পূর্ণতা নাকি শূন্যতা পর্ব ৬

পূর্ণতা নাকি শূন্যতা পর্ব ৬
রেজওয়ানা রমা

নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। ব্যর্থ হয়ে অবশেষে করুন সুরে বললাম,
– আহ! লাগছে সিদ্ধাত ভাইয়া
– এতো জেদ কেন তোর? কি হয়েছে কেন খাবি না?
– কেন খাবো না তার কৈফিয়ত কি তোমাকে দিতে হবে?
– হ্যাঁ দিতে হবে। আলবাত দিতে হবে
– কে তুমি?
– তোর স্বামী

ভাইয়ার কথাটায় নিজের মধ্যে কেমন জানি একটা অনুভূতি তৈরী হলো। কি বলল আমার স্বামী। আসলেই তো সিদ্ধাত ভাইয়া তো আমার স্বামী। আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছি। তাকিয়ে আছি নিরব হয়ে সিদ্ধানর ভাইয়ার দিকে। আমার নিরবতা ভেঙে সিদ্ধাত ভাইয়া আবারও বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

– তুই না খেয়ে ঘুমাতে পারবি না। যদি ঘুমাতে চাস তাহলে খেয়ে নিতে হবে। এখন দেখ তুই কি করবি
– এভাবে ধরে রাখলে কিভাবে খাবো? ( আদুরেস্বরে)
সিদ্ধাত ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দিলো। আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম। উঠে হাত দুটো দেখছি আবারও রক্ত জমেছে কিনা। তখন রাক্ষস টা বলে,

– তুই এমনিতে অনেক কালো। এর মধ্যে দাগ হলেও খুজে পাবি না।
– কি বললে? (রেগে)
– না না কিছু বলি নি চল,
– যাবো না। খাবোও না। যাও তু…..

আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত ভাইয়া আমাকে কোলে তুলে নিয়েছে। আমি হাত পা ছোড়াছুড়ি করছি আর বলছি,
– এই কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? নামিয়ে দাও। যাবো না তোমার সাথে। দাও বলছি দাও।
আমার সব বাচ্চামি বন্ধ করে সিদ্ধাত ভাইয়া বলে,
– জেদ একটু কমা ঈশু। সারাজীবন কি আমি থাকবো? যখন আমি থাকবো না তখন কাকে জেদ দেখাবি
সিদ্ধাত ভাইয়ার এমন কথায় আমি যেন কথা বলার ভাষা হারিয়েছি। পুরো পৃথিবী এলোমেলো লাগছে। কি বলল এটা। কেন বলল। জিজ্ঞাসা করলাম,

– তুমি কোথায় যাবে সিদ্ধাত ভাইয়া?
-অনেক দূরে
-আমিও যাবো। আমাকে রেখে কেন যাবে? আমাকে ছাড়া থাকবে কিভাবে?
-যেভাবে এতো গুলো বছর ছিলাম
-মানে?
– কিছু না।

কথা বলতে বলতে সিদ্ধাত ভাইয়া আমাকে নিচে নিয়ে এলো। চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে খাবার বেড়ে নিজ হাতে খাইয়ে দিলো। আমি লক্ষী মেয়ের মত খেয়ে নিলাম। একটুও দুষ্টুমি করলাম না। আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমার খুব ক্ষুধাও লেগেছিলো। তার ওপর রাক্ষস টা নিজের হাতের খাইয়ে দিচ্ছে। আর কি লাগে হিহিহি। খাওয়া শেষ করে মহাশয় নিজেই আবার কোলে করে রুমে নিয়ে যাচ্ছে। রাত দুপুরে কেয়ার দেখাচ্ছে। আর সারাদিনব্যাপী রাক্ষসী চেহারা হুহ। অনেকক্ষন আমিও কথা বলি নি,ভাইয়াও কোনো কথা বলছে না। তাই আমি বললাম,

– সিদ্ধাত ভাইয়া
– হুম
– আমাকে কোলে নিয়ে যাচ্ছো কেন? আমি কি হাটতে পারি না
– পারিস। কিন্তু প্রতিবন্ধিদের মত।
-কি! তুমি আবারও তাই বললা? আজকে তো তুমি শেষ।
বলেই সিদ্ধাত ভাইয়ার চুল দুই হাত দিয়ে মুষ্টি করে ধরে দিলাম জোরে টান।

– আউউউ। ঈশাআআ লাগছে কিন্তু
– লাগুক। আমি প্রতিবন্ধিদের মত হাটি?
– না। তুই ভালো করে হাটিস। ছাড় এবার। নয়তো ফেলে দেবো কিন্তু।
– কি ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছো?
বলেই দিলাম আরও জোরে আরেক টান।

ভাইয়া রুমের ঢুকেই এবার আমাকে আলুর বস্তার মতো করে বিছানায় ফেলে দিলো। ভাইয়া চুল ধরে রাখায় সাথে সাথে ভাইয়া ও পড়লো আমার ওপর। আমি জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম,
– আউউউ। গেলো রে গেলো কোমর টা আমার গেলো এবার। উহুহুহুউউউউ
– চুপ। চেচাচ্ছিস কেনো? বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে আছে। তোর চিল্লাচিল্লি শুনে তো এক্ষুনি সবাই উঠে পড়বে।
আমার মুখ চেপে ধরে বলল সিদ্ধাতের বাচ্চা। আমিও রাক্ষস টার হাত সরিয়ে দিয়ে বললাম,

– তোমার মতো একটা আস্ত হাতি আমার ওপর পড়লে আমার কি অবস্থা হয় বুঝো
– কিহ!! আমি হাতি?
– বুড়ো হাতি
– ঈশা
– সিদ্ধাত ভাইয়া
– (রাগী লুকে তাকিয়ে আছে)
– এভাবে না তাকিয়ে যাও তো। সরো। ঘুমাবো।
– আমিও তো ঘুমাবো

– তো যাও না নিজের ঘরে
– বিয়ে করেছি কি নিজের ঘরে থাকার জন্য?
– তার মানে কি? তুমি এখানে ঘুমাবে?
– অবশ্যই
– ঠিক আছে। তুমি ঘুমাও আমি যাচ্ছি নোভাদের ঘরে।

বলেই সিদ্ধাত ভাইয়া কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। বিছানা থেকে উঠতে যাবো তখনই আবারও রাক্ষস টা হাত ধরে টেনে ফেলে দিলো। সোজা পড়লাম পাজি রাক্ষসের বুকের ওপর। খপাত করে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে বলল,
– কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। আমি ঘুমাবো। ঘুমাতে দে একটু
– তো ঘুমাও না। তোমাকে আমি না করেছি ঘুমাতে। আমি অন্য রুমে যাচ্ছি তুমি ঘুমাও
– আমি কোল বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি না।

– ওই যে আছে তো।
– তুই থাকতে কোলবালিশ কেন নিবো?
-?
– চুপ করে থাকবি কোনো কথা বলবি না।
– আমি ঘুমাবো না?
– ঘুমা। যেভাবে আছিস এভাবেই।
– তোমার সাথে ঘুমাবো আমি? ( রেগে)
– বরের সাথে ঘুমাবি তাতেও সমস্যা?

আমি আর কিছু বললাম না। সিদ্ধাত ভাইয়া চোখ বন্ধ করে নিলো। আমি আনি সিদ্ধাত ভাইয়ার বুকের ওপর। খুব কাছ থেকে আজকে সিদ্ধাত ভাইয়াকে দেখছি। আসলেই সিদ্ধাত ভাইয়া অনেক সুন্দর। আমি উনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। ঘুমিয়ে পড়েছে। আর আমি প্রান ভরে দেখছি উনাকে। এভাবে কখনও উনাকে দেখি নি।

সত্যি বলতে উনার দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকা কখনো হয়ে উঠেনি। আজ দেখছি ঘুমন্ত অবস্থায়। উনাকে দেখতে দেখতে আমিও যে কখন ঘুমিয়ে গেলাম জানি না।
আমার ঘুম ভাঙে ভোরে। ঘুম ভাঙতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম সিদ্ধাত ভাইয়ার বুকে। ভাইয়া এখনো আমাকে সেই ভাবেই জড়িয়ে আছে।

ভাইয়ার বুকে মুখ গুজে ঘুমিয়ে ছিলাম এতোক্ষন। ভাবতে মুখে আচমকা হাসি ফুটে উঠলো। ইসস। কেমন লজ্জা লাগছে। এই প্রথম বার কোনো পুরুষের বুকে এইভাবে ঘুমিয়েছি। কিন্তু এখনো একটা কথা মাথায় ঢুকছে না রাক্ষস টা এভাবে কেন বিয়ে করলো। ধ্যাত এই রাক্ষসের মতি গতি কিছুই বুঝি না। যাই ফজরের নামাজ টা পড়ে নেই। ফোনে দেখলাম ৫ টা ৫৫ বাজে। সিদ্ধাত ভাইয়ার কপালে একটা আদর দিয়ে আস্তে আস্তে উনার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম। বিছানা থেকে নামবো তখনই শাড়ির আচল ধরে ফেলল। ঘুম জড়ানো কন্ঠে রাক্ষসের বানী ছিলো,

– একটু শান্তি তে ঘুমোতে দিবি না?
আমি পিছনে তাকিয়ে বললাম,
– উফফ। তুমি উঠে পড়লে?
– হুম।
– আচল ছাড়ো
-না

বলেই আবারও টেনে নিলো বুকের ওপর।
– উফফ সিদ্ধাত ভাইয়া প্লিজ এবার ছাড়ো না।
– চুপ।
– কি হয়েছে তোমার? তুমি এমন করছো কেন?
– হুম
– নামাজ পড়বো তো
– হুম
– তো ছাড়ো
-হুম

– কি হুম হুম করছো। ছাড়তে বলছি
– ইসস। এতো বক বক করিস না তুই!!
– রাক্ষসের বাচ্চা ছাড়বি?? ( চুল ধরে টেনে)
– আউউউচ
আমার কথায় আর এমন কাজে ঝটপট উঠে বসলো সিদ্ধাত ভাইয়া।
– কি বললি?

-যা শুনেছো তাই বলেছি। সকাল হয়ে গেছে। কেউ যদি তোমাকে আমার রুমে এভাবে দেখে কি হবে বলো তো।
– কি হবে? বিয়ে করা বউ তুই আমার।
– সেটা কি তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ জানে?
– জানার দরকার নাই।
বলেই হন হন করে ওয়াসরুমে চলে গেলো উনি। আমি হা করে বসে আছি। একটু পরে বের হলো। এবার আমি ওয়াসরুমে গেলাম। ওজু করে বের হয়ে দেখি মহাশয় রুমে নাই। চলে গেছে। আমি নামাজে দাড়িয়ে পড়লাম।

☆☆ ঈশার রুম থেকে নিজের রুমে আসলাম। ঈশা কে ছাড়া কিছুই ভালো লাগছে না। রাগ হচ্ছে প্রচন্ড। বাড়ি তে এখনো মনে হয় তেমন কেউ উঠে নি। আর উঠলেও হয়তো নিজের রুমে। আমি যে রাতে ঈশার সাথে ছিলাম এটা ঠিক হয়েছে কিনা জানি না। তবে ভুলের কিছু দেখি না। কারন আমরা বিবাহিত।

মনে হচ্ছে সারাক্ষণ যদি ঈশার সাথে থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো শান্তি পেতাম। উফফ একটা মুহূর্ত ও ঈশা কে ছাড়া থাকতে পারছি না। এবার এক মাসের ছুটি তে এসেছি। উদ্দেশ্য বিয়ে, হানিমুন সব সেরে ঈশা কে নিজের সাথে নিয়ে যাওয়ার। দূরে থাকতে পারছি না ঈশার কাছ থেকে। পুশআপ দিলাম ৫০ টার মত। গোসল দিয়ে সিফাতের রুমে গিয়ে দেখি বেটা মরার মত ঘুমাচ্ছে। ডেকে তুললাম।

– ওই উঠ শালা। এখনো পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছিস। কত কাজ আছে।
– কি কাজ আছে তোর আবার
– আছে উঠ।

সিফাত উঠে ফ্রেস হয়ে আসে। সিফাত কে নিয়ে নিচে গেলাম। এতোক্ষনে সবাই উঠে পড়েছে। আবারও বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। প্যান্ডেলের লোক ও চলে এসেছে। প্যান্ডেলের লোকদের কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আমরা বাড়ির বাহিরে। কি জানে ওদিকে ঈশা কি করছে। ভাবছি আজকে বিয়ের শপিং টা করে ফেলবো।

নামাজ পড়ে নোভা আর ইতির ঘরে যাই। শয়তান দুইটা ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। তাই ওদের কে নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। সকল বেলার বাতাস টা অনেক সুন্দর হয়। একদম শীতল। ভীষন প্রিয় আমার। কিছুক্ষন পর সূর্য্যি মামা উকি দিলো। প্যান্ডেলের লোক ও চলে এলো। আমার বর মহাশয় আর সিফাত ভাইয়া প্যান্ডের লোকের পিছে পিছে ঘুরছে। আমি ছাদ থেকে সিদ্ধাত ভাইয়া কে দেখছি। আর এদিক ইতি নোভা বক বক করছিল।

ইতি: কি তাই না ঈশা বল?
আমি: এ‍্যাহ! কি?
নোভা: ও শোনেই নাই।
আমি : না মানে
ইতি: কি দেখছিস তুই ওদিকে?
ইতি নিচে উকি দিয়ে দেখে নিচে কেউ নেই। সিদ্ধাত ভাইয়া ততক্ষণে চলে যায় ওখান থেকে।
ইতি: কই কেউ তো নেই

আমি: রাক্ষস টা ছিল চলে গেছে মনে হয়
ইতি: আমরা এখানে কথা বলছি আর উনি ওদিকে উনার জামাই দেখতে ব্যস্ত বুঝিলি নোভা
নোভা: আর কয়েকদিন পর তো জামাই কেই দেখবি সারাক্ষণ। এখন একটু আমাদের কে দেখ
আমি: আসলে….

এর মধ্যেই সিদ্ধাত ভাইয়া আমাকে ডাকতে ডাকতে ছাদে চলে আসে।
নোভা: চলে এসেছে তোমার জানেমান।
আমি নোভার দিকে রাগি লুকে তাকাই। সিদ্ধাত ভাইয়া তখন আমাদের এদিকে এসে বলে,
– তুই এখানে আর তোকে খুজছি সারাবাড়ি। শোন শপিং এ যাবো রেডি থাকিস। নিচে বাচ্চা কাচ্চা সবাই কে বলে দিয়েছি। তোরা তিন জনই রেডি থাকিস

নোভা: বাচ্চা কাচ্চা কোথায় এবাড়ি তে?
সিদ্ধাত ভাইয়া: ওই যে মিতু, লামু, তৌহিদ, তৌফিক আরও কে কে আছে না
ইতি: ওরা বাচ্চা? সিরিয়াসলি? ভাইয়া সবাই এসএসসি দিয়ে ফেলেছে ওরা।
আমি: আরে বুঝিস না সিদ্ধাত ভাইয়ার তুলনায় তো ওরা সবাই বাচ্চা আর আমরা মধ্য বয়স্কা। বয়স টা কি কম নাকি আমাদের সিদ্ধাত ভাইয়ার?

আমার কথায় নোভা ইতি মুখ চেপে হাসছে। আর রাক্ষস টা তেড়ে এলো আমার দিকে।
আমি দুপা পিছিয়ে গেলাম।
আমি: আচ্ছা বুড়া দাদু আমরা সবাই রেডি থাকবো। আপনি একদম চিন্তা করবেন না
সিদ্ধাত:?
রাক্ষস টা রাগী চেহারা দেখিয়ে চলে গেলো।

আমরাও নিচে এসে ব্রেকফাস্ট করে রেডি হয়ে নিলাম। আমি সাদা সালোয়ার কামিজ পরেছি। হাতে ঘড়ি, এক হাতে চুড়ি, চুল বেনী করা ব্যাস আমি রেডি। কিন্তু আমি লেট। সবাই গাড়ি তে অপেক্ষা করছে। হরিণের মত লাফিয়ে লাফিয়ে নিচে নামছি। দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি সবাই চলেও গিয়েছে। এবার আমি কি করবো।

(আসসালামু অলাইকুম,
গত পর্বগুলো তে বেশ কয়েকটি কমেন্ট এসেছে এমন ধরনের যে,
◆ ঈশা একটু বেশি ওভার এক্টিং করে।
◆ ন্যাকামি টা কম হয়ে গেলো না
◆ বাংলাদেশের গল্প পড়তে বসলেই বুঝা যায় গল্পে বিয়ে জোর করেই হয়।
১। এখানে ঈশা ইমম্যাচিউড একটা মেয়ের চরিত্রে আছে। ঈশা চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। এখন কেউ কেউ যদি চঞ্চলতা কে ন্যাকামি বা ওভার এক্টিং এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন তাহলে সমস্যা টা আপনার বুঝতে না পারায়। তবুও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

পূর্ণতা নাকি শূন্যতা পর্ব ৫

২। বাংলাদেশ কে ছোট করার জন্য কমেন্ট করা নাকি গল্প টাকে ছোট করার জন্য কমেন্ট করা তা আমি বুঝতে পারলাম না। তবুও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আরও কিছু কমেন্ট এসেছে আমার ছোট ছোট ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়েছেন আর কিছু উপদেশ ও দিয়েছেন কয়েকজন আপু❤ আসলে আমি প্রফেশনাল রাইটার নই। লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। এটা আমার লেখা দ্বিতীয় গল্প। ছোট ছোট ভুল ধরিয়ে দিয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাই কে❤❤)

পূর্ণতা নাকি শূন্যতা পর্ব ৭