তোমাকে চাই শেষ পর্ব 

তোমাকে চাই শেষ পর্ব 
লেখনীতে Alisha Rahman Fiza

সকালে অধরা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হয়ে দেখলো সবাই ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ পত্র গাড়িতে রাখছে।১১টার দিকে সবাই রওনা দিবে তাই অধরা নাস্তা টেবিলে পরিবেশন করতে তার মামীদের সাহায্য করতে লাগলেন জোহোরা খাতুনও তাদের সাথে আছে।অধরা খেয়াল করলো জোহোরা খাতুনের চোখ-মুখ ফোলা মনে হচ্ছে সারারাত সে কেঁদে কাটিয়েছে।অধরা নিজের মনকে কোনো ভাবেই শান্ত করতে পারছেনা সে জোহোরা খাতুনের কাছে গিয়ে বললো,
~বড়চাচী,আপনার কী শরীর খারাপ?
জোহোরা খাতুন বললেন,
~নাহ তো।
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,

~আমি জানি আপনি আমায় কোনোদিন নিজ ছেলের বউ হিসেবে চাননি। আপনি চেয়েছেন কোনো গুনী মেয়ে যে আপনার সংসারকে সামলিয়ে রাখবে আমি ততোটা গুনী না হলেও এতটুকু বলতে পারবো আপনার সংসার আমি গুছিয়ে রাখবো। নিজের সবটুকু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের খেয়াল রাখবো একটা সুযোগ দিয়ে দেখেন আমি আপনাকে নিরাস করবোনা।
অধরার কথার পরিপ্রেক্ষিতে জোহরা খাতুন কী বলবে বুঝতে পারছেনা?অশ্রুগুলো চোখের কোটোরে এসে থেমে গেলো সে নিজেকে সামলে বললেন,
~অবশ্যই তুমি মেয়ে হিসেবে খারাপ নও আর আমি তোমাকে আপন করে নেইনি এসব কথা মাথা থেকে ঝেরে ফেলো।আমি চাই তুমি সংসার সামলাও নিজ পড়ালেখাও চালিয়ে যাও আমার তোমার উপর বিশ্বাস আছে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে অধরার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো সে হাসি হাসি মুখ করে নিজ রুমে চলে গেলো।জোহোরা খাতুন অধরার সেই মুখ দেখে মনে মনে বললেন,
~তোমাদের খুশির জন্য আমি অবশ্যই এই বড় পদক্ষেপ নিবো।
১১ টায় সবাই বাসার হলরুমে একত্রিত হয়েছে শাওন সেই কতক্ষণ থেকে সবাইকে বিরক্ত করছে।নাদিয়া শাওনের এমন কান্ডকারখানা দেখে বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

~আপনি কী ছোট বাচ্চা যে এমন করছেন?সবাই ঠিক সময় তো চলে আসবে।
নাদিয়ার কথায় শাওন ক্ষেপে বললো,
~তোমার উপদেশ আমি চাইনি এমনেও তুমি বেশি কথা বলো।
নাদিয়া বললো,
~তাহলে কথা বলা বন্ধ করে দিন তাহলে আর শুনতেও হবে না।
এতটুকু বলে নাদিয়া সেখান থেকে চলে গেলো শাওন বুঝতে পারলো নাদিয়া রাগ করেছে শাওনের এভাবে কথা বলাটা হয়তো নাদিয়া পছন্দ করেনি।শাওনের এখন নিজেরই খারাপ লাগছে শাওনের ভাবনার মাঝেই সবাই চলে আসলো আইয়ুব হোসেন বললেন,
~সবার সব কিছু নেওয়া হয়েছে?
রক্তিম বললো,
~হ্যাঁ বাবা আর গাড়িও একদম ঠিকঠাক আছে।
আইয়ুব হোসেন বললেন,
~তাহলে দেরি কীসের রওনা দেওয়া যাক।

সবাই বাসা৷ থেকো বের হতে যাবে তখনই জোহোরা খাতুন বলে উঠলেন,
~সবাই দাড়াও কেউ কোথাও যাবে না।
জোহোরা খাতুনের কথায় সবাই অবাক হয়ে তার পাণে তাকিয়ে রইলো শাওন বিরক্তি নিয়ে বললো,
~এখন কী সমস্যা?
জোহোরা খাতুন শাওনের দিকে তাকিয়ে বললেন,
~বিরাট সমস্যা।
রক্তিম মায়ের কাছে এগিয়ে এসে বললেন,
~কী হয়েছে মা বলবে?
প্রিয়া বললো,
~মা,আমার এখন টেনশন হচ্ছে।
জোহোরা খাতুন রায়হানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
~রায়হান বাবা,প্রিয়াকে নিয়ে ঘরে যাও।
প্রিয়া বললো,
~আমি কোথাও যাবোনা।
জোহোরা খাতুন চোখ গরম করে বললেন,
~এখন নিয়ে যাও ওকে রায়হান।
রায়হান প্রিয়াকে নিয়ে নিজ ঘরে চলে গেলো প্রিয়া অনেক জেদ করছিলো জোহোরা খাতুনের ধমকে সে চুপ করে যায়।

রক্তিম এবার একটু রেগে গিয়ে বললো,
~কী নাটক শুরু করেছো আমায় বলবে তোমরা?
আইয়ুব হোসেন এখন অনেকটাই ভয় পেয়ে গেছেন সে জানতেন না জোহোরা খাতুন এমন কিছু করবেন।তার কপালবেয়ে ঘান ঝড়তে লাগলো অধরা এগিয়ে এসে রক্তিমের হাত ধরে বললো,
~আপনি শান্ত হন বড়চাচীকে কথা বলতে দিন।
তৈয়ব হোসেন বললেন,
~বড়ভাবী কী বলতে চান?
জোহোরা খাতুন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন,
~অধরার কিডন্যাপ হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি আর কে করিয়েছিল তাও আমরা জানি?
অধরার নানুর পরিবার পুরো চমকে গেলো তার কথাশুনে রক্তিম বললো,
~মা সব কথা সুন্দর ভাবে বলো আমার কিন্তু মেজাজ খারাপ হচ্ছে।
জোহেরা খাতুন অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে উঠলো,

~রক্তিম আমি জানি সেই তৃতীয় ব্যক্তির নাম আমও তা বলবোও কিন্তু তুই ওয়াদা করবি তাকে কিছু করবিনা।
আইয়ুব হোসেন ধীরে ধীরে পিছাতে লাগলেন এক পর্যায়ে তার পিঠ ঠেকে গেলো দেওয়ালে।রক্তিম বললো,
~আমি শুনতে চাই সেই ব্যক্তিটির নাম তারপর সিদ্ধান্ত হবে কী করবো আমি তার সাথে?
জোহোরা খাতুন একবার আইয়ুব হোসেনের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে বললেন,
~তোর বাবা এসব করেছে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে পুরো রুমে নিস্তব্ধতা ছেয়ে পরলো সবাই অবাক হয়ে জোহোরা খাতুনের দিকে তাকিয়ে রইলো।এতোটা করুন সত্যি তাদের সামনে আসবে তা তারা জানতোনা জোহোরা খাতুন দুহাত মুখে চেপে সোফায় বসে কাঁদতে লাগলো।জোহোরা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
~তোদের দাদাজান অধরার নামে অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন তার লোভেই সে এসব করেছে সে শুধু একবার চেষ্টা করেনি বরং ছোট বেলায়ও চেষ্টা করেছে অধরা পুকুরে পরে গিয়েছিল সেটা ওনারই কাজ ছিল।

রক্তিমের কান এসব বিশ্বাস করতে চাইছেনা অধরা একধ্যানে জোহোরা খাতুনের দিকে তাকিয়ে আছে।তৈয়ব হোসেন আর তাহিদা ইসলাম বাকরুদ্ধ নিক মেয়েকে নিয়ে এতোটা নিচ ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে আর তারা জানতে পর্যন্ত না।আইয়ুব হোসেন মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে রক্তিম আইয়ুব হোসেনর দিকে এগিয়ে এসে বললো,
~বাবা,মা যা বলছে তা কী সত্য?
আইয়ুব হোসেন কোনো কিছু বললোনা সে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো।রক্তিম নিজ বাবার থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পেয়ে তাচ্ছিল্য পূর্ণ হাসি দিয়ে বললো,
~সম্পত্তির লোভে তুমি এসব করেছো?তাহলে কী একদিন সম্পত্তির লোভে আমাকেও মেরে ফেলতে।
জোহোরা খাতুন বললেন,

~এসব বলে না বাবা।
রক্তিম জোহোরা খাতুনের সামনে এসে বললো,
~বান্দরবনের প্ল্যান টাও এর জন্যই করেছে?
জোহোরা খাতুন বললেন,
~জ্বী।
রক্তিম এবার সব বুঝতে পরলো রোকেয়া হোসেন আর পৃথুলার জামিন কে করিয়েছে এতো বড় খেলা তার সাথে হয়ে গেলো সে জানতে পারলোনা।
রক্তিম নিজ চোয়াল শক্ত করে বললো,
~এতো বড় খেলা খেলতে তোমার লজ্জা করেনি বাবা।একবারও আমার ব্যাপারে ভাবোনি।আমি কীভাবে বেঁচে থাকতাম?আরে মানুষতো নিজ সন্তানের কথাটাও চিন্তা করে তুমি তো তাও করোনি।
অধরা শুধু নির্বাক হয়ে সবার দিলে তাকিয়ে আছে সে কী করবে?কী বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা কেন তার সাথে এমন হলো?কী দোষ ছিল সে তো জানতোও না তার নামে এতকিছু আছে তাকে যদি একবার জানানো হতো তাহলে হয়তো সে সব দিয়ে দিতো তবুও রক্তিমের সাথে সে খুশি থাকতো।এসব ভাবতে ভাবতে অধরা নিজ চোখের সামনে সব ঝাপসা দেখা শুরু করে সে জ্ঞান হারিয়ে নিচে পরে যায়।

রক্তিম অধরাকে পরে যেতে দেখে দ্রুত তার কাছে গিয়ে অধরার কোমড় জড়িয়ে ধরে ফেললো।রক্তিম অধরার গাল থাপড়ে বললো,
~অধরা,চোখ খুলো।
শাওন বললো,
~ওকে রুমে নিয়ে যা বিছানায় শুইয়ে দে রক্তিম আর দেরি না করে অধরাকে কোলে তুলে নিলো তারপর বিছানায় শুইয়ে দিয়ে অধরার হাত ধরে শাওনকে বললো,
~ডক্টরকে কল করলো ফাস্ট।
শাওন অধরার ছোট মামার সাথে বের হয়ে আসলো ডাক্তার আনার জন্য। তাহিদা ইসলান আর তৈয়ব হোসেন মেয়ের পাশে বসে কাঁদছে। রক্তিম অধরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো কিছুক্ষন পর শাওন আর অধরার ছোট মামা ডাক্তার নিয়ে আসলো।ডাক্তার অধরাকে ভালো মতো চেক করে বললেন,
~উনি হয়তো কোনো কিছু শুনে এতোটাই শকড হয়েছেন যে তার ব্রেন সেটা নিতে পারেনি তাই সে জ্ঞান হারিয়েছে আর
ডাক্তারের কথার মাঝেই রক্তিম বলে উঠলো,

~আর কী ডাক্তার?
ডাক্তার মুচকি হেসে বললেন,
~সে প্রেগন্যান্টও হতে পারে সিউর হওয়ার জন্য আপনি এ টেস্ট গুলো করিয়ে নিবেন যতদ্রুত সম্ভব।
সবাই দুখের মধ্যেও এক চিলতে সুখ পেয়ে গেলো সবার মুখেই হাসু ফুটে উঠলো আইয়ুন হোসেনের মনেও এক আলাদা অনুভূতি খেলা করতে লাগলো।রক্তিম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাহিদা ইসলাম বললেন,
~ওর জ্ঞান কেন ফিরছেনা?
ডাক্তার বললেন,
~কিছুক্ষনের মধ্যেই ফিরে আসবে আর পেশেন্ট একটু দুর্বল তাই তার খেয়াল রাখতে হবে।
ডাক্তার নিজ কাজ শেষ করে চলে গেলো রক্তিম আবার এসে অধরার পাশে বসে বললো,
~আপনারা সবাই রুমে যান আমি আছি অধরার সাথে।
রক্তিমের কথা শুনে সবাই এক এক করে রুমে চলে যায়।রক্তিম অধরার হাত ধরে বললো,
~আমি শুধু এতটুকু চাই তুমি সুস্থ হয়ে যাও আমাদের সন্তানের জন্য হলেও তুমি সুস্থ হয়ে যাও।
রক্তিম অধরার হাত ধরে সেভাবেই বসে থাকে একধ্যানে তার প্রিয়তমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
কিছুক্ষন পর
অধরা চোখ পিট পিট করে খুলে দেখে রক্তিম তার হাত ধরে বসে আছে।অধরাকে জেগে উঠতে দেখে রক্তিমের মুখে একচিলতে হাসি ফুটে উঠে।সে অধরার হাত ধরে বললো,

~এখন কেমন লাগছে?
অধরা বললো,
~ভালো।
রক্তিম বললো,
~জানো ডাক্তার কী বলেছে?
অধরা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বলে,
~কী বলেছে?
রক্তিম বললো,
~তুমি সম্ভব প্রেগন্যান্ট কিছু টেস্ট করালে সিউরিটি এসে পরবে।
অধরা অবাক হয়ে বললো,
~আপনার মোবাইল থেকে ক্যালেন্ডারটা বের করেন তো।
রক্তিম অবাক হয়ে মোবাইল থেকে ক্যালেন্ডারটা বের করে অধরার সামনে রাখতেই অধরার চোখ ছানাবরা আসলেই সে খেয়াল করেনি বিষয়টা।আবার কিছুদিন যাবত শরীরটাও বেশ ভালো যাচ্ছেনা তার।অধরা বললো,
~টেস্ট করাতে আজকেই যাবো আমরা কোনো দেরি করবোনা।
হঠাৎ অধরার একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা মনে পরতেই আবার উদাস হয়ে যায় মনটা বিষাদে ছেয়ে যায় তার।

রক্তিম অধরার মন খারাপ বুঝতে পেরে বললো,
~আমি এখনই পুলিশে ফোন দিবো অন্যায়কে প্রশয় দিতে আমি পারবোনা।
রক্তিম উঠে যেতে নিবে তখনই অধরা তার হাত ধরে বললো,
~আপনি যেটা ভালো বুঝেন সেটাই করবেন কিন্তু আমও আর সে বাড়ি ফেরত যাবোনা।আপনি কী আমার জন্য ছোট্ট একটা সংসার তৈরি করতে পারবেন না?যেখানে থাকবেনা কোনো কষ্টের রেশ না থাকবে কোন হিংসা পারবেন না?
রক্তিম অধরাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
~অবশ্যই পারবো।
আইয়ুব হোসেন হলরুমে সবার সামনে দাড়িয়ে রয়েছেন রক্তিম বললো,
~আমি পুলিশকে ফোন করবো এখনই সে এসে অপরাধীকে নিয়ে যাবে।

একথা শুনে জোহোরা খাতুন হুহু করে কেঁদে উঠলো তবুও কিছু বললোনা।তৈয়ব হোসেন এগিয়ে এসে বললেন,
~রক্তিম যা হওয়ার হয়েছে আমি চাইনা পরিবারের নাম আর খারাপ হোক এসব করার কোনো প্রয়োজন নেই।
তৈয়ব হোসেনের কথা শুনে রক্তিম অবাক হয়ে বললো,
~অধরার সাথে এতো খারাপ কাজ করেছে আর আপনি বলছেন করার প্রয়োজন নেই কিছু।
তাহিদা ইসলাম বললেন,
~ক্ষমা তো করতে পারবোনা কোনোদিন কিন্তু সাজাও তাকে দিতে চাইনা।
হঠাৎ অধরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বললো,
~ঠিক আছে তাই হবে কিন্তু আমি আর সে বাসায় ফিরবোনা আর আমার সন্তানের ওপর তার কোনো ছায়াও পরতে দিবোনা।
অধরার কথা শুনে আইয়ুব হোসেন বললেন,
~এতো বড় শাস্তি দিয়ো না আমায় আমার বংশধরকে আমায় দেখতে দিবেনা তা আমি সহ্য করতে পারবোনা।
রক্তিম বললো,

~অধরা যা চায় তাই হবে।
জোহোরা খাতুন বললেন,
~আমাকে তোদের সাথে নিয়ে যাবি?
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,
~আপনি আমার জীবন আর আমার সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছেন আপনাকে ছাড়া আমি এই বিশাল পথ পাড়ি দিতে পারবোনা।
আইয়ুন হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন আজ যে সে ছোট হয়ে গেছেন সবার সামনে।
শাওন ছাদে দাড়িয়ে আছে নাদিয়া তার পাশে দাড়িয়ে বললো,
~আপনি কী আজকের বিষয় নিয়ে ভাবছেন?
শাওন বললো,
~এ দুনিয়াটা মিথ্যার উপর চলে তা জানো?
নাদিয়া বললো,
~তা তো জানিনা কিন্তু আজকে একটা সত্য আপনাকে বলতে চাই।
শাওন বললো,
~কীসের সত্য?
নাদিয়া বললো,

~আপনাকে ভালোবাসি শাওন সাহেব এখন আপনার ইচ্ছে আমায় গ্রহন করবেন কী করবেন না।আমি এই কথাটা আর নিজ মনে রাখতে পারছিলাম না তাই আজ বলে দিলাম।
এতটুকু বলে নাদিয়া চলে যেতে নিবে তখনই
তখনই শাওন নাদিয়ার হাত ধরে তাকে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
~এই একরোখা মানুষটাকে সামলাতে পারবে তো?
নাদিয়া শাওনের কান্ডে লজ্জা পেয়ে বললো,
~যদি আপনি সাহায্য করেন এই পথচলায় তাহলে অবশ্যই পারবো।
শাওন মুচকি হেসে নাদিয়াকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
~যাও করবো তোমায় সাহায্য ধরবো তোমার এই নরম হাত।
নাদিয়া শাওনের দিকে একপলকে তাকিয়ে আছে মেঘলা আকাশ থেকে এখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে।সেই বৃষ্টির পানি দুজনার শরীরকে স্পর্শ করছে নাদিয়ার চোখের কাজল বৃষ্টির পানির ছিটায় লেপ্টে।শাওনের কাছে নাদিয়াকে এখন এই ধরনীর সবচেয়ে সুন্দর রমনী বলে মনে হচ্ছে।শাওনের কালো শার্টটা তার শরীরে লেপ্টে গেছে সে তার একহাত বাড়িয়ে নাদিয়া চোখের নিচে লেপ্টে যাওয়া কাজলটিতে স্পর্শ করতে নাদিয়া হালকা কেঁপে ওঠে।শাওন নিজের হাত গুটিয়ে ফেললো এই মুর্হুতে নিজেকে তার সবচেয়ে সুখী মানুষ লাগছে।নাদিয়া শাওনের ভেজা চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,

~আমার এখন ঠান্ডা লাগছে আমি নিচে যাচ্ছি।
বলেই নাদিয়া সেখান থেকে দৌড়ে নিচে চলে আসে শাওন সেখানে দাড়িয়েই বৃষ্টিবিলাস করতে থাকে।
অধরা জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে ব্যস্ত তার মুখে বিষন্নতার ছাপ ফুটে উঠেছে কাল তারা চলে যাবে ঢাকায় রক্তিম নতুন বাসা ভাড়া করে ফেলেছে।অধরা সব টেস্ট করিয়ে ফেলেছে কাল রির্পোট পেলে ঢাকায় রওনা দিবে।অধরা ভাবছে কেন তারই সাথে এমন হলো সে তো কোনোদিন কাউকে এতোটা কষ্ট দেয়নি।ভাবতেই অধরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানালা বন্ধ করে বিছানায় এসে বসলো।রক্তিম ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে অধরাকে দেখে বললো,
~বাবা,ঢাকায় চলে গেছে তাই ওনার চিন্তা করে লাভ নেই।
অধরা রক্তিমের দিকে তাকিয়ে বললো,

~প্রিয়া আপু,ঠিক আছে?
রক্তিম হাতের থাকা ঘড়িটা খুলতে খুলতে বললো,
~ঠিক আছে বাহির থেকে মনের ভিতর হয়তো ঝড় চলছে।
অধরা রক্তিমের কাছে গিয়ে তার শার্টের বাটন খুলতে খুলতে বললো,
~কালকে যদি রিপোর্ট নেগোটিভ আসে তখন কী করবেন?
রক্তিম অধরার হাত ধরে বললো,
~অপেক্ষা করবো আল্লাহ তা আলা যখন চাইবে তখনই আসবে।
অধরা রক্তিমের বুকে মাথা রেখে বললো,
~ভালোবাসি আপনাকে।
রক্তিম অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
~#তোমাকে_চাই প্রতিটা মূর্হুতে।
জোহোরা খাতুন বিছানায় শুয়ে কাঁদছেন স্বামীর অপরাধ তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।কিন্তু মনে শান্তনাও আছে যে সবাই সত্যিটা এখন জানে অধরার কোনো ক্ষতি এখন আর হবে না।অধরা জোহোরা খাতুনের রুমে প্রবেশ করে তার পাশে বসে বললো,
~বড় চাচী যা হওয়ার হয়ে গেছে আপনি নিজেকে কোনো কষ্ট দিবেন না প্লিজ।
জোহোরা খাতুন বিছানা ছেড়ে উঠে বললেন,
~আমি আজ যদি এটা না করতাম আমার পরিবার হয়তো শেষ হয়ে যেতো।
অধরা জোহোরা খাতুনের হাত ধরে বললো,
~আপনি আজ যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা করে আপনি সবাইকে এক মিথ্যা থেকে বাঁচিয়েছেন।
জোহোরা খাতুন আর কিছুই বললেন না চুপ করে বসে রইলেন অধরা নিজ হাতে তাকে খাইয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে রক্তিম অধরার বড় মামার সাথে হাসপাতালে চলে গেলো রিপোর্ট আনতে।অধরার অনেক টেনশন হচ্ছে তাহিদা ইসলাম অধরাকে দেখে বললেন,
~এতো চিন্তা করার কিছু নেই তুই চল খাবারটা খেয়ে নে আমরা তো একটু পরই রওনা দিবো।
অধরা বললো,
~মা আমার খেতে মন চাইছে না আমি একটু পর খাবো তুমি একটা কাজ করো খাবার প্যাকেট করে নেও গাড়িতে খেয়ে নিবো।
তাহিদা ইসলাম কিছু বলতে যাবে তার আগে জোহোরা খাতুন এসে অধরার সামনে খাবারের প্লেট রেখে কড়া গলায় বললেন,
~সবটি খাবার শেষ করো নাহলে রক্তিমের কাছে বিচার চলে যাবে।
জোহোরা খাতুনের কথা শুনে অধরা বাধ্য হয়ে সবটি খাবার শেষ করে আবার সোফায় এসে বসে পরলো।ইরা অধরার সাথে বসে বললো,
~আপু,তুমি এতো টেনশন নিও না দেখবে সব ঠিকঠাকই আসবে।
অধরা বললো,

~আমার অনেক চিন্তা হচ্ছে তুই বুঝবিনা।
ইরা অধরাকে জড়িয়ে ধরলো অধরা শুধু দরজার দিকে তাকিয়ে আছে রক্তিমের অপেক্ষায়।
রক্তিম রির্পোট হাতে নিয়ে বসে আছে তার মুখে হাসি লেগে আছে সে বাবা হতে চলেছে এর থেকে বেশি খুশি হয়তো কোনোকিছুর নেই এখন।
অধরার বড়মামা রক্তিমের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
~বাসায় চলো অধরা অপেক্ষা করছে।
রক্তিম বললো,
~অধরা অনেক খুশি হবে মামা।
বড়মামা মুচকি হেসে বললেন,
~সবার জন্যই এটা সুখের সময় হয় আমি চাই তোমরা এই মুর্হুত টাকে উপভোগ করো।অধরার সাথে এ খুশির সময়টা উদযাপন করো
বড়মামার কথা শুনে রক্তিম উঠে দাড়ালো হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো প্রথমে সে শপিং গিয়ে সবার জন্য শপিং করে মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি নিয়ে রওনা হলো বাসার উদ্দেশ্যে।
সবাই ব্যাগপত্র নিয়ে রক্তিমের অপেক্ষা করছে সে এসে পরলেই সবাই রওনা দিবে।রক্তিম বাসায় এসে পৌছাতেই শাওনকে ফোন করে বাহিরে আসতে বললো শাওন বাহিরে আসতেই রক্তিম শাওনের হাতে কিছু ব্যাগ দিয়ে বললো,

~ভিতরে যা আমি আসছি।
শাওন বললো,
~রির্পোট পজিটিভ এসেছে তাই না ভাইয়া?
রক্তিম বললো,
~একদম ঠিক।
শাওন ভিতরে চলে আসলে সবাই তাকে অনেক জিজ্ঞেস করলো কী হয়েছে? কিন্তু কাউকেই সে কিছু বললোনা একটুপর রক্তিম বাসার ভিতরে এসে পরলো সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে অধরা ধীর পায়ে রক্তিমের কাছে গিয়ে বললো,
~রির্পোটে কী এসেছে?
রক্তিম অধরার হাত শক্ত করে ধরে বললো,
~তুমি মা হতে চলেছে অধরা।
সবাই একথা শুনে অনেক খুশি হয় জোহোরা খাতুন নিজ হাতের বালা খুলে অধরার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো,
~তোমার এই খবর শুনে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
তারা সবাই অধরার নানু বাসার সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসে পরলো।অধরা মনে মনে বললো,
~আমার নতুন পথযাত্রা শুভ হোক।

৮মাস পর,
অধরা হাতে শাড়ি নিয়ে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে রক্তিম আয়নায় নিজের পাঞ্জাবি পরতে ব্যস্ত। অধরা নিজের উঁচু পেটটা নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে কোমড়ে হাত দিয়ে বললো,
~সবাই শাড়ি পরবে আর আমাকে এই বলদের মতো এটা পরে যেতে হবে।প্লিজ আমাকে শাড়িটা পরতে দিন
রক্তিম মুখ গম্ভীর করে বললো,
~না অধরা তোমার শরীরের অবস্থা ভালো না আমি এই রিস্ক নিবোনা।
প্রিয়া দরজা ঠেলে ভিতরে ডুকে বললো,
~আমাকে ছেড়েই তোমরা যাচ্ছো আমার অনেক খারাপ লাগছে।
রক্তিম বললো,
~তোর ছেলের মাত্র ২দিন হয়েছে এই অবস্থায় কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রিয়া বললো,
~রায়হানও আমার সাথেই রয়ে যাবে।
অধরা বললো,
~আমি তোমাকে মিস করবো।
অধরা,রক্তিম,জোহোরা খাতুন রওনা হলো আইয়ুব হোসেনের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেদিন তারা ঢাকায় পৌছে আর সে বাসায় যায়নি সোজা নতুন বাসায় উঠে পরেছে।প্রিয়াও সে বাসায় গিয়েই রয়েছে নিজ বাবার সাথে দেখা পর্যন্ত করেনি।
আজ ইরা শওকত আর নাদিয়া শাওনের বিয়ের উপলক্ষে সে বাসায় যাওয়া হচ্ছে তাদের।রক্তিম যেতে চাইনি অধরা তাকে অনেক বুঝিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সে বাসায় পৌছে তারা গাড়ি থেকে বের হয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করতেই সবার সাথে দেখা হলো অধরার নানু বাসার সবাই এখানে উপস্থিত আর থাকবেনা কেন তাদের মেয়ের বিয়ে বলে কথা।এই বিয়ের জন্য শাওনকে অনেক কাঠপুড়াতে হয়েছে তার বলদতে আজকের এই দিন এসেছে।অধরা ইরাদের ঘরে চলে গেলো বউ সাজে ইরা আর নাদিয়াকে বউ সাজে দেখে অধরার মুখ একদম হা হয়ে গেলো।তারা অধরাকে দেখে দৌড়ে অধরার কাছে এসে তাকে বিছানায় বসিয়ে দিলো।অধরা বললো,
~আমাকে শাড়ি পরতে দেয়নি তাই এই গাউন পরে আসতে হয়েছে।
নাদিয়া বললো,
~তোমাকে এই গাউনে অনেক সুন্দর লাগছে।
কিছুক্ষন পর নাদিয়া আর ইরাক স্টেজে নেওয়া হলো শাওন আর শওকত তাদের অপেক্ষায় ছিল।কাজী তাদের বিয়ের কার্যক্রম শুরু করলো বিনা কোনো বাঁধাতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।বিয়ে শেষ হতেই আইয়ুব হোসেন রক্তিমের কাছে এসে বললেন,
~আর কত শাস্তি দিবে আমায়?
রক্তিম কোনো কথা বললো না আইয়ুব হোসেন বললেন,
~বাসায় চলে আসো তোমাদের ছাড়া আমি অপূর্ণ। প্রিয়ার ছেলেকে আমি সেই হাসপাতালে দেখে এসেছি আর দেখতেও পারিনি।
রক্তিম বললো,
~আমার বাসার দোওয়ার খোলা আছে আপনি সেখানে গিয়ে আমার বোনের বাচ্চাকে দেখে আসতে পারবেন।
বলেই রক্তিম সেখান থেকে চলে আসলো অনেক অভিমান জমা হয়েছে তার মনে।

কিছুদিন পর,
অধরা প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে তাকে নিয়ে হাসপাতাল যাওয়া হয়েছে অধরা দাঁত কামড়ে ব্যাথা সহ্য করছে।রক্তিম ছলছল নয়নে অধরার হাত ধরে রেখেছে ডাক্তার অধরাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে অধরা রক্তিমকে বললো,
~আমি বড়চাচাকে মাফ করে দিয়েছি আপনিও তাকে মাফ করে দিন।তার করুন চাহনি আমি দেখতে পারছিনা আর।
এতটুকু বলে অধরা রক্তিমের হাত ছেড়ে দিলো তাকে ভিতরে নিয়ে যাওয় হলো রক্তিম শুধু তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।পুরো পরিবার হাসপাতালে চলে এসেছে রক্তিম বসে আছে আইয়ুব হোসেন ছেলের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
~সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে অধরা আর বাবু দুজনই সুস্থ হয়ে যাবে।
রক্তিম আইয়ুব হোসেনের হাত শক্ত করে ধরে বললো,
~দোয়া করো বাবা আমার বউ আর বাচ্চার জন্য দোয়া করো।
আইয়ুব হোসেন ছেলের পাশে বসে ছেলেকে স্বান্তনা দিতে লাগলেন।কিছুক্ষন পর ডাক্তার বের হয়ে বললেন,
~রক্তের প্রয়োজন হবে প্লিজ রক্তের ব্যবস্থা করুন।
শাওন আর শওকত রক্তের ব্যবস্থা করতে চলে গেলো অনেক খোজাখুজির পর রক্ত পেয়ে গেলো।তারা রক্ত এনে ডাক্তারকে দিয়ে দিলো হঠাৎ বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসতে লাগলো পরপর দুটো বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসতে সবাই অবাক হয়ে পরলো।ডাক্তার বাহিরে এসে বললো,

~Congratulation আপনার যমজ বেবি হয়েছে একটা মেয়ে একটা ছেলে।
রক্তিম অবাক হয়ে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে রইলো প্রিয়া বললো,
~এভাবে তাকিয়ে থেকোনা ভাইয়া।
রক্তিম ভাবনা থেকে বের হয়ে আসলো আর বললো,
~আমার ওয়াইফ।
ডাক্তার বললো,
~তিনিও ঠিক আছেন।
একটুপর বাবুদের দেওয়া হলো রক্তিম মেয়েকে কোলে নিলো আর প্রিয়া ছেলেকে।অধরার জ্ঞান ফেরার পর তারা ভিতরে চলে যায় দুই বাবুকে অধরার দুপাশে শুইয়ে দিয়ে বললো,
~বাবুদের নাম কী রাখবে?
অধরা বললো,
~যেটা আমরা ভেবেছিলাম মেয়ে হলে রুপসা ছেলে হলে রাফি আমাদের তো দুটোই আসলো।
অধরার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো ১দিন পর অধরাকল রিলিজ দেওয়া হলো অধরা বাড়ি ফিরে আসলো। আগের বাসাতেই অধরারা ফিরে আসলো আর কতো অভিমান নিয়ে থাকবে তারা।আইয়ুব হোসেন খুশিতে আজ আকাশ ছোঁয়া। ছেলে,ছেলের বউ,সন্তান, নিজ বউ আজ ফিরে এসেছে সবাই আজ অনেক খুশি।

তোমাকে চাই পর্ব ১৫+১৬

দুই বাবুর আকিকার পর সব এতিম খানায় দিয়ে দেওয়া হলো আত্মীয় স্বজন দের বিলিয়ে দেওয়া হলো।
সারাদিনের সকল ধকল শেষে রক্তিম রুমে এসে পরলো নিজ বাসায় এতো দিন পর এসে তার অনেক ভালো লাগছে।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দেখলো অধরা আর বাবুরা ঘুম রক্তিম তাদের ডিস্টার্ব না করে বারান্দায় চলে আসলো।আকাশপাণে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো জীবনের সকল নীলনকশা।এখন তো অনেক পথচলা বাকী আছে সাথে আছে অধরা জীবনটা যে কতোটা মধুর সেটা রক্তিম এখন বুঝতে পারছে।অধরা বুকে হাত গুজে বললো,
~এইযে রুপসা আর রাফির বাবা আমাকে কী ভুলে গেলেন?
রক্তিম মুচকি হেসে অধরার হাত ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
~তোমাকে ভুলে গেলে আমি বেঁচে থাকবো কীভাবে?
অধরা রক্তিমের গলা জড়িয়ে বললো,

~নতুন পথের বাসিন্দা আমরা দুটি প্রাণ এখন আমাদের অংশ।
রক্তিম বললো,
~সবাইকে নিয়ে আমরা সুখে থাকতে পারবো তো?
অধরা বললো,
~অবশ্যই।
অধরা রক্তিমের বুকে মাথা গুজে বললো,
~ভালোবাসি আপনাকে।
রক্তিম বললো,
~#তোমাকে_চাই আমার জীবনের সকল অনুভূতি ঘিরে।
এভাবেই ভালো থাকুক তাদের জীবন। জীবনের সকল পথে তারা যাতে সুখী থাকে ভালোবাসার এই সংসারে যাতে তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে।ভালোবাসায় ঘিরে থাকুক তাদের এই জীবন।

( লেখাঃ Alisha Rahman Fiza ) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন এই গল্পের সিজন ২ পড়তে চাইলেও এখানে ক্লিক করুন