কাঞ্চাসোনা পর্ব ৮

কাঞ্চাসোনা পর্ব ৮
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

ধ্রুবর এখন মনোয়ারার সামনে সকালের সাথে কথা বলতে,তাকাতে বা হাসতে খুবই লজ্জা লাগে।ওই যে বিয়ে করবেনা করবেনা করে খুব লাফিয়েছিলো,মেয়ে ছোট হেনতেন বলেছিলো তাই মনোয়ারা সুযোগ পেলেই খুচা মারে,এইতো আজকে সকালেই নাস্তার সময় ধ্রুব সকালকে বললো,”তুমি আসো একসাথে খাই।”

তখন মনোয়ারা রান্না ঘর থেকে বলে বসেন,
“ও তোর সাথে বসবে কেন?ও ছোট মানুষ,আমার বেশী শখ তাই আমি বাচ্চাটা ধরেবেধে নিয়ে এসেছি,তাই আমার বাচ্চাটা আমার সাথেই খাবে।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ধ্রুব মাথা চুলকে খাবার খায়।সকাল পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসে।কালকের রাতে কথা বলতে বলতেই ধ্রুব ঘুমিয়ে পড়েছিলো খুব ক্লান্ত ছিলো বোধহয়।রাতে কথা মনে হতেই সকালের হাত ঠান্ডা হয়ে যায়।সকাল শাশুড়ীর কাছে চলে যায়।
বিকাল চারটা নাগাদ ধ্রুব তার মায়ের রসিকতা উপেক্ষা করে সব লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফোন দিলো।ফোন রিং হচ্ছে,ধ্রুব ভাবে সকালকে একটা মোবাইল সেট দেয়া জরুরি।
মনোয়ারা ফোন ধরে বললো,

“আম্মা আমার কাছেই আছে আব্বা।”
ধ্রুব হেসে বললো,
“আম্মা তোমার ধরে আনা বাচ্চাটাকে কি আজকে একটু ধার দিতে পারবে?”
ধ্রুবর কথার ধরনে মনোয়ারা নিজেও হেসে দেয়,
“কেন ধার নিয়ে কি করবি?”
ধ্রুব আমতা আমতা করে বলে,
“বাচ্চা মানুষ তো একটু ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখাবো এই আরকি।”
মনোয়ারা বলে,

“আমার বাচ্চাকে আমিই ঢাকার এই মাথা থেকে ও মাথা দেখাতে পারবো।”
“আম্মা তোমার বয়স হইছে,তোমার থেকে আমি ভালো দেখাতে পারবো।”
থেমে ধ্রুব আবার বলে,
“প্লিজ আম্মা বিকালে তোমার আদরের,বাচ্চাটাকে রেডী করে দিও।”

মনোয়ারা সকালকে এই কথাগুলো বলাতে সকালও হাসে।
ধ্রুব আবার ফোন দেয়।এবার মনোয়ারা সকালের কাছেই দেয়।
ধ্রুব বলে,
“বাচ্চাবউ চুলগুলো একটু বেনীটেনী করবেন।চোখে একটু কাজল।মনে থাকবে?”
সকাল ছোট করে জবাব দেয়,
“জ্বী”

তারপর মুচকি হেসে ফোন কাটে।লোকটা একটু পাগল আছে।সকালকে প্রচুর যত্ন করে।মেয়েরা কি খুব টাকা চায়?না মেয়েরা খুব বেশী টাকা চায় না যত্নশীল,ভালোবাসায় ভরপুর একজন মানুষ পেলেই খুশী।সকাল নিজেও খুশী।
কিছুক্ষণ পরে মনোয়ারা সকালকে একটা তাতের কাপড় দিলেন,কালো শাড়ীর মাঝে লাল লাল ফুল।সকাল মুগ্ধ চোখে শাড়ীটা দেখে।

এই শাড়ীটা পড়লে কি ধ্রুব মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবে?ভাবতেই সকালের মনে ভালোলাগার প্রজাপতি উড়ে।এই প্রথম সকাল ধ্রুবর সাথে কোথাও যাবে,রেডি হয়ে আয়নায় নিজেকে দেখে আর মুচকি মুচকি হাসে।লোকটা তার কাছে আসলেই কই থেকে জানি ঝুপঝুপিয়ে লজ্জারা ছুটে আসে।মিনিট পাঁচেক পড়ে ধ্রুব আসে,সকালকে দেখে হাসিহাসি মুখে তাকিয়ে থাকে।কালো কাপড়ে দুধে আলতা শরীর যেন ধ্রুবকে হাতছানি দিচ্ছে।পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার তীব্র ইচ্ছার ঢাকনা বন্ধ করে মুখে বললো,

“বাহ বাচ্চাতো যাওয়ার জন্য রেডি।সুন্দর লাগছে বাচ্চা।”
তারপর ঝটপট দুই মিনিটে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে যায়।রাস্তায় নামার পরে এক রিকশাওয়ালা আসে,
“কই যাইবেন মামা?”
ধ্রুব বলে,”রবীন্দ্র সরোবরে।”
“উঠেন।”

ধ্রুবরা রিকশায় উঠে বসলে,মামা রিকশার হুড তুলে দিতে চায়।ধ্রুব বাধা দিয়ে বলে,
“মামা এটা আমার বউ হুড তুলা লাগবেনা।”
রিকশাওয়ালা মুচকি হেসে বলে,
“অহ আইচ্ছা,আসলে মামা আজকাল হুডের অনেক দাম বুঝেন নাই।”
ধ্রুব কিছু না বলে মুচকি হাসে।সকাল ফিসফিস করে বললো,

“প্লাস্টিকের হুডের দাম কেন?”
ধ্রুবও তারই মতো ফিসফিসিয়ে উত্তর দেয়,
“এই রসায়নটা বাসায় গিয়ে বুঝাই।”

সকাল বুঝলোই না দাম দরের কথা এতো বাসায় গিয়ে বলার কি আছে।চিন্তিত চোখে আশেপাশে চোখ ভুলায়।ধ্রুব সকালের দিকে তাকিয়ে হাসে,আসলেই বাচ্চা বউ।ধ্রুব বলে,
“সকাল এভাবে বসেছো কেন পড়ে যাবে তো।”
সকাল বেশ জড়োসড়ো হয়ে বসেছে।কখনো ধ্রুবর গায়ের সাথে তার গা লাগেনি,কিন্তু রিকশায় তো আর এতো জায়গা নেই,কিভাবে বসবে দুরূত্ব রেখে।সকাল বিব্রত গলায় বললো,

“এমনিই।”
“তোমার বেশিরভাগ কথার উত্তর কি ‘এমনিই’ হয়?”
সকাল কিছু না বলে আশে পাশে তাকিয়ে দেখে।দুজনে যখন রবীন্দ্র সরোবরে যায় তখন সন্ধ্যা আগ মূহুর্ত।ধ্রুব সকালকে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসে।সকাল চকিত চোখে আশেপাশে চোখ ভুলাচ্ছে।
“ভালো লাগছে?”

ধ্রুবর গলা শুনে সকাল তার দিকে তাকায়।মাথা নাড়িয়ে বলে,”লাগছে।”
একটা ছেলের থেকে ধ্রুব বেলীফুলের মালা কিনে সকালের চুলে পড়িয়ে দেয়।ধ্রুবর এই ছোট ছোট কাজগুলো সকালের খুব ভালো লাগে।এই ছোট ছোট যত্নগুলোতেই নিজেকে বড় ভাগ্যবতী মনে হয়।
“সকাল আমার একটা ইচ্ছা পূরুন হয়নি।”
সকাল ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে বলে,

“কি ইচ্ছা?”
“আমার খুব ইচ্ছা ছিলো প্রিয়তমা কে বউ সাজে দেখার।সেটা পুরুন হলো না।”
সকাল ভ্রু”কুচকে যানতে চায়,
“কেন?আমাকে দেখেননি।”
ধ্রুব আস্তে বলে,
“না ”

সকাল অবাক হয়ে বলে”কেন”
“আসলে তোমার ছোট বোনকে দেখে ভেবেছিলাম সেই পাত্রী।তাকে মোটেই আমার কাছে পাত্রী পাত্রী লাগেনি,ছোট বোন লেগেছে,তাই রাগে কষ্টে বউয়ের মুখ দেখিনি।”
সকাল অবাক হয়ে মুখ হা হয়ে যায়,
“তারমানে আপনি আমাকে বউ সাজে একবারও দেখেননি?”
ধ্রুব মাথা চুলকে বললো,
“না।”

সকালের হঠাৎ খুব অভিমান হয়।মুখ ঘুরিয়ে বলে,
“দেখেননি যখন আর দেখাও হবে না।”
ধ্রুব বোধহয় সকালের অভিমান চোখে পড়ে।অভিমান কাটাতে সামনে ঝুকে বলে,
“তোমার আমি একটা নাম দিয়েছি?”
সকাল জিজ্ঞাস্য দৃষ্টি মেলে তাকালে বলে,
“বেনীবউ।”

ধ্রুবর কথা শুনে সকালের অভিমানে ভাটা পড়ে।চুলের বেনী সামনে টেনে আনে।
ধ্রুব সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,
“সকাল সংসারে সুখ-শান্তি কিভাবে হয় বলতে পারবে?”
সকাল তাকায়,ধ্রুব বলে,

“সংসারে শান্তি আনতে হলে প্রথমতো স্বামী-স্ত্রী মিল মোহাব্বত থাকতে হবে।একে অপরের কাছে হাসি-কান্না,সুখ-দুঃখ,রাগ-অভিমান সব শেয়ার করবে।মনে করো আমার রাগ হলো আমি তোমাকে রেগে কথা বলে দিলাম তুমিও যদি সাথে সাথে তর্ক করো আমাকে ফিরিয়ে জবাব দাও তাহলে আমার রাগ কিন্তু আরো বেড়ে যাবে তাইনা?তাহলে তুমি কি করবে আমি রেগে গেলে তুমি চুপ থাকবে,আমার রাগ যখন কমে যাবে তখন ঠান্ডা মাথায় আমাকে আমার ভুলগুলো ধরে বুঝাবে।তোমার ক্ষেত্রেও আমি চুপ থাকবো,পরে বুঝাবো।বুঝেছো সকাল?”

ধ্রুবর বুঝানোর ভঙ্গি সকালের খুবই ভালো লাগে।কথাগুলো মনোযোগ দিয়েই শুনে মাথা নেড়ে বলে,
“বুঝেছি।”
“একে অপরকে সন্দেহ করা যাবে না,কোন ঘাটতি সামনে পড়লে দুজনেই সবকিছু বিস্তারিত বলতে হবে।”
“আচ্ছা।”
“সকাল আমরা একে অপরের শান্তির কারন হবো টেনশন বা ভয় নয়। ওকে।”
“আচ্ছা।”
“সকাল তুমি কিছু বলো।”

“আচ্ছা আমাকে কি বোন টাইপ লাগে না?”
ধ্রুব ঠোঁট কামড়ে হাসে।
“মোটেই না।তোমাকে দেখলে আমার আদর করতে ইচ্ছে করে।আপেলের মতো টসটসে।”

ধ্রুব কথা শুনে সকাল দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।সকালের এতো লজ্জায় আকাশও বুঝি লজ্জা পেলো তাইতো সন্ধ্যায় কনে দেখা আলোয় সকালের লজ্জার চাদর হয়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে।ধ্রুব সকাল দুজনেই ভিজে যায়।সকাল উঠতে চাইলে ধ্রুব আটকায়।চা বিক্রেতার কাছ থেকে একটা পলিথিন নিয়ে মোবাইল মানিব্যাগ পেচিয়ে পকেটে রেখে,সকালকে নিয়ে ঠায় বসে থাকে।সকাল পাগলের পাগলামি দেখে বলে,”ভিজে যাচ্ছি তো।”

বৃষ্টির পানি পড়ে সকালের ঘন পাপড়ি কেমন জড়ানো দেখাচ্ছে।কপালের ছোট চুল গালে লেপ্টে গেছে,ধ্রুব সেদিকেই তাকিয়ে বললো,
“আজকে আমার জন্য না হয় ভিজলে।”
সকাল আর কিছু বলে না,শ্যাম বর্নের পুরুষটির দিকে আড়চোখে তাকায়।লোকটা আসলেই সুদর্শন।গভীর চোখে যখন সকালকে পর্যবেক্ষণ করে তখন সকালের বুক কাঁপে।ধ্রুবও এই বৃষ্টির মাঝে সকালকে মুগ্ধ চোখে দেখে।সকাল মাথা নিচু করে বিরবির করে”ইশ এতো সুন্দর কেন উনি!”

দুজনেই কাকভেজা হয়ে বাসায় আসে।ভিজে আসার জন্য মনোয়ারা ধ্রুবকে বকা দেয়,যদি জ্বর আসে।অবশ্য বকা দেয়াই দরকার এখনের জ্বরের ধাত ভালো না কি থেকে কি হয়।ধ্রুব পাত্তা দিলো না।কিন্তু উনার কথাই ঠিক হলো,রাত বারোটার দিকে ধ্রুবর গা কাঁপিয়ে জ্বর আসে।সকাল তখন ঘুমে কাঁদা।ধ্রুবর খুব ঠান্ডা লাগছিল,দুজনে দুই কম্বলে থাকার কারনেই সকাল টের পেলো না ধ্রুব থরথর করে কাপঁছে।ধ্রুবও আর ডাকলো না।অনেকক্ষণ পরে ধ্রুব আর সইতে না পেরে নিভু গলায় সকালকে ডাকলো,

“সকাল,এই সকাল।”
সকাল আধোচোখ মেলে তাকায়।
ধ্রুব আস্তে করে বলে,
“ওয়্যারড্রোবে ফাস্ট এইড বক্সে নাপা ট্যাবলেট আছে,এনে দাওনা প্লিজ।”
সকালের ঘুমন্ত মস্তিষ্ক জেগে উঠতে কিছুটা সময় লাগে।নাপার কথা মাথায় ঢুকলে লাফিয়ে উঠে বসে।
“নাপা!নাপা কেন?কি হয়েছে?”

ধ্রুব বললো,
“শরীরটা একটু গরম লাগছে।তাড়াতাড়ি দাও প্লিজ।”
সকাল ধ্রুবর কপালে হাত রেখে চোখ বড়ো বড়ো করে বললো,
“ওমা আপনার তো গা পুড়ে যাচ্ছে।”
ধ্রুব আস্তে বলে,
“এসব কিছু না সকাল।”
সকাল বিছানা থেকে নেমে বলে,

“মা কে ডাকি?”
“না।এতো রাতে ডাকলে খালি জেগে টেনশন করবে, তখন উনার প্রেশার বেড়ে যাবে।”.
সকাল নাপা দিলে ধ্রুব খায়।সকাল জিজ্ঞেস করে,
“বেশী খারাপ লাগছে?”
ধ্রুব বললো,”আরে না।”

সকাল ধ্রুবর পাশে এসে দাঁড়ায়,লোকটা সন্ধ্যায়ও ঠিক ছিলো।বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধালো।এতো জ্বর নিয়েও কেমন শক্ত হয়ে বসে আছে।সকাল মোলায়েম গলায় বললো,
“কিছু খাবেন?কি খেতে ইচ্ছে করছে বলুন বানিয়ে দেই।”
ধ্রুব সকালের হাত টেনে তার কাছে বসায়।ধ্রুবর শরীরের তাপে সকালের গা পুড়ে সাথে পুড়ে চঞ্চল মন।সকাল ধ্রুবর দিকে তাকালে ধ্রুব বললো,

“ভয় পাচ্ছো?”
সকাল ধ্রুবর গভীর চোখে তাকিয়ে দেখে সেখানে অজানা ছবি আঁকা যে ছবি সকাল কখনো দেখেনি তাই হয়তো,বুঝতে পারছেনা।সকাল জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,
“আপনি শুয়ে পড়ুন।তাহলে ভালো লাগবে।”
ধ্রুব সকালের কথা শুনে,চুপচাপ শুয়ে পড়ে।সকাল পাশে গিয়ে সুয়ে পড়লে,ধ্রুব আস্তে বলে,
“জান তোমায় একটু ছুঁয়ে দেই।”

সকাল হাত বাড়িয়ে ধ্রুবর কপালে হাত রাখে,জ্বর বেড়েছে।
“আপনি একটু ঘুমোতে চেষ্টা করুন।”
ধ্রুব কিছু বলে না,হাত বাড়িয়ে কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট ধরে,সকালের ঠোঁট তিরতির করে কাঁপে।ধ্রুব সকালের কাঁপা-কাঁপি দেখে মুচকি হাসে,
“ভয় পাচ্ছো কেন?”

সকাল হাত দিয়ে জামা খামচে ধরে।হৃদপিণ্ডটা এতো জোড়ে লাফায় কেন?আজকে যে অনুভূতি সকালকে দোলা দিয়ে যাচ্ছে এটা নতুন।সকাল কি ধ্রুবর সানিধ্য পেয়ে বড়ো হয়ে গেলো?
ধ্রুব ঠোঁট থেকে হাত সরিয়ে নেয়।দুজনে দুই বালিশে শুয়ে,একে অপরকে পাগলের মতো দেখছে,অনুভব করছে।অনুভূতিরা কতো প্রখর।

ধ্রুব চাইলেই মিলেমিশে একাকার হতে পারে কিন্তু হচ্ছে না সে চায় তার পাখিটা নিজেই আসুক,পাশে এসে সুখের খোঁজ করুক।ধ্রুব গভীর নেশা জড়ানো চোখে ধ্রুবতারার মতোই সকালের বুকটা খুচিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিলো।সকাল কাতর চোখে তাকিয়েই থাকে।একি অনুভূতি,একি যন্ত্রনা,এর শান্তি কোথায়?ধ্রুবর নেশা জড়ানো চোখে সকাল আর তাকাতে পারে না,হাত পা ঝিনঝিন করে।বাথরুম থেকে পানি এনে,ধ্রুবর মাথার কাছে বসে জলপট্টি দেয় আর ফিসফিস করে বলে,

“আমি আছি তো,পরে দেখতে পারবেন।এখন ঘুমান।প্লিজ।আর তাকাবেন না।”
ধ্রুব প্রচন্ড জ্বর নিয়েও হাসে।পাখিটাকে কি লাল নীল অনুভূতি ঝাপটে ধরেছে?ধ্রুব তারপরেও সকালকেই দেখে।এই গভীর চোখের জড়ানো দৃষ্টি সকাল আর সহ্য করতে পারে না তাই হাত দিয়ে ধ্রুবর দুই চোখ বন্ধ করে বলে,
“আজকে আর তাকানো যাবে না।”

কাঞ্চাসোনা পর্ব ৭

না ছুঁয়েও অনুভূতির বহর বাড়ানো যায়।সপ্নের রাজ্যে উঠানামা করা যায়।যেটা সকাল আর ধ্রুব করছে।ধ্রুব তার সকালকে শিখাচ্ছে,অনুভব করাচ্ছে,এভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সর্গসুখের সিড়িতে।ধ্রুব সকালের কোলে শুয়ে বলে,
“জান এখানেই থাকি?”

কাঞ্চাসোনা পর্ব ৯