ধূসর রঙের রংধনু শেষ পর্ব 

ধূসর রঙের রংধনু শেষ পর্ব 
তাসনিম তামান্না

রুদ্র আর মাহতাব মুখোমুখি বসে আছে। মাহতাব জানে রুদ্র কি জিজ্ঞাসা করবে ও প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। এতোক্ষণ নিরবতা থাকলেও রুদ্র কফিতে চুমুক দিয়ে বলল
— মাহতাব সাহেব। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বলব
— হ্যাঁ। আর আমি সত্যিটাই বলব এখানে মিথ্যা বলার কিছু নেই
— সত্যিটা কি সেটাই বলুন

— সত্যি এটাই যে আমার স্ত্রী কনসিভ করার পর ওর কিছু সিন্ডম দেখা দেয় ৬ মাসের মাথায় বাচ্চা মিসকারেজ করে। আর ডক্টর বলে ছিল বাচ্চা নিলে আমার স্ত্রীর লাইফ রিক্স আছে। আর তারপর থেকেই আমার স্ত্রী ডিপ্রেশনে থাকত তাই ওকে নিয়ে রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়েছিলাম আর ওখানেই আমাট আমাকে না জানিয়ে অনাথ আশ্রমে চলে যায় আর জেদ ধরে মৃত্তিকাকে ও বাসায় নিয়ে যাবে। আমিও আর না করি না। বাবা ডাক শোনার লোভ আমারও ছিল কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে বা আমার স্ত্রীর লাইফ রিক্সের বিনিময়ে নয়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা মৃত্তিকাকে দত্তক নি আর এটা মৃত্তিকাকে কখনো জানতে দেয় নি।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রুদ্র বুঝতে পারছে এটা তার বাবার কাজ এতো নিকৃষ্ট এই লোকটা কোনো জঘন্য কাজ করতে হাত কাপে না। কিন্তু লোকটা ম’রে গিয়েও আমাদের কে শান্তি দেয় নি। না বলে গিয়েছে যে হৃদি বেঁচে আছে।
— মৃত্তিকার আসল নাম হৃদি। আই থিংক ওকে সবটা জানানো উচিত
মাহতাবের বুকের ভিতরে ভিষন কষ্ট হচ্ছে। মৃত্তিকা কি তাকে আর বাবা বলে ডাকবে না? ভুল বুঝে কি দূরে সরে যাবে?
— মৃত্তিকাকে আপনারা নিয়ে যাবেন?
রুদ্র হেসে বলল

— ওতো আপনাদের ও মেয়ে ও যেখানে থাকতে ইচ্ছে হয় থাকবে
মাহতাব রুদ্রের মুখে এমন আশ্চর্যজনক কথা শুনে অবাক না হয়ে পারলো না। কিন্তু পরমূহুর্তে কৌতূহলে প্রশ্ন করলো
— কিন্তু মৃত্তিকা ওখানে গেলো কীভাবে??
রুদ্র দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলতে শুরু করল

— বড় ভাই আর আমি মায়ের মতোই দেখতে কিন্তু আমাদের বাবা আলাদা। মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান আমি। একটা দূর্ঘটনায় মায়ের প্রথম স্বামী মারা যায়। মা’কে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় আমার বাবার সাথে। আমার বাবা ছিল আমার মায়ের এলাকার লম্প ট, বখা টে ছেলে সে-ই মায়ের প্রথম স্বামীকে মা রে এটা কেউ জানত না। বাবা আমার বড় ভাইকে সহ্য করতে পারত না।

এদিকে দিন যেতে লাগলো। আমি মায়ের গর্ভে আসলাম বাবা ভাইয়াকে অন্য জায়গায় পাঠাতে চেয়েছিল কি মা দেয় নি। বাবা সবটা সহ্য করে নিয়েছিল। কিন্তু মা-বাবার ঝগড়া হতো বাবার এমন বখাটেপনার জন্য বাবা বদলাতে থাকে কিন্তু ওটা লোক দেখানো ছিল বাবা কখনোই ভালো হয় নি সবার আড়ালে স্মাগলিক পাচার, কা লো টাকার ব্যবসা করত। এরই মধ্যে ভাইয়া বিয়ে করে নিপাকে আমি নিপাকে পছন্দ করতাম আগে ওকে আমি রাস্তায় দেখেছি ভাই ভেবে আমার সাথে কথা বলত কিন্তু কি বলত বুঝতাম না কিন্তু বুঝতে পারি বিয়ে করে আনার পর তখন আর কিছু করার ছিল না।

বাবাকে আমি সবটা শেয়ার করতাম বাবার এসব খারাপ কাজ সম্পর্কে আমার তখন বিন্দু মাত্র ধারণা নেই কিন্তু আমার ভাই পুলিশ হওয়ার সুবাদে সবটা জেনে গেছিল। বাবা ভাইয়াকে মে রে ফেলে তখন নিপাকে আমারকে বিয়ে করতে বাধ্য করে। মৃত্তিকা আমার ভাইয়ের মেয়ে। আমার আর নিপার জীবন পরিষ্কার করতে মৃত্তিকাকে বাবা অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দিল।

আমাদের এমন ভাবে সব প্রেজেন্ট করল যে মৃত্তিকা মা*রা গেছে। জানেন সেই সময়টা নিপা স্বামী সন্তান হারিয়ে কি অবস্থা হয়ে ছিল। সেই নিপাকে স্বাভাবিক করতে পুরো দু বছর লেগেছে। মৃত্তিকা চলে যাওয়ার ৪ বছরের মাথায় বাবার সব কুকৃত্তি ধরা পড়লো। মা এসব জানতে পেরে স্ট্রোক করে ১ মাসের মাথায় মা রা গেলো। বাবাকে ফাঁ সি দেওয়া হলো। চলে যাবার সময়ও একটিবারও শিকার করি নাই যে মৃত্তিকা বেঁচে আছে। লোকটা ম রে গিয়েও শান্তি দেয় নি।

এই এক সপ্তাহ মৃত্তিকা রোজ নিয়ম করে ফুয়ানকে ফোন করে জ্বালিয়ে মে রেছে। ফুয়ান প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও মৃত্তিকার বোকা বোকা কথা শুনতে শুনতে অভস্ত্য হয়ে গেছে। মনের কোণে ভালোলাগা সৃষ্টি হয়েছে ফুয়ানের অজান্তেই।
কিন্তু আজ দুইদিন মৃত্তিকা ফোন দিচ্ছে না ফুয়ানও ইগোর কারণে প্রথম দিন অপেক্ষা করলেও পরেও দিন ফোন দিয়ে দেখলো মৃত্তিকার ফোন বন্ধ। আজ তিনদিন এব্যাপারে ভাবীর কাছেও কিছু জিজ্ঞেসা করতে পারছে না লোকলজ্জা বলেও একটা কথা আছে না-কি।

মৃত্তিকা এন্ডিমশনের এক্সামের প্যারা শেষ করে ভাবলো আজ সারারাত মুভি দেখবে আর অনেক খাওয়া দাওয়া করবে। কিন্তু বাসায় এসে শুনলো কোন আত্মীয় আসবে তারজন্য বাসায় তোরজোর চলছে। মা-বাবার কোনো এক কারণে মন খারাপ। মৃত্তিকা ভেবেছে তার পরিক্ষার নিয়ে টেনশন করছে হয়ত তাই মৃত্তিকা বারবার অভয় দিয়ে বলছে ‘আমি এক্সাম ঠিকি দিয়েছি এতো টেনশন করো না চিল করো আমার মতো’

সন্ধ্যার একটু আগে একটা ছোট ছেলে, একজন পুরুষ ও মহিলা আসলো। মৃত্তিকা দরজা খুলে দিয়ে সালাম দিল। ওরা কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মৃত্তিকার মনে হলো এদেরকে কোথাও দেখেছে। কিন্তু ব্রেনে আসছে না কোথায় দেখেছে। সকলে বসে কথা শুরু হতেই মৃত্তিকা ওপরে যাচ্ছিল। তখনি মাহতাব বলল

— মৃত্তিকা কোথায় যাচ্ছো? এখানে আসো…
— এখানে আমি থেকে কি করব আব্বু
— আসো তোমার সাথে কথা আছে

মৃত্তিকা বুঝতে পারলো না ওর সাথে আবার এখানে কি কথা মৃত্তিকা সবার দিকে তাকিয়ে দেখলো কিন্তু মালিহাকে দেখতে না পেয়ে আশ্চর্য হলো কেনোনা আত্মীয় স্বজনরা আসলে সে-ই বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে কোনো কমতি পড়ে কি-না সেজন্য মৃত্তিকা এসব ভাবতে ভাবতে মাহতাবের পাশে গিয়ে বসলো। মাহতাব বলা শুরু করলো

— শোন মা আজ তোর জীবনের আশ্চর্য রকমের সত্যি তোকে জানাবো ঘাবড়াবি না আমি জানি তুই এমন কথা শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত নেই কিন্তু সত্যি টা যে তোকে একদিন না একদিন জানতেই হতো…
— তুমি কিসের সত্যির কথা বলছ আব্বু…
মাহতাব একটু সময় নিলেন কথাটা বলার জন্য মৃত্তিকা ও ধৈর্য্য নিয়ে অধির অগ্রহে কথাটা শোনার জন্য মাহতাবের দিকে তাকিয়ে রইলো

— তুমি আমাদের মেয়ে না-ও। তোমার সামনে বসে থাকা ওনারাই তোমার আসল বাবা-মা…
মৃত্তিকার অনুভূতিরা শূন্যে ভাসছে কি বলা বা করা উচিত কিছু বুঝতে পারছে না এই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে ২ মিনিটের মাথায় জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লো মাহতাবের বুকে। সকলে হন্তদন্ত হয়ে মৃত্তিকাকে সামলাতে ব্যস্ত।

মৃত্তিকার জ্ঞান ফিরতে দুই মা’কে তার পাশে দেখতে পেলো নিপা মৃত্তিকার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
— কেমন লাগছে মা? বেশি শরীর খারাপ লাগছে না-কি ডক্টর ডাকবো
মৃত্তিকা শান্ত কণ্ঠে বলল
— এতো ব্যস্ত হবে না।
মালিহা মৃত্তিকার দিকে তাকিয়ে ছিল কোনো কথা বলে নি। মৃত্তিকা তাকাতেই দুজনের চোখাচোখি হতেই মালিহা মাথা নিচু করে নিলো মৃত্তিকা বলল

— আম্মু কিছু খেতে দিবে? খুব খুদা লাগছে।
— হ্যাঁ কি খাবি বল? ভাত খাবি না-কি নুডলস না-কি অন্য কিছু?
— পাস্তা খেতে ইচ্ছে হচ্ছে
— দাড়া আমি আনছি
মালিহা যেতেই মৃত্তিকা উঠে বসে নিপার দিকে তাকিয়ে বলল

— আমি তোমাকে কি বলে ডাকবো?
— তোমার যেমন ইচ্ছে
— এটা আমার জীবনের বড় বদল সামলাতে একটু সময় লাগবে। আর হ্যাৃ আমি কিন্তু আমার আব্বু আম্মুকে ছাড়া একরাত বাইরে কাটাতে পারি না। এখনো ছোটদের মতো ওরা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়। ওদেরকে ছেড়ে আমি তোমাদের কাছে গিয়ে থাকতে পারব না

— রাতে না থাকতে পারো দিনে গিয়ে তোমার সময় করে থেকো না মানে তোমার ইচ্ছে…
— আচ্ছা আমি তোমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেলাম কীভাবে?
— তুমি সুস্থ হও আস্তে আস্তে সবটা জেনো
— হুম

নিরবতা কাটলো। নিপা বা মৃত্তিকা কেউ ই কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছে না। মৃত্তিকা উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে। ফোনটা অন করলো। সাথে সাথে এসএমএস ফোন এসে ফোন হ্যাং মেরে গেলো। নিপা মুগ্ধ চোখে মৃত্তিকা দিকে তাকিয়ে আছে। মৃত্তিকা সেটা দেখে হেসে বলল
— তোমাকে দেখে কিন্তু বোঝা যায় না আমার মতো এতো বড় একটা মেয়ে আছে। তোমার স্কিন টিপস্ বলত যদি এই পেত্নী মুখটাকে সুন্দর করতে পারি
নিপা অবাক না হয়ে পারছে না মেয়েটা কি সহজ ভাবে সবটা মেনে নিয়েছে কোনো অভিযোগ করছে না। নিপা বলল

— তুমি তো এমনিতেই সুন্দর
মৃত্তিকা উত্তর দিলো না ফোনের এসএমএস গুলো পড়ে হাসি পেলো খুব। ততক্ষণা ফোন লাগাতেই ওপাশ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ফোন ধরলো ফুয়ান।
— বাবাহ! কি ব্যাপার? এতো তারাতাড়ি ফোন ধরলেন এতোগুলা ফোন ম্যাসেজ ব্যাপারটা কি?
— কোথায় ছিলে তুমি? জানো কত টেনশনে ছিলাম?
— আমাকে মিস করেন নি?

ফুয়ান চুপ করে রইলো।
— আপনি কাল দেখা করতে পারবেন?
— কোথায় আসতে হবে?
মৃত্তিকা ফিক করে হেসে দিয়ে বলল
— তিনদিনে এতো চেজ্ঞ?
ফুয়ান এবার ও উত্তর দিলো না।

— টিএসসিতে আসবেন সকাল ১০ টা এখন রাখি
— এতো তারাতাড়ি ফোন কাটবে কেনো?
— কাল তো দেখা হচ্ছেই
নিপা বুঝতে পারলো না কার সাথে কথা বলল মৃত্তিকা। মৃত্তিকা বলল
— বলো তো কার সাথে কথা বললাম
— কার সাথে?

— আচ্ছা আগে বলো আমি যদি প্রেম করি তাহলে কি মানবে না?
নিপা তার্জ্জব বনে গেলো। নিজের মেয়ে তার সামনে প্রেমিকের সাথে কথা বলল একটু ভয় পেলো না? নিপা প্রশ্নটার উত্তর দিতে দেরি করলো। মৃত্তিকাও সময় দিয়ে উত্তর জানার জন্য বসে রইল
— ছেলে যদি ভালো হয় আর তোমাকে যদি সুখে রাখে তাহলে অবশ্যই মানব
মালিহা আসলো পাস্তা নিয়ে। সাথে দুই বাবা বাড়ির অনেকে আসলো। মালিহা পাস্তা চামচে করে মৃত্তিকার মুখে দিতেই মৃত্তিকা বাঁধা দিয়ে বলল

— তোমরা খেয়েছ?
কারোর মুখে কথা নেই। মৃত্তিকা চামচ থেকে পাস্তাটা খেয়ে বলল
— যাও খেয়ে নাও। আমি ঠিক আছি। আর একটু ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবো।
সবাইকে পাঠিয়ে দিয়ে খেয়ে শুয়ে ফোন হাতে নিতেই দেখলো ফুয়ানের ম্যাসেজ লেখা ‘কাল লাল শাড়ি পড়ে আসবে শুধু আমার জন্য’
মৃত্তিকার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।

~❝কিছু কিছু দূরত্ব বোধহয় ভালোর জন্য হয়। দূরত্ব না হলে মানুষ মানুষের মূল্য বুঝতে পারে না❞
মৃত্তিকা লাল শাড়ি, এলোমেলো খোঁপা চুলে, হাতে লাল কাঁচের চুড়ি, ঘামে সিক্ত রক্তিম মুখশ্রী নিয়ে কুঁচি ধরে দৌড়ে এসে ফুয়ানের সামনে দাঁড়িয়ে বলল
— ওপস সরি সরি দেরি হয়ে গেলো না আসলে…
ফুয়ান মৃত্তিকার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে থামিয়ে বলল

— হুসস বকবকরাণী তোমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষায় থাকতে পারি
মৃত্তিকার খেয়াল হলো ফুয়ান সাদা পাঞ্জাবি পড়ে এসেছে। পবিত্র সুপুরুষ লাগছে। চোখ সরানো বড় দা হয়ে পড়েছে। মৃত্তিকা মুখ থেকে ফুয়ানের হাত সরিয়ে বলল

— এতো সুন্দর হতে কে বলেছে আপনাকে? ছেলেদের এতো সুন্দর হতে নেয়।
— প্রথম শাড়ি পড়লে না? শুধু আমার জন্য!
— হুম। কেনো শাড়ি পড়ে আসতে বলছিলেন?
— বুঝো না তুমি?
— না কি বুঝবো?
— একটা ছেলে একটা মেয়েকে কখন শাড়ি পড়ে আসতে বলে?
— কখন?

ফুয়ান হতাশ নিঃশ্বাস ছেড়লো। এও বুঝতে পারল মৃত্তিকা সব জেনেও ওর মুখ থেকে কথাটা বের করতে চাইছে বলল
— তোমাকে জানতে হবে না। তুমি এখনো বাচ্চা কি-না বড় হও শিখে যাবে
— আপনি চাইলে এই বাচ্চাই আপনাকে বাচ্চা দিয়ে বাবা ডাক শোনাতে পারে

মৃত্তিকা কথাটা বলে চোখ টিপ মারলো। ফুয়ানের কাশি উঠে গেলো। ফুয়ান নিজেকে সামলিয়ে বলল
— আমার সাথে সংসার করতে গেলে অন্য সামনে বেফাঁস কথা বললে তোমাকে আমি আস্ত রাখব না ফাজিল।
— ফাজিলের হবু জামাই।
ফুয়ান না হেসে পরলো না।

সমাপ্ত

[আসসালামু আলাইকুম। অনেক দিন পর গল্প দিলাম তাও অপ্রত্যাশিত শেষ পর্ব। জানি এই গল্পটা নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ।কিন্তু কিছু ই বলার নাই এতো দেরিতে দেওয়া কারণ আমি কিছু সমস্যায় পড়ছিলাম। আর সামনেও অনেক গ্যাপ পড়বে সেজন্য শেষ করে দিলাম। যার যা অভিযোগ বা আমার কোথায় কিভাবে ভুল হয়েছে কমেন্টে লিখে দিবেন আমি দেখবো সংশোধন করার চেষ্টা করবো। নতুন বছরে বেঁচে থাকলে নতুন গল্প আনব ইনশাআল্লাহ]

ধূসর রঙের রংধনু পর্ব ১৪