তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ২০

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ২০
Lutful Mehijabin (লেখা)

অতঃপর আকস্মিক কোন একটা কাঁচের বস্তু ভেঙে বিটক আওয়াজ হওয়াতে মেহেরের অস্বস্তি মাখা নিদ্রা বিদায় নিল। তৎক্ষণাৎ চোখ যুগল উন্মুক্ত করে উঠে বসল সে। ভয়ে হাঁফিয়ে হাঁফিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই বুঝে উঠল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার রুম হতে দ্রুত পদে বিদায় নিচ্ছে। মেহের ভয়ে শিউরে উঠল। লোকটার ছায়ার দিকে দৃষ্টি পরখ করতেই টের পেল ব্যক্তিটার আবছা অবয়ব।

মুহূর্তেই আবছা ছায়া অন্ধকারে মিশে গেল। মেহের বুঝতে পারল লোকটা অতিরিক্ত খাটো। মেহেরের মুখশ্রীতে ভয়ের আবির্ভাব গভীর হতে গভীরতর হয়ে উঠল। অত্যধিক হারে তার হাত পা কাঁপতে আরম্ভ করল। সে স্তম্ভিত নয়নে আবছা ছায়ার বিলিন হওয়ার দৃশ্যের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। মেহের স্তম্ভিত, বাকরুদ্ধ হয়ে খানিকটা সময় অতিবাহিত করল। অবশেষে সজ্ঞান হতেই মেহের লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াল। সঙ্গে সঙ্গে এলোমেলো পায়ে সমুদ্রের রুমের দিকে দ্রুত ধাবিত হতে আরম্ভ করল। জড়ে জড়ে নিশ্বাস ত্যাগ করতে করতে, মুখ দিয়ে অস্কুটস্বরে বিরবির করে বলতে লাগল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

–আ পি নি কোথায়? আমার যে ভয় হচ্ছে খুব। আমাকে,,,,,,
মুখ দিয়ে আর টু শব্দ ও নির্গত করতে পারল না মেহের। অতিরিক্ত ভয়ে তার নেত্রযুগল ভারি হয়ে আসতে আরম্ভ করল। অবশেষে দু এক পা এগুতেই সেন্স লেস হয়ে ফ্লোরের উপর ধপাস করে পড়ে গেল সে।

তার তিনটা বাজতে চলছে অথচ এসিপি শোয়াইব খান এখনো অবধি সমুদ্রকে যেতে দেয় নি। একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে সমুদ্রকে। খানিকক্ষণ ধরে সমুদ্রের মুখশ্রীতে চিন্তার ভাব স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। এই নিয়ে সাত বার তাকে ফোন করেছে আকাশ। কিন্তু সমুদ্র শোয়াইব খানের সামনে অবস্থান করার ফলে, কল রিসিভ করার প্রয়োজন বোধ মনে করেনি। ভেবেছে হয়তো বিনা কারণে আকাশ তাকে বিভ্রান্ত করতে কল করছে। একপর্যায়ে আর ফোনের বাজে ধ্বনি শোয়াইব খান কান এড়িয়ে যেতে পারল না। এসিপি শোয়ইব খান সমুদ্রের জড়তা বুঝে উঠতে সক্ষম হলেন। চোখ জোড়া সংকুচিত করে, কপালে সুক্ষ্ম ভাজ ফেলে প্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে বলে উঠল,

–এতো বার বার কে তোমাকে কল করছে?
এসিপি স্যারের প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে সমুদ্র স্বাভাবিক গলায় বলল,
–স্যার আকাশ কল করেছে।
সমুদ্রের জবাব পেয়ে এসিপি তিক্ত কন্ঠে বলে উঠলেন,

–এই বাচ্চাদের মতো স্বভাবের জন্য আমার আকাশকে একদম পছন্দ না। একজন সিআইডি অফিসার যে কতোটা কেয়ারলেস হতে পারে আকাশকে না দেখলে কখনোই জানতাম না। নিশ্চয়ই ও তোমাকে বিরক্ত করতে কল করছে।
এসিপি স্যারের কথা শুনে সমুদ্রের অন্তরালে কিঞ্চিৎ বিরক্তির আবির্ভাব ঘটল। এসিপির কথার জবাবে সে বলে উঠল,
–হয়তো আরজেন্ট হবে। স্যার আমি এখন আসি? আর একটা অনুমতি নেওয়ার ছিল আপনার কাছ থেকে।
সমুদ্রের কথা শুনে এসিপি কঠিন স্বরে বলে উঠল,

–হ্যাঁ বলো।
সমুদ্র খানিক ইতস্তত বোধের সহিত বলল,
–আসলে স্যার আমাকে একটু গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে। একটু পারিবারিক সমস্যার জন্য।
সমুদ্রের কথাই এসিপি চোয়াল শক্ত করে বলে উঠল,
–কেন?

মূলত মেহেরকে তার বাসায় রেখে আসতে যাবে সমুদ্র । আর মেহেরের যাবতীয় সব খরচ তার বাবা মাকে বুঝিয়ে দিয়ে আসবে। অর্থাৎ তার দায়িত্ব পালন করতে যাবে। তাই সে এসিপির কাছে থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য ছুটি চাইছে। সে স্বল্প চিন্তা ভাবনা করে বলল,
–ওইতো একজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে।
সমুদ্রের বলা বাক্যটা কর্ণপাত হতেই এসিপি তার আঁখি যুগল ছোট ছোট করে ফেললেন। কন্ঠস্বরে তিক্ততা এসে ভর্ৎসনার সহিত বললেন,

–তুমি কী আসলেই সমুদ্র! আই কান্ট বিলিভ? তুমি কিনা এমন ভাবে কথা বলছে। আমি তো জানতাম তুমি একজন স্টোং বয়। আর সেই তুমি কিনা কথার মাঝে ফ্যামিলি টেনে আনলে। তোমার কী মনে নেই সমুদ্র তুমি একজন সিআইডি অফিসার। অথচ দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে তুমি ততো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছ! মায়া মহব্বত একটু বেশি উদায় হচ্ছে তোমার মধ্যে?

আকস্মিক এসিপির ক্রোধের কারণ সমুদ্রের নিকট অজানা। হঠাৎ এসিপির রাগান্বিত মুখশ্রী দেখে সমুদ্র নিশ্চুপ হয়ে বসে রইল। এসিপি কথাগুলো বলে বার কয়েক ভারি নিশ্বাস ত্যাগ করে পুনরায় বলে উঠলেন,
–সত্যি করে বল সমুদ্র তুমি কী কোন মেয়ের সঙ্গে রিলেশনে গিয়েছ?
সমুদ্র নতজানু দৃষ্টি সরিয়ে থতমত নয়নে এসিপির দিকে তাকাল। আসলে কী তার মাঝে পরিবর্তন এসেছে! বিষয়টা তার নিকট আশ্চর্যজনক লাগছে। অতঃপর বিহ্বল হয়ে বলল,

–না স্যার। আপনি ভুল বুঝছেন।
এসিপি সমুদ্রের উত্তর পেয়ে স্বল্প শান্ত হয়ে উঠলেন। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট যুগল ভিজিয়ে দীর্ঘশ্বাস ত্যগ করে বলে উঠলেন,
–দেখ সমুদ্র আমি তোমাকে রিলেশনে জড়াতে নিষেধ করছি একটা বিশেষ কারনে। যদি কোন দিন সম্ভব হয় তাহলে তোমাকে কারণটা অবশ্যই বলব। তাছাড়া আমি চাই তোমাকে আমার নিজ ছেলের স্থান দিতে। তাই তো আমি তোমার বিয়ে আমার বন্ধুর মেয়ে সাকিলার সঙ্গে ঠিক করেছি। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে সাকিলাও তোমার মতো একজন সিআইডি অফিসার।

কথাগুলো একাধারে বলে কিছুটা থেমে গেলেন এসিপি। প্রায় মিনিট পাঁচেক নিরবতা পালন করলেন। কিঞ্চিৎ সময় পর তিনি সমুদ্রের নেত্র যুগলে তার স্থির দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে বললেন,
–সমুদ্র আমি চাইছি এই কেসটি সল্ভ হওয়ার পর তোমার আর সাকিলার একটা ব্যবস্থা করে দিতে। তাই যত দ্রুত সম্ভব কেসটা সল্ভ দেখতে চাই।
এসিপির কথা শুনেও সমুদ্র মেহেরের কথা চেপে গেল। মনে মনে মেহেরকে উপেক্ষা করে বলে উঠল,
–জী স্যার। আপনি আমার উপর ভরসা রাখুন।

সমুদ্রের এপার্টমেন্টের সামনে গাড়ি পার্কিং করে গাড়িতে বসে রয়েছে আকাশ। এখন আর রাত্রি গভীর নেই। ঘরির কাটাতে রাত চারটা বাজতে খানিক বাকি। আকাশের চোখে মুখে উপচে পড়া চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। তার দৃষ্টি জানালার স্বচ্ছ কাঁচ ভেদ করে বাইরের দিকে পরখ করছে। সে বারংবার তার হাত ঘরির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। প্রায় এক ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো পর্যন্ত সমুদ্রের আসার নামগন্ধ নেই। তৎক্ষণাৎ কোন গাড়ির আলো দৃশ্যমান হতেই আকাশের হৃদয় মনে একরাশ আশার আলো ঝিলিক দিয়ে উঠল। তার মনে হলো সমুদ্র এসে পড়েছে। মুহূর্তেই আকাশ গাড়ি থেকে নেমে পড়ল।

আকাশের ধারণা সত্যি করে দিয়েছে সমুদ্র। মাত্রই সে গাড়ির পার্কিং করে লিফ্টের যাবার উদ্দেশ্য পা যুগল চলন্ত করেছে। কেমন যেন অজানা আশঙ্কায় অস্থির হয়ে উঠছে তার অন্তরাল। অকারণে তার মস্তিষ্কে চিন্তার উৎপত্তি ঘটেছে। তাই সে দ্রুত পদে পা চালাচ্ছে। তার শরীর কুয়াশার বিন্দু বিন্দু জলে স্বল্প ভিজে গিয়েছে। মোবাইল ফোনের লাইট অন করে চললেও, তার চোখ যুগলে পরিষ্কার ভাবে কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে না।

ঘন কুয়াশায় দুই হাত দূরের জিনিসও দেখা দুষ্কর। সবকিছু যেন কুয়াশার শুভ্র চাদরে ঢাকা পড়েছে। কিছুটা পা এগুতেই সমুদ্রের লক্ষ্য হয় তার সামনে কোন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ সমুদ্র তার ফোনের লাইট লোকটার মুখশ্রীর দিকে নিক্ষেপ করল। সঙ্গে সঙ্গে আকাশকে দৃশ্যমান হতেই খানিকটা স্তম্ভিত হয়ে পড়ল সে। ঠোঁট যুগল হাল্কা সংকুচিত নিম্ন স্বরে বলে উঠল,

–তুই এখানে? আর এত বার বার আমাকে কল দিয়ে বিরক্ত করলি কেন?
সমুদ্রের কথা শুনে আকাশ অট্টসরে হেসে উঠল। কন্ঠে কিছুটা কঠোরতা এনে বলল,
–ওহ সরি, স্যার আপনাকে বিরক্ত করার জন্য। আগে তোর ফ্লাটে চল। তারপর না হয় বলি কেন তোকে বিরক্ত করেছি।
আকাশ কথা আগাগোড়া কিছুই বোধগম্য হলো না সমুদ্রের। অতঃপর আকাশের সঙ্গে লিফটে উঠে পড়ল সে।

মেইন ড্রোর খুলে ড্রইং রুমে প্রবেশ করতেই সমুদ্র বিহ্বল হয়ে পড়ল। কারণ সে তো ড্রইং রুমের লাইট অফ রেখে গিয়েছিল, তাহলে অন করছে কে! আকাশ সমুদ্রের মুখশ্রীতে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে বলল,
–আমি যা চিন্তা করেছিলাম তাই হয়েছে।
আকাশের বলা বাক্য কর্ণপাত হতেই সমুদ্র দ্রুত ধাবিত হলো মেহেরের রুমে। আকাশও তার পিছু অনুসরণ করে পা জোড়া সংকুচিত করল।

মেহেরের রুমে পা রাখতেই সমুদ্রের মস্তিষ্ক স্বল্প সময়ের জন্য কার্যক্রম বন্ধ করে দিল। এলোমেলো হয়ে মেহের স্বচ্ছ ফ্লোরে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে! সাথে সাথেই সমুদ্রের হাত পা শীতল হয়ে আসতে আরম্ভ করল। তার হৃদয় স্পন্দন নিমিষেই বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়ে উঠল। মুহূর্তেই তার উজ্জ্বল মুখশ্রী ঘন কালো মেঘের ন্যায় পাণ্ডর হয়ে উঠল। বক্ষ পিন্জরে ধক্ক করে উঠল। তৎক্ষণাৎ সে উম্মাতের ন্যায় হাটু ভেঙে মেহেরের দেহের নিকটবর্তী বসে পড়ল। দু হাতে মেহেরের মুখশ্রী আবদ্ধে করে হাল্কা ঝাকিয়ে বলতে লাগল,

–এই পুঁচকি,,,, এই পুঁচকি কী হয়েছে তোমার? পড়ে গিয়েছ কীভাবে?
সমুদ্রের পরিস্থিতি দেখে আকাশ বিরক্তির সঙ্গে বলে উঠল,
–এই ঢং বাদ দে। আর হ্যাঁ মেয়েটার হাত পা মেবি ঠান্ডা হয়ে রয়েছে। সো ওকে আর ফ্লোরে রাখিস না।
আকাশের কথা শুনে এক মুহূর্তের জন্যও সমুদ্র সময় নষ্ট করল না। লহমায় মেহেরকে বিছানার উপর উষ্ণ চাদরে নিবদ্ধ করে,নিজে বিছানার এক কণে বসে মেহেরের গাল যুগল বারংবার আস্তে আস্তে থাপ্পড়াতে লাগল আর অস্কুটস্বরে বলতে লাগল,

–মেহের ওপের ইউর আইস। প্লিজ চোখ খুলো। সরি তোমাকে আর একা রেখে যাব না। ভয় পেয়েছ পুঁচকি? আকাশ একটু পানি নিয়ে আয় তো।
সমুদ্রের কথা অনুযায়ী আকাশ দ্রুত পানি ভর্তি গ্লাস এনে সমুদ্রের হাতে দিল। তৎক্ষণাৎ আকাশের হাত হতে দ্রুত গ্লাস নিয়ে, মেহেরের মুখশ্রীতে ছিটিয়ে দিতে লাগল।
–পুঁচকি ,,,, সরি তো। ওপের ইউর আইস।

লহমায় নেত্র যুগলে পানির স্পর্শ পেয়েই পিপিপি করে চোখ খুলল মেহের। তার ঘন নেত্রপলব বারংবার বুজে যাচ্ছে। কিন্তু একপলক সমুদ্রের দেখা পেতেই তার হৃদয় গহীন তৃপ্ত হয়ে উঠল। তার ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসির দেখা মিলল। পরক্ষণেই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথার স্মরণ করেই কেঁপে উঠল সে। মেহেরের সেন্স ফিরতেই সমুদ্র স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। মেহেরের দিকে দৃঢ় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নিম্ন কন্ঠে বলল,

–আর ইউ ওকে পুঁচকি?
সমুদ্রের কথা কর্ণপাত হতেই মাথা ডানে নাড়িয়ে মেহের অস্কুটস্বরে বলল,
–হুম।
সমুদ্র আকস্মিক মেহেরের বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াল। আকাশেকে সঙ্গে করে বেলকনিতে নিয়ে যাওয়া জন্য পা যুগল চলমান করে, পুনরায় মেহেরের মুখশ্রীতে দৃষ্টিপাত ফেলে শান্ত কন্ঠে বলল,

–রেস্ট নেও তুমি। ভয় পাবার মতো কিছুই নেই, হুম?
বলেই সমুদ্র আকাশকে নিয়ে বেলকণিতে চলে এলো। প্রায় মিনিট পাঁচেক নিরবতা পালন করে পরিবেশন স্তব্ধ রাখতে সক্ষম হলেন তারা। অতঃপর নিরাবতা ভেঙে আকাশ সমুদ্রকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–কিছু কী আন্দাজ করতে পেরেছিস?

সমুদ্র নেত্রযুগল বন্ধ রেখে খানিকক্ষণ লম্বা, দীর্ঘ শ্বাস টেনে নিয়ে বলল,
–হুম, বুঝতে পেরেছি। যেই এসেছিল সে নিশ্চয়ই আমার রুম থেকে কেসটার ডকোমেন্ট পেইন ড্রাইভ খুঁজতে এসেছিল। যাইহোক আমি খুব শীঘ্রই মেহেরকে ওর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। এখানে ওকে রাখা একদমই ঠিক হবে না।

সমুদ্রের কথা কর্ণপাত হতেই আকাশ তাচ্ছিল্য মিশ্রিত হাসি হেসে বলল,
–ভাবিকা নিয়ে হুটহাট সিদ্ধান্ত নেওয়া তোর একদমই ঠিক হচ্ছে না। বলে রাখছি তুই কিন্তু পরে আফসোস করবি।
সমুদ্র মুখে গম্ভীরতা টেনে বলল,

–কতবার বলল ডোন্ট কল হার ভাবি। আমি কখনোই প্রস্তাব না। আন্ডারইস্টান্ড?
আকাশ নিমিষেই তার মুখের হাসির সমাপ্ত ঘটাল। পরিশেষে সমুদ্রকে সতর্কতার সহিত বলল,
–ওকে, দেখা যাবে। ওহহ তোকে তো একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলা হয়নি।
–কী তথ্য?
–জানিস আজকে তোর ফ্লাইটে কে এসেছিল?
সমুদ্র আকাশের কথার প্রত্যুত্তরে বলল,

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ১৯

–কে এসেছিল? যারা সকিনা খালাকে হুমকি দিয়ে তাকে শহর ত্যাগ করিয়েছে, তারা!
আকাশ নিজ পকেট হতে ফোন বের করে সমুদ্রের সামনে উপস্থাপন করল। অতঃপর বলল,
–দেখ কে এসেছিল। আমি ছবি তুলে রেখেছি।

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ২১