তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ২১ || Suraiya Aayat

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ২১
Suraiya Aayat

বেশ অনেকখন ধরে আরূ জানলার দিকে একমনে তাকিয়ে আছে ৷ আজ ওর নতুন জীবনের প্রথম দিন , একটা নতুন মানুষের সাথে নতুন ভাবে নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার যাত্রা শুরু, পরবর্তীতে জীবনের বাদ বাকি সময়টা কিভাবে কাটবে সেটা ও জানে না ৷ যার সঙ্গে নিজের জীবনটাকে বাঁধতে চলেছে আদেও তার সঙ্গে মিলেমিশে একটা ছোট্ট সুখী পরিবার গড়ে তুলতে পারবে কি তার ধারণাটুকু ওর ছোট্ট মস্তিষ্কে নেই ৷ ও নিজের জীবনটাকে যেভাবে পরিচালিত করতে চেয়েছিল জীবনটা সম্পূর্ণ তার বিপরীত দিকেই পরিচালিত হচ্ছে সেদিন থেকে যেদিন আরিশ সরাসরি ওর সঙ্গে বিয়েতে অমত করেছিল ৷

ঘড়িতে সময় এখন 11:05, বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেছে তার সঙ্গে শুরু হয়েছে জোর কদমে তোড়জোড় ৷ আরু এখন নিজের মনে মনে ভাবছে
__” এটা কি আমার করা উচিত হচ্ছে? এভাবে একটা মানুষকে ভালো না বেসে তোর সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর নামে মিথ্যা পতিশ্রুতি দেওয়াটক কি অন্যায় অন্যায়ের নয়? তার সঙ্গে মিথ্যাচারিতা নয় ?”
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ব্যালকনির দিকে গেল গিয়ে সরাসরি হাত দিলো ক্যাকটাসের সেই গাছটাতে যেটা ও ওর 1 বছর বয়স থেকে দেখে আসছে ৷

ক্যাকটাস বরাবরই খুব প্রিয় আরূর ৷ ক্যাকটাস গাছটার বয়স আজ কুড়ি বছর প্রায় ৷
আরূর এখন বয়স 21 , ছোটবেলা থেকেই যখন অল্প অল্প কথা বলতে পারতো তখন ক্যাকটাসের এই গাছটা ও ওর বাড়িতে এনেছিলো ৷ সেদিন আরূর মা আর অনিকা খানরা family মিলে সেদিন পিকনিকে গিয়েছিলেন ৷
সেখানে আরূ আর আরিশ দুজনেরই গাছটাকে খুব পছন্দ হয়, তবে সেদিন আরিশের মনে ছিল একরাশ জেদ গাছটাকে পাওয়ার জন্য ৷ আর এদিকে ছোট্ট আরূও সমানভাবে ক্যাকটাস গাছটাকে নিজের কাছে রখার জন্য হাত-পা নাড়িয়ে নানান ভাবে তা বোঝানোর চেষ্টা করছিল , আরু তখন 1 বছর বয়সী, আর আরিশের তখন 4 ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

হঠাৎ আরু যখন কেঁদে ফেলেছিল ছোট্ট আরিশ তখন একবার আরূর দিকে তাকিয়ে গাছটাকে আরূ কে দিয়ে দেওয়ার জন্য ঈশারা করেছিল ৷ সেদিন অনিকা খান অনেক বেশি অবাক হয়েছিলেন আরিশের কাজে কারণ আরিস বরাবরই খুব জেদি, যেটা চাই সে ,সেটাকেই নিজের করে ছাড়ে কিন্তু সেই দিনের ঘটনাটা ছিল ব্যতিক্রমী একটা ঘটনা ৷ আরূ বেশ কয়েকবার ওর আম্মুর কাছ থেকে শুনেছি এই ঘটনা তারপর থেকেই আরিশের উপর ক্রাশ খেয়েছে ৷ যে ওর ইচ্ছা-অনিচ্ছাটাকে এতটা বোঝে এতটা গুরুত্ব দেয় তাকে দেখার বরাবর ইচ্ছা ছিল আরুর, তবে এত বছরেও আরিশকে দেখা হয়ে ওঠেনি ওর……তার পর থেকে অদ্ভুদ একটানে প্রতিবছর একটা করে ক্যাকটাস কিনতো আরিশ, আর কথা দিয়েছিল ঘরের একটা দেওয়ালে যেদিন 20 টা ক্যাকটাসের রাশি পূরন হবে সেদিন হবে ওর অপেক্ষার অবসান,,,,আর আজ ওর অপেক্ষার দিন শেষ ৷
সেখানে বেশ কিছুখন সময় কাটানোর পর হঠাৎ দরজায় নক করতেই ধীর পায়ে গিয়ে আরু দরজাটা খুলতেই দেখল ওর বাবা আরমান সাহেব এসেছেন আর সাথে ওর মা ৷

__” বাপি তুমি এই সময় , কিছু বলবে?”
আরমান সাহেব আরুর মাথায় হাত রেখে কাঁদো কাঁদো হয়ে বললেন,,,,
__” কেন এতটা কষ্ট একা নিজে সহ্য করলি মা একবারও কি আমাদেরকে বলতে পারতি না তাহলে আমরা তো চেষ্টা করে দেখতাম নাকি ৷ এতটা স্বার্থপর হয়ে গেলি যে নিজের কষ্টের কথাটা নিজের বাপির সাথে শেয়ার করিসনি , এতোটাই পর হয়ে গেলাম আমি? আজ তোর মা আমাকে না বললে আমি তো জানতেই পারতাম না ব্যাপারটা ৷ কেন এরকম করছিস তুই ? তুই যদি চাস আমি আবার আরিশের কাছে গিয়ে ওকে অনুরোধ করবো, দরকার হলে ওর পায়ে পড়বো কিন্তু আমার মেয়েকে সারা জীবনের জন্য এভাবে কষ্টে দেখতে পারবোনা আমি ৷”
আরু মুখে এক চিলতে হাসি রেখে বলল,,,,

__” তার কোনো প্রয়োজন হবে না , আমি আমার জীবনের সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছি, আর তাছাড়া জীবনের এমন একটা মুহূর্তে এসে আমি নতুনভাবে কোন ভাবেই আমার পতিশ্রুতি ভাঙতে পারি না , তাহলে তো আমার কথার কোন দামই থাকে না, আর তাছাড়া আমি এরকম করলে আসফিকে ঠকানো হয়, উনি নিজেই বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছেন, আমি কি করে উনার মনটাকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলি বলো!”
__” তুই যে আশফিকে ভালো না বেসে বিয়ে করছিস সেটা কি অন্যায় নয় ওর প্রতি? ”
__” পরেরটা পরে ভাবা যাবে আপাতত জীবনটা যেভাবে চলতে চাইছে সেভাবেই এগিয়ে যাই ৷ আর তুমি চিন্তা করো না একটা সময় আমি নিজেও ঠিক মানিয়ে নেব ৷ নিজেকে অনেক গুছিয়ে নিয়েছি আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিগুলোও মুছে যাবে হয়তো কোন না কোন একদিন ৷”
আরমান সাহেব আরুকে বুকে জড়িয়ে নিলেন , ওনার চোখে জল আর আরুর মাও নীরবে চোখের জল ফেলছেন মেয়েকে কষ্ট পেতে দেখে ৷
আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,,,,,

__” স্মৃতি ভালো হোক বা খারাপ হোক তা কখনো আমাদের জীবন থেকে মুছে যায় না, কোনো না কোনোভাবে পরে আঘাত দেয় , তেমনি তোর জীবনের এত বড় একটা খারাপ স্মৃতি তা কখনোই ভুলতে পারবি না তুই ৷ এখনো সময় আছে ভেবে দেখ আরু মা ৷ আমি বাবা হয়ে নিজের মেয়ের কষ্টটাকে কোনভাবেই দেখতে পারবোনা ৷”
আরু ওর বাবার থেকে সরে এসে বললো,,,,

__” দেখো আমি কত খুশি আছি , তোমরা কাদছো কেনো তার কারণ আমি বুঝতে পারছি না ৷ তোমারাও আমার খুশিতে খুশি হও , আর তোমরা যদি এভাবে কাদো তাহলে আমি কি করে হ্যাপি থাকি বল ! আর আশফি অনেক ভালো মানুষ, আমার যথেষ্ট কেয়ার করে আর খুব ভালোও বাসে তাই আমার আগামী জীবন অত্যন্ত সুখের হবে এটা ধরে নিও ৷ আর তোমরা কষ্ট পেয়ো না , তোমরা কষ্ট পেলে তোমাদের থেকে আমি বেশি কষ্ট পাবো ৷ প্লিজ এবার একটু হাসো ৷”
ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আরূ নিজের মুখে মিথ্যাটা হাসিটা ফুটিয়ে তুলল তার সাথে আরমান সাহেব আর ওর মাকেও বাধ্য করলো ওর সঙ্গে ওর মিথ্যা হাসিতে শামিল হওয়ার জন্য ৷
জীবনটা হয়তো এরকমই, কিছু কিছু সময় মুখের মিথ্যা হাসিটাকেকে ফুটিয়ে তুলতে হয় কোনক্রমে ঘটনাটাকে বার হওয়ার জন্য তভে ভিতর থেকে তা গভীর ক্ষত রেখেই দেই , সেটা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ৷

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল, বাসা মানুষজনে পুরোপুরি পূর্ণ , সকলেই মোটামুটি চলে এসেছেন আল পার্লারের লোকও চলে এসেছে সাজাতে ৷ তারা আরুকে সাজচ্ছে আর সানা ওর পাশে বসে আছে আর বারবার মিচকি মিচকি হাসছে একবার ফোনের দিকে তকিয়ে আর একবার আরুর দিকে তাকিয়ে ৷ হাজারো দুঃখের মাঝেও যেনো এটা আরুর কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর লাগছে, কোন কারন ছাড়াই এভাবে হাসার মানে খুঁজে পায়না আরু ৷ না পেরে বলে উঠলো,,,,,,

__” কিরে তুই এভাবে হাসছিস কেন?”
সানা এবার জোরে হো হো করে হেসে ফোনটা আরুর দিকে ধরে বললল,,,,,
__” এই দেখ এই জন্য হাসছি ৷”
আরূ ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখল আরিশ এর ছবি, সম্ভবত সেটা কক্সবাজারেরই হবে ৷ বিচের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটা শর্টস পরে আর গায়ে সাদা রঙের টি শার্ট আর হাতে চিকেন বারবিকিউ ৷ ছবিটা ফানি মুডেই তুলেছে ৷ দেখতে খুবই কিউট লাগছে পিকটাতে ৷
সানা এবার ছবিটা সরিয়ে ভিডিওটা অন করলো, তা অন করতেই ভিডিওটা চালু হলো,,,,, আরিশ গান করছে, আরি এমনিতেই আরিশের গাওয়া গানে আরু আসক্ত ৷

__”সুন্দরা সুন্দরা
ও হাসিনা বাড়ি সুন্দরা সুন্দরা
ম্যানে দেখা উসে হুয়া যো পাগল বাস পাল ভার মে ৷
আকে বাসি ও মেরে মান মে উসকি কামি হে আব জীবন মে
ও দূর কাহি মেরি নাজরো মে
ক্যায়া ওসে বাতা দু ৷
সাছ কেহ রাহা হে দিবানা
দিল ,দিল না কিসি সে লাগানা,,,,,,
গানটা শেষ করে আরিশ বললো,,,,,

__” ডেডিকেটিং ইট টু মাই সানশাইন , আই লাভ ইউ ৷ আর বেশি অপেক্ষা করাবো না তোমাকে ৷ লাভ ইউ, এন্ড আই এম কামিং ৷”
গানটা শুনেই আরূর চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ল ৷
__” সত্তিই উনি কতোটা ভালোবাসতে,পারেন, যদি এটা আমি পেতাম ৷ বাট সব ভালো তো সবার কপালে থাকে না তাই আমার ও নেই ৷ উনি যাকে ভালোবসেন সে সত্তিই অনেক লাকি ৷ “( মনে মনে )
__” কি হলো আপু আপনি কাদছেন কেন?আপনার মেকআপ তো সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷”
__” ওপস সরি,,,, আসলে চোখটা একটু জ্বালা দিয়ে উঠলো তাই ৷”
__” এখন কাদবি কেদে নে পরে তোর জামাই এলে সে সুযোগ আর পাবি না ৷”(কথাটা বলে সানা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো ৷)

আরু ঘরের মধ্যে বসে আছে আর সানা একটু বাইরে গেছে কিছুক্ষণ আগে , আরূর মা ওকে ডেকেছেন সেই কারণে ৷
ইনূকেও আজকে কেমন মনমরা লাগছে , সেই কখন থেকে ঝিমিয়ে বসে আছে, ইনুকে এভাবে দেখে আরূর ও ভালো লাগছে না , ওর নিজরই মন খারাপ….
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিত্যদিনের মতো প্রায়ই চোখের কোনে জমে থাকা জলটা আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে মুছে নিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নিতেই আরুর ফোনটা বেজে উঠলো,,,,
ভাবলো যে আশফি ফোন করেছে তাই বিরক্তি নিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দেখলো রহযে আরিশের কল,,,,মুহূর্তের মধ্যে মনের মাঝে অজানা এক ঝড় বয়ে গেল,,,,
কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগল,,,,,

__” উনি হঠাৎ কি জন্য ফোন করেছেন? আমাকে সম্পূর্ণরূপে শেষ না করে দিয়ে কি উনি শান্তি পান না,,,,!”
কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ফোনটা কেটে গেল ৷
__” যাহ ফোনটা কেটে গেল, এবার আমি কি করবো? ওনাকে কি আমি ফোন করবো নাকি অপেক্ষা করবো ওনার কলের ! কিন্ত উনি যদি রাগ করে আর ফোন না করেন তখন আমি কি করবো?”
এই সব কথা গুলো আরূ নিজের মনে বলতে লাগলো,,,
তবে আর বেশি কিছু ভাবতে পারলো না তার আগেই আবার ফোনটা বেজে উঠলো,,,,এবার আর ফোন ধরতে দেরি করলো না আরূ, তাড়াতাড়ি ফোনটা ধরে বলল,,,,
__” হ্যালো ৷”
__” তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে আজকে , একদম মায়াবতী ৷”
কথাটা শুনে আরূর মনের মাঝে উথাল পাথাল হতে লাগলো,,,
__” আপনি কি এগুলো বলার জন্যই ফোন করেছেন?”
আরিশ হেসে বলল,,,,,
__”নাহ প্রেমালাপ করতে ৷ বাই দা ওয়া কাজের কথাই আসি ৷”
__” কি কাজ? আমার সাথে আপনার কোন দরকারি কাজের কথা থাকতে পারে তা আমার মনে হয় না, তাই আপনি এখন রাখতে পারেন, আমার তাড়া আছে, সবাই ডাকছে হলুদের জন্য ৷”
আরিশ এবার উচ্চস্বরে হেসে বলল,,,,,

__” হলুদের জন্য বেশ তাড়া দেখছি আপনার তা কখনো কি শুনেছ যে বর ছাড়া হলুদ হয়?”
__” মাআনে কি বলললছেন এসব আপনি !”( ভয়ে তুতলিয়ে বললল,,,,)
__” আপনার এখনো একটা কাজ ডিউ আছে আমার কাছে ৷”
__” কি কাজ?”(অবাক হয়ে )
__” ওই যে জোরো র কাছ থেকে আপনাকে সেভ করলাম তাই আপনি বলেছিলেন যে আমি যা বলবো আপনি তাই করবেন ৷”
__” তো ! কি হয়েছে?”(ভয় পেয়ে)
__” এত তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেলেন!”
__” না কীছ্ছু ভুলিনি ,তবে আপনি যা চান তা এখন সম্ভব নয় ৷”
__” কেন সম্ভব নয়!”
__” আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন , আমি এখন আপনার ঘর পরিষ্কার করতে যাবো? লাইক সিরিয়ায়লি !”
__” ওয়াও আমার ডাইলগ আমার কাছে, আই লাইক ইট ৷ বাট আমি যখন চেয়েছি যে আপনি এখন আমার ঘর পরিষ্কার করবেন তো এখনই করবেন ৷”

__” নেশা করেছেন যে এসব ফালতু কথা বলছেন!”
__” তোমার নেশায়ই যে আসক্ত !”
__” মানে?”
__”নাথিং, বাট আপনাকে আমি আর 30 মিনিট সময় দিচ্ছি তার মধ্যে আপনি গিয়ে আমার রূমটা পরিষ্কার করে দিয়ে আসবেন ৷”
__” আপনি পৄথিবীর সবথেকে অভদ্র মানুষ তা কি জানেন?”
__” সবই তো আপনারই , সে যাই হোক, অভদ্রতামির এখনো কিছুই দেখেননি যখন শুরূ করবো এনজয় দ্যাট মোমেন্ট ৷ ”
__” আমি রাখছি ৷”
__” আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসুন ৷”
__” আমি যাবো না আমার হলুদ আজ তা কি অজানা আপনার?”

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ২০

__” চোখে চোখে কথা হবে ঠোঁটে ঠোঁট নাড়া দেবে আর ভালোবাসা ছাড়া কিছুই হবে না তাই তাড়াতাড়ি আসুন আর না আসলে কালকে নিউজে বড়োবড়ো লাইনের খবরে আসবে,,,,,
__” হলূদের অনুষ্ঠানে যেতে গিয়ে বর উধাও আর অনেক খোজাখুজির পর দেহ মিলল পদ্মা পারে ৷”
__” কি বলছেন এসব !” (ভয় পেয়ে)
__” যা বলছি ঠিক বলছি,,, আমার জেদ বজায় করতে আমি যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারি ৷”
__” বাট আপনার বাসায় কেউ নেই আমি গিয়ে কি করবো ! আমার দিনটা এভাবে নষ্ট করবেন না প্লিজ আপনার দোহায় লাগে , আর আশফিকেও কিছু করবেনা, উনি খুব ভালো মানুষ ৷”
__” আমার থেকে ভালো মানুষ হতেই পারেন না , সে যাই হোক অলরেডি 2 মিনিট আপনি সময় নষ্ট করে ফেলেছেন ! আর আসবেন ঘরটা একটু পরিষ্কার করেই চলে যাবেন ৷”

__” আচ্ছা আমি আসছি ৷বাট আশফির কোন ক্ষতি করবেন না ৷ বাট বাসায় কেউ নেই আমার ভয় লাগছে ৷ আর তাছাড়া এখানে সবাই আমাকে খোজাখুজি শুরু করে দেব ৷ প্লিজ ৷”
__” তোমার আম্মুও জানে যে মেয়ে হলুদ মাখতেই গেছে তাই এসব ভাবনা বাদ দিন আর তাড়াতাড়ি আসুন ৷ আমার আবার ধৈর্য জিনিসটা কম, বেশিখন অপেক্ষা করালে পানিশমেন্ট টাফ হয়ে যাবে, তখন কিন্ত আপনি সহ্য করে পারবেন না ৷”
__” আমি আসছি ৷”
কথাটা বলে আরু তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ৈ গেলো ৷
আরিশ ফাঁকা ফটো ফ্রেমটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গাইতে লাগল,,,,,,
__” আমার এই বাজে স্বভাব কোনদিন যাবে না ৷”

তোমার নেশায় আসক্ত সিজন ২ পর্ব ২২