তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৩

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৩
Lutful Mehijabin (লেখা)

ঘড়ির কাঁটায় ছুঁই ছুঁই রাত আটটা। ভীষণ শান্ত পরিবেশ! এশারের আযানের ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলছে চারপাশে। ১২১ নম্বর কেবিনে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন মেহের। বিকালে যখন সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে তখন অচেতন অবস্থায় তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়! কিয়ৎক্ষণ যাবত ঘুমের মধ্যে অস্তিত্ব বোধ করছে মেহের। অনুভব হচ্ছে কেউ গভীর দৃষ্টিতে তার মুখশ্রীতে অপলক দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে! যার সুবাদে খানিক যাবত চোখ যুগল উন্মুক্ত করার প্রয়াসে স্বল্প নড়ে চড়ে উঠছে সে।

অদম্য প্রয়াসে একপর্যায়ে চোখ যুগল পিটপিট করে উন্মুক্ত করলো সে। ঝাপসা, অস্পষ্ট দৃষ্টি প্ররখ করে নিজেকে আবিষ্কার করলো এক শুভ্র, স্বচ্ছ ঘরে। মিনিটের মধ্যেই তার মস্তিষ্কে ভেসে উঠল সমুদ্র নামক মানবের মুখশ্রী! লোকটা কোথায়, কেমন আছে, সুস্থ হয়েছে তো? প্রশ্নগুলোর উৎপত্তি ঘটেছে মেহেরের অন্তরালে! ইতিমধ্যেই হৃদয় গহীন ঝড় রাত্রির উত্তাল সমুদ্রের ন্যায় অশান্ত এবং অসংযত হয়ে উঠেছে। সমুদ্রকে একটি বার দেখার সাধে সে পুনরায় উন্মাদ হয়ে উঠলো। তৎক্ষণাৎ তড়িৎ বেগে উঠে বসলো সে। দুর্বল শরীর নিয়ে বেড থেকে নামার প্রয়াস চাললো অনবরত! জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস ত্যাগ করে বির বির করে অসহায় বিপন্নের ন্যায় বলতে লাগলো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— এই যে শুনছেন! আপনি কোথায়? একটু সামনে আসবেন প্লিজ। আমি শুধু একটিবার আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে যে।
মেহেরের চিৎকার শুনে মুহূর্তেই করিডোর হতে ছুটে এলেন শোয়াইব খান। মেয়ের এমন উন্মাদের ন্যায় আচরণ তাকে ভীষণ ব্যতীত করে তুললো। দ্রুত নার্সকে ইনফরম করলেন সে। অতঃপর মেয়ের নিকটবর্তী হাজির হলেন। মেয়েটার হাত জোড়া থরথর করে কাঁপছে। শুধু তাই হয় অশ্রুকণা তার গাল যুগল সিক্ত করে তুলছে অবিরাম!
পরিশেষে শোয়াইব খান মেহেরের হাত জোড়া আঁকড়ে ধরলেন। মেয়েকে শান্ত করার উদ্দেশ্যে উত্তেজিত কন্ঠে বললেন,

— কী হয়েছে আমর আম্মুটার? শান্ত হও মা!
মেহেরের নিশ্চুপ হয়ে রইলো। শোয়াইব খান পুনরায় বললেনপ,
— কি হয়েছে মা বাবাকে বলো? বাবা সমাধান করে দিব তো?
— বলো আম্মু কী হয়েছে তোমার? বাবা সমাধান করে দিব, প্রমিজ! কিন্তু তুমি শান্ত হও।

মেহের শান্ত না হয়ে শোয়াইব খানের সুটের হাতার দিকাটা খাঁমচে ধরলো। অতঃপর উন্মাদের ন্যায় বলল,
— উনি কোথায় একটু বলবেন। আমি উনাকে দেখতে চাই। আমাকে দয়া করে উনার কাছে নিয়ে চলুন।
মেয়ের আবদার সম্পর্কে পূর্ব থেকেই অনুমান করেছিলেন শোয়াইব খান। সত্যিই তার মেয়েটা সমুদ্র হীনা পাগল প্রায়! বড়জোর চার কি পাঁচ ঘন্টা সমুদ্র চোখের আড়াল হওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেয়েটা। তাহলে কি করে প্রতি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা,দিন এবং মাসের পর মাস অতিবাহিত করবে সমুদ্রকে ছেড়ে!

— আহা! কাঁদে না সোনা। এভাবে কাঁদলে কি করে চলবে! চলো আমি তোমাকে সমুদ্রের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।
কথাগুলো শুনেই মেহের কিছুটা শান্ত হলো। শোয়াইব খান অনিচ্ছুক থাকা সত্ত্বেও মেয়ের আবদারের কাছে হার মানতে বাধ্য হলেন। বুকের উপর পাথর চেপে মেয়ের হাত যুগল আগলে ধরে সমুদ্রের কেবিনের দিকে ধাবিত হলেন।

অপারেশন থিয়েটার থেকে সমুদ্র কেবিন নং ২১৩ এ নিয়ে আসা হয়েছে ঘন্টা চারেক পূর্বে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে সমুদ্র অচেতন হয়ে পড়েছিল। তেমন একটা অঘটন ঘটে নি তার সঙ্গে। জামাল সাহেবের নিক্ষিপ্ত গুলিটা অল্পের জন্য তার পিঠের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নি। হাতের বাহুতে আঘাত হেনেছে। গুলিটা বের হয়নি বিধায় সমুদ্রকে ইমার্জেন্সি এ নেওয়া হয়েছিল।

সমুদ্রের জ্ঞান ফিরেছে ঘন্টা খানিক পূর্বে। চেতন হয়েই সর্বপ্রথম মেহেরকে দেখার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে সমুদ্র। কিন্তু মেহের দুর্বল শরীর সমন্ধে জ্ঞাত হতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল সে। অতঃপর নার্স এসে স্বল্প ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে গিয়েছে। সেই সুবাদে বর্তমানে সমুদ্র ক্লান্তির অবসান ঘটিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তার চোখে মুখে মলিন ভাব স্পষ্ট!

খানিকের মধ্যেই মেহেরের সহিত সমুদ্রের কেবিনে প্রবেশ করলেন শোয়াইব খান। ভেতর প্রবেশ করে সমুদ্রের বেড বরাবর ইশারা করে মেহের কে বলে উঠলেন,
— দেখো মামুনি সমুদ্র ঠিক আছে! তোমার চিন্তার কোন বিষয় নেই। নিশ্চিন্তে থাকো।
সমুদ্রের নিথর দেহ লক্ষ্য মান হতেই এক মুহূর্তও অপেক্ষা করলো না মেহের। শোয়াইব খানের হাতের বাঁধন ত্যাগ করে কুন্ঠিত পদে ধাবিত হলো সমুদ্রের নিকটবর্তী।

ইশ, এখন প্রশান্তির প্রাদুর্ভাব ঘটছে মেহেরের হৃদয় মনে। সমুদ্র চোখ জোড়া বন্ধ করে রয়েছে। তার পুরো শরীর নেতিয়ে পড়ছে খানিকটা! আঘাত প্রাপ্ত স্থান ব্যান্ডেজ দিয়ে আবৃত করা। সাদা, শুভ্র রংয়ের ব্যান্ডেজে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ স্পষ্ট! সমুদ্রের এহেন দশা পরিলক্ষিত করতে গভীর ভাবে মত্ত মেহের। সমুদ্রকে দৃশ্যমান হতেই মেহেরের চোখ জোড়া হতে বর্ষণের প্রখরতা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেয়েটা নিমিষেই অবুঝের ন্যায় নাকের জল চোখের জল মিশ্রিত করে ফেলছে। মিনিট খানিক সমুদ্রের দিকে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে চক্ষু তৃষ্ণার মিটিয়ে তড়িৎ বেগে ছুটে এলো সমুদ্রের একদম নিকটবর্তী চলো এলো মেহের। অতঃপর উন্মাদের ন্যায় ঝাপটে ধরলো সমুদ্র হাত। পরিস্থিতি মেহেরকে এক দুর্বোধ্য অবস্থা এনে দাঁড় করিয়েছে। যেই মেয়ে সমুদ্রের দিকে ঠিক মতো লক্ষ্য করে ভয় পাই। যার হাত ছোঁয়ার বিচিত্র দৃশ্য সে কল্পনাতেও আঁকে নি। সে মেহের আজ বিনা দ্বিধা, সংকোচ হীন সমুদ্র হাত ছুঁয়েছে!

সমুদ্রর হাত আঁকড়ে ধরে তার মুখশ্রীতে খানিক ঝুঁকে অশ্রুকণা বিসর্জনের সহিত মেহের বিরবির করে বলে উঠলো,
— আপনি ভীষণ পচা! আমার একটু খোঁজ খবর ও নেন নি।
মেহেরের অভিমান মিশ্রিত বাক্য সমুদ্রের কর্ণকুহুরে পৌঁছনো মাত্রই তার নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটলো। মুহূর্তেই চোখ বন্ধ অবস্থায় সমুদ্রের ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে। বিষয়টা পরিলক্ষিত করলো না। সে তার মার্জি অনুযায়ী ক্রন্দন রত অবস্থায় মিনমিন কন্ঠে বলতে লাগলো,

— একটু কথা বলবেন আমার সঙ্গে? আমার যে বড্ড অভিপ্রায় জেগেছে আপনার কন্ঠস্বর কর্ণপাত করতে। আমার যে ভালো লাগছে না। অস্থির লাগে ভীষণ!
তৎক্ষণাৎ মেহেরের নেত্র হতে বিসর্জিত কয়েক ফোঁটা দুর্বোধ্য রহস্যে টপ করে সমুদ্রের মুখের উপর বর্ষিত হলো। যার সুবাদে সমুদ্রের নিদ্রা খানিক হাল্কা হয়ে এলো। লহমায় চোখ যুগল পিটপিট করে উন্মুক্ত করলো সমুদ্র। মেহেরের অশ্রু সিক্ত মুখশ্রী লক্ষ্য করতেই তার হৃদয় ব্যথিত হয়ে উঠলো নিমিষেই। ঘুমের রেশ না কাটিয়েই মেহেরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সমুদ্র মলিন কন্ঠে বলে উঠল,

— কী হয়েছে পুচকি! আমার পুচকিটা কাঁদছে কেন?
সমুদ্রের কন্ঠস্বর কর্ণপাত হতেই সজাগ হলো মেহের। অতঃপর অশ্রু সিক্ত নয়নে সমুদ্র দিকে দৃষ্টিপাত ফেলল। সেকেন্ড পাঁচেক ঠোঁট কামড়ে ক্রন্দন থামানোর প্রয়াস চাললো।
— ইশ! এভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদছো কেন? ভয় পেয়েছো বুঝি?

সমুদ্রের কথার প্রেক্ষিতে প্রাণ খুলে কেঁদে দিলো মেহের। চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে বলল,
— আপনার যদি কিছু হয়ে যেতো? তাহলে আমি কি নিয়ে বাঁচাতাম? আপনি কী খুব ব্যথা পেয়েছেন? দেখুন না কতো রক্ত ঝড়েছে আপনার শরীর থেকে। আমার ওড়না দেখুন, দাগ লাগে রয়েছে! আমির যে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
মেহেরের বাকযন্ত্র হতে নির্গত বাক্যগুলো শুনে সমুদ্র হৃদয়ে প্রশান্তির প্রাদুর্ভাব ঘটলো। মুহূর্তেই মেহেরের কোমল হাতে স্বল্প বল প্রয়োগ করে স্পর্শ করলো সমুদ্র। অতঃপর মুচকি হেসে বলে উঠলো,

— আমাকে ছেড়ে বুঝি থাকতে পারবে না তুমি?
— না। এক মুহূর্তও অতিবাহিত করতে পারব না। আপনি কেন বুঝেন না আপনাকে ছাড়া আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
— যদি আমি মারা যেতাম। বাই চান্স গুলিটা আমার বক্ষ পিন্জর ছেদ করে ফেলতো! তাহলে?
সমুদ্রের কথা ঝটপট উত্তর দিলো মেহের। ক্রন্দনের বেগ বৃদ্ধি করে বলে উঠল,

— আমিও মারা যেতাম। হয়তো স্টোক করে নতুবা আপনার সখে। কিন্তু এমন কথা বলবেন না প্লিজ!
তৎক্ষণাৎ মেহেরের অবস্থা বেগতিক হয়ে উঠলো! সমুদ্রের বাঁধন থেকে হাত ছাড়িয়ে মুখ ঢেকে গুমোট ধ্বনিতে কেঁদে উঠলো সে। সমুদ্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উঠে বসার প্রয়াস চাললো। একপর্যায়ে খানিকটা হেলান দিয়ে বসতে সক্ষম হলো সে। অবশেষে মেহেরের মুখ হতে হাত সরিয়ে বলে উঠল,

— এভাবে কাঁদতে নেই পুচকি! এতো অল্পতে ভেঙে পড়লে চলবে না। তোমাকে তো স্টোং হতে হবে। তুমি তো জানোই না তোমার বর এর আগেও তিন বার গুলি বিদ্ধ হয়েছিল। ভবিষ্যতে আবার ও হতে পারে। এ যে আমার পুচকির স্বামীর জীবনের সঙ্গে অতপ্রত ভাবে জড়িত।

মেহের ছলছল নয়নে সমুদ্রের দিকে তাকালো। অতি নিম্ন কন্ঠস্বর! লোকটা অসুস্থ অথচ ফাজলামি করছে! বিষয়টা ভেবেই মেহেরের শরীর রাগে গিরগির করে উঠলো। মেয়েটা যে কাঁদতে কাঁদতে হিচকি তুলে ফেলছে তা খেয়াল করেও সমুদ্র তার অনুভূতি নিয়ে ছলনায় মত্ত! মেহেরের কোন আওয়াজ এলো না। কান্না বেগ কমিয়ে ফির নিরবে চোখের জল ফেলতে লাগলো। বিষয়টা পরিলক্ষিত করে অনুতপ্ত হলো সমুদ্র! সে যে নিজের অজান্তেই তার পুচকিটাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে! সমুদ্র মেহেকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে নিম্ন গলায় বলল,

— আম সরি পুচকি! চোখের জল মুছো। আমি আর এমন কথা কখনো বলব না। তুমি তো বুঝতে পারছো না আমার আনন্দের অনুভূতি। আমার পুচকি যে আমার জন্যে কাঁদছে তা আমার নিকট কতোটা সৌভাগ্য ময় তা তুমি ধারণা ও করতে পারবে না! ভীষণ আনন্দে আমার মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা লোপ পেয়েছে।
সমুদ্রের মুঠো বন্ধন হতে হাত ছাড়িয়ে মেহের কিঞ্চিৎ ক্রোধ, অভিযোগ এবং একরাশ অভিযোগের সহিত বলে উঠলো,
— আপনি কে হারিয়ে যেতে হবে না। দরকার পড়লে আমিই হারিয়ে যাব। সত্যিই বলছি আপনি কিন্ত অত্যধিক পচা। আমাকে বুঝেন না!

মেহেরের কথা শুনে মুচকি হাসির সহিত সমুদ্র বলতে লাগলো,
— আপনাকে কোথাও যেতে হবে না ম্যাম। আমি আপনাকে কোথাও যেতে দিব। আপনি শুধু আমার। আমার ব্যবহৃত কোন কিছুতে অন্যের হস্তক্ষেপ আমার অপছন্দ। সো নো টেনশন!

সমুদ্র কথার ভিত্তিতে কপাট রাগ দেখিয়ে মুখ ফিরে অন্য দিকে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলো মেহের। মেয়েটার অভিমান ময় পরিস্থিতি দেখে সমুদ্র দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করলো। মূলত শোয়াইব খানের উপস্থিতি লক্ষ্য করে মেহেরের সঙ্গে অদ্ভুত আচরণে লিপ্ত হয়েছিল সে।

তার মেয়ে যে সমুদ্র হীনা থাকতে পারবে না বিষয়টা স্পষ্ট শোয়াইব খানের মস্তিষ্কে প্রমাণ সরুপ দেখিয়ে দিলো সমুদ্র। মেয়ে এবং জামাতার অভিমান মূলক বার্তা আদান প্রদান সহ্য করতে পারেন নি তিনি। পরিশেষে ক্রোধে ফুঁসতে ফুঁসতে কেবিনের দরজার পার্শ্ববতী হতে প্রস্থান করেছেন। এমনকি যাওয়া পূর্বে চোখের ভাষায় সমুদ্রকে শাসিয়ে গিয়েছেন তিনি। শোয়াইব খান প্রস্থান হতেই বার কয়েক স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো সমুদ্র। অতঃপর মেহেরের অভিমান ভাঙার উদ্দেশ্যে তীর্যক হাসি দিয়ে মেহেরের মুখশ্রীতে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলো। হঠাৎ মেহেরের মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলো,

— ইশ! তোমার হাব ভাব সুবিধা জনক নয়। তুমি কী এখন আবার আমার ওয়াইফে ট্যান্সাফার হলে? টাস্ট মি পুচকি, পুরো বউ বউ লাগছে তোমাকে।
সমুদ্রের কথাগুলো শুনে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো সে। মেহের লজ্জায় নুইয়ে পড়ার পূর্বে সমুদ্র ফির বলে উঠলো,

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫২

— এভাবে হুটহাট লজ্জা পাবেন না ম্যাম। আপনি শুধু ভুলে যান আপনার স্বামীর ও ভিন্ন এক রূপ বিদ্যমান! আমাকে এভাবে কাতার করার অধিকার আপনার নেই। ইতিমধ্যে হাতে ভীষণ ব্যথা অনুভব হচ্ছে। এখন দয়া করে আমার বুকে ব্যাথা তৈরি করবেন না।

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৪