চৈতালি পূর্ণিমা পর্ব ৪০

চৈতালি পূর্ণিমা পর্ব ৪০
Writer Asfiya Islam Jannat

পরিবেশ তখনও দীর্ঘ বর্ষণের প্রেমে মাতাল। দোলায়মান গাছের পাতা৷ সিক্ততায় মোড়ানো শেফালি,শিউলি গা। নিষুপ্তি পরিবেশে কৃষ্ণমেঘের ডাক ঝংকার তুলছে৷ জানালার ধারে মৃদু শব্দ হচ্ছে। বাতাসের বেগে কেঁপে কেঁপে উঠছে সুক্ষ্ম কাঁচের কপাট৷ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব পড়েছে। স্পর্শীর গা কাঁটা দিয়ে উঠতেই সামনে খুলে রাখা বই স্থিরচিত্তে বন্ধ করে উঠে দাঁড়ালো। মাথার উপর ঘূর্ণমান যন্ত্রটি বন্ধ করে খালি হাতে খোঁপা করে বেরুলো রুম থেকে উদ্দেশ্য পার্শিয়াকে খোঁজা।

গতকাল থেকে দেখা নেই তার। স্পর্শী কয়েকবার পার্শিয়ার নাম ডেকে উঠলো কিন্তু সাড়া মিললো না কোনবার। অনেক খোঁজাখোঁজির পর স্পৃহার বিছানার তলায় তার সন্ধান পাওয়া গেল। বিছানার শেষপ্রান্তে গুটিসুটি মেরে বসে আছে সে। স্পর্শী নিচের দিকে মাথা নুয়ে খুব আদরমাখা কন্ঠে ডাকল, হাতে ইশারা করল। কিন্তু পার্শিয়া আসল না, মুখ ঘুরিয়ে সেখানেই একগুঁয়ে হয়ে বসে থাকলো। অনেক ডাকাডাকির পরও যখন পার্শিয়া এক চুলও নড়লো তখন স্পর্শী হাত বাড়িয়ে ওকে কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করলো। পার্শিয়া তা দেখে অন্যপাশের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গেল৷ স্পর্শীও তৎক্ষনাৎ উঠে দাঁড়াল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

পার্শিয়া একঝলক স্পর্শীকে দেখে মুখ ঝামটা মেরে রুম থেকে বেরিয়ে গেল৷ স্পর্শী বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকালো সেদিক। বুঝতে দেরি নেই, তার ক্ষুদ্র মনে পাহাড় সম অভিমান জমেছে। এটা সহজে ভাঙ্গার নয়। স্পর্শী দ্রুত পায়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে এলো। পার্শিয়াকে ড্রয়িংরুমের সোফায় অলসভাবে বসে থাকতে দেখে পিছন থেকে গিয়ে তাকে কোলে তুলে নিল। পার্শিয়া প্রথমে কিছু না বললেও স্পর্শীকে দেখামাত্র নেমে পড়ার জন্য তোড়জোড় লাগালো৷ স্পর্শী জোড় করে পার্শিয়াকে কোলে বসিয়ে অনুনয় সুরে বলতে থাকে, “আমার বাচ্চাটা রাগ করেছে আমার সাথে? সরি সোনা! ভুল হয়ে গেছে এবার, আমি আর বকা দিব না। এবারের মত মাফ করে দাও। সরি!”

কথাটা বলে পার্শিয়ার গালের সাথে নিজের গাল ঘেঁষে দিল সে। কিন্তু তাও পার্শিয়া কোন প্রতিক্রিয়া দেখালো না। স্পর্শী অবাক হয়ে বলল, “বাব্বাহ! এত রাগ?”
পার্শিয়া মুখ ঘুরিয়ে নিল। যার অর্থ, হ্যাঁ সে অনেক রাগ তার সাথে। একটুও কথা বলবে না সে। স্পর্শী স্মিত মুখে বলল, “আচ্ছা বাবা সরি তো। আর রাগ করে থাকে না। আমি আর কখনো তোমায় বকব না।”

আরও কতক্ষণ আহ্লাদ কন্ঠে স্পর্শীকে মানানোর চেষ্টা করলো। সর্বশেষে পার্শিয়ার মনও গললো তবে রাগ সম্পূর্ণ গেল না। সে ‘ম্যাও,ম্যাও’ শব্দ করে অভিযোগের ঝুলি নিয়ে বসলো। তীব্র আক্রোশ সেই কন্ঠে৷ স্পর্শী চুপচাপ শুনলো কথাগুলো আর আনমনে হাসলো। মন্থর গতিতে পার্শিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে শান্ত করলো তাকে। বিড়ালছানা অবস্থা থেকেই পার্শিয়া স্পর্শীর সাথে আছে। স্পর্শী শুরু থেকেই একদম আদুরে বাচ্চার মত বড় করেছে তাকে। যার জন্য তার টান,ভালোবাসা,অভিমান একটু বেশি স্পর্শীর প্রতি। বাড়ির সকলে তাকে যা ইচ্ছা তা বলুক সেটা তার গায়ে না লাগলেও, স্পর্শীর সামান্য বকা তার সহ্য হয় না।

স্পর্শী পার্শিয়াকে আদর করতে করতে বলল, “মানুষ না হয়েও এত রাগ তোর, মানুষ হলে কি করতি কে জানে?”
পার্শিয়া কি বুঝলো কে জানে, উচ্চস্বরে চেঁচাতে লাগলো। স্পর্শী নিজের কপাল চাপড়ে বলে, “আরেহ তোর দুর্নাম করিনি, চেঁচানো বন্ধ কর।”
পার্শিয়া সরু দৃষ্টি তাকিয়ে থামলো। স্পর্শী হাসে, “এমন করতে থাকলে নির্বাণ কিন্তু তোকে ঘরে জায়গায় দিবে না৷ ভদ্র হো একটু।”

এই কথার প্রেক্ষিতে পার্শিয়ার মুখ ছোট হয়ে এলো। সে স্পর্শীর গায়ের সাথে লেগে মৃদুস্বরে ডাকতে থাকলো। স্পর্শী কিছু না বলে ওর সাথে খেলায় মত্ত হলো। ঘণ্টাখানেক এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর পার্শিয়া স্পর্শীর কোলে ঘুমিয়ে পড়লো। স্পর্শী পার্শিয়াকে কোলে করে নিজের রুমে এসে শুয়ে দিল। অতঃপর মুঠোফোন হাতে নিলে দেখতে পেল স্ক্রিনে নির্বাণের তিনটি মিসডকল ভাসছে৷ স্পর্শী দ্রুত কল ব্যাক করলো৷ দুইবার রিং হতেই নির্বাণ ফোন ধরলো। স্পর্শী সালাম দিয়ে দ্রুত বেগে বলতে শুরু করে, “ফোন আমার সাথে ছিল না তাই কল শুনিনি আপনার।”

নির্বাণ সালামের উত্তর দিয়ে ধীরে সুস্থে উত্তর দেয়, “ব্যস্ত হতে হবে না। আগেই বুঝেছিলাম বিষয়টা আমি।”
স্পর্শী চট করে জিজ্ঞেস করে বসে, “আপনি এত বুঝেন কিভাবে বলুন তো?”
“তুমি আপাদমস্তক আমার মুখস্ত বলে।”
স্পর্শী থমকালো। সর্বাঙ্গে খেলে যায় সহস্র শিহরণ। মানুষটার প্রত্যেক কথাই এমন, না থমকে পারা যায় না৷ ছোট বাক্য তার অথচ অনুভূতি রাজ্যসম। স্পর্শীকে চুপ থাকতে দেখে নির্বাণ প্রশ্ন করে,

“মন এখনো খারাপ?”
“নাহ! ঠিক আছি এখন।”
নির্বাণ এই প্রসঙ্গে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। অন্য সংলাপে গেল৷ শেষে স্পর্শীকে কিছুদিন ভার্সিটি আসতে সম্পূর্ণ নিষেধ করলো। স্পর্শী যদিও বা জানতে চাইলো এর কারণ কি কিন্তু কি মনে করে যেন প্রশ্নটা করলো না। নীরবে সম্মতি জানালো।

সময় গড়ালো স্রোতঃস্বিনীর ন্যায় । দিন পেরিয়ে সপ্তাহ শেষ এলো, ঘনিয়ে এলো কাঙ্ক্ষিত দিন। কোলাহল বাড়লো, গুঞ্জন উঠলো সকলের মাঝে। কানে কানে ছড়িয়ে গেল নির্বাণের রিজাইন করার কথা। যদিও এবার কেউ সমালোচনা করার সুযোগ পেল না তবে আফসোস করলো ঠিকই। যে যাই বলুক না কেন, দিনশেষে সকলের উপলব্ধি এক বিন্দুতে এসেই মিলিত হয় যে একজন ভালো স্যার তারা তাদের মাঝ থেকে হারিয়ে ফেলছে। অজান্তেই খারাপ লাগা কাজ করছিল সকলের চিত্তে৷ বদরাগী হলেও নির্বাণের পড়ানোর ধরণ ছিল অন্য সব টিচার হতে ভিন্ন। সাথে, নির্বাণের দেওয়া নোটসগুলোর কার্যকরতা ছিল বেশ। পরীক্ষার আগে তার নোটসগুলো পড়লেই সিলেবাস কভার করতে পারতো সকলে। কেউ স্বীকারোক্তি করতে না চাইলেও সত্য এইটাই, নির্বাণের যাওয়াটা সকলের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। এমনটা কেউই চায়নি।

তখন দ্বিপ্রহর। রোদের উত্তাপ মোলায়েম। সোনালী,কমলাটে রোদ্দুরের ছটা গড়িয়ে পড়েছে বড় বটমূলের উপর। বাতাসে পুষ্পের পরাগ ভাসন্ত।কৃষ্ণচূড়ার শেষপ্রান্তে এক চড়ুই পাখির দল কিচিরমিচিরে মশগুল। শহীদ স্তম্ভের সামনে নির্বাণকে ঘিরে গোল করে দাঁড়িয়েছে কয়েক’শ স্টুডেন্ট। অনুনয় সুর সকলের, অন্তিম বিদায় জানাচ্ছে তারা নির্বাণকে। অনেকে অনুরোধ করছে নির্বাণকে থেকে যাওয়ার জন্য, অনেকে আবার নিজের করা ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হচ্ছে৷ বেশির ভাগ সকলে ধরেই নিয়েছিল নির্বাণ বিগত দিনেগুলোয় ঘটে যাওয়া ঘটনায় তাদের ব্যবহার দেখে রুষ্ট হয়ে চলে যাচ্ছে।

নির্বাণ যেহেতু তার এবং স্পর্শীর কাবিননামা সোশাল সাইটে দিয়ে দিয়েছিল সেহেতু কারো মনে আর কোন সন্দেহ অবশিষ্ট ছিল না। যার দরুন, সকলের মাঝে অনুশোচনাবোধটাই প্রখর ছিল। নির্বাণ সকলকে বুঝ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল। অতঃপর বিদায় নিয়ে ভীড় থেকে বেরিয়ে এসে দূরে নজর যেতেই আঁটকালো হালকা আকাশি রঙের কামিজ পরিহিত শ্যাম কন্যাটির পানে। মুখ মলিনতায় বেষ্টিত হলেও দৃঢ়৷ নয়ন দু’টি অক্ষিকাচে এক গাঁদা প্রশ্ন। নির্বাণ স্থিরচিত্তে এগিয়ে গেল নারীটির দিকে। নিভৃতে পকেট থেকে গাড়ির চাবিটা বের স্পর্শীর হাতে গুঁজে দিয়ে মৃদুস্বরে বলল, “গাড়িতে গিয়ে বসো, আমি আসছি।”

কথাটা বলে নির্বাণ অন্যদিকে চলে গেল আর স্পর্শী সেদিক তাকিয়ে থেকে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো। দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আজই প্রথম ভার্সিটি এসেছিল সে। ভার্সিটি আসার পর পরই বন্ধু-বান্ধব এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নির্বাণের রিজাইনের খবরটি পেল সে। প্রথমে কারো কথায় বিশ্বাস করতে না চাইলেও শেষে এখানে এসে বিশ্বাস করতেই হলো নির্বাণ আসলেই রিজাইন করছে। এখন মনের মাঝে একটাই প্রশ্ন থেকে যায়, “কেন?”

স্পর্শী গাড়িতে এসে বসেছে পনেরো মিনিট হতে চলল। ঘড়ির কাঁটা টুকটুক করে সামনে দিকে পদার্পণ করেই চলেছে৷ স্পর্শী সিটে মাথা হেলিয়ে আঁখিপল্লব বন্ধ করে থাকলো। মনের মাঝে তখন তীব্র অভিমান, সাথে হাজারো প্রশ্ন। সব প্রশ্নর শেষেই ‘কেন’ শব্দটা সুবিন্যস্তভাবে এসে লেপ্টে যাচ্ছে। অশান্ত মস্তিষ্ক তালগোল পাকাচ্ছে সবকিছু, পরোক্ষভাবে দোষী দেখাচ্ছে তাকে। মিনিট যত গড়ালো স্পর্শীর ধৈর্য ধরে রাখা ততই দায়সমান হয়ে দাঁড়ালো। আর কিছু সময় যাওয়ার পর আবির্ভাব হলো নির্বাণের। সে গাড়িতে উঠে বসামাত্র স্পর্শী চোখ মেলে তাকালো৷ এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে সোজা নির্বাণের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে মারে, “এর জন্যই আমাকে ভার্সিটি আসতে মানা করেছিলেন? যাতে আমি এসব সম্পর্কে কিছু জানতে না পারি?”
নির্বাণের নির্বিকার কন্ঠ, “কোনসব?”

“আপনি জব থেকে রিজাইন করেছেন, কিন্তু কেন? আর আমাকে জানান নি কেন?”
প্রশ্নের বিপরীতে নির্বাণ পাল্টা প্রশ্ন করে, “আগে জানালে কি করতে তুমি? রিজাইন নিতে দিতে না আমায়?”
স্পর্শী তীর্যক দৃষ্টিতে তাকায়, “কি করতাম জানি না তবে বিষয়টা কি আমার আগে জানার উচিৎ ছিল না?”
“হয়তো ছিল।”
নির্বাণের হেয়ালি দেখে স্পর্শী অপ্রসন্ন কন্ঠে বলে, “তাহলে কেন জানালেন না? টিচার হওয়া না আপনার ড্রিম জব ছিল? কেন ছাড়লেন সেটা?”

“কারণ আমি সিউর ছিলাম তোমাকে জানালে তুমি কখনো আমায় রিজাইন করতে দিতে না। তাই জানায়নি। আর রইলো জবের কথা, সেটা করতে এখন আমার মন টানে না। আমি আরও আগে থেকেই জবটা ছাড়ার কথা ভাবছিলাম।”
স্পর্শী তৎক্ষনাৎ কোন প্রশ্ন না করলেও কিয়ৎক্ষণ পর বলে উঠে, “আপনার রিজাইনের পিছনের কারণ কি আমি? সত্যি করে বলবেন প্লিজ।”
নির্বাণ হঠাৎ রেগে গেল। পরুষ কন্ঠে বলে, “একটু বেশি বুঝো তুমি। আমি একবারও বলেছি কারণ তুমি? সবকিছুতে নিজেকে টেনে আনবে না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমার নিজের কিছু কারণ ছিল। ভিন্ন পরিকল্পনা আছে আমার। আজ নাহলেও কাল আমি রিজাইন করতাম।”

স্পর্শী মাথা নুয়ে নিল। ভয়ার্ত মনে সাহস জুগিয়ে বলে, “হয়তো আপনার ভিন্ন কারণ ছিল কিন্তু আমাকে কি একবার বলা যেত না? অন্যের কাছ থেকে কেন জানতে হলো আমায়? সামান্যটুকু ভরসা কি নেই আপনার আমার প্রতি?”
নির্বাণ স্পর্শীর হাতটা নিজের মুঠোয় নিল। কন্ঠস্বর নেমে এলো কয়েকগুণ, “তোমাকে কোন প্রকার টেনশন দিতে চাচ্ছিলাম না। চেয়েছিলাম সব কাজ নীরবে শেষ করে নিতে কিন্তু শেষে কিভাবে কথা পাঁচকান হলো জানা নেই আমার। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার কোন ইচ্ছে আমার ছিল না।”

স্পর্শী প্রত্যুত্তর করলো না। অভিমান কি আর এত সহজে ভাঙ্গে? নির্বাণ নিজের সর্বস্ব দিয়ে স্পর্শীকে বুঝানোর চেষ্টা করলো। দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পর স্পর্শীর মন একটু গললো। সে নরম চোখে তাকালো নির্বাণের পানে। নির্বাণ তা দেখে বলে, “এভাবে তাকাচ্ছো কেন? বেকার বলে কি এখন আমায় ত্যাজ্য বর করার পরিকল্পনা করছ নাকি?”
নির্বাণের কটাক্ষ ধরতে পেরে স্পর্শী কপট রাগ দেখিয়ে বলে, “করলেও কি? লাভ তো আপনারই, বিয়ের দাওয়াত পাবেন একটা। তাও নিজের বউয়ের। এমন ভাগ্য কি আর সবার হয়?”

নির্বাণ প্রখর দৃষ্টিতে তাকালো। পরমুহূর্তেই স্পর্শীর হাত ধরে টান মেরে নিজের সান্নিধ্যে নিয়ে এসে বলে, “এমন ভাগ্যের দরকার নেই আমার। শতবার হলেও বিয়ে তুমি আমাকেই করবে। আমি ব্যতীত অন্য কোন অপশন তোমার লাইফে নেই। মনে থাকে যেন।”
কথাটা বলেই নির্বাণ স্পর্শীকে ছেড়ে দিল। অতঃপর নিজের সিটবেল লাগিয়ে স্পর্শীর কোল থেকে চাবিটা নিয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করে গমগম কন্ঠে বলল, “নিজের সিটবেল লাগাও স্পর্শী।”

চৈতালি পূর্ণিমা পর্ব ৩৯

স্পর্শী হতবিহ্বল নয়নে তাকিয়ে থাকে। এই প্রথম নির্বাণ তার সিটবেল নিজ থেকে না লাগিয়ে দিয়ে মুখে বলছে। মানে এত রাগ? তাও এই সামান্য কথাতে? স্পর্শী কিছুক্ষণ নীরব থেকে নিজের সিটবেল লাগালো। তীব্র অভিমান মনে নিয়ে আনমনে আওড়ালো, “রাগ করার কথা কার, আর রাগ করছে কে? ভালোই!”

চৈতালি পূর্ণিমা পর্ব ৪১