আর আলো ওর চোখের পানি মুছে নিলো কারন কত জন মেয়েই বা এমন ভাবে হাজবেন্ডের সাপোর্ট পায়।আর এজন্যও সৌভাগ্য লাগে যেটা সবার কপালে জুটে না।
তারপর ওরা ডিনার সেরে নেয়! আর যে যার মত ঘুমিয়ে পড়ে!পরেরদিন রোদ আলোকে নিয়ে একটা ফ্যাশান ডিজাইনারের কাছে নিয়ে যায়!আর আলোকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়!রোদের সাথে উনার খুব ভাল একটা সম্পর্ক আর উনি ফ্যাশান ডিজাইনার হিসেবে ফেমাসও!তাই রোদ আলোকে এখানে নিয়ে এসেছে।যদিও উনি রোদের জুনিয়র..!!

–আসসালামু আলাইকুম!কেমন আছো সাফিন??(রোদ)
–ওয়ালাইকুম সালাম রোদ ভাইয়া!আমি ভালো আছি!আপনি কেমন আছেন??কতদিন পর দেখা হলো…!!
–আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি..!!
–এতদিন পর আমাকে মনে পড়লো?(সাফিন)
–আজকাল একটু বিজি থাকি ভাই!এজন্য এদিকে তেমন আসা হয়না !আজকে তোমার কাছে একটু দরকারেই এসেছি বলতে পারো??
—জ্বি ভাই বলুন?আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনার দেওয়া কাজটি ভাল ভাবে করার ..!!
–এই হলো তোমার ভাবী!ওর ইচ্ছে ফ্যাশান ডিজাইনার হওয়ার। তুমি তো এই লাইনেই আছো এজন্য তোমার কাছে এসেছি।তুমি একটু দেখিয়ে দিবে, বুঝিয়ে দিবে..!!
–অবশ্যই ভাই!তা ভাবি আপনি কি আর্ট করতে পারেন??(আলোর দিকে তাকিয়ে)
–জ্বি টুকটাক পারি..!! (মুচকি হেসে)
–আপনি কালকে ৩ টা ডিজাইন করে আনবেন আপনার মন মত। আমি দেখবো তারপর বলবো আপনি কেমন পারেন..??
–জ্বি আচ্ছা (আলো)
–আর কি কি করতে হবে বলো..??(রোদ)
–ফ্যাশান ডিজাইনার হতে গেলে সর্বপ্রথম জানতে হবে…!! (সাফিন)
ফ্যাশন ডিজাইন কিঃ-

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে একটি সৃজনশীল পেশা। একটি পোষাকের সাইজ থেকে শুরু করে তার কালার, নকশা, প্রিন্ট, সেলাইএর ধরন ইত্যাদি এসবই করেন! একজন ফ্যাশন ডিজাইনার সৃজনশীলতা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবার প্রথম ও প্রধান শর্ত। আপনাকে জানতে হবে কিভাবে নকশা আঁকতে হয়, কিভাবে রঙ এর ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে দেহের কোন অংশকে ফুটিয়ে তুলতে হয়, কোথায় কুচি দিলে ভালো দেখাবে, আর কোথায় ফ্ল্যাট রাখতে হবে, কালার মিক্সিং ও কালার ম্যাচিং, এ সবই জানতে হবে।
রঙ কে ভালবাসতে হবে, কোনো বস্তুর ওপর আলো আর ছায়া পরলে কেমন দেখায় সেটা খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে,প্রতিদিন এসবের চর্চা করতে হবে। প্রখর ইচ্ছাশক্তি আর কাজের প্রতি ভালবাসার সাথে সাথে নিত্য নতুন আইডিয়া বের করতে হবে! এবং এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে হবে। এভাবে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার দিন দিন দক্ষ হয়ে উঠেন তার পেশায়।এখন অনেকেই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে আসেন অথবা বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অন্যের কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং পেশায় আসতে চান। এটা একটি ভালো দিক তবে তার ভেতর নতুন কিছু করার যোগ্যতা, ইচ্ছা ও প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে।আমি খুশি হয়েছি ভাবির এমন ইচ্ছাশক্তি আর আগ্রহ দেখে…..!!(সাফিন)

— সাফিন আমি চাই! তুমি ওকে নিজে হাত ধরে সব বুঝিয়ে দাও!তুমি কি ওকে একটু আলাদা করে সময় দিতে পারবে??(রোদ)
–ভাই ভাবি এই হাউজে এসে আমার সব কাজ গুলোকে ফলো করলেই সব বুঝতে পারবে ইনশাআল্লাহ! আর আমি তো আছি দেখিয়ে আর বুঝিয়ে দেওয়া জন্য।(সাফিন)
–এখানে কি আর কোন মেয়ে আসে নাকি তুমি একাই (রোদ)
–না! এখানে মোট১৫ জন ছেলে মেয়ে আসে ওরা ভাবির মত ফ্যাশান ডিজাইনার হতে ইচ্ছুক আর কয়েকদিন হলো ওদের ক্লাস নিচ্ছি…!!(সাফিন)
–ওরা কখন আসে??(রোদ)
–বিকাল ৪ টায় আসে! (সাফিন)
–আচ্ছা কালকে থেকে তোমার ভাবিও আসবে কেমন..(মুচকি হেসে রোদ)
–ওকে!সমস্যা নেই (সাফিন)
–আজ তাহলে আসি কেমন (রোদ)
–ওকে ভাই
তারপর রোদ আর আলো ওখান থেকে চলে আসলো!আলো চুপচাপ বসে আছে তাই দেখে রোদ মুচকি হেসে আলোর দিকে তাকিয়ে বললো।
–কি হয়েছে আমার এলোকেশী??(ড্রাইভ করতে করতে)
–না কিছু নাতো..!!(বাইরের দিকে তাকিয়ে)
–মন খারাপ কেন ??না বললে বুঝবো কি করে?
–এসব কি এখন না করলেই নই??
–এটা কেমন কথা!সুযোগ পাচ্ছো কাজে লাগাও।
–আমি পারবো তো??যদি না পারি তখন?(মাথা নিচু করে)
–ইনশাআল্লাহ চেষ্টা, মনোবলশক্তি,আর ইচ্ছাটাকে প্রখর করো! তাহলে দেখবে কঠিন কাজও সহজ মনে হবে।ভয় পেলে কোন কাজই সঠিক ভাবে সম্পূর্ন করতে পারবে না।ভয় পেও না আমি আছি তো তোমার পাশে(রোদ)
–এসব কাজে মনোয়োগী হয়ে পড়লে, পরে আমাদের মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হবে না তো??(মাথা নিচু করে)
–নিজেরা ঠিক থাকলে দূরত্ব তৈরী হবে কেন?প্রতিটা সম্পর্কে বিশ্বাস আর বোঝাপড়া ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকে বুঝলে।আমি আছি তো তাহলে ভয় পাও কেন??সব সময় তোমার পাশে আমাকে পাবে!(রোদ)

–হুমম!
–প্রতিটা মেয়ের স্বাবলম্বী হওয়া উচিত!নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত।নিজের একটা পরিচয় গড়ে তোলা উচিত কারন জীবনে পথ চলতে গেলে অনেকবার মুখ থুবকে পড়তে হয়!নিজে কিছু করতে পারলে কারো উপর নির্ভরশীল হওয়া লাগেনা।যেমন ধরো কারো মৃত্যু তো আর বলে আসে না তাই না!হাজবেন্ডের কিছু হলে যাতে ওয়াইফরা নিজে কিছু করতে পারে এটা ভেবে হলেও মেয়েদের কিছু করা উচিত! সবার হাজবেন্ড তো আর সারাজীবন বেঁচে থাকবেনা তাই না!তাই আ আম (আর বলতে না পেরে)
একটুকু কথা বলে রোদ আর কিছু বলতে পারেনা! কারন আলো ছলছল নয়নে অসহায় দৃষ্টিতে রোদের করে তাকিয়ে আছে!রোদ গাড়িটা এক সাইডে রেখে এক হাত বাড়াতেই আলো রোদের বুকে হামলে পড়ে শব্দ করেই কেঁদে দেয়!রোদ আলোকে কান্না থামাতে বলে! তারপর রোদ ওর বুকে থেকে আলোকে সরিয়ে আলোর দুই হাতে হাত রেখে বলে…!!
–কাঁদছো কেন?আচ্ছা বাবা সরি! আর এমন কথা বলবো না তাও কান্না করে না সোনাবউ আমার।প্লিজ আর কেদো না।আমি তো কথার কথা এমনি বলছিলাম..(এক হাতে কান ধরে)
–হারাতে হারাতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি!তুমি আর এমন কথা বলো না আর প্লিজ রোদ।কারন তোমার কিছু হলে আমি একেবারে শেষ হয়ে যাবো!এসব কথা শোনা তো দুরে থাক! আমি ভুলে কল্পনাও করতে পারিনা।আমি আয়ু দিয়ে হলেও আল্লাহ যে তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে!আমি তোমার সব কথা শুনবো তবুও এসব কথা আর বলো না! এসব শুনলে আমার কষ্ট হয় আমার দম আটকে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়(রোদের গলায় মুখ লুকিয়ে কেঁদে কেঁদে)

–আর এমন বলবো না!প্রমিস (আলোর কপালে আদর দিয়ে)
–হুমম(ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে)
–এত ভালবাসিস কবে থেকে হুম?আমার বউটা একটু বর পাগল এটা জানতাম! কিন্তু এতটা বরপাগল এটা তো জানা ছিলো না তো!(আলোর দুই গালে হাত রেখে)
–অসভ্য এখন ঢং করা হচ্ছে। (রোদের বাহুতে কিল বসিয়ে)
–হা হা হা! তুমি ডাকটাই তো বেস্ট ছিলো আর আপনিতে সীমাবদ্ধ থেকো না সোনাবউ।
–শখ কতো (ভেংচি কেটে)
–হা হা হা! শখ তো হবেই দশটা না পাঁচটা একমাএ বউ বলে কথা (হেসে)
তারপর রোদ আর আলো একেবারে আর্ট পেপার,পেন্সিল, রাবার,কাটার, আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাসায় ফিরলো!রোদ বাসায় এসে আলোকে বললো নেট থেকে কিছু আর্ট করা দেখে তারপর ট্রাই করে দেখতে!আলোর ফোনে ওয়াইফাই কানেক্ট করা নেই!রোদও ওয়াশরুমের তাই আলো মেঘের কাছে গেলে ওয়াফাই এর পাসওয়ার্ড জানতে…!!
–দাভাই কি আনলো আমাকে খেতে দাও বউমনি!একটু বেশি করেই দিও (মেঘ ডোরেমন দেখতে দেখতে)
–দিচ্ছি (রান্নাঘর থেকে)
–এই নাও খাও! সব খাবে নষ্ট করবেনা আর আমাকে একটা তথ্য দাও তো মেঘুসোনা (বার্গার আর চিকেন রোল দিয়ে)
–কি তথ্য জানতে চাও বলো বউমনি??(খেতে খেতে)
–মেঘবাবু ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড টা বলো তো..!!
–“মুখে বলতে পারবো না নিষেধ আছে”
–কেন??
–কি কেন বউমনি??(আলোর দিকে তাকিয়ে)
–মুখে পাসওয়ার্ড বলতে পারবেনা কেন?আর বলতে কি হবে?(ভ্রু কুচকে)
–হা হা হা! বউমনি এটাই আমাদের বাসার ওয়াফাই এর পাসওয়ার্ড! দাভাই রেখেছে এমন পাসওয়ার্ড। (খিলখিল করে হেসে)
–লও ঠ্যালা!এ আবার কেমন পাসওয়ার্ড তবে
যেমন তোমার দাভাই তেমনই রেখেছে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড!গাধা একটা…(মুখ ভেংচি দিয়ে)
আলো কথাটা বলে চলে গেল!আর মেঘ খিলখিল করে হাসতে থাকলো!

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_53

এই নাও খাও! সব খাবে নষ্ট করবেনা আর আমাকে একটা তথ্য দাও তো মেঘুসোনা (বার্গার আর চিকেন রোল দিয়ে)
–কি তথ্য জানতে চাও বলো বউমনি??(খেতে খেতে)
–মেঘবাবু ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড টা বলো তো..!!
–“মুখে বলতে পারবো না নিষেধ আছে”
–কেন??
–কি কেন বউমনি??(আলোর দিকে তাকিয়ে)
–মুখে পাসওয়ার্ড বলতে পারবেনা কেন?আর বললে কি হবে?(ভ্রু কুচকে)
–হা হা হা! বউমনি যেটা বললাম এটাই আমাদের বাসার ওয়াফাই এর পাসওয়ার্ড! দাভাই রেখেছে এমন পাসওয়ার্ড। (খিলখিল করে হেসে)
–লও ঠ্যালা!এ আবার কেমন পাসওয়ার্ড! তবে
যেমন তোমার দাভাই তেমনই রেখেছে ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড!গাধা একটা…(মুখ ভেংচি দিয়ে)

আলো কথাটা বলে চলে গেল!আর মেঘ খিলখিল করে হাসতে থাকলো!মেঘের এভাবে হাসার কারন পার্সওয়াডটার নাম বলে আলোকে বোকা বানাতে পেরেছে ! আর একটা কারন আছে সেটা হলো আলো রোদকে গাধা বলেছে তাই!মেঘকে আশে পাশের অনেকেই জিজ্ঞাসা করে ওদের বাসার ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড জানতে। মেঘ ফটফট করে বলে দেয় বাট কেউ এটাকে পাসওয়ার্ড বলে মনেই করেনা!কারন সাধারন কিছুকে কেউ গুরুত্ব দেয়না। অনেকে তো ভাবে মেঘ জানেনা তাই হয়তো এমন বলছে..!!

আলো, রোদ আর মেঘ তিনজনে মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিলো!রোদ ওর রুমে গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসলো আর আলো আরেক রুমে গিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছু সময় বসে থেকে নিজেকে আগে রিলাক্স করলো।তারপর হাতে পেন্সিলটা তুলে নিয়ে মন দিয়ে আর্ট করতে শুরু করলো!একটু পর মেঘ গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে আলোর পাশে ধপাস করে মেঝেতে বসে পড়লো!যদিও অনেকদিন আর্ট করা হয়নি আলোর! তবু কিছু একটা আর্ট করার ট্রাই করে যাচ্ছে ঠিকই বাট কিছু হচ্ছে না!আলো একটু সময় নিয়েই একটা ডিজাইন আর্ট করলো বাট আলোর পছন্দ হচ্ছে না তাই আলো সে কাগজটা ছিঁড়ে ফেলে দিলো।মেঘ ওর রুম থেকে ছোট একটা টুল এনে আলোকে দিলো….!!

–বউমনি তুমি মেঝেতে বসে এই টুলের উপর হার্ডবোর্ড রেখে করো।এবার দেখবে হবে..!!
–আমি পারছিনা মেঘ।আমাকে দিয়ে মনে হয়
আর হবে না এসব (আলো মনে খারাপ করে)
–তুমি চেষ্টা কর বউমনি!আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি দেখবে তুমি পারবে।
–আচ্ছা তুমি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও!আমি আবার ট্রাই করি দেখি পারি কি না?(আলো)

তারপর মেঘ বেডে বসে আলোর চুল খুলে আলোর মাথায় হাত বুলাতে থাকলো!মেঘের ছোট ছোট হাতের ছোঁয়া পেয়ে আলো চোখ বন্ধ করে ছিলো।মেঘ যত্ন করে আলোর চুল টেনে দিচ্ছে আর আলো সেটাতে একটা প্রশান্তি অনুভব করছে!মাঝে মাঝে মেঘ চুল গুলো নিয়ে ওর ছোট ছোট হাতে খোঁপা করার চেষ্টা করছে কিন্তু বার বার ব্যর্থ হচ্ছে! আলো চোখ বন্ধ করে মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা ভেবে আবার পেন্সিল হাতে তুলে নিলো আর মনোযোগ দিয়ে আর্ট করতে শুরু করলো!রোদ এসে দেখে মেঘ আলোর চুল নিয়ে কিছু একটা করছে আর আলো মনোযোগ দিয়ে আর্ট করছে।তাই রোদ কোন সাড়া শব্দ না করে ওর রুমে চলে গেল।রোদ মনে করে কেউ মনোযোগ দিয়ে কিছু করলে জুরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাকে বিরক্ত করা উচিত না! কারন সেই ব্যাক্তির মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেলে পরে সে সেই কাজের প্রতি তার মনোযোগটা সহজে আনতে পারেনা!

আলো এবার খুব মনোযোগ সহকারে আর্ট করছে আর মেঘ বেডের উপরে আলোর চুল গুলো নিয়ে গবেষণা করছে!এভাবে গবেষণা করতে করতে মেঘ একটা সময় ঘুমিয়ে পড়ে!আলোও মনোযোগ সহকারে ৪ টা আর্ট করে ফেলে।আলো এবার খুব খুশি হয় কারন এবার ওর মনমত অার্ট গুলো ও করতে পেরেছে!প্রতি মানুষের মাঝে কোন না কোন অসাধারণ কিছু গুন লুকিয়ে থাকে!তবে কেউ কেউ সেগুলোকে কাজে লাগায় বা প্রকাশ করে। আর কারো কারো অবহেলায় অনাদরের কারনে সেই ভালো গুন গুলো চাপা পড়ে যায়।তেমনই আলোও একটা সময় খুব ভালো আর্ট করতো কিন্তু সময় আর, পরিস্থিতির কারণে ওর এই মেধাটাও একটা সময় চাপা পড়ে গিয়েছিলো।তবে রোদ আলোর সেই প্রতিভাটাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছে অবহেলা বা অনাদরে নষ্ট হতে দেয়নি..!!

আলো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে মেঘ বেডের উপর চিটপটাং হয়ে শুয়ে আছে!আলো মুচকি হেসে মেঝেতে থেকে উঠে তারপর মেঘের কাছে যায় আর মেঘকে অনেক গুলো আদর দিয়ে দেয়।আলো মেঘকে সুন্দর ভাবে শুইয়ে দিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে….!!
–আমার মেঘুসোনাটার এত বুদ্ধি!তোমাকে ধন্যবাদ মেঘসোনা আমাকে এভাবে সার্পোট করার জন্য! আল্লাহ আমার মেঘসোনাকে সব সময় অনেক অনেক ভালো রেখো।(মেঘের চুলে হাত বুলিয়ে)

তারপর আলো রোদের রুমে চলে গেল!রোদ বসে বসে তখন কিছু কাজ করছিলো।আলো রোদের পাশে বসতেই রোদ বললো…!!
–কোন কাজই একবার করলে সেই কাজ পারফেক্টলী হয় না।আস্তে ধীরে হবে এত হাইপার হওয়ার কিছু নেই
–চেষ্টা করছি ভালো করার। কালকে সকালে দেখাবো
–কালকে সকালে কেন?(ভ্রু কুচকে)
–আগে আমার মেঘুসোনাটা দেখবে তারপর তোমাকে দেখাবো (মুচকি হেসে)
–কেন মেঘের আগে আমি আগে দেখলে কি এমন ক্ষতি হবে শুনি??(আলোর কোলে মাথা রেখে)
–কারন আছে বাট তোমাকে বলা যাবে না।(মুচকি হেসে)
রোদও আলোকে আর জোর করলো না।কারন রোদ জানে আলোকে জোর করেও এখন কোন লাভ নেই।তাই শুধু শুধু বৃথা চেষ্টা না করাটাই শ্রেয়! বরং রোদও আলোকে আর এই বিষয়ে কথা বলতে না দিয়ে ওরা দুজনেই খুনশুটিতে মেতে উঠলো।
পরদিন সকালে______!!
মেঘকে স্কুলে আর রোদকে অফিসে পাঠিয়ে আলো নিজেও রেডি হয়ে ওর কলেজে চলে গেল।বাসায় শিউলি আছে রান্নাবান্না করে রাখবে। তারপর আলো দুই টা ক্লাস করে মেঘকে নিয়ে একেবারে বাসায় ফিরলো।আলো আর মেঘ বাসায় ফিরে গোসল সেরে খেয়ে নিলো কারন রোদ আগেই বলে দিয়েছে রোদ আজকে দুপুরে বাসায় আসবে না। তারপর মেঘ আর আলো নামাজ পড়ে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লো।

বিকাল ৪ টার দিকে…!!
রোদ গাড়ি পাঠিয়ে দিলো।আলো আর মেঘ রেডি হয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো।রোদ আলোকে বলেছিলো যাতে মেঘকে বাসায় রেখে যায়!কিন্তু আলো তাতে রাজি হয়নি।কারন মেঘ একা বাসায় থাকলে কেঁদে দিতো বা কষ্ট পেত।আর আলো মেঘকে ভালো রাখাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।আর সেটা সব কাজের উর্ধে! কারন মেঘের মনে যেকোন কারনে যাতে এটা মনে না হয় যে আমার আম্মু থাকলে এটা হতো না বাট বউমনি তাই এমন হয়েছে বা করেছে।আলোও চাইনা কোন কারনে ছোট একটা বাচ্চার মনে এমন একটা ভুল ধারণা সৃষ্টি না হোক….!!কারন এখন বউমনির আড়ালে মেঘের মা
হচ্ছে আলো আর মায়েদের তো দায়িত্বের শেষ নেই।
সাফিন রোদের বাবা মায়ের ব্যাপারে সব শুনেছে রোদের কাছে!কারন পারসোনালি রোদের সাথে সাফিনের কথাও হয়েছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে।সাফিনও বলছে মেঘকে সাথে নিয়ে আসার জন্য।
তারপর আলোরা ওখানে পৌঁছে যায়। সাফিন সবার সাথে আলোর পরিচয় করিয়ে দেয়।আলোদের ক্লাস হচ্ছে আর সবাই মনোযোগ সহকারে শুনছে।আর মেঘ সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছে।হঠাৎ মেঘ ওর সামনে অনেকগুলো সাদা পেপার দেখতে পেলো! আর সাথে সাথে মেঘ একটা পেন্সিল হাতে নিয়ে ওর মনমত ডোরেমন, নবিতা,জিয়ান,মটু,পাতলু,চিংগাম স্যার, গোপাল ভাঁড় আঁকলো! যদিও আলো সাফিনের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছে আর আর মাঝে মাঝে মেঘকেও দেখে নিচ্ছে….!!
সাফিন সবাইকে হোয়াইট বোর্ডে একটা আর্ট করে দেখালো! আর সবাইকে এই রকম ভাবে আর একটি ডিজাইন আর্ট করতে বললো। উপস্থিত সবাই যে যার মত আর্ট করতে মনোযোগ দিলো।৩০ মিনিট পর সাফিন সবার আর্ট গুলো চেক করছে সাফিন! আর যার যার ভুল হয়েছে তাদের গুলো সমাধান করে দিচ্ছে। আলোও করছে বাট এক জায়গায় একটু ভুল হয়েছে তাই সাফিন আলোকে বুঝিয়ে দিলো!সবার দেখাদেখি মেঘও ওর হাতে থাকা কাগজ গুলো সাফিনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো….!!

–সাফিন ভাইয়া আমিও করছি সবার মত। আমার টা দেখে আমাকে দশটা গুড দাও (মিষ্টি করে হেসে)
–আরে বাবা মেঘবাবুও আর্ট করছে! আরে ব্যাস মেঘবাবুটাই তো সবার থেকে সুন্দর হয়েছে।
সবাই ভেবেছে সাফিন মজা করছে মেঘের সাথে।তাই সবাই হো হো হেসে দিলো! কিনতু সাফিন যখন মেঘের আর্ট করা কার্টুন গুলো সবাইকে দেখালো তখন সবাই অবাক হয়ে গেলো।কারন মেঘ অনেক সুন্দর করে আর্ট করছে আর সেগুলো রং ও করছে।সাফিন মেঘকে কোলে নিয়ে মেঘের গাল টেনে দিয়ে আদর করে দিলো!আর সাথে মেঘের কথা অনুযায়ী মেঘকে গুডও দিলো….!!
সাফিন ক্লাস শেষ করতেই বেশ কয়েকটা মেয়ে এসে মেঘের উপর হামলে পড়লো মেঘকে আদর করার জন্য!সাথে ওরা মেঘকে নিয়ে টানাটানিও শুরু করলো!কারন মেঘের মত এত গুলুমলু কিউট একটা বাচ্চাকে কেউ আদর না করে থাকতেই পারে না! সবাই হামলে পড়ে শুধু মেঘের গলুমলু গালই টেনে দিলো তা না! সাথে মেঘের গালে কিস এর বর্ষণ শুরু করলো!মেঘ ওর হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে বার গাল মুছছে আর মেয়েগুলো এটা দেখে আরো বেশি করে মেঘকে কিস করছে।এর মাঝে একটা মেয়ে ফট করে বলেই ফেললো..!
–আমি তো মেঘবাবুকে দেখে ক্রাশ খাইলাম।আজকে থেকে আমি আমার সব বয়ফ্রেন্ডকে বাদ দিলাম!কারন এখন থেকে মেঘই আমার বয়ফ্রেন্ড…!! (বিনা)
–না আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড হবো না। আমার লজ্জা লাগে!এমন কথা বলো না..!! (দুই হাত দিয়ে মুখ ডেকে)
মেঘের কথা শুনে ওখানে হাসির রোল পড়লো।কারন মেঘ একটা গুলুমলু আর এত কিউট যে কেউ এমন একটা বাচ্চাকে দেখলে সবাই ভালবাসতে চাইবে!এখানে এসে তো একদিনেই সবার মন জয় করে নিয়েছে মেঘ।

#এলোকেশী_কন্যা২__
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_54

মেঘের কথা শুনে ওখানে হাসির রোল পড়লো।কারন মেঘ একটা গুলুমলু আর এত কিউট যে কেউ এমন একটা বাচ্চাকে দেখলে সবাই ভালবাসতে চাইবে!এখানে এসে তো একদিনেই সবার মন জয় করে নিয়েছে মেঘ।

প্রায় ৬ মাস পর…!!
আলো রোদ আর মেঘের জীবনে এখন প্রতিটা দিন হাসি খুশি আর একে অপরের প্রতি অসীম ভালবাসা নিয়ে কেটে যাচ্ছে! আলো সাফিনের সাহায্য নিয়ে ওর কাজ অনেক দুরে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।রোদ, মেঘ,সংসার, পড়াশোনা, আর ওর স্বপ্নের পেছনে ছুটছে আলো!মাঝে মাঝে রোদ আর মেঘ আলোকে সাপোর্ট করে আর ওদের মুখের দিকেই তাকিয়ে আলো প্রতিনিয়ত নিজের মাঝে মনোবল শক্তি টাকে আরো প্রখর করে তুলে।আলোর এখন একটাই টার্গেট সেটা হলো বেস্ট ফ্যাশন ডিজাইনের এ্যাওয়ার্ড টা মেঘের হাতে তুলে দেওয়ার কথাটা রাখা।কারন মেঘ আলোর কাছে এটাই চেয়েছে আর এজন্য আলোও প্রাণপণ চেষ্টা করছে আলোর কাছে মেঘের চাওয়া উপহারটা মেঘকে হাতে তুলে দেওয়া!

আজকে রোদ বাসায় আছে তাই রোদ নিজে আলোকে সাফিনের ওখানে পৌঁছে দিয়ে রোদ আর মেঘ দুই ভাই ঘুরতে বের হলো। আলো ক্লাসে গিয়ে মনোযোগ সহকারে ক্লাস করলো আর নিজের করা কয়েকটা ড্রেসের ডিজাইন সাফিনকে দেখালো!সাফিন অবাক হলো না কারন বিগত দুইমাস আলো নিজের করা অনেক গুলো ড্রেস নিজে হাতে বানাতে সক্ষম হয়েছে।আলোর মাঝে অন্য রকম একটা তেজ আছে সেটা সাফিন অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে।আর এখন সাফিন আলোকে নাম ধরে ডাকে কারন আলো সাফিনকে নাম ধরে ডাকার জন্য পারমিশন দিয়েছে তার একটাই কারন কেউ যাতে মনে না করে সাফিন রোদের পূর্ব পরিচিত বলে আলোকে বেশি গাইড দেয়। আর ক্লাস করানোর মাঝে ভাবি এটা ওটা বলাটা বেমানান লাগে আর বড় কথা হলো আলো সাফিনের অনেক ছোট তাই আলোর জোড়াজুড়ি সাফিন রাজি হয়েছে।আজকে ক্লাসে সাফিন একটা কথা জানালো যে….!!

সাফিনঃ তো আমি আপনাদের একটা জানানোর জন্য আজকে সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলেছিলাম।আর আপনারা জানলেও খুশি হবেন।
রিনাঃ স্যার আপনার বিয়ে নাকি..??
সাফিনঃ হা হা না সেইরকম কিছু না।
সাবাঃ তাহলে কি নিউজ বলে ফেলুন স্যার
সাফিনঃ তোমাদের নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।
কলিঃ যেমন??
সাফিনঃ সামনে একটা অনেক বড় কম্পিটিশন আছে আর সেখানে অনেক গুলো ফ্যাশান ডিজাইনার এটেন্ড করবে আর এর মধ্যে কম্পিটিশনের মাধামে কাজের দক্ষতার মাধ্যমেই বেস্ট ডিজাইনারকে বেছে নেওয়া হবে।আর আমাকেও ইনফর্ম করা হয়েছে আমার এখানে থাকা বেস্ট ডিজাইনারদের হাতের কাজের সিম্বল দেখানো তো আমি বেশ কয়েকজনের সিম্বল দেখিয়েওছি।আর তারা এখান থেকে ৬ জনকে সিলেক্ট করছে।আর তারা হলো….!!
১.কণা ইসলাম
২.সাকিব আল হাওলাদার
৩.বিনা শেখ
৪.সাবা তাসনিম
৫.জাইদ সারোয়ার
আর
৬.আতকিয়া ইবনাত আলো
সাফিনঃ এই ৬ জন সিলেক্ট হয়েছেন! আমি আপনাদের যে ভাবে গড়ে তুলেছি এবার আপনারা সবাই নিজের প্রতিভা প্রকাশ করুন।নিজের মেধা, উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে অবাক করা কিছু করে জাজদের বেস্ট কিছু করে তাক লাগিয়ে দেখান।বাবা মা এবং নিজের কষ্টটাকে স্বার্থক করে তোলার ট্রাই করুন।আপনাদের স্বপ্নগুলো কে হাতের মুঠোয় ছোঁয়ার এটাই মোক্ষম সময়। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম আর থাকবো। নিজের মাইন্ড, চিন্তা, সব কিছুকে কাজে লাগান।এবার বলুন আপনারা পারবেন না???
সবাইঃ ইনশাআল্লাহ স্যার..!!!(চিৎকার করে)

এলোকেশী কন্যা  সিজন ২ পর্ব ৪৯+৫০+৫১

সাফিনঃ আমি জানি আপনারা পারবেন!আর এই ৬ মাসে কি শিখলেন এটাই এবার দেখার পালা..!!
(আর হ্যা! এই কোর্স এক একটা মেয়াদ অনুয়ায়ী হয়ে থাকে!আর রোদ আলোকে ৬ মাস মেয়াদেই ভর্তি করেছিলো যাতে আলো আস্তে ধীরে সবটা সামলে উঠতে পারে!যদিও তাড়াহুড়োর কাজ কখনোই নিখুঁত বা বেস্ট হয় না!আপনাদের বোঝার স্বার্থে আমি বিষয়টা হালকার উপর ঝাপসা করে উল্লেখ করলাম)
এসব কোর্সের নাম, সময় আর টাকার এমাউন্ট নির্ধারিত করা।
যেমনঃ-
১.সার্টিফিকেট কোর্স
২.ডিপ্লোমা কোর্স
৩.অনার্স কোর্স
৪.এম.বি.এ কোর্স
আর এই রকম আরো বিভিন্ন বিভাগ আছে!প্রতিটা বিভাগের এক একটা মেয়াদের উপর আর পড়াশোনার উপর নির্ভর করে।

তারপর সবাই সেদিনের মত ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরে গেল!রোদ এসে আলোকে নিয়ে গেল রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।রোদ আজকে বাইকে নিয়ে বের হয়েছে অনেকদিন বাইকে করে ঘুরে বেড়ানো হয় না তাই!রোদ চলন্ত বাইকেই আলোর হাতে একগুচ্ছ গোলাপ দিলো!আলো গোলাপগুলো দেখে মুচকি হেসে রোদের পিঠে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো! রোদ বাইকের লুকিং গ্লাসের এটা দেখে মুখে হেসে দিলো।
আলোঃ ধন্যবাদ
রোদঃ শুধু ধন্যবাদে হবে না
আলোঃ তাহলে আপনার কি লাগবে শুনি??(মুচকি হেসে)
রোদঃ উমমম এটা থাক সময় মত চেয়ে নিবো।
আলোঃ আচ্ছা।

আলো রাতের আঁধারে ফুটপাতে শুয়ে থাকা লোক গুলোকে দেখছে!একটা লোকের একটা হাত আর একটা পা নেই আর উনার বউ উনাকে কত যত্ন করে খাইয়ে দিচ্ছে!আর একটু পর দেখলো একটা ছেলের কোলে মাথা রেখে একটা মেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে!কয়েক জোড়া যুবক যুবতী একে অপরের হাতে আঙুলে আঙুল ঢুকিয়ে হেঁটে যাচ্ছে! তাদের কারো কারো মুখে বিরাজ করছে প্রশান্তির হাসি।আলো রোদের কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে দুই হাত দিয়ে রোদকে হালকা করে জড়িয়ে ধরলো!রোদ আলোর এমন কান্ডে মুচকি হাসলো শুধু! আলো অন্ধকার আকাশের জ্বল জ্বল করা তারকাদের দিকে তাকিয়ে রোদের উদ্দেশ্যে করে বললো..!!
!!ভালবাসা ছাড়া কারো সাথে সম্পর্কের দোহায় দিয়ে অট্টলিকায় থাকার চেয়ে!ভালবাসার মানুষটাকে নিয়ে গাছ তলায় থাকায় শ্রেয়।কারন গাছ তলাতে থাকলেও বিশ্বাস, ভরসা,আর ভালবাসা এই তিনটিই বিরাজ করে!!

এলোকেশী কন্যা  সিজন ২ পর্ব ৫৫+৫৬+৫৭