তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ৮

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ৮
জেনিফা চৌধুরী

নাস্তার প্লেটটা ছু’ড়ে ফেলতেই তীব্র ঝনঝন শব্দে সবার সম্বিৎ ফিরে এলো। আকস্মিক ঘটনায় উপস্থিত সকলে নীলাভ্রর দিকে তাকালো। প্লেটটা ছুড়ে ফেলে নীলাভ্র দুই হাতে চুল খামচে ধরে আছে। চোখ জোড়া রক্তিম আকার ধারণ করেছে। বেলী হঠাৎ শব্দে কেঁপে উঠলো। এই ভয়টাই পাচ্ছিলো এতক্ষণ ধরে। নীলাভ্র মুখ চেপে ধরে, শব্দ করে নিশ্বাস ছাড়লো। নীলাভ্র কেনো এমন করছে তা শুধু সীমা আর বেলী বুঝতে পারলো। বাকি সবাই প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো। রিতা অবাক স্বরে প্রশ্ন করলো,

“নীল তোর কি শরীর খারাপ করছে? কোনো সমস্যা বাবা? এভাবে নাস্তাগুলো ফেলে দিলি কেনো?”
নীলাভ্র নিজের আচরণে নিজেই রাগান্বিত। এভাবে রিয়েক্ট করে ফেলবে, নিজেই বুঝতে পারেনি। এখন কি উত্তর দিবে? কিছু উত্তর সাজালো। বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“হাত লেগে কিভাবে যেনো পড়ে গেলো ফুপ্পি। বুঝতে পারিনি। আমি আর খাব না। আমার একটু কাজ আছে। উঠছি আমি।”
বলে সেকেন্ডও দেরি করলো না। বড় বড় পা ফেলে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে। পেছন থেকে সীমা বার কয়েক ডেকে উঠলো। সাড়া দিলো না। বেলীর গলায় যেনো খাবার আটকে আছে৷ পানি দিয়ে কোনোরকম গিলে নিলো। ব্যাগটা নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। ওরা দুজন চলে যেতেই আমির হোসেন বলে উঠলো,

“কোনটা ছু’ড়ে ফেলা আর কোনটা হাত লেগে পড়া তা আমরা বুঝি সীমা। তোমার ছেলে কি আমাদের বোকা ভাবে?”
আমির হোসেনের কথায় সীমা কিছু বলার সাহস পেলো না। রিতা শান্ত স্বরে বললো,
“ভাইজান আপনি শুধু শুধু ছেলেটাকে দোষ দিচ্ছেন। হয়তো হাত লেগেই পড়ে গেছে।”

বলে নাস্তাগুলো পরিষ্কার করার কাজে লেগে পড়লো। আর আমির হোসেন সবার চোখের আড়ালে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। রিতা নাস্তা গুলো পরিস্কার করতে করতে মনে মনে আওড়ালো,
“আমার কেনো মনে হচ্ছে যে, নীল বেলীর বিয়ের কথা শুনে রিয়েক্ট করলো। ধুর, কিসব ভাবছি? ”

নীলাভ্র গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেলী হুড়মুড়িয়ে ওর গাড়ির সামনে দাড়ালো। অস্থির কন্ঠে বললো,
“আপনার হাতে ব্যাথা নীলাভ্র ভাই। প্লিজ এই অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বের হবেন না। ”
নীলাভ্র বেলীর দিকে না তাকিয়ে উত্তর দিলো,

“সামনে থেকে সরে যা বেলী। আমি পারব ড্রাইভিং করতে।”
নীলাভ্রর মুখে শুধু বেলী নামটা শুনতেই বেলীর মাথা ঘুরতে লাগলো। মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিলো খানিকক্ষণ। কানের মধ্যে শনশন শব্দ হচ্ছে। গাড়ির হর্নের শব্দে হুঁশ এলো বেলীর। হকচকিয়ে উঠলো। নীলাভ্র বেশ রাগী স্বরে বললো,
“সরবি নাকি খাম্বার মতো এখানে দাড়িয়ে থাকবি?”
বেলী দুই হাত প্রসারিত করে দাড়িয়ে, ঝটপট উত্তর দিলো,

“সরবো না। দেখি কি করবেন? করেন।”
নীলাভ্র কপাল কুঁচকে বললো,
“আমি কি তোর বন্ধু বা বেয়াই লাগি? ”

বেলী দুই দিকে মাথা নাড়ালো। অর্থাৎ ‘না’। নীলাভ্র এবার গাড়ি থেকে বেলীর সামনে এসে দাড়ালো। তা দেখে বেলী একটু ভড়কে গেলো। তবুও চোখ, মুখ স্বাভাবিক রাখলো। নীলাভ্র বেলীর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে বললো,
“দেখ বেলী? তোর সাথে মজা করার মুড নেই আমার। সামনে তোর বিয়ে সেদিকে মন দে।”
বলে আবার গাড়ির দিকে পা বাড়ালো। পেছন থেকে বেলী আবদারের স্বরে বললো,

“আমাকে আপনার সাথে নিয়ে যাবেন নীলাভ্র ভাই।”
নীলাভ্র পেছনে না ঘুরে বললো,
“কোথায় যাবি?”
বেলী নিজেই নীলাভ্রর সামনে এসে দাড়ালো। বললো,
“আপনি যেখানে নিয়ে যাবেন?”
কপাল কুঁচকালো। চোখে, মুখে প্রশ্নের রেখা উঁকি দিলো। প্রশ্ন করলো,
“মানে?”

বেলী আর কোনো কথা শুনলো না। কোনো রকম অস্বস্তি ছাড়া নীলাভ্রর হাত ধরে গাড়ির ড্রাইভিং সিটের পাশে বসালো। আর নীলাভ্র হা করে দেখছে? কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না। বেলী নিজের থেকে ওর হাত ধরেছে? ভুল দেখছে নাকি স্বপ্ন? জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বললো,

“এখান থেকে যদি নামার চেষ্টা করেন। তাহলে আমি…?”
বলে থামলো। নীলাভ্র ডান ভ্রু উঁচু করে বললো,
“তাহলে, তুই কি?”
বেলী মেকি হাসলো। তারপর কিছু না বলে নিজে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো। তা দেখে নীলাভ্রর চোখ চড়ক গাছে। চেঁচিয়ে বলে উঠলো,

“আমাকে মে’রে ফেলার চেষ্টা করেছিস নাকি? তুই ড্রাইভিং করবি? সিরিয়াসলি! ড্রাইভিং কাকে বলে জানিস? ড্রাইভিং করা কি পুতুল খেলা মনে হয় তোর?”
নীলাভ্রর কথা শুনে বেলী হাসলো। শান্ত কন্ঠেই শুধালো,
“আপনি ভুলে গেছেন ভাইয়া তাইনা?”
নীলাভ্র ছোট করে উত্তর দিলো,”কি?”

“আপনি নিজে আমাকে ড্রাইভিং শিখিয়েছিলেন? ”
বেলীর কথায় নীলাভ্রর মুখের গম্ভীর ভাবটা মুছে গেলো। মনে পড়লো প্রায় এক মাস চেষ্টার পর বেলী ড্রাইভিং শিখেছিলো। বেলী ডুব দিলো অতীতের সুন্দরতম ভাবনায়…

“তিন বছর আগে”
বেলী তখন সবে কলেজে ভর্তি হয়েছিলো। আয়েশা খাতুনের শরীরটা হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ায় নীলাভ্রদের বাসায় এসেছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিচে নামতেই দেখলো নীলাভ্র দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। বেলী পেছন থেকে ডেকে বললো,

“কোথায় যাচ্ছেন নীলাভ্র ভাই?”
প্রতিউত্তরে নীলাভ্র ভ্রু যুগল কুঁচকে জবাব দিলো,
“তোকে কেনো বলবো?”

বেলীকে পাত্তা দিলো না, গাড়িতে উঠে বসলো। তৎক্ষনাৎ বেলীর ইচ্ছে হলো ড্রাইভিং শেখার। খুব ছোট থেকে ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে ‘লেডি বাইকার’ হবে, নিজের টাকায় গাড়ি কিনবে। কিন্তু হুট করে বাবা নামক ছায়াটা পৃথিবী থেকে চলে যেতেই। বেলীর সব ইচ্ছে শুধু ইচ্ছে হয়েই রয়ে যায়। দেরি করলো না। জানালা দিয়ে নীলাভ্রর দিকে ঝুঁকে আবদারের স্বরে বললো,
“আমাকে ড্রাইভিং শেখাবেন ভাইয়া?”

নীলাভ্র ওর কথা শুনে হাসলো। মেয়েটাকে দুই বেনুনীতে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। ঠোঁট দুটো উল্টে আছে। বেলীর মুখশ্রীতে তাকিয়ে ‘না’ বলার ইচ্ছে হলো না। বললো,
“উঠে আয়।”

বেলী নীলাভ্রর একদম গা ঘেষে বসলো। নীলাভ্র একহাতে বেলীকে জড়িয়ে ধরে সব কিছু বুঝিয়ে দিতে লাগলো। বেলীর হাত স্ট্যায়ারিং এর উপর রাখলো। তারপর, বেলীর হাতের উপর নিজের হাত দিয়ে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়ে, গাড়ি স্টার্ট করলো। বেলী খুশিতে গদগদ হয়ে আছে। মুখের হাসি যেনো থামছেই না কিছুতে।

লম্বা বেনুনী গুলো মাঝে মাঝে ডিস্টার্ব করছে। ওদের বাসা থেকে দশ মিনিট দূরে একটা লেক পার্ক আছে। সেখানে গিয়ে গাড়ি থামলো। বেলী গাড়ি থেকে নামিয়ে এক প্রকার নাচানাচি শুরু করলো, খুশিতে। তা দেখে নীলাভ্র মিটমিটিয়ে হাসলেও, গম্ভীর কন্ঠে বললো,

“ছা’গ’লের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো রাস্তায় নাচানাচি করছিস কেনো? ইডিয়ট। ”
অন্য সময় হলে বেলী নীলাভ্রর সাথে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতো। আজ করলো না। বললো,
“চলেন না আমরা একটু ঘুরে আসি।”

নীলাভ্রর উত্তরের আশায় রইলো না। নীলাভ্রর হাত ধরে সামনে এগিয়ে গেলো। সকালের মিষ্টি বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে হেঁটে চলেছে ওরা দুজন। বেলী নীলাভ্রর বাহু জড়িয়ে বকবক করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে নিজেই নিজের কথায় হাসছে। নীলাভ্র নির্বাক শ্রোতার মতো শুনছে। কিছু দূর যেতেই পাশাপাশি দুইটা দোলনায় দুজনে বসে দোল খেতে লাগলো। এই মুহূর্তে বেলীর খোলা চুল হলে মেয়েটাকে কতোই না মিষ্টি লাগতো। ভেবে নীলাভ্র মুচকি হাসলো। বেলী দোল খেতে খেতে বললো,

“এভাবে দুজনে দোল খাওয়ায় মজা নেই নীলাভ্র ভাই। আপনি আমাকে পেছন থেকে দোল দেন তো একটু।”
নীলাভ্র বরাবরের মতো হাসলো। উঠে গিয়ে দোল দিতে লাগলো বেলীকে। মাঝে মাঝে বেলীর লম্বা বেনুনী দুটো নীলাভ্রর হাতে পেঁচিয়ে যাচ্ছে। দুই বার সামলেও তিন বারের সময় নীলাভ্র বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো,

“এই তোর চুল গুলো কি আসল নাকি নকল বল তো?”
নীলাভ্রর প্রশ্নে বেলী শব্দ করে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে বললো,
“আসল। সম্পূর্ণ অরিজিনাল। বুঝলেন মিস্টার?”
নীলাভ্র ওর কথায় মিছে মিছে রাগ দেখিয়ে বললো,

“এত বড় চুল কি করে সামলাস তুই? মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছে করে তোর বেনুনীর অর্ধেক থেকে কুচ করে কে’টে দেই।”
কথাটা শুনেই বেলী দোল খাওয়া থামিয়ে, লাফিয়ে নেমে পড়লো দোলনা থেকে। চুল গুলো দুই হাতে বুকে জড়িয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো,

“খবরদার আমার জানের জান, প্রানের প্রান চুলের দিকে নজর দিবেন না নীলাভ্র ভাই। খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
বলে চুলের মধ্যে থু,থু দিতে লাগলো। তা দেখে নীলাভ্র নাক ছিটকে বললো,
“বয়ে গেছে তোর চুলের দিকে নজর দিতে। পে’ত্নীর মতো দেখতে লাগে। ”
বলে সোজা অন্যদিকে হাঁটা শুরু করলো। বেলী কিছুক্ষণ মুখ গোমড়া করে দাড়িয়ে রইলো। তারপর নীলাভ্র পেছনে দৌড়াতে লাগলো। দৌড়ে এসে নীলাভ্রর পাশে হাঁটতে, হাঁটতে বললো,

“আপনি না বলেন আমাকে ভালোবাসেন।”
হঠাৎ বেলীর প্রশ্নে নীলাভ্র থেমে গেলো। তীক্ষ্ণ নজর দিলো বেলীর দিকে। দেখলো বেলী মুখটা গোমড়া করে আছে। কান্না কান্না ভাব। চোখে জল টলমল করছে। কি হলো মেয়েটার? এমন প্রশ্ন করলো কেনো? নীলাভ্র বেলীর দিকে তাকাতেই বেলী কান্না করে দিলো বাচ্চাদের মতো। তা দেখে নীলাভ্র বেশ ভড়কালো। আদুরে হাতে হাত রাখলো বেলীর গালে। আদুরে স্বরেই জিজ্ঞেস করলো,

“কি হয়েছে বাবুই? কান্না করছিস কেনো? ব্যাথা পেয়েছিস? বেলীপ্রিয়া বল না কি হয়েছে? সোনা বল আমাকে।”
নীলাভ্রর কথা শুনে বেলী নাক টানতে টানতে উত্তর দিলো,
“আপনি আমাকে একটুও ভালোবাসেন না। যদি ভালোবাসতেন তাহলে পে’ত্নী বলতেন না।”
বলে আবার কান্না করে দিলো। আর নীলাভ্র হাবুলের মতো চেয়ে রইলো ওর দিকে। চোখের পাতা ঝাপটালো অবাক হয়ে! বললো,

“বাসি তো। আমি আমার বেলীপ্রিয়াকে অনেক ভালোবাসি। পাগলী, কান্না থামা। মজা করে পে’ত্নী বলেছি। তুই কি সত্যিকারের পে’ত্নী?”
উত্তরে বেলী দুইদিকে মাথা নাড়ালো। মানে ‘না’। নীলাভ্র ওর চোখের পানি মুছিয়ে দিতে দিতে হাসলো। বললো,
“একদম পে’ত্নী লাগে কান্না করলে।”

বেলী এইবার বিরক্ত হলো। রাগ হলো। রাগে কোমরে হাত দিয়ে, চোখ জোড়া ছোট ছোট করে তাকালো নীলাভ্রর দিকে। অনেকটা বিরক্ত হয়ে বেলী প্রশ্ন করলো,
“একবার বলেন ভালোবাসি, আরেকবার বলেন পে’ত্নী। কি চান আপনি?”
উওর দিতে সময় নিলো না নীলাভ্র। ক’সেকেন্ডের মাথায় শীতল, শান্ত কন্ঠে উওর দিলো,

“তোকে চাই বেলীপ্রিয়া। ”
বেলী এইবার সত্যি বিরক্ত হলো। কপালে ভাঁজ পড়লো। চোখে মুখে ফুটলো তীব্র রাগের ঝংকার। মায়াবী চোখ দুটো ঝলঝল হয়ে উঠলো রাগে। হুংকার ছেড়ে বললো,
“মাঝে মাঝে আপনাকে আমার খু-ন করার বড্ড ইচ্ছে জাগে।”

বেলীর রাগান্বিত কন্ঠ স্বর শুনে নীলাভ্র হাহা করে হেসে দিলো। বেলীর গাল দুটো আলতো টেনে ধরলো। বেলী রাগে চোখ ছোট ছোট করে তাঁকালো ওর দিকে। ফর্সা মুখমণ্ডল লাল বর্ন ধারন করলো। তা দেখে নীলাভ্র ভ্রু জোড়া উঁচু করে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,,
“বেলীপ্রিয়ার হাতে ছন্নছাড়া,বদমেজাজি, ছেলেটা হাসতে হাসতে খু-ন হতেও রাজি।”
নীলাভ্রর কথা শুনে দুজনেই হেসে উঠলো একসাথে।

“এমন করে হাসছিস কেনো পাগলের মতো?”
হঠাৎ করেই নীলাভ্রর রাগান্বিত স্বর শুনে বেলীর ভাবনা শেষ হলো। এতক্ষণ অতীতে ডুবে ছিলো। টের পেলো চোখের কোণে পানি। ভ্যাবাচেকা খেলো। আমতা, আমতা করে উত্তর দিলো,
“কিছুনা।”

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ৭

নীলাভ্র অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। উত্তর দিলোনা। নীলাভ্রর অগোচরে দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে এলো বেলীর বুক চিড়ে। গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে আওড়ালো,
“কেনো এমন হলো জীবনটা। কি হতো যদি সময়টা অতীতেই থমকে যেতো?”

তুমি নামক প্রশান্তি পর্ব ৯