ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ৩৪

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ৩৪
লেখনিতে : মিমি মুসকান

নিতি আমাকে চড় দেওয়ার জন্য হাত তুললে ওর হাত ধরে ফেলি। অতঃপর হাত পিছনে ঘুরিয়ে বলি…
– যা বলার মুখে বলো, হাত তুলছো কেন? এভাবেও আমার সিনিয়র বলে এতোদিন সম্মান করেছি তোমায় কিন্তু কিছু মানুষ সম্মান পাওয়ার যোগ্য না।

– ছাড়ো আমাকে।
– তোমাকে ধরে নিজের হাত নোংরা করার কোনো ইচ্ছা নেই আমার।
– নিহা!
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি উনি আর উনারা বন্ধুরা আসছে। সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আমি নিতি কে উনার কাছে দিয়ে বলি…
– সামলান আপনার বান্ধবী কে!
নিতি রেগে উনাকে বলে…
– দেখলি আহি তোর বউ কিভাবে আমায় ইনসাল্ট করলো, কিভাবে করে আমার হাত মুচড়ে দিলো।
আমি উনার দিকে তাকিয়ে, উনি কপার কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!
আকাশ ভাইয়া বলে ওঠে…
– সেটাই তো আমরা দেখছি, কিভাবে কি? কে বললো তোকে এইসব, কে করলো নিহা!
– আকাশ তুই চুপ থাক প্লিজ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

– আরে এখন তো আমাদের চুপ’ই থাকার সময়। আর এমনে তেও সাপ’কে মারলে তো ছোবল খেতে হবে ‌
আকাশ ভাইয়ার কথায় সবাই হেঁসে উঠে। উনি না হেসে বলে উঠে…
– না না সাপ না বল ভূতনি’কে জ্বালাতন করলে ভূতনি এসে তো ঘাড় মটকাবেই।
উনার কথায় এবার সবাই হেসে দেয়। নিতি রেগে গিয়ে উনাকে কিছু বলার আগে আমি কোমরে হাত রেখে উনার সামনে গিয়ে বলি…

– কি বললেন আপনি আমায়!
– কেন ভূতনি কি এখন কালাও হয়ে গেল নাকি!
– আপনি একটা ভূত!
– হ্যাঁ তুমি ভূতনি, বাচ্চা ভূতনি, পাকনা ভূতনি, হিংসুটে ভূতনি, সব ভূতনি তুমি!
– আপনি আপনি একটা আপনি একটা
– কি আমি বলো কি?
– একটা যা তা আপনি। হ্যাঁ একটা যা তা।
– what the যা তা?
– আপনার মাথা!
– ভূতনি কোথাকার!

বলেই চলে যেতে নিলাম ওখান দিয়ে থেকে তখন নাহান ভাইয়া বলে ওঠে…
– আহি তুই এভাবে ঝগড়া করিস কবে থেকে!
আকাশ ভাইয়া বলে ওঠে…
– যবে থেকে বিয়ে করেছে তবে থেকে…
নিতি বলে ওঠে…
– আহি তুই কিছু বললি না নিহা কে!
উনি বলে উঠেন..
– নিতি এটা তোদের মেয়েদের ব্যাপার, আমি এসে কি করবো বল।
– হ্যাঁ এখন তো এটাই বলবি, তুই ওকে বিয়ে করার পর ওর ভাব এখন বেড়ে গেছে, মুখে খই ফুটছে!
– বিয়েটা তো এই কারনেই করা। থাক অবশেষে আমার কাজ হলো।
– মানে!

– যেটা এখন তোর সাথে করলো সেটাই…
বলেই সে ওখান থেকে চলে গেলো। আমি হাসতে হাসতে ক্লাসরুমে এসে বসলাম। হুট করেই ঝড়ের গতিতে ইতি এসে আমার পাশে বসল। বসেই তার প্রশ্ন শুরু…
– কিরে তুই নাকি আজ নিতি কে উচিত জবাব দিয়েছে, কিভাবে হলো এটা? কি করলি, কি বললি, আচ্ছা তোর কি জ্বর হয়েছে, জ্বরের ঘোরে কিছু বলিস নি তো আবার
দেখি দেখি তোকে ( আমার কপালে হাত রেখে )
– আরে কিছু হয় নি!
– তাহলে বললি কি করে..
– মুখ দিয়ে বলেছি!
– নিহা…

– আরে শোন ( গতাকালের গাড়িতে উনার কথা গুলো বললাম… )
– ওহ্ আচ্ছা তলে তলে এতো দূর..
– না দূর না কাছেই আছি।
– আচ্ছা অনেক অনেক হ্যাপি নে চকলেট খা, চকলেট খেয়েই সেলিব্রেট করি!
দুজনেই হেসে দিলাম। চকলেট খেতে খেতে ইতি বলে উঠে..
– ভাইয়া কে বলেছিলি।
– কি সম্পর্কে?
– কি সম্পর্কে মানে, আমি যে তোকে বলেছিলাম। ভালোবাসি কথাটা বলতে।
– আমি বললেই যেনো উনি ভালোবাসবেন!
– না বাসলে জোর করবি, আফটার অল তুই তার বিবাহিতা স্ত্রী, এই অধিকার আছে তোর!
– আমি পারবো না।
– তাহলে বসে থাক। অন্যকেউ এসে যখন নিয়ে যাবে তখন বুঝবি, কেঁদেও কুল পাবি না। এখন নিতি হয়তো চলে গেছে কিন্তু তাই বলে কি আর মেয়ে নেই। আর এমনেতেও আমার ভাইয়া খুব হ্যান্ডসাম মেয়ের অভাব হবে না। দেখে নিস!
বলেই ইতি চলে গেল। যাহ বাবা কি এমন বললাম তাতে এমন ভাবে রেগে চলে গেলো। এমন ভাবে তো আহিয়ান ও আমার সাথে রেগে কথা বলে না।

দেখতে দেখতে বসে বসে ১০ টা মুভি দেখে ফেললাম। সবকটা শাহরুখ খান এর রোমান্টিক মুভি। মোটকথা ভালোবাসার সঙ্গা বুঝতে এতো কিছু, কিন্তু উনাকে কিভাবে বলবো আমি তাকে ভালোবাসি। যাই হোক শাহরুখ খান এর Bajigor আর Dil Wala Dulaniya La jayanga খুব জোশ ছিল। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু এখন উনাকে ভালোবাসার কথা বলবো কিভাবে? ঘড়ির দিকে দেখি রাত ১২ টা বাজে কিন্তু উনি এখনো বাসায় এসেনি। আর আমার কোনো খবর’ই তো নেই। বসে বসে মুভি দেখছি। তাড়াহুড়ো করে ফোন টা নিয়ে উনাকে কল করালাম। তিন চার বার রিং বাজার পর বন্ধ হয়ে গেল। কারনটা কি?

বাড়িতে গাড়ি ঢোকার আওয়াজ‌ পেলাম। বেলকনিতে তাকিয়ে দেখি উনার গাড়ি, ইশ বাসায় এসে গেছে বলে ফোন টা ধরল না। কতো কষ্ট করে ফোন দিলাম ধরলে কি হতো! কলিং বেল বাজার শব্দ পেলাম। আমি দৌড়ে গেলাম আর দরজা খুললাম কারন বাসার সবাই ঘুমিয়ে গেছে। দরজা খুলে উনাকে দেখলাম কিঞ্চিত হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।‌আমি একটা মুখ ভেংচি দিয়ে চলে আসলাম। উনি হেসে ভিতরে ঢুকলেন। আমি ডায়নিং টেবিলে এসে উনাকে বলি…

– ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার বাড়ছি!
– আমি খেয়ে এসেছি, তুমি খেয়ে নাও।
– খেয়ে এসেছেন মানে, কোথায় খেলেন, কার সাথে খেলেন আর খেলেন যখন বললেন না কেন?
– এটাও জিজ্ঞেস করেন কখন খেলাম!
আমি রেগে কিছু না বলে গ্লাস টা ধপাস করে রেখে রুমে চলে গেলাম। বিছানায় এসে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম। কথা’ই বলবো না আর উনার সাথে। কিছুক্ষণ পর উনি এসে আমার হাতে খোঁচা দিচ্ছেন। আমি মুখের চাদর সরিয়ে বলি…
– কি হয়েছে?
উনি প্লেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমার বাহু ধরে উঠিয়ে বললেন

– খেয়ে নাও।
উনার কথায় আমি মুখ ভেংচি দিলাম। উনি আবারও বললেন…
– খেয়ে নাও!
– খাইয়ে দিন।
– দিন দিন তোমার ডিমান্ড বেড়ে যাচ্ছে।
– ভালো হয়েছে, দিবেন কিনা বলেন। নাহলে আমি ঘুমিয়ে পরলাম।
– বসো এখানে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। ঘুমাবে না খবরদার!
– আচ্ছা আচ্ছা।

উনি ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে খাইয়ে দিলেন। রেগেই ছিলেন তবে ইদানিং উনাকে জ্বালিয়ে আমি খুব মজা পাই। বেশ লাগে উনাকে জ্বালাতে। সেদিন রাত ১০ টা বাজে বাইরে গিয়েছিলাম চা খেতে। দুজনে বাইকে চড়ে গিয়েছিলাম। রাত টা মনে হচ্ছিল অন্যরাতের চেয়ে আরো বেশি সুন্দর ছিল। আকাশের তারা’রা অবাক ভাবে ছিল, চাঁদ টাও ছিল অনেক উজ্জ্বল। এখন সত্যি মনে হচ্ছে আমি উনার প্রেমে পড়ে গিয়েছি। ভালোবেসে ফেলেছি উনাকে। উনার সাথে কাটানো প্রতিটি মূহুর্ত আমার কাছে উনার মতোই অসাধারণ। ইচ্ছে করে সারাদিন উনার সাথেই থাকি। ভালোবাসি কিন্তু সেটা উনাকে না বললো হবে কি রে। উনাকে কি করে বলবো ভালোবাসি। সেটা এখন আমার দিন রাতের ভাবনা। আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসা প্রকাশ করা তবে কি করে?

দু’তিন বার উনার সামনে গিয়েছিলাম ভালোবাসি বলার জন্য তবে সাহস হয় নি। কেমন এক অস্থিরতা কাজ করে। মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আচ্ছা ভালোবাসতে তো এতো কষ্ট করা লাগে না তবে সেটা বলতে কেন এতো কষ্ট করতে হয়। ভালোবাসি বলাটা ততোটা সহজ না। ভালোবাসা এভাবেই হয়ে যায় কিন্তু সেটা প্রকাশ করতেই আমার বারোটা বেজে যায়। ধুর কেন যে ভালোবাসতে গেলাম। না বাসলেই বোধহয় ভালো হতো এতো কষ্ট করা লাগতো না। প্রেমজ্বালা যে কি যন্ত্রণাদয়াক তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছি।

আজ ঠিক করলাম উনাকে ভালোবাসি কথাটা বলেই দেবো। ঠিক দুপুর বেলা, পরিবেশ অনেকটা শান্ত। এখন বললে মন্দ হবে না। উনি বেলকনিতে গ্রিল দাঁড়িয়ে ফোন টিপছে। আমি সেখানে শান্ত গিয়ে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে উনাকে দেখতে লাগলাম। মনে হচ্ছে যতবার উনাকে দেখি ততবারই উনার প্রেমে পড়ি। তবে এই অনুভূতি আগে কখনো হয় নি। এটাই বোধহয় ভালোবাসা। আমি উনাকে শান্ত গলায় বলি…

– শুনুন!
ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে…
– হুম বলো।
আমার দিকেও একটু তাকান। যতসব! এখানে আমি দাঁড়িয়ে উনাকে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টে কথা বলতে এসেছি আর উনি ফোনে’র মধ্যে ঢুকে আছে। আমি তবুও একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উনাকে বলি..
– আমি.. আমি!
হঠাৎ উনি আমাকে বলে উঠে..
– আচ্ছা আমার একটা কথা শোন অনেক ইন্টারেস্টিং একটা কবিতা পেয়েছি।
কপাল কুঁচকে বলি..
– কবিতা!
– হ্যাঁ ছোট কবিতা তবে সুন্দর! শোন…

“তুমি বলো, তুমি বৃষ্টি ভালোবাসো,
কিন্তু তার তলে তুমি ছাতা নিয়ে হাঁটো।
তুমি বলো, তুমি সূর্য ভালোবাসো,
কিন্তু রোদের দিনে তুমি ছায়া খোঁজো।
‌ তুমি বলো, তুমি বাতাস ভালোবাসো,
কিন্তু যখন সে আসে তুমি জানালা বন্ধ করে দাও।
তাই আমি ভয় পাই
যখন তুমি বলো, তুমি আমাকে ভালোবাসো।”

©: Bob Marley.
– সুন্দর নাহ!
আমি দাঁতে দাঁত চেপে বলি..
– হুম সুন্দর!
– আচ্ছা বলো তুমি কি বলবে?
– কিছু না কিছু না আপনি ফোনের মধ্যে চলে যান আমি আসছি।
বলেই রেগে চলে এলাম। হয়তো উনি আমার রাগ বুঝতে পারি নি। কিন্তু এটা কি হলো। আমি বলতে গেলাম ভালোবাসা’র কথা আর উনি আমায় শুনালেন বিচ্ছেদ এর কথা। ধুর! ভালোবাসার খ্যাতায় আগুন। দরকার নেই ভালোবাসার।
রাগে ধপাস ধপাস করে এসে খাটে বসলাম।‌ কিছুই ভালো লাগছে না। একটা বালিশ ছুঁড়ে মারলাম। যাহ একটু শব্দ ও হলো না। হলো না কেন? শব্দ হওয়া উচিত ছিল নাহলে উনি কিভাবে বুঝবেন আমি রেগে আছি।
বিছানায় বালিশের মুখ গুঁজে শুয়ে পরলাম ইচ্ছে করছে কাঁদতে কিন্তু পারছি না। বড়ই অদ্ভুত এই ভালোবাসা। এতো দুটনায় কখনো পড়িনি।

বালিশ থেকে মুখ তুলে ফোন টা একটু ধরলাম। অবশ্য কখনো প্রয়োজন না পড়লে ধরি না। যাই হোক কি করবো এখন এটা নিয়ে। হঠাৎ ইতি কথা মনে পড়লো।
বলেছিল ‌মুড অফ থাকলে এফ বি থেকে ঘুরে আসতে। আমি ও আজ সেটাই করলাম। এভাবেও আমার মুডের বারো টা থুরি তেরোটা বেজে আছে। এফ বি ঢুকতেই একটা পিক সামনে আসল। পিক টা উনার ছিল। তবে পিক টা অনেক সুন্দর ছিলো। সেটা দেখেই অজান্তেই আমার মুখ থেকে হাসি ফুটে উঠল। আমি উনার আইডিতে ঢুকলাম। তবে উনার সাথে আমার এড আছে। আমি একে একে উনার সব পোস্ট দেখতে থাকি। ভালোই লাগছিলো দেখতে। দেখতে দেখতে প্রায় অনেককিছু দেখলাম। হুট করেই চোখে একটা পিক ভেসে উঠল। পিক টা উনার আর নিতি’র ছিল। উনি নিতি’র হাত ধরা ছিলো। নিতি একটু দূরেই ছিল ওখান থেকে তাকে দেখে মুচকি হাসছিল। তবে নিতি’র হাসি দেখে আমার মুখ থেকে হাসি উধাও হয়ে গেল। আমি তারিখ চেক করলাম। প্রায় দু’বছর আগের ছবি। আমি এতো আগে চলে গেছিলাম। কিন্তু কথা সেটা না কথা হলো উনি কেন এই ছবি তুললেন। আর তুললো তো তুললো উনার সাথে কেন? আমি বিছানা থেকে নেমেই উনার কাছে গেলাম। উনি বেলকনির ফুলের বাগান দেখছিলেন।

আমি উনার কাছে গিয়ে বললাম..
– এই যে শুনুন ‌
উনি পিছ থেকেই বলল..
– হুম বলো!
– এদিকে ফিরুন আগে।
– কি বলো।
ফোন উনার সামনে দিয়ে…
– কি এগুলো?
আমার হাত ফোন থেকে নিয়ে..
– এই ছবি তুমি কোথায় পেলে?
– আগে বলুন তুললেন কেন এই ছবি!
– আরে এটা একটা কম্পিটিশন ছিলো কিন্তু ছবিটাই খারাপ কি?
– আপনি উনার হাত কেন ধরেছেন।

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ৩৩

– হাত’ই তো ধরেছি।
উনার কাছে গিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলি…
– হাত ধরবেন কেন? কেন ধরবেন আপনি ওর হাত।
– তুমি এতো হাইপার কেন হচ্ছো।
– হাইপার হবো না কেন? আপনি একটা মেয়ের হাত কেন ধরবেন। ভালোবাসেন ওকে নাকি।
– পাগল টাগল হয়ে গেলে নাকি। হাত ধরলেই কি ভালোবাসা হয় নাকি।
– কেন হবে না। আমার হাত ও তো ধরেন।
– হ্যাঁ ধরি তোমার হাত!
– তো আমার হাত কি ভালোবেসে ধরেন না।
– তুমি কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো।
– যেখানেই নিয়ে যাই না কেন ঠিক জায়গায় যাচ্ছি। এখন বলুন ভালোবেসে আমার হাত ধরেন কি না। আমাকে ভালোবাসেন কি না।

– ভালোবাসা কি এতো সহজ নাকি নিহা!
– না ভালোবাসা এতো সহজ না। বান্ধবীর সাথে হাতে হাত রেখে ছবি তোলা সহজ,‌ বান্ধবী ঘাড়ে মাথা রাখলে ভালো লাগে, এক্স ক্রাশ কে এখনো ভালো লাগে, এখনো মনে পড়ে আর জানিনা কোথায় কোন মেয়ে আছে আর এখানে বউ কে বলছি ভালোবাসার কথা আর উনি বলছেন ভালোবাসা সহজ না বাহ!
– আমার ভালোবাসা নিতে পারবে তো।
– লাগবে না আপনার ভালোবাসা!‌ আমাকে ধরতে সমস্যা, যান বান্ধবীকে ধরে ছবি তুলুন গিয়ে..
হঠাৎ উনি আমার বাহু ধরে আমাকে নিজের কাছে টানলেন আর বললেন…
– নাও ধরলাম তোমায়!

ভালোবাসার ফোড়ন পর্ব ৩৫