পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৪

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৪
মম সাহা

প্রকৃতি অন্ধকার করা সন্ধ্যা বেলাতে আর যা-ই হোক বন বাদাড়ে থাকা মঙ্গলজনক না সেটা দর্শিনী বেশ ভালোই জানে। ভারী পেট নিয়ে তাই সে উঠে দাঁড়ালো। গাড়ো গোলাপি রঙের শাড়িটার আঁচল টেনে পিঠে জড়িয়ে নিলো। আঁচলের কোণায় একটা দেশলাইয়ের বাক্স বাঁধা দেখে সে কিঞ্চিৎ হাসলো। আজকাল মা সবসময় তার আঁচলে এসব গুঁজে দেয় বা বেঁধে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্যই নাকি এ ব্যবস্থা। দর্শিনী নিষেধ করে না। থাকুক,কিছু কুসংস্কার মানতেও ভালো লাগে। এর মাধ্যমে কাছের মানুষ গুলোর উৎকণ্ঠা মাখানো ভালোবাসা তো অন্তত দেখা যায়।

ধীর পায়ে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ঘাটের উপরে উঠে এলো সে। চারদিকে গা ছম ছম করা শীতলতা। সন্ধ্যার পর শীতল হয়ে যায় সবটা। পুকুর পাড়ের পূর্ব দিক থেকে কিছু জংলী ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে। খারাপ লাগছে না গন্ধটা। পায়ের নিচে নরম নরম ঘাস গুলো জুতার উপর দিয়েও শিরশির অনুভূতি দিচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সারাদিন পেটে তার কিছুটি পড়ে নি। সেই যে মুখ ভার করে সকালের দিকে ঘর থেকে বেরিয়েছে এ অব্দি ঘরে যায় নি সে। ফোনে সবারই মিসড কল ভেসে উঠেছে। এগুলো ঠিক মিসড্ কল বলা চলে না। সবার উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশও বলা যায়। সবার উপরে তাই বাবার নামটা ভেসে আছে। গুণে গুণে তেইশটা কল দেখাচ্ছে বাবার নামটার পাশে। বাবার নামটার নিচেই মৃত্যুঞ্জয় এর নামটা ভেসে উঠেছে। সে একুশটা কল দিয়েছে। বাবার পর সব জায়গাতেই যেন হুট করে এ মানুষটা জুড়ে যাচ্ছে। দর্শিনীকে আগলে রাখছে। কিন্তু এত এত আয়োজন! সব তো মিছে অনুভূতি। এরপর বড়দা,ছোটদা,ছোটবৌদি সবারই কল আছে। নানান রকমের জল্পনা কল্পনা করতে করতে বাড়ির পথে এগিয়ে গেলো সে। মিনিট সতেরো পেরুতেই বাড়ির উঠানে এসে পৌঁছুলো। এই শরীর নিয়ে পিপীলিকার মতন হাঁটতে হয় বলে এতক্ষণ লেগেছে, নাহয় ছয় সাত মিনিটের পথ।

বাড়ির মাঝ উঠান বরাবর সৌরবিদ্যুৎ এর লাইট জ্বলছে। আর বাড়ির মেইন দরজার কোণায় হারিকেন রাখা। লাইট থাকা স্বত্বেও হারিকেন রাখাটা বাকি সবার কাছে আশ্চর্যজনক হলেও গ্রামবাসীদের কাছে যে বাঁধা ধরা নিয়ম এটা। তারা মনে করে, বাড়ির মেইন গেইটের সামনে একটু আগুন থাকলে বাড়িতে ভূত প্রেত কম প্রবেশ করে। অশুভ ছায়াও আসে না।

হারিকেনটাকে পাশ কাটিয়ে দর্শিনী বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো। উঠোনের দিকে ভালো করে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই সে অবাক হলো আকাশসম। বাড়ির উঠোনে কত মানুষ! বাবা-মা,বড়দা,ছোটদা,বড়বৌদি,ছোটবৌদি,ধৃষ্ট,দৃষ্টান্ত,মৃত্যুঞ্জয়, ছোট কাকী, জেঠু, জেঠিমা, মেঝো কাকী। বাবা, জেঠু ওরা কাঠের চেয়ারে বসা। কাকীরা বেতের মোড়াতে বসে আছে। মা আর নিপা বৌদি উঠনের কোণায় জারুল গাছটার নিচে বসা। বাড়ির প্রতিটি ঘরেই আলো জ্বলছে। দৃষ্টান্ত দাঁড়িয়ে আছে ধৃষ্টের গলা ধরে। মাঝে মাঝে ধৃষ্টের করা প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছে। আর মৃত্যুঞ্জয় পায়চারী করছে।

পড়নের সাদা শার্টটা পিঠের জায়গা দিয়ে ঘামে ভিজে পিঠেই লেপ্টে আছে। চুল গুলো কপালের উপর এলোমেলো করে পড়া। হাতে কালো একটা ঘড়ি। সাথে কালো প্যান্ট। একদম জেন্টালম্যান লুক। কিন্তু চেহারার মাঝে দুশ্চিন্তার ছাপ। বার বার ফোনে কাকে যেন কল দিচ্ছে। দর্শিনী কিছু একটা ভেবে নিজের ফোনের দিকে তাকালো। হ্যাঁ, সে ভুল ভাবে নি। মৃত্যুঞ্জয় তাকেই কল দিচ্ছে। কলটা নিশব্দে হাতের মুঠে অনবরত বাজতে বাজতে কেটে গেলো। এবার নোটিফিকেশনে বাবার নামের আগে আরেকটা নাম যুক্ত হলো, মৃত্যুঞ্জয়। দর্শিনী হাসলো,বাবার চেয়েও উদ্বেগ হওয়ার মানুষ তবে এলো!

দর্শিনীকে দেখে যেন উপস্থিত বেশ কয়েকজনের আত্মায় পানি এলো। প্রতাপ সাহা চেয়ার থেকে উঠে মেয়ের দিকে এগিয়ে এলো। মৃত্যুঞ্জয়ও দ্রুত এগিয়ে এলো।
“তোমায় আমি যথেষ্ট বিবেকবান ভেবেছিলাম, মা। কিন্তু তুমি কী করলে এটা? কোথায় ছিলে সারাটা দিন? এসবের অর্থ কী, মা?”
প্রতাপ সাহার প্রশ্নের বিপরীতে দর্শিনী কেবল মাথা নত করে ফেললো। এ বাড়িতে থাকতে আজকাল তার লজ্জা করে। রোজ রোজ তার জন্য ঝগড়া, অশান্তি হয়। এটা কোনো মেয়ের কাছে বা কোনো মানুষের কাছেই সম্মানজনক না।

“প্রতাপ,তুই সবসময় তোর মেয়েকে আশকারা দিয়ে এসেছিস,যার জন্য আজ তোর মেয়ে এমন অবাধ্য, উশৃংখল হয়েছে। এখন অন্তত তোর শাসন করা প্রয়োজন ছিলো, অথচ তুই মাখনের মতন আচরণ করছিস! অদ্ভুত!”
আজ নিজের জেঠুর কথাও দর্শিনীর কাছে ঠিক মনে হচ্ছে। সত্যিই, বাবা তাকে শাসন করে নি এ জীবনে। তাই হয়তো এমন হয়ে গেছে জীবনটা। এত এলোমেলো!
“বড়দা,কিছু মনে করবেন না, শাসন তো আপনারও করা উচিৎ ছিলো আপনার বড় মেয়ে মিতুলকে। স্বামী, সংসার, দু বছরের ছেলেকে রেখে অন্য কারো হাত ধরে পালানোর কথা তাহলে আর তার মাথায় আসতো না। মিথুন অবশ্য ভালো ছেলে তাই তাকে নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনার মিতুল তো অবাধ্য সন্তান হয়েছেই।”

ছোট ভাইয়ের বউয়ের কথায় দাঁত কিড়মিড় করে উঠে প্রতাপ সাহার বড় ভাই আনন্দলাল সাহা। আঙ্গুল উঁচিয়ে শাসানোর স্বরে বলে,
“ছোট বউ,বেশি বড় বড় কথা বলো না। বিধবা মেয়েমানুষের এত তেজ আসে কোথা থেকে! যত্তসব। আমার ভাইটার আত্মাও শান্তি পাবে না তোমার বেলাল্লাপনার জন্য।”

“কথা তো বলা শুরুই করি নি। শুরু করলে মুখ লুকানোর জায়গা পাবেন না, দাদা। আমার স্বামী আমার জন্য না হলেও আপনাদের আচরণ দেখে যে শান্তি পাবে না সেটা নিশ্চিত। আপনাদেরই তো রক্তের ভাই ছিলো। মানুষটা মারা যেতেই তার সম্পত্তির জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন। আমাকে আর আমার ছোট বাচ্চাটাকে টিকতে দেন নি। আরও কিছু বলবো নাকি এ টুকুই হবে?”

আনন্দমোহন নিজের স্ত্রীর উদ্দেশ্যে হাঁক ছাড়লেন, “গিন্নি, এখান থেকে চলো। দিন দিন মেয়ে ছেলে বেশরম হচ্ছে। এদের সাথে কথা বলাও যেন দায় হয়ে গেছে। সেধে সেধে ঝাঁটার বাড়ি খেতে আসছি। আমার তো খারাপ লাগে এ বাড়ির বৌদের জন্য। বেচারি রা ননদের জ্বালায় ভালো করে হয়তো সংসার করতে পারছে না।”
“আসেন কেনো জেঠা মশাই সেধে সেধে? আপনাদের কেউ আসতে বলে?”
দর্শিনীর শীতল প্রশ্নে তাজ্জব বনে গেলো সব। মেঝো কাকী ছি ছি করে বলে উঠলো,

“ডিভোর্সি মেয়েছেলের এত মুখ চালানো শোভা পায়? ছি।”
দর্শিনীকে বিক্ষিপ্ত করার জন্য এ কথা নামক ছুড়িই যেন যথেষ্ট ছিলো। হঠাৎ করেই সে চুপ হয়ে গেলো। আশপাশ হাতরেও যেন কথা পেলো না বলার মতন। মৃত্যুঞ্জয় শক্ত কণ্ঠে জবাব দেওয়ার আগেই ছোট ধৃষ্টের মোলায়েম কণ্ঠ ভেসে এলো,
“ডিভোর্সি কী গো? আমার বন্ধুরা আমার সাথে মিশে না। আমার পিসিমনি নাকি খারাপ। সংসার ছাড়া মেয়ে। এসব বলে ওরা আমাকে অনেক ক্ষ্যাপায় জানো। আমার খুব লজ্জা লাগে ওদের কথা শুনে। ওরা যে আমার সাথে খেলে না তাই কষ্টও লাগে। পিসিমনি,তুমি চলে যাও না পিসেমশায়ের কাছে। তোমার জন্য আমার বন্ধুরা আমাকে লজ্জা দেয়।”

বিশাল আকারের বজ্রপাত যেন হলো উঠানে। আট বছরের একটা বাচ্চার মুখে এসব কথা কতটা অবিশ্বাস্যকর সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সবাই ই বাচ্চাটার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছে। বাচ্চাটা না বুঝে যে কী বলে ফেলছে তা ধারণার বাহিরে।
সবাই যখন ধৃষ্টকে দেখতে ব্যস্ত তখন মৃত্যুঞ্জয় ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলো দর্শিনীর দিকে। সে জানে,এই মেয়েটা এত বড় একটা কথা হজম করতে পারবে না কখনো। মৃত্যুঞ্জয়ের গলা শুকিয়ে যায়।

দর্শিনী কতক্ষণ তাজ্জব বনে ধৃষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। সমাজে, বাড়ির মানুষ তাকে ছাড় দিবে না ঠিক আছে কিন্তু এতটুকু একটা বাচ্চাও তার দুর্বলতা দেখিয়ে দিলো? সে কতটা নিচ সেটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো?
নিধি ছুটে এসে ছেলের গালে চড় থাপ্পড় মারা শুরু করে। ঘটনার আকষ্মিকতায় সবাই হতভম্ব। দৃষ্টান্ত ধৃষ্টের পাশে ছিলো বলে তাড়াতাড়ি সে নিধির হাত ধরে ফেলে। ধৃষ্টকে তার পিঠের পিছনে লুকিয়ে ফেলে। নিধির রাগে শরীর যেন থরথর করে কাঁপছে। ছেলের কান টেনে রাগী কন্ঠে বলে,

“বাহির থেকে এসব শিখে আসিস। তোকে বলেছি না এসব কাউকে বলতে না? তাহলে বললি কেনো জা*নো*য়া*র। আমি তো এদের চোখের বিষ হয়েছি এখন কী তুই ও হবি?”
নিধির শাসন করে বলা কথা গুলো যেন ধৃষ্টের পক্ষেই রইলো। আকারে ইঙ্গিতে যেন বুঝালো ধৃষ্ট কাজটা ঠিক করেছে।
ধৃষ্ট মায়ের মার খেয়ে কেঁদে কেটে অস্থির। ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতে কাঁদতে দর্শিনীকে অভিযোগের স্বরে বললো,

“পিসিমণি,জানো মা ঘরে বলেছে তুমি নাকি অভিশাপ।মরে গেলে সবার মঙ্গল।”
ধৃষ্টের বলা প্রতিটা কথা যেন একেকটা বোমার মতন ব্লাস্ট করছে। দর্শিনী তাজ্জব বনে নিজের পরিবারের সদস্য গুলোর দিকে চোখ বুলালো। নিধি ততক্ষণে মুখে আঁচল চেপে ছেলেকে নিয়ে ঘরে ছুটে গিয়েছে। দর্শিনীর জেঠু সুযোগ পেয়ে আরও কয়েকটা বাক্য ব্যয় করে বাড়ির দিকে হাঁটা দিয়েছে। তার পিছে জেঠিমা আর মোঝো কাকীও চলে গিয়েছে। পুরো বাড়িতে পাথরের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে গুটি কয়েকজন। দর্শিনী,নিপা,ছোটদা,বড়দা,প্রতাপ,মৃত্যুঞ্জয়,দৃষ্টান্ত,ছোট কাকী আর মা।

দর্শিনী ধীর গতিতে ঘরের দিকে অগ্রসর হতে নিলেই প্রতাপ সাহা মেয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। নিশ্চুপে জড়িয়ে নেয় মেয়েকে বুকের মাঝে যেন সমাজের সমস্ত কথার তীর থেকে সে মেয়েকে এভাবেই বাঁচিয়ে ফেলবে।
বাবার বুকে নিষ্প্রাণ লেপ্টে থেকে দর্শিনীর নির্লিপ্ত কণ্ঠ ভেসে এলো,
“আমি অভিশাপ না, তাই না বাবা? আমি তো আশীর্বাদ তাই না? তুমি না বলো,মেয়ে হলো বাবা-মায়ের আশীর্বাদ। আমিও তো তাহলে তোমার আশীর্বাদ তাই না?”

প্রতাপ সাহা আজ কাঁদলেন। দু’চোখের নিরব অশ্রু বিসর্জন দিয়ে প্রকাশ করলেন নিজের হাহাকার, অসহায়ত্ব। বাবা হিসেবে আজ সে ব্যর্থ। তার ব্যর্থতা যেন আকাশ বাতাসকে কাঁপিয়ে তুলেছে। হুমায়ুন আহমেদ হয়তো এ জন্যই বলেছে,”পৃথিবীতে হয়তো অনেক খারাপ পুরুষ আছে কিন্তু একটাও খারাপ বাবা নেই।”

তীব্র ফিনাইলের গন্ধে মাথায় ভোঁতা অনুভূতিরা চুপসে আছে। মায়াকে ইমার্জেন্সি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। মেয়েটার মুখ কেমন ফ্যাকাসে বর্ণ ধারণ করেছে ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে।

ওয়েটিং রুমে পায়চারী করছে বিহঙ্গিনী, বিপ্রতীপ, হৈমন্ত,মোহনা,নিলয় কুমার। মায়া যখন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারালো তখন সবকিছু ভুলে বাড়ির মানুষ গুলো তাকে নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছিলো। মায়াকে পাঁজাকোলে করে বাড়ির বাইরে আসতেই হৈমন্তের চোখে পড়ে। হৈমন্ত নিজের গাড়িতে উঠিয়ে তাদের হসপিটালে নিয়ে আসে। ভয়ে তার কলিজা শুকাচ্ছে। মেয়েটা কয়েকদিন প্রচুর ভয় পেতো নিজের জীবন নিয়ে, হৈমন্ত বার বার সাহস দিয়ে এসেছে অথচ আজ মেয়েটার এ অবস্থা! এটা কী ঐ মহিলারই কারসাজি? মহিলাকে তত উৎকণ্ঠিত দেখা যাচ্ছে না আবার খুশিই লাগছে না। আপাতত মোহনাকে বুঝা পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৩

বিপ্রতীপ উপায় পেলো না। নিজেকে কেমন ছন্নছাড়া লাগছে। সকালে চাকরি চলে গেলো, এখন মায়ার এ অবস্থা। তার এখন কাউকে প্রয়োজন। ভাবতে ভাবতেই রাত বারোটার উপর কাটা পৌঁছুতেই ফোন লাগালো সে। অপরপাশ থেকে ফোন রিসিভ হতেই দুনিয়ায় অসহায়ত্ব নিজের কণ্ঠে ঢেলে দিয়ে বিষণ্ণ কণ্ঠে বললো,
“শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী। আই নিড ইউ।”

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৫