বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৭

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৭
শারমিন আক্তার বর্ষা

রুহানির বেডের পাশে অস্থির হয়ে বসে আছে আরিশ। এখনো জ্ঞান ফিরেনি মেয়েটার। ডাক্তার বলে গেছেন, জ্ঞান ফিরতে ঘন্টা খানেক সময় লাগবে। শরীর দূর্বল বলে, খাবার সেলাইন লাগিয়ে দিছেন। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রুহানির মাথায় হাত রাখল আরিশ। পাশ থেকে আমান বলে উঠল, ‘তুই উনাকে সত্যি ভালোবাসিস। তাহলে কেন ওইদিন আমাদের সামনে ওনাকে তোর দাবার গুটি বলেছিলি?’

আরিশ শান্ত দৃষ্টিতে আমানের দিকে তাকাল। আমান কপাল কুঁচকানো করে তাকিয়ে আছে। তাজ গম্ভীর কণ্ঠে বলল, ‘আমরা সবাই জানি তোর দ্বিধা কোথায়? কিন্তু তাই বলে তুই সারাজীবন তার জন্য অপেক্ষা করতে পারিস না। এটা রিয়েল লাইজ কোনো নাটক সিনেমা না।’
‘তোদের সাথে নাটক সিনেমা মনে হলেও, এটা আমার কাছে আমার মামনির ইচ্ছে। আমার এখনও আবছা আবছা মনে আছে মামনির আমায় ভীষণ ভালোবাসতেন৷ এবং আমি মামুর মুখেও শুনেছি৷ মামনির ইচ্ছে ছিল, উনি আমাকে মেয়ের জামাই বানাবেন। আমি উনার ইচ্ছার মূল্যয়ন করি।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘তোর মামনি কোথায় আছে তোর মামু নিজেও জানে না। আর শুনেছি উনি যখন চলে গিয়ে ছিলেন তখন গর্ভবতী ছিলেন। তাহলে তুই কিভাবে শিওর হচ্ছিস উনার ছেলে সন্তান হয়নি?’
আমানের কথায় যুক্তি থাকলেও আরিশ আর তর্ক করল না। ভারী নিঃশ্বাস ফেলে এক নজর রুহানির দিকে তাকাল। কেবিন রুমের দরজা খুলে হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে ঢুকে তাজ। কম্পিত কণ্ঠে বলল, ‘এ.স নেহা আবার পালিয়েছে।’
নেহা পালিয়েছে শুনে চট করে ওঠে দাঁড়াল আরিশ। রাগী চোখে আমানের দিকে তাকাল। কেননা নেহা কে ওদিনের পর থেকে আমান নিজের জিম্মায় রাখে। একটা রুমে এক মাসের বেশি দিন ধরে বন্ধি নেহা। হঠাৎ বের হলো কিভাবে? বুঝতে পারছে না আমান।

এ.স আঙুল তুলে শানিতকণ্ঠে বলল, ‘নেহা কে আমার চাই। ও-কে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বাঁচিয়ে রাখিনি। ও আমার গোডাউনের মা-ল কার কাছে পৌঁছিয়েছে সেটা জানার জন্য বাঁচিয়ে রাখছি। এতদিন এত টর্চারের পরও মেয়েটা সত্য কথা বলেনি। সত্য জানতে হলে ও-কে ধরতে হবে।’

আরিশের কথার মাঝে রুমে প্রবেশ করল, রুহানির বন্ধু বান্ধবীরা। ওদের আসতে আরিশ দ্রুত কেবিন রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আরিশের হুট করে চলে যাওয়ায় ওদের চলে যেতে হয়। নাজিন কে দেখে কথা বলতে চেয়ে ছিল আমান কিন্তু আরিশের জন্য তা সম্ভব হয়নি। আরিশের পিছু পিছু তখন না আসলে ও-কে রেখেই চলে যেতে বাকিরা। ঘন্টা খানেক পর আরিশের ফোনে একটা কল আসে। কল টি রিসিভ করে সে।

অপরপাশের মানুষটার কথাশুনে স্তব্ধ হয়ে যায়। দ্রুত গাড়ির ব্রেক কোষে। নেহার ফোন থেকে কল। অপরিচিত একজন পুরুষের কণ্ঠ। লোকটি চিন্তিত কণ্ঠে বলল, ‘অমুক এত নাম্বার রোডে মেয়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে। মেয়েটার ফোনে একমাত্র আপনার নাম্বার দেখে আপনাকে কল দিয়েছি। জলদি আসুন।’
আরিশ কান থেকে ফোন নামায়। পাশ থেকে ওরা জানতে চায়, নেহা কি বলল?
‘নেহার এক্সিডেন্ট হয়েছে আমাদের দ্রুত যেতে হবে।’

‘এক্সিডেন্ট? কিন্তু কিভাবে?’
আরিশ দাঁত চিবিয়ে বলে, ‘তুই যে গাড়িতে বসে আছিস। আমি ওই গাড়িটাই ড্রাইভ করছি। এখানে বসে থেকে আমি কিভাবে জানবো কিভাবে এক্সিডেন্ট করছে?’
আরিশ ওদের নেহা পর্যন্ত পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। ইতিমধ্যে পুলিশ চলে আসছে। এম্বুল্যান্স ও এসেছে। নেহা এম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছে। আরিশ কে দেখে এগিয়ে আসে আদ্রিক। আদ্রিক আরিশ কে জানায় এক্সিডেন্টের সাথে সাথে মারা গেছে। এবং পেটের নিচ থেকে একদম থিতলে গেছে। আরিশ ওপর নিচ মাথা দুলায়। আদ্রিক চলে যায়। সে সাথে এম্বুল্যান্স ও চলতে লাগল।

তাজ আরিশের কাঁধের ওপর হাত রাখল। নির্মূলকণ্ঠে বলল, ‘এখন কি করবি? কোথায় যাবি বাড়ি, অফিস নাকি হসপিটাল?’
‘হসপিটাল নয়তো আর কোথায়?’

কিছুক্ষণ আগে রুহানির জ্ঞান ফিরেছে। সে টুকটাক সবার সাথে কথা বলেছে। শরীরে ব্যথা বলে, ডাক্তার একটা ইনজেকশন দিয়েছে। এখন ব্যথা নেই। সেলাইনে শরীরের দূর্বলতা ও কেটে গেছে। কিন্তু শরীরের আঘাত গুলো স্পষ্ট। শ্যামা, নাজিন, আয়রা, লাবণ্য, রাইসা, আদনান, সাইফ, নিশান ও আরিফ ওরা সবাই রুহানি কে প্রশ্ন করল, কি হয়েছিল তার এ অবস্থা কেন?

রুহানি কিছুই বলতে পারল না। ডাক্তার এরইমধ্যে কেবিনে ঢুকল সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলে। এবং রুহানি কে রেস্ট নিতে সাজেস্ট করে। সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে রইল রুহানি। কিছুক্ষণ পর, ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।

এক গুচ্ছ সাদা ডেইজি ফিল এনে রুহানির মাথার কাছে রাখে। ঘুমন্ত অবস্থায় নিষ্পাপ বাচ্চা দের মতো লাগছে রুহানি। আরিশের মন খারাপ। বার বার রুহানির চঞ্চলতা চোখে ভাসছে। যার সামনে কথা বলার আগে সকলে দু বার ভাবে তার সামনে দাঁড়িয়ে আঙুল নাচিয়ে কথা বলতেও ভয় পায় না সে। আরিশ রুহানির চুলে হাত রাখে। কিছুক্ষণ বাদ, রুহানির কপালে শুঁকনো চুমু একে দেয়। ত্রস্ত কণ্ঠে বলল,

‘আমি চেয়ে ছিলাম রাজেশ সরকার কে ধরতে তার জন্য তোমাকে দাবার গুটির মতো প্রয়োজনে ব্যবহার করেছি। কিন্তু ট্রাস্ট মি। লাস্ট মূহুর্তে আমিও চেয়েছি তুমি সেইফলি কানাডা চলে যাও। তুমি চলে যাওয়ার পর, আমি রাজেশ কে ধরার অন্য প্লানিং করতাম। কিন্তু আমি ভাবিনি তুমি ইমিগ্রেশনের ভেতরে গিয়েও ফিরে আসবে৷ আর ওরা তোমাকে তুলে নিয়ে শারীরিক অত্যাচার করবে। আমি কখনো চাইনি রুহানি। আমার জন্য তোমার চুল পরিমাণ ক্ষতি হোক। অথচ দেখো সেটাই হয়েছে। আজ তুমি আমার জন্য এই হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছো। আমার জন্য তোমার এই অবস্থা।’
হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের কার্নিশ বেয়ে পরা জল টুকু মুছে নেয় আরিশ। নাক টেনে ওঠে দাঁড়াল সে৷ দরজার সামনে এসে হাত বাড়াল। দরজা খুলার আগে কারো কণ্ঠ শুনে থমকে দাঁড়ালো আরিশ।
ক্ষীণকণ্ঠে রুহানি বলল,
‘আমি আপনার কলিজা?’

সবাই জেনো হাতের মুঠোয় চাঁদ পেয়ে গেলো। রুহানির অসুস্থতার অজুহাতে আরও কিছুদিন ওরা বাংলাদেশে থেকে যাবে। সকলে বেশি খুশি হল। নাজিন কে বিয়ের প্রস্তাব দিলো আমান। নাজিন মুচকি অবশ্য বলেছে, তার বাবা মা’র কাছে প্রস্তাব পাঠাতে বাবা মা রাজি হলে সে অবশ্যই বিয়ে করবে।

আহিল ছেলেটা লাবণ্য কে ছেড়ে অন্য মেয়ের সাথে ডেটিং করছে ধরা পরে যার ধরুণ লাবণ্য মাঝ রাস্তায় ছেলেটার গালে কোষে চড় মারে। আহিল ভেবেছিল, লাবণ্য কানাডায় চলে গেছে। কিন্তু ওরা যায়নি এটা থেকে সে অবগত ছিল। লাবণ্যর হাতে চড় খেয়ে রাগে ফেটে পরে আহিল। উল্টো হাতে চড় মারতে নেয় সে লাবণ্য কে। লাবণ্যর পিছনে এসে দাঁড়ায় তাজ। তাজ কে দেখে আহিল তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে চলে যায়।

মাঝ রাস্তায় একটা ছেলের গায়ে চড় মারায়, লাবণ্যর সাহসের বেশ প্রশংসা করল তাজ। আয়রার চোখে প্রবীর কে বেশ ভালো লাগে। সে কোনো কিছু না ভেবে প্রবীর কে প্রোপোজ করে। যেহেতু ২৮ বছর ধরে সিঙ্গেল ছেলেটা, এত বছর ধরে বন্ধু দের জন্য প্রেম করতে পারেনি এখন সে বন্ধু রা প্রেম করছে দেখে প্রবীর আয়রার প্রোপোজ এক্সেপ্ট করে নেয়।
অন্য দিকে, গাছের নিচে বসে কাঁদছে রাইসা। চোখের পানি মুছতে মুছতে রুমাল ভিজিয়ে ফেলছে মেয়েটা। দূর থেকে রাইসা কে কাঁদতে দেখে এগিয়ে গেলো ওয়াসিফ। রাইসার পাশে বসে শুধালো,

‘কি হয়েছে আপনি এখানে একা বসে কাঁদছেন কেনো?’
ওয়াসিফের কণ্ঠস্বর শুনে রাইসার কান্নার গতি আরও বেড়ে গেলো। রুমাল দিয়ে নাকের স্বর্দি পরিস্কার করে সে বলল, ‘আমার বয়ফ্রেন্ড আমার সাথে ব্রেকআপ করে নিয়েছে। হালার পোলায় নাকি অন্য একজন কে ভালোবাসে। হেহেহে এখন আমার কি হইবো?’

রাইসার কান্নার মাঝে কথাগুলো শুনতে ভীষণ হাসি পেলো ওয়াসিফের তবুও সে হাসি কন্ট্রোল করে। রাইসাকে সান্ত্বনা দেয়। রাইসা চট করে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের জল মুছে নেয়। ওয়াসিফের শার্টের কলার ধরে নিজের কাছাকাছি নিয়ে আসে। আকস্মিক ঘটনায় হতবুদ্ধি চোখে তাকাই ওয়াসিফ। রাইসা ডান হাতে ফোনে কতগুলো কাঁপল পিক তুলে নেয়। ওয়াসিফের শার্ট ছেড়ে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপে তার বিদেশি বয়ফ্রেন্ড কে ওদের অনেকগুলো কাঁপল পিক সেন্ট করলো। এবং নিচে ছোট্ট করে মেসেজে লিখলো,

‘মি অ্যান্ড মাই নিউ বয়ফ্রেন্ড।’
এক নজর মেসেজ টি দেখে ওয়াসিফ রাগী গলায় বলল, ‘আমি আপনার বয়ফ্রেন্ড হলাম কবে?’
রাইসা ওয়াসিফের থুতনিতে হাত রেখে বলল, ‘এইতো এখন।’
হোয়াটসঅ্যাপে রাইসার কাঁপল পিক দেখে হিংসে জ্বলে উঠে তার এক্স বয়ফ্রেন্ড। সাথে সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কল দেয়। রাইসা কল রিসিভ তো করেই না উল্টো তাকে ব্লক করে দেয়। আশাহত ছেলেটি গালে হাত দিয়ে বসে রয়।
তাজ আঁড় দৃষ্টিতে তাকাল লাবণ্যর দিকে। আমানের ফানি একটা জোক্সে লাবণ্য শব্দ করে হেসে উঠল। লাবণ্য কে হাসতে দেখে তাজ নিজেও আপন মনে মিটমিট হাসছে। হয়তো ভালো লাগার শুরু এখান থেকেই।

নদীর পাড়ে কিছুটা দূরে দূরে বড় বড় নারিকেল গাছ। গাছে ডাব ঝুলছে নদীর জ্বলে বড় বড় রাজহাঁস সাতার কাটছে। সবুজ সবুজ ঘাসের ওপর বসে আছে রুহানি। এক মনে হাঁসগুলো কে দেখছে। কিছুক্ষণ বাদ ওর পাশে একটা ছেলে এসে বসল। রুহানি ছেলেটার দিকে না তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘এত দেরি কেন করলেন? আপনি জানেন আমি সেই কখন থেকে আপনার জন্য ওয়েট করছি?’
রুহানির অভিমানী স্বরে বলা কথাটি শুনে ছেলেটা মৃদু হাসল। রুহানির কানের পিছনে হাত রাখে আলতো স্লাইড করে বলল,
‘আমার মায়াবতীর জন্য কিঞ্চিত মায়া কুড়িয়ে নিতে গিয়েছিলাম।’

বলে অন্য হাত পিছন থেকে সামনে নিয়ে আসল। হাতের মধ্যে একটা বড় গাছের পাতার মধ্যে অনেক গুলো শিউলি ফুল। ফুলগুলো এগিয়ে দেয় রুহানির দিকে। রুহানি ফুল পেয়ে ভীষণ খুশি হয়। ফুল সমেত পাতাটি হাতে নিয়ে খুশি ও আবেগে আপ্লূত রুহানি আরিশ কে একহাতে জড়িয়ে ধরলো। এই আলিংগনের স্পর্শে সারা শরীর ছুঁয়ে গেছে এক অদ্ভুত শিহরণ। চোখ জোড়া খিঁচে বন্ধ করে নেয় সে।

রুহানির কাছাকাছি থাকলে পৃথিবীর সব ব্যাস্ততা ভুলে যায় আরিশ। শুধু মত্ত থাকে, সে এক রুহানি তে। সে অসম্ভব ভালোবাসা। রুহানি নিজেও ভালোবাসার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এবং সে নিজের মধ্যে লুকায়িত ভালোবাসার কথা ওইদিন হাসপাতালে আরিশের কাছে বলেছে। ভালোবেসে দু’হাতে জড়িয়ে ধরেছিল আরিশ তাকে সেদিন ভালোবাসার পরশ একে ছিল কপালে।

রুহানি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায় বলে তাদের যাওয়া ক্যানসেল হয়। সত্য গোপন করে মিথ্যা বলে সান্ত্বনা দেয় ইয়ানা কে। দূরে বসে মেয়ের কথা বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই ইয়ানার কাছে। তিনি স্বাভাবিক কণ্ঠে রুহানি কে তারাতাড়ি উনার কাছে চলে যেতে বলেন। রুহানি তার মা’কে আশ্বাস দেয় ‘ও’ খুব তারাতাড়ি ফিরে আসবে।

দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে যায় এবার যে সবাই কে ফিরে যেতে হবে। আদনানের সাথে জুহির সম্পর্ক ভালো ভাবে মেনে নিয়েছে জুহির পরিবার ও তার ভাই। যতদিন না আদনান পড়াশোনা কমপ্লিট করে জব করছে ততদিন জুহি আদনানের জন্য অপেক্ষা করবে।

এবার কোনো ভুল করেনি আরিশ। নিজে এসেছে রুহানি কে এয়ারপোর্টে ছাড়তে। কিছুদূর চলে গিয়েও উল্টো পায়ে ফিরে আসে রুহানি। আরিশ কে সবার সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। আরিশ দু’হাতে জড়িয়ে ধরে রুহানি কে। রুহানি কান্না করছে বুঝতে পারছে সে। তারও চোখের কোণে জল জমেছে৷

রুহানি কান্না করছে হিচকি ওঠে গেছে। কোনো রকম কান্না থামিয়ে জড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘আমার জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি আমার মাম্মাম কে সাথে করে নিয়ে খুব তারাতাড়ি ফিরে আসবো।’
প্রতিত্ত্যরে কিচ্ছুটি বলল না আরিশ। শাহাদাত আঙুল দিয়ে রুহানির কপালের চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দেয়। শান্ত গলায় বলল, ‘ফ্লাইটের টাইম হয়ে যাচ্ছে। যাও।’

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৬

রুহানি কে ছাড়া শূন্য লাগছে আরিশের। কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। এমনকি সে কানাডা যাওয়ার পর এই পর্যন্ত এক বারও কল দেয়নি৷ আরিশের সিম নাম্বার তার কাছে রয়েছে তবুও সে কল দেয়নি। অভিমানে গাল ফুলিয়েছে আরিশ। অন্য দিকে বাকিদের সাথে ঠিকই ওদের গার্লফ্রেন্ড রা যোগাযোগ রেখেছে এবং টাইম টূ টাইম কথাও বলছে। আরিশের বুঝি হিংসে হচ্ছে না।

বিষাক্ত ভালোবাসা পর্ব ২৮