প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব ৩০

প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব ৩০
মুশফিকা রহমান মৈথি

“মানে টা খুব সোজা, তোমার জন্য অনল কতটা যোগ্য সেটার পরীক্ষা করতে চাই আমি। বলা তো যায় না সে আমার মতোই একজন অযোগ্য স্বামী প্রমাণিত হলো!”
সেলিমের কথাটা শুনতেই ধারার হৃদয়ের অন্তস্থলে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি যেনো উত্তপ্ত লাভা ছাড়তে লাগলো। রাগ, আক্রোশে গা রি রি করে উঠলো। তীব্র প্রতিবাদী কন্ঠে বলে উঠলো,

“সবাইকে নিজের পাল্লায় মাপেন নাকি! আপনি অপদার্থ বলে সকলে সেই কাতারে পরবে? শুনে রাখুন, ওই মানুষটার পায়ের যোগ্য ও আপনি নন”
ধারার চঞ্চল আঁখিজোড়া তীব্র ক্রোধাগ্নি বর্ষন করছে। দৃষ্টির তেজ এবং কন্ঠের তীব্রতায় ম্লান নিস্প্রভ হাসি হাসলেন সেলিম সাহেব। তারপর বিদ্রুপের কন্ঠে বললেন,
“বড্ড বিশ্বাস করো বুঝি! ভালো, বিশ্বাস করা। সুরাইয়াও আমাকে বিশ্বাস করতো। কিন্তু কি বলোতো, পুরুষ মানুষেরা এমন ই হয়৷ আমি তার বিশ্বাসের মান কি রাখতে পারলাম? তাই আমি চাই না তোমার পরিণতিও তোমার মায়ের মতো হোক”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ধারার কিছুসময় চুপ হইলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মানুষটির দিকে। মানুষটিকে ঠিক দিয়ে উপরওয়ালা বানিয়েছেন ব্যাপারটা জানতে ইচ্ছে করছে ধারার। এই মানুষটাকে তার মা ভালোবাসতো। এই মানুষটার জন্য সে অপেক্ষা করতো। মৃ’ত্যু’র আগ অবধি পর্যন্ত হয়তো এই আশা করতো যে মানুষটা তার পাশে বসবে, তার সাথে কথা বলবে! কি বোকাটাই ছিলো! ধারা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললো,
“আপনার যা খুশি তাই করুন। আসলে কি, যে যেমন সবাইকে তাই ভাবে। কিন্তু আমি তো আমার মানুষটাকে চিনি। যে মানুষটা আমার জন্য উ’ম্মা’দ সে আপনাকে জিততে দিবে না। তাই আমিও দেখতে চাই আপনার ঝা’মা ঘ’ষা মুখখানা৷ আমি আপনাকে হারতে দেখতে চাই”
বলেই হনহন করে ধারা ভেতরে চলে গেলো। অপেক্ষা করলো না সেলিম সাহেবের উত্তরের। সেলিম সাহেব ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলেন। তার চোখজোড়া তীর্থের কাকের ন্যায় তাকিয়ে রইলো ধারার যাবার পানে। স্মিত হাসি ফুটলো ঠোঁটের৷ কোনে। অস্পষ্ট স্বরে বললেন,

“আমিও তাই চাই”
ধারাকে দেখা যাচ্ছে না। সে বাড়তে ঢুকে গেছে। সেলিম সাহেব তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললেন। নীলাম্বরের পানে মাথা তুলে চাইলেন। তপ্ত সূর্যটি মাথার উপর। দক্ষিণ কোনে শুভ্র মেঘেরা জড়ো হয়েছে। হয়তো কোনো ফন্দি আটছে। কি ফন্দি আটছে! কে জানে! তার হাসিটা প্রসারিত হলো। এর মাঝেই দীপ্ত ছুটে এলো। হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
“আংকেল ভেতরে চলুন। এখানে অনেক রোদ”
“হু, যাবো। কাজ কতদূর!”
“বিকেল হবে, ওরা এতো আলসে বলবেন না। এখন টি ব্রেক নিচ্ছে”
“এটাই বাংলাদেশ। হাজার দুয়েক বেশি দিয়ে দিও”
“সে ঠিক আছে, আপনি ভেতরে চলুন৷ নয়তো অসুস্থ হয়ে যাবেন”
সেলিম সাহেব দাঁড়ালেন না। তিনি পা বাড়ালেন নিজ গন্তব্যে।

ধারা হনহন করে বাসায় ঢুকলো। তার সারা শরীর কাঁপছে অসহনীত ক্রোধে। লোকটি নিজেকে কি ভাবে! নিজে একজন অযোগ্য স্বামী বিধায় সবাই কি তাই! অনল আত্মদাম্ভিক, নিরস, খা’টা’স, জেদী, রাগী একজন মানুষ কিন্তু প্রিন্স উইলিয়াম স্বামী হিসেবে দশ এ একশ। ধারা সেটা বিশ্বাস করে। অযাচিত মানুষের মতো শান্ত জীবনকে অশান্ত করে সে কি প্রমাণ করতে চাইছে! পরমূহুর্তেই ভাবলো ধারা এতোটা কেনো ভাবছে, সে জানে তার সর্বগুনী প্রিন্স উইলিয়ামকে কখনোই হারবেই না। হারতেই পারে না। এসব ভাবতে ভাবতেই বেখেয়ালী ধারা হাটছিলো। এর মাঝেই ধাক্কা খেয়ে বসলো জমজদের সাথে। সাথে সাথেই চিন্তার ঘোরে ছেদ পড়লো। ধারা সামনে থাকাতেই দেখলো। জমজদ্বয় খালি হাতে কিছু ছোট পোকার মতো কিছু একটি ছোট পুটলিতে ভরছে। তাদের চোখে মুখে ধরা পড়ার আতঙ্ক। ধারা চোখ কুচকে বললো,

“এই ওগুলো কি রে”
সাথে সাথেই তারা একত্রে বলে উঠলো,
“কিছু না”
“দেখি, লুকাচ্ছিস কেনো? আমি দেখবো সামনে আন”
আশা রীতিমতো কাঁপা কন্ঠে বললো,
“তুমি আমাদের সন্দেহ করছো?”
“না করার একটা কারণ দে”
আশা বুঝলো কাজ হবে না। ধারাপু তাদের চালাকি ঠিক ই ধরে ফেলবে। এর মাঝেই এশা ধারা সামনে পুটলিটা এগিয়ে দিলো। নির্ভীক কন্ঠে বললো,
“তেলাপোকা জোগাড় করছিলাম, আমাদের বায়োলজি প্রাকটিক্যালের জন্য। তুমি আর মা না বেশি করো। দিলে তো তেলপোকা গুলো ছেড়ে”

ধারা সাথে সাথেই সিড়ির উপর উঠে দাঁড়ালো। এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিকে প্রচন্ড ভয় পায় সে। তার ওজনের শতভাগের এক ভাগ ও নয় এই তেলাপোকা৷ অথচ তার ভয়ে রীতিমতো শিটিয়ে যায় সে। দেখলেই তার গা ঘিনঘিন করে। ধারার এখনো মনে আছে একবার এক উড়ন্ত তেলাপোকা উড়ে এসে ধারা কাঁধে বসেছিলো। চিৎকার করে সারাঘর মাথায় তুলেছিলো সে। চোখ মুখ কুচকে বললো,
“এখন ওই তেলাপোকা নিয়ে চোখের সামনে থেকে সরে যা। এখন ই”
“ঠিক আছে”
বলেই মাথা নত করে জমজেরা চলে গেলো। ধারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো৷ এদের বিশ্বাস নেই। একবার ওই পুটলি ছেড়ে দিলেই ধারাকে কে পায়। দেখা যাবে, ভয়ে সেখানেই সে কুপোকাত। বাহিরে যেতে যেতে আশা এশাকে বললো,
“তুই যে ধারাপুকে মিথ্যে বললি, ধরা খেলে”
“ওই ভীতু মহিলা জীবনেও চেক করতো না। দেখলি না তেলাপোকার নাম শুনেই সিড়িতে উঠে গেছে। বুদ্ধি খাটা, মাথায় তো গোবর ভরা”

“আর তোমার মাথায় তো আলিবাবার খাজানা আছে”
“ঝগড়া কর তুই, আর ওখানে ঘুঘু উড়ে যাক”
আশা থামলো। সে বুঝলো এখানে ঝগড়া করাটা এখন জরুরি নয়। আপাতত তাদের তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে হবে। পুটলির ছোট ইঁদুরছানা গুলোও বেশিক্ষণ পুটলিতে থাকবে না। কেঁটে ঠিক বেঁড়িয়ে যাবে। এশা, আশা চুপিসারে পাশের বাসার নিচে দাঁড়ালো। এখনো সেলিম সাহেবদের মালামাল তোলার কাজ শেষ হয় নি। কারণ চা খাবার নামে শ্রমিক দুজন কোথায় গেছে জানা নেই। দীপ্ত বা সেলিম সাহেব কাউকেই দেখা গেলো না। তারা হয়তো ভেতরে। এশা আশা সকালে যখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো তখন ই তাদের চোখে পড়ে এই ট্রাকটি। ট্রাকের পেছনে অস্ট্রেলিয়ান ফুপার গাড়িটি দেখেই তাদের বুঝতে বাকি থাকে না ফুপা তাদের পাশেই ভাড়া নিয়েছে। তখন ই বুদ্ধি আটে “মিশন অস্ট্রেলিয়ান ফুপা” চালাবে।

তাদের ঘরের সদ্য জন্মানো ৭টি ইঁদুরের বাচ্চাকে বেশ আদরের সাথে পালছিলো তারা। সেই ইঁদুরের বাচ্চাগুলোকেই এই পুটলিতে ভরেছে। এখন তাদের প্লাণের পরিণতির পালা৷ এশা আশার খুব একটা কষ্ট হলো না। গেটের ভেতরেই তিনজনের সিল মারা তিনটি কার্টুন দেখতে পেলো তারা। সাথে আনা এন্টিকাটার দিয়ে খুব নিপুনভাবে তারা তিনটে বক্সে ইঁদুরগুলো পুড়ে দিবে। এখন কাজগুলো ইঁদুর ছানার উপর। গোলবাঁধলো অন্য জায়গায়, যখন পুরুষ কন্ঠ কানে এলো। সটান হয়ে দাঁড়ালো তারা৷ সামনে তাকাতেই দীপ্তকে দেখতে পেলো তারা৷ দীপ্ত এগিয়ে এলো তাদের দিকে। তার চোখের ভাষা বুঝতে পারলো না এশা আশা। ভাবলো এবার বুঝি ধরা খেলো। কিন্তু তাদের অবাক করে দীপ্ত হাসি হাসি মুখে বলে উঠলো,

“এ কি টুইন্স এখানে? তোমাদের মিস করেছি”
“আমরাও আপনাকে অনেক মিস করেছি দীপ্ত ভাই। আপনাকে এখানে দেখবো কল্পনাও করি নি”
“হ্যা, সাডেন প্লান। কি করছিলে ঝুকে”
“বক্স দেখছিলাম, আসলে আপনি তো যেভাবে আমাদের বাসায় এসেছিলেন বিশ্বাস ই হচ্ছে না আপনার এতো কাপড় চোপড়। এখন বিশ্বাস হয়ে গেছে। আসি তাহলে?”
বলেই দেরি না করেই ছুট লাগালো এশা আশা৷ দীপ্ত বিস্মিত নজরে দেখলো তাদের যাওয়া। মেয়ে দুটো সত্যি অদ্ভুত, কি বলে, কি করে মাথার উপর দিয়ে যায়।

ধারা ঘরে ঢুকেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। তার মাথায় এখনো সেলিম সাহেবের কথা ঘুরঘুর করছে। নানাভাই হয়তো জানেন না, সেলিম সাহেবের পাশের বাসায় ভাড়া নেবার কথা, জানলে উনিও ঘর মাথায় করতেন। এদিকে অনল এখনো তার জায়গায় বসা। মাথা তুলেই শুধালো,
“এতো দেরি হলো যে? বলেছিলাম না গল্প জুড়বি না।”
“গল্প জুড়ি নি, চ্যালেঞ্জ করে এসেছি”
ধারার কথাটা মস্তিষ্কে অনুধাবন হতে সময় নিলো। তড়াক করে মাথা তুললো অনল। অবাক কন্ঠে বললো,
“কি?”
“সেলিম আহমেদের সাথে দেখা হয়েছে”
খাতা ছেড়ে উঠে আসলো অনল। ধারার পাশে বসে বললো,
“খুলে বলতো, কি হয়েছে?”

ধারা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তারপর সিলিং এর দিকে তাকিয়ে সবটুকু খুলে বললো অনলকে। অনল শান্ত চিত্তে সবটুকু শুনলো। কিঞ্চিত অবাক ও হলো, অবাক হলো সেলিম সাহেবের নিচু চিন্তায় নয়। অবাক হলো ধারার আত্মবিশ্বাসে। কথাটি ভাবতেই ঠোঁটের কোনে হাসির উদয় হলো। ধারার চুলে আলতো হাতে বিলি কাটতে কাটতে বললো,
“আমার বউ যখন চ্যালেঞ্জ করেই এসেছে, পরীক্ষা তো দিতেই হবে! দেখি শ্বশুরমশাই কি পরীক্ষার আয়োজন করছে”
“ফাজলামি করছো?”
“একেবারেই না, আমি একদম লোহার মতো সিরিয়াস”
“সেটা কিভাবে হয়?”

“দেখ লোহা যেমন সব কিছুর মাঝেও অভঙ্গুর থাকে, আমিও তেমন শ্বশুরমশাই এর ব্যাপারেও আমার সিরিয়াসনেস অভঙ্গুর। দরকার হলে আমিও নায়কদের মতো গলা তুলে বলবো, চৌধুরী সাহেব টাকা দিয়ে আপনি সব কিনতে পারলেও আমার ভালোবাসাকে কিনতে পারবেন না, পারবেন না। এখন তুই চৌধুরী সাহেবের জায়গায় আহমেদ সাহেব বসিয়ে নে”
অনলের কথাটি শুনতেই হো হো করে হেসে উঠলো ধারা। এতো সময়ের ক্রোধ, রাগ, বিষাদ, চিন্তাগুলো যেনো বাস্পায়িত হয়ে গেলো। মনের আঙ্গিনায় জমে থাকা ধুলো উড়ানো নিকষকালো মেঘগুলো নিমেষেই যেনো সরে গিয়ে এক উজ্জ্বলিত কুসুমপ্রভা বিস্তার করলো। ধারাকে প্রাণ খুলে হাসতে দেখে অনল নরম গলায় বললো,

“এভাবে হাসবি, প্যাঁচামুখো বউ আমার ভালো লাগে না”
“কি করবে, খুঁজে খুঁজে এই পেঁ”চি’মু’খী’কে’ই বিয়ে করেছো!”
অনল উত্তর ই দিবে তার পূর্বেই তার ফোন বেজে উঠলো। প্রথমে না ধরতে চাইলেও শেষে বাধ্য হয়ে ফোনটি ধরে অনল। কথা শেষে যখন শুধালো, “কে ফোন করেছে?” তখন উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে অনল বলে,
“আমাদের ব্যাঁচের রিইউনিয়ন হচ্ছে যাবি?”
“তোমাদের বন্ধুমহলে আমি যেয়ে কি করবো?”
“স্মৃতিও যাচ্ছে। রবিন ও তার নতুন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসছে। চল ভালো লাগবে।”
“কবে সেটা?”

“এইতো সামনের রবিবার। চল, একটু বউকে দেখিয়ে শো অফ করতে চাই। নয়তো সব ফুটেজ প্লাবণ ই নিয়ে যাবে। চল প্লিজ। তোর ভালো লাগবে”
অনলের আবদারে মানা করতে পারলো না ধারা। কিন্তু মূহুর্তটাও ছাড়লো না, ঠেস মেরে বললো,
“শুধু শো অফ করতেই নিয়ে যাবে আমাকে! ছি ছি, এই আমার বরভাগ্য!”
“অবশ্যই। সবাইকে দেখাতে হবে তো যে আমার একটা পুতুল বউ আছে! মাঝে মাঝে নিজের সৌভাগ্য দেখাতেও শান্তি লাগে। তুই বুঝবি না”
ধারার নাক টেনে কথাটা বললো অনল। ধারা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মানুষটির দিকে। এতো দেখলেও কেনো যেনো মন ভরে না। মন চায় আরোও দেখি, শুধু দেখতেই থাকি। এই প্রিন্স উইলিয়ামটি যে শুধু তার________
রবিবার,

একটা বিশাল হোটেলের কনফারেন্স রুম ভাড়া করা হয়েছে। ভার্সিটির ১৩ ব্যাচের সবাই একত্র হয়েছে সেখানে। যে যার পরিবার নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি। কত বছর পর মতে হচ্ছে সেই যৌবন যেনো ফিরে এসেছে। ধারাও অনলের সাথে এসেছে এখানে। প্লাবণ এবং স্মৃতির সাথে তাদের আগেই দেখা হয়েছে। রবিন ও তার নতুন বান্ধবীকে পরিচয় করিয়ে দিলো। তাদের নাকি বিয়ের কথা চলছে। রবিনটির ও যে একটা হিল্লে হলো এটাই বেশ অদ্ভুত। ইকরাম এলো একা, তার বউটি এখন বাপের বাড়ি। তাই তাকে একাই আসতে হলো। আড্ডা হলো জম্পেস। ধারার সাথে পরিচিত হলো অনেকে। সকলের একটাই কথা,

প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব ২৯

“শেষমেশ বাচ্চার কাছেই হৃদয় হারালি?”
অনল তখন গর্বের সাথে বললো,
“তাহলে বুঝে দেখ আমার বউটি কতো গুণী, আমার হৃদয় চুরি করা যার তার কাজ নয়।”
ধারা তো লজ্জায় পারলে মিশে যায়৷ না চাইতেও এতোবড় অনুষ্ঠানের মধ্যমনি সে৷ এর মাঝেই একজন বলে উঠে,
“অনন্যা দেশে ফিরেছে, জানিস?”…………

প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব ৩১