তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১২

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১২
জেনিফা চৌধুরী

গরম চায়ের পাতিলটা হাত থেকে ছিটকে যখন বেলীর হাতের উপর পড়লো, তখন এক অসহ্যকর, যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথায় বেলী আর্তনাদ করে উঠলো। মধ্য রাতে হঠাৎ করে বেলীর কন্ঠস্বর শুনে নীলাভ্র হকচকিয়ে উঠলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত বারোটা বাজে।

অজানা ভয়ে বুকের ভেতর ধক করে উঠলো। দরজা খুলতেই গোঙ্গানির আওয়াজটা তীব্রতর হলো। নীলাভ্র বুঝতে পারলো আওয়াজটা কিচেনের দিক থেকে আসছে। দেরি করলো না। ছুটলো সেদিকে। ড্রয়িং রুমে এসে লাইট জ্বালাতেই সামনের দৃশ্যটা দেখে থেমে ওর মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিলো। বেলী নিচে বসে হাত ধরে গোঙ্গাছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নীলাভ্র বেলীর সামনে গিয়ে হাটু ভেঙে বসতেই, বেলী মাথা তুলে তাকালো। চোখ দুটো জলে টইটুম্বুর, ব্যাথা সহ্য করার জন্য ঠোঁট কামড়ে ধরে আছে, ডান হাতটা টকটকে লাল হয়ে আছে, অন্য হাতটা কাঁপছে। নীলাভ্র কাঁপা স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

“কি হয়েছে?”
বেলী কথা বলতে পারলো না। হাতটা জ্বলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফুঁপিয়ে কান্না করতে লাগলো। নীলাভ্রর মনে হচ্ছে ওর বুকের ভেতর জ্বলছে, অদ্ভুত অনুভূতি, এই অনুভূটি প্রকাশ করা যায় কিভাবে? এই অনুভূতির নাম কি দেওয়া উচিত? নীলাভ্র কাঁপা কাঁপা হাতটা বেলীর দিকে বাড়িয়েও আবার থেমে গেলো। মস্তিস্ক জানান দিলো ‘বেলীকে ছোঁয়ার সাধ্য নেই ওর’। শান্ত স্বরে পুনরায় বললো,

“হাতে কি হয়েছে? এমন কি করে হলো? বেলী উত্তর দে?”
নীলাভ্রর কথা শুনে, বেলীর মনে হলো কেউ ওর কা’টা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলো। নীলাভ্র তো ওকে বেলী ডাকেনা। তাহলে, এখন ডাকছে কেনো? বেলীর কিছু হয়েছে দেখেও নীলাভ্র এত শান্ত থাকেনা তাহলে, এখন এত শান্ত আছে কি করে? এই মুহূর্তে হাতের যন্ত্রণার থেকেও তীব্র যন্ত্রণা বুকের ভেতর হচ্ছে। নিজেকে সামলে বলে উঠলো,

“কিছু হয়নি। ব্যাথা পেয়েছি?”
কথাটা শুনে নীলাভ্রর রাগ হলেও, নিজেকে সামলে নিলো। নিজের কষ্ট গুলো প্রকাশ করলো না। অনুভূতিরা আজকাল ভেতরেই জমা থাকে, বাহিরে বের করার দরকার পড়েনা। বললো,
“হাতে ব্যাথা পেলে বুঝি ফোস্কা পড়ে?”
বেলী নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগলো। নীলাভ্র উঠে গিয়ে ফ্রীজ থেকে কতগুলো বরফ এনে বেলীর দিকে বাড়িয়ে দিলো, বললো,

“বরফ গুলো হাতের উপর ধরে রাখ, নয়তো আরো বেশি ফোস্কা পড়ে যাবে। আমি ফুপ্পিকে ডেকে দিচ্ছি।”
বলে নিজেই বেলীর হাতে বরফ গুলো ধরিয়ে দিয়ে, রিতার রুমের দিকে পা বাড়ালো। বেলী অসহায় পথিকের মতো সেদিকে চেয়ে রইলো। আজকে সকালের নীলাভ্র আর এখনের নীলাভ্রর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। ভাবনার মাঝেই বেলী নিজের মায়ের গলা শুনতে পেলো, রিতা ওর দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলছে,

“কি করে হলো এইসব মা? এত রাতে তুই এখানে কি করছিলি?”
বেলী উঠে দাঁড়ালো। কি উত্তর দিবে। খুঁজতে লাগলো। নীলাভ্র রাতে না খেয়ে সুয়ে পড়ছিলো। বলেছিলো ওর মাথা ব্যাথা করে। নীলাভ্রর অনেক ছোট থেকে মাইগ্রেনের ব্যাথা রয়েছে।

দুশ্চিন্তায় বেলীর কিছুতেই ঘুম আসছিলো না। বার বার নীলাভ্রর কাছে যেতে মন চাচ্ছিলো। তাই ভেবেছিলো এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে, নীলাভ্রর রুমে যাবে। যদি চা খেলে মাথা ব্যাথা কমে? চা বানাতে এসে অসাবধানতার বশত এমন একটা কান্ড ঘটবে ভাবেনি। বেলীর চুপ করে থাকা দেখে রিতা পুনরায় বলে উঠলো,

“এত রাতে এখানে কি করছিলি তুই?”
বেলী আমতা আমতা করে উত্তর দিলো,
“মাথা ব্যাথা করছিলো তাই চা বানাতে এসেছিলাম।”

বলে চারদিকে একবার তাকালো। নীলাভ্রকে দেখতে পেলো না। চলে গেলো মানুষটা? আজকে এতটা শক্ত হয়ে গেলো কি করে? ছেলেটা তো দেখলো তার বেলীপ্রিয়া কষ্ট পাচ্ছে? তা দেখেও চলে গেলো? চোখ থেকে অনবরত পানি পড়ছে। আর কত কাঁদবে মেয়েটা? বেলীর হাতে দুইটা বড় বড় ফোস্কা পড়ে গেছে ইতিমধ্যে।

রিতা কিছুক্ষণ বরফ ডলে দিয়ে, ঘরে থাকা বার্না মলম টা লাগিয়ে দিলো। এতক্ষণে কিছুটা জ্বালাপোড়া কমেছে। হয়তো কমেনি, কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার কাছে এই যন্ত্রণাটা খুব কম মনে হচ্ছে। রিতা বেলীকে একটা পেইন কিলার খাইয়ে দিলো। কাল সকাল না হওয়া অব্দি কি করার আছে আর? বেলী নিজের রুমে গিয়ে দরজায় পিঠ ঠেঁকিয়ে বসে পড়লো। কান্না গুলো আর জমিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হাঁটুতে মুখ গুঁজে কান্না করে উঠলো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে লাগলো,

“কেনো অবহেলা করছেন নীলাভ্র ভাই? আমি আর মেনে নিতে পারছিনা। এতদিন আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নিয়েছি, আর আজ শেষ অব্দি আপনিও মুখ ঘুরিয়ে নিলেন? ”
বলে আবারো কান্নায় ভেঙে পড়লো। তখনি হুট করে মনে পড়লো, সেদিন গাড়িতে নীলাভ্রর বলেছিলো,
“অবহেলা করছিস?”

নীলাভ্রর হঠাৎ প্রশ্নে বেলী চোখের পানিগুলো আড়াল করতে অন্যদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছিলো। নীলাভ্র হাসলো, সুন্দর হাসি, স্নিগ্ধ হাসি। বলেছিলো
“অন্ধকার শহরে হারিয়ে গেলে খুঁজবি না আমায়।”
সেদিন কথাটার মানে বুঝতে পারেনি বেলী। আজ বুঝতে পারছে। হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে।

নীলাভ্র নিজের রুমে ঘাপটি মে’রে বসে আছে। চোখ, মুখ লাল হয়ে আছে। শুধু পারছেনা চিৎকার করে কাঁদতে। দেয়ালে পিঠ ঠেঁকিয়ে মেঝেতে বসে আছে। রাগ, ক্ষোভ, কষ্টে বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে। কষ্টের বোঝা বহন করা খুব কঠিন। মিনমিনিয়ে বলতে লাগলো,

“আমি আর দূর্বল হবো না। তুই আমাকে আর দূর্বল বানাতে পারবি না। কিছুতেই না।”
দেয়ালের দুই পাশে দুইটা ভালোবাসার মানুষ আজ অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। রাত সবার জন্য সুখের হয় না। কারোর জন্য ভয়ংকর হয়।

“একি তুই এখানে শুয়ে আছিস কেনো?”
হঠাৎ করেই কানের মধ্যে কথাটা যেতেই বেলী ধড়ফড়িয়ে উঠলো। চারদিকে চেয়ে দেখলো ও মেঝেতে সুয়ে আছে। সারারাত অশ্রু বিসর্জন দিতে দিতে, কখন এখানেই ঘুমিয়ে গেছে? নিজেও জানেনা। সামনে ইশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো,

“তুই এত সকালে?”
ইশু অবাক স্বরে উত্তর দিলো,
“সকাল দশটাকে তোর এত সকাল মনে হয়?”
‘সকাল দশটা’ শুনেই বেলী লাফিয়ে উঠলো। অবাক স্বরে বললো,
“কিহ! সকাল দশটা! আমাকে কেউ ডাকেনি কেনো?”

তখনি হাতের মধ্যে ব্যাথা অনুভব করলো। হাতের ফোস্কা দুটোর মধ্যে জ্বলছে এখনো। মাথার মধ্যেও ব্যাথা করছে। শরীরটা মারাত্মক দূর্বল লাগছে। ইশু বেলীকে ধরে অসহায় স্বরে বললো,
“হাতের এই অবস্থা কি করে হলো?”

বেলী হাসলো। এই হাসির মধ্যে রয়েছে এক রাশ দুঃখ, কষ্ট। উত্তর না দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে এলো। ইশু বিছানায় বসে আছে। বেলী ওর পাশে বসতে বসতে বললো,
“নীলাভ্র ভাইয়ের মাথা ব্যাথা কমেছে রে?”
ইশু রাগী চাহনী দিলো ওর দিকে। বললো,

“ওর কথা জিজ্ঞেস করবি না। ও কষ্টে পাষাণ হয়ে গেছে। পাথর হয়ে গেছে ওর মন। ও তোকে ভুল বুঝছে বেলী।”
বেলী দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। বললো,
“ভুল বুঝাটাই স্বাভাবিক। ”
ইশু রাগে জোরেই বলে উঠলো,
“না স্বাভাবিক না। তুই তো রাফিনকে ভালোবাসিস না। আর না বিয়েটা নিজের ইচ্ছায় করেছিস। তাহলে কেনো শুধু ভাইয়্যু তোকে ভুল বুঝবে? কেনো অপমান করবে?”

বেলী কিছু না বলে চুপ করে রইলো। এখন আর উত্তর দিতে মন চাচ্ছে না। ইশু আবারো বলে উঠলো,
“রাফিন ভাইয়াকে তো ফুপ্পি আর দাদু মিলে ঠিক করেছিলো। রাফিন ভাইয়া দাদুকে বুঝিয়েছিলো ‘তোকে অনেক ভালোবাসে। তোকে ছাড়া বাঁচবে না।’ তাই তো দাদু তোকে বিয়ে করার জন্য রিকুয়েষ্ট করেছিলো। ফুপ্পি দাদুকে বিশ্বাস করে কোনো খোঁজ খবর ছাড়াই বিয়ে দিয়ে দিলো। তোরই বা কি করার ছিলো? তুই…”

ইশু আর বলতে পারলো না। বেলী থামিয়ে দিলো। বললো,
“পুরনো কথা কেনো তুলছিস? ভালো লাগছে না। আমার ভাগ্যে যা ছিলো তাই হয়েছে।”
ইশু কিছু বলতে যাবে তার আগেই নীলাভ্রর ডাক পড়লো। ইশু বিরক্ত হয়ে বললো,

“যাব না আমি। কাল আমাকে বের করে দিয়েছিলো, রুম থেকে। এখন আর যাব না।”
বেলী ওর কথা শুনে হাসলো, বললো,
“যা নয়তো আবার রেগে যাবে।”

ইশু বিরক্ত হয়ে বিরবির করতে করতে বেরিয়ে গেলো। ইশু বেরিয়ে যেতেই বেলীর দুচোখ বেয়ে জলরাশি গড়িয়ে পড়লো। সেদিন রাফিনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটা ছিলো ওর জীবনের সব থেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। একটা মাত্র ভুলের জন্য আজ ওর জীবনটা বি’ষের থেকেও বি’ষাক্ত হয়ে গেছে। আনমনেই বলে উঠলো,
“আমি কি ক্ষতি করেছিলাম আপনার? কেনো আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলেন?”

ইশু নীলাভ্রর রুমে ঢুকেই দেখে নীলাভ্র শার্ট পড়ছে। ইশুকে দেখা মাত্র বললো,
“এতক্ষণ লাগে এখান থেকে এখানে আসতে?”
ইশু ছোট করে বললো,
“কি জন্য ডেকেছো?”

নীলাভ্র শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে, বললো,
“কাল তুই কি বলতে চেয়েছিলি?”
নীলাভ্রর কথাটা শুনেই ইশুর চোখ মুখ খুশিতে ঝলমল করে উঠলো, খুশিতে জোরেই বলে উঠলো,
” তুমি শুনবে ভাইয়্যু?”
নীলাভ্র মাথা নাড়ালো। ইশু খুশিতে মুখে ইয়া লম্বা হাসি ফুটালো, বললো,

“বেলী তোমাকে ভালোবাসে ভাইয়্যু।”
নীলাভ্র হাসলো। বললো,
“তারপর?”
ইশু আবারো বললো,

“বেলী বিয়েটা করতে চায়নি। ও রাফিনকে ভালোবাসে না। শুধু মাত্র দাদুর কথা রাখতে যেয়ে ও বিয়েটা করেছিলো।”
কথাটা শুনেই নীলাভ্র হাহা করে হেসে উঠলো। হঠাৎ নীলাভ্রকে এমন করে হাসতে দেখে ইশুর চোখ চড়ক গাছ। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো নীলাভ্রর দিকে। নীলাভ্র হাসতে হাসতে বললো,

“যদি আমাকেই ভালোবাসে তাহলে দাদুর কথা রাখতে যেয়ে অন্য ছেলেকে কেনো বিয়ে করলো?”
বলে ভ্রু যুগল উঁচু করে ইশুর দিকে তাকিয়ে রইলো। ইশু কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না। বললো,

“ভাইয়্যু বেলীর বিয়েতে রাজি হওয়া ছাড়া অপশন ছিলো না৷ ভাইয়্যু ওর বাবা নেই, দেখতে পরির মতো সুন্দর, আমাদের সমাজে মেয়েরা একটু বড় হলেই, সমাজের মানুষের চোখ পড়ে যায়। ফুপ্পিকে আমি একদিন মজা করেই বলেছিলাম ‘বেলীকে তোমার বউ করব’।

সেই কথা শুনেই ফুপ্পি অনেক রেগে গেছিলো, আমাকে মুখের উপর বলেছিলো ‘মেয়েকে দরকার পড়লে সারাজীবন বিয়ে না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখবে তাও আত্মীয়র মাঝে আত্মীয় করবে না’। এই কথাটা কেনো বলেছিলো জানিনা। ফুপ্পি হয়তো পরে বুঝতে পেরেছিলো তুমি বেলীকে ভালোবাসো আর বেলী তোমাকে। তাই রাফিন ভাইয়া প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথে রাজি হয়ে গিয়েছিলো। এখন তুমিই বলো বেলীর কি করার ছিলো?”

ইশুর কথা শেষ হতেই নীলাভ্র হাসতে হাসতে বললো,
“অনেক কিছু করার ছিলো।”
ইশু প্রশ্নাত্তুর চোখে তাকালো। নীলাভ্র আবার বললো,

“আমি তো বেলীকে বলেছিলাম যেনো বিয়েতে না করে দেয়, পরে যা হবে আমি সব সামলে নিব। কিন্তু বেলী মুখের উপর বলেছিলো ‘ও রাফিনকে ভালোবাসে তাই ওকেই বিয়ে করবে’।”
কথাটা বলেই তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। ইশু হা করে চেয়ে থাকলো। বললো,
“ভাইয়্যু, বেলী পরিস্থিতির চাপে পড়ে এইসব করেছে। তু…।”

নীলাভ্র এইবার বড় একটা ধমক দিয়ে বললো,
“ওর হয়ে আর কথা বলতে আসবি না আমার কাছে। আউট।”
ইশুও আর দাঁড়ালো না। রাগে বেড়িয়ে আসলো রুম থেকে। কি জঘন্য আচরণ করছে তার ভাইটা?

নীলাভ্র বাইরে যাওয়ার জন্য নিচে নামতেই, দেখলো দরজা দিয়ে রাফিন ঢুকছে। রাফিনকে দেখেই নীলাভ্র রাগে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে নিলো। রাফিনকে দেখেও না দেখার ভান করে অন্যদিকে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই, পেছন থাকে রাফিন বলে উঠলো,

“নীলাভ্র কেমন আছো?”
বাধ্যতামূলক নীলাভ্রকে থামতে হলো। সৌজন্যবোধ থেকে হাসলো, মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,
“ভালো আছি। আপনি?”
রাফিন হেসে বললো,
“ভালো আছি।”

রাফিন হঠাৎ বাসায় কেনো এসেছে? প্রশ্নটা জমিয়ে রাখতে না পেরে করেই ফেললো,
“আপনি হঠাৎ এখানে? ”
রাফিনের মুখের হাসিটা আরো ছড়ালো। বললো,

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১১

“বেলীকে দেখতে এসেছিলাম। ওর হাত পুড়ে গেছে শুনলাম। তাই আর থাকতে পারেনি চলে এসেছি।”
কথাটা শুনেই নীলাভ্রর মাথা ভনভন করে ঘুরতে লাগলো। মনে হলো কেউ ওর গলা চে’পে ধরলো। বুকের ভেতরে যন্ত্রণা শুরু হলো। কি ভয়ংকর যন্ত্রণা? অনুভূতি গুলো বড্ড বাজে?

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১৩