ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৫

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৫
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ

❝প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে।সিফাত আসছে গাড়ির দিকে।❞
নোমান সেই কথা শুনে আরো জোরে জড়িয়ে ধরলো তানিশাকে।আর বললো,আসতে দাও।আর দেখতে দাও ওকে।
–কি বলছেন এসব ভুলভাল? আপনি কিন্তু এবার আপনার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।এই বলে তানিশা নোমানকে ধাক্কা মারে।
–এখনো ছাড়ি নি সীমানা।এই বলে নোমান তানিশাকে আবার তার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। আর এবার একটু শান্ত কন্ঠে বলে,কি হয়েছে তোমার?হঠাৎ কেনো এমন আচরণ করছো?আর এভাবে পালিয়েই বা বেড়াচ্ছো কেনো?
তানিশা সেই কথা শুনে বললো, কই পালাচ্ছি?আমি তো আমার জায়গাতেই আছি।

–জীবনেও না।আগের তানিশা আর এখনকার তানিশার মধ্যে অনেক তফাত দেখতে পাচ্ছি।আমি আগের তানিশাকে ফেরত চাই।
–সম্ভব না।ছাড়ুন আমাকে।এই বলে তানিশা আবার নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু নোমানের বুক থেকে এবার আর সে ছাড়া পেলো না।
নোমান তখন বললো, জোরাজোরি করো না তানিশা।আজ তুমি কিছুতেই আমার থেকে ছাড়া পাবে না।আমাকে আগে সত্য কথা বলে দাও।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

–কিসের সত্য কথা?
–তুমি কি আমার প্রপোজ রিজেক্ট করছো?আমি বলতে চাচ্ছি তুমি কি আমায় ভালোবাসো না?
তানিশা নোমানের কথা শুনে বললো,এতোকিছুর পরেও আপনি এই কথাটা জিজ্ঞেস করতে পারলেন?আমি তো ভেবেছি আপনি ইতোমধ্যে সেটা বুঝে গেছেন।
–মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
–আমি পরিষ্কার ভাবে বলছি আমি আপনাকে ভালোবাসি না।

নোমান সেই কথা শুনে তানিশার মুখটি উপরে তুলে বললো, তানিশা আমার দিকে তাকাও প্লিজ।ভালো করে আমার চোখের দিকে তাকাও।দেখো একবার,নোমান তোমার জন্য কতটা পাগল হইছে।এইভাবে তাকে মাঝপথে ছেড়ে চলে যেওয়ো না।
তানিশা সেই কথা শুনে তার চোখ নামিয়ে নিয়ে বললো,আমি কবে আপনাকে বলেছি যে আমি আপনাকে ভালোবাসি।আপনাকে কে আমার জন্য বসে থাকতে বলেছে।আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে আমি আপনাকে ভালোবাসি না,আর কখনো বাসিও নি।আর ভবিষ্যৎ এ ও বাসবো না।

নোমান তানিশার কথা শুনে একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো।সে কখনোই আশা করে নি এটা।সে তো ভেবেছিলো তানিশাও হয় তো তাকে পছন্দ করে।কারণ তানিশা সবসময় তার দিকে তাকাতো,তাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসতো।আজ সে একেবারে মুখের উপর না করে দিলো।সত্যি অবিশ্বাস্য লাগছে তার।নোমান সেজন্য এবার তানিশার গা ধরে বললো তানিশা,প্লিজ ফান করো না আমার সাথে।আই এম সো সিরিয়াস।প্লিজ টেল মি দা ট্রুথ এন্ড স্টপ ইওর মেডন্যাস নাউ।
তানিশা নোমানের কথা শুনে বললো,আমার গা ছাড়ুন।বলছি না আমাকে যখন তখন এভাবে ছোঁবেন না।আর আমি সত্য কথা বলছি।কোনো পাগলামি করছি না আমি।এই বলে তানিশা নোমানকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।

নোমান একদম হা হয়ে গেলো।এতোবড় অপমান সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না।সে রাগে তার হাতে রাখা মোবাইল টিই ভেংগে ফেললো।তার রাগ তবুও কমলো না।অবশেষে নোমান কাউকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে একা একা বাসার দিকে চলে গেলো।
এদিকে তন্নি আর আমান খুঁজে খুঁজে একদম হয়রান হয়ে গেলো।তারমধ্যে আবার নোমানের ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে।ভীষণ টেনশনের মধ্যে পড়ে গেলো তারা।অন্যদিকে তানিশারও ভীষণ ভয় হতে লাগলো।নোমান আবার রাগ করে খারাপ কিছু করলো না তো?

তন্নি কাঁদতে কাঁদতে একদম শেষ হয়ে গেলো।নোমান হঠাৎ এভাবে কোথায় উধাও হলো?
তন্নি আর আমান তখন তাদের বাড়িতে ফোন দিয়ে নোমানের কথা জানালো।কিন্তু তারা বললো নোমান এখনো আসে নি বাসায়।সেজন্য আমান আর তন্নি এক মুহুর্ত ও দেরী করলো না।তারাও নিজেদের বাড়ির দিকে রওনা দিলো।তারা ভেবেছে হয় তো নোমান রাস্তার মাঝখানে আছে।সেজন্য এখনো ফেরে নি বাসায়।কিন্তু তন্নিরা যখন বাড়িতে পৌঁছলো তারা গিয়ে দেখে নোমান এখনো আসে নি।এবার বাসার সবাই ভীষণ টেনশন করতে লাগলো।হঠাৎ নোমান কাউকে কিছু না বলে কই গেলো?তার আবার কোনো বিপদ হলো না তো?

এইভেবে তায়েব চৌধুরী পুলিশের কাছে গিয়ে মিসিং ডায়েরী লিখলো। পুলিশ সাথে সাথে নোমানকে খুঁজতে লাগলো।তবুও তার কোনো হদিস পেলো না কোথায়।
তানিশা এবার ফোন দিলো তন্নিকে।কারণ তারও ভীষণ টেনশন হচ্ছিলো।কিন্তু তন্নি কাঁদতে কাঁদতে বললো,না ফেরে নি এখনো।তানিশা সেই কথা শুনে নিজেও ভয়ের মধ্যে পড়ে গেলো।সে ভাবতে লাগলো,সে এটা কি করলো?এইভাবে নোমানকে কষ্ট দেওয়া তার মোটেও উচিত হয় নি।কিন্তু নোমানকে হ্যাঁ বললে ওদিকে আবার তন্নি কষ্ট পেতো।সেও তো ভীষণ জেদী।হয়তো রাগ করে নিজের জীবন টাই শেষ করে ফেলতো।সেজন্যই তো সে নোমানকেই না করে দিয়েছে।

তানিশার আর অন্য কোনো উপাই ছিলো না।সেজন্য সে নামায পড়ে নোমানের জন্য দোয়া করতে লাগলো।আর বলতে লাগলো,
হে আল্লাহ,নোমান যেখানেই থাক না কেনো ও যেনো ভালো থাকে।ওর যেনো কোনো বিপদ না হয়।হে আল্লাহ আমাকে অনেক অনেক ধৈর্য্য দাও,যাতে আমি সব যন্ত্রণা নিজের বুকে চেপে রাখতে পারি।এই বলে তানিশা কাঁদতে লাগলো।তার যে কষ্ট হচ্ছে সেটা অন্য কেউ দেখতে না পারলেও সে ঠিক বুঝতে পারছে।এই যন্ত্রণা অন্য কেউ কখনোই বুঝতে পারবে না।অসহ্য যন্ত্রণায় তানিশা কাঁতরাতে লাগলো।সে এই যন্ত্রণা না সহ্য করতে পারছে না কাউকে বলতে পারছে।
নোমান নিঁখোজ হওয়ার কথা শুনে তানিশা আর গ্রামে কিছুতেই থাকতে পারলো না।সে সোজা নোমানদের বাসায় চলে আসলো।বাসায় এসে দেখে একজন লোকও ঠিক নাই।সবাই নোমানের টেনশনে খাওয়া দাওয়া পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। তানিশা কাকে কিভাবে শান্ত্বনা দেবে বুঝে উঠতে পারলো না।তখন তানিশা নিজের হাতে সবাইকে রান্না করে খাওয়াতে লাগলো।কিন্তু খাবারের প্রতি কারো কোনো রুচি ছিলো না।তবুও তানিশা নিজের পরিবারের মতো সবাইকে জোর করে করেই একটু করে খাওয়ালো।

অবশেষে দুইদিন পরে নোমান সুস্থ অবস্থায় ফিরে এলো।
আসলে নোমান সেদিন রাগ করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে তার বাসার দিকে আসে নি।সে কোনদিকে গিয়েছিলো তা নিজেও জানে না।সে চলতেই আছে চলতেই আছে।এভাবে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যায় নোমান তবুও ড্রাইভিং করেই যাচ্ছে।তার ইচ্ছে করছিলো না বাসায় ফিরতে। সেজন্য সে আর ফেরে নি।কিন্তু যখন তার মনে হলো তার কি এমন হয়েছে? সে এমন কেনো পাগলামি করছে?সামান্য একটা মেয়ের কারণে তার নিজের পরিবার এমনকি নিজেকেও অযথাই কষ্ট দিচ্ছে।না,সে ভেংগে পরার মতো ছেলে নয়।তাকে আরো অনেকটা পথ চলতে হবে।সে একজন ভবিষ্যতের ডাক্তার।তার এভাবে পাগলামি মানায় না।সেজন্য নোমান ফিরে এসেছে বাসায়।

নোমান বাসায় আসার সাথেই সবাই তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো।একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগলো সবাই।কিন্তু নোমান কারো প্রশ্নের উত্তর দিলো না।সে শুধু জানালো, ভীষণ টায়ার্ড সে,তার এখন ঘুমের দরকার।এই বলে নোমান তার রুমে চলে গেলো।

এদিকে তানিশা যখন দেখলো নোমান সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে তার টেনশন কিছুটা দূর হলো।সেজন্য সে তার হোষ্টেলে যেতে চাইলো।কিন্তু তন্নি কিছুতেই যেতে দিলো না তানিশাকে।সে তানিশাকে কিছুদিন থাকতে বললো।কিন্তু তানিশা তার পরীক্ষার অজুহাত দিয়ে চলে গেলো।সে চাইছিলো না আর নোমানের মুখোমুখি হতে।অন্যদিকে নোমান নিজেও তানিশার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।সেজন্য সে একবারও তানিশার দিকে তাকায় নি।তানিশা বুঝতে পেরে গেছে নোমান ভীষণ অভিমান করেছে তার উপর।আর তানিশা তো এটাই চাই।এইরকম অভিমান থাকাই ভালো।তাহলে নোমান আর তাকে বিরক্ত করবে না।

তানিশা অনেকদিন পর কলেজে আসলো।আর কলেজে যেতেই তানিশার বান্ধুবীরা একদম তাকে ঘিরে ধরলো।তানিশা তার গ্রামে গিয়ে কি কি মজা করলো সবাই সেটা জানতে চাইলো।বিশেষ করে লিরা আর রিশা হলো তানিশার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু।তানিশা তার বোনের বিয়ে সম্পর্কে ও বিস্তারিত ভাবে বললো।
লিরা তখন বললো গ্রামের লোকজন এবার তোকে ডাক্তার ম্যাডাম বলে ডাকে নি?তুই নাকি ইতোমধ্যে ডাক্তার হয়ে গেছিস?

তানিশা সেই কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,এবার আর শুধু ডাক্তার ম্যাডাম বলে নি।সবাই আমার কাছে ট্রিটমেন্ট করার জন্যও এসেছে।সবাই ভাবছে আমি ডাক্তারি চাকরি করি সেজন্য বিভিন্ন ঔষধ বুঝে নিতে আসলো।কেউ কেউ তো চেকাপ করার জন্যও এসেছে,আর বলছে তানিশা দেখতো আমার কোনো অসুখ আছে কিনা।দুই দিন ধরে কেনো খেতে পারি না।কোনো কোনো সুস্থ মানুষ ও হুদাই চিকিৎসার জন্য এসেছে।ফ্রির কথা শুনলে যা হয় আর কি?
লিরা আর রিশা তো ইতোমধ্যে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।তানিশা তখন বললো,তোরাই বল এখন আমি তাদের কি করে বোঝায় যে,আমি এখনো ডাক্তার হইনি। মাত্র মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শুরু করছি।আরো ৫ বছর অপেক্ষা করার পর তবেই কিছু একটা হতে পারবো।ডাক্তারির এখনো কিছুই আয়ত্ত করতে পারি নি সেটা কেউ বুঝতেই চাইছে না।তারা তো ভাবে আমি একজন ডাক্তার।

রিশা তখন বললো,তোর এলাকার সবাই যখন তোকে ডাক্তার বানিয়েই দিয়েছে তাহলে তুই এই সুযোগে একটু ডাক্তার হওয়ার ট্রায়াল দিতি।গায়ে এপ্রোণ জড়িয়ে চোখে একটা চশমা দিয়ে আর কানে স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে চেক করতি সবাইকে।
তানিশা সেই কথা শুনে বললো,আমি কি স্টেথোস্কোপ নিয়ে গেছি নাকি?আমি গেছি বোনের বিয়েতে মজা করার জন্য।
রিশা তখন বললো স্টেথোস্কোপ নাই তো কি হয়েছে হাতের নাড়ি অনুভব করে দেখতি আর কান পেতে বুকের হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করতি।ব্যাস হয়ে গেলো পরীক্ষা করা।

তানিশা অনেকদিন পর কলেজে এসে কলেজের লাইব্রেরি তে বসে পড়াশোনা করার পরিবর্তে গল্পের আসর পাতিয়েছে।তার বোনের বিয়েতে লিরা আর রিশাকেও দাওয়াত দিয়েছিলো কিন্তু তারা যায় নি।কারন তাদের পরিবার যেতে দেয় নি।
এদিকে তানিশাদের পিছন বেঞ্চে কলেজের লাইব্রেরি তে ভীষণ মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছিলো নোমান।তানিশারা এতো জোরে কথা বলছিলো যে সবার পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছিলো।নোমান তখন বাধ্য হয়ে তানিশাদের বেঞ্চে চলে গেলো।
নোমানকে দেখামাত্র রিশা বললো,হায় ভাইয়া,কেমন আছেন?

–জ্বি ভালো।এই বলেই নোমান রিশা আর লিরার দিকে তাকিয়ে বললো,তোমরা কি পড়তে এসেছো?না গল্প করতে এসেছো?পড়ার ইচ্ছা থাকলে চুপচাপ বই দেখো আর যদি না ইচ্ছা থাকে তাহলে মাঠের মধ্যে চলে যাও।এই বলে নোমান চলে গেলো।সে একটিবারের জন্যও তানিশার দিকে তাকালো না।
রিশা আর লিরা নোমানকে এমন রাগান্বিত দেখে ভীষণ অবাক হলো।তারা সবচেয়ে বেশি অবাক হলো এই ভেবে যে নোমান কেনো তানিশার সাথে কথা বললো না।অথচ সে সেদিন কলেজ আসে নি দেখে বার বার তানিশার কথা জিজ্ঞেস করছিলো।আর আজ তানিশার দিকে তাকালোও না।

হঠাৎ লিরা বললো,আচ্ছা তানিশা একটা সত্যি করে কথা বলবি?নোমান ভাইয়া আসলে তোর কে হয়?সেদিন ওনার সাথে একই গাড়িতে চলে গেলি।আবার তুই যখন তোর বোনের বিয়েতে গিয়েছিলি তখন আবার নোমান ভাইয়া তোর কথা জিজ্ঞেস করলো?
তানিশা লিরার কথা শুনে ভীষণ অবাক হলো।নোমান সত্যি তার কথা জিজ্ঞেস করেছিলো?তাকে ভীষণ কৌতুহলী লাগছিলো।সে তখন লিরাকে বললো,আমার বান্ধুবী তন্নির মামাতো ভাই সে।সেই সুবাদে পরিচয়।আর কিছু না।সেদিন ওদের বাসায় গিয়েছিলাম তো সেজন্য ওনার সাথেই কলেজে এসেছিলাম।আচ্ছা ওসব কথা বাদ দে।তার আগে বল নোমান আমার কথা কি কি জিজ্ঞেস করেছিলো?

রিশা তখন বললো, আমাদের দুইজনকে ডেকে বললো,তোমরা কি তানিশার ফ্রেন্ড?
আমরা বললাম হ্যাঁ।তারপর বললো তানিশাকে দেখছি না যে?আমরা তখন বললাম ও ওর বাড়ি গিয়েছে।ওর বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তানিশা রিশার মুখে এসব কথা শুনে একদম চমকে উঠলো।তার মানে নোমান তাকে অনেক বেশি মিস করেছে।আর সেজন্যই লিরা আর রিশাকে এভাবে জিজ্ঞেস করেছে।তানিশা তখন লিরাকে বললো,আর কি কি জিজ্ঞেস করেছে নোমান?

–না আর কিছু না।
আসলে প্রিয় মানুষের কথা শুনতে সবারই ভালো লাগে।সেজন্য তানিশা এভাবে বার বার জিজ্ঞেস করছিলো ওদের।
তানিশার এমন কৌতুহল দেখে লিরা আর রিশা দুইজন দুইজনার দিকে তাকালো।তারা বুঝতে পারলো কিছু একটা গন্ডগোল আছে।তবে তানিশা যে চাপা স্বভাবের মেয়ে মনে হয় না তার মুখ থেকে তারা কথা বের করতে পারবে।যা করার টেকনিকে করতে হবে।

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৪

সবাই শুধু বলছে ফ্ল্যাশব্যাক কবে শেষ হবে?কিন্তু ফ্ল্যাশব্যাক তাড়াতাড়ি করে শেষ করে বর্তমানে ফিরলে কেউ তো বুঝতে পারবে না আসলে অতীতে কি কি হয়েছিলো আর কি জন্য তারা সবাই আলাদা হয়ে গিয়েছিলো।সেজন্য বিস্তারিত ভাবেই দিচ্ছি।তবে আর বেশিদিন না।শীঘ্রই বর্তমানে ফিরবো।

ডাক্তার ম্যাডাম পর্ব ১৬