প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২০

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২০
প্রজ্ঞা জামান তৃণ

অপরাহ্ণের শেষ সময়। আবিদ ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে দর্শিনী নিশ্চুপ। দর্শিনী নির্বিঘ্নে আবিদের দিকে দৃষ্টিপাত করছে। যখনই আবিদ দর্শিনীর দিকে তাকায় দর্শিনী নজর সরিয়ে নেয়। আবিদের চোখে মুখে দু’ষ্টু হাসি। আবিদ মনোমুগ্ধকর হেসে দর্শিনীর উদ্দেশ্যে বলে,

‘জানেন আমি অনেক আগে নিজস্ব ডায়রীতে হৃদয়ের গহীনে শব্দচয়ন খুঁজে দুলাইন কবিতা লিখেছিলাম। আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন‍্যার জন‍‍্য। অনেক আগের ঘটনা এটা তখন আপনি আমার জীবনে ছিলেন না। আর অবিশ্বাস্য ঘটনা কী জানেন? আমার স্বপ্নে দেখা মেয়েটি আপনিই ছিলেন, কিন্তু আবছা। অবিশ্বাস্য হলেও আমি যেমন রাজকন‍্যা কল্পনা করেছিলাম আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে গেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তারপর আপনাকে যখন বাস্তবে দেখলাম একটু অবাক হয়েছিলাম। অনেক আশ্চর্যের বিষয় ছিল আমার কাছে। কাউকে বাস্তবে দেখার আগে স্বপ্নে কল্পনা করা বিরল ঘটনা। এটা আমার সঙ্গে ঘটেছে। কেনো কিসের জন‍্য আমি কিছু জানিনা। তখন থেকে আমি আপনাকে নিয়ে ভাবতাম। আপনাকে সবসময় মনে পড়তো। আমি আপনাতে মত্ত থাকতাম। তখন থেকে আপনাকে নিজের করতে চাইতাম। আপনি অনেক আগে থেকে আমার হৃদয়ে ছিলেন। দর্শিনী! আপনি কী শুনতে চান সেই কবিতা?’

দর্শিনী আঁখিদ্বয়ের বিস্ময়কর চাহনী আবিদকে পরোক্ষ করছে। আবিদ সেই বিস্মিত চাহনী দেখে হাসে। দর্শিনী আবিদের দিকে উৎসাহ নিয়ে তাকায়। অনেক আগ্রহী সে।চোখেমুখে তার বিস্ময়কর অবস্থা ফুঁটে উঠেছে। আবিদ দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,

‘তুমি সকালের মিষ্টি রোদ হয়ে দৃশ‍্যমান হও, আমি তোমাকে শরীরে মাখিয়ে প্রাণচ্ছল হাসতে থাকবো। তুমি শ্রাবণের বারী ধারার মতো ছুঁয়ে যাও, আমি তোমার মাঝেই শীতলতা খুঁজে নিবো। তুমি বৃষ্টি শেষে রংধনুর সাত রঙে দৃশ‍্যমান হও, আমি তোমাতেই আমার স্বপ্ন সাজাবো। আমি তেমন কিছু চাইনা আমার একটা তুমি চাই। যাকে হৃদয়ে সযত্নে লুকিয়ে রাখবো।’

______আবিদ বুকের বাঁপাশে হাত রেখে আবারো বলে,
‘আমার সেই সুদর্শিনী রাজকন‍্যা আপনি ম‍্যাম। যে এখন আমার কাছে সম্পূর্ণ দৃশ‍্যমান। দর্শিনী আপনি আমার অন‍্যতম অসুখ। যে অসুখ থেকে আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী কখনো সুস্থ হতে চায়না। কারণ সুস্থ হলেই যে নৃ’সংশ মৃ’ত্যু অবধারিত। আমি আপনাকে তুমি করে বলার অপেক্ষায় রয়েছি। আর কয়েকটাদিন তারপর আপনি আমার হবেন।’

দর্শিনী আবিদের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে রয়েছে। আবিদ মনোমুগ্ধকর হাসছে। দর্শিনী মন্ত্রমুগ্ধের ন‍্যায় সবটা শুনছে কিন্তু প্রতিত্তর করতে পারেনি। সে কী প্রতিত্তর করবে? দর্শিনী আবিদের অনুভূতিকে প্রতিত্তর করে পরিমাপ করতে চায়না। আবিদের তার দর্শিনীর জন‍্য অনুভূতি অশেষ। দর্শিনী নিজেও তো স্বপ্ন পুরুষকে চায়। তার স্বপ্ন পুরুষ আর কেউনা স্বয়ং আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী। এটা ভেবেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে দর্শিনীর।

মুহতাসিম ভিলা,
ড্রয়িং রুমে পিনপতন অবস্থা। প্রিয়মা বেগমের চাচাতো বোন রেহানা বেগম পুত্রের জেদের কাছে হার মেনে দর্শিনীকে চেয়েছেন। সবকিছু জানা সত্ত্বেও। আশরাফ মুহতাসিম থমথমে মুখে বসে রয়েছেন। প্রজ্জ্বলিনী ছাড়া বাকি সবাই হতাশ এমন প্রস্তাবে। দর্শিনীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। রাত পেরুলেই যেখানে বাগদান সম্পূর্ণ হবে। বিয়ের জন‍্য ডেট ফিক্সড করা হবে। সেখানে আজকে এমন প্রস্তাব অযৌক্তিক। আশরাফ মুহতাসিম চৌধুরী পরিবারকে কথা দিয়েছেন।

কথা খেলাফ করার মতো মানুষ তিনি নন। তাই যথেষ্ট বিনয়ের সঙ্গে তিনি রেহানা বেগমকে বুঝিয়ে নাকচ করে দেন। রেহানা বেগমের আর কিছু বলার বাকি নেই। নিহাল যেমনটা আশা করেছিল তেমন কিছুই হয়নি বরং নিরাশ হতে হয়েছে। বয়স্ক আহমেদ মুহতাসিম নিহালের পাশে বসে বেশ ভালো করে বুঝিয়েছেন। রেহানা বেগম, প্রিয়মা বেগম ও নিহালকে ভালো করে বোঝালেন। সবার অগোচরে নিহালের দু’চোখে অশ্রু জমা হয়। হয়তো কারো চোখে দৃশ‍্যমান হয়নি।

ছেলেদের চোখের পানি এতো সহজে গড়িয়ে পড়ে না। নিহাল বুঝতে পারছে সে বড্ড দেরী করে ফেলেছে। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর আগে কেনো সে আসেনি দর্শিনীর জীবনে? তাহলে হয়তো এতটা খারাপ লাগতো না। নিজের ইচ্ছে চাওয়া সবটা বুঝতে দেরী হয়ে গেছে। দর্শিনী এখন তার হবেনা। প্রজ্জ্বলিনী নিহালের জন‍্য কষ্ট পায়। সে বাবার কাছে সুপারিশ করেছিলো নিহালের জন‍্য কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আশরাফ সাহেব স্পষ্টত জানিয়েছে আবিদ দর্শিনীকে ভালোবাসে। আবিদ কিছুতেই এমনটা হতে দিবেনা। আশরাফ সাহেব নিজেও এমনটা চায়না।

ওয়াদা ভ’ঙ্গ করতে কোন সুস্থ মানুষ অন্তত পারেনা। রেহানা বেগম শুরু থেকে ছেলের পক্ষে ছিলেন কারণ তিনি ছেলের ভালো চাইতেন। এখন সবটা জানার পর নিজেই ছেলেকে ওয়াদা করিয়েছেন কোন রকম ঝামেলা যেন না করে। নিহাল তীব্র মনোঃকষ্টে মুহতাসিম ভিলা থেকে বেড়িয়ে যায়। রেহানা বেগম ছেলের এমন অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলেন। স্বামীহারা জীবনে ছেলেই একমাত্র সম্বল তার। নিহাল যদি প্রথমেই তাকে জানাতো তবে ছোটতেই দর্শিনীর সঙ্গে বাগদান করিয়ে রাখতো। কিন্তু এখন কিছু করা সম্ভব নয়। এই প্রথম ছেলের কোন চাওয়া অপূর্ণ রাখলেন তিনি।

প্রিয়মা বেগম বোনকে শান্ত্বনা দিলেন। রেহানা বেগম সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাইরে আসেন। নিহাল বাহিরে গাড়িতে বসে মায়ের জন‍্য অপেক্ষা করছে। প্রিয়মা বেগম আর আশরাফ মুহতাসিম রেহানা বেগমের সঙ্গে বাহির পযর্ন্ত আসলেন। আশরাফ মুহতাসিম তাদের থাকতে বলেন কিন্তু নিহাল থাকতে রাজি হয়নি। তার ভিতর বিশ্রীভাবে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। এখানে থাকলে দর্শিনীকে দেখলে আরো কষ্ট পাবে তাই ব‍্যাস্ততা দেখিয়ে ফিরে যায়।

ওদের গাড়ি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবিদের গাড়ি গেটে প্রবেশ করে। বাহিরে বাবা মাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দর্শিনী অবাক হয়। আবিদ গাড়ি থেকে নেমে দর্শিনীর পাশের দরজা খুলে দেয়। আবিদ শপিং ব‍্যাগ, ফলমূল গুলো বের করতে থাকে।একজন দাড়োয়ান আবিদকে সাহায্য করে। আশরাফ মুহতাসিম আবিদকে ভিতরে যেতে বলেছিল। কিন্তু আবিদ ব‍্যাস্ততার জন‍্য বাহির থেকেই চলে যায়।

দর্শিনী আবিদকে বিদায় জানিয়ে বাবা মার সঙ্গে ভিতরে চলে আসে। বাড়িতে সবাইকে গম্ভীর দেখে দর্শিনী কারণ জিগ্যেস করলে কেউ তাকে কিছু বলেনি। আশরাফ সাহেব তাকে আজকের ঘটনা আর নিহালের ব‍্যাপারে জানাতে চায়নি। বিষয়টি খুবই সেন্সিটিভ ছিল। দর্শিনী জানতে পারলে দুঃখ পাবে। তাছাড়া এমনিতে প্রজ্জ্বলিনী আর দর্শিনী নিহালকে সারাজীবন ভাইয়ের চোখে দেখে এসেছে। এখন এসব জানলে বাজে ভাবে ইফেক্ট করবে দর্শিনীর। তাই তিনি সবাইকে নিষেধ করে দেন দর্শিনীকে জানাতে।

বাবার সিদ্ধান্তে প্রজ্জ্বলিনী একদম নাখুশ।প্রজ্জ্বলিনী ভাই হিসাবে নিহালকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করে। হ‍্যাঁ প্রথমে নিহালের দর্শিনীকে পছন্দ করার ব‍্যাপারটায় প্রচন্ড অবাক হয়। তবুও প্রস্তাব তো খারাপ ছিলনা। সরকারী ম‍েডিক‍েলের ডাক্তার তার উপর পরিচিত ভাই। নিহালের সঙ্গে দর্শিনীর বিয়ে হলে মেয়েটা সুখী হতো। তার ধারণা অন্তত আবিদের মতো ধুরন্ধর লোকের হাত থেকে বেঁচে যেতো। হয়তো চৌধুরী পরিবারকে কথা দেওয়া ছিল কিন্তু বাগদান তো হয়নি। তাদেরকে একবার জানালেই পারতো আশরাফ মুহতাসিম।

দর্শিনীর অগোচরে এতোকিছু ঘটে গেছে দর্শিনী টেরও পায়না। সে ফুরফুরে মেজাজে নিজের রুমে চলে যায়। আশরাফ মুহতাসিম আর প্রিয়মা বেগম সব ভুলে কালকের জন‍্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। উজান প্রজ্জ্বলিনীকে ঘরে রেখে শ্বশুরকে সঙ্গ দেয়। কাল সকাল থেকে কাজে ব‍্যাস্ত হয়ে পড়বে তারা। এখন কিছু প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেললে কালকের জন‍্য সহজ হবে। এদিকে প্রজ্জ্বলিনী সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলেই দর্শিনীকে নিহালের ব‍্যাপারে জানাবে। দর্শিনীকে নিহালের ব‍্যাপারে জানাতে পারলে কিছুটা সুবিধাই হবে বলে তার ধারণা।

দর্শিনী শাওয়ার নিয়ে সবেমাত্র বের হয়েছে। চুল মুছতে মুছতে বেলকনিতে গিয়ে নিশ্চিন্তে বসে। হুট করে তার আবিদের কথা মনে পড়ে। আবিদের সব দুষ্টুমি, তার জন‍্য লেখা কবিতা সবকিছু মনে পড়ে।দর্শিনী রুমে গিয়ে আবিদের নাম্বারে টেক্সট করে পৌঁছে গেছে কিনা। অনেকক্ষণ পর আবিদ তাকে ফোন দেয়। এভাবে বেশকিছুক্ষণ কথা বলার পর আবিদ তাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বলে ফোন রেখে দেয়।

দর্শিনী ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়। আজকের দিনটা দর্শিনীর জীবন অন‍্যতম একটা দিন ছিল।সারাদিন যা হয়েছে দর্শিনীর এক এক করে সব মনে পড়ছে। ঘুম কিছুতেই আসছে না। আবিদের সঙ্গে কাটানো মুহুর্ত গুলো বারবার মনে পড়ছে। মানুষটা তার জন‍্য কতোটা পাগল উপলব্দি করতে পারছে।

দর্শিনী নিজেও আবিদের উপর ভিষণ ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে। ব‍্যাস কালকে বাগদান হবে তারপর বিয়ে। বাগদান বলতে অর্ধেক বিয়ে ধরা হয়। আর কিছুদিন পর দর্শিনী স্বপ্নের নায়ককে স্বামী রূপে পেয়ে যাবে। ভাবনার মাঝেই ম‍্যাসেজের শব্দ পেয়ে দর্শিনী তৎক্ষণাৎ ফোনটা হাতে নেয়। আবিদ টেক্সট করেছে তাকে।
‘কোন কথা ছাড়া তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। আমাকে নিয়ে ভাবার জন‍্য সারাজীবন সময় পাবেন দর্শিনী। একদম রাত জাগবেন না। উপদেশ নয় আদেশ করছি। কালকে আপনি খুব সুন্দর করে সাজবেন। আর আমি আপনাকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকবো।’____

শুধু এটাই লিখেছে আবিদ। দর্শিনী মিষ্টি করে হেসে চোখ বন্ধ করে নেয়। আবিদ তাকে না দেখেই কতো ভালো বুঝতে পারে। অন‍্যকেউ পারেনা কেনো?আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী দর্শিনীর কাছে রহস‍্যময় বটে। আবিদের কথা ভাবতে ভাবতে দর্শিনী ঘুমের রাজ‍্যে তলিয়ে যায়।

চৌধুরী বাড়িতে,
সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু আবিদের রুমে আলো জ্বলছে। আবিদ বেলকনিতে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে। আবিদ নিহাল সম্পর্কে কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছে। সে মুহতাসিম ভিলার খোঁজখবর নিতে লোক ঠিক করে রেখেছিল আগে থেকে। দর্শিনীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সময় দর্শিনীর বাবা মাকে বাহিরে দেখেই আবিদের সন্দেহ হয়েছিল। সেই সন্দেহ আরো গাঢ় হয় নিহালকে মুহতাসিম ভিলা থেকে যেতে দেখে। যখন খবর পেলো নিহাল তার মাকে নিয়ে এসেছিল দর্শিনীকে চাইতে। আর আবিদ দর্শিনীর বিয়েটা ভে’ঙ্গে দিতে। তখন আবিদের মাত্রাতিরিক্ত রাগ হচ্ছিলো। পরে যখন শুনলো আশরাফ মুহতাসিম তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আবিদ নিজেকে কোনরকম শান্ত হয়। আবিদ অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে নির্বিকারভাবে বলে,

‘আপনিতো আমাকে সবদিক দিয়ে পোড়াচ্ছেন সুদর্শিনী। আপনি শুধু সুদর্শিনী নন তেজস্বিনীও বটে। আপনার সরলতা, তেজস্বিনী রূপ সবাইকে দগ্ধ করছে, হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করছে, এটা আমার পছন্দ নয় দর্শিনী। আমার অপছন্দ এমন কাজ বারবার হতে পারেনা আমি সহ‍্য করিনা। আপনি শুধুমাত্র আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর ব‍্যাক্তিগত। আপনাতে দগ্ধ হওয়ার অধিকার একমাত্র আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীরই থাকবে। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী ব‍্যাতিত অন‍্যকারো না।’

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ১৯

[ প্রিয়দর্শিনী গল্পের মেইন ফিমেল লিড। আমি আগেও বলেছিলাম সে অনেক সুদর্শিনী। আচার, ব‍্যাবহার, সৌন্দর্য, ম‍্যাচিউরিটি সব দিক দিয়ে। এমন মেয়েকে কেউ অপছন্দ করতে পারেনা। তাই তাকে সবাই পছন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে নায়ক তো সবাই হতে পারেনা কিন্তু খলনায়ক সবাই হতে পারে। দর্শিনীর স্বপ্নের নায়ক তো সেই পুরুষ যে দর্শিনীর হৃদয়ে রয়েছে। তাই এতো অধৈর্য‍্যবান হবেন না গল্পটা উপভোগ করুন। ভুলত্রু’টি ক্ষমার নজরে দেখবেন রিচেক করা হয়নি। আগের মতো রেসপন্স করার অনুরোধ রইল পাঠকবৃন্দ

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২১ (১ম অংশ)