প্রিয়োসিনী পর্ব ৩১

প্রিয়োসিনী পর্ব ৩১
নীরা আক্তার

নোহা ঘরের সোফায় দুইপা তুলে বসে বসে ভীষন রকম রোমান্টিক একটা মুভি দেখছে।রাতে সে কিছু খায় নি।অনেক জোর করলেও সে কিছু খায় না।খেতে ইচ্ছে করছে না তার।
তিয়াশ রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে,সব গুছিয়ে, তিশাকে ঘরে শুয়ে দিয়ে এসেছে।
তিশা খেতে বসে দুইবার খাবার মুখে দিতেই গড়গড় করে বমি করে দেয়।ব্যাস খাওয়া শেষ।তিয়াশ বোনকে উঠিয়ে ঘরে নিয়ে যায়।বোনকে পরিষ্কার করে বিছানায় শুয়ে দিয়ে আসে…..

তিশার শরীর খারাপ লাগছে।তিয়াশ তিশার পাশে থাকতে চাইলে তিশা জোর করে ভাইকে ঘরে পাঠিয়ে দেয়।তার ভাষ্যমতে…
-একটু পর তো নিবিড় চলেই আসবে…কোনো সমস্যা হলে সে ভাইকে ডেকে নিবে!তার এখন বউয়ের কাছে যাওয়া উচিৎ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তিয়াশ ও বেশি জোড়াজুড়ি করে না বার কয়েক বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে তিশা চোখ বন্ধ করে নেয়।তিয়াশ ড্রইং রুমে আসে।সব পরিষ্কার করে রেখে নিজের ঘরের দিকে হাটা দেয়।মা-বাবা কেউ নেই, আপাতোতো বোনের দায়িত্ব তার।নিজের দায়িত্বে কখনো অবহেলা করা যাবে না।যাকিছুই হোক না কেন!
নোহা ঘরে থাকায় এইসবের কিছু টের পায় নি।তিয়াশও নোহা কে ডাকে নি।তিশাকে সামলানোর জন্য ও একাই যথেষ্ট।
তিয়াশ ঘরে এসে দেখে নোহা সোফায় মাথা ঠেকিয়ে বেশ মনোযোগ দিয়ে মুভি দেখছে।তিয়াশ ভ্রু কুচকে ওয়াশরুমে চলে যায়।নিজেও ক্লিন হয়ে বেরিয়ে আসে।
নোহা একই ভাবে মুভি দেখছে…

-বউ তুমি এইসব দেখার জন্য খাবার খেতে যাও নি?
নোহার ভ্রু কুচকে যায়,
-কি সব, আজীব তো!
-ঐ যে ঐ সব…
মুভিতে তখন একটা কিসিং সিন চলছিলো…
নোহা বিরক্তের সাথে উওর দেয়,
-এগুলো নরমাল… সব মুভিতেই থাকে।ওভাবে বলার কি আছে।বাই দ্যা ওয়ে আপনিই না বললেন আমাকে বেশি বেশি মুভি দেখতে।দেখছি তো।

-শুধু মুভি না রোমান্টিক মুভি।
তিয়াশ নোহার দিকে এগিয়ে আসে।টিভি অফ করে, তাকে দুম করে কোলে তুলে নেয়,
-সেসব এখন বাদ।আমি তো আছি যা শেখানো লাগে তা আমিই শেখাতে পারবো।যথেষ্ট নলেজ আছে আমার…
তিয়াশ নোহাকে বিছানায় শুয়ে ছোট্ট করে একটা চুমু খায়।
-এখন তোমার পালা।খাও বরকে একটা চুমু খাও।চুমু খেলে মন ভালোথাকে!
নোহা লজ্জায় হেসে দেয়….
বর্তমানে তিয়াশের কাছে অনেকটা কম্ফোর্টেবল ফিল হয় তার আগের মতো এতোটা সংকোচ নেই।
-বুঝছি তুমি পারবা না……আমাকেই শুরু করা লাগবে!

একটু পর কলিং বেলের শব্দে তিয়াশ লাফিয়ে উঠে,
ভ্রু কুচকে নোহার দিকে তাকায়,
-বউ তুমি দাড়াও আমি দরজা খুলে দিয়ে আসি বোধহয় নিবিড় ভাই আসছে….
তিয়াশ বিছানা থেকে উঠে টিশার্ট পরে নিজেকে গুছিয়ে বেড রুমের দরজা খুলতেই তিশার চিৎকার শুনতে পায়।তিশা প্রচন্ড জোরে চিৎকার করা শুরু করে দিয়েছে।
তিয়াশ বোনের গলা পাওয়া মাত্র সেদিকে ছুট লাগায়…
নোহাও নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসে!

ইসরাক নওরিনকে টেনে টুনে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসাই।নওরিন ইচ্ছা মতো হাত পা ছুড়ছে..ইসরাক ধাম করে গাড়ির দরজাটা আটকে দিয়ে পাশে গিয়ে বসে পড়ে
বড় বড় চোখ করে তাকায়,
-আশ্চর্য,তুমি এমন করছো কেন?
-ছাড়ুন আমি কোথাও যাবো না…

-তোমাকে তো এমনি এমনি আমি ছাগল বলি নাই….এই যে দেখো কেমন ছাগলের তিন নাম্বার ছানার মতো লাফাচ্ছো!
নওরিন চোখ বড়বড় করে তাকায়…
একটা লোক কি করে এতোটা বিয়াদপ হতে পারে
নওরিন শান্ত হয়ে বসে….
-দেখুন ভাইয়া বলেছে আমি যেন আপনার সাথে কথা না বলি,ওবাড়িতে যেন না যাই।
ইসরাক একটু হতাশ হয়,

-কি আশ্চর্য ভাইয়া বলেছে বলে তুমি নিজের বরের মানে আমার কাছে যাবা না?তোমার নিজের কোনো মতা মত নাই?কেউ কিছু বললেই সেটা শুনতে হবে?
ইসরাক একটু ধমক দেয়।নওরিন কান্না করে দেয়,
-আমার মতের দাম কে কবে দিলো?আপনি ও তো দেন নি?জোর করেন নি আমায়?না বলেছিলাম তো…ফাজিল কোথাকার!অসভ্য জামাই একটা!
ইসরাক একটু অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়,

-আমার ভুল হয়ে গেছে….মাথা ঠিক ছিলো না!
–আমি এখন আপনাকে দশটা লাত্থি তিনটা কিল চারটা থাপ্পর মেরে,আপনাকে খুন করে, কংকাল বানিয়ে, আমার বেডরুমে ঝুলায়ে যদি বলি আমার ভুল হয়ে গেছে,মাথা ঠিক ছিলো না তখন মানবেন?
ইসরাক একটু হাসে…নওরিনে কথার কোনো যুক্তি সে খুজে পায় না।
-নির্লজ্জ পুরুষমানুষ!
-কোন কথার কোন উওর।
ইসরাক একটু অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়,

-দেখো নওরিন যা হয়েছে সেটা অন্যায়… হয়তো তুমি কখনো ভুলবা না।মাফ করে দিবা আমি জানি।কারণ ন্যায় অন্যায় বিচার করার মতো সেন্স তোমার কখনো ছিলো না ভবিষ্যতে হবে কি না বুঝতেছিনা।তুমি পানির মতো যখন সেই পাত্রে থাকো সেই পাত্রের আকার ধারণ করো।যখন যে যা বলে তাই শুনো।গাধা মেয়ে একটা
নওরিন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে,
কতো সুন্দর ভাবে তাকে পঁচিয়ে দিলো!
নওরিন ইসরাকের চুল ধরে টানতে থাকে,

-বাবা নওরিন তুমি রাগও করো জানতাম না।
নওরিন আরো ক্ষেপে যায়,ইসরাকের গলায় সজোরে কামড় বসিয়ে দেয়।
ইসরাক একটু চেচিয়ে উঠে,
নওরিনের থেকে একটু দূরে দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে বসে পড়ে,
-নওরিন এই ছিলো তোমার মনে?চুলোচুলি কামড়াকামড়ি করার জন্য সতীন লাগবে সেটা আগে বললেই তো পারতা।আমার সাথে এসব করার দরকার কি….তোমাকে গুনে গুনে চারটা সতীন এনে দেবো।ওদের সাথে মারা মারি করে ক্লান্ত আমার কাছে এসো আদর করে দেবো নি।

নওরিন রাগে কান্না করে দেয়,মাথাটা অসম্ভব গরম হয়ে গেছে।
ইসরাক সিরিয়াস মুখ করে প্রশ্ন করে,
-তুমি কি সত্যিই আমার সাথে যেতে চাওনা? থাকতে চাও না?নিবিড়ের কথা না….আমি তোমার কথা শুনতে চাই নওরিন!বলো?এন্সার মি!
নওরিন চুপ করে থাকে। উওরটা সে নিজেও জানে না।
ইসরাক এক গাল হেসে বলে উঠে

-মৌনতা সম্মতির লক্ষন। চলো তোমাকে তোমার বাড়ি নিয়ে যাবো।বাবার বাড়ি বেশি দিন থাকলে লোকে জামাইকে গাল মন্দ করবে!আর তোমার শেয়াল ভাইকে আমি একদম বিশ্বাস করি না।একবার বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ভাগিয়েছি।এবার তো আমি গুড বয় হয়ে গেছি।ঐসব ঝামেলায় যাবোই না….।বন্দুক কেন গোলাপেরও ভয় দেখাবো না কাওকে!

চলো চলো তোমার বেড তোমার জন্য ওয়েট করছে।সবচেয়ে বড় কথা তোমার জামাই তোমার জন্য ওয়েট করছে।
নওরিন ইসরাকের দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়।কি ভয়ংকার লোকটা।ইসরাকের মুখে বাঁকা হাসি।নওরিন ক্লান্ত হয়ে
সিটে গা এলিয়ে দেয়,লোকটাকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার।কর্মের ফল তো সে পায় নি এখনো, এর চোখের পানি নাকের পানি যদি এক না করেছে তাহলে তার নামও নওরিন না। ব্যাস একটা সুযোগের অপেক্ষা।ইসরাক সিকদার কে ঠান্ডা মাথায়,কাঁদিয়ে ছাড়বে।
নওরিন মনে মনে ভাবতে থাকে। কি করা যায় এর সাথে?

প্রায় ঘন্টাখানিক পর ইসরাক নওরিনকে নিয়ে সিকদার বাড়িতে পৌঁছায়।
নওরিন গাড়ি থেকে নামছেই না।ইসরাক নওরিনকে আবার কোলে তুলে নেয়।
-নামতে হবে না।আমিই নিয়ে যাচ্ছি।পুরানো বউ হলে কি হবে ভালোবাসা তো আর পুরানো হয় না!
-আপনি আমাকে এভাবে আনলেন কেন?
-কি বললাম শুনো নাই?
-আমাকে বিশ্বাস করেন না?

-তোমাকে বিশ্বাস করি কিন্তু তোমার ভাইকে না…আর শিয়ালের ক্যারেক্টার প্লে করা সাগরকে তো একদমই না।ছাগল যখন আমার, ছাগলের দায়িত্বও তখন আমার।
-আবার বললেন!
-কথার কথা বললাম…
ইসরাক কথা বলতে বলতে নওরিনকে নিয়ে তার ঘরে চলে যায়।নওরিনকে বিছানায় বসিয়ে নিজে নওরিনের সামনে মেঝেতে বসে পড়ে…

-একটা চুমু দিবা?না থাক একটু পর আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর দাও।
কথা বলতে বলতে নওরিনের দিকে একটা শাড়ি ছুড়ে দেয়
-পরো পরো…এগুলো কি পরে রাখছো…তোমাকে দেখতে গ্রামের চাচাতো বোনের মতো লাগছে।তারাতাড়ি বউ হয়ে যাও।ইসরাক সিকদারের বউ।

ইসরাক জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।লম্বা সাওয়ার নেবে সে।তারপর জামাই সাজবে।নতুন জামায়।
নওরিন ঘরের এদিক সেদিক চোখ বুলায়।ঘরটা আগের মতো নাই।নতুন করে ডেকুরেট করা হয়েছে।দেয়ালে বড় করে ঝুলানো তাদের বিয়ের ছবি।ছবি কখন তুললো?আল্লাহ্ মালুম।
হালকা পার্পাল কালার থিমে ডেকুরেট করা ঘরটা।সাথে হালকা ফুল,ক্যান্ডেল…যেখানে সেখানে গোলাপের পাপড়ি ছেটানো।সব মিলিয়ে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।নওরিন মুচকি হাসে।ছুটে গিয়ে
ওয়াশরুমের দরজাটার ছিটকিনিটা বাহিরে থেকে লাগিয়ে দেয়….
এবার বেরিয়ে দেখান!!

ইসরাক নওরিনকে নিয়ে যাওয়ার পর পর সাগরও রওনা হয়,
-কি আশ্চর্য এভাবে নওরিনকে নিয়ে যাওয়ার কি আছে।সে সত্যি শেয়াল নাকি যে নওরিনকে খেয়ে ফেলবে তার চেয়ে বড় কথা নওরিন কি ছাগল?
সাগর নিচের বুকে নিজেই কয়েকবার আলতো থাপ্পড় দেয়।
“নওরিনকে বর্তমানে সে অন্যের স্ত্রী হিসেবেই দেখে।দেশে ফিরেছে নিজের কাজে।ফিরার কথা শুনে নিবিড় ই তাকে জোড় করে এবাড়িতে এনেছে।সেতো নিজে থেকে আসে নি।নিবিড় ভাই কতো ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে এই পরিস্থিতিতে ফেল্লো তাকে।”

ইসরাকের এভাবে নওরিনকে নিয়ে যাওয়া তার মানে লেগেছে।তারউপর নিবিড়কে জানালে সে তো রীতিমতো সাগরকে ধমকে দিয়েছে।
নিবিড়ের ধমক খেয়ে সে নওরিনের পিছু পিছু উপস্থিত হয় সিকদার বাড়িতে।নওরিনকে ফিরিয়ে না আনলে নিবিড় তার হাড্ডি ভেঙ্গে গুড়া গুড়া করে দিবে।একদিকে বাঘ একদিকে সিংহ।মাঝে নিবিড় একা দাড়িয়ে আছে।প্রথমে দাড়ওয়ান ঢুকতে না দিলেও সে একরকম জোড় করেই ভেতরে ঢুকে পরে….

ছুটতে ছুটতে ড্রইংরুমে আসতেই ধাক্কা খায় স্নেহার সাথে।স্নেহা উল্টে পড়ে যায় মেঝেতে।হটাৎ ধাক্কায় টাল সামলাতে পারেনি।সাগর নিজেকে সামলে নিয়ে দিব্যি দাড়িয়ে আছে।কিন্তু স্নেহা মেঝেতে পড়ে রক্ত চক্ষু করে সাগরের দিকে তাকিয়ে আছে।
হাতে থাকা গোলাপ ফুলে ভরা ডালার সব ফুল মেঝেতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে…. এগুলো ইসরাক তাকে ঘরে দিয়ে যেতে বলেছিলো!
সাগর মিনমিন করে সরি বলে

-সরি সরি দেখতে পাই নি..
-কি চাই
-নওরিন কোথায়
সাগর কথাটা বলা মাত্র স্নেহা উঠে এসে সাগরকে সজোরে থাপ্পড় দেয়,
-বখাটে ছেলে, অসভ্য বাবা মা শিক্ষা দেয় নি।বিবাহিত মেয়ের পেছনে হাত পা ধুয়ে পরে আছেন।পিচ্ছিল নির্লজ্জ ছেলে।শরীরের পিছলা ধুয়ে দেয়নি মনে হয়….এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফালায়ে দিবো।
সাগর স্নেহাকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সিক্যিউরিটি গার্ডরা উপস্থিত হয়।
স্নেহা একরকম চেচিয়েই বলে উঠে,

-এটাকে ধরো…হাতপা সব বেঁধে ফেলো।তারপর পিটিয়ে তক্তা বানিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেবো।ধরো ধরো!
সাগর অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিকে।
-ঘুরে ফিরে কেন বার বার এই ডাকাত মেয়ের পাল্লাতেই পরতে হচ্ছে?এই মেয়ে কি এখন সত্যি সত্যিই তাকে পেটাবে?ওহ এম জি!
সাগরকে কিছু বলতে না দিয়ে তারা তাকে চেপে ধরে, তারা এক মুহূর্ত দেরী না করেই মুখ হাত বেঁধে সোফায় বসিয়ে দেয়।বাড়ির বড়রা যে যার ঘরে।এতো বড় সিকদার বাড়ির ড্রইং রুমের খবর ঘর থেকে পাওয়া অসম্ভব…..
স্নেহা কোথা থেকে একটা লাঠি এনে সাগরের সামনে ঘুরাতে থাকে,

-আমার ভাবিকে ফলো করা হচ্ছে তাই না?গ্রামের চাচাতো ভাইয়ের অত্যাচারে তো দেখছি ভাবি আমার শান্তি মতো রোমান্স ও করতে পারবে না…
স্নেহা কথাটা বলে জিহ্বায় কামড় দেয়।কি সব বলছে সে….
সাগর বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিকে…মুখ বাঁধা থাকায় কিছু বলতেও পারছে না।
স্নেহা সাগরের সামনে আঙ্গুল নাচাতে নাচাতে বলতে থাকে,

-আমার ভাই ভাবিকে ডিসটার্ব করার ফল আজকে গুনে গুনে বুঝিয়ে দেবো।
বাহাদুর চাচা পুলিশ কে ফোন করুন।পুলিশকে বলবেন সিকদার বাড়িতে ডাকাত পরেছে।এই লোকটা আমাকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছে।এটাও বলবেন,আমি যেতে না চাওয়ায় আমাকে এসিড নিক্ষেপেরও চেষ্টা করেছেন এই লোকটা….।
স্নেহা সাগরের দিকে হাতের তর্জনী আঙ্গুল দেখিয়ে গার্ডকে কথাটা বলে।
সাগরের প্রাণ যায় যায় অবস্থা….পারলে সে এক্ষুনি বেহুস হয়ে যাবে।

এরই মাঝে নিবিড় এসে উপস্থিত হয় সিকদার বাড়িতে।ভেতরে ঢুকেই সাগরকে এভাবে বাঁধা দেখে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে যায়।
স্নেহাকে ধমক দেয়,
স্নেহা নিবিড়কে চিনে। নওরিনের ভাই সে তাকে অসন্মান করার প্রশ্নই উঠে না….
সে মিন মিন করতে করতে সাগরের মুখ খুলে দেয়,

প্রিয়োসিনী পর্ব ৩০

নিবিড় কিছু বলতে যাবেই তার আগেই তার ফোন বাজতে থাকে।তিয়াশের নাম্বার। এই নিয়ে সাতবার ফোন করেছে।নিবিড় যতোবারই কাটছে তিয়াশ ততোবারই কল করেই যাচ্ছে।
তিয়াশ বিরক্ত হয়ে কলটা রিসিভ করে।ওপাশ থেকে নোহার গলা…..

প্রিয়োসিনী পর্ব ৩২