ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১৫

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১৫
লেখনিতে : মিমি মুসকান

– তারা দু জুটি রিলেশন করছে!
মুখের পানি সব থেকে ফেলে দিয়ে…
– কিহহহহ!
ইতি আনমনে…
– হ্যাঁ।
– তোকে এই কথা বললো কে?
– আরে বলছি না ফেসবুকে এ পোস্ট করেছে।
– ফেসবুক এ পোস্ট করলেই কি সত্যি!
ইতি আমার দিকে তাকিয়ে বলে…

– শোন তুই তো আর এইসব use করিস না তাই বুঝতে ও পারোস না। আর আমি প্রথমে সবার থেকে শুনেছি,এখন আমি নিজে দেখেছি তাই এতো সিউরলি বলছি।‌ আনিকা আর নিতি নাকি ট্রিট ও দিবে সবাইকে।
আমি পায়ের মাটি নিমিষেই সরে গেল। এসব কি বলছে ইতি! উনি কি সত্যি’ই নিতি কে ভালোবাসে। তাহলে আমাকে কেন বিয়ে করলেন তিনি।নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম আমি। কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে আমার! মেনে নিতে পারছি না এইসব।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আমি নিরবতা দেখে ইতি আমার কাছে এসে। আমার ঘাড়ে হাত রেখে বলে…
– তুই এতো শক কেন? অবস্থা তো আমার খারাপ হবার কথা। আচ্ছা বাদ দে এইসব।‌ এখন বল তোর শশুর বাড়ির কি অবস্থা! শশুড় শাশুড়ি ভালো তো। ভালো আছিস ওখানে।
আমি ওর কথায় শুধু মাথা নাড়ি। ইতি আবার বলে উঠে…
– তোর জামাই তোকে পড়াশোনা করার অনুমতি দিয়েছে তাহলে। আমি তো ভেবেছিলাম তুই আর আসবি না। যাক ভালো হলো তুই আসলি। আমার আর একাকিত্ব লাগবে না।
আমি এবারও মাথা নাড়ি। ও আমার শাড়ি ধরে বলে…
– শাড়ি টা খুব সুন্দর তো কে দিয়েছে তোর বর।
আমি এবার ও মাথা নাড়ি। ইতি এবার আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলে…
– কি শুধু মাথা নাড়ছিস, কথা বল। এতো চুপ কেন তুই। তোর বর এর নাম কি।
– আ…..
– কি আ আ করছিস নাম কি?

আমার মুখ থেকে কথা আর বের হলো না। কি বলবো আমি ওকে। অনেক কথা বলার ছিলো ইতি কে কিন্তু এখন আর কথা বলতেই ইচ্ছে করছে না আমার। হঠাৎ ক্লাসের বাইরে অনেক চেঁচামেচি শুনতে পাই। আমরা দুজনে কি হয়েছে দেখার জন্য বের হই।
বের হয়ে দেখি নিতি, আনিকা, টিনা আর ওর কয়েকজন বন্ধু। সবাই দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে।‌আমার চোখ একবার নিতি’র দিকে গেল। অনেক সুন্দরী সে, দেখতেও খুব স্মার্ট। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। তার সাথে আমার তুলনা বোকামি। কোথায় সে কোথায় আমি। হুট করেই নিতি আর আমার চোখাচোখি হয়ে যায়। সে আমার কাছে আসে। অতঃপর আমাকে বলতে থাকে…

– কেমন আছো নিহা।
আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বলি…
– ভা…লো।
– তোমার কি বিয়ে হয়ে গেছে?
আমি মাথা নেড়ে বলি…
– হ্যাঁ!
নিতি হেসে বলে…
– তা আমাকে congrats করবে না।
– কেন আপি!

– ওমা তুমি জানো না। পুরো ভার্সিটি আমায় congrats করছে, আর তুমি জিজ্ঞেস করছো কেন?
-….. ( নিশ্চুপ হয়ে আছি )
– আচ্ছা শোন তাহলে আমি বলি! আমি আর আহি রিলেশনে গেছি তাই সবাই আমাকে ‌ congrats করছে।
নিতি’র কথায় আমি খুব কষ্ট হল। আমি মাথা নিচু করে বলি…
– congratulations আপি।
– thank you.

হঠাৎ আনিকা এসে ‌নিতি’র হাত টেনে বলে…
– আহি এসেছে চল!
অতঃপর তারা সবাই মিলে চলে যায়। আমি ইতি’র দিকে তাকাই। রাগে তার চোখ লাল হয়ে আছে। সে দাঁতে দাঁত চেপে বলে…
– শুনলি মেয়ের কথা, কিভাবে বলে আমাকে congrats করবে না।‌আসছে‌ কোন নবাবজাদি তাকে আবার congrats করতে হবে।
আমি নিজেকে স্বাভাবিক করতে মুচকি হেসে বলি…
– তুই এতো রেগে আছিস কেন?
– ভালো লাগছে না আমার কিছু

বলেই ইতি ক্লাসরুমে চলে গেল। আমিও তার পিছু পিছু গেলাম। পুরো ক্লাস ইতি আর আমি চুপ হয়ে ছিলাম। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে নি আমার। কেন জানি ভালো লাগছিলো না কিছু। ক্লাসের কোনো পড়াই মন বসে নি আমার। মাথায় শুধু আহিয়ান আর নিতি’র কথা ঘুরছিলো। মাথা থেকে তাদের কথা বের করতেই পারলাম না।
আচ্ছা উনি প্রেম করুক না নিতি’র সাথে।‌আমার কি তাতে! উনি তো বলেই দিলেন আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেনি। তাহলে আর কি নিশ্চয়ই কষ্ট দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছে।‌ আর তার সূত্রপাত এটা দিয়েই শুরু করলেন তিনি। কিন্তু কষ্ট কেন হবে আমার। আমি তো আর উনাকে ভালোবাসি না। তাহলে এই খারাপ লাগার কারন কি? আমি উনার স্ত্রী বলে কি!

ক্লাসশেষে আর দাঁড়ালাম না। ইতি কে বলে চলে এলাম ইতি অনেক বার থাকতে বললো ওর সাথে কিন্তু কিছুই ভালো লাগছিলো না আমার। কোথায় একটা চাপা কষ্ট ছিলো তার সাথে রাগ ও। ভার্সিটি থেকে বের হবার সময় উনাকে দেখালাম বন্ধু দের সাথে বসে আড্ডা দিতে। হয়তো উনি আমায় খেয়াল করে নি। কিন্তু আমি খেয়াল করেছি! নিতি বসে ছিলো উনার পাশে, মাথা রেখেছিলো উনার ঘাড়ে! আমি শুধু চোখের দেখা দেখেই চলে এলাম।

আনমনে হাঁটছিলাম রাস্তায়, অনেকটা সময় ধরে হাঁটছি কিন্তু মটেও খারাপ লাগছিলো না হাঁটতে। পুরো আকাশ জুড়ে এখন রোদ, আবহাওয়া কিন্তু ঠান্ডা। প্রকৃতি টা অনেক সুন্দর। আশপাশ মানুষের তেমন ভিড় নেই। আমি রাস্তার একপাশে আস্তে আস্তে হাঁটছি। হুট করেই একটা গাড়ি এসে আমার সামনে দাঁড়ায়। হঠাৎ করেই গাড়ি টা আসায় আমি খানিকটা ভয় পেয়ে যাই। আমি ভাবনা ভেঙে যায়। আমি চোখ তুলে গাড়ির দিকে তাকাই। সামনে তাকাতেই আহিয়ান এর রেগে যাওয়া মুখ টা দেখতে পেলাম। আমি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করলাম এটা কি সত্যি নাকি। মানে আসলেই কি এটা আহিয়ান না আমার চোখের ভুল।

নাহ সত্যি, এটা আহিয়ান’ই। উনি গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে দাঁড়ালেন। দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে। আমাকে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলেন..
– কোথায় যাচ্ছো?
– বাসায়!
– একা একা কেন যাচ্ছো। আমার জন্য অপেক্ষা করলে কেন?
– আপনি তো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন আমি ভাবলাম দেরি হবে তাই!
– তাই! তাই তুমি এভাবে চলে এলে। তুমি জানো আমাই পাগল হয়ে তোমাকে খুঁজছিলাম। পুরো ভার্সিটি খুঁজেছি তোমায় আর তুমি কিনা না বলে চলে এলে।
– ….. ( নিশ্চুপ )
– কি হলো কথা বলছো না কেন?
– বাসায় যাবো।

আহিয়ান আমার কথা শুনে আরো রেগে গেলেন কিন্তু তা বহিঃপ্রকাশ করলেন না। আমার হাত ধরে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন। অতঃপর নিজে গাড়িতে বসে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন…
– কি হয়েছে?
– কিছু না।
– ভার্সিটিতে কেউ কিছু বলেছে?
– না।
– তাহলে এভাবে কথা বলছো কেন? ( ধমকে বলেন )
আমি উনার ধমকে চুপ হয়ে যায়। উনিও চুপ, দু’জনেই নিরব। নিরবতা ভেঙ্গে উনি বলেন…
– তোমার যদি বাসায় যাবার জন্য এতো তাড়া থাকতো তুমি তখন ওখানে এসে আমায় বলতে পারতে।
– কোথায় যেতাম?
– যেখানে আমি ছিলাম।
– আপনার বন্ধুদের সামনে!
– হ্যাঁ কেন?
– আচ্ছা একটা কথা বলুন তো?
– কি বলো?

আমি চোখ বন্ধ করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে উনার দিকে তাকিয়ে বলি…
– আপনার বন্ধুরা জানে আপনার আর আমার বিয়ের কথা।
উনি ভ্রু কুঁচকে বলেন…
– না, এখনো বলি নি কেন?
– কেন‌ বলেন নি? না মানে আপনি বললেন আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে যেতে মানে আপনার বন্ধুদের সামনে তাহলে তখন ওদের কি বলতেন আপনি।
আমার কথা শুনে উনি খানিকটা অবাক হয় তবুও শান্ত ভাবেই বলেন…

– নিহা! এমনটা না যে আমি বলতাম না। তুমি আমার স্ত্রী তাও বিবাহিত।‌ এটা আজ জানলেও মানুষ জানবে কাল হলেও জানবে। আজ বলিনি কারন এরকম কোনো টপিক নিয়ে কথা হয়নি।
তাহলে আমার ব্যাপারে কথা বলতেও উনার টপিক লাগবে। কিন্তু এই ব্যাপার টা আমার জন্য স্বাভাবিক কারন আমার মতো মেয়েকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিলে উনার মান সম্মান থাকবে না। এটা আমি এখন বুঝতে পেরেছি। একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে উনাকে বলি….
– আমার একটা উপকার করবেন।
– উপকার?
– হ্যাঁ!
– কি উপকার?

– আপনার আর আমার বিয়ের কথা আপনি ততোদিন কাউকে বলবেন না যতদিন না আমি বলতে বলি।
আমার কথা শুনে উনি ধতমত খেয়ে যান। হয়তো ভাবতে পারে নি আমি এমন কিছু একটা বলবো। আমার থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বলি…
– যদি এটা তোমার ইচ্ছে হয় তাহলে আমি জোর করবো না কিন্তু একটা কথা মনে রেখো এর জন্য তোমাকে অনেক ভুগতে হবে।

আমি উনার কথা’র মানে কিছু বুঝলাম না। কি বলতে চাইলেন উনি আমায় ভুগতে হবে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন উনাকে আর জিজ্ঞেস করলাম না। উনি ড্রাইভ করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ ড্রাইভ করার পর উনি বলে উঠেন…
– আমাদের ব্যাপার‌টা যাতে কেউ না জানতে পারে তাই তুমি একা একা চলে এলে তাই না। ( হেসে বললেন )
আমি কথা শুনে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু আমি তো এমন কিছু চায়নি। আমি তো রেগে চলে এসেছিলাম। তাহলে উনি এই কথা কেন বললেন। ভুল বুঝলেন উনি আমায়। বুঝলে বুঝুক আমার কি তাতে হুহ।

বাড়িতে আসার পর গাড়ি থেকে নেমে সোজা নিজের ঘরে চলে এলাম। মা’র সাথে দেখা হয় নি তাই ফ্রেশ হয়ে মা’র রুমে গেলাম। দেখি উনি বই নিয়ে বসে আছেন। মা আমাকে দেখে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করেন “আজকের দিন কেমন কাটলো”।
আমি হেসেই উওর দিলাম খুব ভালো। একটুপর উনিও আসলেন। মা’র সাথে কথা বললেন। সবাই একসাথে দুপুরে খাবার খেলাম। উনি আমার সাথে আর কথা বলেনি আমিও বলেনি। রাগ কি উনার’ই আছে নাকি আমার ও আছে। তাই আমিও আর কথা বলতে যায় নি।

দুপুরে খাবারের পর কোথায় বের হলেন তিনি কিন্তু কোথায় আমি জানি না। কাল অফ ডে ভার্সিটি অফ। পরশু আবার ক্লাস। ভাবতেই অবাক লাগে যেই ভার্সিটিতে এতোদিন যাবার জন্য আমি পাগল হচ্ছিলাম এখন সেইটাই অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।‌ বেলকনির দোলনায় বসে ছিলাম। মাথা থেকে এখনো নিতি কথা বের করতে পারি নি। হঠাৎ একটা স্কুটি নিয়ে একজন কে ঢুকতে দেখলাম কিন্তু কে এটা? দেখে তো আহিয়ান মনে হচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি দোলনা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে উঁকি দিতে লাগলাম। দেখি হেলমেট খুলে আহিয়ান দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে ইশারায় নামতে বলল। আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে এলাম।

নিচে নেমে দেখি একটা স্কুটি’তে হেলান দিয়ে উনি দাঁড়িয়ে আছে‌। আমাকে আসতে দেখে হাতে থাকা হেলমেট টা আমাকে পড়িয়ে দেয়। আমি বোঝার চেষ্টা করছি উনি কি করতে চাইছে। উনি আমাকে স্কুটি দেখিয়ে বলে…
– পছন্দ হয়েছে!
– আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলি।
উনি হেঁসে বলেন…
– যাক কোনো জিনিস তোমার পছন্দ হয়েছে তাহলে!
হেলমেট খুলে…
– এটা আমার!
– তোমার কি মন হয়!
– আমি তো চালাতেই পারি না। আর বড় কথা হলো এটা চালিয়ে আমি কি করবো।
– ভার্সিটিতে যাবা।

– কিহহহ? কেন? আপনি কোথায় থাকবেন?
উনি ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলে…
– সকালের কথা এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেছো।
– কোন কথা!
– বিয়ের কথা।
– ওহ হ্যাঁ মানে না মনে আছে।
– তো? যখন আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করবে তুমি আমার গাড়ি তে কি করো তখন আমি কি বলবো সবাইকে। বলো!
– হ্যাঁ এটাও ভাবা’র বিষয়।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলে..
– মানুষ বলে খাটো দের নাকি শরীরে রগে রগে বুদ্ধি থাকে কিন্তু তোমার তো হাঁটুর নিচে।
হাত হেলমেট সহ কোমরে রেখে…

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১৪

– ওহ্ তাহলে কি আপনার বুদ্ধি অনেক নাহ। তাহলে এটা বলুন যতদিন না স্কুটি চালানো শিখছি ততোদিন আমি কি ভার্সিটিতে না যেয়ে থাকবো। কারন একদিনে তো আমি আর স্কুটি চালানো শিখতে পারবো না তাই নাহ্!
– জানি আমি সেটা তোমাকে ভাবতে হবে না। এখন বসো আমার পিছনে।
আমি মুখ ভেংচি দিয়ে উনার পিছনে বসি। অতঃপর উনি আমাকে একটা ধমক দিয়ে বলে…
– ধরে বসো! পরে গেলে তখন কে দেখবে?
আমি বিড় বিড় করতে করতে উনার ঘাড়ে হাত রাখি। উনি স্কুটি চালাতে শুরু করে। আর আমাকে বলে খেয়াল রাখতে কিভাবে কি করছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমি পিছনে বসে তেমন কিছু’ই বুঝতে পারছি না।
কিছুক্ষণ চালানোর পর উনি চালানো হঠাৎ থামিয়ে দেন। অতঃপর আমাকে বলে…

– নামো!
আমি সাথে সাথে নেমে পড়ি। উনিও নেমে পড়ে আমাকে বলে…
– বসো!
অবাক হয়ে বলি…
– আমি!
উনি আশপাশ তাকিয়ে বলে…
– চারপাশে কি আর ভূতনি আছে।
দাঁতে দাঁত চেপে…
– বসছি।
আমি বসার পর উনি আমার পেছনে বসে। তারপর আমাকে হাতে ধরে শিখিয়ে দেন কোনটা কি! অতঃপর আবার চালাতে শুরু করে। এবার আমরা একটা পার্কে এসে পড়ি। হেলমেট পড়ার কারনে কেউ হয়তো উনাকে চিনছে না কিন্তু সবাই তাকিয়ে আছে।‌ এতো কিছুর মধ্যে সকালের কথা প্রায় মাথা থেকে বের হয়ে গেল।

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ১৬