বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ৬৯

বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ৬৯
তাসফিয়া হাসান তুরফা

বাসায় ফেরার আগে আজ সারাটা দিন পার হলো রাজশাহীতে ঘুরাঘুরি করে। পদ্মার পাড়, টি-বাধ সহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরাঘুরি শেষ করে বাহিরে খেয়ে বিকেলে ফিরেছি। অবশেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পথে গাড়ি চলতে শুরু করেছে। নীড়ে ফেরা পাখিদের সাথে বাসায় ফিরে চলেছি আমরাও৷ আকাশের দিক তাকিয়ে থেকে বিষন্ন মনে জাগরণ হলো পূর্ণর কথা। কাল থেকে একটাবারও কথা হয়নি তার সাথে।

পরীক্ষা দিয়ে এসে দুপুরে দু’বার ফোন দিয়ে পাইনি তাকে। ভেবেছিলাম ব্যস্ত আছেন, ফ্রি হয়ে কলব্যাক করবেন কিন্তু কাল বাসায় ফেরার পরেও উনি ফোন দেন নি! আমি এতদূর এসেছি আর উনি একটাবারও ফোন দিলেন না বিষয়টা অদ্ভুত ঠেকলো খুব! ভাবতে ভাবতেই গাড়ির সিটে গা এলিয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করলাম। সেই যে ঘুরতে যাওয়ার আগে ফুপির থেকে চার্জার নিয়ে ফোন চার্জে দিয়ে বের হয়েছিলাম, এরপর রওনা হওয়ার আগে ব্যাগে ঢুকিয়েছি। ফোন অন করার মাঝেই পাশ থেকে বড়াব্বু ডাকলেন। খানিকটা গলা ঝেড়ে বললেন,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

—তোর ফোনে কি হয়েছিলো? তোর বড়াম্মু যে বললো কাল কথা বলার মাঝপথেই কেটে গিয়েছিলো?
—আসলে ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিলো, বড়াব্বু। এরপর ব্যাগ খুজে দেখি চার্জার আনতে ভুলে গিয়েছি। আজ বাইরে যাওয়ার আগে ফুপির থেকে চার্জার নিয়ে যে ফোন চার্জ দিয়েছি।
—ওহ। এইজন্য!
চাপাস্বরে বিড়বিড় করলেন বড়াব্বু। নিস্তব্ধ গাড়িতে যেটা শ্রুতিবিরুদ্ধ হলোনা আমার! উৎসুক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,

—এইজন্য কি?
—কই? কিছু না।
আমার হঠাৎ প্রশ্নে খানিকটা ইতস্ততভাবে গলা ঝেড়ে বললেন বড়াব্বু। উনার আচরণে ভ্রুজোড়া আংশিক কুঞ্চিত হলো আমার! প্রসঙ্গ বদলাতে প্রশ্ন করলাম,

—বড়াম্মু যেন কিসের খবর দিতে চাইছিলো আমায়। কিসের কথা বলছিলো? বলেছে আপনাকে? আমাকেও বলুন না!
—এক্সাইটমেন্ট বাচিয়ে রাখ! কি খবর সেটা না হয় বাসায় গিয়েই শুনিস! আর কয়েক ঘন্টা মাত্র সময়!
তিনি হালকা হেসে বললেন কথাটা বলতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নাড়লাম। আমারো আর তর সইছেনা বাসায় যাওয়ার জন্য! সেই ভালো খবরের এক্সাইটমেন্টে আমি ভুলে গেলাম পূর্ণর কথা! মাথায় শুধু বাড়ি ফেরার চিন্তা রয়ে গেলো!

বাসায় পৌঁছাতেই রাত হয়ে গেলো। বড়াম্মুকে দেখেই হাসিমুখে এগিয়ে যেয়ে ধরলাম তাকে। পাশে তাকাতেই দেখি প্রিয়া দাত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখে ভ্রু তুলে প্রশ্নসূচক চোখে তাকাতেই বললো,
—খালিহাতে বাড়ি এলে যে! মিস্টি নিয়ে আসো তাড়াতাড়ি।
—আরে বাবা মিস্টি তো এনেছি, কিন্তু কারণ এখনো জানিনা। জলদি বলো তো! তখন থেকে সবাই ঘুরাচ্ছে।
—আমি ফুপি হচ্ছি এবং তুমি চাচি। উফফ আই এম সো এক্সাইটেড, ভাবীইইইই।

প্রিয়ার কথায় চোখ বড় বড় করে তাকাতেই ও ইশারায় পাশে দাড়িয়ে থাকা রাইসাকে দেখিয়ে দিলো, যে আপাতত লাজুক হেসে মাথানত করে তাকিয়ে আছে! আচমকা এমন খুশির খবরে উল্লাসিত হয়ে ছুটে গেলাম রাইসার কাছে।
—ফাইনালি? আমি খালা ওরফে চাচি হতে যাচ্ছি! ইশ আমি যে কত্ত খুশি তোকে বলে বুঝাতে পারবোনা!

খুশিমনে কথাগুলো বলেই ওকে প্রফুল্লচিত্তে জড়িয়ে ধরলাম। অতঃপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ হৈ-হুল্লোড় করে মিস্টিমুখ করার মাঝেই বাসায় ঢুকলেন পূর্ণ ও প্রান্ত ভাইয়া। আর সাথে সাথেই প্রান্ত ভাইয়াকে টেনে নিয়ে এলো প্রিয়া, তাকেও রাইসার পাশে বসিয়ে মিস্টিমুখ করালাম দুজন মিলে। এতকিছুর মাঝে পূর্ণকে খেয়াল করা হয়নি, সবাইকে মিস্টি দিয়ে উনার কাছে আসতেই পরিপূর্ণ নজরে লক্ষ্য করলাম তাকে।

অত্যন্ত শান্তভাবে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। তার থেকে এত ঠান্ডা রিয়েকশন আশা করিনি, তবুও আশেপাশে তাকিয়ে হালকা হেসে হাতে থাকা মিস্টিটা তার মুখের কাছে ধরতেই কিছুক্ষণ সেভাবেই তাকিয়ে থাকলেন। তার কোন সাড়া না পাওয়ায়, উনি খাবেন না মনে করে মিস্টিটা ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগী হতেই হাত ধরলেন শক্ত করে। মুখ এগিয়ে অর্ধেক মিস্টি খেয়ে আমার হাতসহ বাকি মিস্টিটা আমারই মুখের কাছে নিয়ে এলেন। কিছুটা বিস্মিত হয়েই মিস্টিটা খেয়ে নিলাম। অতঃপর কিছু না বলেই সোজা রুমে চলে গেলেন তিনি। সেদিকে তাকিয়ে থাকার মাঝেই প্রিয়া এলো পাশে। আমাকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,

—কাল রাতে তো এ খবরটা জানার পর বড় ভাইয়া কত খুশি হয়েছিলো জানো? নিজেই গিয়ে কেক নিয়ে এসেছিলো। রাইসা ভাবীকে গিফটও দিতে চেয়েছে। সে তো পারলে প্রান্ত ভাইয়াকে কোলে নিয়ে নাচবে এমন অবস্থা! বাড়ির প্রথম বাচ্চা বলে কথা! সবার আনন্দ খুব বেশি।

হাসতে হাসতেই বলছিলো প্রিয়া। ওর কথায় একিসাথে খুশি ও অবাক হয়ে গেলাম আমি। পূর্ণ একটু আগে যে চেহারা করে রেখেছিলেন তাতে বুঝা দায় ছিলো যে উনি ভেতরে ভেতরে এতটা খুশি! নাকি আমাকে দেখে তার খুশিতে ভাটা পড়ে গেলো ঠিক বুঝলাম নাহ। যাই হোক, অবশেষে সকলের আনন্দ-যাত্রার ইতি ঘটলো। শেষমেশ নিজ নিজ রুমের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করলো সবাই। তাই আমিও চলে এলাম আমাদের রুমে।

রুমে ঢুকে পূর্ণকে চোখে পড়লোনা কোথাও। ওয়াশরুমের দরজা ইষত খোলা থাকায় বুঝলাম উনি বারান্দায় আছেন। ক্লান্ত আমি ঝটপট ফ্রেশ হয়ে ড্রেস করে এলাম। কিন্তু আমি বের হয়ে আসার পরেও পূর্ণ এখনো রুমে আসেননি, হয়তোবা খেয়ালই করেননি যে আমি রুমে এসেছি। তাই বারান্দার উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই উনি বের হলেন সে সময়। দরজা লাগিয়ে পেছন ফিরতেই আমাকে সেদিকে যেতে দেখে কিছুটা চমকে গেলেন। খানিকক্ষণ দৃষ্টি বিনিময় শেষে হুট করেই এগিয়ে এসে চোখের পলকে আমায় দরজার সাথে শক্ত করে চেপে ধরলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে গেলাম! কিছু বুঝে উঠার আগেই শক্ত গলায় গর্জিয়ে উঠলেন,

—ফোন কোথায় তোমার?
এমন সময় উনার এমন প্রশ্নে পুরোপুরি থতমত খেয়ে গেলাম। কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই আবারো জিজ্ঞেস করলেন,
—কিছু জিজ্ঞেস করেছি, তুরফা। এন্সার মি!
—ওই যে।

কম্পনরত হাতের ইশারায় খাটের পাশে সাইড টেবিলে থাকা ফোনটা দেখিয়ে দিতেই আমায় ছেড়ে চলে গেলেন সেদিকে। উনি কি করতে চাইছেন ভাবতে ভাবতেই ফোনটা হাতে নিয়ে একপ্রকার তেড়ে এলেন আমার দিকে। ঘন ঘন চোখের পলক ফেলে তাকে কিছু বলতে যাবো এর আগেই রাগান্বিত কণ্ঠে তার আওয়াজ,
—ফোন বন্ধ ছিলো কেন তোমার? রাগ দেখাচ্ছিলে আমার উপর? আমি যে তোমায় কতবার ফোন দিয়েছি সে হিসেব আছে? আমাকে পাগল করে কি খুব আনন্দ পাও তুমি?

—ফোন ইচ্ছে করে বন্ধ করিনি তো। চার্জ ছিলোনা। চার্জার নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলাম।
মিনমিনিয়ে কথাটা বলতেই আরেকদফা বাহু চেপে ধরলেন তিনি। দাতে দাত চেপে বললেন,
—চার্জার নিয়ে যাওনি সেটা আমাকে ফোন দেওয়ার আগে মনে ছিলোনা? নাকি আমি যে কলব্যাক করবো এটাও জানতেনা? কাল ফোন বন্ধ ছিলো তাই বলে কি আজকে চার্জ দিয়ে একবারো আমার সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করোনি তুমি? কি হলো? কথা বলো।

—আমি ফোন চার্জে দিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম…
—ওয়াও! ভেরি গুড! যে ফোন সাথে নিয়ে চলতে পারোনা তুমি, সেই ফোন তো রাখারই কোনো দরকার নেই! রাইট?
আমাকে থামিয়ে কথাটা বলেই ফোনটা সজোরে ছুড়ে মারলেন বিছানায়। চমকে উঠে ভয়ার্ত চোখে সেদিকে তাকালাম আমি, ভাগ্যিস বিছানায় ছুড়েছেন নয়তো ফোনটা ইন্তেকাল করতো! এতক্ষণে বুঝলাম উনি কেন এত শান্ত ছিলেন তখন, সেই নিস্তব্ধতা যে এখনকার এই ঝড়ের পূর্বাভাস ছিলো মাত্র মাথায় এলো! একটা ঢোক গিলে পিটপিটিয়ে করুণ চোখে বললাম,

—দেখুন, আপনি এত রেগে যাচ্ছেন কেন? আমি তো আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম-ই। কিন্তু আপনি ধরলেন না। কলব্যাক করার আগেই চার্জ শেষ হলো। এরপরে ভাবলাম আমি তো বাসায়ই চলে আসছি। তাই এসেই সরাসরি কথা বলবো আপনার সাথে। এখানে আমার দোষ কোথায়?
আমার চাহনিতে যেন সামান্য কাজ হলো। কিছুটা শিথিল হয়ে এলো তার হাতের বন্ধন, এতক্ষণে শক্ত করে ধরে রাখা হাতটা হালকা হওয়ায় যেন শান্তি পেলাম আমি। এরই মাঝে উনি ব্যাকুল কণ্ঠে বলে উঠলেন,

—সব তো তোমারই দোষ! আমি যে তোমাকে কতবার ফোন দিয়েছি সে হিসাব আছে? হঠাৎ করে এতক্ষণ ধরে তোমার ফোন বন্ধ পেয়ে আমার কি অবস্থা হয়েছিলো সে ধারণা তোমার আছে? বাবাকে ফোন দিয়েছি দেখি বাবাও ফোন ধরেনা। এদিকে তোমার ফোনও বন্ধ। মাথার মধ্যে কত উল্টাপাল্টা ধারণা এসেছিলো সেটা জানো? কিন্তু তুমি কি করলে? আমাকে এত চিন্তার সাগরে ঠেলে দিয়ে তো দিব্যি মনের সুখে ঘুমাচ্ছিলে!
এবার তার কথায় চোখ সরু হয়ে এলো। জিজ্ঞেস করে বসলাম,

—আপনি কিভাবে জানলেন আমি তখন ঘুমাচ্ছি?
আমার কথায় বড় এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে পূর্ণ বললেন,
—যখন তোমাকে ফোনে পেলাম না তখন আর কি করবো? বাবার নাম্বার ফাকা থাকায় তাকে ফোন দিচ্ছিলাম। খুব বেশি দেইনি, এই পাচ-ছয়বার ফোন দেওয়ার পর বাবা রিসিভ করে। কণ্ঠ শুনে বুঝেছি ঘুমাচ্ছিলেন তবুও ফোন করেছি এখন কি করার? সত্যিটা তো বলতে হবে তাইনা? তাই বাবার থেকেই তোমার খোজখবর নিলাম। তখনই জানলাম মহারাণী আমার ঘুম নস্ট করে দিয়ে নিজে ঘুমের সাগরে বিচরণ করছিলে।

উনার কথায় বিস্ময়ে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। ওই রাতের বেলা তিনি বড়াব্বুকে ফোন দিয়েছিলেন? এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়েছি! না জানি বড়াব্বু কি ভেবেছিলেন? এজন্যই বোধহয় তখন গাড়িতে জিজ্ঞেস করছিলেন আমার ফোনে কি হয়েছে। ইশ! আমাকে বারবার কতটা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেয় লোকটা! পূর্ণর কথা শুনে এতক্ষণের ভয়ার্ত ভাব মুহুর্তেই উধাও হয়ে গেলো আমার। সে স্থানে বিরাজ করলো একরাশ রাগ, আমাকে বড়াব্বুর সামনে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলার জন্য! দাতে দাতে চেপে তাকে বললাম,

—আপনার কি মাথা খারাপ? না জানি বড়াব্বু কি ভাবছেন? আমি তো ভেবেছিলাম আপনি আমার উপর রাগ করেছেন বিধায় ফোন দেন নি। এখন দেখছি উল্টো কাহিনি! এই আপনার কি লজ্জা লাগলোনা বড়াব্বুকে ওই সময় ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব দিতে? উনি কি ভাবছেন?
—যেটা ভাবা উচিত সেটাই ভাবছে! বাবা ফোন না ধরলে আমি আজ রাজশাহীই চলে যেতাম বুঝেছো?
হঠাৎ থেমে কিছুক্ষণ পর বললেন,

—আর এতক্ষণে হয়তো বাবাও বুঝে গেছে যে আমি তোমাকে রাজশাহী যেতে দিবোনা। তাই আমার সুবিধা-ই হলো।
আচমকা আমার দু’গালে স্পর্শ করে বললেন পূর্ণ। এক পলক সেদিক চেয়ে কিছু একটা চিন্তা করে বললাম,
—কিন্তু আমার মনে হয় রাজশাহীতে হয়ে যাবে। খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছি তো। ঢাকার গুলো এমন দেইনি। তখন তো আমার ওখানে যেতেই হবে।

—দেখা যাবে সেটা।
—চান্স পেলে আমি কিন্তু সত্যিই রাজশাহী চলে যাবো। এটা আমার ডিসিশন। তখন আপনি চাইলেও আমাকে আটকাতে পারবেন না কারণ আমি শুনবোনা। সেদিন তো অনেক কথাই শুনিয়েছিলেন আমায়। তাই এবার আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিবো। আপনাকে দেখিয়েই দিবো আমিও চাইলে পারি। আমাকে দিয়ে সব সম্ভব! বুঝেছেন?

ভেবেছিলাম আমার রাগী কথায় উনি বিচলিত হবেন কিন্তু আমায় অবাক করে দিয়ে তার ঠোঁটের কোণে দেখা দিলো এক টুকরো হাসি। মুগ্ধ চোখে আমার দিক চেয়ে হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরলেন শক্তভাবে। কতক্ষণ সেভাবে থেকে কিছুক্ষণ পর শান্ত অথচ কোমল সুরে বললেন,

—এই কনফিডেন্সটা কোথায় ছিলো, বউ? আমি তো এটাই খুজছিলাম।
—মানে?
—মানে তোমার বুঝতে হবেনা। আমার ঘুম ধরেছে। আমি এখন ঘুমাবো। এসো।
কথাটি বলেই হাত ধরে টেনে বিছানায় নিয়ে গেলেন। অতঃপর বিছানায় উঠে বসতেই আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে চোখ বন্ধ করে বললেন,

বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ৬৮

—কাল রাতে একটুও ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনি আমি। সব তোমার দোষ, তুর পাখি। এর শাস্তিস্বরুপ এখন আমার চুলে বিলি কেটে দিবে তুমি। নাও আই নিড এ গুড স্লিপ। ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।

বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ৭০