তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫০

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫০
Lutful Mehijabin (লেখা)

— জানো পুচকি, আমি কতোটা কষ্টে আছি? তুমি তো দিনের বেলা একটি বার কেন আমার কাছে আসো না? রাত হলেই বুঝি আমার কথা মনে পড়ে! তুমি কি জানো তুমি কতোটা নিষ্ঠুর? আচ্ছা পুচকি আমি কী দেখতে একটুও সুন্দর না? আমাকে দেখলে কি তোমার মনে ‘তুমি নামক অনুভূতির’ সৃষ্টি হয় না! কেন হয় না পুচকি? আমি কি খুব খারাপ? আমাকে কী একটুও ভালোবাসা যাই না। আমি কী তোমার থেকে অনেক বড়ো! তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না? আচ্ছা পুচকি, আমার বয়স কী কমানো যাবে না?

সমুদ্রের বলা বাক্যগুলো মেহেরের কর্ণকুহরে পৌঁছানো মাত্রই তার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো। ইতিমধ্যে তার বক্ষ পিঞ্জরের হৃদয় স্পন্দন বৃদ্ধি পেয়েছে তড়িৎ বেগে! অস্থিরতার যেন তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে ধরেছে। সবচেয়ে বড় কথা সমুদ্র অদ্ভুত প্রকৃতির কথাগুলো হজম করতে সক্ষম হচ্ছে না সে। ভীষণ তোলপাড় আরম্ভ করেছে মেয়েটার ছোট মস্তিষ্কে!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বাকরুদ্ধ হয়ে অতিরিক্ত হারে কাঁপছে মেহের। অতঃপর নিজের বেলেন্স নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়ালের সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে দিলো ব্যার্ধ্য হলো সে। চোখ জোড়া বন্ধ করে নিজেকে স্বভাবিক রাখার প্রয়াস চালালো ক্রমাগত। এক মিনিটে হওয়ার পূর্বে ফির মেহেরের কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনি তুললো সমুদ্রের অনুভূতি সম্পূর্ণ বাক্য।
সমুদ্র চোখ করে অতি শীতল কন্ঠে বলে,

— পুচকি, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, অন্যের নিদ্রা কেড়ে নিয়ে তুমি কীভাবে প্রতিটা দিন শান্তির নিদ্রায় মগ্ন থাকো! তোমার মনে কি একটি বারের জন্যও আমার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে না? তুমি কেন বুঝো না , প্রতিরাত ধরনীর ওই বিশাল আকাশকে সাক্ষী রেখে এক ব্যক্তি সারারাত জাগ্রত থেকে তোমাতে মত্ত থাকে! তার চোখ যুগলের নিদ্রা ছিনিয়ে নিয়ে ও কি তোমার মাঝে অপরাধ বোধ জাগ্রত হয় না?

কেউ যে তোমার দহনে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তা কি তুমি সত্যিই বুঝো না? তোমার পুরো ফ্রেমের বৃত্তকার চশমার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ওই শান্ত নয়ন জোড়ার একরাশ ভীতি দৃষ্টি কাউকে যে ক্রমশ উন্মাদ পাগলে তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে তা কি তুমি বুঝেও বুঝো না! কেন বুঝো না তোমার নির্ঝর হাসির কলকল ধ্বনি নিমিষেই কোন এক পুরুষের হৃদয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে তুলে? তুমি নামক অনুভূতি কাউকে ক্রমশ মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে তাও কি আন্দাজ করতে পারো না। তুমি হীনা বাঁচার কথা ভাবতে গিয়ে কেউ একজন নিঃশ্বাস আটকে ছটফট করে মারা যাবার পথে ধাবিত হওয়ার উপক্রম, তা একটি বার কেন অনুভব করো না!

কথাগুলো বলেই সমুদ্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেহেরের মুখমুখি দাঁড়ালো। জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো মেহেরের মুখশ্রীতে। বেলকনির আবছা আলো হওয়ার সুবাদে সমুদ্র ভেবে বসলো, আজ কি এমন হলোএখনো কেন বেলকনি ত্যাগ করলো না তার দিবা স্বপ্নের পুচকি। নিত্যদিন রাত্রি বেলা সমুদ্রের নিকটবর্তী হাজির হয় এই ছলনাময়ী পুচকি! কিন্তু বেশিক্ষণ উপস্থিত থাকতে বোধহয় লজ্জা লাগে তার!

সমুদ্রের দিবা স্বপ্নে এসেই এই ছোট্ট নারী তাকে দগ্ধ করে তবেই বিদায় নেয়। বিষয়টা পরিলক্ষিত হতেই একরাশ অভিমান যেন চেপে বসেছে সমুদ্রের হৃদয় গহীনে। লহমায় বুকের বাঁ পাশে ডান হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো সমুদ্র। বা হাত দ্বারা চুলগুলো টেনে ধরলো সে। অতঃপর সেকেন্ড পাঁচেক নিজ অধর দাঁত দ্বারা কামড়ে ধরলো। চোখ যুগল খানিক বন্ধু করে কঠোর কন্ঠস্বরে বলতে লাগলো,

— তুমি কি সত্যিই আমাকে বুঝবে না পুচকি? তুমি কি চাইছো আমাকে আঘাত করে তিলে তিলে শেষ করতে? কেন আমি কী খুব বড়ো অন্যায় করে ফেলেছি? সেদিন কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত আমি। মনে তোমার সেদিন আমার মতো একজন পাথরের বুকে থেকেও রক্ত ধরেছিল। তুমি লক্ষ করো নি আমার অদৃশ্য রক্ত। কিন্তু তাই বলে আমার এই অবাধ্য চোখ জোড়া থেকেই আষাঢ়ের অবিরাম ঢল নেমেছিল তা নিশ্চয়ই তোমার দৃশ্যমান হয়েছিল।

মানলাম সেদিন ভীষণ বড়ো অপরাধ করে বসেছিলাম আমি। আমার বাজে হাতের আঘাতে তোমার ওই শুভ্র স্বচ্ছ গাল রক্ত জবাতে রুপান্তরিত করেছিলাম। জানি এই হাতটা তোমার ক্ষমা পাবার যোগ্য নয়। তাই তো যখনি অপরাধ বোধ আমার মাথায় হানা দেয় ঠিক তখনই আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে তুলে? তোমার মস্তিষ্কতে কি একবারও বলে উঠে না আমি হাত দিয়ে খাচ্ছি না কেন!

কথাগুলো মেহেরের কর্ণপাত হতেই আতকে উঠলো সে। সমুদ্রের এমন রুপ দেখে তার মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা লোপ পেয়ে বসেছে। লোকটা বুকে এতোটা কষ্ট! ইতিপূর্বে সমুদ্রের অনুভূতি সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল মেহের। কিন্তু লোকটা তো কখনোই তাকে আন্দাজ করতে দেয় নি! সে যদিও ছলে কৌশলে সমুদ্রে সঙ্গে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করলেও, সমুদ্র তাকে উপেক্ষা করে চলে।

তাহলে আজ কী এমন হলো সম্পর্কের রশ্মি টেনে ধরলো সমুদ্র। আজ মেহের অচঞ্চল আঁখিতে সমুদ্রের মুখ পানে তাকিয়ে রয়েছে। লোকটা জলে টলমল করা নয়ন দুটো তার ভয় কেড়ে নিয়েছে। তার চোখ জোড়াতে ফুটে উঠেছে অসহায়ত্ব। সমুদ্রের সাংঘাতিক দৃষ্টি ক্ষত বিক্ষত করে তুলেছে তাকে ক্রমাগত! নিত্যদিনের ন্যায় লোকটির মুখশ্রীতে গম্ভীর্য থাকলেও চোখ জোড়াকে নমনীয়তার শেষ নেই। শুধু তাই নয় সমুদ্রের এমন রুপ মেহেরের হৃদয় ঝড় রাত্রির উত্তাল উদ্যম সমুদ্রের ন্যায় তোলপাড় আরম্ভ করাতে সক্ষম হয়েছে। মেহেরের চোখ যুগল জলে ভরে উঠছে। খুব করে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে তার।

সমুদ্রের প্রায় মিনিট পাঁচেক এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মেহেরের মুখ পানে। এখনো তার বা হাতটা বুকে সীমাবদ্ধ। সমুদ্রের নিঃশ্বাস নিতে খানিক কষ্ট হচ্ছে। তাই হয়তো তার ঠোঁট যুগল কিঞ্চিৎ ফাঁকা হয়ে রয়েছে। তার নিঃশ্বাস গ্রহণে গতি বলে দিচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসছে। তৎক্ষণাৎ সমুদ্র মেহেরের নিকটবর্তী হাজির হলো। মেহেরের সন্নিকটে অবস্থিত করে ফির জোরে জোরে অক্সিজেন গ্রহণ করলো। আকস্মিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে বসলো সমুদ্র। হঠাৎ হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো মেহেরের পায়ের কাছে। অতঃপর মাথা উঁচু করে মেহেরের মুখশ্রীতে স্থির দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে বলে উঠলো,

— আচ্ছা পুচকি, লোকে বলে কৈশোর কালে মেয়েরা আবেগ প্রবণ থাকে‌। তারা নাকি এই বয়সে রঙিন চশমার আড়ালে নিত্যনতুন প্রেমে পড়ে। আবেগ প্রবণ হয়ে না বুঝেই প্রেমের সুগন্ধি নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন আমার মনে হয় লোকে মিথ্যা বলে। কেন জান এমন মনে হয়? কারন আমার পুচকি ওরফে আমার স্ত্রী একজন কিশোরী হয়েও আমার মুখ পানে একটি বারের জন্যেও তাকানোর প্রয়োজন বোধ করে না।

একজন কিশোরী হয়েও তার মনে নিজ স্বামীর জন্য কোন অনুভূতি জাগ্রত হয় না। সে সর্বদা আমাকে উপেক্ষা করে চলে। ভয় পাই আমাকে দেখে! তার দৃষ্টিতে সবসময়ই ভয় বিদ্যমান থাকবেই। সে কি আন্দাজ করতে পারে না তার স্বামী তার এই আচরনের ফলে দিনে কমপক্ষে শত বার আয়নাতে ভেসে উঠা প্রতিচ্ছবি পর্যবেক্ষণ করে।

বাক্যগুলো মেহেরের কর্ণপাত হতেই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে সে। সমুদ্রের ভেতর কঠোরতা প্রলেপ আজ কোথাও যেন উধাও হয়ে গিয়েছে। লোকটা একদমই বিপরীত রুপ ফুটে উঠেছে মেহেরের সামনে। যা মেহেরের ধারনার বাইরে ছিলো। ইতিমধ্যে মেহের থরথর করে কাঁপছে! সমুদ্রের বেদনা সইতে পারছে না সে। কিন্তু হঠাৎ সমুদ্রের এমন প্রত্যাশা মেহেরের হতভম্ব করে তুলেছে।

আচমকা লোকটা কী এমন হলো? সমুদ্র তো সবসময়ই বলে, পুচকি পুচকির মতো থাকবে’। মেহের এই কথার ভিত্তিতে সবসময়ই নিজের অনুভূতি দমিয়ে রাখতো। হ্যাঁ মেহেরের মনে সমুদ্রকে নিয়ে অনুভূতির দানা বাঁধে। সংসার নামক জীবনে প্রবেশ করে সে নিজেও সমুদ্র নামক অনুভূতিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু নিজেকে সংযত রাখতে রাখতে শুরু করে মাত্র সমুদ্র জন্য।

এমনকি সমুদ্র জানলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারবে না যে তার পূর্বে পুচকির হৃদয়ে তুমি নামক অনুভূতি জাগ্রত হয়েছে। যার প্রমাণ স্বরুপ বর্তমানে সমুদ্রের ত্যাগকৃত কষ্ট মাখা নিঃশ্বাস তাকে বড্ড যন্ত্রনা দিচ্ছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে যেদিন রাত্রি বেলা সমুদ্র তার নিকট অশ্রু বিসর্জন দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিল ঠিক সেদিন মধ্যে রাতে সমুদ্রে আড়ালে ডুকরে কেঁদে উঠেছিল মেহের! লোকটার কষ্ট যে সে নিজেও সহ্য করতে পারে না।

সমুদ্রের ছলছল নয়ন তাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে তুলে। নিমিষেই তার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে উঠে। বর্তমানে মেহের আর সহ্য করতে পারছে না। তার চোখ জোড়া বেয়ে দুর্বোধ্য রহস্য টপটপ করে বিসর্জন ধরনীর বুকে। মুহুর্তেই মেহের দ্বিগুণ আঘাত প্রাপ্ত করতে সমুদ্র আলোতে করে মেহেরের দু পা তার দু হাত দ্বারা স্পষ্ট করো। আকস্মিক এহেন কান্ডে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেললো মেহের। তৎক্ষণাৎ সমুদ্র পুনরায় বলে উঠলো,

— তুমি কেন বুঝো না পুচকি, তোমার বড়ো হবার অপেক্ষায় কেউ যে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষকে ছারখার করে পুড়িয়ে মারতে তোমার বুঝি আনন্দ হয়? আচ্ছা পুচকি সমাজ কি আমাদের বিয়ের সম্পর্ক কেউ মেনে নেবে না! সমাজ কি আমার মুখের উপর থু থু দেবে? বলো না!
কথাগুলো বলেই চোখ যুগল খিঁচে বন্ধ করে নিলো। অতঃপর শুকনো ঢোক চেপে শক্ত করে মেহেরের পা জোড়া স্পর্শ করলো। ঠোঁট যুগল প্রসারিত করে মিনমিন করে বলে উঠলো,

— আমার বয়স কী কমানো যাবে না,পুচকি?
এবার সমুদ্রের কথার মাঝে আনমনে মেহের কাঁপা কাঁপা বলে উঠলো,
— আপনার বয়স কমাতে কে বলেছে! আপনি যেমন ঠিক তেমনটাই থাকুন।
মেহেরের প্রত‌্যত্তুরে সমুদ্র লহমায় চিৎকার করে বলে উঠলো,

— বাহ্, পুচকি তুমি তো ছলনময়ীতে পরিনত হচ্ছো! তুমিই তো তখন এসিপির কথায় সম্মতি জানালে। মেহের আমি কি এতোটাই খারাপ! কেন? বলো না! তুমি সত্যিই কী মুক্তি পেতে চাও আমার হাত থেকে? আনসার মি পুচকি!!
সমুদ্রের কর্কশ ধ্বনিতে ডুকরে কেঁদে উঠলো মেহের। সমুদ্র তাকে এমন কথা কীভাবে বলতে পারলো! সে পড়ালেখা করতে চাই ঠিকই তবে সমুদ্রের নিকটবর্তী থেকে। প্রসঙ্গ পাল্টাতে মেহের কান্না রত কন্ঠে বলে ,
— আপনি তো কিছু খান নি। প্লিজ খেতে চলুন।

খাবারের কথা শুনে দ্বিগুণ রাগে ফেটে পড়লো সমুদ্র। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র মাথা চেপে ধরে বলে উঠলো,
— এই নিশিরাতে আমার হৃদয় প্রেমের সম্মোহন ঘটানোর কোন অধিকার নেই তোমার। তুমি কল্পনাতে শ্রেয়! আমাকে তুমি নামক অনুভূতিতে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করছো তাতেও তোমার প্রশান্তি মিলছে না। তাই তো এখন আমাকে দ্বিগুণ কষ্ট দিতে এসেছো। এখন তুমি যেতে পারো। আমি জানি তুমি আমার পুচকি নও শুধু মাত্র তার অবয়ব। গো,,
বলেই সমুদ্র মাথা চেপে মা জোড়া বাঁড়াল। তৎক্ষণাৎ ঘটে বসলো এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা!

ঘড়ির কাঁটায় ছুঁই ছুঁই বারো। পারভেজের সন্নিকটে গম্ভীর মুখশ্রী নিয়ে বসে রয়েছে ইয়াদ। আজ ইয়াদের মুখশ্রীতে নেই কোন কঠোরতা। পারভেজের ঠোঁটের কোণে লেগে রয়েছে এক তুচ্ছতাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসির রেখে। প্রায় মিনিট দশেক অতিবাহিত হয়েছে কারো মুখে কোন কথা নেই। ইয়াদ মোবাইল ফোনে কিছু একটা করছে। কিছুক্ষণ বাদে হঠাৎ নিরবতা ভেঙে বললো ইয়াদ। কন্ঠে শীতলতা বজায় রেখে বলে উঠলো,

— মিস্টার পারভেজ, আপনি সত্যিই স্বীকার করুন। আপনি শুধু বলুন কাজগুলো আপনাকে কে করতে বলেছে?
ইয়াদের কথার উত্তর পারভেজ মুচকি হেসে ঠোঁট জমাট বাঁধা ঠোঁট জোড়া সংকুচিত করে বললো,
— কেউ বলে নি। জারা আমার পুরাতন প্রেমিকা। আপনার উপর আক্রমণের পিছনে ওর হাত ও রয়েছে। ও প্রতিশোধ নিতে চাই।

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৪৯

পারভেজের কথার উত্তরে সমুদ্র ঠান্ডা গলায় বললো,
— চিন্তা করবেন না আপনি। আপনার মা এবং বোন আমাদের কাছে। হো আপনি সত্যিটা বলুন।

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫১