প্রিয়োসিনী পর্ব ২৬

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৬
নীরা আক্তার

“কাছে আসো! একটু আদর করে দেই,আর কতো কাঁদবা? “ইসরাক চোখ বন্ধকরেই নওরিনকে কথাগুলো বলে মুচকি হাসে।
থেরাপির পর তাকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে।এইধরনের থেরাপিতে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও ইসরাকের মাথাটা ভার হয়ে আছে।
পাশে নওরিন আর নোহা বসে কান্না কাটি করছে।একেই মাথা ব্যাথ্যা তার উপর দুইজন ক্রন্দনরত নারীর কান্নার শব্দে ইসরাকের প্রাণ যায় যায় অবস্থা।
ইসরাকের এমন কথাশুনে নোহা কান্না থামিয়ে ফিক করে হেসে দেয়।নওরিন একটু থেমে আড় চোখে তাকায় নোহার দিকে….

নোহা চোখের পানি মুছে বলে উঠে,
-আই থিংক তোমাদের পার্সোনাল টাইম দরকার…আমি আসছি।
নোহা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়,
ইসরাক বালিশ ছেড়ে নওরিনের কোলে মাথা রাখে,
-আমার ক্রন্দনরত, অসহায় নারী পছন্দ নয় আমার পছন্দ অগ্নীকন্যা,প্রতিবাদী নারী….যাকে একনজর দেখলেই কলিজায় আগুন লেগে যাবে।
নওরিন ভ্রু কুচকে তাকায়….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-কেরোসিন নিয়া আসি?একেবারে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিই…শুধু কলিজা না তখন সর্বাঙ্গই পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
ইসরাক মুচকি হাসে,
-সমস্যা নেই তোমাকে দেখলে আমার কলিজা ঠান্ডা হয়।ধরে নাও আমি আগুন আর তুমি পানি।তবে পছন্দ তো আর বদলাতে পারবো না, আমার এখনো অগ্নীকন্যাই পছন্দ।
কথা বলতে বলতে ইসরাক নওরিনের হাতটা নিজের মাথায় নিয়ে যায়,

-হাত বুলায়ে দাও…ব্যাথ্যা করছে…
নওরিন ইসরাকের চুল টেনে ধরে,
-পছন্দ করেছিলেন তো এক অগ্নীকন্যা, আপনার কলিজায় আগুন ধরিয়ে আপনারই বন্ধুর সাথে ভেগে গেলো…উফ্ জ্বলে!খুব জ্বলে না
ইসরাক একটু বিরক্ত হয়,
-কি সব কথা বলো
-বাবাহ্ এতো প্রেম!
-বাদ দাও।আমার প্রেম তো তুমি
-কেন দিবো?
–আচ্ছা ধরে থাকো!অতীত নয় বর্তমানকে ধরে থাকো।আমাকে ধরে থাকো শক্ত করে

নোহা বাহিরে আসতেই তিয়াশ নোহাকে টেনে একটা কোণায় নিয়ে যায়। দেয়ালের সাথে চেপে ধরে,তিয়াশ একদম নোহার কাছে ঝুকে যায়….
-আর কতো অপেক্ষা করবো?
-(….)
-কিছু বলো না কেন?কি চাও তুমি নোহা?
-(…)
-আমি কি ইসরাক কে বলবো?
তিয়াশ খেয়াল করে নোহা কাঁপছে।প্রচন্ড ভয়ে জড়সড় হয়ে আছে মেয়েটা।তিয়াশ নোহাকে ছেড়ে দেয়।
নোহা কান্না করে দেয়,

-কাঁদছো কেন নোহা?আমি তো কিছু করি নি।
-(…)
-আমাকে ভয় কিসের?এতো দিনেও কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো না?
-(…)
-আচ্ছা সরি ভুল হয়ে গেছে।আর কখনো করবো না।প্লিজ কেঁদো না!
নোহা নিজেকে সামলিয়ে, হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখ মুছে নেয়।
–আমি পুরুষ মানুষ ভয় পাই তিয়াশ ভাই….তাদের ছোয়া আমার কাছে বিষের মতো লাগে।অনেক চেষ্টা করেও আমি যে স্বাভাবিক হতে পারি না!এভাবে কি করে সংসার করবেন?
তিয়াশ একটু অবাক হয় আর তার সাথে অনেকটা হতাশও হয় নোহার মুখে তিয়াশ ভাই শব্দটা শুনে,চোখে মুখে বিষাদের ছাপ।

-তুমি কি চাও আমি সারা জীবনের জন্য তোমার থেকে দূরে চলে যাই?যদি হ্যা বলো কথা দিচ্ছি আমি কখনো তোমার সামনেও আসবো না।
নোহা কোনো উওর না দিয়ে চলে যেতে থাকে…
পেছন থেকে তিয়াশ ডেকে উঠে,
-আজকে অন্তত উওরটা দিয়ে যাও….আর যে পারি না!
নোহা জোরে নিঃশ্বাস ফেলে,
–আপনি দাভাইয়ের সাথে কথা বলুন।দাভাই রাজি থাকলে যদি চান আজই মা বাবাকে নিয়ে আসুন।সব জেনে যদি আপনার পরিবার আমায় গ্রহন করে, কথা দিচ্ছি আজই আপনাকে বিয়ে করে নেবো!
আনন্দে তিয়াশের চোখদুটো চকচক করতে থাকে…

-আজই বলি?
-দাভাই অসুস্থ
-আরে না তোমার দাভাই তোমার মতোই স্ট্রং। এতো সহজে কিছু হয় না।
-কিহ্?
-না মানে তোমাকে ভাঙ্গতে কতো সময় লাগলো দেখলা না!
-আমাকে ভাঙ্গতে চান?
-হুম্ম ভেঙে আমার সাথে মিশিয়ে নিতে চাই।
তিয়াশ একটু থেমে বলে উঠে,

-ইসরাকে আজকেই ছেড়ে দেবো।তেমন কোনো সমস্যা হবে না।তিনমাস পর পর আর দুইটা থেরাপি দিলেই ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।
নোহা চুপ করে আছে।তিয়াশ একটু পর নিজে থেকেই মিন মিন করে বলে উঠে
-আজকেই আসি আমি?মা বাবাকে আগেই বলে রেখেছি।তোমার ছবিও… না মানে!
নোহা হেসে দেয়।কেন হাসলো সে জানে না।এভাবে তিয়াশের সামনে হাসাও ঠিক না তবুও সুখ,দুঃখ আর হাসি চেপে রাখা খুব কঠিন।

-দাভাই আর আপনার ইচ্ছে…
-একজন প্রেমিকের কাছে তার প্রিয়োসিনীকে পাওয়ার আনন্দ কতোটা সেটা কেবল সেই প্রেমিকই বুঝে।আমি আর অপেক্ষা করতে চাই না।
তিয়াশ ইসরাককে একরকম সরাসরিই জানিয়ে দেয় সে নোহাকে পছন্দ করে।সে আর তার পরিবার রাজি থাকলে আজই বিয়ে করে নেবে।আজ কেমন যেন তার মনে ভয় কাজ করছে না।অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে।
ইসরাক কোনো ভণিতা না করেই উওর দেয়,

-নোহা জানে?ওর সাথে কথা হয়েছে?ও সম্মতি দিয়েছে?
তিয়াশ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে,
-হুম্ম একটু আগেই।
ইসরাক শোয়া থেকে উঠে এসে তিয়াশকে জড়িয়ে ধরে।তিয়াশ ভ্যাব্যাচ্যাক্যা খেয়ে যায়।
-আমি খুব খুশি!
তিয়াশও মুচকি হাসে।

দুপুরের আগেই ইসরাক আর ইশা দুজনকে এক সাথেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।ইশা বাড়ি ফিরবে না।একরকম জোর করেই তাকে আনা হয়েছে।ইশা হাটতে পারে না।ইমতিয়াজ সিকদার খুব যত্ন করে মেয়েকে কোলে করে ঘরে পৌছে দেন।মেয়েকে তিনি হুইল চেয়ারে কিছুতেই বসতে দেবেন না
আমান আবার এইসব বিষয়ে বড্ড উদাসীন।কোনো কিছুই যেন তার গায়ে লাগে না

নওরিন সিকদার বাড়িতপ আসতে চায় নি। তবে জিনাত সিকদার জোর করে নওরিনকে তাদের সাথে আসার জন্য।
নওরিন না যাওয়ার তাল বাহানা করছিলো।সে মনে মনে আশা করেছিলো ইসরাক হয়তো তাকে বলবে,আবদার করবে কিন্তু ইসরাক নিশ্চুপ।ইসরাক না বললে সে যাবে না। এদিকে জিনাত সিকদার নওরিনকে কিছুতেই ছাড়ছে না।
নওরিন রাগে কেঁদে দেয়।
জিনাত সিকদার দমে যায়।কিছু একটা আঁচ করে দুজনকে একা ছেড়ে দেয়,
মা চলে যেতেই ইসরাক নওরিনকে জড়িয়ে ধরে,

-ছাড়ুন
-কাঁদো কেন?
-আমি বাড়ি যাবো।আপনার মাকে বলুন আমার সাথে জিদ না করতে
-আচ্ছা বলে দিবো।
-হু
ইসরাক হেসে দেয়,
-আমি চেয়েছিলাম একে বারে স্বসম্মানে তোমাকে ঐ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।কিন্তু…
নওরিন ভ্রু কুচকে তাকায়,
-তিয়াশের বাড়ি থেকে লোক আসবে নোহাকে দেখতে।তুমি বাড়ির বউ।
-বাড়ির বউ না আপনার বউ।আমার বাড়ির সাথে না আপনার সাথে বিয়ে হয়েছে।
-ওকে ওকে কুল!

ইসরাক নওরিনের কপালে চুমু খায়।নওরিন ইসরাককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
অনেক জোড়াজুড়ির পর নওরিন আসতে রাজি হয়।শর্ত একটাই দেখাদেখি শেষ হয়ে গেলে নিবিড় ভাইয়ের সাথেই সে ফিরবে।
ইসরাকও তাতে সায় দেয়।

নওরিনের এ বাড়িতে ফিরে আসায় শিউলি পারভিন বড্ড অখুশি।তার উপর ইশার সাথেও আমানের বিয়ে হয়ে গেছে।রাগে গা জ্বলছে তার।মেয়ের বিয়ের চিন্তায় মাথা ঘুরছে।
বিছানায় পা তুলে বসে আছেন তিনি।বাড়িতে আসার পর থেকে জিনাত সিকদার তার সাথে একবারও দেখা করেনি।সে নিজে থেকে কথা বলতে গেলে কতো শত ব্যস্ততা দেখিয়েছে।
মাকে এমন মন মরা দেখেও স্নেহা কোনো প্রশ্ন করে না।
তিনি নিজেই স্নেহাকে কাছে ডাকেন,ইদানীং মেয়ের সাথে তার সম্পর্কের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।

-কিছু বলবা?
-ইসরাককে তোর কেমন লাগে?
-ভাইয়া তো ভালোই
-ভাই ডাকিস কেন?তোর মায়ের পেটের ভাই নাকি?
-কি বলতে চাও
-আমি চাই ইসরাকের সাথে তোর….নওরিন চলে যাবে!
স্নেহা কিছু একটা আঁচ করতে পেরে মাকে কথার মাঝেই থামিয়ে দেয়,
-যতটুকু বলছো ততটুকুতেই থেমে যাও।
-আমি তোর ভালো চাই।

-চাইতে হবে না। তোমার কুপ্রভাব এতোদিন আমার উপর পরেনি ভবিষ্যৎও পড়বে না।আমি কালই বাবার কাছে ফিরে যাবো।তারপর হোস্টেলে উঠে পড়বো।
-তোকে আমার কাছে রাখার জন্যই তো
-দরকার নেই।আমি সন্মান নিয়ে বাঁচতে চাই
শিউলি পারভিন আর কথা বাড়ায় না।নিরবে চোখের পানি ফেলতে থাকে।স্নেহা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে ঘরে চলে যায়।

সন্ধ্যায় তিয়াশ আসবে তার বাবা মাকে নিয়ে।সঙ্গে অবশ্য তিশা আর নিবিড় ও আছে।তিয়াশ নোহাকে বিয়ে করতে চায় এই বিষয়টা তিয়াশ অনেক আগেই মাকে জানিয়েছিলো।নোহা যে রাজি হচ্ছে না সে ব্যাপ্যারেও তিনি জানেন।তবে ছেলের খুশির উপরে কিছু নেই তার কাছে।

প্রথম দিকে ইমতিয়াজ সিকদার সম্মতি দেন না।হটাৎ এভাবে বললেই তো বিয়ে দিয়ে দেওয়া যায় না।তারউপর বাড়ির দুই ছেলেমেয়ের এমন অসুস্থতা সব মিলিয়ে বিয়ের পরিবেশ নেই। তিনি আপাতোতো বিয়ের কাজে যেতে চান না।
নোহা সিকদার বাড়ির মেয়ে ধুমধাম করে বিয়ে দিবে তার।এভাবে না দেখে না জেনে বিয়ে হয় নাকি?
ইসরাক বাবাকে বোঝায়, তিয়াশ বিশ্বস্ত ছেলে।ছোট বেলা থেকেই দেখেছে তাকে।বিয়েতে অমত করার প্রশ্নই উঠে না।আর অনুষ্ঠান তো যেকোনো সময়ই করা যায়।

ছোট কাকাও সম্মতি জানায়।এর আগে যতোবারই নোহাকে বিয়ের কথা বলেছে
নোহা এক কথায় না করে দিয়েছে।আজ যখন মেয়ে রাজি হয়েছে তখন না করাটা একেবারে বোকামি।
প্রায় সাতটা নাগাদ তিয়াশ এসে উপস্থিত হয় সিকদার বাড়িতে।
ইসরাক আর ছোটকাকা তাদের ড্রইংরুমে বসান।ইমতিয়াজ সিকদার আর জিনাত সিকদার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলো।
নোহা জীবনে প্রথমবার আজকে শাড়ি পড়েছে।নওরিন আর স্নেহা তাকে সাজিয়ে দিয়েছে।
নওরিন নোহার কানের পেছনে একটা টিপ লাগিয়ে দেয়,

-ভীষণ মিষ্টি লাগছে তোমায়।নজর লেগে যাবে তাই দিলাম
নোহা একটু হাসে।কিন্তু কিছু বলে না…
-ভয় লাগছে?
-না নওরিন…কেমন যেন লাগছে অন্যরকম।
-ভয় পেয়ো না তিয়াশভাইয়া খুবই ভালো।তুমি ভালো থাকবে
-নওরিন আমার ও তো একটা অতীত আছে আছে।বিয়ের আগে এটা কি তিয়াশকে জানানো উচিৎ নয়?
নওরিন কিছু একটা ভেবে উওর দেয়,

-নাহ্ কিচ্ছু বলতে হবে না।দূর্ঘটনা ভেবে ভুলে যাও।শুধু শুধু অতীত খুঁচিয়ে নিজেকে অসম্মানের পাত্রী বানিয়ো না।তুমি কোনো অন্যায় করো নি।
পাশ থেকে স্নেহা বলে উঠে,
-জীবন সঙ্গীকে এভাবে ঠকানো ঠিক না নোহা।তোর সবকিছু বলে দেওয়া উচিৎ।তারপর সব শুনে যদি রাজি হয় তাহলে বুঝবি সত্যিই ভালোবাসে আর না রাজি হলে ভুলে যাবি।মনে করবি সব ফেইক
নোহা মাথা নাড়ে…..

একটু পর নোহাকে সবার সামনে আনা হয়।তিয়াশ হা করে তাকিয়ে আছে নোহার দিকে।নোহাকে সে কখনো এভাবে দেখিনি তার উপর শাড়ি উফ্ আগুন…!!!
তিশা কুনুই দিয়ে তিয়াশকে ধাক্কা দেয়,
-বিয়ে না করতেই ক্যাবলা কান্ত হয়ে গেলি
-চুপ থাক

তিয়াশের মায়ের নোহাকে বেশ পছন্দ কি মিষ্টি চেহারা।একদম ডানা ছাড়া পরী।তিনি নোহাকে আদর করে কাছে ডেকে নেন।কোনো কথা ছাড়ায় হাত থেকে বালা খুলে নোহাকে পড়িয়ে দেন।
বিয়ের কথা বার্তা পাকা।তিয়াশের পরিবার চায় আজই নোহার সাথে তিয়াশের বিয়েটা পড়িয়ে দিতে।ইমতিয়াজ সিকদার প্রথমে আমতা আমতা করলেও পরে আর অমত করেন না।
কাজী ডাকা হয়।কিছুক্ষণের মধ্যে কাজীও উপস্থিত হয়…..ঠিক বিয়ে পড়ানোর আগ মুহূর্তে নোহা থামিয়ে দেয়,

–আমার কিছু বলার আছে।
তিয়াশ অবাক চোখে তাকায়….
-কি বলবে?
-চাইল্ড অ্যাবিউজিং শব্দটা শুনেছেন?আই ওয়াজ রেপড।তখন আমার বয়স খুব কম হয়তো সাত আট বছর নয়তো তারও কম….আসলে মনে রাখতে চাইনি তাই রাখিনি।ভীষন কষ্ট হয়।তবে লোকটাকে মনে আছে।আঙ্কেল বলে ডাকতাম।বয়স ছিলো ৪০ বা তারও বেশি।হি অ্যাবিউজড মি।
এতটুকু বলেই নোহা মাথা নিচু করে নেয়।
তিয়াশ একটু অবাক হয়ে বলে উঠে,

-মজা করছো?
-আপনার মনে হয় আমি মজা করছি?
তিয়াশের মা লাফ দিয়ে উঠে দাড়ান।তিয়াশ বাহিরে চল।
–আম্মু
–আসতে বললাম তো।
ভদ্র মহিলা এতোটুকু বলেই তিয়াশের হাত ধরে টেনে বাহিরে নিয়ে যান।পেছন পেছন তিয়াশের বাবা ও ছুট লাগায়।তিশাও উঠে যায়।নিবিড় তখনো সেখানে বসা।

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৫

নোহা স্ট্যাচু হয়ে বসে আছে।ছোট কাকি কেঁদছেন বিয়েটা বোধহয় ভেঙ্গেই গেলো।
নোহা কি মনে করে হাত থেকে বালা জোড়া খুলে পাশে রেখে দেয়।
কাজী বলে উঠে..
বিয়ে কি হবে না??

প্রিয়োসিনী পর্ব ২৭