বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ১৫

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ১৫
ইলমা বেহরোজ

পাঁচ-ছয় জন লোক বিভোরকে ঘিরে দাঁড়ায়।সায়ন,দিশারি দুজনের চোখেমুখে ভীতি।
একজন লোক ইংলিশে বলে,
—–“সামনের বাজারে ফার্মেসী দেখেছি।প্লীজ আহতকে নিয়ে চলুন।”
এমন কড়কড়া ইংলিশ কন্ঠ শুনে দিশারি ঘুরে তাকায়।জ্যাকেট পরা একজন শ্বেতাঙ্গ লোক দাঁড়িয়ে আছে।সায়ন বিভোরকে ধরে দাঁড় করায় ফার্মেসীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।বিভোর বাহুতে এক হাত চেপে রেখে দাঁড়ায়।দিশারি-সায়ন দেখেনি ধারা যে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।বিভোর এদিক-ওদিক তাকায়।সায়ন বললো,

—–“কি হলো।চল।”
বিভোরের উৎকন্ঠা,
—–“ধারা?ও কই?”
দিশারি-সায়ন আৎকে উঠে ঘুরে তাকায়।কিছুটা দূরত্বে ধারাকে দেখতে পায়।দিশারি হাত-পা কেঁপে উঠে।তাঁর মনেই নেই ধারার হিমোফোবিয়া আছে।চিৎকার করে উঠে,
—–“ধারা।”
দৌড়ে ধারার কাছে আসে।বিভোর লোকগুলোর উদ্দেশ্যে বললো,
—–“কেউ মাফলার দিতে পারবেন?”
শ্বেতাঙ্গ লোকটি বললো,
—-“সরি?”
বিভোর ইংলিশে আগের কথাটি বলে।
শ্বেতাঙ্গ লোকটি বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—–“ইয়েস।”
গলা থেকে মাফলার খুলে বিভোরের হাতে দেয়।বিভোর সায়নকে বলে,
—–“নে,বেঁধে দে।”
—–“এ্যাঁ!”
—–“যা বলছি কর প্লীজ।”
সায়ন দ্রুত বেঁধে দেয়।বাঁধার সময় বিভোর হালকা আর্তনাদ করে।বাঁধা শেষে দৌড়ে ধারার কাছে আসে।কয়েকবার গালে থাপ্পড় দিয়ে ডাকে।দিশারি কেঁদে বলে,
—–“ও রক্ত দেখলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।খুব ভয় পায়।”
বিভোর দ্রুত কোলে তুলে নেয়।সায়ন চিৎকার করে উঠে,
—–“এই হাতে কি করছিস।দে,আমি নিচ্ছি ধারাকে।”
বিভোর হাঁটা শুরু করে।সায়ন বাঁধা দেয়।বিভোর সায়নের দিকে একবার কড়া চোখে তাকায়।তারপর আবার দ্রুত হাঁটা শুরু করে।সায়ন বিভোরের সাথে তাল মিলিয়ে রীতিমতো দৌড়াচ্ছে।বার বার বলছে,
—–“আমি এতোটা অকর্মা নই।এভাবে কষ্ট করে তোকে নিতে হবেনা।আমাকে দে,আমি পারবো।”
—–“বউটা তো আমার।দায়িত্বও আমায়।তোর নয়….
বিভোর এগিয়ে গেছে।সায়ন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
সে সীমাহীন আশ্চর্য নিয়ে হা করে তাকিয়ে ভাবছে, বিভোর কি বললো?বউ…বউ মানে?দিশারি সায়নের পাশ কেটে যাবার পথে তাড়া দেয়,
—–“দাঁড়াইছিস কেন।চল।”

ধারাকে হোটেলের রুমে রেখে বিভোর ফার্মেসিতে আসে।সাথে সায়ন আর শ্বেতাঙ্গ লোকটি।ধারার পাশে দিশারিকে রেখে এসেছে।দিশারির কাঁদতে, কাঁদতে নাজেহাল অবস্থা।
ব্যান্ডেজ করা শেষে নিজের মতো করে ফার্মেসী থেকে ক্ষত দ্রুত শুকানোর ঔষধ নিয়েছে বিভোর।অনেকবারই এরকম আহত হয়েছে সে পর্বত আহরণের সময়।তাই সেই সময়টাতে ব্যাগে বিভিন্ন রকম ঔষধ রাখতে হয়।ফলে,ঔষধের নাম তাঁর মুখস্থ।
হোটেলে ফেরার পথে বিভোর শ্বেতাঙ্গ লোকটিকে ইংলিশে প্রশ্ন করলো,
—–“ধন্যবাদ আপনাকে।আপনার মাফলারটা তো রক্তে রাঙ্গা হয়ে গেছে আমি বরং আপনাকে আগামীকাল আরেকটা কিনে দেব।”
—–“নো,নো ইটস ওকে।কোনো দরকার নেই।”
বিভোর হাসলো কিছু বললোনা।সায়নের এই লোকটিকে কেনো জানি মোটেও ভালো লাগছে না ।সায়ন তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললো,

—-“আপনি কি আমাদের সাথে হোটেলে যেতে চাচ্ছেন?”
শ্বেতাঙ্গ লোকটি হেসে বললো,
—-“ইয়েস।আমি সাগরিকা হোটেলেই উঠেছি।”
সায়ন মুখ ঘুরিয়ে নেয়।বিভোর প্রশ্ন করলো,
—–“একা এসেছেন?”
—–“নো।আমার মেয়ে,বউ হোটেলে আছে।”
—-“আমেরিকা?
—-“ইয়েস।আই’ম কামিং ফ্রম আমেরিকা।”
সায়ন কঠিন গলায় বাংলায় বললো,
—-“নাম কিতা?”
শ্বেতাঙ্গ লোকটি বুঝতে পারলোনা।বললো,
—-“সরি?”
বিভোর ইংলিশে বললো,
—-“আপনার নাম জানতে চেয়েছে।”
—-“এলান।”

বিভোর হেসে বললো,
—-“নাইচ নেম।”
সায়ন যতটা সম্ভব মুখ কুঁচকে বললো,
—-“বালের নাম।”
এলান বুঝতে পারলোনা।হেসে সায়নকে বললো,
—-“সরি?”
সায়ন তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বললো,
—-“নাথিং।”
এলান বিভোরকে জিজ্ঞাসা করলো,
—-“আপনার নামটি কি জানতে পারি?”
—-“মুহতাসিম মাহতাব বিভোর।আপনি বিভোর বলুন।”
এলান হেসে উচ্চারণ করলো,
—-“বেএভর…
—-“উহু।বি…ভোর।”
—-“বেইভোর?”
—-“আচ্ছা একটা ডাকলেই হলো।”
—-“বেএভর আপনি এতক্ষণ মাফলার বেঁধে আহত হাত নিয়ে কীভাবে থাকলেন?”
—-“আমার স্বপ্ন পৃথিবীর বিখ্যাত পর্বতশৃঙ্গের যেকোনো একটি জয় করা।চূড়ায় পৌঁছানো।এখনও সম্ভব হয়ে উঠেনি।তবে বিভিন্ন তুষার পর্বতে অনেক রাত্রি কাটিয়েছে।অনেক আহত হয়েছি।তখন কিন্তু চিকিৎসা ছাড়াই থাকতে হয়েছে।তাই সমস্যা হয়না তেমন।অভ্যস্ত আছি।”

—–“ওয়াও গ্রেট!যদি গড থেকে থাকে।তিনি যেন আপনার স্বপ্ন পূরণ করেন।”
জবাবে বিভোর হাসে।সায়ন বিভোরকে ফিসফিসিয়ে বললো,
—–“শালা কি নাস্তিক?”
বিভোর সায়নকে চোখ রাঙ্গায়।

ধারা চোখ খুলে হোটেলের রুমের ছাদ দেখতে পায়।দ্রুত উঠে বসে।চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে বিভোর নেই।কেউ নেই।ভয়টা এখনো কাটেনি।চোখের সামনে বিভোরের আর্তনাদ ভেসে আসছে।বিভোরের হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে মাটিতে।ধারা চিৎকার করে উঠে।দিশারি দ্রুত ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে।ধারার মাথায় হাত রেখে আদুরে গলায় বলে,
—-“কি হইছে পাখি?”
ধারার চোখেমুখে ভয়।কোনোমতে দিশারিকে বললো,
—-“বিভোর উনি কই?”
—-“ফার্মেসীতে গেছে।”

তখন বিভোর রুমে ঢুকে।উপরে উঠার সময় ধারার গলার আওয়াজ শুনেছে।বিভোরকে দেখে ধারা কলিজায় পানি পায়।বিছানা থেকে নেমে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিভোরের বুকে।ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে।বিভোর বিস্ময়ে আবিষ্কার করে বুকের বাঁ পাশটা চিনচিন করছে।ধারা শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে বিভোরকে জড়িয়ে ধরে।কাঁদতে কাঁদতে বলে,
—-“আপনি ভালো আছেন?ওরা আর কিছু করছে?রক্ত পড়ছিল ত..তখন,আমার হাত-পা কা..কাঁপছিল রক্ত পড়ছে…আমার ভয় করছে।”
বিভোর অনুভব করে ধারার শরীর কাঁপছে।তরতর করে কাঁপছে।বিভোর এক হাত ধারার পিঠে রেখে বললো,
—-“আমি ঠিক আছি ধারা।আপনি শান্ত হোন।”
ধারা বিভোরকে ছেড়ে বিছানায় বসে।তখনও নাক টেনে কাঁদছিল।বিভোর হালকা হেসে বললো,

—-“বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রাভেলিং করা মেয়েটা রক্ত দেখে এতো ভয় পায়!এতো ভীতু?”
ধারা শান্ত হয়ে এসেছে।ভয়টা কেটে গেছে।মনে পড়ছে,কয়েক মিনিট আগে সে বিভোরকে কীভাবে জড়িয়ে ধরেছিল।এটা একদমই ঠিক হয়নি।দিশারি হতবাক।সে সায়নের দিকে কৌতূহল নিয়ে তাকায়।সায়ন চোখের ইশারায় একটা ইঙ্গিত দেয়।যে ইঙ্গিতের অর্থ হলো, সায়ন এমন কিছু জানে ওদের সম্পর্কে যা দিশারি জানেনা।সুযোগ বুঝে দিশারিকে জানানো হবে।বিভোর নিরবতা ভেঙে বললো,
—-“ধারা আপনি বিশ্রাম করুন।আসছি।গুড নাইট।”
বিভোর দরজার সামনে এসে আবার ঘুরে তাকায়।ধারা তাকিয়ে ছিল।হাত থেকে অনেক রক্ত ঝরেছে।ফলে,বিভোরের মুখটা চুপসে আছে।ধারার বুক ধ্বক করে উঠে।বিভোর মৃদু হেসে বেরিয়ে যায়।আচমকা ধারা বুকে শূন্যতা অনুভব করে।সায়ন ইশারায় দিশারিকে বলে,একবার সায়নের রুমে আসতে।তারপর বেরিয়ে যায়।দিশারি ধারাকে পানি খাইয়ে দেয়।তারপর শুইয়ে দিয়ে বললো,

—-“আসছি আমি।”
—-“আবার আসবি কেন?”
—-“ভয় পাবিনা একা থাকতে?”
—-“না।”
—-“আচ্ছা তাহলে দরজাটা লাগিয়ে দে।”
দিশারি সায়নের রুমে আসে।সায়ন দরজা লাগিয়ে দিতেই দিশারি বললো,
—-“দরজা লাগাচ্ছিস কেন?”
—-“কিছু করুম না বাল।আমি এতো খারাপ না।”
—-“দেখা হয়ে গেছে তুই কেমন!”
—-“এমন করবি?”
—-“আচ্ছা ক কি কবি।”
—-“তোর বোনের বিয়ে হয়েছিল জানিস?”
—-“কি কস বাল?আমার বোনের বিয়েতে না তুই গেলি।গাঞ্জা খাইছস?আমি তো তখন ছিলামই।”
—-“বাল তোর ওই বোন না।ধারার কথা কইতাছি..
দিশারি বিস্ময় নিয়ে তাকায়।সায়ন কীভাবে জানলো ধারা বিবাহিত!দিশারিকে হা করে থাকতে দেখে বললো,
—-“এমন ভং ধরছস কেন?”
—-“তুই কেমনে জানলি?”
—-“বিভোর যে ম্যারিড এটা তো জানোস না?”
—-“কিহহহ?বিভোর ম্যারিড?”
—-“হ।আমি ছাড়া কেউ জানেনা।ও কেউরে বলেনা কারণ,বিয়ের রাতেই বউ পালাইছে।কেউ শুনলে বলে,বিভোরের পুরুষত্বে সমস্যা তাই বউ পালাইছে।”

দিশারির মাথা ভনভন করে উঠলো।ধপ করে সোফায় বসে।দুইয়ে,দুইয়ে মিলিয়ে দেখে ধারা, বিভোর দুজনের কাহিনি মিলালে এক সূত্রে গাঁথা পড়ে।দিশারি প্রশ্নবোধক চাহনি নিয়ে তাকায়,সায়ন মাথা নাড়ায়।সায়নের রুম থেকে বেরুবার সময় দিশারির মনে হয়,ধারাকে বলেছিল সে বিভোরকে ভালবাসে।দিশারি চোখ বুজে জিভ কাটে।তারপরই মস্তিষ্কে প্রশ্ন জাগে।সত্যি কি সে বিভোরকে কখনো ভালবেসেছে?ভালবাসাটাই বা কি?সায়নের রুমে আবার ঢুকে।সায়ন শার্ট চেঞ্জ করতে নিয়েছিলো দিশারিকে দেখে দ্রুত শার্ট ঠিক করে বললো,
—-“কি হইছে?”
—-“ভালবাসা কাকে বলে?”
—-“যে বাসায় এসি,সুইমিং পুল,রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি ইত্যাদি আছে তাকে ভালো বাসা বলে।এবার যা ফুট…..
দিশারি চোখ রাঙ্গিয়ে সায়নের দিকে তাকায়।সোফা থেকে পানির বোতল নিয়ে সায়নের দিকে ছুঁড়ে মেরে পায়ে গটগট আওয়াজ তুলে রুম থেকে বেরিয়ে পড়ে।

রাত গভীর।ধারার কিছুতেই ঘুম আসছেনা।ছটফট করছে।এতোটা আঘাত পেয়েছে হাতে এখন কেমন আছে বিভোর?ধারার আঘাত পেলেই রাতে জ্বর উঠে।বিভোরেরও কি জ্বর উঠেছে?উনার কি খুব যন্ত্রনা হচ্ছে হাতে?এতো মায়া কেন হচ্ছে?এতো হৃদয় কেন পুড়ছে মানুষটার জন্য?ধারা হাতড়ে বেড়াচ্ছে এতসব প্রশ্নের উত্তর।যন্ত্রনা হচ্ছে মাথায়।
—-“ধারা?ঘুমিয়ে পড়েছেন?”
ধারা ধড়ফড়িয়ে উঠে।সে বিভোরের কন্ঠ শুনলো মনে হলো।স্বপ্ন নাকি বাস্তব!ধারা কান খাড়া করে, আবার শোনার জন্য।
—-“ধারা?আপনি জেগে আছেন?”

হ্যাঁ সত্যি ডাকছে।ধারা কম্বল ছুঁড়ে ফেলে দৌড়ে এসে দরজা খুলে।দরজা খুলে বিভোরকে দেখতে পায়।ঘুমো ঘুমো চোখ।কপাল ছড়িয়ে চুল।গাল ভর্তি খোঁচা দাঁড়ি।পরনে শুধু একটা ব্লু শার্ট।ধারা উত্তেজনায় আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে পা তুলে বিভোরের গলা জড়িয়ে ধরে শক্ত করে।বিভোর বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ়!ঘুমাতে পারছিলোনা সে।তখন ধারা এতো শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিল।রুমে যাওয়ার পরও মনে হচ্ছিলো ধারা বুকের সাথে লেপ্টে আছে।কিন্তু ছোঁয়া যাচ্ছেনা।বুকে অশান্তি বেড়েই চলছিল।মনে হচ্ছিলো ধারা জেগে আছে।তাই কিছু না ভেবে পাগলামি করে জ্যাকেট না পরেই চলে আসে।শীতে শরীর ঠান্ডা হয়ে এসেছিল।ধারা দ্বিতীয়বারের মতো জড়িয়ে ধরাতে সর্বাঙ্গে গরম উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে।মেয়েটার কি হুটহাট জড়িয়ে ধরার রোগ আছে?

প্রায় মিনিট খানেক পর ধারার মনে পড়ে,সে খুশিতে উত্তেজনায় বিভোরকে দ্বিতীয়বারের মতো জড়িয়ে ধরেছে।বিজলির গতিতে জড়িয়ে ধরেছে আবার বিজলির গতিতে দ্রুত সরে যায়।বিভোরের দিকে একবার তাকায়।বিভোর কিছু বুঝে উঠার আগে ধারা দরজা লাগিয়ে দেয়।
বিভোর হতচকিত!মেয়েটা এতো অদ্ভুত কেনো?মাথা চুলকাতে,চুলকাতে বিভোর নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়।
ধারা দরজা লাগিয়ে হাঁপাতে থাকে।কপালে হাত রেখে ভাবে,কি হচ্ছে এসব?কিসব করছে সে?তাঁর কি হয়েছে?এতো আকুলতা কেনো?ধারা কয়েক সেকেন্ড পায়চারি করে।বিড়বিড় করে,

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ১৪

—-“নাহ!এটা ঠিক হয়নি।মুখের উপর দরজা লাগানো একদমই ঠিক হয়নি।”
ধারা দ্রুত গতিতে দরজা খুলে।একি!নাই বিভোর!চলে গেছে।ধারার চোখ ছলছল করে উঠে।দরজা লাগিয়ে এক ঢোক পানি খায়।ঘন নিঃশ্বাস নিতে নিতে সে ক্লান্ত।বিছানায় বসে মাথায় দু’হাত রাখে।ব্যাগ থেকে নোটপ্যাড আর কলম বের করে।মাঝের একটা পেইজে কাঁপা হাতে লিখে,
—-“প্রথম প্রেমে পড়ার মতো সর্বনাশা দ্বিতীয়টি নেই!”

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ১৬