ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৩

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৩
সাইয়্যারা খান

ঘুমন্ত রোদের বুকে হঠাৎ মিশি ঝাঁপিয়ে পড়ায় ঘাবড়ে গিয়ে ধরফরিয়ে উঠলো রোদ। আদ্রিয়ান তারাতাড়ি এগিয়ে এসে একহাত ধরে বললো,
— রোদ? ভয় পেয়েছো?
মিশি ততক্ষণে রোদের বুকে লেগে আছে। জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিলো রোদ। ভয় গুলো এখনও ছাড়ছে না ওকে। আদ্রিয়ান ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। রোদ মিশিকে বুকে চেপে ধরলো মাথায় চুমু খেয়ে একটু শুকনো হেসে ডাকলো,

— আমার বাচ্চার কি হয়েছে?
মিশি একটু মুখ তুলে তাকিয়ে দেখলো তার মাকে। দেখে আবারও বুকে মুখ লুকিয়ে রাখলো। রোদ মিশিকে এবার সুরসুরি দিয়ে বললো,
— বলো কি হয়েছে?

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মিশি খিলখিল করে হেসে উঠলো। রোদের কোলে লুটোপুটি খেতে লাগলো। আদ্রিয়ান শুধু অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তার নিশ্চুপ মেয়েটা শুধু মাত্র রোদ নামক মায়ের কাছেই এমন হাসি খুশি হয়ে থাকে। রোদ হাত থামিয়ে দিতেই মিশি একটু হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,

— আমি ভেবেছিলাম আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তাই তোমাকে কেউ নিয়ে আসে নি।
রোদ একটু হাসলো। কোলে তুলে নিলো মিশিকে। ওকে নিয়ে ওয়াসরুমে ডুকে ব্রাশ করিয়ে মুখ ধুয়ে কোলে নিয়েই বের হলো। আদ্রিয়ান মিশিকে নিজের কোলে নিয়ে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিলো। রোদ এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজের ব্যাগ খুজতে লাগলো। আদ্রিয়ান ওর দিকে এসে বললো,

— কি খুঁজছ?
— আমার ব্যাগ।
— কি লাগবে?
— ব্রাশ।
— ওয়াসরুমের কেবিনেটে রাখা আছে। পিঙ্ক কালারের।
— পিঙ্ক? আমি কি বাচ্চা?
— তাই তো।

রোদ একটু রাগ করলো বাচ্চা বলাতে। কিছু না বলে ওয়াসরুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো। আদ্রিয়ান আর মিশি তখন বিছানায় ফুল দিয়ে ছরিয়ে ছিটিয়ে অস্থির। মিশি হঠাৎ রোদকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
— মাম্মা এখানে এত ফুল কেন?
রোদ ভরকে গিয়ে বললো,
— আমি তো জানি না মা।
— বাবাই তো বললো তুমি জানো।

রোদ মুখ কুচকে তাকালো আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ান একটা চোরা হাসি দিয়ে পাশ কাটিয়ে ওয়াসরুমে ডুকে পড়লো। মিশি আবারও রোদকে জিজ্ঞেস করতেই রোদ একটু অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে বললো,
— এটা তোমার বাবাই ই জানে মা কিন্তু বলতে চাইছে না। পরে জিজ্ঞেস করো বাবাইকে। ঠিক আছে?
মিশি ঘাড় দুলিয়ে সাই দিলো। আদ্রিয়ান ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে রোদকে এখনও বসে থাকতে দেখে এগিয়ে এসে নিচে যাওয়ার জন্য বললো। রোদ উঠে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো,

— আমার ব্যাগ কোথায়?
— আলমারিতে সব ড্রেস রাখা আছে তোমার।
একটু অবাক হলেও রোদ কিছু বললো না। আলমারি থেকে একটা গোল ফ্রক আর প্যান্ট বের করে ওয়াসরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে বের হলো। চুল আঁচড়ে খোঁপা করতে চাইলো কিন্তু এতো বড় চুলে বেচারী কখনো খোঁপা করতে পারে না। মা ই করে দিতো। তাই কোন মতে পেচিয়ে একটা স্টিক দিয়ে বেঁধে নিলো। আদ্রিয়ান এগিয়ে এসে একটা ওরণা বের করে রোদের মাথায় দিয়ে বললো,

— বাইরে ভাইয়া আর বাবা আছে।
রোদের এবার লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করলো। কাল রাত থেকে কি না ও আদ্রিয়ানের সামনে শুধু টিশার্ট আর প্যান্ট পরা ছিলো? অথচ ওর খেয়াল ই ছিলো না। আদ্রিয়ান ওর হাব ভাব বুঝতে পারলো। মুচকি হাসি দিয়ে বললো,
— এত লজ্জা পেও না বউ। আমি ই তো।

আদ্রিয়ান লজ্জা পেতে না বললেও বউ ডাকাতে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়লো রোদের লজ্জা। আদ্রিয়ান একটু দুষ্ট হেসে বললো,
— এই এক গাল আর কত লজ্জায় লাল করবা?চলো এবার। রাতে এমনিতেই কিছু খাও নি। কিছু হলে রাদ এসে সোজা আমাকে হামলা করবে।
রোদ একটু মিনমিন করে বললো,

— আমার ভাইয়া এমন না।
— জানি চলো।
বলে রোদের হাত ধরে নিতে নিলেই রোদ মাথা নিচু করে বললো,
— আচ্ছা সবাই কি সব জানে?
আদ্রিয়ান জানে রোদ কিসের কথা বলছে। আর কেন ই বা নিচে যেতে এত গুইসুই করছে। আদ্রিয়ান ওকে ভরসা দেওয়ার জন্য বললো,

— তুমি যেমনই হও না কেন রোদ পুরো তুমিটা এখন আমার। কারো এত সাহস নেই তোমাকে ঐ সব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিছু বলার। আর বললেই কি আমার রোদ তো স্ট্রং। হু?
ভরসা পেল রোদ। “আমার রোদ” বলে সমোদ্ধোন করায় আবার একটু লজ্জা পেল। ইস লজ্জা আজ যেন জেঁকে ধরেছে রোদকে। আদ্রিয়ানের সাথেই নিচে গেল রোদ। কেন যেন আদ্রিয়ানের সবকিছুই ওর ভালো লাগে। ভরসার একজন মনে হয়। নিজের পরিবারের পর যদি কেউ থেকে থাকে তা হলো আদ্রিয়ান।

নিচে নামতেই সবাই ঘিরে ধরলো রোদকে। জারবা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। হাসলো একটু রোদ। রোদের থেকে দুই বছরের ছোট হবে জারবা। এইবার কলেজে ভর্তি হলো। রোদকে ভীষন ভালোবাসে। জারবা খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,
— কেমন আছো ছোট ভাবী? তোমার শরীর ভালো তো?
— ঠিক আছি আমি জারবা।

সাবা সহ আদ্রিয়ানের মা এগিয়ে এলো। রোদকে নিয়ে ডায়নিং ডেবিলে বসালো। একে একে আদ্রিয়ানের বড় ভাই আরিয়ান আর বাবা ও এলো। রোদের সাথে টুকটাক কথা বললো। রোদ ও ছোট ছোট করে উত্তর দিলো। হঠাৎ করে ৫/৬ বছরের একটা ছেলে এসে রোদকে জড়িয়ে ধরে ডাকলো,
— খালামনি।

রোদ জানে এটা আলিফ। আরিয়ান আর সাবার ছেলে। চাচি না ডেকে খালামনি ডাকাতে প্রথমে বলতে যেয়েও চুপ করে গেল রোদ। ডাকুক না খালামনি এতে যদি ছেলেটা চাচির সাথে খালার আদর পায় তাতে মন্দ কি? মাইশা যে সাবারই বোন এটা জানে রোদ। তাই হয়তো আলিফ খালামনি ডাকলো। রোদ ওকে আদর করে বললো,
— কোথায় ছিলে তুমি?
— বাইরে। দেখ এটা তোমার জন্য।

বলে কয়েকটা নয়নতাঁরা ফুল দিলো। রোদ হেসে তা হাতে নিয়ে একটা মিশির কানে আর একটা আলিফের কানে গুজে দিলো। মিশি তো বেজায় খুশি হয়ে গেল। রোদ হাসলো ছোট বাচ্চারা কতটা লোভহীন থাকে। একটু আদর পেলেই খুশি হয়ে যায়। সবাই টেবিলে বসতেই আদ্রিয়ানের মা আর সাবা বেরে বেরে দিলো। রোদ নিজেই মিশিকে পরটা দিয়ে ডিম খাওয়াতে লাগলো। সবাই একটু অবাক হলেও আদ্রিয়ান হলো না।

মিশিকে ডিম কখনোই খাওয়ানো যেত না কিন্তু রোদের হাতে কি সুন্দর খাচ্ছে। আদ্রিয়ান এর আগেও মিশিকে রোদের হাতে ডিম খেতে দেখেছে তাই ও তেমন অবাক হয় নি। মায়ের হাতে সন্তানেরা সবই খায়। এই যে মা থেকেও মিশির জন্মের পর থেকে মা নেই। এখন মা পেয়ে সে মায়ের কাছেই লেগে থাকে।

এই যে ওর মা ওকে ডিম না কি খাওয়াচ্ছে তাতে ওর আসে যায় না শুধু মা খাওয়াচ্ছে, আবার ঠোঁটে লাগলে মুছে দিচ্ছে, একটু পরপরই পানি খায়িয়ে দিচ্ছে এটাই ওর কাছে অনেক। এভাবে বাবার পর আর কে ই বা আদর করতে পেরেছে মিশিকে? চাইলেও মায়ের মা বাবার আদর কি কেউ দিতে পারে? উহু সম্ভব নয় কিন্তু রোদ দিচ্ছে। মন থেকে মিশিকে নিজের সন্তানের মতো আদর করে ও । হোক না রোদ ছোট তাতে কি? মায়েরা তো আর ছোট হয় না।

মিশিকে খাওয়ানো শেষ হতেই আদ্রিয়ান রোদের প্লেটে পরটা আর ডিম তুলে দিলো। ততক্ষণে বাবা আর আরিয়ানের খাবার শেষ। বাকিরাও উঠে যাচ্ছে। শুধু জারবা, সাবা আর রোদ -আদ্রিয়ান আছে। রোদ অর্ধেক খেয়েই উঠে যেতে নিচ্ছিলো ওমনি আদ্রিয়ান খপ করে হাত ধরে চোখ রাঙিয়ে বললো,
— পুরোটা খাবে এরপর আরেকটা পরটা খাবে তারপর উঠবে।
— আর খাব না তো।
— নো মোর ওয়ার্ডস।

রোদ একটু একটু খেতে লাগলো। আদ্রিয়ান ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। এই মেয়ে যখন খাবার চিবায় তখন থুতনিতে গর্ত হয় সাথে ঠোঁটের দুপাশে টোলের মতো হয়। এমন আদোও কখনো আদ্রিয়ান কারো দেখেছে কি না সন্দেহ। এমনিতে আবার যখন কথা বলে তখন ফোলা ফোলা গালে গভীর টোল পরে যা হাসলো আরো বেশি হয়। কিন্তু সচরাচর তেমন হাসে না রোদ। হয়তো আগে হাসতো। এখন শুধু মিশির সাথেই ওর যত হাসাহাসি। জারবা আর সাবা মিটমিট করে হাসতে লাগলো। রোদ কোন মতে একটা খেয়েই আর খেতে পারলো না। আদ্রিয়ানও আর জোর করে নি। খেয়ে উঠতেই সাবা কফি নিয়ে এলো। রোদকে একটা দিয়ে আরেকটা আদ্রিয়ানকে দিতে উপরে যাচ্ছিলো ওমনি রোদ বললো,

— আপু আমি তো উপরে যাচ্ছি আমি নিয়ে যাই?
সাবা হেসে কাপটা রোদের হাতে দিলো। রোদও কাপ নিয়ে উপরে গেল। আদ্রিয়ান রেডি হচ্ছিলো অফিসে যাওয়ার জন্য। রোদ ডুকতে নিলেই নজর নামিয়ে নিলো। আদ্রিয়ান তখন শার্ট পরছিলো। রোদকে দেখে বাটন লাগিয়ে বললো,
— বাইরে কি? ভেতরে এসো।
রোদ ভিতরে ডুকে কফি এগিয়ে দিলো। আদ্রিয়ান অবাক হয়ে গেল কফি রোদকে আনতে দেখে। একটু হেসে বললো,
— তুমি কেন আনতে গেলে?
— এমনিই।

আদ্রিয়ান কিছু না বলে কফিটা হাতে নিয়ে নিলো। রোদ ব্যালকনির দিকে গেল। বেশ বড় এই ব্যালকনিটা। কিন্তু কিছু গাছ থাকলে হয়তো বেশি ভালো লাগতো। মনটা নিমিষেই খারাপ হয়ে গেল রোদের। বাসার নিজের ব্যালকনির কথা মনে পরলো। ব্যালকনি মনে করতে গিয়েই মা,বাবা, বড় ভাই রাদ আর ছোট ভাই রুদ্রর কথাও মনে পরে গেল। এতসবে এটাও মনে পরলো কেন রোদ আজ এখানে। কেন বিয়েটা হলো আদ্রিয়ানের সাথে।

সাথে সাথেই নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু তিক্ত ঘটনার কথা মনে পরলো। এমনটাতো না হলেও পারতো। হঠাৎ রোদের বা পা আর হাতটা কাঁপতে লাগলো। এমন সময় আদ্রিয়ান পেছনে ওর কাঁধে হাত রাখতেই রোদ চমকে ভয় পেয়ে গেল। ডান হাতে থাকা কফিটা কম্পমান বা হাতে পরে গেল। রোদের ঐ দিকে খেয়াল নেই। অস্থির লাগছে ওর ভেতরে। আদ্রিয়ান বুঝতে পেরে তারাতাড়ি ওকে ধরার চেষ্টা করতেই আচমকা রোদ ওকে জোরে ধাক্কা মে’রে নিজে মাথা চেপে ধরে বসে পরলো। আদ্রিয়ান একটু রেলিং এর সাথে ধাক্কা খেলেও নিজেকে সামলে জোর করে রোদকে জড়িয়ে ধরলো। রোদের বা হাত অসম্ভব ভাবে কেঁপেই যাচ্ছে। আদ্রিয়ান নিজের এক হাতের মুঠোয় তা শক্ত করে চেপে রাখলো। রোদের মাথাটা বুকে চেপে ধরলো। অন্য হাত মাথায় বুলিয়ে শান্ত করতে চেষ্টা করতে করতে বললো,

— রোদ। দেখ সোনা তাকাও। এখানে আমি আর তুমি। আচ্ছা বাসায় কল করো। সবার সাথে কথা বলবে না?
রোদ আদ্রিয়ানের টিশার্ট খামচে ধরে অনবরত কেঁপেই যাচ্ছে। আদ্রিয়ান ওকে শান্ত করতে বুকে চেপে ধরে বসেই রইলো। বেশ কিছু সময় পর শান্ত হলো রোদ। ওকে কোলে নিয়েই রুমে এলো আদ্রিয়ান। ঘরের ফুলগুলো সকালেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রোদকে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে তারাতাড়ি পাশের ড্রয়ার থেকে রোদের মেডিসিন নিলো।

কাল থেকেই মেডিসিন দেওয়া হয় নি ওকে। রাদ বলে দিয়েছিলো কিন্তু এতো সবে মনেই ছিলো না ভাবতেই নিজের উপর মেজাজ খারাপ হলো আদ্রিয়ানের। রোদের মুখে মেডিসিন দিয়ে পানি দিয়ে খায়িয়ে দিলো৷ হঠাৎ রোদের বা হাতে নজর যেতেই ঘাবড়ে গেল আদ্রিয়ান। প্রচন্ড লাল হয়ে আছে। তারাতাড়ি একটা বার্ণ ক্রিম নিয়ে লাগিয়ে দিলো। রোদের কপালে চুমু খেল।

একটু পরই চোখ খুললো রোদ। চোখ দিয়ে পানি পরতেই আদ্রিয়ান তা মুছে দিলো। গলা থেকে ওরণা সরিয়ে একটু স্পেস দিলো রোদকে। রোদ আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,

— সরি।
— কেন?
— আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি।
— আমি জানি তো সোনা। সব ঠিক আছে রোদ শুধু তুমি নরমাল হও।
— হুম।

আদ্রিয়ান ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো বাসায় কথা বলতে। রোদ জানালো পরে বলবে। কারণ এখন কল দিলেই সবাই বুঝে যাবে কিছু একটা হ’য়েছে। আদ্রিয়ান রোদের একটা হাত মুঠোয় নিয়ে বললো,
— আচ্ছা তুমি কি মিশানকেও মিশির মতো মেনে নিতে পারবে রোদ?
— মিশান?
— আমার ছেলে যার কথা কাল জানলে।
রোদ একটু হাসলো। ওভাবেই বললো,

— ভালোই হলো একবারে দুই বাচ্চার মা হয়ে গেলাম। বলুন?
আদ্রিয়ান ও হাসলো তৃপ্তির হাসি। ও জানতো রোদ কোন দিনও মিশানকে অবহেলা করবে না। রোদের একগালে হাত দিয়ে বললো,

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ২

— মিশান আমার আপন ছেলে না রোদ কিন্তু ও আমার ছেলেই থাকবে। বাবা ডাকে আমাকে। আমার প্রথম সন্তান ও রোদ। ওর মাধ্যমেই প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতি জেগেছিলো আমার। এতটুকু হয়েছিলো জানো? একদম গোলাপি গোলাপি ছিলো।
রোদ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। কেমন ছলছল চোখ করে আর খুশি হয়ে বলছে কথাগুলো। বাবারা হয়তো এমনিই হয়৷ সন্তানদের প্রতি তাদের ভালোবাসা কিছুটা নীরব থাকে তবে তার প্রখরতা খুবই গভীর।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৪