দ্যা বিউটি অফ লাভ পর্ব ২১+২২+২৩+২৪+২৫

দ্যা বিউটি অফ লাভ পর্ব ২১+২২+২৩+২৪+২৫
লেখিকাঃরাকিবা ইসলাম আশা

এদিকে সাদিতের কথা শুনে কিনারা কোনো উত্তর দিলোনা কারণ কিনারার শ্বাস নিতে পারছেনা।কিনারার প্রচুর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।কিনারার বুকে ব্যাথার অনুভব করছে।কিনারা যেনো শ্বাস নিতেই আরো বেশি হাঁপিয়ে যাচ্ছে। কিনারার শ্বাস নিতে এতোটাই কষ্ট অনুভব হচ্ছে কিনারা ঘামতে শুরু করলো।কিনারা দোলনায় বসে আস্তে করে মাথাটা নিচু করে দুহাত দিয়ে ধরে শ্বাস নিতে শুরু করলো।কিনারার যে খারাপ লাগছিলো।তা কিনারা সাদিতকে বুঝতে দিলোনা।কিনারা কিছুক্ষন ওভাবে বসার পর কিছুটা শান্ত হলো,এখন ঠিকঠাক মতো শ্বাস নিতে পারছে।

সাদিত কিনারার মাথাটা উপরে তুলে মুখের সামনে আসা চুলগুলো কানের কাছে গুঁজে দিয়ে বলল——আমি জানি না কিনারা তোমাকে আমার কেন এতো ভালো লাগে।আমার তোমাকে দেখলে এতো পাগলামি করতে ইচ্ছে করে,,, কেন করে তা আমি নিজেও জানিনা।কেন জানি তোমাকে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা।জানো কিনারা আল্লাহ হয়তো তোমাকে আমার কপালে লিখে রেখেছেন জন্য , তাই হয়তো এতোদিন আমার কোনো মেয়েকে পছন্দ হয়নি,ভালো লাগে নি।জানো কিনারা তোমাকে প্রথম যখন দেখেছি,,,তখনই আমার তোমাকে দেখে এটাই মনে হয়েছে।আমি তোমাকে এতোটা ভালোবেসে ফেলবো তা কখনো ভাবতে পারিনি।বলে কিনারাকে জড়িয়ে ধরলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এসব শুনে কিনারার পুরো মুখ আবার লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।কিছুক্ষন আগে সাদিতের ওমন কাজে কিনারা সাদিতের উপর বিরক্ত আর রাগ হলেও—-কিন্তু এখন সাদিতের লাস্ট কথাটা শুনে কিনারা বেশি লজ্জায় পড়ে গেলো।কিনারা এটা খেয়াল করলো সাদিত ওর প্রতি যেনো কোনো এফ্র্যাকশন লুকালো না।সাদিতের যা মনে আসছে তাই বলে দিচ্ছে। আর কিনারা এটাও খেয়াল করলো—-সাদিত যা বলছে নিজের মন থেকে বলছে—-এবং ফিলিংস গুলো খুবই পিওর।যা সাদিত আর কিছুতেই লুকিয়ে রাখতে পারছেনা।কিনারা আরও ভাবলো সাদিতের এমন হঠাৎত করে জড়িয়ে ধরা,কিনারার ঠোঁট দুটো কে স্পর্শ করে করে তখন কিনারার খারাপ লাগে না,কিনারা হয়তো একটু নার্ভাস হয়ে পড়ে আর একটু লজ্জা পায় কিন্তু সাদিত মাঝে মাঝে কিনারাকে এমন উম্মাতের মতো এগ্রেসিভ হয়ে এতো গভীরভাবে চুম্বন করে যার জন্য কিনারার দম বন্ধ হয়ে আসে,কিনারার খুব কষ্ট হয়।তখন কিনারার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।কিনারা দম নিতে না পেয়ে ছটফট করে এটা সাদিত যখন বুঝে না তখন কিনারার খুব খারাপ লাগে আর রাগ হয়।তখন কিনারা সত্যিই বুঝে উঠতে পারেনা না এটা কি সত্যিই ভালোবাসা নাকি শরীরের চাহিদা।

বেশ কিছুক্ষন দুজনেই চুপ করে থাকার পর কিনারা বলে উঠলো —মিস্টার চৌধুরী প্লিজ। আমাকে একটু ছাড়বেন।
সাদিত কিনারার কথায় কান দিলো না।সাদিত তখনো কিনারাকে জড়িয়ে ধরে ছিলো।এদিকে সাদিত যেনো কিনারার কথা শুনে মজা পাচ্ছিলো।সাদিত আবার কিনারার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দুটো আলতো করে ছুঁয়ে বলল — নো সরি।ছাড়বোনা।

কিনারা চুপ করে,সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো ,কিনার এখন মনে হচ্ছে সাদিত হয়তো ওর শরীরটাকেই বুঝে ওকে নয়।
সাদিত এমনভাবে কিনারাকে জড়িয়ে ধরে ছিলো,সাদিতের কাছে কিনারাকে খুবই ছোট আকারের মনে হচ্ছিলো,সাদিত কিনারার গালটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বলল—আমার দিকে এভাবে তাকিয়ো না।তোমাকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।তখন আমি কিন্তু তোমার কোনো কথায় শুনবো না।তারপর সাদিত নিজের ঠোঁটটা কিনারার কানের লতিতে স্পর্শ করে করে বলতে শুরু করলো —–কিনারা তোমার ওই চেরির ফালির মতো চিকন লাল টসটসে ঠোঁট দুটো আমাকে খুব টানে।ইচ্ছে করে সবসময় তোমার ওই ঠোঁটের স্বাদ নেই।তোমার ওই ঠোঁটের দিকে তাকালেই কেমন একটা অদ্ভুত নেশা ধরে যায়।এটা যেমন তেমন নেশা না এটা মাদকের চেয়েও বেশি ভয়ংকর। যার নেশায় আমি আসক্ত।

কিনারা সাদিতের এমন কথা শুনে লজ্জা পেয়ে যায়।কিন্তু কিছুক্ষন আগের দৃশ্য মনে হতেই কিনারা ভয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।চোখ নামিয়ে নিয়ে শান্ত হয়ে গেলো।
সাদিত কিনারাকে দেখে হাসতে হাসতে কিনারার দিকে তাকিয়ে বলল—- তো তুমি কিন্তু নিজেকে আমার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করোনা।আজ কিন্তু তোমাকে আমি ছাড়ছিনা।

কিনারা সাদিতের এমন বিদ্রুপের হাসি দেখে কিনারা কিনারা একটু বিরক্তির মধ্যে পড়ে গেলো। কিনারা এবার রেগে গিয়ে নিজের ঠোঁট কামড়ে সাদিতের দিকে রাগী রাগী লুকে বলে উঠলো —-দেখুন নেক্সট টাইম থেকে আপনার যখন ইচ্ছা হবে তখন আমাকে টার্চ করবেন না।কিনারা এটা বলল কারণ। কিনারা এতোদিনে এটা বুঝে গেছে।সাদিতের যখনি যা মনে হয়েছে বরাবর কিনাারার সাথে সেটাই করে আসছে,এতে কিনারার ইচ্ছে থাকুক বা না থাকুক।সাদিত যখনি কিনারাকে কিস করতে গেছে তখনি কিনারার থেকে সাদিতকে আলাদা করা যায়নি।একেবারে দম বন্ধ হয়ে আসার মতোন।এতো এগ্রেসিভ হয়ে কিস করা কিনারা যেনো তা সামলাতে হিমসিম খেয়ে যায়।
সাদিত কিনারার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো—-তারপর সাদিত দুঃখী দুঃখী ভাব করে কিনারাকে বলল— লিসেন ইউ আর মাইন।আমার যখন ইচ্ছে হবে তখনি তোমার কাছে যাবো।আমি যখন চাইবো৷ তখনি তোমাকে হাগ করবো।অথবা কিস করবো।এর বাইরে আমি আর কি বা করতে পারি বলো।

কিনারা বুঝতে পারলো এসব কথা সাদিতের সাথে বলা বেকার।সাদিত ওর কোনো কথায় কান দিবেনা তা ভেবে কিনারা চুপ করে রইলো।আর এই মুহুর্তে যে কিনারা কি বলবে তা ভেবে পেলোনা।
সাদিত কিনারাকে চুপ করে থাকতে দেখে খুব আদুরে স্বরে বলল —– কিনারা
কিনারার নামটা মুখে উচ্চারণ করতেই,,, সাদিত কিনারার আরো কাছে এগিয়ে গেলো।কিনারাকে নিজের বুকের কাছে আরো খানিকটা জড়িয়ে নিতে চাইলো।
সাদিতের ভারী গলার স্বরে লো টুনে কথা বলাগুলো বড্ড আকর্ষণীয় যেনো।

সাদিত একহাত কিনারার মাথায় রেখে বুলিয়ে দিতে দিতে নিজের ঠোঁটটা আবার কিনারার কানের লতিতে স্পর্শ করে বলল এসবের জন্য আমি তোমাকেই ব্লেম করবো।কারণ আমার চোখে তুমি এতোটাই অ্যাক্ট্রাকটিভ৷যে আমি তোমার কাছে থাকলে নিজেকে কোনোভাবেই কন্ট্রোল করতে পারিনা। আমি জানি এখনো তুমি আমাদের এই ঘনিষ্ঠ মুহুর্তগুলোর জন্য অভস্ত্যত হয়ে উঠতে পারোনি।তবে একটা জিনিস তোমার কাছে ক্লিলিয়ার করে রাখা ভালো।দেখো আমরা এখন দুজনেই হাসব্যান্ড এন্ড ওয়াইফ।তুমি আমার বিবাহিত স্ত্রী। যার সাথে আমি আমার সারা জীবন কাটাতে চলেছি।তোমাকে সারা আমি কার প্রতি এতো এফ্যাকশন দেখাবো।তাছাড়া আমি তোমার কাছে এভাবে তুলে ধরি কারণ আমার তোমাকে ভালো লাগে।

কথা শেষ করতেই সাদিত দেখলো কিনারা মাথা নিচু করে মুখ নিচু করে আছে আর লজ্জায় গাল দুটো ব্লাস করছে।
সাদিত কিনারার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল– কিনারা তুমি যদি আমাকে পছন্দ নাই করো,তাহলে আমি যখন তোমার ওই ঠোঁট দুটোকে স্পর্শ করি,তোমাকে জড়িয়ে ধরি তখন তুমি আমাকে আটকাও না কেন।
কিনারা সাদিতের কথা শুনে— সঙ্গে সঙ্গে সাদিতের মুখের দিকে তাকালো—–কিনারা সাদিতের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখের দিকে তাকাতেই সাদিত ভ্রুরু জোড়া নাড়িয়ে উত্তর টা জানতে চাইলো।
কিনারা সঙ্গে সঙ্গে আবার মুখটা নিচে নামিয়ে ফেলে।কিনারার চোখে মুখে তখন আরো বেশি ব্লাস করা শুরু করেছে।শেষমেশ কিনারা লজ্জায় পড়ে বলল— পরিস্থিতি বুঝে সব করা উচিত।কখন কার কি সমস্যা হয়,তা বুঝে শুনে করা উচিত। হুটহাট করে এইসব কিন্তু ঠিক না।শেষের কথা গুলেটা খানিকটা রাগান্বিত স্বরে বলল।

তারমানে কি তুমি আমার কাছে এসে কম্ফোর্টেবল ফিল করছো না।আমি তোমার কাছে গেলে অসুবিধা হচ্ছে তোমার।তাহলে তুমি বলো কখন আমি তোমার কাছে,ঠিক কিভাবে যাবো।তুমি যখন কমফোর্টেবল ফিল করবে আমি তখনি তোমার কাছে যাবো।
সাদিতের কথা শুনে কিনারা চুপ করে গেলো।আসলে কিনারা এমন কিছু মিন করতে চাইনি
আসলে মিস্টার চৌধুরী আমি আসলে ওভাবে কিছু বলতে যাবে ঠিক ওই সময়ই সাদিতের ফোনটা বেজে উঠলো।
ফোনের স্কিনের নম্বারটা দেখে রিসিভ করলো —-তারপর কিছুটা নম্র গলায় বলল—–আপনাকে যে ফাইলটা পাঠিয়ে দিতে বলেছিলাম। এখনো পাঠালেননা কেন।

ফোনের লোকটা কিছু বলতেই সাদিত ওকে বলে ফোনটা রেখে দিলো।
তারপর কিনারার কাছে এসে চুলগুলো ঠিক করে দিয়ে।বলল এসব নিয়ে পড়ে কথা বলবো।
বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো সাদিত।

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ২২_২৩

সাদিত দরজা নক করে বলল মম আসবো—–
সাদিয়া চৌধুরী তখন খাটে আধ শুয়া হয়ে শুয়ে ছিলো।সাদিতের কথা শুনে উঠে বসতে বসতে বলল——
হুম আয়।।।
সাদিত বসতেই সাদিয়া চৌধুরী নিজের চশমাটা মুছে পড়ে নিলো।
এরি মধ্যে সাদিত বলে উঠলো — মম ম্যানেজার কাকা এসেছিলো।
সাদিয়া চৌধুরী সাদিতের কথা শুনে বলল —- ও হ্যাঁ এসেছিলো তো। তখন এসে একটা ফাইল দিয়ে গিয়েছিলো।যেনো তোকে সেটা পৌঁছে দেয়।কিন্তু তোকে দিতে যাবো এরি মধ্যে তোর পাপা আমাকে ডেকে পাঠালেন। পরে যে তোর কাছে গিয়ে দিয়ে এসবো। তা আর মনে ছিলো না।

সাদিয়া চৌধুরী এটা বানিয়ে বললেন কারণ এখন তো উনি এটা বলতে পারেন না যে—তোকে রুমে দিতে গিয়ে তোদের ওইসব দেখে চলে এসেছি।
সাদিত সৌজন্যমূলক হেসে বলল — ইট’স ওকে মম।
সমস্যা নেই।
সাদিয়া চৌধুরী৷ উঠে গিয়ে ফাইলটা এনে— সাদিতের হাতে ফাইলটা দিয়ে ওর পাশে বসলো।
সাদিত ফাইলটা হাতে নিয়েই খুলে দেখতে শুরু করলো—
সাদিয়া চৌধুরী সাদিতের কাঁধে হাত রেখে বলল—-বাবা সাদিত
সাদিত ফাইলের দিকে চোখ রেখেই বলল—- হুম মম বলো—-
তোকে একটা কথা বলতে চায়।
সাদিত হুম বলল
মিসেস চৌধুরী আবার বলল সাদিত

সাদিত তখনো ফাইলের দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে কি জানি দেখছিলো।আর মিসেস চৌধুরীর কথায় হুম হুম করছে
সাদিতের মা রেগে ফাইলটা নিয়ে বিছানায় রেখে দিয়ে বলল—
আমি তোকে কিছু বলছি আর তুই হুম হুম করছিস। আমার কথায় কান না দিয়ে তুই তখনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত।মায়ের থেকে তোর ফাইলটা বড়ো। আমি তোকে কিছু বলতে চাচ্ছি আর আমাকে তুই ব্যস্ততা দেখাচ্ছিস।বের হো আমার রুম থেকে।আমার কথা শুনা লাগবে না তোর। ফাজিল ছেলে।

সাদিত এবার বুঝতে পারলো ওর মা রেগে গেছে। তাই সাদিত ওর মার দু কাঁধে হাত রেখে সাদিয়া চৌধুরীকে কিছুটা শান্ত করে বলল—–সরি —-সরি মম—-আসলে এটা একটা ইম্পর্টেন্ট ফাইল মম।কাল আমাকে সিলেট যেতে হবে।ওখানে আমাদের কোম্পানির যে নতুন ব্রাঞ্চ খুলা হয়েছে ওই কোম্পানির কিছু ফিন্যান্সিয়ালের প্রবলেম হয়েছে।তাই আমি একটা মিটিং ডেট ঠিক করতে বলেছিলাম।ওটা কাল ঠিক করেছে।
সাদিয়া চৌধুরী কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে বলল ও আচ্ছা এই ব্যাপার ঠিক আছে।
সাদিত তারপর বলল — হুম মম—- এবার বলো কি বলবে তুমি—-
কি বলতে চেয়েছিলাম সেটা পরে বলবো তোর পাপার সামনে।
তারপর সাদিত আর ওর মা বেশ কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে, সাদিত রুমে চলে গেলো।

রাতে খেতে খেতে সাদিত ওর পাপাকে বলল —-
পাপা কাল সকালের ফ্লাইটে আমাকে সিলেট যেতে হবে। আমাদের সিলেটের নতুন ব্রাঞ্চে যে প্রবলেমটা চলছে ওটারই মিটিং আছে।পরশু আবার ব্রেক করবো।
সাদিতের কথা শেষ না হতেই মিসেস চৌধুরী বলল—আরে তোর পরশু দিন ব্রেক করতে হবে না।তুই আরও সাতদিন ওখানে একটু সময় কাটিয়ে আয়।মাইন্ডটা ফ্রেস লাগবে— সব সময় তোর কাজ আর কাজ।এতো কাজ করতে যে কারোর ভালো লাগে —-তা তোকে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবেনা—কাজ কাজ করতে করতে না এই অল্প বয়সে আমার ছেলেটার মাথাটা না যায়।
সাদিত কিনারার দিকে তাকিয়ে বলল–আসলে মা —আসলে ব্যাপারটা তা না। আমি আসলে এতোদিন ওখানে থাকা সম্ভব না।প্রবলেম আছে।

সাদিতের মা কারণটা বুঝতে পেরেও,বলল– কেন সম্ভব না আর প্রবলেম শুনি।
তারপর সাদিত কিছুটা গলা আটকিয়ে আটকিয়ে বলল—আসলে মা আমাকে তো এদিকের সব ব্রাঞ্চের সকল কাজ সামলাতে হয়।আমি একদিন না থাকলেই,পরে কাজের হিসাব মিলাতে পারবো না।কথা গুলো কিনারার দিকে তাকিয়ে বলল–
একদিকে ছেলের কথা শুনে সাদিয়া চৌধুরী কিছুটা হেসে বলল—– আরে সাদিত বাবা আমার আমি চায় তুই আর কিনারা মা কিছু দিন একটু আলাদা সময় কাটিয়ে আয় ভালে লাগবে ।মাঝে মাঝে কাজের থেকে ছুটি নিতে হয় বুঝতে পেরেছিস।না হলে এর প্রভাব তোর পার্সোনাল লাইফে তোর ফ্যামিলির উপর পড়বে।তখন তুই ও কারণে-অকারণে কিনারার সাথে খারাপ আচরণ করবি।আর আমরা তা চাই না।।।।।।।।।।।।। তাছাড়া কিনারারও পরিক্ষা শেষ, ও বাসায় তো এখন বসেই আছে।আর আমাদের বাংলো তো আছেই ওখানে কয়েকদিন থাকবি প্রবলেম কই।আর তুই এদিকের কথা বলছিস।এগুলো বিজনেসের সকল কাজ এই সাতদিন না হয় তোর পাপাই সামলাবে।তারপর সাদিতের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে—-তুমি কি বলো।

মিস্টার সাইফ চৌধুরী খাবার চিবাতে চিবাতে বলল —-সাদিয়া একদম ঠিক বলেছে।তারপর সাদিতকে বলে—-হুম ঘুরে আসো —তোমার ও ভালো লাগবে আর কিনারারও—– তাছাড়া বিয়ের এতোদিন হয়ে গেলো।তুমি কাজের চাপে সেভাবে কিনারাকে কোথাও নিয়ে যেতে পারোনি।কিনারারও তো কোথাও যেতে ইচ্ছে করে হয়তো তা তোমাকে বলতে পারেনা।তো তোমার তো এসব খেয়াল রাখা উচিত তাই না।কিনারা কাল তুমি সাদিতের সাথে সিলেট যাচ্ছো এটাই ফাইনাল।আর সাদিত তোমার এ নিয়ে কোনো আপত্তি না শুনি।

সাদিত যেনো মিস্টার সাইফ চৌধুরীর কথা শুনে আকাশে চাঁদ পাওয়ার মতো খুশিতে চোখ মুখ চিকচিক করতে শুরু করলো।ওর মনে-প্রাণে হালকা একটা প্রশান্তি ছেয়ে গেলো।তারপর শ্বাস ছেড়ে বড়ো করে বুক ফুলে একটা নিশ্বাস নিলো।আসলে সাদিত ভেবেছিলো।ওর মা ওকে একা সাতদিন আলাদা সময় কাটানোর জন্য বলছে।কিন্তু এদিকে সাদিত ভাবছিলো কিনারাকে ছাড়া একটা রাত ওখানে গিয়ে থাকবে এটার জন্যই সাদিতের মন ছটফট করছিলো।আরো সাতদিন তো দূরের কথা। কারণ এতোদিনে সাদিত কখনো বাইরে যায়নি কারণ কিনারাকে ছাড়া থাকতে হবে।কিন্তু কাল ওখানে একটা ইম্পর্টেন্ট মিটিং থ্রো করেছে যে না গিয়ে উপায় নেই। তাই মনকে সাত-পাঁচ বুঝিয়ে রাজি করিয়েছে।কিন্তু এখন যখন কিনারা সাথে যাচ্ছে সাত দিন কেন সাত জনম থাকলেও সাদিতের কোনো প্রবলেম নেই। কারণ কিনারা সাথে আছে তো।

এদিকে মিস্টার সাইফ চৌধুরী কথা শুনে কিনারার মনে ধুক করে উঠলো।কেমন জানি অজানা এক অনুভূতি সারা শরীরে দোল খেয়ে গেলো।সাদিতের দিকে তাকাতেই সাদিত যখন চোখ মারলো।কিনারার বুকে তখন অলরেডি ধুকপুক শুরু হয়ে গেছে।তারপর শুধু মাথা নেড়ে আচ্ছা ঠিকে আছে তোমরা যা ঠিক করবে সেটাই হবে।বলে খাবার খেতে শুরু করলো। কিনারাকে যেনো এক অজানা লজ্জা গিয়ে ধরলো।

পরেরদিন সকাল ৮ টাই ওদের ফ্লাইট।এখান থেকে আকাশ পথে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট সময় লাগবে ওদের সিলেট পৌঁছাতে।সকালে ঢাকার রাস্তায় তেমন জ্যাম থাকেনা জন্য সাদিত ঠিক করছে ও আজ নিজে ড্রাইভ করে এয়ারপোর্টে যাবে।সাদিত ড্রাইভ জানলেও কখনো ড্রাইভার ছাড়া বের হয়না।কিন্তু সাদিত ইদানীং লক্ষ্য করছে কিনারা পাশে থাকলে ওর অদ্ভুত অদ্ভুত ইচ্ছে জাগে।আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কিনারা আর সাদিত মিস্টার চৌধুরী এন্ড মিসেস চৌধুরীর থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ির কাছে আসলো।কিনারা গিয়ে গাড়ির পিছন সিটে বসতে যাবে —–ঠিক তখনি সাদিত ওকে ডেকে বলল—-পছনে নই এখানে সামনে সিটে এসে বসো।
তারপর কিনারা সামনে সিটে বসতেই দেখলো ড্রাইভিং সিটে কেউ নেই।এটা দেখে কিনারা খুব অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো—ড্রাইভার কাকা কোথায়

সাদিত ড্রাইভিং সিটে বসে একটু মুচকি হেসে উত্তর দিলো—–আমার আজ ইচ্ছে হলো নিজে ড্রাইভ করার।তাই আমি ড্রাইভারকে না করে দিয়েছি। উনাকে বলে দিয়েছি পরে যেনো গিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িটা নিয়ে আসে।

কিনারাকে ছোট্ট করে বলল ওহ্ বলতেই—- সাদিত আস্তে আস্তে কিনারার দিকে এগিয়ে গেলো।সাদিত এগিয়ে যেতেই সাদিতের নিশ্বাস-প্রশ্বাস কিনারা নিজের ঠোঁটের উপর অনুভব করলো।সাদিত হুট করেই কিনারার এতো কাছে চলে আসায় হঠাৎই কিনারার হার্টবিট বেড়ে গেলো।কিনারা সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখ বন্ধ করে নিলো।কিনারা চোখ করে আছে।এক সেকেন্ড দুই সেকেন্ড পাঁচ সেকেন্ড ও পেরিয়ে গেলো।কিন্তু তাও কিনারা সাদিতের ঠোঁট নিজের ঠোঁটের উপর অনুভব করতে পারলোনা ।কিনারা চোখ খুলে দেখলো সাদিত ওর কাছে এগিয়ে এসে সিট বেল্টটা আটকে দিচ্ছে। এ দেখে কিনারা হকচকিয়ে গেলো। এটা ও কি দেখছে।কিনারা তো ভেবেছিলো।সাদিত এগিয়ে এসে ওকে একটা কিস করবে।কিন্তু সাদিত যে কিনারার সিট বেল্টটা বাঁধতেই ব্যস্ত। এসব ভেবে কিনারা লজ্জায় মুখ ঠিক কোথায় যে লুকাবে তা বুঝতে পারছিলোনা।

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ২৩

প্রায় ৫০ মিনিট পর ওরা সিলেট এয়ারপোর্টে পৌঁছলো।সাদিত আর কিনারা এয়ারপোর্টের বাইরে গেটের কাছে আসতেই একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ওদের দেখে এগিয়ে এসে,সাদিতের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা কিছুটা নিচু করে সাদিতকে সালাম করলো।
উনি আসতেই সাদিত সালাম নিয়ে বিনয়ের সাথে বলে উঠলো —কেমন আছো জাহিদ কাকা।
এইতো বয়স যত বাড়ছে রোগব্যাধিও বাড়তেই আছে আজ এই সমস্যা তো কাল ওই সমস্যা।তবুও আল্লাহ ভালোই রাখছে।তো বাবা তুমি কেমন আছো।তারপর কিনারার দিকে চোখ গেতেই জাহিদ কাকা বলে উঠলো —-বাবা এ কে——একে তো ঠিক চিনলাম না।কাল না তুমি বললে একা আসবে।

কাকা ও তোমাদের বউমা।আসলে কাকা হুট করে কাল রাতে হুট করে ডিসাইড হয় কিনারাও আমার সঙ্গে আসবে।
ও আচ্ছা।।। তা বাবা ও কিন্তু ভারী মিষ্টি একটা মেয়ে। একদম মিষ্টি একটা পুতুলের মতো ।তা ছোট মেম আপনি কেমন আছেন।
কিনারা জাহিদ কাকার কথা শুনে বলল—ছি ছি কাকা আপনি আমাকে মেম মেম কেন করছেন৷।আমি আপনার মেয়ের বয়সী হবো।আপনি আমাকে মেম না বলে নাম ধরে ডাকলে আমি ইজি ফিল করবো।আসলে আমি এই মেম শব্দটার সাথে অভস্ত্যত না।আপনি আমাকে কিনারা বলে ডাকবেন তাহলেই খুশি হবো।বলে কিনারা মুচকি হাসলো।যাতে উনার মনে যে সংকোচটা ওকে নিয়ে আছে তা কেটে যাবে।

কিনারাকে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতে আর হাসতে দেখে, জাহিদ কাকা ভিতরে ভিতরে আশ্বাস পেয়ে অনেক খুশি হলো।ও ভেবেছিলো আজকালের ছোট ছোট সুন্দরী মর্ডান মেয়েগুলোকে আমাদের মতো গরীব মানুষ নাম ধরে ডাকলে বিরক্ত হয়,মেজাজ দেখায়।জাহিদ কাকারও এরকম একটা ধারণা হয়েছিলো কিনারার সম্পর্কে। কিন্তু কিনারার সাথে কথা বলে তার ধারণাটা ভুল প্রমাণ হলো।এখন আর৷ কিনারার সম্পর্কে ওরকম ধারণা আর নেই।তারপর জাহিদ কাকা একগাল হেসে বলল —-আচ্ছা আচ্ছা আমি তোমাকে ভালোবেসে কিনারা মামনি বলে ডাকবো।কারণ তুমি আমার মেয়ে রিতার বয়সীই হবে।

কিনারা খুশি হয়ে বলল—ও আচ্ছা কাকা আপনার মেয়ে আছে।তাহলে তো ওর সাথে আড্ডা দেওয়া যাবে।
তারপর সাদিত বলল—- এখানেই দাঁড়িয়ে সব কথা বলবে আগে বাড়িতে তো যায়।তারপর সবার সাথে কথা বলতে পারবে।
তারপর সাদিত আর কিনারা গাড়ির পিছন সিটে উঠে পড়লো।

গাড়ি আপন গতিতে চলছে।রাস্তার চারপাশে গাছগাছালির মেলা।সারি সারি গাছ গুলো গাড়ির পিছন দিকে ছুটে যাচ্ছে।সিলেটের রাস্তা গুলো কেমন উঁচু-নিচু গাড়ি চলার সময় যখন উপরে উঠে আবার নিচে নেমে আসে তখন কেমন একটা ফিল হচ্ছে কিনারার।কিনারার কখনো সিলেট আসেনি।এই প্রথম বার এসেছে।তাই গাড়ির জানালা দিয়ে যতটা সম্ভব প্রকৃতির দৃশ্য গুলো দেখে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে রাস্তার সাইডে বনের মতো ঘন,গাছগাছালি বের হচ্ছে আবার কখনো লাল মাটির ছোট বড়ো টিলা দেখতে পারছে।

প্রায় ঘন্টা খানেক পর গাড়িটা বিশাল বড়ো৷ একটা গেটের সামনে দাঁড়াতেই সঙ্গে সঙ্গে দারোয়ান এসে গেট খুলে দিলো।গাড়িটা ভিতরে প্রবেশ করতেই রাস্তার দুই সাইড দিয়ে ফুলের গাছের সারি।তারপর গাড়িটা গিয়ে থামলো ডুপ্লেক্স হোয়াইট কালার বাড়ির নিচে।গাড়ি থামতেই জাহিদ কাকা এসে দরজাটা খুলে দিলো।কিনারা নামতেই দেখলো বাড়িটা একদম বাইরের কান্টির ডুপ্লেক্স বাড়ি গুলোর মতো ঝকঝক করছে।বাড়ির একসাইডে মাধবীলতার গাছ ছাদ থেকে মাটি অব্দি নেমে গেছে।হাজার হাজার ফুল ফুটে আছে যা বাড়িটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।সাথে সুন্দর একটা ফুলের বাগান।

কিনারা আর সাদিত ভিতরে ঢুকতেই কিনারার বয়সী একটা মেয়ে সোনালি কালার সুতির থ্রি-পিস পড়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে।এসে সাদিতের পা ছোঁয়ে সালাম করে বলে ভাইজান কেমন আছেন।বলে উপরে উঠতেই কিনারাকে দেখে বলে উঠলো উনিকে ভাইজান।
হুম ভালো, আর ও হচ্ছে কিনারা তোর ভাবি।
কি বললেন ভাইজান ও আমাগো ভাবি।বাহ্ মাশাল্লাহ আমাগো ভাবি খুবই সুন্দরী। আপনার সাথে খুব মানায়ছে ভাবিকে।আপনি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুন্দর আমাগো ভাবি পাইছেন।কথা গুলো খুব হাসিখুশি হয়ে দ্রুত বলে উঠলো।
কিনারাকে সাদিতের সাথে মানায়ছে কথা টা শুনে কিনারা কিছুটা লজ্জা পেলো।তারপর বুঝতে পারলো মেয়েটা খুব চঞ্চল ও হাসিখুশি প্রিয়।কথা গুলো শেষ করতেই কিনারা মুচকি হেসে বলল—-তোমার নাম কি রিতা।

জি ভাবি আমার নাম রিতা। কিন্তু আপনি জানলেন কি করে।
আরে জাহিদ কাকা বলেছে।তুমি অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে।
রিতা বললল—-ও আচ্ছা।কি যে বলেন ভাবি।টুকটাক কথা বলে। রিতা বলল, ঠিক আছে ভাবি আপনারা উপরে যান।আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি।

সাদিত উপরে যেতে যেতে কিনারাকে বলল—আমি ছোট থেকেই জাহিদ কাকাকে দেখে আসছি অন্তত ভালো মানুষ উনি।আমরা তো ঢাকায় থাকি।তাই পাপা উনাকে ফ্যামিলির সাথে এখানে থাকতে বলছে,আসলে উনাদের থাকার জয়গা ছিলোনা।তো আমাদের বাড়িও পাহারা দেওয়া হবে আর উনাদের থাকার জন্য একটা জায়গায়ও হবে।তবে আমরা মাঝে মাঝে ফ্যামিলি টুগেদারে এখানে ঘুরতে আসতাম। এখন অবশ্য তেমন ভাবে আসা হয়না।এখন পাপা আর মম দেশের বাইরেই থাকে প্রায় সময়,তো আমাকেও ঢাকা সহ সব জায়গা সামলাতে হয়।এখানে আমি আসি মাঝে মাঝে কাজের জন্য। আর জাহিদ কাকার ওয়াইফ অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। ছোট বেলায় যখন আসতাম আমাকে অনেক আদর করতেন।।আমি যখন ইন্টারে পড়তাম তখন একদিন উনি জ্বরে মারা যায়।।আমরা তখন এসেছিলাম।আরও অনেক গল্প করতে করতে রুমে প্রবেশ করে।তখনি জাহিদ কাকা এসে লাগেজ দুটো রুমে পৌঁছে দেয়।কিনারা চারপাশ টা ঘুরে ফিরে দেখলো। রুমটা ঠিক সাদিতের রুমের মতোই পরিপাটি।রুমের সাথে বিশাল বড়ো একটা বেলকনি নানান ফুলে, অজানা বাহারি গাছে সাজানো। কিনারা আর সাদিত ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো ব্রেকফাস্ট করতে।তারপর খেয়ে সাদিত মিটিং এর জন্য বেরিয়ে পড়লো।

কিনারা আর রিতা মিলে অনেকক্ষন আড্ডা দিলো ড্রইং রুমে ।কিনারার সাথে রিতা খুব ক্লোস হয়ে গিয়েছিলো।রিতা এতোটা চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে কিনারার সাথে ভাব হতে বেশি সময় লাগলো না ।তারপর রিতা দুপুরের রান্না করার জন্য কিচেনে চলে গেলো কিনারা। প্রায় অনেকক্ষন একা বসে বসে সিরিয়াল দেখতে লাগলো। টিভি দেখতে দেখতে ক্লান্ত অনুভব করতেই সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়লো।

কিনারা ঘুম ভাঙতেই দেখলো ও সাদিতের বুকে,পরমুহূর্তেই মনে হলো আমি তো সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম।হয়তো চোখটা লেগে গিয়েছিলো কিন্তু আমি এখানে আসলাম কি করে।কিনারা কিছুই বুঝতে পারলো না।পাশে তাকাতেই দেখলো কিনারা বেডরুমে।তারপর সাদিতের দিকে তাকাতেই কিনারার হঠাৎই রাগ সপ্তম আকাশে উঠে গেলো।উনি এখানে এসেই কাজের জন্য মিটিং এ চলে গেলেন।এখন আবার যদি ও বাসায় এসেছেন তবুও উনি ওই কাজই করছেন। আমার কি কোনো মূল্য নেই। আমাকে উনার বুকের একপাশে রেখে অন্য পাশে আধ শুয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে।তা দেখে কিনারার রাগে গা পৃত্তি জ্বলে যাচ্ছে। কেন এখন কাজ রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে কি শুয়া যেতো না।এখনি কাজ করতেই হবে।পরে কি করা যাবেনা এসব ভেবে কিনারা রাগে ফুঁসতে লাগলো।
এদিকে সাদিত হঠাৎই লক্ষ্য কিনারা চোখ মেলে তাকিয়ে আছে —-কিনারাকে দেখে সাদিত বলল— কি ঘুম হলো তোমার।আর তোমার কি হলো, মুখ এমন হঠাৎই লাল হলো কি করে।নাকি আমার বুকে শুয়ে আছো এটা ভেবেই লজ্জায় ব্লাস করছো।

কিনারা সাদিতের কথা শুনে উঠে বসলো।তারপর সাদিতের দিকে হয়ে বলল—-আপনি আমার সাথে কোনো কথায় বলবেন না।থাকুন আপনি আপনার কাজ নিয়ে। আমি কি হয় আপনার,কিচ্ছু হয়না, কেউ না,।আমি এখানে থাকবো না।আজই ঢাকায় ব্যাক করবো।
সাদিত কিনারার হঠাৎই এমন বিহেভিয়ার দেখে বুঝতে না পেয়ে,বলল— আরে বাবা কি হলোটা কি তোমার।তা তো আমাকে বলতে হবে।ঘুম থেকে উঠে হঠাৎই রেগে গেলে কেন।আর ঢাকায় কেন যেতে চাও।আমার কথা তো শুনো—-
কিনারা রেগে গেলো আরো—- না আমি কিচ্ছু শুনবোনা।

সাদিত কিনারাকে একটানে বুকের উপর নিয়ে জড়িয়ে ধরে কিনারার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দিলো।
কিনারার তখন মনে হলো আমি রাগ করেছি জন্য উনি আমাকে আদর করতে আসছে, তা না হলে তো আমার পাত্তাও নেই।কাজ নিয়েই পড়ে থাকতেন। এসব ভেবে আরো ভিতরে ভিতরে রেগে গেলো।সাদিতের উপর থেকে উঠে আসতে চাইলো।তবে সাদিতের সাথে পেয়ে উঠছেনা।

পরমুহূর্তেই সাদিত কিনারাকে শান্ত করার জন্য কিনারার উম্মুক্ত ঘাড়ে একের পর এক অনবরত কিস করতে শুরু করলো।কিনারা সাদিতের ঠোঁট নিজের ঘাড়ে অনুভব করতেই কিনারার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা একটা শিতল অনুভূতি সারা শরীর জুড়ে দোল খেয়ে গেলো।কিনারা বারবারই কেঁপে উঠছিলো।কিনারা কেঁপে উঠে শান্ত হয়ে গেলো।কিনারা নিজেও কেমন একটা ঘুরের মধ্যে চলে গেলো।সাদিতের স্পর্শ সহ্য করতে না পেয়ে একসময় চোখ বন্ধ করে, নিজের হাত দিয়ে সাদিতের চুল আঁকড়ে ধরলো।

সাদিতের চুল আঁকড়ে ধরতেই, সাদিত কেমন একটা উম্মাত হয়ে গেলো।কিনারার ঘাড় থেকে মুখ সরিয়ে কিনারার মুখের দিকে তাকালো।দেখলো কিনারা তখনো বারবার কেঁপেই উঠছে।সাথে কিনারার ঠোঁটও।সাদিতের কিনারাকে এই অবস্থায় দেখে বেশ মজায় লাগলো।নেশালো চোখে কিনারার মুখের দিকে এগিয়ে গেলো।কিনারার কাপালের উপর আসা চুল টা ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিতেই কিনারা আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালো—–কিনারা চোখ মেলে সাদিতকে দেখতেই—-সাদিত সঙ্গে সঙ্গে কিনারার ঠোঁট দুটো আবদ্ধ করে নিলো।কিনারা যেনো কিছুই বুঝে উঠতে পারলোনা।আসলে হলোটা কি।যখন বিষয়টা কিনারা বুঝতে পারলো তা ফিল করতে পারলো তখন কিনারা সমান তালে সাদিতের সাথে রেসপন্স দিতে শুরু করলো। এতে সাদিত আরো পাগলের মতো কিস করতে শুরু করলো।মিনিট দশেক না যেতেই সাদিতের ফোন অনবরত বেজে উঠলো।ফোনের শব্দে দুজনের হুস ফিরে।সাদিত কিনারাকে ছেড়ে উঠে জোরে শ্বাস নিতে নিতে ফোনটা রিসিভ করলো। এদিকে কিনারাও হাঁপাছে আর লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।কিছুক্ষনের কথা মনে পড়তেই কিনারা লজ্জায় নেতিয়ে গেলো।কিনারার এটা ভেবে আরো লজ্জা পাচ্ছে যে আজ ও সাদিতের সাথে সমান তালে রেসপন্স দিয়েছে।

সাদিত কথা বলে এসে দেখে কিনারার গালদুটো গোলাপি হয়ে ব্লাস করছে।আর কিনারা কি জানি ভেবে মিটি মিটি করে হাসছে।সাদিতের কিছু একটা মনে হতেই বাঁকা হেসে কিনারার শরীর ঘেঁষে বসলো।বসে একহাত দিয়ে কিনারার থুতনিটা তুলে, কিনারার গোলাপি ব্লাসিং গালে আস্তে করে একটা কামুড় বসিয়ে, একটা গভীর চুমু দিয়ে বলে উঠলো এতো ব্লাসিং দিয়ে হাসছো কেন,কারণ টা কি শুনি।আমাকেও বলো আমিও একটু তোমার সাথে হাসি।কথাগুলো সাদিত কিনারাকে আরো লজ্জায় ফেলার জন্য বলে উঠলো।
কিনারা সাদিতের এমন কথা শুনে লজ্জায় আরো গুটিয়ে গেলো।

কি হলো বউ বলো—-কিনারা কিছু বলতে পারছেনা, ভিষণ লজ্জা করছে।
সাদিত কিনারাকে প্রশ্ন করতে করতে কিনারার কাছে চলে গেলো।গিয়ে কিনারার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিয়ে আবার অনবরত চুমু খাচ্ছে। কিনারা সহ্য করতে না পেয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল —- মিস্টার চৌধুরী প্লিজ আমাকে ছাড়ুন।অনেক বেলা হয়ে গেছে,দুপুরের খাবার ও মনে হয় খাননি আপনি।আর আমাকে ছাড়ুন আমি গোসলে যাবো।সাদিত কিনারার কথা শুনতে নারাজ।কিনারার এসব কথায় কেমন বিরক্ত হচ্ছে আর কিনারার গলায় ছোট ছোট বাইট দিচ্ছে আর চুমু খাচ্ছে।কিনারা সাদিতকে ছাড়ানোর জন্য নানান বাহানা দিচ্ছে।

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ২৪_২৫

ওকে—- আমি তোমাকে ছাড়তে পারি এক শর্তে। যদি তুমি আমাকে আপনি আপনি সম্মোধন করা বন্ধ করো।
কিনারা মাথাটা কিছুটা সরিয়ে কপাল কুচকে বলল— মানে —-
মানে হলো তুমি যখন আমাকে,, আপনি আপনি তারপর মিস্টার চৌধুরী মিস্টার চৌধুরী করোনা,,তখন তোমার কাছে নিজেকে তোমার কাছে কেমন পরপর লাগে।তাই তুমি আমাকে সাদিত এবং তুমি বলে ডাকবে।
কিনারা সাদিতের কথায় শুনে পাত্তা না দিয়ে বলে উঠলো —অসম্ভব আমি পারবো না।উমম আসছে উনাকে নাম ধরে ডাকতে হবে,তুমি তুমি করতে হবে।পারবোনা।আপনি যখন যা বলবেন আমাকে তখন তাই করতে হবে হ্যাঁ।শুনবোনা আমি আপনার কথা আর প্লিজ আমাকে ছাড়ুননন তো।

কিনার বলতে দেরি সাদিতের ধাক্কা দিতে দেরি হলোনা।সাদিত কিনারাকে দু’হাতে জড়িয়ে কাছে টেনে নিয়ে অনবরত গলায়,ঘাড়ে চুমু দিচ্ছিলো এমন সময় কিনারার কথাগুলো শুনে,,,সাদিত কিনারাকে এক ধাক্কা দিয়ে খাটে শুয়িয়ে। একহাতে কিনারার কোমড় জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নিয়ে। অন্য হাতে ভর দিয়ে কিনারার দিকে অনেকটা ঝুঁকে গেলো সাদিত।ও আচ্ছা ঠিক আছে,তুমি আমার কথা শুনবে না তাই তো।
কিনারা বিষয়টা কি হলো তা বুঝতে না পেয়ে, সাদিতের দিকে তাকিয়ে বারবার চোখের পাতা ফেলে, মাথা নেড়ে— না জানালো—যে ও সাদিতের কোনো কথা শুনবে না।

সাদিত আবার শিওর হওয়ার জন্য বলে উঠলো —- ঠিক তো।
কিনারা আবার মাথা নাড়ালো।যে হ্যাঁ ঠিক।
সাদিত কিনারার মুখের আরো কাছে ঝুঁকে গেলো।সাদিতের ঠোঁটের থেকে কিনারার ঠোঁটের দূরত্ব এক ইঞ্চি মতো হবে। সাদিতের প্রত্যেকটা নিশ্বাস কিনারার ঠোঁট আর মুখের উপর পড়ছে। সাদিতের ঘন নিশ্বাস কিনারার ঠোঁটের উপর পড়তেই,কিনারা অজানা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে,কিনারা খুব দ্রুত শ্বাস ফেলছে,, কেমন অস্বস্তিবোধ করছে ।

সাদিত কিনারাকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।কিনারার বুকের এমন ধীর গতির উঠা-নামা আর মুখের এক্সপ্রেসন দেখে হঠাৎই সাদিতের মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি খেলে গেলো।সাদিত বিষয়টাকে নিয়ে আরও একটু মজা নেওয়ার জন্য,, কিনারার সারা কোমড়ে খুব গভীরভাবে স্লাইড করতে শুরু করলো।সাদিত কিনারার কোমড়ে এমন ভাবে স্লাইড করছে,,কিনারা তা যেনো সহ্য করতে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিছানা চাদর টা খামচে ধরলো,, কিনারা যেনো সাদিতের প্রত্যেকটা স্পর্শে কেঁপে উঠে,, হিমশীতল বরফের মতো জমে গেলো। কিনারা আর একটুও নড়াচড়া করতে পারছেনা।

সাদিত কিনারার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে নেশালো কন্ঠে বলে উঠলো —- ওকে শুনতে হবে না।তাহলে তুমি চাচ্ছো আমি যেনো এভাবেই থাকি,তোমাকে যেনো না ছাড়ি।আরে সরাসরি বললেই তো হতো।আমি তো চায় সবসময় তোমার সাথে এমন মিশে থাকতে।আমার প্রত্যেকটা নিশ্বাসে তোমাকে ফিল করতে ।বলেই সাদিত কিনারার ঠোঁট আবদ্ধ করে নিতেই কিনারা সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকালো,কিনারা যেনো বেকুব বনে চলে গেলো,কিনারা বুঝতে পারছে না, সাদিত কখন কিভাবে হুটহাট করে যখন-তখন ওর উপর অ্যাটাক করছে।কিছু বুঝে উঠার আগেই হুটহাট করে কিস করে বসছে।

এদিকে কিনারা এসব ভেবেই চলেছে,অন্য দিকে সাদিত নিজের মতো করে কিনারার ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যস্ত।মিনিট দুয়েক পর সাদিত বুঝতে পারলো,কিনারার কোনো রেসপন্স নেই,কিনারার রেসপন্স নেই দেখে সাদিত কিনারার ঠোঁটে কামুড় দিতেই। কিনারা আঁতকে উঠে ——আআআআ বলে উঠলো।
সাদিত বাঁকা হেসে বললো — তবুও তুমি আমার কথা শুনবেনা।তাই তো।
এদিকে কিনারা ব্যথায় চোখের কোণায় পানি চলে আসার উপক্রম।
কিনারাকে চুপ করে থাকতে দেখে। সাদিত কিনারার ঠোঁটের কামুড়ের জায়গায় আঙুল ছোঁয়িয়ে ছোঁয়িয়ে বলল—–তাহলে কি ডোজটা কম পড়ে গেলো বউ, আমি কি ডোজটা আর একটু বাড়াবো।
কিনারা সাদিতের কথা শেষ হতেই,দুহাতে নিজের মুখ চেপে ধরে মাথা নাড়ালো।

ঠিক এই মুহুর্তে সাদিতের ইচ্ছে করছে কিনারার এই ভয়ে,কাচুমাচু হওয়া মুখের এক্সপ্রেসনটা ক্যামেরা বন্দী করে রাখতে,কিন্তু তা ঠিক এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না।সাদিতের প্রচুর হাসি পাচ্ছে।সাদিত নিজের নিচের ঠোঁটটা উপরের ঠোঁট দিয়ে হালকা চেপে হাসি আটকিয়ে,কিনারার হাতটা মুখ থেকে সরিয়ে বলল—আরে না করছো কেন বউ— শুনো না—বলি কি আজকের পর থেকে তুমি না,,, আমার কোনো কথাই শুনবে না কেমন।আর আমি তোমার কাছে যখন ইচ্ছে তখনি যেতে পারবো।আর তোমার কোনো না করার ওয়ে থাকবেনা।বলেই আবার কিনারার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে গেলো।

সাদিতের ঠোঁট কিনারার ঠোঁটকে আবার স্পর্শ করতে যাবে, তখনি কিনারা ফট মাথাটা ঘুরিয়ে বলে উঠলো —কে বলল আমি আপনার কথা শুনবোনা।আমি আপনার প্রত্যেকটা কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।তবুও আপনি আমাকে আর কিস করবেননা প্লিজ।দেখুন আমার ঠোঁট টা কেমন কেটে গেছে, জ্বালাও করছে।কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলে উঠলো কিনারা।
ওকে,,,তাহলে তখন যা বললাম মনে থাকবে তো —- আজ থেকে আমাকে—- তুমি আর সাদিত বলে ডাকবে।আর তোমার যদি আমাকে ভালোবেসে কোনো নাম দিতে ইচ্ছে করে তাহলে দিতে পারো,ওই যেমন সোনা,বাবু,জান,পাখি,………………..যা ইচ্ছে বলতে পারো তবুও একলিস্ট মিস্টার চৌধুরী মিস্টার চৌধুরী বলো না প্লিজ।তখন মনে হয় তোমার সাথে আমার অফিসের কোনো কাজের সম্পর্ক।তারপর সাদিত খুব নম্রস্বরে বলল— কিনারা —–তুমি কবে বুঝবে—————

তোমার সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক,তার থেকে বড়ো কথা কিনারা তুমি আমার স্ত্রী, তোমার সাথে আমার বিবাহ নামে পবিত্র একটা সম্পর্কে আবদ্ধ আমরা।সারা জীবনের একটা সম্পর্ক আমাদের দুজনের,যেখানে আমরা সারা জীবন দুজনে এক সাথে থাকবো।আমি চায়না সেখানে — আমাদের মাঝে কোনো দূরত্ব থাকুক,কোনো জড়তা থাকুক,বা আমাকে নিয়ে তোমার মনে কোনো রকম ভয়- ভীতি থাকুক।আমি সবসময় চায় আমাকে যেনো তুমি বুঝো—-না বুঝলেও এখন থেকে একটু হলেও বুঝার চেষ্টা করো প্লিজ।কারণ এটা ছাড়া তোমার আর কোনো উপায় নেই।তুমি চাইলেও আমার কাছে থাকতে হবে,না চাইলেও এই আমার কাছেই থাকতে হবে।ব্রিকস ইউ আর মাই মাইন।আই হেব টু বি ফোর লাইফ।বলে সাদিত কিনারার একহাত নিজের হাতের মুঠোয় আবদ্ধ করে নিয়ে,কিনারার হাতের মুঠোর উপর গভীরভাবে চুম্বন করে,হাতটা নিয়ে সাদিত নিজের বুকের উপর রাখলো।

কিনারা বুঝতে পারলো —- সাদিতের কথাগুলো না শুনা অব্দি ওকে আজ কোনো মতে ছাড়বেনা।কিনারা চাইলেও সাদিতের যা জিম করা বডি এক ইঞ্চিও নড়াতে পারবেনা।যে সাদিতকে সরিয়ে উঠে পড়বে।তাই কিনারা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো সাদিতের কথা মেনে নেওয়াই শ্রেয়।
কিনারা গলাটা ঝেড়ে ফেলতেই—- সাদিত বুঝতে পারলো কিনারা কিছু বলতে চায়।তাই সাদিত তাই অধীর আগ্রহে চেয়ে চোখ দিয়ে কিনারাকে ইশারা করলো —- কিছু বলবে—যদি বলার থাকে বলো।
সাদিতের চোখের ইশারায় তাকাতেই,,সাদিতের ওই কালো গভীর চোখে তাকাতেই কিনারা যে সাহসটা নিয়ে সাদিতকে কিছু বলতে চেয়েছিলো তা হঠাৎই যেনো দমে গেলো।আর মুখ দিয়ে বলে ফেলল—

আপনি যা বলবে আমি আপনার—সাদিত তোমার ধ্যাত—-কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল আমাকে দিয়ে হবে এখন।আমার এতো দিনের অভ্যাস টা চেঞ্জ হতে,আমার একটু তো টাইম লাগবে,।।।। আমি চেষ্টা করবো নেক্সট টাইম থেকে ওই তুমি আর সাদিত বলতে।এবার তো ছাড়ুন। বলে ঠোঁট উল্টে ফেলল।
সাদিত কিনারাকে ছেড়ে উঠে বসতেই। কিনারা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো,,মনে মনে সাদিতকে হাজারটা গালি দিলো।মনে মনে বলল—আরে আপনাকে তো রাক্ষস আর ড্রাগন বলা উচিত।সব সময় হামলে পড়েন। বেটা উজবুক।এ মা আমার ঠোঁট বলে হাতটা ঠোঁটে চলে গেলো।
সাদিত কিনারার দিকে ফিরে কিনারাকে কিছু বলতে যাবে—-
কিনারাকে আর পাই কে দিলো ভৌ করে দৌড় দেয়। এক দৌড়ে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা নক করে ফেলল।ফেলে জোরে জোরে শ্বাস নিলো।

#দ্যা_বিউটি_অফ_লাভ
#লেখিকাঃরাকিবা_ইসলাম_আশা
#পর্বঃ২৫

সাদিত হাসতে হাসতে লাগেজ গুলোর কাছে এসে ওর জিনিস পাতি গুলো বের করছে,আর ফ্রেশ হবার পর কোন কাপড় গুলো পড়বে তা বের করছে।
ঠিক তখনি একটা ফোন বেজে উঠলো — সাদিত ঘুরে তাকাতেই দেখলো কিনারার ফোনটা বাজছে।ফোনটা বাজছে দেখে সাদিত বুঝতে পারলো না ফোনটা ওর ধরা উচিত হবে কিনা।ফোনটা ওর পাশেই রাখা ছিলো।সাদিত ফোনটার কাছে গিয়ে নিজের হাতে তুলে দেখলো।সানজু কলিং।সাদিত বাথরুমের দিকে তাকাতেই পানির আওয়াজ ভেসে এলো,সাদিত বুঝতে পারলো কিনারা গোসল করছে।এসব ভাবতেই ফোনটা কেটে গেলো, সাদিত ফোনটা টেবিলের উপর রেখে দিতে গেলে ফোনটা আবার বেজে উঠলো।বারবার ফোনটা বেজে উঠায়,সাদিত ঠিক করলো,ফোনটা ও রিসিভ করবে।ফোনটা রিসিভ করতেই সাদিত শুনতে পেলো—-আরে কিনারা।একটা দরকারী ফোন করেছি।এই শুন আমি কাল এডমিশনের জন্য কোচিং এ ভর্তি হতে যাচ্ছি। তুই তো আমাকে জানাতে বলেছিলি।আমি যখন ভর্তি হবো তোকে যেনো জানায়।তো কাল যাবো আমি তুই ও কি যাবি আমার সাথে।

ফোনের ওপার থেকে মৃদু একটা ছেলে মানুষের কন্ঠের আওয়াজ পেতেই। সানজু ঘাবড়ে গেলো।সানজু খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেসা করলো—আর-রে সাদিত ভাইয়া নাকি।
সাদিত খুব শান্ত হয়ে বলল— হ্যাঁ হ্যালো
সাদিতের কথা শুনে সানজু খুবই এক্সাইটেড হলো।ভাইয়া আপনি আমি সানজু কিনারার বেস্টফ্রেন্ড।ওর বোন হয়।যদিও মায়ের পেটের না,কিন্তু আমরা তার থেকে কোনো অংশে কম না।হিহি।
সাদিত বলল —-, ও আচ্ছা। তাই।

সানজু আবার বলা শুরু করলো।ভাইয়া আমার কিনারার সাথে কিছু দরকারী কথা ছিলো।আমাদের ভার্সিটির এডমিশনের কোচিং শুরু হয়ে গেছে।কিনারা আমাকে জানাতে বলেছিলো।তার জন্য ওকে কল করা।তো ভাইয়া কিনারা কোথায় ফোনটা ওকে একটু দেওয়া যাবে।
সাদিত বলল —- আসলে কিনারা ওয়াশরুমে। ও বের হোক আমি ওকে জানাবো যেনো তোমাকে কল ব্যাক করে।আর আমরা এখন দুজনে একটু ঢাকার বাইরে আছি,আর ঢাকার ফেরার পর পরই কিনারাকে কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দিবো।

ওকে ভাইয়া, আপনি কেমন আছেন, আর কিনারা কেমন আছেন, জানেন ভাই কিনারা অনেক ভালো একটা মেয়ে,কিন্তু ওর একটা বাজে অভ্যাস কি জানেন ভাইয়া।ও সব সময় সব কিছু চেপে রাখতে পছন্দ করে।কাউকে কিচ্ছু বলতে চায়না।ওর মনের অনুভুতি কখনো প্রকাশ করে না, কাউকে বলেনা।ওর সাথে নতুন নতুন কেউ মিশলে ভাববে ও হয়তো অহংকারী।কিন্তু আপনি যদি মন খুলে ওর সাথে একবার মিশবেন দেখবেন ওর সবটা আপনি বুঝতে পারবেন।এভাবে আরও কিছুক্ষন ওদের মাঝে কথা বলার পর সাদিত বিদায় নিয়ে ফোনটা রেখে দিলো।এমন সময় সাদিত শুনতে পেলো,——-সাদিত
সাদিত এদিকে একটু শুনবেন।কিনারা বাথরুম থেকে বলল।

কিনারা বাথরুমে থাকায় ওর গলার আওয়াজটা স্পষ্ট সাদিত শুনতে পেলোনা।কিন্তু ওর নাম ধরে যে কিনারা ডাকছে এটা৷ ঠিক বুঝতে পারছে।
সাদিত কিছু না ভেবে এগিয়ে গেলো, বাথরুমের দরজার কাছে।তারপর নক করে বলল।কিনারা তুমি কি বললে, আমি ঠিক শুনতে পায় নি।
কিনারা আমতাআমতা করে বলল —- আমি আসলে, আমি আমার জামাগুলো আনতে ভুলে গেছি।আপনি যদি একটু কষ্ট করে লাগেজ থেকে এনে দিতেন।আমি তো সাওয়ার নিয়ে ফেলেছি।এখন এই অবস্থায় রুমে ঢুনা পসিবল না, ঢুকলে রুম ভিজে যাবে।
সাদিত কিনারার কথাটা বুঝতে পেয়ে—– লাগেজ থেকে কিনারার একটা ফ্রেশ জামা নিয়ে —বাথরুমের দরজায় নক করে বলল—কিনারা দরজাটা,খুলো।আমি তোমার জামাটা দিয়ে দেয়।

বাথরুমের দরজাটা খুলা মাত্রই সাদিত উষ্ণবাষ্প অনুভব করলো।সাদিত কিনারাকে পুরোপুরি ফ্রেশ না হয়ে ওভাবে দেখতে চায়নি।তাই সাদিত নিজের মুখটা,অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো।।তবুও জামাটা পার্স করার সময় সাদিত নিজের চোখ টা আস্তে আস্তে খুলে ঘুরে দাঁড়ালো।।
কিনারা যেহেতু সাদা কুর্তি পড়ে ছিলো, সেহেতু কিনারার শরীরের অনেক জায়গা দৃশ্যমান।কিনারা লজ্জায় ভয়ে কাচুমাচু করছে আর জামাকাপড় ঠিকে করছে।

সাদিতের না চাইতেও চোখ চলে যাচ্ছে,আর অজানা নেশা সাদিতকে জেঁকে বসলো।সাদিতের গলা শুকিয়ে আসছে,সাদিত চোখ পিটপিট করতে করতে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে একটু নার্ভাস হয়ে বলল— এই-যে তোমার জামা।এগুলো পড়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসো।
কিনারাকে কাঁপা কাঁপা হাতে জামা গুলো নিতে দেখে সাদিত একটু মুচকি হেসে বলল — একি কিনারা, তুমি ভয় কেন পাচ্ছো।তোমাকে গিলে খেয়ে নিবো নাকি।

কিনারা সাদিতের এমন ঠোঁট কাঁটা কথা শুনে ভিষণ লজ্জায় পড়ে যায় আর তাড়াহুড়ো করে হাত বাড়িয়ে ড্রেস গুলো নিতে যায়। হাত বাড়াতেই পায়ের সাথে প্লাজু আটকে পড়ে যেতে নিলেই, কিনারা তখন অনুভব করলো সাদিত ওর হাতের কব্জিটা তখন শক্ত করে ধরে আছে,কিনারা রীতিমতো থতমত খেয়ে গিয়ে চোখটা খুলে দেখলো ও বাথরুমে নিজের ভিজা গা সাদিতের উপর হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে।সাদিত কিনারার এতো কাছে যে ওদের মাঝ খান দিয়ে হাওয়া পার্স করারও জায়গা নেই।সাদিত আস্তে আস্তে কিনারার মাথাটার পিছনে হাত দিয়ে কিনারার মাথাটা নিজের বুকের উপর হেলিয়ে দিলো।পুরো বাথরুম জুড়ে তখন উষ্ণবাষ্প গুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। একটা গরম আবহাওয়া অনুভব করা যাচ্ছে।কিনারা যেহেতু গোসল শেষ তো কিনারার গা থেকে বডি ওয়াশের সুগন্ধিটা হুরহুর করে সাদিতের নাকে ভেসে আসছে।কিনারা বুঝতে পারলো না উষ্ণ অনুভূতিটা কি বাথরুমে ভেসে থাকা গরম বাষ্পের জন্য নাকি।সাদিত ওকে যেভাবে হ্যাচকা টানে নিজের কাছে টেনে জড়িয়ে নিয়েছে তার জন্য।এসবের মাঝে কিনারার কানের কাছে অনুভব করতে পেলো।সাদিতের হার্টবিট কেমন বাড়তে শুরু করেছে।কিনারা নিজের মাথা টা একটু সরিয়ে সাদিতের বুকের বা পাশে রেখে ওর হার্টবিটটা স্পষ্ট শুনতে পারছে।এতো জুড়ে হার্ট টা বিট দিচ্ছে যা আটকানো খুবই মুশকিল।সে বিট গুলো শুনতে শুনতে কিনারার নিজেরও হৃদস্পন্দন ও বাড়তে শুরু করলো।

সাদিত নিজের একটা হাত কিনারার কোমড়ে শক্ত করে চেপে ধরে, অন্য হাত দিয়ে কিনারার থুতনিটা ধরে,কিনারার ভিজা সুন্দর ফুটফুটে মুখটা তুলে ধরলো।কিনারাকে তখন দেখে মনে হচ্ছে ছোট্ট একটা বিড়ালছানা ওর ভিজা শরীর নিয়ে ভয়ে লেপ্টে আছে।
কিনারার নিজেরও কোনো আইডিয়া ছিলো না ওই ভিজা অবস্থায় ওকে কতটা মিষ্টি লাগছিলো।এতোটা মিষ্টি আর সুন্দর লাগছিলো যে সাদিতের ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করলো।সাদিত ওর নিজের পারসোনালিটি বজায় রাখতে কিনারাকে ছেড়ে দিতে চাইলো,কিন্তু সাদিত দেখলো কিনারা ওকে৷ দুহাতে জড়িয়ে ধরে,ওর বুকে মাথা রেখে কিছু বুঝার চেষ্টা করছে।

কিনারা সাদিত কে জড়িয়ে ধরেছে,এটা ভেবেই সাদিত পেনিক করতে শুরু করলো। সাদিত আর পারলো না নিজেকে কন্ট্রোল করতে।সাদিত কিনারার মাথাটা উঠিয়ে কিনারার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে ওর কাছে এগিয়ে এলো।কিনারা সাদিতকে এগিয়ে আসতে দেখে সাদিতের চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।কিনারা বুঝতে পারলো সাদিত আসলে কি করতে চাইছে।তাই কিনারা নিজেকে একটু দূরে সরানোর চেষ্টা করে,সাদিতের থেকে একটু পিছিয়ে এলো।কারণ সাদিতের চোখের দিকে তাকাতেই কিনারা বুঝতে পেরেছিলো৷ আসলে সাদিত এই মুহুর্তে কি চায়ছে।সাদিতের চোখে মুখে তা ফুটে উঠছে।কিনারা লজ্জায় পিছনের দিকে আরো কিছু টা সরে গেলো।

সাদিত কিনারাকে সরে যেতে দেখে আবারও এক হ্যাচকায় নিজের কাছে এনে আবার কিনারার কোমড় জড়িয়ে ধরলো।কিনারাকে সাদিতকে বাঁধা দেওয়ার জন্য নিজের হাত দুটো সাদিতের বুকের উপর রাখলো।সাদিতের বুকের উপর হাত রাখতেই কিনারা আবারও সেই উষ্ণতা অনুভব করলো।যা কিনারার সারা শরীর কাঁপিয়ে দিলো।
সাদিত ওকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে,চারিদিকে কেমন পিনপিন একটা নিরবতা কাজ করছে।নিরবতা কাটিয়ে কিনারা বলে উঠলো সাদিত প্লিজ আমাকে ছাড়ো।

কথা শেষ করতেই সাদিত নিজের ঠোঁট টা কিনারার ঠোঁটের উপর ছোঁয়ে দিলো।সাদিতের স্পর্শ পেতেই কিনারা অদ্ভুত ভাবে শিহরিত হতে শুরু করলো। তবুও কিনারা ছাড়াতে চেষ্টা করলো,কিন্তু সাদিত যেনো ওকে ছাড়তেই চাইলোনা।সাদিত যেনো আজ বেশিই নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছিলো।
এদিকে কিনারার ঠোঁটদুটো যেনো জ্বলে যাচ্ছে।সাদিত কে থামাতে চেষ্টা করলেও, সাদিত যেনো কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না।সাদিত যে কিনারার থেকে আরও কিছু চাইছে তা ওকে দেখে বুঝায় যাচ্ছে।

সাদিত কিনারাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,কিনারার ঠোঁট ছেড়ে ঘাড়ে ঠোঁট স্পর্শ করে বলল—- কিনারা।
সাদিত ওকে এতো জুরে জড়িয়ে ধরে ছিলো,কিনারা ভয়ে ছটফট করতে শুরু করলো।কিনারা বলল—- সাদিত প্লিজ, প্লিজ ছাড়ো আমাকে।কিনারার চোখ মুখ তখনো লাল।চোখের কোণে জল এসে গেছে।মনে হচ্ছে কিনারা যখন তখন কেঁদে ফেলবে।
কিন্তু কিনারা যে এসব বলছে,তাতে সাদিতের যেনো কোনো যায় আসছেনা।সাদিত কিনারার ঠোঁট দুটো চেপে আবার কিস করতে শুরু করলো। কিনারার মনে হচ্ছে ও শ্বাস না নিতে পেয়ে এখনি মরে যাবে।সাদিত ওকে চেপে ধরায় কিনারা কিছুই করে উঠতে পারছিলোনা।সাদিত কিনারার মাথাটা ধরে, আরো কাছে টেনে নিয়ে কিস করতে শুরু করলো।কিনারা যেনো আর দম নিতে পারছেনা।কিনারা বুঝতে পারছে ও আর বেশিক্ষন এভাবে দম না নিয়ে থাকতে পারবেনা।কিনারার এতোটাই অস্বস্তি হচ্ছিলো।নিজের কান্না চেপে ধরে রাখতে পারছিলোনা।দুচোখ বেড়ে পানি পড়তে শুরু করলো।আর রীতিমতো সাদিতের বুকে ধাক্কা মেরে যাচ্ছিলো।সে ধাক্কায় যেনো কিনারার কোনো লাভই হচ্ছিলো না।সাদিতের শরীরের কাছে কিনারার এ ধাক্কা যেনো কিছুই না।কিনারার এ সামান্য জোর টুকুও যেনো৷ আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।

দ্যা বিউটি অফ লাভ পর্ব ১৬+১৭+১৮+১৯+২০

সাদিত ওর হাতের বাঁধন কিছুটা আলগা করতেই।কিনারা সজোরে ধাক্কা দিলো,সাদিত দুপা পিছিয়ে গেলো। কিনারা মুখটা সরিয়ে কান্না করতে করতে হাঁপাতে হাঁপাতে সাদিতকে কিছু বলতে চাইলো।কিন্তু কিনারা শ্বাস নিতে পারছেনা,চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে,কিনারার শ্বাস নিতে এতোটা কষ্ট হচ্ছে যার জন্য ওর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
সাদিত ধাক্কা খেতেই যেনো হুসে ফিরে এলো,,,ও কিনারার দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলো আজ খুব বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে।।সাদিত মনে মনে রিয়েলাইজ করলো,কিনারার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে এসবে কিনারা প্রচুর ভয় পাচ্ছে ।তাই সাদিত কিনারার কাছে এগিয়ে গেলো।কিনারাকে শান্ত করার জন্য একহাত কিনারার মাথায় রেখে বুলিয়ে দিচ্ছিলো,আর অন্য হাত দিয়ে কিনারার একটা হাতটা ধরে চুমু খেতেই—-

কিনারা ভয়ে কেঁপে উঠে —-কিনারার মনে হচ্ছে সাদিত আবার ওর উপর হামলে পড়বে,কিনারা ভয়ে আরো জোরে কান্না করে দেই ,এতে কিনারার আরো দম আটকে আসছে।তবুও আটকা আটকা গলায় বলে উঠলো সাদিত, আমাকে প্লিজ ছাড়ো।প্লিজ আমাকে যেতে দাও।এইটুকু বলতেই যেনো হাঁপিয়ে গেলো আরো,আর দম নিতে পারছেনা।প্রচুর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিনারার কথা টা সাদিতের কান অব্দি পৌঁছানোর আগেই কিনারা চোখ বুজে সাদিতের বুকের উপর পড়ে গেলো।

দ্যা বিউটি অফ লাভ  পর্ব ২৬+২৭+২৮+২৯+৩০