বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ২৫

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ২৫
ইলমা বেহরোজ

আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়িয়ে পাশাপাশি বসে আছে দুজন।আবহাওয়া শীতল।রিক্সা ছুটছে অজানা গন্তব্যে।ধারা মুখ তুলে বিভোরের দিকে তাকায়।বিভোর ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্ন করলো,
——“কি?”
ধারা বললো,
——“কই যাচ্ছি আমরা?”
——“জানিনা।”
——“ড্রাইভার কে কি বললা?”
——-“বলছি সন্ধ্যা হওয়ার আগ পর্যন্ত যেদিকে চোখ যায় চলুন।”
ধারা হাসলো।বিভোর ধারার কপালে থাকা চুলগুলো সরিয়ে বললো,

——“ইচ্ছে ছিল বউকে নিয়ে পুরো বিকেল রিক্সা দিয়ে ঘোরার।ঠিক তাই হচ্ছে।কি সৌভাগ্য আমার!”
ধারা প্রথমে হাসলো।তারপর মুখ ম্লান করে বললো,
——“আমি সেদিন না পালালে অনেক আগেই তোমার সব ইচ্ছে পূরণ হতো তাইনা?”
——“সেসব কথা বাদ।”
ধারা সরাসরি বিভোরের দিকে তাকায়।বললো,
——“তুমি খুব ভালো।পালানো নিয়ে এখনো অব্দি ছোট করে কথা বলোনি।”
বিভোর মৃদু হাসলো।ধারাকে এক হাত জড়িয়ে ধরে বুকে মিশিয়ে নিয়ে শান্ত কন্ঠে বললো,
——-“শীতের কাপর পরে আসোনি কেনো?”
——-“উত্তেজনায় মনে ছিলনা।”
বিভোর জ্যাকেট খুলে ধারাকে পরিয়ে দিতে নেয়।ধারা আটকায়।বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

——“তোমার শীত লাগবে।”
——“তোমার চেয়ে কম লাগবে।”
——“প্লীজজজ।”
বিভোর আর কিছু বললোনা।ড্রাইভারকে বললো,
——“সামনে একটা শপিংমল আছেনা ভাই?”
ড্রাইভার বললো,
——“হ ভাই।”
——“দশ মিনিটের জন্য থামাবেন।”
ড্রাইভার মাথা নাড়ায়। ধারা বললো,
——“শপিংমল কেনো?”
——“শীতে তো কাঁপছো।”
——“বাসায় অনেক শীতের কাপড় আছে।আর লাগবেনা।”

——“এখন তুমি আবার বাসায় যাবা?নাকি ভাবছো রাত আট টা অব্দি তুমি ঠান্ডায় কাঁপবা আর আমি দেখবো?”
ধারা বিরক্তিতে “চ” এর মতো উচ্চারণ করে তারপর হেসে বিভোরের বাহুতে মাথা রাখে।বিভোর বলে,
——-“আরো কাছে এসে মিশে বসো।ঠান্ডা কম লাগবে।”
ধারা বিভোরের জ্যাকেটে নাক ঘষে বললো,
——-“যেভাবে ধরে রেখেছো এমনিতেই ঠান্ডা লাগছে না।”
শপিংমলে ঢুকে চতুর্থ নাম্বার দোকানে ওরা ঢুকে।নাম লেডিস শপ।বিভোর বললো,
——-“যাও চয়েজ করো।”
——-“হুডি না জ্যাকেট? ”
——“তোমার যেটাতে আরাম লাগে সুবিধা লাগে সেটাই কিনো।”

ধারা দুয়েক সেকেন্ড বিভোরের দিকে সরু চোখে তাকিয়ে থাকে।তারপর সাদা-কালোয় একটা হুডি পছন্দ করে।বিভোর বিল পে করে আবার রিক্সায় এসে বসে।ধারাকে হুডিতে দারুণ লাগে।দার্জিলিং হুডি একবারো পরেনি ধারা।তাই বিভোরের আগে দেখা হয়নি।রিক্সা চলছে নিজের গতিতে।ওরা দুজন আঙ্গুলে আঙ্গুল মিশিয়ে খেলছে।ধারা মাঝে মাঝে হাসছে।গেঁজ দাত ঝিলিক মারছে।সেই সাথে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠছে।যা মনোযোগ দিয়ে মুগ্ধ নয়নে বিভোর উপভোগ করছে।সময়টা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

সন্ধ্যা সাতটা তখন।ডিনারের জন্য রেস্টুরেন্টে আসে ওরা।ধারা আসতে চায়নি।বিভোর জোর করে এনেছে।যদিও অনেক দেরিতে ডিনার সারে দুজন।কিন্তু আজ একসাথে ডিনার সম্পন্ন করলে মন্দ কি।দেরি করা যাবেনা।ধারাকে রাত আট টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে হবে।রেস্টুরেন্ট এক অংশ বুকিং করে নেয় বিভোর।ধারাকে জানতে দেয়নি বুকিং করার ব্যাপারটা।দুজন সামনাসামনি বসে।বিভোর বললো,

——“কি খাবা?”
——“তুমি যা খাবা।”
——“আমি ডায়েট করিনা।যা ইচ্ছে হয় তাই খাই যখন তখন।”
——“আমিও।”
——“আচ্ছা ওয়েট।”
কিছুক্ষণের মাঝে টেবিল ভরে উঠে খাবারে।প্রায় সব চাইনিজ।ধারা বললো,
——“চাইনিজ খাবার খুব পছন্দ?”
——“না।এই রেস্টুরেন্টে আরো তিনবার আসছি।এদের চাইনিজ সব খাবার দারুণ।বাঙ্গালিয়ান খাবারে স্বাদ পাওয়া যায়না।”
খাওয়া শেষে বিভোর ঢেকুর তুলে।ধারা হাসে।বিভোর বললো,
——“তুমিতো কিছুই খেলেনা।সব আমি খেলাম।”
——“অনেক খাইছি।”
——-“হুম দেখলাম।এজন্যই মোটা হওনা।”

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরুবার পূর্বে বিভোর নিজ স্থান ছেড়ে ধারার সামনে এসে দাঁড়ায়।বলে,
——-“অনেক্ষণ জড়িয়ে ধরার না খুব ইচ্ছে তোমার!আসো ধরো।”
ধারা লজ্জায় মিইয়ে যায়।নতজানু হয়ে বলে,
——-“কেউ আসবে।”
——-“কেউ আসবেনা এদিকে।”
ধারা নিশ্চুপ।বিভোর তাড়া দেয়।
——“সময় কম।দ্রুত ইচ্ছে পূরণ করো।”
ধারা উঠে দাঁড়ায়।বিভোরের চোখের দিকে না তাকিয়েই জড়িয়ে ধরে শক্ত করে।শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে।বিভোর হেসে বলে,
——-“কেউ নিয়ে যাচ্ছেনা আমাকে।”

ধারা অনেক্ষণ জড়িয়ে রাখে বিভোরকে।দুজন দুজনের হৃদস্পন্দন শুনে।সর্বাঙ্গে দমবন্ধকর অনুভূতি ঘুরপাক খায়।ধারার শরীরের পশম কাটা কাটা হয়ে উঠে।বিভোরের মনে উঁকি দেয় হালাল আবদার।তবুও যেনো সে পাত্তা দিতে চাচ্ছেনা।বেশিক্ষণ পারলোনা নিজেকে নিজের জাগায় রাখতে।সে ধারার ওষ্ঠদ্বয়ে ডুবতে থাকে।কেটে যায় কিছু সুন্দর ক্ষণ।বিভোর মুখ তুলে ধারার দিকে তাকায়।ধারার চোখের পাপড়ি অনবরত কাঁপছে।সেই সাথে সারা মুখ লাল হয়ে আছে।চোখ নামিয়ে রেখেছে।বিভোর ডাকে,
——-“এই ধারা?”
ধারা কোনোমতে বললো,
——-“হু?”
——-“কি হইছে?”
ধারা কিছু না বলে আবার বিভোরকে জড়িয়ে ধরে।বিভোর হেসে ধারাকে জড়িয়ে ধরে।তখন তাঁর চোখ পড়ে কিছুটা দূরত্বে।বিভোর ধারাকে আচমকা দূরে সরিয়ে সেদিকে দৌড়ে এসে পর্দায় লাথি মারে জোরে।একজন লোক গুঙিয়ে উঠে।একটা ফোন ফ্লোরে আওয়াজ করে পড়ে ফেটে যায়।বিভোর লোকটার শার্টের কলারে ধরে কিড়মিড় করে বললো,
——-“কুত্তারবাচ্চা তুই ভিডিও করছিলি কেন?”
লোকটি ভয়ে চুপসে যায়।হাতজোড় করে বলে,
——-“ভাই মাফ করে দেন।”

বিভোর লোকটির কানের উপর ঠাস করে থাপ্পড় দিয়ে চেঁচাতে থাকে।আওয়াজ শুনে রেস্টুরেন্ট কর্মকর্তা দুজন দৌড়ে আসে।বিভোর লোকটিকে অনবরত ঘুষি দিতে থাকে।ধারা দৌড়ে এসে বিভোরকে ধরে।আটকানোর চেষ্টা করে।বাকি কর্মকর্তারাও চেষ্টা করে।কিন্তু লাভ হয়না।বিভোর একসময় ছেড়ে দেয় লোকটিকে।ততক্ষণে রেস্টুরেন্টে মালিক চলে এসেছে।তিনি বলেন,
——-“স্যার ব্যাপারটা খুলে বলুন প্লীজ?কি করেছে ও?”
বিভোর রাগ কন্ট্রোল করে বললো,
——-“আপনার এই কর্মচারী আমাদের মধ্যে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেসব ভিডিও করছিল আড়াল থেকে।”
মালিকের মুখটা চুপসে যায়।তিনি কর্মচারীর দিকে কটমট করে তাকান।তারপর বিভোরকে রিকুয়েষ্ট করে বললেন,
——-“সরি স্যার আপনাদের যথাযথ সম্মান না দেওয়ার জন্য।আমি ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।তবে,প্লীজ স্যার এসব বাইরে বলবেন না।আমাদের রেস্টুরেন্টের নাম খারাপ হবে।প্লীজ স্যার।”

বিভোর কিছু বললোনা।ফ্লোরে থাকা ফোনটার উপর রাগে কয়েকবার জোরে লাথি দেয়।ভেঙে চুরমার করে দেয় ফোন।মেমরি বেরিয়ে আসে।সেটাও ভেঙে দেয়।তারপর বিল মিটিয়ে।ধারাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।ধারা হতবাক,হতবিহ্বল।কত খারাপ মানুষ!এতো উন্নত,আধুনিক একটা রেস্টুরেন্টে এমনটা কীভাবে হয়!কিছু কর্মচারীর জন্য রেস্টুরেন্টের বদনাম হয়।এদিকে বিভোর রাগে ফুঁস ফুঁস করছে।কিছু বলতে ভয় পাচ্ছে ধারা।বাড়ি ফেরার পথে ধারা ভয়ে ভয়ে বললো,
——-“রাগ কমছে?”
বিভোর তাকায়।ধারা ঢোক গিলে।বিভোর ধারার ভীতু মুখ দেখে হাসে।বলে,
——-“হুম কমছে।”
——-“একটা প্রশ্ন করি?”
——-“করো।”

——-“ভিডিও কেন করছিল?আমাদের মাঝে তেমন কিছু হয়নি যা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা যাবে।তাহলে?”
——-“একটা ছেলে আর মেয়ে কাছাকাছি থাকলেই এদের জ্বলে।এসবই এরা ভিডিও করে ফেসবুকে ভাইরাল করে।আর ভিডিওর উপর জঘন্য ক্যাপশন তো আছেই।ভাবো,তোমার ভাইদের হাতে ভিডিও টা গেলে কি হতো।এরকম ছেসরামি করে কোনো লাভ নাই।তবুও এরা করবে।মানুষকে হেনস্তা করতে এরা পছন্দ করে।জুতা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের চামড়া তুলে দিতে ইচ্ছে হয় এদের।আর দোষ আমারই।বাইরে নিজের উপর এমন আস্থা হারানো মোটেও ঠিক হয়নি।”
——-“আবার রেগে যাচ্ছো কিন্তু।”
বিভোর দু’হাতে মুখ ঢেকে গভীর দম ফেলে।তারপর ধারাকে দু’হাতে জড়িয়ে বুকে নিয়ে আসে।ধারা বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে।রাত ন’টায় বাড়ির সামনে সিএনজি থামে।ধারা এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ আছে নাকি।দেখে কেউ নেই।বিভোর ধারার কপালে চুমু দিয়ে বললো,

——“যাও।”
ধারা বললো,
——“সাবধানে যাবা।আর বাড়ি পৌঁছে কল দিবা।”
—–“হুম দেব পাগলি।”
ধারা গেইটের ভেতর ঢুকে যায়।সিএনজি ছেড়ে দেবে তখন আবার ধারা বেরিয়ে আসে।বিভোর সিএনজি থেকে নামে।ধারা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে।বিভোর বলে,
——“এই কি করছো।তোমার বাড়ির সামনে আছি।ভুলে গেছো?কেউ দেখবে তো।”
ধারা বিভোরকে ছেড়ে দেয়।আসি বলে আড়াল হয়ে যায়।বিভোর নিজের বুকের বা’পাশে হাত রেখে গভীর নিঃশ্বাস নেয়।

রাত এগারোটা।ধারার রুমের দরজায় কড়াঘাত।ধারা বিভোরের কল কেটে দরজা খুলে।শাফি গম্ভীর মুখ করে ঘরে ঢুকে।বিছানার উপর বসে।ধারাকে সামনে এসে বসতে বলে।ধারা বিব্রত হয়ে উঠলো।গলদ লাগছে তাঁর।শাফির সামনে এসে বসে।শাফি সরাসরি চোখ রাখে ধারার চোখে।ধারা বিভ্রান্তি নিয়ে চোখ সরিয়ে নেয়।শাফি গম্ভীর গলায় বললো,
——“ছেলেটা বিভোর ছিলো তাইনা?”
ধারার চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলো।হৃদপিন্ড মুহূর্তে জোরসে চলা শুরু করেছে।গলা শুকিয়ে আসে।সাফির এমন গম্ভীরতা কেনো তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল ধারার কাছে।শাফি আবার বললো,
——“কিরে?কথা বল?”
ধারা ঢোক গিলে নিজেকে সামলায়।মাথা নাড়ায়।শাফি গম্ভীরতা কন্ঠে রেখেই প্রশ্ন করলো,

——“দেখা হলো কোথায়?ভেঙে বলবি!”
——“দিশারি আপুর ফ্রেন্ড বিভোর।কথা ছিল দিশারি আপুর সাথে আর আপুর ফ্রেন্ডদের সাথে দার্জিলিং যাবো।যাবার পথে জানতে পারি বিভোর আপুর ফ্রেন্ড।আর তখনি দেখা হয়।”
—–“এক সপ্তাহ তাহলে একসাথেই দার্জিলিং ছিলি তখন প্রেম হয়?”
ধারা মাথা নাড়ায়।হাত-পা অনবরত কাঁপছে।শাফি এবার বললো,
——“পানি খা।”
ধারা পানি খেয়ে বললো,

——“ভাইয়া ও খুব ভালো।”
——“এক মাসের পরিচয়ে বুঝে গেলি?”
——“কিছু মানুষকে বুঝা যায়না আজীবন একসাথে থেকেও।আর কিছু মানুষকে একদিনের পরিচয়েও চেনা যায় ভাইয়া।”
——“বড় হয়ে গেছিস!”
——“সরি ভাইয়া তোমাকে বলিনি।”
——“তো তোকে ওর বাড়িতে তুলছে না কেনো?”
—–“ওর ফ্যামিলি বা আমার ফ্যামিলি কি মানবে?”
——“তাহলে প্রেম করে কেনো তোর সাথে?শোধ নিতে প্রেম করতেছে।”
——“না ভাইয়া।ও আমাকে সত্যি ভালবাসে।”
——“বিয়ের রাতে পালাইছিস।এর পরেও ভালবাসে?নাটক এসব!”
——“তোমরা যেমন মেনে নিতে পারো আমাকে।ও এমনেই মেনে নিছে।”
——“এতো বিশ্বাস?”
——“হুম।”

——“তোর সাথে খেলতেছে।দেখবি ওর বাড়িতে কখনো তোর জায়গা দিবেনা।কয়দিন ব্যবহার করবে এরপর ছেড়ে দিবে।”
ধারা প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে দৃঢ় গলায় বললো,
——“ভাইয়া প্লীজ।এভাবে বলিওনা।আর আমি বলছি,ওর মতো ছেলে কোটিতেও একটা পাবানা।”
——“এতো আত্মবিশ্বাস?অন্ধ বিশ্বাসের জন্য না ঠকে যাস।”
——“ঠকবোনা।হয় মরবো নয় ওর ঘরে ঢুকবো বউয়ের অধিকার নিয়ে,ভালবাসা নিয়ে।”
শাফি সীমাহীন আশ্চর্য হয়।তারপর বিপন্ন গলায় বললো,
——“কিছুদিনের ব্যবধানে নিজের সত্তা হারিয়ে ফেলেছিস তুই।”
——“হারাইনি।যদিও হারিয়ে ফেলি।সেটা বিভোরের কাছে হারিয়েছি।আর ওর কাছে আমার যেকোনো আমানতই সুরক্ষিত।”
শাফি উঠে দাঁড়ায়।ধারা পিছন থেকে বলে উঠে,

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ২৪

——“বাসার সবাইকে সব বলে দিতে যাচ্ছো?”
শাফি ঘুরে দাঁড়ায়।এগিয়ে আসে।ধারার মাথায় হাত রেখে বলে,
——“টুইংকেল আমার!সুখী হ।”
কথা শেষ করে শাফি বেরিয়ে যায়।ধারা ঝিম মেরে মিনিট কয়েক বসে থাকে।সে বুঝতে পারে শাফি অভিমান করেছে।অনেক আগে থেকে কথা ছিল যা ই হয়ে যাক একজন আরেকজনকে সব জানাবে।শাফি যখন যা হয় জীবনে সব ধারাকে বলে।কিন্তু ধারা জীবনের এতো বড় এক সত্য এতদিন লুকিয়ে রাখতে পেরেছে।শাফির অভিমান তো হবেই।

বৃষ্টি হয়ে নামো পর্ব ২৬