প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৬

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৬
আরোহী নুর

আঁখি নির্দ্বিধায় আদৃতের হাতে হাত রাখল।অতঃপর দু’জন বৃষ্টির তালে তাল মিলাতে এগিয়ে গেল।আঁখির চেহারায় ফুটে উঠল আবার চওড়া হাসি,হাত মেলিয়ে গায়ে মাখিয়ে নিতে লাগল আকাশের বুক থেকে আগত জলের অজস্র বিন্দুকণা,বৃষ্টির প্রতিটা কণা আজ তার মনে সুখের দোল দোলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, নিজের সাথে করে যেন নিয়ে যাচ্ছে আঁখির মনের সকল বিষাদের ছোঁয়া,সকল তিক্ত অনুভুতি।

আপলকে তাকিয়ে আছে তার প্রেমে মশগুল যুবক তার পানে।যতবার এই রমণীকে দেখে সে ততবারই যেন নতুন করে তার প্রেমে মুগ্ধ হয়।এই এক রমণীর প্রেমে যেন জীবনের নাশটাও হাসিমুখে গ্রহণ করে যাবে সে।আজ বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না নিজের ভাগ্যে,অবশেষে কি তবে পেয়ে গেল সে তার সুখপাখিকে?সবকিছুই যেন এক সুন্দর সপ্নের মতো মনে হচ্ছে তার,ভয়ও আছে খুব–যদি ভেঙে যায় কবু সে সপ্ন।আঁখির হঠাৎ খেয়াল গেল আদৃতের দিকে, আলতো হেসে জিজ্ঞেস করে গেল তাকে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

″কি দেখছেন এভাবে দাঁড়িয়ে?″
″দেখছি আমার সুখপাখিকে, দেখছি তার অকৃত্রিম সেই হাসি যা এতোদিন তিক্ততার নিচে চাপা পরে ছিল।″
কথাটা শুনে আঁখির হাসি কোথাও যেন উধাও হলো আঁখি,মুহুর্তেই যে আবার মনে বিরাজমান হলো তিক্ত কিছু অনুভূতি, আদৃত বেশ অস্থিরতা নিয়ে এবার এগিয়ে এসে আঁখির দু’গাল নিজের দু’হাতের ফাঁকে আগলে ধরে বলল।

″না সুখপাখি,এই বিষাদ আর সহ্য করে উঠতে পারব না আমি তোমার চেহারাতে।″
″ভয় হয় এখন প্রাণ খুলে হাসতেও, যদি তা আবার মলিন হয়।″
″না পাখি,যতদিন বেঁচে আছি এই হাসি ধরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করব,ভয় পেয় না তুমি।″
″এতো সুখ আর ভালোবাসা কি কপালে সইবে আমার?″
″কেন বিশ্বাস হয় না এই পা*গ*ল প্রেমিকের প্রতি।″
″আছে,কিন্তু ভাগ্য যদি আবারও মোড় নেয়।″

″ভাগ্যের লিখন তো আমাদের কর্মে হয় আঁখি,আমরা একে অপরকে এতো ভালোবাসব যে আল্লাহ তায়ালাও আমাদের উপর উনার রহম বজায় রাখবেন,ইনশাআল্লাহ।″
″কথা দিন কখনও ছেড়ে যাবেন না।″
″কথা দিলাম।″
আঁখি অতি আবেগে জড়িয়ে ধরল আদৃতকে,আদৃতও জড়িয়ে ধরল তার সুখপাখিকে।অল্পক্ষণ পর আঁখির হুশ ফিরল,কি করে গেছে সে!একরাশ অস্বাভাবিকতা ভর করল তার উপর,লজ্জাময় একটা ভাব নিয়ে ছাড়িয়ে নিল আদৃতকে অতঃপর আদৃতের দিকে আর না তাকিয়ে গাড়ির দিকে চলে গেল বেগতিক পায়ে,আদৃত মাথা চুলকিয়ে অল্প হাসল অতঃপর সেও গাড়ির দিকে হাঁটা ধরল।

আদ্রিশের আজ ঝরছে চোখের জল,নে*শা*য় এতোটাই মাতাল যে সোজা হয়ে বসতেও পারছে না,তাও ছাঁদের একপ্রান্তে হাত পা গুটিয়ে বসে আছে আকাশের পাণে একধ্যানে তাকিয়ে। মনে পরছে আঁখির সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো,ছাঁদের প্রান্তে বসে প্রায় রাতেই তার কাঁধে মাথা রেখে রাতের চাঁদ দেখার জেদ করত আঁখি,আজ বড্ড মনে পরছে তার আঁখির কথা,শরীরের টানে সে কত বড় ভুল করে গেছে তা আস্তে আস্তে উপলব্ধি করতে পারছে,মরিচিকার পিছন ছোটতে গিয়ে সে হিরে হারিয়ে বসেছে কি করে তা মেনে নিবে!আজ বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যথা অনুভূত হচ্ছে তার।

ছাঁদের দরজার ধার ঘেষে আদ্রিশকে লক্ষ্য করছে রিদিকা।
″আমি জানি আদ্রিশ তুমি সবকিছু নেশার ঘোরে বলে গেছ,তুমি শুধু আমাকেই ভালোবাসো আদ্রিশ,তুমি দেখো আবারও আমার রূপের নেশায় পা*গ*ল হবে।রিদিকার রূপ অদেখা করে আজও কেউ যেতে পারে নি,আর এই রিদিকা তোমাকে নিজের রূপে বাঁধবেই।যাতেই বাঁধতে হোক না কেন,আমি তোমাকে বেঁধে রাখব,তোমাকে আমার হয়েই থাকতে হবে,তুমি হলে আমার হবে নইলে আর কারো না।″
মিন মিন করে দাঁতে দাঁত চেপে নিজে নিজে কথাগুলো বলে স্বাভাবিক ভাবে স্থান ত্যাগ করল রিদিকা।

বৃষ্টি থেমেছে সেই কবেই,আঁখি আদৃত মির্জা হাউজে এই মাত্র ঢুকল,আদৃত গাড়ি থেকে নেমে এসে আঁখির পাশের দরজা খুলে দিলে আঁখি নেমে পরল।
″এতো আদিখ্যেতা দেখানো ভালো না ডা.আদৃত।″
″ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম কখনও লোক দেখানো আদিখ্যেতার মধ্যে পরে না সুখপাখি।″
″তাই!″
″হুম।″

আঁখি আবারও আলতো হেসে ঘরের দিকে যেতে যেতে বলল।
″জলদি এসে কাপড় চেঞ্জ করুন নয়ত জ্বর চলে আসবে আবারও।″
″তুমি আগে আমার সাথে আসো আগে তোমায় কাপড় দেই,ভিজে তো তুমিও আছো।″
″আরে আমি ইশিকার থেকে নিয়ে নিব,আপনি কোথায় কাপড় পাবেন আমার।″
″আমি এনে রেখেছি।″
″মানে!″
″কারণ আজকে তোমাকে আচমকা মির্জা বাড়িতে নিয়ে আসব তা আমার আর মায়ের পূর্বপরিকল্পিত ছিল,সে হিসেবে কিনে আনা।″

″আপনিও যা পারেন।″
″হুম,এখন চলুন ম্যাডাম।″
দু’জনের কর্মকাণ্ড ছাঁদের উপর থেকে দেখতে পেলেন আরিয়ান মির্জা, আঁখির সাথে আদৃতের এমন মেলামেশা মোটেও মেনে নিতে পারলেন না উনি।
আঁখি আদৃত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করল।
″আরে আঁখি মা,আয় আয়, কতো সময় ধরে পথ চেয়ে বসে আছি।এ কি দু’জন দেখি ভিজে আছিস!আদৃত রুমে গিয়ে চেঞ্জ কর,আঁখি তুই আমার সাথে আয়।″

″ওর কাপড়?″
″আমি নিয়ে এসেছি তোর রুম থেকে।″
″কেন,আমি ওকে দিতে পারতাম না?″
″আরে ভাইয়া রাগো না,বিয়ের পর একান্তে যা শাড়ী চুরি দেওয়ার দিয়ে দিও,এখন না হয় তোমার জিনিস আমরাই দেই,হা হা।″
″কথাটা শুনে আঁখি মুচকি হেসে দেয়,আদৃত বেশ লজ্জায় পরে গিয়ে,তাড়া করে ইশিকাকে।″
″তকে না আমি।″
″মা দেখো না তোমার ছেলে আমায় মারতে আসছে।″
″হয়েছে যা এখন ফ্রেস হয়ে নে।আয় মা আয়।″

আঁখি কাপড় পাল্টে নিতেই ইশিকা আর শায়েলা মির্জা ওর কাছে চলে আসেন,বর্তমানে তিনজনই হরেক গল্পে মগ্ন,গল্পের এক পর্যায়ে বলল ইশিকা।
″আঁখি,দেখো না,বেড়াতে এসে দিনগুলো তাড়াতাড়ি চলে যায়,নিশার জন্মের দু’দিন পর এখানে এসেছিলাম চলে যাব আরও দু-তিনদিনে,আবারও মা বাবা একা পরে যাবেন,আমি তো সবসময় এখানে থাকতে পারব না,তোমার মনে হয় না ভাইয়ার বিয়ে করে নেওয়া উচিৎ? ″

″হ্যাঁ কেনো নয়,তা কনে দেখেছ?″
আদৃতের বিয়ে শুনে মনটা মোচড় দিয়ে গেলেও আঁখি স্বাভাবিক ভাবে কথাটা বলল।এবার জবাবে ইশিকা হেসে উত্তর দিলো।
″কনে তো আমরা সেই সাত বছর আগেই দেখেছি,এখন সে রাজি হলেই হলো।″
″কে সে?″

″আরে পাগলি একটা,কে হবে আবার সে।আমাদের সামনেই তো বসে আছে আমার একমাত্র ছেলে বউ।″
কথাটা শুনে আঁখি অবাকত্বের শির্ষে চলে গেল।
″কি বলছ মামুনি,আমি!কিন্তু আমি ডিভোর্সি এতে কোনো আসে যাবে না তোমাদের?
একটা চড় দিব আরেকবার যদি কথাটা বলেছিস,ডিভোর্স হয়েছে তো কি হয়েছে?তোর একটা চোখ কানা হয়েছে না দাঁত পরে গেছে,কোনটা?আর যদি এমনটা হতোও তারপরও তোকেই ছেলে বউ বানাতাম।এবার বল রাজি কি না?″
″আমার একটু ভাবতে হবে মামুনি।″

″আর কি এতো ভাবাভাবি,আমার ছেলেটা যে বুড়োর কাতারে চলে যাচ্ছে।″
″কি যে বলো মামুনি তুমি।″
″তো আর কি বলব বল,আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না,আমি বিয়ের সব ব্যবস্থা করছি।″
″না মামুনি এখন না।″
″কেন রে?″

″আসলে আমি এখন আর জীবনে এগুতে গেলে মা বাবা ব্যতীত এগুব না।আগেও আমার সংসার টিকে নি কারণ মা বাবার মনের অভিশাপে সন্তানের সুখ কখনও চিরস্থায়ী হতে পারে না।বাবা মায়ের দোয়া ব্যতীত কোনো সম্পর্কের শুরুই বৈধতা পায় না,এমনকি বিয়েও বৈধতা পায় না তা আমি আগে জানতাম না,আইনত বৈধভাবে এতদিন বিয়ে নামক বন্ধনে থাকলেও ধর্মানুযায়ী অবৈধভাবে ছিলাম,জানিনা এই পাপের পরিণামে কি পাব।দেরিতে হলেও বিষয়টা বুঝে গেছি আমি।″
″ও আচ্ছা তাহলে এই ব্যপার,চিন্তা করিস না,ভুল করে বান্দা অনুশোচনার সহিত সঠিক রাস্তায় ফিরে এলে আল্লাহ ঠিকই ক্ষমা করে দেন,আর কথা যেখানে তোর মা বাবার,তুই সব আমার উপর ছেড়ে দে,আমি দেখে নিব।″

″সত্যিই তুমি আমার বাবা মাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে?″
″তুই শুধু অপেক্ষা কর,আমি আছি তো।″
″হুম বুঝলাম, তা রিংকি কোথায়?″

″কি জানি বাড়ি ছেড়ে বিনা বাক্যে চলে গেছে।তবে যাই হয়েছে ভালোই হয়েছে,না গেলে আমিই বার করতাম।″
আঁখির মন আজ বড্ড খুশি,শায়েলা মির্জা আর ইশিকা একটু আগে কক্ষ ত্যাগ করলেন,বর্তমানে আঁখি হাতের আংটিটায় হাত বুলাচ্ছে আর ভাবছে আদৃতের কথা,মনে লেগেছে নতুন রং,নতুন শুরুর আমেজ,প্রথম ভালোবাসাকে দ্বিতীয় সুযোগে ফিরে পায় ক’জন, নিজেকে আজ ভাগ্যবতী বলে মনে হচ্ছে।জীবনসাথী হিসেবে আদৃতের মতো এমন একজন আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন হিসেবে এতো সুন্দর একটা পরিবার কার কপালেই বা জোটে।আঁখির ধ্যান ভঙ্গ করে ফোনে আসলো হঠাৎ মেসেজ নোটিফিকেশন। আদৃত মেসেজ করেছে।

″সুখপাখি ছাঁদে আসো,চাঁদ দেখব একসাথে।″
″আর যদি না আসি।″
″একটু অধিকার খাটিয়ে হয়ত নিয়ে আসার প্রচেষ্ঠা করব,কোলে উঠানোর ক্ষমতা আমার এখনও যায় নি কিন্তু। ″
″আমি কিন্তু আগের সেই পিচ্চি আঁখি নই যাকে কোলে নিয়ে জব্দ করার চেষ্টা করবেন আপনি।″
″আমার আঁখি তো আমারই,হোক না কেন সে কোনো পিচ্চি মেয়ে, নয়ত বোঝদার,থাকবে তো আমার কাছেই আমার প্রিয়সী হয়ে।″

″হয়েছে আর কথার ফুল বাঁধতে হবে না,দাঁড়ান আমি আসছি।″
মুখ ভরা হাসি নিয়ে খুশি মনে এবার ছাঁদের পানে হাঁটা ধরল আঁখি কিন্তু হঠাৎ সামনে প্রকট হলেন আরিয়ান মির্জা।
″আরে আংকেল আপনি?″
″তোর সাথে কিছু কথা ছিল আঁখি।″
″হুম আংকেল বলুন?
″একান্তে কিছু কথা বলতে চাই।আমার সাথে চলো।″
″হুম,চলুন।″

আরিয়ান মির্জা আঁখিকে নিয়ে একটা কক্ষে গেলেন,সেখানে উনি প্রায়ই বসে বই পড়েন এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস লেখালেখিও করেন।সরকারি ভার্সিটির প্রফেসর ছিলেন উনি দীর্ঘবছর, অবসরের সময়টা এখন ভালোই কাটে।
সেই কক্ষের একটা সোফায় উনি নিয়ে বসতে বললেন আঁখিকে,নিজেও তার ঠিক সামনের সোফার দিকটায় বসলেন।
″কি বলবেন আংকেল বলুন?

″দেখ মা,তোর বাবা আমার অনেক ভালো বন্ধু।প্রফেশনাল লাইফে আসার পর থেকেই ওর সাথে আমার পরিচয়।তাছাড়া এই সম্পর্ক আরও গভীর হয় তুই ইশিকার সাথে বন্ধত্ব গড়ে তোলার পর থেকে,তাছাড়া তুই প্রায়ই আমাদের এখানে আসতি,ভালোই লাগত আমার তা,তোর বাবা আর আমি ভেবে নিয়েছিলাম আদৃত আর তোর বিয়েটা করিয়ে দিব,এতে করে আমাদের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে।সব ঠিকঠাক ছিল,কিন্তু না জানি কি থেকে কি হয়ে গেল।

আদৃত হুট করে আমেরিকা চলে গেল,তারপর থেকে যতবারই ওর সাথে তোর কথা বলতে চেয়েছি ততবারই এটা ওটা বলে কথা ঘুরিয়ে গেছে।তিনবছর আগে যখন তোর বাবা তোর আর আদৃতের বিয়ের কথা বলেছিলেন আমায় তখন আমি আদৃতের সাথে এ নিয়ে কথা বলার পূর্বেই জানতে পেলাম তুই আদ্রিশকে পছন্দ করিস,আদৃতকে বিয়ে করতে চাস না।সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম আমি,কিন্তু সবার জীবনে নিজেদের পছন্দ থাকতে পারে এতে কোনো দোষ বলে মনে হলো না আমার।কথাটা এটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিল আঁখি,কিন্তু এখন কিছুই ঠিক হচ্ছে না।″

″ঠিক হচ্ছে না মানে?আপনি কি বলতে চান আংকেল একটু বুঝিয়ে বলবেন?″
″দেখ আঁখি তুই আমায় ভুল বুঝিস না,তুই অবিবাহিত থাকলে মানা যেত,কিন্তু তুই ডিভোর্সি,আর এদিকে আদৃত অবিবাহিত, এ নিয়ে সমাজে কতটা কথার সামনে পড়তে হবে আমাদের বুঝতেই পারছিস,জীবনে তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্মান কি করে ধোলায় মিশে যেতে দেই অল্পতে।তাও তোর কথা মাথায় রেখে মেনে নিতাম কিন্তু উপর থেকে তুই কখনও মা হতে পারবি না,এদিকে নিজের বংশধর আজকাল কে বা না চায় বল।আদৃত শায়েলা তো অতি আবেগী তাই ওসব ভাবছে না,কিন্তু যখন সমাজের সামনে পরবে তখন হয়ত তাদের ভাবনাও তেমনই হবে,এবার তুই বল সব জেনে শুনে কি তুই জীবনে দ্বিতীয়বারও ভুল করে জাবি।″

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৫

কথাগুলো আঁখির বুকে তীরের ন্যায় আঘাত করল,তবুও পাথর ভঙ্গিতে বসে রয়ে স্বাভাবিক স্বরে বলল।
″আমি বুঝতে পারছি আংকেল আপনি কি বলতে চাইছেন,আপনি চিন্তা করবেন না,আপনাকে নিরাশ করব না আমি।″
কথাটা বলে ছুটন্ত পায়ে চলে আসল নিজ কক্ষে আঁখি,অতঃপর দরজা লাগিয়ে মুখ চেঁপে কান্না করে দিল।

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ৩৭