পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৮

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৮
মম সাহা

ঝলমলে রৌদ্দুর মাখা ভোর। পাখির কিচিরমিচির শব্দের সাথে যান্ত্রিক শব্দ ভেসে আসছে। মায়ার শক্তপোক্ত ঘুমটা হালকা হয়ে এলো অনবরত শব্দে। বিরক্তে খানিক চোখমুখ কুঁচকে গেলো। অলস ঘুম কাটিয়ে ক্লান্ত শরীরটা টেনে উঠে দাঁড়ালো মায়া। সারা রাত সে খুঁজে বেরিয়েছে রহস্যের ঘনঘটা। শাশুড়ির কথার মানেও তার বোধগম্য হয় নি। বরং মনে হচ্ছে বারবার জড়িয়ে পড়ছে রহস্যের বেড়াজালে।
কলিং বেল আবারও বেজে উঠলো। মায়া ঘুম ঘুম চোখে দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালো। মাত্র সাড়ে পাঁচটা বাজে। এত ভোরে কে আসতে পারে ভেবেই অবাক হলো মায়া। আঁচলটা ঠিক করে ছুট লাগালো দরজার দিকে। মেইন গেইট খুলতেই বিষ্ময়ে হা হয়ে গেলো মায়া। তার চোখে মুখেও সেই বিস্ময়ের ছোঁয়া খেয়াল করা গেলো। বিস্মিত, হতভম্ব হয়েই মায়া প্রশ্ন ছুঁড়লো,

“সই, তুমি! এত সকালে!”
দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শিনী মায়ার দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসি দিলো। আঁচল টেনে নিজের গলায় জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘামের রাশি গুলো মুছে মিষ্টি কণ্ঠে বললো,
“কি গো সই, ভিতরে আসতে বলবে না? কতক্ষণ যাবত বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি সে খেয়াল আছে?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মায়ার দৃষ্টিভ্রম কাটলো। দরজা ছেঁড়ে দাঁড়িয়ে ব্যতিব্যস্ত কণ্ঠে বললো,
“হ্যাঁ, হ্যাঁ আসো ভিতরে। এত ভোরে তোমাকে এখানে দেখে আমি এক মুহূর্তের জন্য স্বপ্ন ভেবেছিলাম। আসো ভিতরে। ইশ, কী ঘামছো তুমি। আসো, সোফায় বসলে ঠান্ডা লাগবে ফ্যান চালিয়ে দিলে।”

দর্শিনী তার হাতের ছোট ব্যাগটা নিয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে বসলো। কত গুলো দিন পর আবার সে পুরোনো সংসারটায় ফিরলো? নিজের নিজের করে এ সংসারটাকে কত যত্ন করে গড়ে ছিলো! আজ সে সংসারে কিছুক্ষণের অতিথি সে। ভাবা যায় সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কি মহিমা! অবশ্য এ সংসারে এখন অতিথি হিসেবেই তাকে বেশ মানাচ্ছে। সংসারটাকে আপন করতে গিয়ে কম কষ্ট তো সহ্য করে নি সে, তবে আজ প্রাপ্তির খাতায় কেনো জ্বলজ্বল করছে শূণ্যতা? ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের জন্য!

দর্শিনীর ভাবনার মাঝে স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসে করে এক গ্লাস জল তার দিকে এগিয়ে দিলো মায়া। দর্শিনী কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে জলটা নিয়ে একদমে খেয়ে নিলো। এই জলটার খুব প্রয়োজন ছিলো তার। সারারাত এতটা জার্নির পর তার একটু বিশ্রামেরও প্রয়োজন।
মায়াকে নিজের দিকে নিরলস তাকিয়ে থাকতে দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলো দর্শিনী। ঠাট্টার স্বরে বললো,
“ভয় পেয়ো না, সই, তোমার সংসারে ভাগ বসাতে আসি নি।”
দর্শিনীর ঠাট্টায় কিঞ্চিৎ লজ্জা পেলো মায়া। মাথা নুইয়ে লজ্জামিশ্রিত কণ্ঠে বললো,
“আরে না সই,ভয় পাচ্ছি না। কেবল অবাক হলাম তোমাকে এত সকালে এখানে দেখে।”

“তোমাদের রহস্যের সমাধান করতেই এখানে এসেছি। আমার মনে হয়েছে এখানে না এলে আমাদের গোলকধাঁধায় আটকে থাকতে হবে সারা জীবন। অনেক কিছু জানার বাকি আছে যে।”
“রহস্যের কোনো কূলকিনারা পেলে? সমাধান কীভাবে করবে তাহলে?”
দর্শিনী রহস্যমাখা হাসি ফিরিয়ে দিলো মায়ার প্রশ্নের উত্তরে। মায়া দর্শিনীর পাশে নিবিড় হয়ে বসলো। অনেকদিনের জমিয়ে রাখা অপরাধবোধটাকে যেন উজাড় করার সুযোগ হয়েছে আজ। দর্শিনীর হাতটা সে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বেশ শীতল আর লজ্জিত কণ্ঠে বললো,

“তুমি চাইলে ফিরে আসতে পারো, সই। এই সংসারে আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে। হয়তো আর কয়েকটা দিন আমি আছি এখানে। আর আমার স্বামী সংসারের কোনো প্রয়োজন নেই কিন্তু তোমার আছে। যে ছোট শিশুটা আসতে চলছে তার বাবার প্রয়োজন আছে। তুমি কী ফিরে আসবে?”
দর্শিনীর হাসি হাসি চেহারা টা মুহূর্তেয় ঘন কালো আঁধারে পরিপূর্ণ হলো। সে বিরক্ত চোখে তাকালো মায়ার দিকে। মায়ার দৃষ্টি উদাস, চোখমুখে বিষণ্নতার ছাপ। অতঃপর দর্শিনীর জেগে উঠা বিরক্তিটা মুহূর্তেই আবার নিভে গেলো। তার ডান হাত আঁকড়ে রাখা মায়ার দুই হাতের উপর নিজের বা’হাতটা রাখলো সে। ছোট্ট, ধীর,শীতল কণ্ঠে বললো,

“ভেঙে যাওয়া সংসারে, ছেঁড়ে আসা অতীতে ফিরে গিয়ে কী আর হবে? বড়জোর দালান-কোঠা, ইট-সিমেন্ট ই আমার পরিচিত রবে। বদলে যাবে সবটা। যেই ঘরটাতে একসময় আমার আধিপত্য ছিলো, সে ঘরটায় পাবো অন্য কারো শরীরের ঘ্রাণ। যে আলমারীতে আমি নিজের শাড়ি ছাড়া অন্য কারো কাপড় রাখতে দিতাম না, সে আলমারী খানায় দেখবো অন্য কারো রঙ বেরঙের কাপড়। এই বাড়ির আঙিনায় থাকবে অন্য কারো হাসির ঝংকার, মুছে গেছে আমার আগের স্মৃতি গুলো। আপন মানুষ গুলোও আমাকে ছাঁড়া ঠিক ভালো থাকতে শিখে গেছে।

এই সংসারে ফিরেও বা কী হবে বলো? যে সংসারে সবচেয়ে বড় সম্পদ স্বামী, তারই হৃৎপিণ্ডে যখন অন্য কারো বসবাস! আমি বিহীন আমার সংসার কখনো হবে? এ সংসারে হয়তো সব পাবো কিন্তু নিজের অস্তিত্ব পাবো না। নিজেকেই যেখানে খুঁজে পাবো না, সেখানে ফিরে আদৌও লাভ আছে? এ সংসারে ফিরে এলে বরং আমার শূণ্যতার হাহাকার বাড়বে। আরও গুটিকয়েক কষ্ট বাড়বে। হয়তো বেঁচে থাকার ইচ্ছে ফুরাবে। নিজেকে না পাওয়ার শূণ্যতা হলো বড় শূণ্যতা, সে শূণ্যতা নিয়ে ভেঙে যাওয়া সংসার আর জোরা লাগবে না।

মানুষ সব জায়গায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়ায়। মানুষ চায় সে যেখানেই থাকুক তার অস্তিত্ব যেন সর্বত্র বিরাজিত থাকে। অথচ গোটা একটা সংসারে আমার অস্তিত্ব থাকবে না কিন্তু আমি নিজের সংসার বলে চালিয়ে নিবো এটা কখনো সম্ভব! তুমিই বরং থেকে যাও এ সংসারে। তোমার হয়তো স্বামী সংসারের প্রয়োজন নেই কিন্তু তোমার নিশ্চুপ একটা অস্তিত্ব আছে এখানে যেটাকে আঁকড়ে ধরে তুমি থেকে যেতে পারবে নির্দ্বিধায়। গোটা একটা সংসারে তোমার অস্তিত্ব, একটা নারীর আর কী চাই?”

মায়া চুপ করে দর্শিনীর সবটা কথা শুনলো। দর্শিনীর কথা গুলোর বিপরীতে ঠিক কী উত্তর দিবে বা কী কথা বলবে সেটা বোধগম্য হলো না তার। বরং নিজের অপরাধবোধটা কিঞ্চিৎ বাড়লো। দর্শিনীর কথা গুলোর ভিতরে এখনও যে না পাওয়ার কত বীভৎস হাহাকার ভেসে বেড়াচ্ছে সেটা আর বুঝতে বাকি রইলো না মায়ার।
দুজনের নিরবতার মাঝে তৃতীয় ব্যাক্তির অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেলো। তৃতীয় ব্যাক্তিটি ঘুম ঘুম চোখে বেশ অবাক হয়ে বললো,
“বৌমা,তুমি এখানে!”
মায়া আর দর্শিনী উভয়েরই ধ্যান ভাঙলো। কণ্ঠের অধিকারী’র দিকে তাকিয়ে ঈষৎ হাসলো দর্শিনী। কপট ঠাট্টার স্বরে বললো,
“কেনো? আসতে পারি না বুঝি!”
দর্শিনীর হাসি মুখ আর ঠাট্টার কণ্ঠ শুনে সামান্য ভড়কালো মোহনা। নিজের ইয়া বিশাল মোটা চুলের মাঝে খোপা করতে করতে দর্শিনীর দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
“আসতে পারবে না কেনো,অবশ্যই আসতে পারো। তবে, আসার কথা তো ছিলো না কখনো।”

মোহনা বেশ বিচক্ষণ মহিলা। সে যে এমন উত্তরই দিবে সেটা জানা ছিলো দর্শিনীর। তাই মোহনার উত্তরের বিপরীতে এক গাল হেসে বললো,
“কথা তো অনেক কিছুরই ছিলো না। আমার এ বাড়ি ছাড়ার কথা ছিলো না, আমার সন্তানের বাবার পরিচয় ছাড়া বড় হওয়ার কথা ছিলো না, না আমার এত অপমান সহ্য করার কথা ছিলো তবুও তো হয়েছে এগুলো। তাই এটাও হলো। আপনি কী এর জন্য খুশি হন নি?”
“অখুশি হওয়ার যেহেতু কারণ নেই তাই খুশি হলাম। তা এত সকালে যে?”
“একটা জরুরী কাজে এসেছিলাম। আজকের দিনটা থাকা দরকার এইখানে তাই আপনাদের বাড়ি আসলাম। থাকতে দিবেন কী?”
মোহনা কেবল ঘাড় কাত করে চলে গেলো আবার নিজের ঘরে। দর্শিনী মায়ার দিকে ঘুরে বসে একে একে প্রশ্ন শুরু করে দিলো। তার অনেক কিছু জানতে হবে।

সকালে আবহাওয়া যতটা উত্তপ্ত ছিলো,দুপুর হতেই সবটা ঝিমিয়ে গেছে। ভর সন্ধ্যা বেলার আকাশে ছড়ানো ছিটানো মেঘের আভাস। কৃষ্ণ কালো মেঘে সজ্জিত প্রকৃতি। মায়া আর দর্শিনী আজ একসাথে চিলেকোঠার ঘরে দাঁড়ানো। প্রত্যেকের ভিতরে অনাকাঙ্খিত উত্তেজনা। কিছু লুকায়িত রহস্য। তারা কেবল একটা জিনিসই জানে, মোহনা অনেক গুলো খু*ন করেছে আরও একটা করার কথা চিন্তা ভাবনা করছে।

মায়া চিলেকোঠার ঘরটাতে আরেকবার তল্লাশি চালালো। দর্শিনী বাতিল, পরিত্যক্ত খাটতাতে বসে রইলো নিশ্চুপ। মায়াই তাকে নড়াচড়া করতে না করেছে। চিলেকোঠার ঘর বড্ড অপরিষ্কার। দর্শিনীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে।
খুঁজতে খুঁজতে মায়া আবার আলমারি থেকে সেই বহু পুরানো জামাটা বের করলো। দর্শিনীর দিকে মেলে ধরলো জামাখানা। দর্শিনী ভ্রুকুঞ্চিন করে কিঞ্চিৎ অবাক কণ্ঠে বললো,
“এটা কার জামা? বেশ পুরানো তো। ফর্মাল জামা, কোনো স্কুল ড্রেস হবে তাই না!”
মায়াও ভালো করে দৃষ্টি দিলো। জামাটার এদিক-ওদিক দিয়ে বেশ ছেঁড়া। দর্শিনী নিজের ভারী পেটতাতে হাত দিয়ে উঠে এলো। জামাটা নিজের হাতে নিয়ে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বললো,

“জামাটা বোধহয় ধস্তাধস্তি করার সময় ছিঁড়েছে। যদি ধরি বিহুর জামা, তাহলে এতটা ধস্তাধস্তির চিহ্ন কেনো! বিহুর সাথে কী খুব বাজে কিছু হয়েছিলো!”
মায়া কতক্ষণ জামাটার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার চোখে ভেসে এলো আবছা অতীত। দুই বেণী করা এক সদ্য বয়ঃসন্ধির কিশোরী। যার শরীরে সবুজ রাঙা স্কুল ড্রেস, কাঁধে ব্যাগ। খিল খিল করে সেই কিশোরী হাসছে। হ্যাঁ জামাটার সাথে পরিচিত মায়া। সে হঠাৎ অস্ফুটস্বরে বললো,
“এটা, এটা আমার দিভাইয়ের জামা।”
দর্শিনী অবাক কণ্ঠে বললো,
“তোমার দিভাইয়ের জামা এখানে কী করে আসবে! কি বলছো!”
“আমার দিভাইকে ওরা ঠকিয়ে ছিলো। এ বাড়ির বড় ছেলেই আমার দিভাইকে ঠকিয়ে ছিলো। আমার দিভাইকে প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেঁড়ে দিয়ে ছিলো। ওরা খারাপ। বড্ড খারাপ।”

মায়ার একেকটা বাক্যে দর্শিনী বিস্মিত হচ্ছে। কাল পাগলা গারদে যে ছেলেটাকে দেখে আসছে সে, সেই ছেলেটাকে দেখে এক মুহুর্তের জন্য মনে হয় নি সে কাউকে ঠকাতে পারে। কোনো হিসেবই যেন তার মিলছে না। দর্শিনী তার অস্বচ্ছ ভাবনা পরিষ্কার করার জন্য বললো,
“আচ্ছা, তোমার দিভাইয়ের নাম মৃত্তিকা?”
মায়া অবাক হলো। বড় বড় গোল গোল চোখে তাকালো দর্শিনীর দিকে। হতভম্ব অনুভূতি নিয়ে সে মাথা নাড়ালো। যার অর্থ ‘হ্যাঁ’।

দর্শিনী যেন কূল কিনারা পেলো না। কাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেটা বার বার এই নামটাই জপ ছিলো। যদি সে বিশ্বাসঘাতকতাই করতো তাহলে এই নামটা বলে এমন ক্ষণে ক্ষণে আনন্দে নেচে উঠতো না। কখনো বা হুটহাট কেঁদে বুক ভাসাতো না। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো সে ব্যর্থ প্রেমিক নয়। প্রেমিক হিসেবে সে বেশ দৃঢ় মানব। তাহলে প্রেমের পরিণতি এত ভয়াবহ কেন?
দর্শিনী নিজের ভিতর প্রশ্ন চেপে না রেখেই বললো,
“তোমার দিদি কোথায়, মায়া?”

“মারা গেছে বহু আগে। একদিন স্কুল থেকে গিয়েই আত্ম*হত্যা করেছে। এর আগের দিন বিয়ের জন্য তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এ বাড়ির মানুষ।”
দর্শিনী দু’কদম পিছিয়ে গেলো। কি হয়েছে, কেন হয়েছে কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। কাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেটাকে দেখে মনে হয়েছিল সে এককালে প্রচুর ভালোবেসেছে এখনও বাসে তবে প্রত্যাখ্যান করলো কেনো? আর প্রত্যাখ্যান এর পরের দিন কী এমন হলো যে মেয়েটা মরতে বাধ্য হলো!
দর্শিনী হঠাৎ মায়াকে বললো,
“মা মানে তোমার শাশুড়ি তোমাকে কী বলছিলো? সব চেনা অচেনা হয়ে যাবে তাই না?”
মায়া মাথা নাড়ালো। দর্শিনী আবার বললো,
“তাহলে শাশুড়ির শেষ টার্গেট,,,”

পুরো কথা না বলে থেমে গেলো সে। কম্পনমান কণ্ঠে মায়াকে প্রশ্ন করলো,
“তুমি তো পড়ে আসছো চিলেকোঠায়, আসার আগে মাকে কোথায় দেখেছো?”
“তাদের নিজেদের ঘরে যেতে দেখেছি।”
“কোন ঘরটাতে? সে যে ঘরে ঘুমায় ওটাতে নাকি তাদের নিজেদের রুমে,যেখানে বাবাসহ থাকতো?”
“যেখানে একসাথে থাকতো,সেখানে।”
মায়ার সাবলীল উত্তরে ঘাম ছুটে গেলো দর্শিনীর। কোনো কিছু না বলে ছুট লাগালো সে নিচে। মায়াও দর্শিনীর পিছে পিছে ছুটে গেলো।

শ্বশুর শাশুড়ির ঘরে দিকে এসে গগণ বিদারক চিৎকার দিয়ে উঠলো মায়া। দর্শিনী কেবল সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে রইলো নিশ্চুপ। সিলিং ফ্যানের সাথে ঝু*লে থাকা শরীরটার পা বেয়ে টপটপ করে ঝড়ে পড়ছে র*ক্তের স্রোত।

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৭

[অবশেষে চলে এলাম আমি। তো আপনাদের রহস্য একদম শেষ দিকে। কালকেই হয়তো সে ধোঁয়াশা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ]

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৯