তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১৯

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১৯
জেনিফা চৌধুরী

বেলী ভার্সিটির ক্যাম্পাসে পা রাখতেই, আচমকা চোখের সামনে এসে দাঁড়ালো ওর প্রাক্তন স্বামী। রাফিনকে দেখেই বেলী আজকাল নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারেনা। পারবে কি করে? এই ছেলেটা যে, ওর জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিলো। সব বিষাক্ত অতীত ভুলে সবে, নিজের জীবনটা গুঁছানো শুরু করেছে। রাফিনের মুখে লেগে আছে হাসি, এই হাসির মানে বেলীর বুঝতে দেরি হলোনা। রাফিন বেলীর হাতটা চে’পে ধরতেই, বেলী চিৎকার করে বলে উঠলো,

“আমার হাতটা ছাড়ুন স্যার। আপনার লজ্জা করেনা। আপনি একজন শিক্ষক হয়ে, ছাত্রীর পারমিশন ছাড়া তার হাত ধরেছেন। এক্ষুনি আমার হাতটা ছাড়ুন, নয়তো…।”
কথাটা শেষ করতে পারলোনা বেলী। ওর মুখের কথা রাফিন কেড়ে নিলো। বললো,
“নয়তো, কি করবে তুমি?”
বেলী দাঁতে দাঁত চে’পে উত্তর দিলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আমি কি কি করতে পারি, তা আপনার ধারণার বাইরে।”
রাফিন হাসলো। চারদিকে একবার নজর দিলো। ক্যাম্পাসে উপস্থিত কয়েকজন, ওদের দিকে অবাকপানে চেয়ে আছে। তা দেখে রাফিনের উদ্দেশ্যে যেনো আরো গাঢ় হয়ে গেলো। মুখের হাসিটা চওড়া হলো। হাসি মুখেই বললো,
“আর, আমি কি করতে পারি তা তুমি খুব ভালো করেই জানো।”

এবার বেলী বোধহয় ভয় পেলো? কিন্তু প্রকাশ করলো না। যথেষ্ট সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে বললো,
“আপনি একটা কা-পুরুষ। আর কা-পুরুষরা কি কি করতে পারে, সবাই জানে।”
রাফিন ‘বেলী’ বলে চেঁচিয়ে উঠলো। পরক্ষণেই নিজেকে আবার শান্ত করে নিলো। বেলীর হাতটা শক্ত করে চে”পে ধরে রেখেছে এখনো। এত জোরে চে”পে ধরে আছে যে, বেলীর মনে হচ্ছে ওর হাড় ভেঙে যাচ্ছে। তীব্র ব্যাথার কম্পন অনুভব করছে। তবুও ব্যাথার আর্তনাদ প্রকাশ করলো না। শান্ত স্বরেই বললো,

“আমার হাতটা ছাড়ুন। সবাই দেখছে। এটা পাবলিক প্লেস। দয়া করে, এখানে কোনো সিনক্রিয়েট করবেন না।”
রাফিন এবার চারদিকে তাকিয়ে হাতটা ছেড়ে দিলো। অনুরোধ বাক্যে বললো,
“আমার তোমার সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। একটু সময় দাও প্লিজ।”
“আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই ” বেলীর ঝটপট উত্তর। রাফিন বললো,
“প্লিজ, শেষবার।”

রাফিনের শেষ আবদার শুনে বেলী ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো, ‘সব কিছু কথা বলেই ঠিক করতে হবে’। তাই, বললো,
“চলুন, কোথায় যাবেন?”
রাফিনের মুখে যেনো হাসি ফুটলো। রাফিন খুশি হয়ে বললো,
“গাড়ি উঠো। আমি আসছি।”
বেলি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখলো রাফিনের দিকে, তুখোড় স্বরে বললো,

“আমাকে আপনার নির্লজ্জ মনে হয়। আপনি আমাকে বলবেন আর আমি হুরহুর করে গাড়িতে উঠে বসব। আমার দরকারি কাজ আছে, তাই আমি ভার্সিটির বাইরে পা রাখতে পারবনা।”
বেলীর কথায় রাফিনের শরীর জ্বলে উঠলেও সামলে নিলো। বললো,
“তাহলে ভার্সিটির ক্যান্টিনে যেতে তো কোনো সমস্যা নেই, আশা করি।”

বেলী উত্তর দিলো না। সেদিকে হাঁটা শুরু করলো। দুজনে ভার্সিটির ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকে, কর্ণারের একটা টেবিলে বসলো। এই মুহূর্তে ওরা দুজন মুখোমুখি হয়ে বসে আছে। রাফিন সৌজন্যতার খাতিরে বললো,
“কি খাবে, বলো?”

“আমি আপনার সাথে খেতে বা আড্ডা দিতে আসিনি। আপনার কি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে, তাড়াতাড়ি বলুন। নয়তো, আমি চলে গেলাম। আপনার মতো কোনো আ’জাইরা টাইম আমার নেই।”
বেলীর এমন কড়া কথা শুনে, রাফিনের মুখের হাসি উধাও হয়ে গেলো। রাফিন একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, বলতে শুরু করলো,
“দেখো, অতীত আমাদের সবার জীবনে থাকে। তাই বলে অতীত আকঁড়ে বেঁচে থাকা তো কোনো সমাধান না। আ…।”
রাফিনের সম্পূর্ণ কথা শেষ হলো না। তার আগেই বেলী ফোড়ন কে’টে বললো,

“আমি যে অতীত আকঁড়ে বসে আছি, আপনাকে কে বললো? আপনার মতো জঘন্য ব্যাক্তিকে ছেড়ে এসে বরং বুদ্ধিমানের কাজ করেছি।”
রাফিন এবার ধমকে উঠলো। চেঁচালো খুব জোরে। বললো,

“বার বার জঘন্য লোক বলে কি প্রমাণ করতে চাইছো? তুমি খুব ভালো, তুলসী পাতা। যদি এতই ভালো হতে তাহলে বিয়ের পর ও পরপুরুষের কথা ভাবতে না। আমি কেনো পৃথিবীর কোনো স্বামী এটা মেনে নিবে না।”
বেলী রাফিনের থেকে দ্বিগুণ জোরে চেঁচিয়ে উঠলো,

“পরপুরুষ কাকে বলছেন আপনি? নীলাভ্র ভাইকে, পরপুরুষ বলছেন? কোন সাহসে? আর বিয়েটা তো আমি করতে চাইনি। বাধ্য হয়ে আপনাকে বিয়ে করতে হয়েছিলো। বাধ্য করেছিলেন আপনি, আমাকে ভয় দেখিয়েছিলেন, আমার মাকে কেড়ে নেওয়ার ভয়। কতটা জঘন্য হলে একটা মানুষ এমন কথা বলতে পারে? ভাবেন একবার।”

সকাল সকাল ক্যান্টিনে দুই, চারজন বাদে কেউ নেই, যারা আছে সবাই ওদের দিকে অবাক পানে চেয়ে আছে। রাফিন সবে মাত্র কয়েকদিন হলো, ভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে নতুন জয়েন করেছিলো। বেলীর মুখে এইসব কথা শুনে ফিসফিসানির শব্দ ভেসে আসছে, ওর কানে। হয়তো ওরা রাফিন আর বেলীকে নিয়েই সমালোচনা করছে। নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য রাফিন দমিয়ে গেলো। শান্ত, শীতল কন্ঠে বেলীকে বললো,

“দেখো বেলী, আস্তে কথা বলো। গলার স্বর নিচু করো। সবাই দেখছে এবং শুনছে।”
বেলী থামলো না। পূর্বের ন্যায় বললো,

“শোনা উচিত সবার। আপনি কতটা নিচু মনের মানুষ, সবার শোনা উচিত, জানা উচিত। একটা মেয়েকে বাধ্য করেছিলেন বিয়ের জন্য, বিয়ের পর কারণে-অকারণে হাত তুলেছেন গায়ে, এইসব মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম, আপনি অনেক গুলো মেয়ের জীবন নিয়ে খেলেছেন, তাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলেছেন,সেদিন আর মানতে পারিনি।

ভয় পেয়ে আপনাকে বিয়ে করা ছিলো, আমার জীবনের সব থেকে বড় ভুল। তাইতো ভয় কাটিয়ে, বাড়ির সবাইকে বলতে বাধ্য হয়েছিলাম আপনার কুকীর্তি। ডিভোর্স দিয়েছিলাম। চলে এসেছিলাম আপনার জীবন থেকে। তবুও আপনি আমাকে শান্তি থাকতে দিলেন না, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে, ভার্সিটির প্রথম দিনেই নোংরামি করতে চলে এসেছিলেন।

বি’ষাক্ত যন্ত্রণা দিয়েছিলেন। এমনকি সিগারেটের আগুনে পু*ড়িয়ে দিয়েছেন আমাকে। ক্ষত দুটো এখনো আমার শরীরে লেপ্টে রয়েছে, হয়তো দাগ থেকে যাবে সারাজীবন। আপনি শুধু আমার শরীরে দাগ লাগাননি। আমার চরিত্রেও দাগ লাগিয়েছিলেন। ”

এইটুকু বলে থামলো বেলী। গলা ধরে আসছে ওর। যন্ত্রণা হচ্ছে। তবুও আজ বেলী থামবে না। রাফিনের চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে। হাত দুটো কাঁপছে। বেলী আবার বলে উঠলো,
” সব শেষে একটাই কথা, আপনাকে বার বার মনে করাতে হয় যে, আমরা এখন আর স্বামী-স্ত্রী নই। ডিভোর্স হয়ে গেছে আমাদের, শুনতে পেয়েছেন। এর জন্যে ক্ষতিটাও আমার হয়েছে।

সমাজে আমি একজন ডিভোর্সি নারী, যাকে সবাই অবহেলার চোখে দেখে, নিন্দা করে, অপমান করে, গায়ে চরিত্রহীনার তকমা অব্দি লাগিয়ে দিয়েছে। আপনার জন্য, শুধুমাত্র আপনার জন্য, আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। যখন সব কিছু ভুলে আবার নতুন করে শুরু করতে চাইছি, তখনি আপনি আবার অভিশাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। কেনো? আমাকে কি একটু শান্তিতে বাঁচতে দিবেন না। এর থেকে বরং একেবারে মে*রে ফেলুন আমাকে।”

রাগে বেলীর ঠোঁট দুটো কাঁপছে। চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে। রাফিন নিজের অপমানটা সহ্য করতে পারলো না। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে বেলীর গায়ে থা*প্পড় মে*রে বসলো। হঠাৎ থা*প্পড়ে বেলী পড়ে যেতে নিয়েও, চেয়ারের হাতল ধরে সামলে নিলো নিজেকে। গালে হাত দিয়ে রাফিনের দিকে ভয়ঙ্কর চাহনী নিক্ষেপ করলো। রাফিন আচমকা সবার সামনে বেলীর গলা চে*পে ধলো, মিনিটের মাথায় গলা ছেড়ে দিয়ে, দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নিলো বেলীকে। রাগী স্বরে চিৎকার করে বললো,

“তোর জন্য আমি আমার লাইফের যেই সময় নষ্ট করেছি, অন্য কোনো মেয়ের জন্য তা করতে হয়নি। তবুও তোর এত কিসের অহংকার? এই রুপের। তোর সব অহংকার, আমি চাইলে এক মুহূর্তে ধূলিসাৎ করে দিতে পারি। শুধু পারিনি, কারণ তোর উপর আমার আলাদা টান কাজ করে। তাইতো সব অপমান মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ তুই সব লিমিট ক্রস করে ফেলেছিস। মে*রে ফেলতে ইচ্ছে করছে তোকে।”

বলে পুনরায় বেলীর গলা চে*পে ধরলো। বেলীর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনবরত। দম আটকে আসচ্ছে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে রাফিনের থেকে। রাফিনের চোখে তীব্র প্রতিশোধের নেশা দেখতে পাচ্ছে। ভার্সিটির দুইজন ছাত্র দৌড়ে এসে রাফিনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো। ধস্তাধস্তি করে রাফিনকে বেলীর থেকে ছাড়িয়ে নিলো। রাফিনের থেকে ছাড়া পেতেই, বেলী কাশতে শুরু করলো।

বেলীর পরিচিত দুইজন মেয়ে ছিলো সেখানে, ওরা দৌড়ে এসে বেলী চেয়ারে বসিয়ে শান্ত করতে লাগলো। মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছেনা ওর। সারা শরীর কাঁপছে। এমন সময় পা’গলের মতো ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকলো নীলাভ্র। সামনে তাকিয়ে বেলীর চোখ, মুখের অবস্থা দেখে, ওর পা জোড়া থেমে গেলো। নিশ্বাস ভারী হয়ে আসতে লাগলো।

রাফিন বেলীর দিকে ভয়ঙ্কর চোখে তাকিয়ে রয়েছে। নীলাভ্রকে দেখে যেনো আরো দ্বিগুণ রেগে গেলো। নীলাভ্র ছুটে গেলো বেলীর দিকে। হাটু ভেঙে বসলো বেলীর পায়ের কাছে। নীলাভ্রকে দেখেও বেলীর মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছেনা। চোখের অশ্রুপাত থামছেনা। রাফিন গলা এত জোরে চে*পে ধরেছে যে, গলায় তীব্র ব্যাথা শুরু হয়েছে। নীলাভ্র বেলীর গালে হাত রাখলো, প্রশ্ন করলো,

“ঠিক আছিস তুই?”
বেলী উত্তর দিলো না। চেয়ে রইলো শুধু অশ্রুভর্তি চোখে। বেলীকে শান্ত থাকতে দেখে নীলাভ্র জোরে চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
“কি হয়েছে? কথা বল। ঠিক আছি তুই? বেলীপ্রিয়া চুপ করে থাকিস না। কি হয়েছে, আমাকে বল?”

অধৈর্য হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো নীলাভ্র। বেলী হয়তো এই সময়টার অপেক্ষায় ছিলো। দুই হাতে আকঁড়ে ধরলো নীলাভ্রর কোমর। মুখ গুঁজলো নীলাভ্রর পেটে। কি করে বুঝাবে? ওর যন্ত্রণা হচ্ছে! ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা। আজ সকাল সকাল ভার্সিটি এসেছিলো রাকিবের সাথে কথা বলার জন্য, সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভার্সিটির ক্লাস শেষে ওরা দুজন তানিশার গ্রামের বাড়িতে যাবে। কিন্তু, হুট করে কি হয়ে গেলো? আর পরবর্তীতে কি হতে চলেছে?

কাল সারারাত রাকিবের বদ্ধ ঘরের চিৎকার কেউ শুনেনি। কেউ খোঁজ নেয়নি। চোখ ফুলে টইটম্বুর হয়ে আছে। রাকিব ফর্সা হওয়ায়, ওর চোখসহ সারামুখ রক্তিম হয়ে আছে। ওর মুখের দিকে তাকালে যে কেউ ওর কষ্টটা অনুভব করতে পারবে। ওর কষ্টের গভিরতা পরিমাপ করতে পারবে।

ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করার সময় লক্ষ্য করলো, ওর চোখ থেকে পানি পড়ছে। শার্টের হাতা দিয়েই বার বার চোখ মুছে যাচ্ছে রাকিব। এর মধ্যে ফোনটা বেজে উঠলো, চোখের পানি টুকু সম্পূর্ণ মুছে নিয়ে রাকিব ফোন রিসিভ করলো। গ্রাম থেকে ওর দাদু ফোন দিয়েছে। কিছুক্ষণ হাসি মুখেই কথা বললো। হুট করে ওপাশ থেকে রাকিবের দাদু বলে উঠলো,

“তুই দেহি আইলিনা ভাই। শাকিল বিয়া কইরা লাইছে। আর তুই আইলিনা।”
রাকিবের ভেতরটা দহনে পু*ড়ে গেলেও বেশ শান্ত স্বরে বললো,
“আমার পরিক্ষা আছে দাদি। পরে আইমু।”
ওপাশ থেকে সে আবারো বলে উঠলো,
“তোর বান্ধবীরে বিয়া কইরা আনলো। আর তুই আইলিনা।”

কথাটা শুনে এক মুহূর্তের জন্য রাকিবের মাথা ঘুরে গেলো। বুঝতে পারলো না, কি বলতে চাইছে সে। অস্পষ্ট স্বরে বললো,
“কি কইলা? বুঝিনাই।”
রাকিবের দাদু বেশ আমোদের স্বরে বললো,
“আরে, ওইযে রতইন্নার মাইয়া তানিশা।”

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ১৮

কথাটা রাকিবের কান অব্দি গেলো না। মনে হলো ওর মাথায় বাজ পড়লো। শাকিল আর রাকিব সম্পর্কে চাচাতো ভাই। কিন্তু আপন না। ওদের একি বাড়ি। ছোট থেকেই এক সাথে বড় হয়েছে। ভালোবাসার মানুষটাকে শেষে কিনা ভাইয়ের বউ হিসেবে মেনে নিতে হবে। এই যন্ত্রণা কি করে সইবে ও? হাটু ভেঙে বসে পড়লো মেঝেতে। চোখে পানিতে ভরপুর। নিয়তি কি নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে? এর শেষ কোথায়, কে জানে?

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ২০