চৈত্রিকা পর্ব ৫০

চৈত্রিকা পর্ব ৫০
বোরহানা আক্তার রেশমী

সময় বহমান। দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় ৩ টা মাস। নীরার প্র্যাগনেন্সির বয়স আপাতত ৫ মাস। পেট ফুলেছে কিছুটা। বাড়ির সবাই তার যত্নআত্তিতে কম রাখছে নাহ। নীরাও খুশি। অর্থি এখনো জমিদার বাড়িতে আছে। শহরে টিকে থাকা তো কম কথা নয়। তাই ওখানে সবকিছু পাকাপোক্ত করে এমাসেই এসে নিয়ে যাবে নিবিড়। অর্থির মন খারাপ হয় খুব।

মাষ্টারমশাইকে ভেবে তার মনে ঝড় বয়ে যায়। চিত্র, অর্পিতা আপাতত শহরে আছে। যান্ত্রিক শহরে নিজেদের পড়ালেখার সাথে সাথে ছোট্ট একটা সংসারও সাজিয়েছে। চৈত্রিকা আর প্রহরের মাঝের সম্পর্ক আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। ভালোবাসা বেড়েছে দ্বিগুণ। গরমের দিন হওয়ায় দুপুর বেলায় খেয়ে ভাতঘুম দিয়েছে প্রহর। পল্লবী বোনের বাড়ি গেছে। চয়ন আর সাদিক নিজেদের কাজে গেছে। শিমুল আর শায়লাও শহরে। নীরা আর অর্থিও নিজেদের ঘরে ঘুমাচ্ছে। চৈত্রিকা বিছানার ওপর পা তুলে খানিকক্ষণ বসে থেকে প্রহরকে দেখে৷ এরপর কি মনে করে ঘর থেকে বের হয়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

পুরো বাড়ি ফাঁকা। বাড়ির সব মেইডরাও নিজেদের কক্ষে। চৈত্রিকা একবার নীরার ঘরে উঁকি দিয়ে দরজা ভালো মতো ভিড়িয়ে দিয়ে নাসিমার ঘরের দিকে পা বাড়ায়। নাসিমার ইদানীং মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। সারাদিন ঘর বন্ধী হয়ে থাকে। চৈত্রিকা শান্ত মুখশ্রী নিয়ে নাসিমার ঘরের দরজা খোলে। নাসিমা তখন দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে লেপ্টে রয়েছে। দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ভীতু দৃষ্টিতে তাকায় চৈত্রিকার দিকে। চৈত্রিকার মুখ দেখেই বার বার বিড়বিড় করতে থাকে। নিজেকে গুটিয়ে নেয়। চৈত্রিকা নিজেকে শান্ত, স্বাভাবিক করে বলে,

‘নিজের পা’পের শা’স্তি এভাবে পাবেন তা আমি কখনোই ভাবিনি। তবে আপনার এতোটুকু শা’স্তিতে আমি খুশিও হতে পারছি নাহ আবার বেজারও হতে পারছি নাহ। আপনি যা যা করেছেন সেগুলোর তুলনায় শা’স্তিটা কি একটু কমই হয়ে গেলো না!’
নাসিমা শা’স্তির কথা শুনেই বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরে ভয়ে। মনে পড়ে যায় সে একদিন ভোরে স্বপ্ন দেখেছিলো চৈত্রিকা তার বুকে ত’লো’য়া’র ঢু’কিয়ে দিয়েছে। ভয়ে বার বার চোখের পলক ঝাপটাতে ঝাপটাতে ঠোঁট নাড়িয়ে বলতে থাকে,
‘তুই এতো পা’ষাণ না। হতে পারিস নাহ। চৈত্র তো কোমল, নরম ছিলো। আমাকে মা’রবি না চৈত্র। আমি তোর মা।’

চৈত্রিকা তাচ্ছিল্য করে হাসে। বুকের ওপর হাত আড়াআড়ি ভাবে রেখে কন্ঠে একরাশ ঘৃ’ণা ঢেলে বলে, ‘আমার মা অনেক দিন আগেই মা’রা গেছে। আপনি তো এক ঘৃ’ণ্য মহিলা যে কিনা নিজের স্বা’র্থে সবই করতে পারে। এমন মানুষকে না মা’রার কি আছে?’
নাসিমা হুট করেই কাঁপতে শুরু করে। এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা ফুলদানি ছুড়ে মা’রে চৈত্রিকার দিকে। ঘটনার আকস্মিকতায় চৈত্রিকা সরার আগেই ফুলদানি এসে তার পায়ের ওপর পড়ে।

ব্যাথায় চোখ মুখ কুঁচকে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সহ্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে মেঝেতে বসে। নিজের পা আঁকড়ে ধরে চোখ তুলে তাকাতেই নাসিমা দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। চৈত্রিকা ব্যাথা সহ্য করার চেষ্টা করে ঘাড় ফিরিয়ে তাকায় নাসিমার যাওয়ার দিকে। চৈত্রিকাও উঠে পড়ে। পা টেনে টেনে এসে রেলিং এর সামনে দাঁড়ায়। নাসিমা ততক্ষণে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেছে। চৈত্রিকা বুঝে না হঠাৎ নাসিমা কোথায় গেলো!

তাই ওভাবে পা টেনে টেনেই নিজেও সিড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে আরো একবার পায়ের দিকে তাকাতেই দেখে পায়ের আঙুলের কোণার দিকে তাকিয়ে দেখে সেখানটা কেটে ফোটা ফোটা রক্ত বের হচ্ছে। তবুও নিজের কথা না ভেবে সদর দরজা দিয়ে বাহিরে আসে। আশে পাশে তাকিয়ে কোথাও নাসিমাকে দেখে নাহ। দুরে বাড়ির গেইটও লাগানো তার পাশেই দাড়োয়ান বসে আছে।

চৈত্রিকা ঠোঁট কামড়ে ভাবতে থাকে নাসিমা কোন দিকে যেতে পারে! একটু খানি ভেবেই সে এগোয় পুকুর পাড়ের দিকে। পুকুরের সীমানায়য় পা রাখতেই সেখানে এক ধ্যানে নাসিমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। চৈত্রিকা তার কাছাকাছি এগোনোর আগেই পুকুরে লাফ দেয় সে। মস্তিষ্কের কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় নাসিমা সাঁতার কা’টতে পারে নাহ। শুধু তলিয়ে যায় গভীরে। ছটফট করতে থাকে পানি থেকে উঠার জন্য। কিন্তু পারে নাহ।

জমিদার বাড়ির রা’ক্ষুসে পুকুরটা গি’লে নেয় তাকে। চৈত্রিকা একটুও নড়ে না। যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো ঠিক সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে। চোখের সামনে নিজের মা’কে ডু’বে যেতে দেখেও সে সামান্যও সাহায্য করে নাহ। কাউকে ডাকেও নাহ। শুধু এক ধ্যানে তাকিয়ে দেখে মায়ের মৃ’ত্যুবরণ করা, তলিয়ে যাওয়া! সেদিকে তাকিয়ে থেকেই চৈত্রিকা কাঁপা স্বরে আওড়ায়,
‘হয়তো প্রকৃতি চায়নি নিজের মেয়ের হাতে মায়ের শা’স্তি হোক! হয়তো প্রকৃতি চায়নি একজন গর্ভধারিণী মা তার মেয়ের হাতে খু’ন হোক!’

সন্ধ্যা থেকে বাড়িতে চেচামেচির সৃষ্টি হয়েছে। সাদিক, চয়ন কাজ থেকে ফিরে নাসিমাকে না দেখে হুলুস্থুল কান্ড বাধিয়ে দিয়েছে। সাদিক বার বার চৈত্রিকার নাম নিয়েই চেচামেচি করছে। দু তলার রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে শুধু দেখলো চৈত্রিকা। একটা আওয়াজও করলো না। যেভাবে দেখার জন্য এসে দাঁড়িয়েছিলো ঠিক সেভাবেই নিজ স্থান প্রস্থান করে। পায়ের ব্যাথাটা টনটন করে বাড়ছে। ধাপ রাখাটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কোনো রকম ব্যাথায় চোখ মুখ কুঁচকে নিজের বিছানায় বসে। পায়ের দিকে তাকিয়ে হাসে। বিড়বিড় করে বলে,

‘মৃ’ত্যুর আগেও আমাকে ব্যাথা দিয়ে গেলে মা!’
হাসতে থাকে৷ চোখ বেয়ে অজান্তেই পানি গড়ায়। একজন স্বা’র্থ’প’র মায়ের জন্য তার চোখে পানি! কাঁদছে চৈত্রিকা! নিজের প্রশ্নের উত্তর সে নিজেই পেলো৷ তার ভেতরকার হাহাকার গুলো স্পষ্ট ভাবে বলছে,
‘যতই তিনি স্বা’র্থ’প’র, খু”নী, অ’প’রা’ধী হোক! তবুও সে তোমার মা। সেই মা যে ছোট্ট বেলায় তোমাকে বুকে আগলে বড় করেছে। সেই মা যে তোমার ব্যাথায় কোনো একসময় ভীষণ কেঁদেছে! তুমি যতই ঘৃ’ণা করো তাকে! তবুও তোমার মনের কোণ থেকে সেই স্মৃতি গুলো মুছবে কেমন করে?’

চৈত্রিকার ভীষণ রাগ হলো৷ নিজের ওপর তার অনেক বেশি রাগ হলো। যে মহিলা তার বাবার সাথে বি’শ্বা’সঘা’তকতা করে তাকে মে’রে ফেললো! সেই মহিলার জন্য সে কষ্ট পাচ্ছে! রাগে নিজের চুল আঁকড়ে ধরে। ব্যাথা পায়ে রাগে জোড়ে খাটে লা’থি দেয়। নিজেই ব্যাথায় চোখ মুখ কুঁচকে দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকে৷ এর মাঝেই ঘরে প্রবেশ করে প্রহর। বিকেলে ঘুম থেকে উঠেই সে কোনো এক কাজে গেছিলো! চৈত্রিকাকে অদ্ভুত ভাবে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে নেয়। শান্ত গলায় বলে,
‘আজ আমার বউজানের তেজ কই? তাকে যে নিচে এতো কথা বলা হচ্ছে সে সব হজম করছে কিভাবে?’

প্রহরের কন্ঠ কানে আসতেই চৈত্রিকা চট করে মাথা তুলে তাকায়। ইচ্ছে করে এক ছুটে প্রহরের বুকের গভীরে লুকিয়ে যেতে। যেখানে কোনো বিপদ, মন খারাপ, অসহ্য অনুভূতি ঘিরে ধরবে না! ভীষণ কান্না পায়। ভেজা চোখে শুধু পলকহীন তাকিয়ে রয় প্রহরের দিকে। প্রহর নিজের পড়নের শার্ট খুলে অন্য একটা শার্ট গায়ে জড়িয়ে পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চৈত্রিকার দিকে। কতটা সময় পার হয়ে গেলো অথচ চৈত্রিকা জবাব দিলো না কেনো তা দেখার জন্যই তাকিয়েছিলো। কিন্তু চৈত্রিকার উদ্ভ্রান্ত, এলোমেলো, ভেজা দৃষ্টি দেখে তার চোখ মুখ শান্ত, গম্ভীর হয়ে যায়। এগিয়ে আসে চৈত্রিকার সামনে। সরাসরি চৈত্রিকার চোখে চোখ রেখে শুধায়,
‘কি হয়েছে চৈত্র? চোখ মুখ এমন লাগছে কেনো? আব্বাজান বা সাদিক চাচা কিছু বলেছে?’

চৈত্রিকা উত্তর দিলো নাহ। দৃষ্টিও ফেরালো নাহ। ততক্ষণে প্রহর চঞ্চল হলো। চৈত্রিকার এমন করুণ রুপ দেখে তার বুকের ভেতর ঝড় বয়তে শুরু করে। সে ঝড়কে বাড়িয়ে দিয়ে চৈত্রিকা চোখ বন্ধ করে নেয়। সাথে সাথেই চোখের কোণ বেয়ে জল গড়াতে শুরু করে। প্রহর আলগোছে একটা হাতে চোখ মুছিয়ে দেয়। চৈত্রিকা ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে। প্রহর আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করে,

‘কি হয়েছে চৈত্র? কান্না করছো কেনো? কেউ কিছু বলেছে? আচ্ছা আমাকে বলো কি হয়ছে! আমি আছি তো!’
ব্যাস! সাথে সাথেই প্রহরের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চৈত্রিকা। প্রহর অবাক হয় নাহ। শক্ত করে নিজের বুকের বাম পাশটায় নিজের প্রিয় বউয়ের মাথাটা চেপে রাখে। অন্য হাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। চৈত্রিকা কান্নারত স্বরে বলে,
‘আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে জমিদার সাহেব। আমি চাইনি মা শা’স্তি থেকে বেঁচে যাক! আবার তাকে নিজের চোখে মৃ’ত্যুর কোলে ঢলে পড়ার পরও আমার কষ্ট হচ্ছে। কেনো?’

প্রহর অবাক হলো। তবে প্রশ্ন করলো নাহ। শুধু যত্ন করে আঁকড়ে ধরে রইলো। চৈত্রিকা কাঁদলো! ভীষণ কাঁদলেো! হাউমাউ করে কাঁদলো। প্রহর শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো। ভীষণ কষ্ট করেও বলতে পারলো না কোনো শব্দ। শুধু বুকের চিনচিনে ব্যাথাটা সহ্য করে নিলো। চৈত্রিকা একটু থামতেই প্রহর শান্ত কন্ঠে বললো,

‘এতো অ’ন্যায়ের পরও সে তোমার মা ছিলো৷ কিন্তু উনি যা করেছেন তা খুবই খারাপ। খুবই জ’ঘ’ন্য।’
চৈত্রিকা চুপ করে পড়ে রইলো। প্রহরও চুপচাপ চৈত্রিকার মাথায় হাত বুলাতে থাকে। সময় কাটে। দুজনেই নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়৷ নিচ থেকে চেঁচামেচির আওয়াজটা ক্ষীণ বাড়তেই দুজনে ছিটকে সরে বসে। প্রহর এক পলক চৈত্রিকার দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে বলে,

‘নিচে চলো!’
চৈত্রিকা চোখ মুখ ভালো ভাবে মুছে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বেখেয়ালি ভাবে পা ফেলতে গেলে ব্যাথায় আর্তনাদ করে ওঠে। প্রহর চমকায়। দ্রুত এগিয়ে এসে বলে,
‘কি হলো? ব্যাথা পাইছো? দেখি!’
চৈত্রিকার উত্তরের অপেক্ষা না করেই পা টেনে নিজের হাঁটুতে নেয়। চৈত্রিকা ইতস্তত করে বলে, ‘কি করছেন জমিদার সাহেব?’
‘কোথায় ব্যাথা পেয়েছো? পা এতো ফুলেছে কেনো? কে’টেছেই বা কেমন করে?’

চৈত্রিকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নত করে বলে, ‘মা ফুলদানি ছু’ড়ে মে’রেছিলো। ওটা এসে পায়ের ওপর পড়েছে!’
প্রহর চোখ মুখ শক্ত করে তাকায়। চৈত্রিকা ঠোঁট চেপে অবুঝের মতো তাকিয়ে থাকে। প্রহর রাগ দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে বলে, ‘বিছানা থেকে খবরদার পা নামাবে নাহ। নয়তো তোমার পা কে’টে তোমার হাতে ধরিয়ে দেবো।’
‘আমি নিচে যাবো না?’
‘নাহ যাবে নাহ।’

চৈত্রিকা কিছু বললো নাহ। বলতে ইচ্ছেও করলো নাহ। শুধু প্রহরের কথা অনুযায়ী পা বিছানার ওপর তুলে শুয়ে পড়ে। প্রহর ঘর থেকে হনহন করে বেড়িয়ে যায়। চৈত্রিকা কপালে ভাজ ফেলে তাকিয়ে থাকে। কি হলো হঠাৎ? কার ওপর রাগ করে চলে গেলো? তার ওপর নাকি নাসিমার ওপর!

গতকাল রাতেই নিবিড় এসেছে। বিনাবাক্যে তাকে বাড়িতে ঢুকতেও দেওয়া হয়েছে। চয়নের আপত্তি থাকলেও প্রহরের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে চয়ন চুপচাপ মেনে নিয়েছে নিবিড়ের বিষয়টা। তবে সে নিজ মনে পণ করে রেখেছে কিছুতেই নিজের মেয়েকে নিয়ে যেতে দেবেন নাহ। এসবের মাঝেই ছুটতে ছুটতে এসেছেন এক মেইড। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে হাঁপাতে থাকলেন তিনি। পল্লবী ভ্রু কুঁচকে বললেন,

‘এমন ভাবে হাঁপাচ্ছো কেনো? তোমাকে যে বললাম পুকুরপাড়টা পরিষ্কার করানোর জন্য দেখিয়ে দিতে! দেখিয়েছো?’
মহিলাটি ভয়ে কথা ই বলতে পারছেন নাহ। শুধু কোনো রকমে বললেন,
‘গিন্নিমা! পুকুরের মাঝখানটায় ২ ডা লা’শ ভাইসা উঠছে। দুর থেকে বোঝা যায়তেছে নাহ ওগুলো কারা! কিন্তু..’

চৈত্রিকা পর্ব ৪৯

সবাই বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকায়। কি বলবে তা খুঁজে পায় না। চৈত্রিকা অবাক হয়ে মহিলাটির দিকে তাকিয়ে থাকে। কাল তো কেবল নাসিমা ই পুকুরে লা’ফ দিয়ে নিজের প্রাণ নিলো! তবে ২য় লা’শ কার?

চৈত্রিকা পর্ব ৫১