বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪১

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪১
লেখিকা: তানজিল মীম

হসপিটালে কিছু নার্সদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নিলয়। এর একমাত্র কারন হলো আদ্রিয়ানকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব নেবে এঁরা। আদ্রিয়ানকে বাড়িতে নেওয়ার পরও তাঁর সাথে একজন নার্সকে নেওয়া হবে এমনই এক এগ্রিমেন্ট করতে চাইছে নিলয়। এমন সময় আহি এসে হাজির হলো নিলয়ের সামনে কিছুটা নীরব কন্ঠেই বললো সে,
‘ নিলয় ভাইয়া আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে?’
হুট করে কথার মাঝখানে আহির কন্ঠ শুনে বলে উঠল নিলয়,
‘ কিছুক্ষন অপেক্ষা করো আহি ওনাদের সাথে কথা বলেই আসছি আমি।’
‘ কথাটা আর্জেন্ট ভাইয়া আর আমার কথা শোনার পর হয়তো এনাদের প্রয়োজন হবে না আপনার।’
আহির এবারের কথা শুনে নিলয় বেশ অবাক হয়ে নার্সগুলোকে যেতে বলে আহির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

‘ মানে?’
‘ মানে এটাই আদ্রিয়ানকে দেখার জন্য কোনো নার্সকে লাগবে না ভাইয়া।’
‘ তোমার কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি না আহি?’
‘ আমি এটাই বলতে চাইছি যতদিন না আদ্রিয়ান পুরোপুরি সুস্থ হয় ততদিন ওনার সেবাযত্ন করার সব দায়িত্ব আমি নিবো ভাইয়া।’
‘ কিন্তু আহি?’
‘ কোনো কিন্তু নয়, আজ যা হয়েছে তার সম্পন্নটাই আমার জন্য, তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতদিন না উনি সুস্থ হন ততদিন ওনার সব দায়িত্ব আমি নিবো ভাইয়া। প্লিজ মানা করবেন না।’
আহির কথা শুনে নিলয় কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠল,
‘ ঠিক আছে আহি তুমি যা বলছো তাই হবে।’
‘ ধন্যবাদ ভাইয়া।’
উওরে নিলয় আর কিছু না বলে চলে যায় অন্যদিকে। আর আহি সেও বেশি কিছু না ভেবে বসে পড়ে আদ্রিয়ানের রুমের বাহিরে থাকা একটা চেয়ারে। আজ আর সে বাড়ি ফিরবে না একসাথে কাল সকালে যাবে। নীরব আর রিনি চলে গেছে অনেকক্ষণ আগেই যাওয়ার আগে তাঁর জন্য এক সুট জামাকাপড় দিয়ে গেছে রিনি যেটা আহি অনেক আগেই পড়ে নিয়েছে। আহি নীরবকে বলে দিয়েছে আজকে রাতটা যেন বাবা মাকে কিছু একটা বলে ম্যানেজ করে নেয়। নীরবও ঠিক আছে বলে চলে যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কি থেকে কি হয়ে গেল ভাবতেই বার বার চোখ ভেসে আসছে আহির।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সকাল_৭ঃ০০টা…
আচমকাই ঘুম ভেঙে যায় আহির। পরক্ষণেই সে কোথায় আছে সেটা ভাবতেই চটজলদি বসা থেকে উঠে বসে সে। সামনের আদ্রিয়ানের রুম, আর কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়তো আদ্রিয়ানকে কেভিনে শিফট করা হবে। আহি বেশি কিছু না ভেবে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো তারপর তাকালো সামনে কাঁচের দরজাটা দিয়ে ভিতরে।’
চুপচাপ শুয়ে আছে আদ্রিয়ান। আর তাঁর পাশেই চুপচাপ বসে আছে শুভ। চোখ ছলছল করছে তাঁর,বহুবছর পর আজ প্রথম শুভ আদ্রিয়ানের এত কাছাকাছি বসে আছে আর আদ্রিয়ান কিছু বলছে না তাঁকে। শুভর চোখ ছলছল করছে কাল যদি নীরব ঠিক টাইমে না আসতো তাহলে কি হতো এটা ভেবে এখনো তাঁর খারাপ লাগছে। শুভ আস্তে আস্তে আদ্রিয়ানের হাত স্পর্শ করলো তারপর বললো,

‘ কাল যদি তুমি আমায় ছেড়ে চলে যেতে ভাইয়া তাহলে আমার কি হতো বলো? আমি তো একদমই এতিম হয়ে যেতাম। তুমি জানো না ভাইয়া আমি কাল কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাইয়া তুমি কি আমায় কোনোদিনও ক্ষমা করবে না। আমি তোমায় জড়িয়ে ধরতে চাই, আমিও তোমার সাথে থাকতে চাই। আমার একা একা ওই বড় বাড়িতে আর ভালো লাগে না। কবে তুমি বুঝবে আমায় আর ক্ষমা করবে ভাইয়া।’
এইরকম হাজারো কথা বলছে শুভ আদ্রিয়ানকে। তাঁর মনে যত কথা আছে সবই বলছে সে। যদিও সে জানে তাঁর কোনো কথাই আদ্রিয়ানের কানে পৌঁছাবে না এখন। আদ্রিয়ানের ঘুম ভাঙতে এখনও ঘন্টা খানেক সময় লাগবে। শুভ ভেবে নিয়েছে আদ্রিয়ানের ঘুম ভাঙার আগেই সে চলে যাবে। কে জানে হয়তো তাকে দেখে আবারো রেগে যাবে আদ্রিয়ান?’
অন্যদিকে আহি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল শুভ আর আদ্রিয়ানকে। যদিও শুভর কথাগুলো তাঁর কান অবদি আসে নি। তবে আহি বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান আর শুভর মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। কারন আজ শুভর কথা না শুনলেও সেদিন কবর স্থানে বসে আদ্রিয়ানের কথা শুনেছিল সে। আহি ছোট্ট শ্বাস ফেলে হাঁটা শুরু করলো উল্টোদিক দিয়ে। তাকে এখন যেতে হবে কিছু কাজ আছে সেগুলো সেরে আবার আসবে সে। নিলয়কে বলা আছে তাই আপাতত কাউকে কিছু না বলেই হসপিটাল থেকে বের হবে আহি।’

কলিং বেল বাজতেই আহির মা এসে দরজা খুললো সামনেই আহিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো সে,
‘ তুই এসেছিস?’
মায়ের কথা শুনে আহিও ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে উঠল,
‘ হুম মা।’
‘ কাল নীরব বললো তুই নাকি হসপিটালে কোনো কারনে আঁটকে পড়ায় বাড়ি আসতে পারবি না।’
‘ হুম একটু জরুরি ছিল তাই আসতে পারি নি আমি ফোন করে বলতাম কিন্তু হসপিটালে নীরব ভাইয়ার সাথে দেখা হয়ে যাওয়ায় ওনাকেই বলে দিয়েছিলাম।’
‘ যাক নাস্তা করবি তো, তোর ফেবারিট রুটি আর আলুভাজি করেছি?’
‘ হুম করবো তুমি টেবিলে খাবার বারো আমি আসছি, বাবা কি ঘুমাচ্ছে?’
‘ না উনি তো চারদিনের জন্য তোর নানু বাড়ি গেছে?’
মায়ের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
‘ কেন?’
‘ কি নাকি কাজ আছে।’
‘ ওহ।’
এতটুকু বলে চলে যায় আহি। মনে মনে বাবা না থাকাতে তাঁর খুব ভালো হয়েছে।’
আধ ঘন্টা পর,
নিজেকে ফ্রেশ করে ডাইনিং টেবিলে এসে বসলো আহি। ততক্ষণে তাঁর মা খাবার বেরে রেখে বসে আছে টেবিলের সামনে। আহি বেশি কিছু না ভেবে বসলো মায়ের পাশে থাকা চেয়ারে তারপর এক টুকরো রুটি মুখে দিতে দিতে বলে উঠল,

‘ মা আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে?’
‘ হুম বল।’
‘ মা আমি এক সপ্তাহ বা তাঁর বেশি কিছুদিন বাড়িতে আসতে পারবো না।’
আহির কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে বললো আহির মা,
‘ কেন?’
‘ আমি একজন পেসেন্টকে দেখা শোনা করার দায়িত্ব নিয়েছি। আর তাঁর জন্য,
‘ আমি তোর কথা কিছু বুঝতে পারছি না আহি?’
মায়ের কথা শুনে, আহি ভেবেছিল বানিয়ে কিছু মিথ্যে কথা বলবে কিন্তু এখন ভাবছে না সত্যি কথাই বলবে সে। আহি তাঁর খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে অপরাধী কন্ঠে বলে উঠল,
‘ মা, তুমি আগে কথা দেও আমার সব কথা শোনার পর তুমি রাগ করবে না আর আমি যা করতে চাইছি তাতেও বারন করতে পারবে না।’
আহির কথা শুনে আহির মার যেন কেমন লাগলো মেয়েটাকে আজকে একদমই অন্যরকম লাগছে। আহির মা আহির দিকে তাকিয়ে বললো,,
‘ কিছু কি হয়েছে আহি?’

উওরে আহি নীরব কন্ঠে এঁকে এঁকে কাল রাতে হয়ে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বললো তাঁর মাকে। আহির মা তো সব শুনে অবাক হয়ে বললো,
‘ তাঁর মানে কাল রাতে নীরব আমায় মিথ্যে কথা বলেছে?’
‘ নীরব ভাইয়ার কোনো দোষ নেই মা আমি ওনাকে মিথ্যে বলতে বলেছিলাম।’
আহির কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠল আহির মা,
‘ এখন কেমন আছে ছেলেটি?’
‘ জ্ঞান ফেরেনি এখনো তবে ডাক্তার বলেছে খুব তাড়াতাড়ি ঠিক যাবে। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মা আদ্রিয়ান যতদিন না সুস্থ হয়ে ওঠে ততদিন ওনার সব দায়িত্ব আমি নিবো। তুমি প্লিজ বারন করবে না কাল থেকে আমার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। আমার জন্যই আজ ওনার এই অবস্থা।’
উওরে আহির মা কি বলবে বুঝতে পারছে না। মাকে চুপ থাকতে দেখে আহি তাঁর মায়ের হাত ধরে বললো,
‘ আমার জন্যই সব হয়েছে মা, কাল আদ্রিয়ান না থাকলে হয়তো তুমি তোমার মেয়েকে আর পেতে না।’
এতটুকু বলে আহি পুরো খাবার শেষ না করেই চলে যায় তাঁর রুমের দিকে। কিছু জামাকাপড় নিবে সে।’

রুমে ঢুকতেই তাঁর কাছে চলে আসলো তাঁর পিচ্চি খরগোশ ছানাটা। আহি খরগোশ ছানাটাকে কোলে নিয়ে বললো,
‘ শোন সবসময় ভালো মতো থাকবি, মায়ের কথা শুনবি আর একদম দুষ্টমি করবি না আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো।’
এতটুকু বলে খরগোশটাকে একটা চুমু দিয়ে বসিয়ে দেয় খাটের ওপর। তারপর আলমারি থেকে অল্প কয়েকটা জামা নিয়ে বেরিয়ে যায় সে রুম থেকে।’
আহিকে যেতে দেখে আহির মা চলে যায় আহির কাছে তারপর কাঁধে হাত দিয়ে বলে,
‘ আহি,
হুট করেই মায়ের কথা শুনে আহি দাঁড়িয়ে পড়ে তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
‘ হুম বলো মা।’
উওরে আহির মা হেঁসে বলে উঠল,
‘ আদ্রিয়ান সুস্থ হয়ে গেলে এখানে নিয়ে আসিস আমি নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবো।’
আহির মায়ের কথা শুনে মুহূর্তের মধ্যে হাসি ফুটে উঠলো আহির। সে তাঁর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘ ঠিক আনবো মা, থ্যাংক ইউ মা।’
‘ চিন্তা করিস না তোর বাবাকে আমি ম্যানেজ করে নিবো।’
উওরে আহি খুশি হয়ে আরো একবার ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। এখান থেকে সোজা নিজে যে হসপিটালে কাজ করে সেখানে যাবে আহি তারপর কিছুদিনের ছুটি চেয়ে সোজা আদ্রিয়ানের কাছে যাবে সে। এসব ভাবতে ভাবতেই চললো আহি।’
অন্যদিকে নিজের রুমের বেলকনি থেকে আহিকে যেতে দেখে নীরব বেশ বুঝতে পেরেছে আহি কোথায় যাচ্ছে?’ তবে বেশি ভাবলো না সে। আহি যেটা করছে সেটা মটেও রং কাজ নয়।’

রৌদ্রময়ী দুপুর। জানালার কার্নিশ বেয়ে আসছে রূপালী রোদ্দুর সাথে রোদ্দুরে মাখা মিষ্টি বাতাস। বাতাসে জানালার পাশে থাকা রঙিন পর্দাটা উঠছে বারংবার। আর এসবের মাঝেই টেবিলের উপর বসে আছে অথৈ। আজ সকালেই কাকিমার বাড়ি থেকে ফিরেছে তাঁরা। মনটা খুবই খারাপ অথৈর। নীরবকে সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না। চোখের চশমাটাও পড়ে আছে টেবিলের উপর। বইগুলো সব এলেমেলো হয়ে আছে টেবিলে। হঠাৎই অথৈর চোখ যায় তাঁর সেই লাল ডাইরিটার দিকে, যে ডাইরিতে সে তাঁর অনুভূতিগুলো লিখেছিল। অথৈ বেশি কিছু না তাঁর চোখে চশমাটা লাগিয়ে হাত দিলো আবারো সেই ডাইরিতে। শুরু থেকেই এঁকে এঁকে সব দৃশ্য আর অনুভূতিগুলো দেখতে লাগলো সে। সেই প্রথম নীরবের সাথে তাঁর দেখা। সাইকেলে করে আসা সেই চশমা পড়া ছেলেটা, একসাথে মাছ ধরা, আম গাছের নিচ থেকে হাত ধরে দৌড়ানো, এঁকে এঁকে সব ছবিগুলোতে চোখ বুলিয়ে চলে যায় অথৈ একটা সাদা পৃষ্ঠার কাছে। তারপর হাতে কলম নিয়ে কিছু লিখতে থাকে সে, আজ আর নিজের অনুভূতি লিখবে না অথৈ।লিখবে তাঁর অনুভূতি ভেঙে যাওয়ার গল্প। এঁকে এঁকে নীরবকে না বলা সব কথা লিখছে অথৈ, আজকের এই গল্পে শুধু সে আর নীরবই থাকবে না সাথে থাকবে একজন প্রান প্রিয় বান্ধবীর কথাও।’

ছোট্ট দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মনের সব কথাগুলো ডাইরির পৃষ্ঠায় লিখছে অথৈই। সব শেষে লেখার একদম লাস্ট পৃষ্ঠায় এসে তাঁর চোখ বেয়ে দু’ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো ডাইরির পাতায়।
খুব কষ্ট হচ্ছে অথৈর। মনে মনে ভাবলো সে ‘গল্পটা এমন না হলেও তো পারতো’।
এমন সময় তাঁর ভাবনার মাঝে ডাক পড়লো অথৈর, তাড়াতাড়ি নিজেকে স্বাভাবিক করে ডাইরিটা বন্ধ করে টেবিলের উপর রেখেই বেরিয়ে যায় সে রুম থেকে। আর আবারো টেবিলের কর্নার জুড়ে লেপ্টে থাকে অথৈর সেই লাল ডাইরিটা। আজ আর সেটা উড়ছে না বাতাসে, হয়তো অথৈর অগোছালো লেখাতেই নিস্তব্ধ সে।’

রাত_৮ঃ০০টা….
আদ্রিয়ানকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে আহি। আর আদ্রিয়ানও চুপচাপ আহির দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খাচ্ছে। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। সকালেই আদ্রিয়ানের জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফিরে সবার আগে আহিকেই দেখে সে। আর তখন নিলয়ই বলে আহিই তাঁর যত্ন নিবে যতদিন না সে সুস্থ হয়। উওরে আদ্রিয়ান তখন কিছু না বললেও মনে মনে ভীষণ খুশি হয়। হঠাৎই আদ্রিয়ান কাশতে শুরু করে আদ্রিয়ানকে কাশতে দেখে আহিও চটজলদি টেবিলের উপর থাকা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে পানি খাইয়ে আদ্রিয়ানকে। আদ্রিয়ানও বেশি কিছু না ভেবে শুধু পানি খেতে খেতে তাকিয়ে থাকে আহির মুখের দিকে।’
অতঃপর আহি আদ্রিয়ানকে খাবার খাইয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে বলে,
‘ এখন আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।’
আদ্রিয়ানও চুপচাপ শুয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। কারন তাঁর মাথা যন্ত্রনা করছে।’
এরই মধ্যে রুমে ঢুকলো নিলয়। আহিকে দেখেই বলে উঠল সে,

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪০

‘ আহি শোনো?’
নিলয়ের কথা শুনে আহিও বেশি কিছু না ভেবে এগিয়ে আসে নিলয়ের দিকে তারপর বলে,
‘ জ্বী বলুন?’
উওরে নিলয় এক পলক আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আস্তে বলে উঠল,
‘ তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে আহি?’
‘ হুম বলুন?’
‘ এখানে নয় বাহিরে চলো।’
নিলয়ের এভাবে ফিসফিস করে কথা বলা শুনে বেশ অবাক হয়েই বললো আহি,
‘ ঠিক আছে চলুন।’
উওরে নিলয় আর কিছু না বলে চটজলদি বেরিয়ে আসে আদ্রিয়ানের ক্যাভিন থেকে। আহিও যাওয়ার আগে একবার আদ্রিয়ানের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে চলে যায় নিলয়ের পিছন পিছন,,

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪২