ফেরারি প্রেম পর্ব ৩৬

ফেরারি প্রেম পর্ব ৩৬
নিশাত জাহান নিশি

“আমি তোমার কী ক্ষতি করেছি সবিতা আপু? তুমি কেন এমন করছে আমার সাথে? কেন আমাকে এভাবে ভয় দেখাচ্ছ?”
সঙ্গে সঙ্গেই ঐ পাশ থেকে কলটি কেটে দেওয়া হলো! যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। তবুও টের পেলনা নীহারিকা। ভয়, আশঙ্কা এবং কৌতূহল থেকে সে বেখেয়ালী হয়ে রইল। বিরামহীনভাবে কিছুক্ষণ হ্যালো হ্যালো করে ফোনটি বিছানার উপর ছুঁড়ে মারল। কান্নারত অবস্থায় সে তার কপালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো খাঁমচে ধরে সারাময় পায়চারি করতে লাগল। প্রখর অস্থিরতা নিয়ে বিড়বিড় করে বলল,

“আমার কী উচিৎ একবার সবিতা আপুর বাড়িতে যাওয়ার? ফোনের ঐ পাশের মহিলাটি কী সত্যিই সবিতা আপু ছিলেন? না-কী পুরোটাই আমার মনের ভুল ছিল?”
মিনিট কয়েক নীহারিকা তার এলোমেলো ভাবনা চিন্তা গুলোর সাথে লড়াই করল। শেষ মুহূর্তে এসে একটি মোক্ষম সিদ্ধান্তে পৌঁছে সে রূপলের নাম্বারে কল করতে বাধ্য হলো! সবেমাত্র চোখ লেগে এসেছিল রূপলের।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কিছুক্ষণ আগেও রূপল বিছানায় পড়ে ছটফট ছটফট করেছিল! শাওয়ার নেওয়ার পর শরীরে কিছুটা শান্তি পেয়েছিল। অধিকাংশ রাত নির্ঘুম কাটিয়ে তার মাঝরাতেই ঘুমানোর অভ্যাস। এরমধ্যেই আবার নীহারিকার কল। খানিকটা বিরক্তবোধ হয়েই রূপল পিটপিটে চোখে একবার স্ক্রীনের দিকে তাকালো। এতরাতে কে কল করল সেদিকে তাকালোনা সে! বরং ঘুম জড়ানো গলায় কলটি তুলে বলল,

“হ্যালো।”
দ্রুত গলায় নীহারিকা প্রশ্ন ছুড়ল,
“সবিতা আপু কী আপনাদের বাসায়?”
নীহারিকার গলার স্বর ধরতে পারল রূপল। ঘুমের ঘোরেই সে প্রত্যত্তুরে নীহারিকাকে বলল,
“উঁহু। বাড়ি ফিরে গেছে।”
“কখন গেল?”

“দশটা কী এগারোটা নাগাদ।”
“হৃদি কোথায়?”
“সবিতার সাথেই। কেন?”
“আমার সাথে একটু সবিতা আপুর বাড়িতে যেতে পারবেন?”
“উঁহু। ঘুমুচ্ছি আমি!”

কলটি কানে রেখেই রূপল গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল! একটি বারের জন্যেও জিজ্ঞেস করল না নীহারিকা কেন এত রাতে তাকে কল করল বা সবিতাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কেন তাকে জিজ্ঞাসা করল! নীহারিকা কিছুক্ষণ হ্যালো হ্যালো করে বিরক্ত হয়ে কলটি কেটে দিলো। হতাশ হয়ে সে ধপ করে বিছানার উপর বসল। রূপলের বেখেয়ালি আচরণে সে বেজায় কষ্ট পেল। মনে জেদ এনে অনড় গলায় বলল,

“ঐ কেয়ারলেস লোকটার আশায় বসে থাকব নাকী আমি? আমি এখন একাই সবিতা আপুর বাড়ি যাব! মনে সন্দেহ নিয়ে চুপচাপ বসে থাকার পাত্রী নই আমি।”
রাত তখন সাড়ে তিনটা পেরিয়ে। বুকে বল নিয়ে নীহারিকা একাই ছুটল সবিতার বাড়ির উদ্দেশ্যে! বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নীহারিকা বাড়ির ভেতর কারো একটা ছায়া দেখতে পেয়েছিল! ছায়াটি রান্নাঘরের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল৷ হয়ত তার মা পানি খাওয়ার জন্য রান্নাঘরের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। সেই ভেবে নীহারিকা বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামালো না৷ তবে এই বিষয়ে নীহারিকা নিশ্চিন্ত ছিল যে তার মা তাকে দেখেনি!

ঘন অন্ধকারে ঢাকা এই মাঝরাতে গাড়ি ঘোড়ার কোনো সন্ধান পেলনা নীহারিকা। চারিদিকে নীরবতা খাঁ খাঁ করছে। রাতের এই নিকষ কালো অন্ধকারটা অনায়াসে মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট! বাড়ি থেকে নীহারিকা অদম্য সাহস নিয়ে বের হলেও বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বড্ড ভয় পাচ্ছে! ভাগ্যের ফেরে একটা গাড়ি পেয়ে গেলে হয়ত এই ভয়টা তার কাজ করত না!

কিন্তু এই মুহূর্তে তো গাড়ি পাওয়া মুশকিল। আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই অনেকটা অসম্ভব কাজ। পায়ে হেঁটেও সবিতাদের বাড়িতে যাওয়া তার পক্ষে দুঃসাধ্য কাজ। কী করবে না করবে ভেবে পাচ্ছিলনা নীহারিকা।
দুমনায় জর্জরিত হয়ে নীহারিকা অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলো বাড়িতে ফিরে যাওয়ার! চাইলেই সবকিছু সম্ভব নয়। কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকে।

ঝুঁকি নিয়ে এই মাঝরাতে বের না হয়ে বরং সকালে বের হলেও এতে ক্ষতি কিছু হবেনা। বিষণ্নতায় ভুগে নীহারিকা বাড়ির মেইন গেইটের দিকে মোড় নিতেই হঠাৎ একটি হর্ণের আওয়াজ ভেসে এলো নীহারিকা কানে। অন্তরআত্তা কেঁপে উঠল নীহারিকার। চট করে সে হাঁটা থামিয়ে পিছু ফিরে তাকালো।অমনি অবিশ্বাস্যভাবে সে বাইক নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসা রূপলকে দেখতে পেল!

রগচটা ভাব নিয়ে রূপল নীহারিকার কাছে এসে বাইকটি থামালো। বাইকের চাবিটা হাতে নিয়ে সে শার্টের কলারটা পেছনের দিকে ঝেড়ে গরম দৃষ্টিতে নীহারিকার দিকে তাকালো। দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন ছুড়ল,
“কী পেয়েছেনটা কী আপনি আমাকে? যখন মনে হচ্ছে তখনই আমাকে কল করে বিরক্ত করছেন! সময় অসময় বুঝছেন না। এখানে ওখানে নিয়ে যেতে বলছেন কারণটা কী?”

রূপলকে দেখে যতটা না খুশি হয়েছে নীহারিকা এরচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছে রূপলের ইতরামিপূর্ণ কথাবার্তায়। অবিলম্বেই মাথা নুইয়ে নিলো নীহারিকা৷ নিচু গলায় বলল,
“সরি।”
“সরি বললেই কী সব সলভ হয়ে গেল? আমার ঘুমের যে এত বড়ো ক্ষতি হয়ে গেল? এর ক্ষতিপূরণ কে দিবে? কীভাবে দিবেন?”

মনমরা ভাব থেকে কিছুটা তেতে উঠল নীহারিকা। রূপলের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো সে! খরখরে গলায় বলল,
“আমিতো আপনাকে ফোর্স করিনি আসার জন্য। এলেন কেন হ্যাঁ? এসে আবার আমার সাথে মেজাজ দেখানো হচ্ছে!”
নীহারিকার রেগে ওঠা দেখে রূপলের রাগ আরও তিনগুন বেড়ে গেল! মুখমণ্ডলে তার তুখোড় রাগের ছাপ। আঙুল উঁচিয়ে সে নীহারিকার দিকে তাকালো। ঝাঁজালো গলায় বলল,

“একদম উঁচু গলায় কথা বলবেন না আমার সাথে! মাথা নষ্ট হয়ে গেলে আমি কিন্তু ছাড় দিবনা আপনাকে! কখন কী থেকে কী করে ফেলব নিজের উপরও কন্ট্রোল থাকবেনা তখন!”
রূপলের হুমকি ধমকি এবং রাগকে পাত্তা দিলোনা নীহারিকা! ঘুরে এসে সে রূপলের বাইকের পেছনে বসল। ভাবশূণ্য হয়ে বেশ অধিকার খাঁটিয়ে রূপলকে বলল,
“সবিতা আপুর বাসায় চলুন।”

নীহারিকার স্বাভাবিক আচরণে অবাক হলো রূপল! নীহারিকা যে তার রাগ এবং তাকেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করল সে বিষয়েও শতভাগ নিশ্চিত সে! রাগে বোম হয়ে হুট করে বাইক থেকে নেমে পড়ল রূপল। নীহারিকার দিকে তেড়ে এসে চোয়াল উঁচিয়ে বলল,
“নামুন আমার বাইক থেকে! ইনডিরেক্টলি আপনি আমাকে ইনসাল্ট করেছেন!”

রূপ বদলে নিলো নীহারিকা। চোখ উঠিয়ে রূপলের দিকে তেজী দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। একরোখা গলায় বলল,
“আর আপনি যে আমাকে ডিরেক্টলি ইনসাল্ট করেছেন এবং এখনও করছেন তার বেলায়? আমিতো এতে কোনো রাগ করছিনা বা রাগ দেখাচ্ছিও না। কারণ, আমি জানি আপনি অনেক রাগী! তাই পাল্টা রাগ না দেখিয়ে বরং আপনার রাগকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।”

রাগ কিঞ্চিৎ মিইয়ে এলো রূপলের! নীহারিকার মন ভুলানো কথায় নরম হয়ে এলো সে। শিথিল দৃষ্টিতে এক পলক তাকালো নীহারিকার দিকে। বিড়বিড় করে বলল,
“ইশ! কত বুঝে মেয়েটা!”

নীহারিকার কথায় রূপল তার আচার-আচরণে সন্তুষ্টতা বুঝালো না! বরং বেশ ভাব সাব নিয়ে বাইকে ওঠে বসল। বাইক ঘুরিয়ে সবিতাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। চলতি পথে হঠাৎ তার মাথায় এলো এত রাতে তারা কেন সবিতাদের বাড়িতে যাচ্ছে? ঝগড়ার চোটে মনেই ছিলনা মূল কারণটা জিজ্ঞেস করতে। আগ্রহী হয়েছে রূপল উত্তেজিত গলায় নীহারিকাকে শুধালো,

“ওয়েট ওয়েট। এত রাতে আমরা সবিতার বাড়িতে কেন যাচ্ছি?”
“মনের সন্দেহ থেকে।”
“মানে? কীসের সন্দেহ?”
“আমার মনে হচ্ছে ফোনের ঐ পাশের মহিলাটি সবিতা আপু ছিল!”
“ধ্যাত। বুঝিয়ে বলুন। আপনার কথার আগা মাথা আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।”

“একটু আগে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এসেছিল।”
“হ্যাঁ তো? সবিতার নাম্বার তো আপনার কাছে অপরিচিত নয়।”
রূপলের কথায় কান দিলোনা নীহারিকা। বরং সে তার নিজের খেয়ালে ব্যস্ত থেকে উদ্বিগ্ন গলায় বলল,
“ভয়ঙ্কভাবে চ্যাচাচ্ছিল সবিতা আপু! পুরোটাই আমার কাছে নাটক মনে হয়েছিল! আমাকে ভয় দেখানোর নাটক!”

তৎক্ষনাৎ বাইকটা থামিয়ে দিলো রূপল। ঘাড় ঘুরিয়ে নীহারিকার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। রাগে রি রি করে বলল,
“মাঝরাতে মজা করার জন্য আপনি আমাকে ডেকে এনেছেন? এখন তো মনে হচ্ছে আপনি শুধু নিজের সাথে না ইভেন আমার সাথেও নাটক করছেন! এসবের মানে কী ইউ স্টুপিট গার্ল?”
রূপলের উগ্র ব্যবহারে আঘাত না পেয়ে নীহারিকা বরং ধৈর্য্য সমেত অবিচল গলায় বলল,

“বিলিভ মি আমি আপনার সাথে মজা করছিনা। আমার সাথে যা যা ঘটছে তাই বলছি। সত্যিই ঐ মহিলার ভয়েসটি সবিতা আপুর ছিল। তাই আমি কনফার্ম হওয়ার জন্য সবিতা আপুদের বাড়িতে যাচ্ছি।”
“দেখি নামুন বাইক থেকে। আপনাকে প্রথম থেকে বিশ্বাস করে আসাটাই আমার ভুল ছিল! হয় আপনার মানসিক সমস্যা আছে নয় আপনি কল্পনার জগতে বাস করছেন!”
ঘাবড়ে গেল নীহারিকা। অমনি উপায় বুদ্ধি খুঁজে না পেয়ে সে রূপলের হাত দুটি চেপে ধরতে বাধ্য হলো। অসহায় গলায় বলল,

“প্লিজ মিস্টার রূপল। মাঝপথে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাবেন না। অনেক আশা নিয়ে আপনার কাছে হেল্প চেয়েছিলাম আমি। প্লিজ আমাকে নিরাশ করবেন না।”
নীহারিকার অসহায়ত্বে ভরা মুখের দিকে তাকিয়ে অবিশ্বাস্যভাবেই রূপল তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হলো! নীহারিকাকে সাহায্য করার জন্য উদ্ধত হলো। তবে রাগ একরত্তিও কমল না তার! তুখোর জেদ নিয়ে সে পুনরায় বাইকে ওঠে বসল। বাইক স্টার্ট করে দাঁতে দাঁত চেপে নীহারিকাকে শুনিয়ে বলল,

“যতসব পাগলনীর পাল্লায় পরেছি আমি! রিডিকিউলাস!”
নীহারিকা ভেতরে ভেতরে বেশ ফুলছিল! তবে প্রয়োজনের স্বার্থে চুপ হয়ে রইল! জিম খিঁচে সব অপমান সহ্য করছিল। সময় সুযোগে সব অপমান উসুল করবে বলে আশায় রইল!

ঢুলুঢুলু চোখে সবিতা নীহারিকার দিকে তাকিয়ে আছে। অতিরিক্ত ঘুমের তাড়নায় একই জায়গায় বসে থাকতে পারছেনা সে। তবে নীহারিকার নজর সবিতার দিকে নয়। বরং সবিতার রুমের আনাচে কানাচে। বাড়ির বাইরে রূপল বাইক নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এতরাতে সবিতার বেডরুমে যাওয়াটা তার কাছে শোভনীয় মনে হলোনা তাই। এছাড়াও নীহারিকার কাজে রূপল বিরক্ত! সব মিলিয়ে তার মন মেজাজ বিগড়ে আছে।

ঘুমের রেশ কিঞ্চিৎ কাটিয়ে উঠল সবিতা। নীহারিকার দিকে পূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। বড়ো একটি হামি তুলে বলল,
“কী ব্যাপার নীহারিকা? তুমি হঠাৎ এই মাঝরাতে আমার বাড়িতে?”
প্রশ্নটা এড়িয়ে গেল নীহারিকা। জোরপূর্বক হেসে সবিতাকে বলল,
“না মানে আপু। তোমার গলার আওয়াজটা হঠাৎ চেঞ্জ হয়ে গেল কীভাবে? রাতারাতি ঠাণ্ডা লেগে গেল নাকী তোমার?”
নির্বোধ গলায় সবিতা বলল,

“মানে? আমার গলা তো এমনই। কিছুটা ভাঙা ভাঙা। তোমার প্রশ্নের মানে আমি বুঝলাম না।”
“আচ্ছা বাদ দাও। তুমি কী নতুন সিম নিয়েছ?”
“না তো! কেন?”
“হৃদি কোথায়?”
“পাশের রুমেই ঘুমুচ্ছে।”
“তোমরা একসাথে ঘুমাও না?”

“ঘুমাই। তবে আজ হৃদি হয়ত খেলতে খেলতে ঐ রুমে চলে গেছে। ঘুমে ছিলাম তো আমি। তাই টের পাইনি।”
জায়গা থেকে ওঠে দাড়ালো নীহারিকা। পাশের রুমে গিয়ে দেখল হৃদি ঘুমুচ্ছে! নীহারিকা সূক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সবিতার পুরো বাড়িটা পর্যবেক্ষণ করল। কথায় কথায় সবিতার ফোনটাও চেক করে দেখল। তবে ডুয়েল সিমের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পেলনা সে! সবিতার কথাবার্তায়ও কোনো সন্দেহের আঁচ পেলনা! তবে সবটাই নীহারিকার মনের ভুল ছিল? ফোনের ঐপাশে সবিতা নয় বরং অন্য কেউ ছিল?

ফেরারি প্রেম পর্ব ৩৫

নীহারিকা পুরোপুরি হতাশ হয়ে সবিতার বাড়ি থেকে বিদায় নিলো। এই মাঝরাতে হঠাৎ সবিতার বাড়িতে আসার কারণটা সবিতা তেমন তলিয়ে দেখলনা! এই বিষয়ে তার কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিলনা!

ফেরারি প্রেম পর্ব ৩৭