জলকাব্য পর্ব ৩ || লেখিকা:সুরাইয়া আয়াত

জলকাব্য পর্ব ৩
লেখিকা:সুরাইয়া আয়াত

সকাল থেকে নীলু কিছু খাইনি , রূদ্রও একবারো নীলুর খবর জানতে চাইনি , কালে রাত্রে নীলুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে এটা জানা সত্ত্বেও যে নীলু অন্তঃসত্ত্বা ৷ রূদ্রর সন্তানই তো নীলু তার গর্ভে ধারন করছে আজ তারই যদি কিছু হয়ে যাই তাহলে একবারের জন্যও কি রূদ্রর বুকটা কেঃপে উঠবেনা? তার অনাগত সন্তানের প্রতি কি রূদ্র একেবারেই অনুভূতিহীন?
কথাগুলো ভাবছে আর পোলাওটা নাড়ছে নীলু ৷ নিজে সারাদিন কিছু খাইনি , দুপরটাও না খেয়েই কাটিয়েছে, পেটের মাঝে তার ছোট্ট সন্তানটাও যেন কাকুতি মিনতি করে বলছে
” মা এবার কিছু খেয়ে নাও, নাহলে অসুস্থ হয়ে যাবে তুমি ৷”

কথাগুলো ভাবছে আর মনের ভিতর আচড় কেটে যাচ্ছে ৷ নীলু কি করে পারছে তার অনাগত সন্তানের প্রতি এতোটা নিষ্টুর হতে ! সে কি বোঝে না যে মায়ের কষ্টে সন্তানের ও কষ্ট হয় ৷
পোলাওটা ওভেন থেকে নামিয়ে নতুন একটা কড়াই ওভেনে বসালো ৷ রুদ্রর জন্য এখন চিলি চিকেন বানাবে , রুদ্র পোলাও আর চিলি চিকেন খুব পছন্দ করে, আগে রুদ্র মন খারাপ করে থাকলে নীলু ওগুলো ওকে বানিয়ে দিতো ৷ রুদ্রর রাগটাও নিমেষেই উধাও হয়ে যেত ৷ আজও সেই আশা নিয়েই ভালোবেসে সব বানাচ্ছে নীলু ৷ প্রায় 2 ঘন্টা ধরে ভ্যাপসা গরমে রান্না ঘরেই পড়ে আছে, চিমনিটাও খারাপ, গরম ধোঁয়াতে নীলুর নাজাহাল অবস্থা, কিন্ত ওই যে বলে না প্রিয় মানুষের মুখের হাসিটা দেখার জন্য কোন কষ্টই কষ্ট বলে মনে হয়না ৷ কিন্ত এভাবেও কি নীলু রুদ্রর মন পাবে ?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাত 8টা বাজে,রুদ্র 9টার দিকে বাসায় ফেরে ৷ সারাটা দিন নীলুকে বাসায় একাই কাটাতে হয় ৷ চিকেনটা রান্না করতে খুব বড়ো জোর 45 থেকে 50 মিনিট লাগবে ,তারপর নীলু গোসলে যাবে ৷ ততখনে রুদ্র হয়তো চলে আসবে ৷ আজ রুদ্র ফিরলে নীলু যথাসাধ্য চেষ্টা করবে যাতে রুদ্র মিঠির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই, স্ত্রী থাকতে এমন অবৈধ সম্পর্ক থাকা পাপ ৷ কথাগুলো ভাবতে ভাবতে নীলু চিকেনটা কষিয়ে নিলো ৷

“আচ্ছা মা তোমাকে একটা কথা বলি ?”(মুখে ভাত তুলে মুখের ভাতটা চিবোতে চিবোতে শ্রাবন ওর মা কে বলে উঠলো
শ্রাবনের মা হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করবে করতে বলল
” কি বলবি বল ৷”
শ্রাবন ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল
” আচ্ছা তুমি কবে এই হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করা বন্ধ করবে বলোতো ? এই যে ঘরে ফ্যান চলা সত্ত্বেও তুমি আমাকে হাওয়া করো তোমার কষ্ট হয়না ? তোমার হাত ব্যাথা করে না?”
উনি খানিকটা চোখ পাকিয়ে রাগী গলায় বললেন

” মায়েদের আবার কষ্ট ! আর মায়ের কষ্ট যদি এতোই চোখে ধরে তাহলে বিয়ে করে একটা বউ আনছিস না কেনো ঘরে ! তোর বউ আসলে সে হাওয়া করবে তখন এই দায়িত্ব থেকে আমার ছুটি ৷”
শ্রাবন মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলল
” মায়েদের ও বুঝি ছুটি হয় ?”
কথাটা শুনতেই ওনার চোখে জল চলে এলো ৷ শাড়ির আঁচলের এক কোনা দিয়ে জল মুছলেন ৷ শ্রাবনের চোখেও জল চলে এলো ৷ চোখ নামিয়ে নিয়ে থালার দিকে তাকিয়ে বলল

” তোমার সত্তিই খুব কষ্ট হয় তাইনা মা ? মায়েদের কখনো ছুটি নেই তারা স্বামী ,সংসার ,সন্তান নিয়ে সবসময় ব্যাস্ত থাকে , কখনো আপসে সময় কাটাই না ৷ মা হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে যাই কতো দায়িত্ববোধ, পরিবর্তন ঘটে তাদের ব্যাবহারের , কতো স্বভাব বদলে যাই ৷ আজ নীলুও মা হতে চলেছে ওর ও বুঝি সব বাচ্চামো স্বভাবগুলো কেটে গিয়ে একজন গিন্নীর মতো ব্যাবহার হবে,তাইনা ?”
থালায় ভাতগুলো নাড়াচাড়া করতে করতে আনমনেই বলে উঠলো শ্রাবন ৷
শ্রাবনের কাধে হাত রেখে ওর মা ওর ভাবনার ঘোর কাটিয়ে বলল
” নীলু মা হচ্ছে তুই বলিস নি তো !”
শ্রাবন মাথা নীচু করে চুপ হয়ে আছে ৷ কি বলবে ও? নীলুকে অন্য কারোর সাথে ভাবলেও যে কষ্ট লাগে ৷
খানিক উদাস গলায় বলল

” এইতো দুইমাস চলছে, আমিও জানতাম না, নীলুর মায়ের সাথে সেদিন দেখা হয়েছিলো তাই উনিই বলছিলেন ৷”
“নীলুর মায়ের সাথে দেখা হয়েছে ” এই কথাটা শ্রাবনের মুখ থেকে শুনে উনি খানিকটা কৌতুহলী সুরে বললেন
” উনি তোকে শুধু এটা বলেছেন? কথা শোনাইনি ? কথাও শুনিয়েছে নিশ্চয় , আবার হয়তো তোর গান নিয়ে, তোর ভবিষ্যৎ নিয়ে হাজার হাজার কথা শুনিয়েছে , নিশ্চয়ই এটা বলেছে যে ” বাপ মরা সন্তান, কিছুই করোনা, বসে বসে মায়ের পেনশনের টাকায় ফুটানি করো , এভাবে আর কতোদিন?”
.এগুলোই বলেছে নিশ্চয়ই ৷
শ্রাবন চুপচাপ মুখের ভাতটা নিমেষেই গিলে বলে উঠলো

” থাক না মা বাদ দাও, ওনার কথা আমি কখনোই গায়ে মাখিনা ,তাছাড়া আমার শুভাকাঙ্খী হিসাবে কথাগুলো উনি কখনো বললে সেটা আমি মেনে নিতাম কিন্তু উনি তো তেমন মন মানসিতার নন, উনি কেবলই টাকা চেনেন ৷ টাকার জন্য নীলুকে রুদ্র নামের ওই লোকটার হাতে তুলে দিতেও দ্বিধা বোধ করলেন না, কোথায় নীলুর 20 বছর বয়স আর কোথায় রুদ্র 33 বছরের ৷ না জানি নীলু কেমন আছে ! আচ্ছা মা তুমিই একটা কথা বলো টাকাটাই কি জীবনের সব ? টাকাতেই কি সব সুখ ?”
শ্রাবনের মা মুচকি হেসে বললেন

“আমাদের এই ছোট্ট ঘরে টাকা না থাকলেও কি সুখ নেই ? আমরা তো সুখে আছি তাইনা ! টাকাটাই বড়ো কথা নয় ৷ সুখটা বড়ো জিনিস যেটা একজন উচ্চবিত্তের ঘরে নাও থাকতে পারে ৷ পরিবারের মানুষের মধ্যে মনের মিল দরকার , একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দরকার তবেই না সেই সংসার সুখের ৷”
শ্রাবন ওর কাধে থাকা ওর মায়ের হাতটা অপর হাত দিয়ে ধরে বলল
” তুমি একটু নীলুকে দেখে আসবে ? মেয়েটা মাঝেমাঝে ফোন করে, একটু কথা বলেই রেখে দেই তাতে আমার প্রান জুড়াই না ,হাহাকার বয়ে যাই মনের মাঝে ৷ আমি চাইলেও তো আর ওর সাথে দেখা করতে পারিনা আর সেটা দৃষ্টিকটু দেখাই কিন্তু তুমি গেলে তো আর নিশ্চয়ই কোন সমস্যা হবে না , তাই তুমি একটু যাও ৷ ওর এই সময়ে ওকে ভালো মন্দটা একটু বুঝিও , মেয়েটা বড্ড বেখেয়ালি ধরনের নিজের যত্ন নেই না একেবারেই ৷”

কথাগুলো বলে শ্রাবন থেমে গেল ৷ শ্রাবনের কথা শুনে ওনার একবার হলেও মনে হলো এই সময়ে নীলুর সাথে একটু দেখা করা দরকার ৷
উনিও শ্রাবনের সাথে সম্মতি প্রকাশ করে বললেন
” আচ্ছা আমি কালকেই যাবো ৷ আমি তো চিনিনা তুই একটু আমাকে ওর বাসাতে নামিয়ে দিয়ে আসিস তাহলেই হবে ৷”
শ্রাবন একগাল হেসে বলল
” হমম দিয়ে আসবো ৷”

নীলু সবে গোসল করে রুমে ঢুকতেই দেখলো রুদ্র রুমে ঢুকেছে ৷ রুদ্র কেমন একটা অদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে একবার তাকিয়ে ওকে উপেক্ষা করে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল ৷ রূদ্রর এই চাহনির ব্যাখ্যা নীলুর কাছে নেই ৷
ওবুও এই মুহূর্তে নীলু বেশি কিছু ভাবতে চাইছে না তাই আয়নাতে কোন রকম নিজেকে দেখে চিরুনি দিয়ে অগোছালো চুলগুলোর মাঝে একটু চিরুনি ঠেকিয়ে সিঁথি কেটে তড়িঘড়ি করে কিচেনে চলে গেল ৷ রুদ্র ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসার আগেই নীলুকে টেবিল সাজাতে হবে ৷ আজ যেন রুদ্র ওকে ফেরাতে না পারে ৷ আর যাই হোক রুদ্র ওর স্বামী, সংসারটাও ওর, সংসারটাকে তো ওকেই বাঁচাতে হবে ৷

নীলু টেবিল সাজিয়েছে ৷ প্রায় 15 মিনিট হয়ে গেলো নীলু রুদ্রর জন্য অপেক্ষা করছে কিন্ত রুদ্র আসছে না দেখে নীলু এবার খানিকটা উঁকিঝুকি মেরে বলল
” আপনি কি ফ্রেশ হয়েছেন? আমি খাবার সাজিয়েছি, তাড়াতাড়ি আসুন, খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ৷”
ওপাশ থেকে কোন উত্তর এলোনা, নীলু আরো 2 মিনিট কপেক্ষা করলো ৷ রুদ্র এখনো আসছে না দেখে নীলু ঘরে গেল ৷ নীলু ঘরে যেতেই দেখলো রুদ্র ফোন কানে দিয়ে কথা বলছে
” আরে মিঠি খেয়ে নাও , তুমি না খেলে আমিও খাইনা তুমি তো জানো বলো ৷”
আবার পরক্ষনেই বলে উঠলো
” ওহ তুমি খেয়েছো ৷ এই না হলে মিঠি ৷”

কথাটা বলে হাসতে হাসতে পিছন ঘুরতেই দেখলো নীলু দাঁড়িয়ে আছে ৷ নীলুকে বাকা চোখে দেখে বলল
” আচ্ছা মিঠি এখন রাখি বাই, পরে কথা হবে ৷”
রুদ্র ফোন রাখতেই নীলু মাথা নীচু করে বলল
” আপনার জন্য খাবার বেড়েছি, আসুন খেয়ে নেবেন ৷”
নীলুর কান্না পাচ্ছে খুব ৷ কই রুদ্র তো কখনো ওকে এমন বলেনা যে ” নীলু তুমি না খেলে আমি খাবোনা ৷”
নীলু চোখের জল মুছে ডাইনিং টেবিলের দিকে পা বাড়ালো ৷
রুদ্র খানিকটা গম্ভীর মুখে খেতে গের ৷ গিয়ে দেখলো টেবিলজুড়ে প্লেট আর বেশ কয়েকটা বাটি সাজানো ৷ নীলুকে কিছু না জিজ্ঞাসা করে খেতে শুরু করলো ৷ নীলু খেয়েছে কি তা একবার ও জানতে চাইলো না ৷ নীলু উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো

” খাবার গুলো ভালো হয়েছে ?”
রুদ্র কিছু বলল না ৷ নীলু আবার এটু সাহস জুগিয়ে বলল
” আপনি প্লিজ আমার কালকের কথায় কিছু মনে করবেন না আমি যখন সত্যিটা জানলাম খুব কষ্ট পেয়েছিলাম তাই নিজেকে সামলাতে পারিনি ৷ আর আপনার অছে আমার অনুরোধ প্লিজ মিঠিকে ভুলে যান , এসব অবৈধ সম্পর্কে আর জড়াবেন না প্লিজ ৷”
কথটা শোনা মাত্রই রুদ্র হাতের প্লেটটা ফ্লোরে ছুঁড়ে মেরে বলল
” এটা কোন রান্না হয়েছে ? কি রেধেছো এসব ‌ ৷ শরীরের সাথে নিজের রান্নার সৌন্দর্য্যটাও তো দেখছি গেছে, কিছুই আর নেই ৷ আর কি বললে মিঠিকে ছাড়ার কথা ? নিজেকে কখনো ওর সাথে তুলনা করে দেখছো ? কোথায় ও আর কোথায় তুমি ৷ বাচ্চাটা আছে বলে মেনে নিচ্ছি মানে এটা নয় যে সব কিছু সহ্য করবো ৷ বুঝলে ?”
নীলুর কান্নার সাথে সাথে রাগটাও প্রখর হলো, কতোক্ষন আর ও এভাবে নীরবে সহ্য করে যাবে ৷ মানুষের ধৈর্য্য বলেও একটা জিনিস থাকে, তেমনি নীলুও আর পারছে না এতোকিছু মেনে নিতে ৷
নীলুও চেঁচিয়ে বলল

” তাহলে আমাকে বিয়ে করেছেন কেন? আপনি না করে দিতেন এই বিয়েতে ৷ মিঠিকেই নিজের জন্য যোগ্য মনে করলে ওকেই বিয়ে করতেন ৷ অন্তত আপনার মতো একটা মানুষ আমার জীবনে আসতো না যে আমাকে ভালো বাসেই না ৷ আপনি আছেন বলেই কেউ হয়তো আমাকে নিরবে ভালোবেসে গেছে মুখ ফুটে বলতে পারেনি ৷ কি দোষ আমার ? এটুকু সুখ কি আমি চাইতে পারি না নাকি আমার অধিকার. নেই কোনটা ?”.
রুদ্রও এবার নীলুর কাছে গিয়ে নীলুর গালদুটো চেপে ধরে বলল

” ওহহ তোর ওই প্রেমিকের সাথেই এতো রাতে মেলামেশা করে এখন গোসল করেছিস তাইনা? আমি কি কিছু বুঝিনি ভেবেছিস ? তুই ও একটা নষ্টা মহিলা , চরিত্রের ঠিক নেই ৷ আর শোন আমার বাসায় থাকতে হলে আমার মতো করে চলবি নাহলে এ বাসায় তোর কোন জায়াগানেই বুঝেছিস ? ”
কথাটা বলে নীলুকে ধাক্কা মারলো ৷ নীলু গিয়ে কাঠের চেয়ারে ধাক্কা খেলো ৷ চেয়ারের সাথে ঠোঁটের ধাক্কাতে ঠোঁটটা কেটে গেছে ৷ নীলু ফুপিয়ে কাদছে ৷ প্রতিবাদ করলেই কি রোজ রোজ ওকে এভাবেই চুপ করিয়ে দেবে রুদ্র ? সত্যি বলার স্বাধীনতাটা কি একেবারেই হরিয়ে ফেলেছে?

চাঁদের আলো নীলুর মুখের ওপর পড়ছে , নীলুর মায়াবী মুখটা যেন আরো চমকাচ্ছে ৷ হঠাৎ কিছু একটা ভেবে নীলু ফোনটা হাতে নিলো ৷ তখন দেখলো নোটিফিকেশনে 5 ঘন্টা আগের একটা ভয়েজ এস এম এস শ্রাবনের থেকে ৷ নীলু চোখের জলটা মুছে ভয়েজটা অন করতেই গিটারের আওয়াজ পাওয়া গেল ৷

“তুই চিরদিন তোর দরজা খুলে থাকিস
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস ?
সাক্ষাৎ আলাদিন তোর প্রদীপ ভরা জিনে
কেন খুঁজতে যাস আমায় সাজানো ম্যাগাজিনে ?
ভেজা রেলগাড়ি হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে,
তারপর বেরোয় মেঘ
আর তারায় ভরা স্টেশন
একটু থামতে চায় প্রেমিকের ইন্সপিরেশন।
তোর এ সকাল ঘুম ভেঙে দিতে পারি
তোর এ বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি,
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি,
আমাকে খুঁজে দে জল ফড়িং।”

Music and lyrics:অনুপম রায়
গানটা শুনে নীলু মুচকি হাসলো ৷ শ্রাবনের গানের গলা নীলুর বড্ড পছন্দের ৷ মনের বিষাদমখা প্রহরে এক চিলতে রোদ খেলা করছে নীলুর মনে ৷
সত্যিই কি কেউ তাকে ভালোবাসে ? কেউ কি অপেক্ষা করে তার জন্য ৷

জলকাব্য পর্ব ৪