তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৬

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৬
Lutful Mehijabin (লেখা)

— তোকে হেল্প করতে হবে না। তুই বিদায় হ।
মুহুর্তেই ইয়াদ চিন্তিত কন্ঠে বলল,
— ভাইয়া, তুই একা পারবি না।
ইয়াদের প্রত্যুত্তরে সমুদ্র স্বভাবিক কন্ঠে বলে উঠলো,

— কে বলছে আমি একা করব? মেহের থাকতে তোর কোন প্রয়োজন নেই। ও হেল্প করবে। নাও গেট আউট!
সমুদ্রের কথা কর্ণপাত হতেই ইয়াদের ওষ্ঠো এবং অধর কিঞ্চিৎ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে আপনি আপনি!
সমুদ্রের মুখ হতে নির্গত শেষোক্ত বাক্য শুনে ইতিমধ্যে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে মেহের। তার হৃদয় মনে তুমুল ঝড় বইতে আরম্ভ করছে! অযথাই হৃদয় স্পন্দন তড়িৎ বেগ নিয়েছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সমুদ্রের আচরণে ইয়াদ অবাকের শেষ সীমান্তে চলে গেলেও মুখ দিয়ে টু শব্দ ও বের করে নি। ভাইয়ের এতো পরিবর্তন তার নিকট বিষ্ময়কর! নিরব ভঙ্গিতে সমুদ্রের রুম থেকে প্রস্থান করেছে সে। যাওয়া পূর্বে সমুদ্রের দায়িত্ব মেহেরের উপর অর্পিত করে গিয়েছে সে। অবশ্য সমুদ্র আদেশ পালন করা ছাড়া ও রুম হতে বেরিয়ে যাবার পিছনে ভিন্ন আরেক কারণ রয়েছে।

ইয়াদ চলে যেতেই হাফ ছেড়ে বাঁচল সমুদ্র। মনে মনে ইয়াদের উপর একরাশ বিরক্ত সে। যার দরুন তার মুখশ্রীতে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট! মেহেরকে অকারণে মাথা নিচু করে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিরক্তির দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করল সে। আকস্মিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলো,

— নো টেনশন! সিম্পল ওয়াক। ইউ কান ডু পুচকি। আন্ডারস্টান্ড?
মেহের নিশ্চুপ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সমুদ্রের কথার প্রেক্ষিতে কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না সে। মেহেরের অস্বস্তি বোধগম্য করতে পারলো সমুদ্র। অতঃপর মুচকি হেসে বলে উঠলো,
— আমি এমন পরিস্থিতি সঙ্গে পূর্ব পরিচিত। এর পূর্বে যখন বুলেট লেগেছিল আমার গায়ে তখন আমাকে হেল্প করার মতো কেউ ছিল না। সো বর্তমানে আহামরি কোন কর্ম নেই যে ইয়াদের হেল্প প্রয়োজন পড়বে। বাট আই নিড ইউয়ার হেল্প। জাস্ট আমার টি শার্ট টা খুলতে হেল্প করবে। হাতের ব্যথার জন্য স্বল্প অসুবিধা হবে। আর নিজে শার্ট খুলতে গেলে ক্ষত স্থান হতে রক্তপাত হতে পারে। তাই তোমার সাহায্যে প্রয়োজন। এতটুকু করলেন যথেষ্ট। বেড রুমে রক্তের লাল বর্ণ অবশ্যই বেমানান। নাও কাম উইথ মি।

বাক্যেটা বলেই দাঁড়িয়ে পড়ল সমুদ্র। ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে কুন্ঠিণ পদে এগিয়ে যেতে লাগলো। মুহূর্তেই তার কর্ণকুহুরে পৌঁছালো মেহেরের জড়তা মিশ্রিত কম্পমান কন্ঠস্বর। মেহের নিম্ন কন্ঠে বলল,
— আমি আপনাকে হেল্প করব না। আমি বরং আম্মু নতুবা জারা আপুকে ডেকে দিচ্ছি।

মেহের এহেন কথা শুনেই সমুদ্রের পা জোড়া স্থির হয়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ মেহেরের মুখশ্রী অসহায় দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলো সে। মেহের সমুদ্রের হৃদয়ের অব্যক্ত ভাষা পড়তে বারংবার সফল হয়। সে নিজের অজান্তেই সমুদ্র অন্তরের বন্ধি রাখা অপ্রকাশিত বাণী বুঝে উঠতে সক্ষম হয়। কিন্তু বর্তমানে অজানা সংকোচে আক্রান্ত মেহের। তার থেকেও সবচেয়ে বৃহৎ কারণ হচ্ছে ভয়! রক্ত, কাঁটা ছেঁড়া ইত্যাদি দৃশ্যমান হলেই মেহেরের শরীর কাঁপতে থাকে। এককথায় এসবে মারাত্মক ফোবিয়া রয়েছে তার। যার ফলে গতকাল সমুদ্রের ক্ষত দেখে জ্ঞান হারিয়েছিল সে। কালকে দৃশ্য ভেবেই চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেললো মেহের। অবশেষে ঠোঁট জোড়া কিঞ্চিৎ সংকুচিত করে বিরবির করে বলে উঠলো,
— আপনি একা যাবে না প্লিজ! আমি আপু নতুবা আম্মু কে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

মেহেরের শেষোক্ত বাক্য কর্ণপাত হতেই সমুদ্রের অন্তরালে একরাশ ক্রোধের আবির্ভাব ঘটলো। শুধু ক্রোধ নয় হৃদয়ের এক কোণে আবিষ্কার হলো সীমাহীন অভিমান! সে তো শুধু সাহায্য চেয়েছিল তার অর্ধাঙ্গীর নিকট। আর মেহের তাকে উপেক্ষা করলো? রাগে সমুদ্র সম্পূর্ণ শরীর কাঁপতে আরম্ভ করলো মূহুর্তেই! তৎক্ষণাৎ মেহেরের নিকটবর্তী খানিকটা এগিয়ে এলো সমুদ্র। পূর্ণ দৃষ্টি মেহেরের মুখশ্রীতে আবদ্ধ করে দাঁত দাঁত চেপে চিবিয়ে বলে উঠলো,

— ডোন্ট ক্রস ইউয়ার লিমিট! আমি তোমার হেল্প চেয়েছি। অন্য কারো নয়। আই থিংক ইউ আর স্টুপিড গ্যাল! আই নো, তুমি পৃথিবীর সবাইকে বোঝার ক্ষমতা রাখো। কিন্তু আফসোস একটাই আমাকে বুঝো না। তোমার বিচক্ষণতা, তোমার কর্মের নিপুণতা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী থেকেও অধিক। ইনফ্যাক্ট বয়সের তুলনায় অন্তত বেশি বুঝো তুমি। কিন্তু আফসোস একটাই আমাকে বুঝেও বুঝলে না!
কথাগুলো বলেই নিজ মাথার চুলগুলো টানতে আরম্ভ করলো সমুদ্র । স্বল্প শীতল পরিবেশ হওয়া সত্ত্বেও সমুদ্রের ললাট বিন্দু বিন্দু ঘাম দ্বারা সিক্ত হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। অতিরিক্ত ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়াসে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফুসতে লাগলো সে।

সমুদ্রের আকস্মিক রাগের কারণ ঠিকই আন্দাজ করতে পেরেছে মেহের। ভয়ে কাঁপছে সে! সমুদ্র কথার প্রেক্ষিতে তার অস্থির লাগছে ভীষণ। ক্ষত স্থানের ভয়ানক দৃশ্য তার চোখ যুগলে ভেসে উঠছে বারংবার! অতঃপর ঠোঁট জোড়া খানিকটা প্রসারিত করে মিনমিন করে সে বলে উঠলো,
— আপনি ভুল বুঝেছেন আমাকে। আমি যাব না প্লিজ! আমার বমি পাচ্ছে।
মেহেরের নির্গত বাক্যগুলো শুনে সমুদ্র নিজেকে স্বল্প নিয়ন্ত্রণ করে নয়ন জোড়া উন্মুক্ত করলো। স্থির দৃষ্টিপাত নিবন্ধ করলো মেহেরের মুখ পানে। হঠাৎ শীতল কন্ঠে মেহেরের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,

— নিজের ব্যক্তিগত মানুষটা কে দূরে যেতে দিয় না মেয়ে। একটা সময় দেখবে তোমার স্বল্প দূরত্ব ওই মানুষটা এবং তোমার মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান তৈরি করে দিবে। যখন তুমি বুঝতে শিখবে মানুষটা একান্ত তোমার। তোমার অর্ধেক অংশ। তার অনুপস্থিত যখন তোমায় নিঃসঙ্গ করে তুলবে। তুমি যখন তাকে এক পলক দেখার জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠবে! ঠিক তখনই তুমি অনুভব করবে মানুষটা তোমার থেকে ভীষণ দূরে চলে গিয়েছে। তখন তুমি আফসোস করবে। দূরত্ব ঘুচিয়ে দেবার জন্য মানুষটাকে তন্নতন্ন করে খুঁজবে। কিন্তু তখন যে বড্ড দেরি হয়ে যাবে। মানুষটাকে তুমি সাত সমুদ্র খুঁজেও ফিরে পাবে না।

সমুদ্রের কথাগুলো গভীর মনোযোগ সহকারে কর্ণপাত করলো। ইতিমধ্যে নিরবে কেঁদে চলছে মেহের। সমুদ্র বলা প্রতিটি বাক্য তাকে অনুতপ্ত করে তুলেছে। তাও সে কিছুতেই সমুদ্রের ক্ষত স্থান দেখতে চাই না। কারণ সহ্য করতে পারবে না সে। একে তো ফবোয়ি দ্বিতীয় তো নিজের প্রিয় মানুষটার আঘাত প্রাপ্ত স্থান! সত্যিই সহ্য করতে পারবে না সে।
সমুদ্রের মেহেরের প্রতিক্রিয়া না দেখে ক্ষুণ্ণ হলো। অতঃপর অতি শীতল গলায় বললো,

— পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত রে মেয়ে! যার সান্নিধ্যে পেতে তুমি মরিয়া হয়ে উঠবে, যাকে একপলক দেখার জন্য তৃষ্ণার্ত বোধ করবে, যার অনুরাগে তুমি উন্মাদ হয়ে উঠবে। জান সেই মানুষটাই তোমার তোমার আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে। তুমি তার কাছে থেকে উপেক্ষা এবং যন্ত্রণা ব্যতীত অন্য কিছুই পাবে না।
বাক্য গুলোর সমাপ্ত ঘটিয়ে দ্রুত নিশ্বাস ত্যাগ করতে লাগল সমুদ্র। অতঃপর মেহেরের মুখশ্রী হতে দৃষ্টি সরিয়ে কুণ্ঠিণ পদে পা বাড়াল ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে। সমুদ্রের যেতে দেখে মেহের কাঁপা কাঁপা নিম্ন স্বরে বলে উঠলো,

— আপনি একা যাবেন না প্লিজ। ব্যথা পাবেন তো।
মেহের কথার প্রত্যুত্তরে সমুদ্র ভর্ৎসনা স্বরে বলতে লাগলো,
— আমার কারো হেল্প এর প্রয়োজন নেই। আই ক্যান ডু ইভরিথিং। নাও গেইট আইট,,
— আমি যাব না।
মেহেরের শক্ত জবাব পেয়ে সমুদ্র চিবিয়ে বলে উঠলো,
— আই সেইড গেইট আউট। এখন তুমি ঘর থেকে বের না হলে আমর থেকে খারাপ আর কেউ হবে না। আন্ডারস্টান্ড?

— এই যে শুনছেন?
এক রমণীর কোমল কন্ঠস্বর কর্ণপাত হতেই ইয়াদ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। সমুদ্রের রুম হতে তখন প্রস্থান করার প্রধান কারণ হচ্ছে ইয়াদের ইমার্জেন্সি মেসেজ এসেছিল। তাকে চট্টগ্রাম ফিরতে হবে শুধু মাত্র পারভেজের জন্য। তাই অতি দ্রুত নিজ কক্ষে এসে জারার জন্য অপেক্ষা করছে সে। প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে জারার সন্ধান মিলল। শুধু দেখা নয় ইয়াদ কে নিরবে বসে থাকতে একরাশ সাহসের সহিত তাকে মলিন কন্ঠে ডেকেছে।
জারার প্রত্যুত্তর দেবার জন্য প্রস্তুত হতে হলো তাকে। প্রায় মিনিট খানিক নিরবতা পালন করে বলে শীতল কন্ঠ বলে উঠল,

— কিছু বলবে বুঝি?
ইয়াদের কথার প্রেক্ষিতে ফ্লোরে দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলো জারা। একরাশ জড়তা উপস্থিত হয়েছে তার হৃদয় মনে! নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রয়াসে দু হাতের দ্বারা ওড়নার আঁচল পেচিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগল। ঠোঁট যুগল সংকুচিত করে ইয়াদের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
— আপনি তো রাতে ঘুমান নি। এখন কি কোথাও যাচ্ছেন?
জারার অধিকার সম্পুর্ণ পূর্ণ বাক্য শুনে প্রশান্তি বয়ে গেলো ইয়াদের অন্তরালে! এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে তার ঠোঁটের কোণে।

— হুম। আর্জেন্ট কাজ পড়ে গিয়েছে। আজ চট্টগ্রাম এ যেতে হবে।
মুহূর্তেই জারার মন খারাপ হয়ে গেল। তৎক্ষণাৎ সে বলে উঠলো,
— আজকে না গেলে হয় না? আমার কিছু কথা ছিলো আপনার সঙ্গে। একটা ব্যাপার আপনার থেকে লুকিয়ে রেখেছি আমি। একটা বাক্য আমাকে ক্ষণে ক্ষণে ব্যতীত করে তুলছে। ক্রমশ নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আর পারছি না তার ভর বহন করতে। আপনাকে বলে আমি একটু শান্তিতে নিশ্বাস ত্যাগ করতে চাই। আপনি শুনবেন তো।
ইয়াদ নিশ্চুপ হয়ে জারার কথাগুলো কর্ণপাত করলো। বিয়ের পর এই প্রথম মেয়েটা তার সঙ্গে বিনা দ্বিধা, বিনা সংকোচে কথা বলছে! বিষয়টা ভেবেই ইয়াদের হৃদয় গহীন পুলকিত হয়ে উঠলো।

— হুম, আই শুনব। তোমার অন্তরে লুকিয়ে থাকা ওই গোপন কথাটা একটু সংক্ষিপ্ত আকারে বলো।
ইয়াদের কথার প্রত্যুত্তরে জারা তৎক্ষণাৎ বলে উঠলো,
— আমাকে ভুল বুঝবেন না তো?
— উহু! কখনোই আর আপনাকে ভুল বুঝবো না। কথা দিলাম।
জারা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিম্ন কন্ঠে জড়তার সহিত বলল,

— আমার জীবনে আপনি ব্যতীত অন্য কেউ একজন ছিল। বিশ্বাস করেন বর্তমানে আমি তার প্রতি কোন মোহে নেই। আমি ঘৃণা করি তাকে। সে বিশ্বাসঘাতকতা। আমার স্বচ্ছ ভালোবাসাকে সে উপেক্ষা করেছে বারবার। তার ক্ষমা নেই আমার কাছে। আমি প্রার্থনা করি, কখনো যেন সে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটা আমার সামনে উপস্থিত না হয়।
কথাগুলো বলেই দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করলো জারা। ফির বলে উঠলো,

— চিন্তা করবেন না আপনি। সে আমার অতীত আপনি আমার বর্তমান। আর হ্যাঁ ওই মেয়েটাকে ভুলে যান আপনি। রাফু ভাইয়া আমাকে আপনার অতীত সম্পর্কে অবগত করেছেন। আজ এসব নিচু মন মানসিকতা মানুষের জন্য সমাজটা ধ্বংসের পথে। শুধু তাই নয় তাদের জন্য মানুষের মনে পুনরায় নব্য প্রেমের সূচনা ঘটে না। তারা জীবন থেকে আনন্দ, উল্লাস, প্রেম সব সঙ্গে করে নিয়ে যায়। একবার ঠকে মানুষকে বিশ্বাস করার অত্যধিক কষ্টকর! জানেন, আমি এখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না।

কথাগুলো বলেই দু হাতে আঙুলের দ্বারা মুখ ডেকে ডুকরে কেঁদে উঠলো জারা। জারার বলা প্রতিটি বাক্য ইয়াদের বুকে একদম তীরের ন্যায় বিঁধেছে। জারা লক্ষ্য করে নি ইয়াদের বা চোখ হতে এক ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন হয়েছে ইতিমধ্যে। সে আর এক মুহূর্ত ও তার প্রিয়তার সামনে থাকতে পারবে না। পারবে না জারার ব্যথা সহ্য করতে। বর্তমানে গলা ফাটিয়ে কান্না পাচ্ছে ইয়াদের! এখন তার একান্তই নির্জন স্থান প্রয়োজন। না হলে যেকোন সময় বাচ্চাদের ন্যায় কেঁদে উঠবে সে।

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৫

[পূর্বের পর্বে বলেছিলাম ইয়াদ একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। আমি শুধু লেফটেন্যান্ট লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু অটো টাইপিং এর জন্য ভুল হয়েছে, দুঃখিত আজকের পর্বটা বেশ ছোট হয়ে গিয়েছে। রিচেক দেবার সময় পাই নি। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কাল থেকে নিয়মিত পাবেন।]

তুমি নামক অনুভূতি পর্ব ৫৭

1 COMMENT

Comments are closed.