বিষাক্ত ভালোবাসা গল্পের লিঙ্ক || শারমিন আক্তার বর্ষা

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ১
শারমিন আক্তার বর্ষা

— শেষ বারের মত জু’য়া খেলতে এসে স্ত্রী’কে বাজিতে হেরে গেলাম।
স্ত্রী’র মাথায় হাত রেখে আল্লাহ’র নামে কস’ম কেটে বলেছিলাম আর জীবনে জু’য়া খেলবো না। কিন্তু তাকে দেওয়া কসম আমি দু’দিন ও রাখতে পারলাম না। দুইদিনের দিন রাত ১২টা বাজে বন্ধুরা মিলে আমাকে তাদের মাঝে বসিয়ে চেপে ধরল,শেষ বারের মত জেনো একবার খেলি।

প্রথমত রাজি হইনি তারপর কি একটা ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। ৬বছর ধরে জুয়া খেলি একবারও হারিনি। কিন্তু এবার হয়তো আমার ভাগ্যে অন্য কিছু ছিল। পরপর দুই বার খেলায় হেরে গেলাম।বাজি অনুযায়ী এখন আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু তায়েফ আমার কাছে যা চাইবে আমাকে ওকে সেটা দিতে হবে। আমিও মন স্থির করলাম। আমার কোনো কিছুর কমতি নেই শখের বসেই খেলা। এখন ও যা চাইবে আমি নগদেই দিতে পারবো ভেবে মৃদু হেসে বললাম,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— তোর কি চাই বল।
পিনপতন নীরবতা পালন করছে তায়েফ তা দেখ আমি ভ্রু কুঁচকে ফেললাম। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট জোড়া বাঁকা করে ডেভিল হাসলো তায়েফ। ও যখন মুখ খুললো আমি নিজে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আমি শূন্যে ভাসছি। সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেলাম। শেষে কি-না তায়েফ আমার বন্ধু বাজিতে আমার বউকে চাইলো। উনার কথা শুনে হকচকিয়ে গেলাম, ইচ্ছে করছে এক ঘু’ষিতে ওর নাক ফাটিয়ে ফেলি। কিন্তু আমি তা পারলাম না। মনের মধ্যে আশঙ্কা ছিল আমার বন্ধু আমার সাথে মজা করছে। তাই তো তায়েফের কাঁধের উপর হাত রেখে মলিন কণ্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়লাম,

— তুই আমার সাথে মজা করছিস তাই না রে?
তায়েফ আমার হাতটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়,বসা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে পরে। লুঙ্গি ঝাড়া দিয়ে কাঠখোট্টা কণ্ঠে বলে,
— তোর সাথে আমার মজা করার সময় নেই। খেলার আগে বাজির কথা শুনে তো একবারও জিজ্ঞেস করিসনি কি বাজি? তখন যদি জিজ্ঞেস করতি তাহলে আজ অকালে বউ টাকে হারাতে হত না। বাজিতে হারছিস তুই,আর তোর বউকে জিতেছি আমি। এখন সোনা যা বাড়িতে যা আমি কাল সকালে আমি জিতা মা’লকে নিতে যাবো।

তায়েফের মুখে নিজ স্ত্রী সম্মন্ধে বাজে কথা শুনে আমার জেনো রক্ত টগবগ করে উঠলো। আমি বসা থেকে লাফিয়ে ওঠে দাঁড়াই তায়েফের শার্টের কলার ধরে রাগী গলায় বলে ওঠি,
— তোর এত বড় সাহস তুই আমার সামনে আমার স্ত্রী কে মা’ল বলিস? তোকে আজ আমি এখানেই জ্য’ন্ত সমাহিত করবো। তায়েফ দুইহাত দিয়ে আমার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। পিছন থেকে বাকিরা আমাকে ধরে টানছে। তায়েফের থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সকলে বলে,

— বাজিতে তুমি হারছো ইয়াসির এখন তোমার এত লাফালাফি আমরা কেউ সহ্য করবো না। বাজির শর্ত অনুযায়ী তায়েফ তোমার কাছে যা চাইবো তুমি তা দিতে বাধ্য। তায়েফ তোমার কাছে তোমার বউকে চাইছে তুমি কাল সকালে ইয়ানা ভাবীকে ডিভোর্স দিয়ে তায়েফের হাতে তারে তুইলা দিবা। উপস্থিত সকলের কথা শুনে আমার ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো। মনে হচ্ছে খুব যত্ন করে আপন মানুষ গুলো বুকে ছুঁ’ড়ি চালিয়ে দিছে।

রক্তক্ষরণ হচ্ছে অন্তরে শ্বা’সরু’দ্ধকর কষ্ট হচ্ছে,এমন লাগছে এখনই আত্মা টা বেরিয়ে উড়াল দিবে ওই দূর আকাশে। চোখের কোণে ছলছল করছে অশ্রুকণা গুলো। শেষ কবে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরেছে জানা নাই। যে বন্ধু আমার থেকে আমার প্রাণভোমরা কে চাইছে সে বন্ধুর দিকে একনজর তাকালাম,দেখলাম সে হাত দিয়ে তার মাথার লম্বা চুলগুলো পিছনে ঢেলে ফেলছে।অষ্টদ্বয় জুড়ে তার অমায়িক হাসি,জেনো সে কোনো এক রাজ্য জয় করছে।

বলার মত কোনো কথা খুঁজে পেলাম না। কয়েকজন চাচারা বললেন,
— শোনো ইয়াসির কাল সকালে কাজী লইয়া আমরা তোমার বাসায় যামু,তুমি তোমার বউকে সব বুঝাইয়া কইয়া দিও। এখন বাড়িতে যাও।

তাদের কথার পিঠে কোনো প্রতিত্ত্যর করতে পারলাম না। নির্বাক্য নির্ভীক তাকিয়ে চললাম। শুনশান রাস্তা হাইওয়ে ব্রীজের উপর দিয়ে একা হেঁটে চলেছি। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে আলোয় নিজেকে উপলব্ধি করছি। যাদের আপন মানতাম তারাই বেঈমানী করলো। এই মিথ্যে শহরে নিজের ছায়া ব্যতীত কেউ কারো আপন নয়। প্যান্টের পকেটে থাকা ফোনটা কিয়দংশ পরপর শব্দ করে বেজে উঠছে। সাহস হচ্ছে না পকেট থেকে ফোনটা বের করে,হ্যালো বলার। কি বলবো আমি তাকে? কিভাবে বলবো? আমি তাকে বাজিতে হেরে গেছি।

কালো ঘন মেঘে ঢাকা আকাশটার দিকে দৃষ্টি স্থির করলাম। বুক চিঁড়ে বেরিয়ে আসছে দীর্ঘ শ্বাস। প্রিয় মানুষ কে হারানোর হাহাকার। ইচ্ছে করছে, চিৎকার করে কান্না করতে,কিন্তু ওইযে পুরুষ মানুষ বলে কথা। পুরুষ মানুষ তো আর চাইলে কান্না করতে পারে না। আফসোস হচ্ছে ভীষণ,বারবার আওড়াচ্ছি যদি এমনটা সম্ভব হত,রিভার্স করে সময় টাকে দুই ঘন্টা আগে নিয়ে যেতে পারতাম,তাহলে এ অনর্থ আর হতে দিতাম না। কিন্তু এটা যে অসম্ভব,অতীত কখনো খন্ডানো যায় না।

অনেকটা পথ একা একা হাঁটলাম, নজরে আবদ্ধ হল, রাস্তার পাশে পথচারীদের, এই রাতের অন্ধকারে তাদের নেই ভালো পোশাক আশাক আর না আছে ঘরবাড়ি তবুও তারা রাস্তার পাশে শুয়ে চিন্তা মুক্ত ভাবে ঘুমিয়ে আছে। তাদের থেকে কিছুটা দূরেই কতগুলো কুকুর শুয়ে আছে তারাও অবশ্য ঘুমিয়ে আছে। তাদের দিকে তাকিয়ে, নিজের ভেতরকার হাহাকার জেনো আরও তীব্র হল,এত টাকা পয়সা বিলাসবহুল গাড়ি,ফ্লাট থেকেও আজ আমার মনে দুদণ্ড শান্তি নেই।

ভেতরটা যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। বাম হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে গাল বেয়ে গড়িয়ে পরা অশ্রুকণা মুছে নিলাম। চোখজোড়া বন্ধ করে অনেকক্ষণ খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রইলাম। তার কিছুক্ষণ পর, ফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠল, ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম,আমার স্ত্রী ইয়ানার একটা মেসেজ সে লিখেছে,

— কখন থেকে কল দিচ্ছি,রিসিভ করছো না। আমার বুঝি টেনশন হয় না। জলদি বাড়ি আসো,আমার তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়ার আছে।
মেসেজটা পড়তে ঠোঁটের কোণে প্রস্ফুটিত হল,এক তাচ্ছিল্যের হাসি। কিছুই যে আর অবকাশ নেই।চললাম বাড়ির উদ্দেশ্য,কিছুক্ষণ পর, দারওয়ান আমার কণ্ঠ শুনে গেইট খুলে দিলো। এর আগে যখনই তিনি গেইট খুলতেন আমি তার সাথে ভালোমন্দ দু’চারটে কথা বলে তারপর উপরে যেতাম। কিন্তু আজ আর সেটা করতে মন চাচ্ছে না। নিশ্চুপ হয়ে চলে আসলাম চাচার সামনে থেকে এতে অবশ্য তিনি বেশ অবাক হয়েছেন।

ওপরে আসলাম, হাতটা কাঁপছে,কাঁপা কাঁপা হাতে কলিংবেলের সুইচবোর্ডে চাপ দিলাম। শব্দ করে কলিংবেলটা বেজে ওঠে। চাতকপাখির মত তাকিয়ে ছিল আমার ইয়ানা, কখন বেলটা বাজবে আর সে এসে দরজাটা খুলে দিবে। শব্দ কানে যেতে এক দৌঁড়ে এসে দরজাটা খুলে দেয়। আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে খিলখিল করে হেসে ফেলে,বাচ্চাদের মত বায়না করে বলে,

— আজ আসতে এত দেরি করলে কেনো? আমি সে কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ইয়ানাকে বলার জন্য কোনো কথা আমার ঝুলিতে নেই। তাইতো মাথা নিচু করে ফ্লাটের ভেতরে ঢুকলাম। দরজা বন্ধ করে ইয়ানা পিছু ঢেকে বলে,
— তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি তোমার জন্য খাবার বাড়ছি। চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পরলাম। গম্ভীর কণ্ঠে তার উদ্দেশ্য বললাম,

— আমার খিদে নেই।
রুমে এসে টাওয়াল নিয়ে ঢুকলাম বাথরুমে। ঘন্টা খানেক শাওয়ার নিয়ে বের হলাম। বের হতে দেখি,আমার ইয়ানা বিছানার এককোণে কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। আজ নিজেকে ভীষণ হেল্পলেস লাগছে। মনে মনে হাজারও ধিক্কার জানালাম নিজেকে। আলমারির কাভার্ড থেকে একটা শর্টস আর একটা টি-শার্ট বের করে পরে নিলাম। ভেজা টাওয়াল টা টেবিলের ওপরে রেখে বারান্দায় চলে আসলাম।

রাস্তা দিয়ে আসার পথে একটা টাংয়ের দোকান খোলা পেয়ে ছিলাম। সেখান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে নিয়ে আসলাম। সিগারেটের বাক্সটা হাতে নিয়ে তার থেকে একটা সিগারেট বের করলাম। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ছিলাম আজ থেকে চার বছর আগে ইয়ানার এক কসমের জন্য,আজ আবারও সিগারেট ফুঁকবো। আজকের যন্ত্রণা যে তীব্র,সিগারেট ই পারবে তা কমাতে,পরপর তিনটা সিগারেট ফুঁকে শেষ করলাম। চক্ষু জোড়া আমার লাল রক্তবর্ণ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ইয়ানার উপস্থিতি টের পেলাম। ইয়ানা একহাত দিয়ে নাক টিপে ধরে শাসিত কণ্ঠে বলে,

— তুমি তো সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলে,তাহলে আজ এত বছর পর আবারও কেনো খাচ্ছো? সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এটা তো সিগারেটের গায়েও লেখা আছে ইয়াসির। তার কথা কর্ণকুহরে আসলো কিন্তু আমি না শোনার মত করে ঠাই দাঁড়িয়ে রইলাম।ইয়ানা পিছন থেকে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো,রাগী গলায় বলে,

— ইয়াসির কি হয়েছে তোমার আমাকে প্লিজ বলো। এমন রিয়েক্ট কেন করছো তুমি? ইয়ানার প্রশ্নের জবাব কি দিবো বুঝতে পারছি না। তাই নির্বাক তাকিয়ে রইলাম তার মায়াবী চোখের দিকে। কথার মধ্যে তার বার কয়েক চোখের পলক ফেলার স্বভাব। আর এ জিনিসটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। ইয়ানা কথার উত্তর না পেয়ে ভীষণ রেগে যায়।এবং বার কয়েক একই প্রশ্ন করে,আমি এ যন্ত্রণা আর নিতে পারছিলাম না। আমার সম্পর্কের বয়স চার বছর,আর আমাদের বিয়ের বয়স ছয় মাস এই চার বছরে ইয়ানার ওপরে আমি কখনো চিৎকার করিনি আর না রাগ দেখিয়েছি। নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি আমি ইয়ানাকে।

আমি এই প্রথম তার উপর চিৎকার করলাম। ঝাঁঝালো কণ্ঠে তার সামনে সত্য টা মেলে ধরলাম। আমার কথা শুনে শকট হল ইয়ানা,নিজেকে সামলাতে না পেরে পরে যেতে নেয় সে। একহাত দিয়ে বারান্দার গ্রিল শক্ত করে ধরে। আমি তাকে ধরতে হাত বাড়ালে সে তার অন্য হাতটি আমার সামনে তাক করে গম্ভীর কণ্ঠে বলে,

— আমাকে টাচ করার অধিকার আপনি হারিয়ে ফেলেছেন মি.ইয়াসির শাহনবাব। শেষমেশ কি-না আপনি আমাকে নিয়ে বাজি খেললেন ছিহহ। আপনি আমাকে এতটা নিচে নামাবেন কখনো ভাবিনি। ইয়ানার কথাগুলো বলে হনহনিয়ে আমার সামনে থেকে চলে গেলো। আমি স্পষ্ট দেখেছি তার চোখে জল। ইয়ানার যাওয়ার পূর্বে বলা কথাগুলো আমার কাটা আঘাতে লবণের ছিটার মত লাগলো।

কিন্তু তার এমন আচরণ করাটাই তো স্বাভাবিক। পুরো রাত রইলাম বারান্দায় কখনো দাঁড়িয়ে কিংবা কখনো বসে। সিগারেটের বাক্সটার মধ্যে থাকা সবগুলো সিগারেট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। পূর্ব আকাশে সূর্য উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে অন্ধকার কাটিয়ে এখন সূর্য তার আলোয় আলোকিত করবে জগৎ টাকে। কানের কাছে খটখট শব্দ ভেসে আসছে৷ এই সকাল বেলা কোথা থেকে শব্দ আসছে?

ভেবে বারান্দা থেকে রুমে আসলাম। রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িং রুমে গেলাম। শব্দটা কিচেন থেকে আসছে। কিচেনে গিয়ে দেখি আমার ইয়ানা রান্না করছে। আর সব গুলো আমার পছন্দের খাবার। আমি দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে রই। আঁড়চোখে সে আমাকে দেখে,তারপর আগের ন্যায় নিজের কাজে মন দেয়। আমি কম্পিত কণ্ঠে প্রশ্ন করলাম,

— তুমি কাল রাতে এসএমএস দিয়েছিলে তোমার ঔ
আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার আছে। কি সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা বলেছিলে তুমি? ইয়ানা কাজ করতে করতে থেমে যায়,খু’ন্তি হাতে আমার দিকে ঘুড়ে দাঁড়ায়,তী’ক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে,
— সারপ্রাইজ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আপনি আর রাখেননি। তাই চুপ থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছি। শেষ বারের মত আপনার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করছি। খেয়ে ধন্য করবেন আমাকে।

ইয়ানার কথাগুলোর তীক্ষ্ণতা এতটাই তীব্র ছিল যে,আমি আর তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। ওখান থেকে চলে আসলাম। ধম বন্ধ হয়ে আসছে আমার, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর, কাজী সহ আমার বাসায় উপস্থিত হল। আমার ইয়ানা আমার থেকে চিরতরে দূরে সরে গেলো। আমাকে ছাড়ার আগে দ্বিতীয় বার চিন্তা করেনি ইয়ানা।

শেষ বারের মতো আমি তার হাতে ধরি,ক্ষমা চাই কিন্তু সে আমার দিকে ফিরেও তাকালো না। ডিভোর্স পেপারে সই করে,বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় ইয়ানা।তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ধপ করে ফ্লোরে বসে পরলাম। চারপাশে জেনো অন্ধকার ছেয়ে আসছে। মাথা ঝিমিয়ে আসছে আমার সবকিছু জেনো ঘোলাটে দেখছি। তারপর আর কিছু বলতে পারবো না।।মাথা ঘুরিয়ে ফ্লোরে পরে গেলাম।

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২