দ্যা বিউটি অফ লাভ শেষ পর্ব 

দ্যা বিউটি অফ লাভ শেষ পর্ব 
লেখিকাঃরাকিবা ইসলাম আশা

রাত এগারোটা,, পার্টি শেষ হয়েছে আরো অনেক আগেই।সাদিত কাল ঢাকা ব্রেক করবে জন্য ম্যানেজারের সাথে বেরিয়ে এখনো বাসায় ফিরেনি।
সাদিত ১১.৪০ বাসায় ফিরলো।রুমে ডুকতেই দেখলো পুরো রুম অন্ধকার।রুম অন্ধকার দেখে সাদিত কিনারাকে একটা ডাক দিলো কিন্তু কোনো সারা শব্দ নেই।সাদিত কিনারাকে ডাক দিয়ে সুইচের ওখানে গেলো রুমের লাইটগুলা জ্বালানোর জন্য কিন্তু লাইট জ্বালানোর আগেই কেউ একজন সাদিতকে দেয়ালে চেপে ধরে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল থাকনা আজ অন্ধকার, আজ অন্ধকারই ভিষণ ভালো লাগছে।

ও তুমি, কোথায় ছিলে ডাকলাম তো আর রুমটা অন্ধকার কেন লাইট গুলা জ্বালাও।
কিনারা আদুরে গলায় না বলে সাদিতের বুকে মাথা রাখলো।
সাদিত কিনারার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল হঠাৎত অন্ধকার কেন ভালো লাগছে আমার বউটার।
ওকে দাঁড়ান বারান্দার লাইটটা দিয়ে আসি।রুমটা বেশিই অন্ধকার।
রুমে বারান্দার আলোয় হালকা আলোকিত হলো।তারপর কিনারা এক এক করে বেশ কয়েকটা ক্যান্ডেল জ্বালিয়ে দিলো।পুরো রুম একটা উষ্ণ হলুদ আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সাদিত দেখলো কিনারা পার্টির শাড়ি পাল্টে ফেলে পার্পেল কালারের একটা শাড়ি পরেছে।বাট শাড়িটা নেটের হওয়াই কিনারার নাভী দৃশ্যমান।সাদিত আরো খেয়াল করলো কিনারা পার্টির সাজ পাল্টে ফেলে আরো সুন্দর করে সেজেছে সাথে এই উষ্ণ হলুদ আলো যেনো কিনারাকে খুবই আকর্ষণীয় লাগছিলো।
সাদিত কিনারা দেখে রীতিমতো একটা ঢুক গিলল,গিলে বলল কি ব্যপার কিনারা এতো রাতে সেজেছো কেন।
তুমি —-কিনারা সাদিতের ঠোঁটে উপর নিজের একটা আঙুল দিয়ে থামিয়ে দিলো।হিস বলে একদৃষ্টিতে নেশালো চোখে সাদিতের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো আমি আপনার জন্য সেজেছি সাদিত।আপনাকে তখন বললাম না আমার একটা বেবি চাই, কিন্তু আপনি তখন হেসে উড়িয়ে দিলেও আমি কিন্তু সিরিয়াস।বলে আস্তে আস্তে কিনারা নিজের আঙুলটা সাদিতের ঠোঁট থেকে নিচের দিকে এনে গলা বেড়ে বুকের উপর এনে সাদিতের বুকে উপর ভর দিয়ে হাতটা রাখলো।রেখে সাদিতের ঠোঁটে হালকা একটা চুমু খেলো।
সাদিত কিনারার এরুপ কথা আর কাজে এসির মাঝেও কেমন ঘামতে শুরু করেছে।

সাদিত কিনারার মুখের অভিব্যক্তি দেখে বুঝতে পারলো আজ কিনারা আর ওকে কোনো মতে ছাড়বেনা,কিনারা যেভাবে ওর কাছে এসে যে আবদার নিয়ে দাঁড়িয়েছে সাদিত চাইলেও যেনো কোনো অজুহাত দিয়ে বেরোতে পারবেনা।সাদিত কিনারার চোখের মায়াবী সে নেশালো দৃষ্টিতে বুঝতে পারলো আজ রাতে কিনারা ওকে পুরোপুরি নিজের করে নিতে চাই ।
এতোদিন কিনারা সাদিতের কাছ থেকে নানান অজুহাতে পালিয়ে বেরিয়েছে কিন্তু আজ কিনারা নিজে থেকে ওর কাছে এসেছে, তাহলে কি এবার সত্যি সত্যি সময় এসে গেছে কিনারাকে চৌধুরী বাড়ির উত্তরাধিকার দেওয়ার।ভাবতেই সাদিত কেমন একটা অদ্ভুত ফিল করতে শুরু করলো,সাদিতের কান গুলো গরম হতে লাগলো, নিশ্বাসের গতিও বাড়তে শুরু করলো।সাদিতের গরম লাগতে শুরু করলো।সাদিত হাত দিয়ে শার্টের দুটো বোতাম খুলে দিলো।
কিনারা সাদিতকে পিছন ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলো। তারপর বলল আমি যতক্ষন না বলবো আপনি পিছনে তাকাবেন না প্লিজ আমার রিকুয়েষ্ট।

সাদিত কিছু বুঝতে না পারলেও কিনারাকে বলল ওকে ওকে রিকুয়েষ্ট করতে হবেনা।আমি এমনি তাকাবো না,তুমি না বলা অব্দি।
সাদিত পিছনে তাকান।
সাদিত পিছনে তাকাতেই দেখলো কিনারা হাটু ভাজ করে বসে এক হাত সামনে দিয়ে একটা গোলাপ বাড়িয়ে দিয়ে হাটু ভেঙে বসে আছে।
সাদিত অবাক হয়ে গেলো। কিছু বলতে যাবে তার আগেই কিনারা বলে উঠলো ——
সাদিত আজ আমাকে বলতে দিন প্লিজ।সাদিত মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানালো

সাদিত আমি আমার প্রথম ভালোবাসার প্রেমাভূতি আমি আপনার কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি ।প্রথম ভালোবাসা আমি আপনাকে ভালোবেসেছি।আপনার ভালোবাসার সেই শিহরণ,আমার প্রতি করা প্রত্যেকটা কেয়ার আমাকে বাধ্য করেছে ভালোবাসতে।আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি সেই অনুভূতি।জানেন বহু মূল্যবান সে অনুভূতি৷ আমার কাছে ,আমি সে অনুভূতি গুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই সারাজীবন।দিবেন কি আমাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে।আপনাকে ভালোবেসে সারাজীবন পার করতে???
সাদিত কিনারাকে উঠিয়ে দাঁড় করালো,কিনারাকে জড়িয়ে ধরলো৷দুহাতে আঁকড়ে ধরলো কিনারাকে।হুম সারাজীবন এভাবেই ভালোবেসে আগলে রাখবো এই বুকে।কখনো কষ্ট পেতে দিবোনা।

কিনারা আবারও নেশালো কন্ঠে ফিসফিসিয়ে বলল —-আপনারর প্রতিটি মূহুর্তের সঙ্গী হবার দাবী নিয়ে এসেছি সাদিত আপনারর মনের শরীরের সবকিছুর অংশীদার হতে চায়।কেবলই সে অংশ আমার সম্পত্তি।বলুন হবেন সে আমার সম্পত্তি।বলুন হবেন??
সাদিতের কানের কাছে এসে কিনারা যেভাবে কথা গুলো ফিসফিসিয়ে বলছিলো৷কিনারা প্রতিটা নিশ্বাস প্রশ্বাস সাদিতের কানের নিচে এসে পড়ছিলো।যা সাদিতের শরীরে আলাদা রকমের উষ্ণতা তৈরি করেছিলো।সাদিত আর পারলো না নিজেকে ধরে রাখতে।সত্যিই যদি ভালোবাসার মানুষ এভাবে আবদার করে যদি আরো সেটা লিগ্যাল ওয়াইফ হয়।তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই। সাদিতও পারলো না নিজেকে আটকে রাখতে কিনারাকে কোলে তুলে নিলো।কিনারার হার্টবিট তখন পাগলের মতো ছুটছে।

সাদিত কিনারাকে খাটে শুইয়ে দেওয়ার পর কিনারা লজ্জায় নিজের চোখ খুলতেই পারলোনা।সাদিত তখন কিনারাকে পিছনে শুইয়ে দিয়ে দুহাতে ভর দিয়ে কিনারাকে এক দৃষ্টিতে দেখতে থাকলো।সাদিত কিনারার ঠোঁটে হালকা চুমু খেয়ে বলল বউ আমার দিকে একটু তাকাও।
কিনারা ইচ্ছে করেই নিজের চোখটা বন্ধ রাখলো, কারণ এতোক্ষন যে সাহস নিয়ে সাদিত কে কথা গুলো বলছিলো এখন আর সে সাহস নেই, কিনারার ভিষণ লজ্জা করছে।কিনারার গাল লজ্জায় আরো লাল হয়ে গেলো।
কিনারার মুখ লজ্জায় লাল হতে দেখে সাদিত হেসে ফেলল।বাববাহ এখনি এতো লজ্জা পাচ্ছো, একটু আগে না বাচ্চা নেওয়ার জন্য লাফাচ্ছিলে,তাহলে এখন আবার কি হলো তাকাও আমার দিকে,এখনো অনেক কিছু বাকি।
কিনারা সাদিতের আরো লজ্জা পেলো।কিনারা মাথা নেড়ে না করলো ও তাকাবে না।
সাদিত হেসে কিনারার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেতে লাগলো, কিনারা বিছানার চাদরটা খামচে ধরলো।

বেডরুমের ক্যান্ডেলের লাইট এক এক কোণায় জ্বলছিলো।পুরো রুম হলদেটে একটা আভায় ভরা।সে উষ্ণ হলুদ আলোয় সাদিতের বুকের মাসাল গুলো শার্টের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছিলো।তা দেখে এই মুহুর্তে কিনারা মাতোয়ারা হয়ে গেলো।সাদিতের আঙুল গুলো তখন এক এক করে বোতাম খুলে ফেলেছিলো।শার্টের মাঝে সাদিতের ফর্সা বুকটা খুব ভালো ভাবে যাচ্ছিলো।শার্টটা খোলার সাথে সাথে সাদিতকে আরো এট্রাক্টিভ লাগছিলো।এতো সামনে থেকে সাদিতকে এভাবে দেখে কিনারা এক্কেবারে পাগল হয়ে উঠেছিলো।সাদিতের শরীরের প্রত্যেকটা বৈশিষ্ট্য কিনারার শরীর যেনো জাগিয়ে তুলেছিলো।কিনারার মনের শিহরন গুলো অন্তিম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছিলো।কিনারার মুখ ক্রমশ লাল হয়ে উঠছিলো, কিনারার সারা শরীর কাপছে।

কিনারাকে দেখে সাদিত কিনারার দিকে ঝুঁকে বলল বউ তোমার লজ্জা করছে,তুমি এর আগে আমার শরীর দেখোনি নাকি।এখানে এভাবে লজ্জা পাওয়ার কি আছে।আর তুমি তখন যেভাবে বললে,,,, আসলে বউ ডোজটা একটু বেশি হয়ে গেছে, চাইলেও আর৷ এখন নিজেকে ধরে রাখতে পারছিনা গো।
কিনারা লজ্জায় সাদিতের বুকে মুখ লুকানো সম্পূর্ণ পূর্ণতা পেলো আজ ওদের ভালোবাসা।না আজ কোনো বাঁধা নেই আর,নেই কোনো ভয় যেখানে আছে অফুরন্ত ভালোবাসা আর ভালোবাসা।

চার বছর পর
সাদিতের অফিসে সেদিন প্রচুর চাপ ছিলো।কথা ছিলো আজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে।কিন্তু অফিসে একটা পর একটা মিটিং পড়ে যায় আর সাদিত বাজে ভাবে আটকে যায়।মিটিং টা খুব জরুরী ছিলো বাইরে থেকে বায়ার এসেছে সাদিত না চাইতেও মিটিংটা করতে হয়েছিলো।না হলে বড়ো একটা ধাক্কা খেতো ওদের কোম্পানি।
সাদিত সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরলো।এসে দেখলো কিনারা নিচে সূরার সাথে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে খেলছে(সূরা কিনারা আর সাদিতের তিনবছরের মেয়ে) ,সাদিত বাইরে থেকে এসেছে তাই সূরাকে দূর থেকে হাই জানালো,,কিনারার দিকে তাকাতেই দেখলো কিনারা খেলনা গুচ্ছাতে ব্যস্ত, সূরা দৌড়ে ওর পাপাকে ধরতে গেলে সাদিত ওকে থামিয়ে বলে না মা আগে ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর কোলে নিবো কেমন,।সূরাও লক্ষী মেয়ের মতো বলে উঠলো ওকে পাপা।বলে আমার দৌড়ে কিনারার কাছে চলে গেলো। সাদিতের আজ সারাদিন অনেক খাটনি গেছে তাই রুমে এসে সোজা গোসলে চলে গেলো।

সাদিত গোসল সেরে দেখলো কিনারা তখনো রুমে আসেনি।সাদিত প্রত্যেকদিন বাড়ি ফিরার পর ফ্রেশ হবার পর কিনার ওকে কফি দেয়,আর সাদিত সে কফি খেয়ে রিফ্রেশ ফিল করে আর কিনারা সাদিতের সামনেই থাকে। কিন্তু সাদিত সেই কখন বেরিয়েছে ওয়াশরুম থেকে কফি তো দূরের কথা রুমে অব্দি আসার নাম নেই।কি এমন কাজ করছে নিচে।তখন তো দেখলো আমাকে রুমে আসতে তাহলে ও বুঝতে পেরেছি মহারানী রাগ করেছে,আসলে আজ একটু কিনারাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো,মেয়েটা বায়না করেছিলো সে কাশবেন যাবে শাড়ি পড়ে,ওর প্রত্যেকটা বান্ধবী তাদের জামাইয়ের সাথে কাশবনে গিয়েছে,এখন ওর ও যেতেই হবে। আর আমি কথাও দিয়েছিলাম আজ বিকালে ওকে নিয়ে ঘুরতে বেরবো ,কিন্তু হুট করে বাইরের দেশ থেকে বায়ার এসে পড়বে কে জানে।অবশ্য কিনারাকে ফোন করে বলেছিলো,কাজে আটকা পড়ে গেছে,আসলে কিনারা জানেনা আজ মিটিং আছে,জানলে হয়তো রাগ করতোনা, ভুল যখন করেছি রাগ আমারই ভাঙাতে হবে। আজ সারা দিন সাদিতের এত্তো খাটুনি গেছে যে সাদিতর ইচ্ছে করছে একটু ঘুমিয়ে নিতে।কিন্তু কথায় আছেনা ঘুমের চেয়ে বউয়ের রাগ বড়ো।

সাদিত নিচে গেলো কিন্তু কিনারাকে পেলোনা,মা বাবার রুমে উঁকি দিতেই দেখলো সূরা ওর দিদুনের সাথে খেলছে।সাদিত তারপর বুঝতে পারলো মন খারাপ থাকলে কিনারা কোথায় থাকতে পারে।তাই সাদিত ছাদে গেলো।দেখলো কিনারা ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে।
সাদিত কিনারাকে হুট করে কোলে তুলে নিলো।কিনারা প্রথমে ভয় পেলেও পরে সাদিতকে দেখে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু পরক্ষণেই ও নামার জন্য ছটফট রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু করলো।
সাদিত কিনার গালে টুপ করে চুমু খেয়ে বলে উঠলো লাভ নেই বউ,আমার সাথে জোর খাটিয়ে পারবে না।তো শুধু শুধু নিজের শক্তি অপচয় করে লাভ নেই।কিন্তু কে শুনে কার কথা বউ আমার নিজের মতো করে লড়াই করেই যাচ্ছে।রুমে এনে সাদিত কিনারাকে খাটে বসিয়ে জড়িয়ে ধরলো আর কিনারা ছাড়ানোর জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করে যাচ্ছে।সাদিত না পেয়ে কিনারার দুহাত চেপে ধরলো।কিনারা আর নাড়াচাড়া করতে পারলোনা।

কিনারা নাড়াচাড়া করতে না পেয়ে রাগে দিলো নিজের সবস্ব শক্তি দিয়ে সাদিতের বুকে একটা কামুড়।
সাদিত একটা আহ শব্দ অব্দি করলোনা।
কিনারা কামুড় বসিয়ে সাদিতের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো।
সাদিত কিনারা মাথাটা তুলে চোখ দুটো মুছিয়ে দিয়ে বলল এতো কেঁদো না বউ, তুমি কাঁদলে এখানে কষ্ট হয়।বলে বুকের দিকে আঙুল দেখালো।

মিথ্যা কথা আপনার কষ্ট হয়না আপনি একটুও আমাকে ভালোবাসেন না।আমি কি খুব বেশি আবদার করে ফেলেছিলাম।আপনি চাইলে আজ কাজ একটু কম করতে পারতেন।কিন্তু আপনি তা করেননি।আপনি ইচ্ছে করে বিকালে বাসায় আসেন নি।
তারপর সাদিত কিনারাকে সব খোলে বলল।কিনারা বুঝতে পারলো সাদিত কেন আসতে পারেনি।কিনারা মনে মনে নিজেকে বকাও দিলো,হঠাৎই কামুড়ের কথা মাথায় আসতেই কিনারা চটপট করে সাদিতের শার্টের বোতাম গুলো খোলে ফেলল।দেখলো ফর্সা বুকে কামুড়ের দাগটা রক্ত জমে কালচে হয়ে আছে।

কিনারা সাদিতের বুকে কামুড়ের জায়গায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল আই এম সো সরি সাদিত, আমি আসলে বুঝতে পারিনি এতোটা ক্ষত হয়ে যাবে, আসলে আমার রাগ হয়েছিলো অনেক আর রেগে কামুড়ে দেই।আমি জানিনা আমার কি হয়ে গিয়েছিলো,সাদিতের বুকে ওষুধ লাগাতে লাগাতে কাদঁছিলো আর আর কথাগুলো বলছিলো কিনারা।
সাদিত কিনারার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল ইটস্ ওকে কিনারা।আমি জানি তুমি ইচ্ছে করে করোনি,রাগের মাথায় করেছো।
চোখের পানি মুছতে মুছতে কিনারা বলল ইট’স নো ওকে,আমি আপনাকে আঘাত করেছি সাদিত এখন আমার নিজের উপরই রাগ হচ্ছে,আমি নিজেকে কোনোদিনই ক্ষমা করতে পারবোনা।আপনার উচিত আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার।
সাদিত কিনারাকে নিজের বুকে নিয়ে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।এভাবে বলেনা বউ শান্ত হও।

কিনারা তবুও শান্ত হতে পারলোনা।কিনারা ফুপিয়ে কেঁদেই চলেছে।সাদিত ওকে শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো।এই টুকুর জন্য এতো কষ্ট পেয়োনা।ওটা রাগের মাথায় হয়ে গেছে।কিনারা সাদিতের বুকে মুখ লুকালো। কিনারা একসময় শান্ত হয়ে গেলো।
সাদিত এক দৃষ্টিতে প্রেয়সীর দিকে তাকিয়ে আছে। কিনারা মাথা ঘুরিয়ে বলল এভাবে তাকিয়ে থাকতে আপনার বিরক্ত লাগেনা।
সাদিত মুচকি হাসি দিয়ে বলল তুমি যে আমাকে আপনি আপনি বলো এতে তোমার বিরক্ত লাগেনা।
কিসের মধ্যে কি।আপনাকে কিছু বললেই উল্টা পাল্টা উত্তর দেন এবার ছাড়ুন উঠবো আমি।
সাদিত কিনারাকে আরো শক্ত করে ধরে বলল কেন তুমি বলতে লজ্জা পাও বুঝি।
জানিনা তবে আপনাকে আপনি বলতেই আমার বেশি ভালো লাগে আর সারাজীবন আপনি বলে যাবো আর এখন ছাড়ুন আামাকে।
না আজ কোনো ছাড়াছাড়ি নেই,বলে কিনারার গলায় ঘাড়ে অগণিত চুমু খেতে লাগলো।
পাপা ও পাপাআআআ

সাদিত আর কিনারা দরজার দিকে তাকালো।কিনারা সাদিতকে কনুই মেরে বলল এবার তো ছাড়ুন নাকি মেয়ের সামনেই ছি ছি।
মাম্মা এদিকে এসো,কিনারাকে একহাতে জড়িয়ে।আর সূরা দৌড়ে ওর পাপার কোলে উঠে পাড়লো।পাপা তুমি কি করো মাম্মাম এর সাতে,মাম্মাকে ধরে আছো কেন।
সাদিত এক হাত দিয়ে সূরাকে ধরে অন্য হাত দিয়ে কিনারাকে ধরে বলল আসলে তোমার মাম্মামকে বকছিলাম, তোমাকে নাকি খাওয়ার সময় বকা দেয় শুধু।তাই বকে দিলাম তোমাকে আর বকবেনা।বলে কিনারার কোমড়ের এক সাইডে চাপ দেয়, কিনারা সঙ্গে সঙ্গে কড়া চোখে সাদিতের দিকে তাকায়।
কিন্তু সাদিত ডোন্ট কেয়ার ভাব নিলো।
সূরা ওর পাপার কথা শুনে খিলখিল করে হেসে দিলো মাম্মাম আমাকে আর বকবেনা।
সাদিত এবার সূরাকে বলল মা তোমার মাম্মাম হয়তো বকে দেওয়ার জন্য রাগ করেছে মন খারাপ করেছে চলো এখন আমরা তোমার মাম্মামকে আদর করি।

দ্যা বিউটি অফ লাভ পর্ব ২৬+২৭+২৮+২৯+৩০

সূরা হাততালি দিয়ে বলল হিহি আদর করবো মাম্মামকে।হাসি মুখে সাদিতকে প্রশ্ন করলো।
সাদিত মাথা নাড়তেই, সাদিত আর সূরা হামলে পড়লো কিনারার উপর। বাবা মেয়ে দুজনেই কিনারার সারা মুখে চুমু খেতে লাগলো।
এসব দেখে কিনারার চোখ দিয়ে আনন্দে পানি পড়তে থাকলো।
সূরা মুখ তুলে পাপার দিকে তাকালো।পাপা মাম্মাম কাঁদছে কেন।
সাদিত কিনারার কপালে চুুমু দিয়ে মেয়েকে বলল তোমার মা খুশিতে কাঁদছে,এই যে আমরা আদর করছি বলে।
কিনারা চোখ মুছে সাদিতের কথায় মাথা নাড়ালো।কিনারা তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল এই মানুষটার জন্য আজ আমি পরিপূর্ণ। একটা মেয়ের জীবনে আর কি লাগে সবই দিয়েছে এই মানুষ টা।আল্লাহ যেনো সারাজীবন এই মানুষগুলোর সাথেই রাখে।
মাম্মাম তুমি আর কেঁদো না।

সূরার কথায় কিনারার ঘোর ভাঙলো।কিনারা চোখ মুছে বলল কই মা কাঁদছি না তো।
সাদিত সূরাকে বলল৷ মা তোমার মাম্মামকে আর আমরা কাঁদতে দিবোনা।চলো আরও বেশি করে আদর করি।বলে মেয়ে আর বাবা চুমুর প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেনো।এর চাইতে রোমাঞ্চকর দৃশ্য আর কি হতে পারে।
এভাবেই ভালো থাকুক প্রতিটা পরিবার।যেখানো সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না,মান-অভিমান সব থাকবে।

সমাপ্ত