বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ২৭

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ২৭
লেখিকা: তানজিল মীম

বৃষ্টির মধ্যে আহিকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ির দিকে অগ্রসর হচ্ছে আদ্রিয়ান। আহিকে কোলে নেওয়ার ফলে হাতের ছাতাটাকে নিচে ফেলে দিয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে সেটা মাটিতে গোড়াগুড়ি খাচ্ছে। আদ্রিয়ান আহিকে কোলে নিয়ে সোজা গাড়িতে বসিয়ে দিলো তারপর চটজলদি ছাতাটা মাটি থেকে উঠিয়ে সেটা বন্ধ করে গাড়ির ভিতর নিয়ে নিলো সে। তারপর সেও গিয়ে বসলো গাড়িতে। বৃষ্টিতে ভিজে গেছে সেও, আদ্রিয়ান চটজলদি গাড়িতে বসে গাড়ির দরজা আঁটকে বলে উঠল ড্রাইভারকে,

‘ চলো?’
‘ বাড়ি যাবেন স্যার?’
ড্রাইভারের কথা শুনে আদ্রিয়ান কিছুক্ষন ভেবে বললো,
‘ হুম বাড়িই চলো।’
উওরে ড্রাইভার আর বেশি কিছু না বলে গাড়ি চালাতে শুরু করলো। আর আদ্রিয়ান আহিকে ঠিক মতো ধরে চুপটি করে বসে রইলো গাড়িতে। বৃষ্টিতে ভিজে পুরো একাকার হয়ে গেছে আহি। চোখে মুখে পানি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে,আদ্রিয়ান তাঁর গায়ের কোটটা খুলে আহির গায়ে জড়িয়ে দিলো। মুখের সামনে থাকা চুলগুলোও হাত দিয়ে সরিয়ে দিল সে। আদ্রিয়ান বুঝতে পারছে না এই মুহূর্তে তার ঠিক কি করা উচিত?’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির গতি এতটাই তীব্র যে এই রাতে গাড়ি চালাতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে ড্রাইভারকে। আকাশটা পুরো ঘন কালো মেঘে ঢেকে আছে। মাঝে সাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। এই বৃষ্টির কথা ভেবে আদ্রিয়ানের শ্রীমঙ্গের সেই রাতটার কথা মনে পড়ছে যেই রাতে আহি পথ ভুলে তাঁর কাছে এসেছিল তাঁর খরগোশ ছানাটাকে নিয়ে। আনমনেই হেঁসে উঠলো আদ্রিয়ান। তবে আহির জন্য বেশ খারাপ লাগছে তাঁর। যদিও এসব ভালোবাসার ওপর বিন্দুমাত্র ধারনা নেই আদ্রিয়ানের। কারন সে তো মেয়েদের একদমই পছন্দ করতো না। তবে সব মেয়েদের চেয়ে এই আহি মেয়েটা ভীষণ আলাদা। ভেবেই আদ্রিয়ান তাকালো আহির ভেজালো মুখের দিকে। একরাশ স্রিগ্ধতা ঘেরা যেন এই চেহারায়, মায়াবী টানা টানা চোখ,গোলাপি ঠোঁট আর বেশিক্ষণ তাকালো না আদ্রিয়ান চটজলদি চোখ সরিয়ে ফেললো আহির ওপর থেকে কেমন এক ঘোরে আঁটকে যাচ্ছে সে। আদ্রিয়ান কিছু একটা ভেবে আহির গায়ে জড়িয়ে দেওয়া কোটটাকে উপরে উঠিয়ে মুখ ঢেকে দিলো আহির। এই জিনিসটা কেন করলো আদ্রিয়ান জানে না কেন যেন আহির চেহারাটায় এই মুহূর্তে তাকাতে চাইছে না আদ্রিয়ান।’

বেশ কিছুক্ষণ পর,
আদ্রিয়ানের গাড়ি এসে থামলো আদ্রিয়ানের বাড়ির গেটের সামনে। গাড়ির থামতেই আদ্রিয়ান আহিকে কোলে তুলে ভিতরে চলে গেল। আর ড্রাইভারও গাড়ি পার্ক করে চলে গেল নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে।’

আদ্রিয়ান আহিকে কোলে করে নিয়ে এসে সোফার উপর শুয়ে দিলো। তারপর কল করলো নিলয়কে। আজ একটু তাঁড়ায় থাকায় নিলয় আগেই বেরিয়ে গিয়েছিল বাড়ি। প্রথম কলে ফোন না তুললেও দ্বিতীয় কল তুললো নিলয় উপরে আদ্রিয়ানের নাম্বার দেখে বেশ অবাক হয়ে বললো সে,
‘ এতো রাতে ফোন দিলি কোনো কি প্রবলেম হয়েছে?’
‘ হুম।’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে চিন্তিত মাখা মুখ নিয়ে বললো নিলয়,
‘ কি হয়েছে?’
নিলয়ের কথা শুনে আদ্রিয়ানও একে একে সব গুছিয়ে বললো নিলয়কে। নিলয় তো সব শুনে অবাক হয়ে বললো,
‘ এখন তবে কোথায় আহি?’
‘ এই তো ড্রয়িং রুমের সোফায় শুয়ে আছে।’
‘ কি ও এখন তোর বাসায়?’

‘ হুম তবে কি করতাম ওই মেয়েটার বাসার এড্রেস জানি নাকি আমি যে পৌঁছে দিবো, আর ওই বৃষ্টির মধ্যে ছেড়ে আসতেও পারছিলাম না তাই নিয়ে এসেছি, এখন কি করবো বৃষ্টিতে ভিজে গেছে পুরো তারপর জ্ঞান নেই অজ্ঞান হয়ে গেছে।’
‘ এখন এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি?’
‘ তুই কি করতো পারোস মানে তোর গার্লফ্রেন্ডরে ফোন লাগা আর ওঁকে নিয়ে আমার বাসায় চলে আয়?’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে নিলয় চমকে উঠে হতভম্ব কন্ঠে বললো,
‘ তোর মাথা খারাপ হইছে এত রাতে ওকে কিভাবে আনবো আমার হিটলার শশুর জানতে পারলে আমায় ওখানেই মেরে দিবে তারওপর এতো বৃষ্টি কিভাবে সম্ভব।’
‘ ওতো শতো জানি না আর এমনিতেও ওর তো ডাক্তার আইথিংক খুব বেশি প্রবলেম হবে না।
আধ ঘন্টার মধ্যে তুই আর তোর গার্লফ্রেন্ড দুজনকেই আমার সামনে দেখতে চাই তা না হলে তোর চাকরি শেষ।’
বলেই ফোন কেটে দিলো আদ্রিয়ান। আর আদ্রিয়ানের কাজে নিলয় দু বার ‘হ্যালো হ্যালো’ করে মাথায় হাত দিলো ‘এখন কি করবে সে।’

রুমের মধ্যে পায়চারি করছে আদ্রিয়ান। ভিষণ টেনশন হচ্ছে তাঁর। তাঁর ওপর আহি এখনো ভেজালো অবস্থায় শুয়ে আছে সোফাতে। ঘড়ির কাঁটায় একটার ছুঁই ছুঁই। এখনও নিলয়ের আসার খবর কেউ?’ বাহিরেও বৃষ্টিটা এতটা বেড়ে গেছে যে নিলয়দের আশা সত্যি টাফ। এরই মধ্যে আদ্রিয়ানের বাসার কলিং বেল বেজে উঠল আদ্রিয়ান বুঝতে পেরেছে কারা এসেছে তাই সেও চটজলদি গিয়ে খুললো দরজা। দরজা খুলতেই আরিশা আর নিলয়ের কাঁদা মাখা মুখ দেখে আদ্রিয়ান অবাক হয়ে বললো,
‘ এভাবে ভূত হয়ে এসেছিস কেন তুই?’
উওরে নিলয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
‘ তুই তো আর কথাই বলিস না, আসার সময় ঠ্যাং উল্টে পড়ে গেছি।’

বলেই হন হন করে ভিতরে ঢুকে গেল নিলয়। আরিশা অনেক আগেই ঢুকে পড়েছিল রুমে। নিলয়ের কথা শুনে আদ্রিয়ান এগিয়ে এসে হেঁসে বলে উঠল,
‘ তুই কি চোখে দেখিস না?’
উওরে নিলয় কিছু বলবে তার আগেই আরিশা বলে উঠল,
‘ ওর শরীর তো পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে কতক্ষণ যাবৎ অজ্ঞান হয়ে আছে আদ্রিয়ান ভাইয়া?’
আরিশার কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো আদ্রিয়ান,
‘ আধ থেকে এক ঘন্টা।’

কাঁথা মুড়ি দিয়ে বেঘোরে ঘুমিয়ে আছে আহি কিছুক্ষন আগেই আরিশা আহির ড্রেস পাল্টে ইনজেকশন পুস করে দিয়েছে। যার ফলে এখন আহি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।’
অন্যদিকে বাড়ির দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে আরিশা আর নিলয়কে থ্যাংকস জানিয়ে বিদায় জানালো আদ্রিয়ান। আপাতত আদ্রিয়ান টেনশন মুক্ত। কারন আরিশা বলেছে ভয়ের কোনো কারন নেই কালকের মধ্যেই আহি ঠিক হয়ে যাবে। আদ্রিয়ান ছোট্ট শ্বাস ফেলে দরজা আঁটকে দিয়ে গা এলিয়ে দিলো সোফায়। কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে রইলো সে কিছুক্ষন আগে কি কি হলো সব এঁকে এঁকে মনে করতে লাগলো আদ্রিয়ান। আহির লাস্ট কথাটা এখনো বাজছে আদ্রিয়ানের কানে।’
‘ এমন কেন করলে ভাইয়া আমায় কি একটু ভালোবাসা যেত না?’

সাথে সাথে চোখ খুলে ফেললো আদ্রিয়ান। পরক্ষণেই নিরাশ হয়ে ভাবলো সে এক্ষেত্রে তাঁর কি করার। সবারই নিজের নিজের লাইফ আছে। হঠাৎ আদ্রিয়ানের চোখ গেল আহির দেওয়া সেই বিয়ের দিনের গোলাপি খামের লাভ লেটারের চিঠিটার দিকে। সেটা এখনো আদ্রিয়ানের বুক সেলফের ওপরই আছে। এ কদিনে একবারও এটার কথা মনে পড়ে নি আদ্রিয়ানের। আদ্রিয়ান কিছু একটা ভেবে হেঁটে চলে যায় বুক সেলফের কাছে। তারপর আনমনেই চিঠিটা হাতে নিয়ে চলে যায় সে বুক সেলফের পিছনে থাকা টেবিলটার দিকে। বাহিরে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে, মনে হয় না আজ রাতে আর এটা থামবে। আদ্রিয়ান বেশি কিছু না ভেবেই গোলাপি খাম থেকে চিঠিটা বের করলো। তারপর ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করলো সে,
চিঠিটা খুলতেই প্রথমেই যে নামটা ভেসে আসলো আদ্রিয়ানের চোখের সামনে সেটা হলো,
প্রিয় নীরব ভাইয়া,

ঠিক বুঝতে পারছি না তোমাকে আমার অনুভূতিগুলো কিভাবে গুছিয়ে বলবো। লাস্ট বারো বছর যাবৎ তোমাকে শুধু আমার অনুভূতিগুলোই বলতে চাইছি কিন্তু কিছুতেই জেনো বলতে পারছিলাম না। যতবারই ভাবি তোমার সামনে গিয়ে বলবো আমার অনুভূতিগুলোর কথা ততবারই কোনো না কোনো প্রবলেম এসে দাঁড়ায়। তাই আমার এই অনুভূতিগুলো আজ চিঠির মাধ্যমে লিখে তোমায় বলবো। প্লিজ ভিতরে লেখাগুলো পড়ে আবার রাগ করো না।’
তোমার সাথে সেই ছোট্ট বেলায় যখন প্রথম আলাপ হয়েছিল সেদিনই তোমায় খুব ভালো লেগেছিল আমার। আমি পড়ে যাওয়ায় তোমার এগিয়ে দেওয়া সেই হাত এখনো অনুভব করি আমি। এরপর আবার যখন তুমি আমি একসাথে পড়াশোনা করতাম, তুমি আমায় হেল্প করতে অংক বুঝাতে বিশ্বাস করো আমার বেশ লাগতো এখনো লাগে।

তোমার সাথে সেই ছোট বেলা কাটানোর প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা স্মৃতি এখনো যেন খুব মিস করি আমি। তোমার মনে আছে সেই ছোট বেলায় যখন আমাদের বাড়ির পিছনের সেই বড় গাছটার কাছ থেকে দুটো বাবুইপাখি কুঁড়িয়ে এনেছিলাম। তাঁরপর দুজন মিলে কত যত্ন করে বড় করেছিলাম। তোমার সাথে কাটানো সেই প্রতিটা মুহূর্তই আমার আজও চোখে ভাসে ভাইয়া। সেই খোলা আকাশের মাঝে ছোটাছুটি করা, ছাঁদের ওপর পা ঝুলিয়ে অনেকটা সময় কাটানো,বাবুইপাখি দুটোকে খাঁচায় বন্দী করে সারাপাড়া ঘুরে বেড়ানো আরও কত কি? সত্যি বলতে ছোট বেলার সেই প্রতিটি মুহূর্তকে আমি আজও অনুভব করি , কারন সেই সময়গুলোতে যে শুধু তুমি আর আমি ছিলাম।

তারপর মনে আছে তোমার সেদিন যখন দুটো পাখির মধ্যে একটা পাখি খাঁচা থেকে উঠে গিয়েছিল সেদিন কতটা কষ্ট পেয়ে কাঁদছিলাম আমি কিন্তু তুমি বলেছিলে একটা চলে গিয়েছিল তাতে কি হয়েছে আর একটা আছে তো কাঁদে না বোকা? আমি তোর জন্য আবার আরেকটা পাখি নিয়ে আসবো।– সেদিনের কথাটা শুনে আমার যে কি অনূভুতি ফিল হচ্ছিল তোমার জন্য সেটা বলে বোঝানো যাবে না। সেদিন হয়তো এই অনুভূতিগুলো বুঝি নি আমি কিন্তু আজ বুঝতে পারি ক্ষনে ক্ষনে প্রতিটা মুহূর্তে অনুভব করি। তুমি যে আমার জন্য কতটা জরুরি একটা বিষয় সেটা হয়তো লিখে প্রকাশ করা যাবে না।’

তোমার মনে আছে ওই একটা পাখি চলে যাওয়ার পর তাঁর কিছুদিনের মধ্যেই যখন আর একটা পাখি খাঁচায় বসেই মারা গেলো সেদিন আমি পুরোপুরিই ভেঙে গিয়েছিলাম কিন্তু সেদিনও তুমি আমায় সামলে নিয়ে একটা সুন্দর কুকুর ছানা গিফট করেছিলে। কিন্তু সেটাকেও আমার কাছে রাখতে পারে নি। হুট করেই সেদিন আমায় ছেড়ে চলে গেল। তবে ওর জন্য আমার কষ্ট যতটা হয়েছিল তাঁর চেয়ে খুশি বেশি হয়েছিলাম কারন ওর জন্যই একটা ছেলেকে বাঁচিয়ে ছিলাম আমি।’
আহির এবারের লেখাটা পড়ে আদ্রিয়ানের আর বুঝতে বাকি নেই সেদিনের সেই কুকুর ছানাটা আহিরই ছিল সাথে ওঁকে বাঁচানো আর জড়িয়ে ধরা মেয়েটাও আহিই ছিল। এবার আদ্রিয়ানের কাছে পুরো জিনিসটা পরিষ্কার কেন আহিকে জড়িয়ে ধরতে তাঁর অস্থিরতা কমে যায়। আদ্রিয়ান সেসব বিষয়কে আপাতত দূরে রেখে আবারো চিঠিটা পড়তে শুরু করলো যেখানে লেখা,

আমার সাথেই এমন কেন হয় বলো তো সবসময় আমার প্রিয় জিনিসটা আমার কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তবে তুমি কখনো ছেড়ে যেও না আমায়। আমি যে তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি ভাইয়া। সেদিনের সেই বাবুইপাখি কেন মারা গিয়েছিল সেটা সেদিন না বুঝলেও এখন আমি বুঝতে পারি ভাইয়া। আমি হয়তো সবকিছু গুছিয়ে বলতে পারি নি তোমায়। আসলে কি বলবো বলো তো আজ চারদিন যাবৎ তোমার জন্য চিঠি লিখছি তাও মন মতো হয়ে উঠছে না। অবশেষে এতটুকুই বলবো,

আমি তোমায় ভিষণ ভালোবাসি ভাইয়া, তোমায় নিয়ে যে আমার কত অনুভূতি জড়ানো চিঠিতে লিখে সেগুলো প্রকাশ করা যাবে না। এতত্তো গুলো ভালোবাসা তোমার জন্য। তোমার উওরের অপেক্ষা রইলাম?’
ইতি তোমার প্রিয়,
আহি।’

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ২৬

পুরো চিঠিটা পড়ে আদ্রিয়ান এতটুকু বুঝতে পেরেছে আহির জীবনে এই নীরব ছেলেটি অনেক জায়গা জুড়ে ছিল। কিন্তু এখন ভীষণ খারাপ লাগছে আদ্রিয়ানের। চোখ বন্ধ করে ভাবলো সে,
‘ কেন নীরব আহিকে ভালোবাসলো না, একটু হলেও হয়তো বাসা উচিত ছিল?’
ভেবেই দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আদ্রিয়ান। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় আড়াইটার কাছাকাছি বেজে গেছে। আদ্রিয়ান তাঁর টেবিলের পাশে থাকা জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো আকাশে মেঘেরা এখনো ভড় করে আছে, বৃষ্টির রেশটা আগের চেয়ে কমে গেছে অনেক, সাথে ঠান্ডা বাতাসও বইছে। প্রকৃতির রূপ দেখে আপাতত এতটুকু বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান ‘আজ রাতে তাঁর আর ঘুম আসবে না।’
একরাশ বিষন্নতা এসে গ্রাস করলো আদ্রিয়ানকে, সাথে অনেকটা মন খারাপ।’
পরেরদিন সকালে….

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ২৮

1 COMMENT

Comments are closed.