মধুমাস পর্ব ৩৬

মধুমাস পর্ব ৩৬
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

মোহাম্মদ আলী পাথরের মতো স্থির চোখে স্বপন ইসলামের দিকে তাকিয়ে থাকে।গমগমে কন্ঠে বললো,
“কি বলছেন বুঝে বলছেন তো?”
“বুঝেই বলেছি।”

মোহাম্মদ আলী ছেলের দিকে তাকায়।ফিরোজ তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো হয়তো তার আব্বার মনোভাব বুঝার চেষ্টা করছে।চেয়ারম্যান সাহেব দেখলেন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই উনি বললেন,
“কালকে বিয়ে আর আজকে যদি সামান্য দেনমোহরের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায় তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে ভেবেছেন?”
স্বপন ইসলাম গো গো করে বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“আজকাল এই টাকা সবাই দেয়,এই সংখ্যা তো বেশী না।”
রিপনকে ডেকে নিয়ে ফাতেমা বেগম বললো তার আব্বাকে এই রুমে পাঠাতে রিপন এসে বললে স্বপন ইসলাম উঠে যায়।
ফাতেমা বেগম ভ,য়ে ভ,য়ে বললো,
“এতো টাকা চাওয়ার কি দরকার?”
স্বপন ইসলাম দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“কি দরকার!ভবিষ্যতের কথা বলা যায়?”
রিপন বললো,

“আব্বা ঠিকই বলেছে,ভবিষ্যতে দরকার হতে পারে।”
শ্যামা দুই হাতে মেহেদী লাগিয়ে চুপচাপ তাদের কথা শুনছিলো,এবার সে বেশ বুঝদার গলায় বললো,
“কিসের ভবিষ্যত!আমি কি বিয়ে করবো আবার ছেড়ে আসার জন্য?”
মেয়ের চটাং চটাং কথায় স্বপন ইসলামের মেজাজ খারাপ হয় কিন্তু কালকে বিয়ে তাই তিনি কিছু বলেন না।ফাতেমা বেগম বললো,

“ছেড়ে আসার কথা বলেনি কিন্তু দেনমোহর বেশী হলে শক্ত হয়,উল্টাপাল্টা করার আগে ভাববে।”
শ্যামা অবাক হয়ে তার আব্বা আম্মার মন মানসিকতা দেখছে।উনারা এখনো সেই আগের যুগেই পরে আছে।
“এই দেনমোহর এর জন্য কখনো সংসার টিকে না।যারা ছেড়ে যাওয়ার তারা বেশী হলেও ছেড়ে যাবে। আর এমনো অনেক সম্পর্ক আছে কম টাকায়ও সংসার টিকে।আমার এসবে কোনো সমস্যা নেই।”

রিপন তেড়ে এসে বললো,
“পাকনামি করবি না।”
শান্তা বললো,
“খারাপ বলেছে কি?দেনমোহরে কি সুখ হয়?কই আমাদের দেনমোহর যে এক লাখ টাকা আমাদের তো কোনো সমস্যা হয়নি।”

স্বপন ইসলাম চিন্তায় পরে যায়।যদিও রাগের মাথায় বলেছেন বিয়ে ভেঙ্গে দেবেন কিন্তু উনি নিজেই এটা ভালো করে জানে যে এই মূহুর্তে বিয়ে ভাঙ্গা সম্ভব না।শ্যামা তার আব্বার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।সে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে এটা ভেবে যে ফিরোজ কিছু বলছে না।কেউ না জানুক তারা দুজনে তো জানে তাদের বিয়েতে কতো দেনমোহর হয়েছিলো।হোক’না ওটা লুকিয়ে বিয়ে কিন্তু বিয়ে তো।ফিরোজ কেনো ওই সংখ্যাটাই বলছে না?সবাই দেনমোহররের ওই সংখ্যা শুনলে নির্ঘাত অবাক হয়ে যাবে।শ্যামা ফিরোজের অপেক্ষায় আছে,তার কান ফিরোজের কন্ঠের বাক্যবাণ শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে।
ফিরোজ তার আব্বাকে বললো,

“আব্বা বিয়ে করবো আমি একবারও কি দরকার ছিলো না আমাকে জিজ্ঞেস করা যে কতোটুকু সামর্থ আছে কতো টাকা দিতে পারবো?”
চেয়ারম্যান সাহেব বললো,
“তা ঠিক।আপনি ফিরোজকে জিজ্ঞেস করেননি?”
“না।”
ফিরোজ বিবস কন্ঠে বললো,

“আগে বলতেন তাহলে তো আর এতো কথা হতোনা,আমারও একটা ইচ্ছা অনিচ্ছা আছে,সামর্থের ব্যাপার আছে।”
মোহাম্মদ আলী ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,
“আচ্ছা তোর ইচ্ছা মতোই বলে দে,পরিশোধ করবি তুই,তুই’ই বল।”
তখন স্বপন ইসলাম আসে।এসে বললো,
“আপনারা কতো চাচ্ছেন?”

ফিরোজ আর শ্যামার বিয়ে সবার অগোচরে হয়েছে।আর ওই বিয়েতে যা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে,এখনো তাই হবে। কেউ কথা বলার আগে সে বললো,
“দশ লাখ।”
সবাই চমকে যায়।মোহাম্মদ আলী অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকায়।স্বপন ইসলাম চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে থাকে।শুধুমাত্র শ্যামাই স্বাভাবিক কারণ সে জানতো এই টাকাই দেনমোহর ধার্য করা হবে।মোহাম্মদ আলী বললো,
“কি বলিস?”

“হ্যাঁ,দশ লাখ’ই।কালকে বিয়ের আগে শ্যামার নামে একাউন্ট করে টাকা জমা দিয়ে তারপর বিয়ে করবো।”
স্বপন ইসলাম সস্থির নিঃশ্বাস ফেলে।মোহাম্মদ আলী এখনো অবাক হয়ে আছেন।এতো টাকা দেনমোহর দেয়ার কি দরকার?উনি আর কথা বাড়ালেন না।নিজের মতামতে যা ইচ্ছা করুক,ছেলে বড়ো হয়েছে তার নিজস্ব মতামত আছে,এখনো উনার কথায় চলবে এটা ভাবা ভুল।উনি স্বপন ইসলামের দিকে তাকিয়ে বললো,

“কি! কথা বলেন না কেনো?আমাদের মন বড়ো আছে,দেনমোহরের উপর ভিত্তি করে তো আর মেয়ে নিচ্ছিনা,আমরা মেয়ে নিবোই।এইবার বলেন বিয়ে ভাঙ্গবেন।”
স্বপন ইসলাম বললো,

“বিয়ে ভাঙ্গবো বললেই কি ভাঙ্গতাম নাকি,ওটা তো কথার কথা ছিলো।কালকে সময়মতো সবাইকে নিয়ে চলে আসবেন।”
সবাই চলে যাওয়ার সময় ফিরোজ শ্যামাকে ডাকে।
“কালকে সকালে তৈরি থেকো।”
শ্যামা বাধ্য মেয়ের মতো মাথা ঝাকিয়ে বললো,
“আচ্ছা।”

ফিরোজ এদিক সেদিক তাকিয়ে আস্তে করে বললো,
“এটাই তোমার শেষ ব্যাচেলার নাইট।এরপর আর কখনো একা থাকার সুযোগ পাবে না ম্যাডাম।”
“একা থাকতে চাই না।”
“একা রাখবোও না।”
পরের দিন সকালে শ্যামাকে নিয়ে ফিরোজ ব্যাংকে যায়।শ্যামার নামে একাউন্ট করে দশ লাখ টাকা রাখে।শ্যামা বললো,
“পরেও এসব করা যেতো।”
“না যেতো না।”
“কেনো?”

“এখনি করলাম কারণ তোমার আব্বা আম্মার যেনো মনে না হয় যে আমার কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়ে ঠকে গেলো কিংবা আমার থেকে ভালো ছেলে পেতো।”
শ্যামা হাসে।ফিরোজ তার থেকেও বেশী ভাবে।সে জানে কি পেয়েছে,হোক একটু কষ্ট কিন্তু সুখের রাজ্য যে ফিরোজের কাছে।

দুপুরে বরযাত্রী আসে।সবকিছু ভালোয় ভালোয় হয়ে যায়।কাজী যখন শ্যামাকে বিয়ে পড়াতে যায় উনি এক পর্যায়ে বললো,’বলো মা কবুল।’
তখন শ্যামা ফিক করে হেসে দেয়।এমন করে কবুল সে আগেও বলেছে তাই এখন বলতে হাসি পাচ্ছিলো যা চেপে রাখতে পারেনি।এক পুরুষকে দুইবার বিয়ে।শ্যামার হাসির শব্দে সবাই হইহই করে উঠে।মেয়ের নিলজ্জতার পসরা সাজায়।একেক জনের মুখে একেক কথা।হাসির কারণ শ্যামা তো আর বলতে পারছেনা সে চুপ করে বসে আছে।শান্তা সবার কথায় বিরক্ত হয়,দারাজ গলায় বললো,

“ওর বিয়ে বলেই তো হাসছে।ভ্যাভ্যা করে কাঁদলেই বোধহয় আপনাদের ভালো লাগতো!এমন সুখের দিনে কেউ কাঁদে নাকি?আজব!”
কিন্তু এই হাসিমুখের শ্যামাই যাওয়ার সময় চিৎকার করে কাঁদে।পরিবারের সাথে এমন কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়।এতোদিন শ্যামার সাথে সবাই খারাপ আচরণ করলেও এখন কষ্ট হচ্ছে।শ্যামার কান্না দেখে ফিরোজেরও খারাপ লাগে।মেয়েদের জীবনে এটাই বোধহয় সবচেয়ে কষ্টদায়ক বিদায়,যে মেয়ের এই মূহুর্ত আসেনি সে কখনো এর জ্বলন,পোড়ন অনুভব করতে পারবেনা।

শ্যামাকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসানো হয়েছে।ফিরোজ রুমে যেতে পারছেনা ফারিয়া রুমে যাওয়া নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।ফিরোজ জানে ফারিয়া কি করছে।ফারিয়া বাসর সাজাচ্ছে,আর এই ব্যাপারটা ভেবে সে খুব খুশী।বিয়ে করেছে বাসর ঘর সাজানো না থাকলে কেমন না!তার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনি,নিজের বাসর ঘর সাজানোর কথা কিভাবেই বা বলে।
কিন্তু ছোট ভাইবোন থাকতে বোধহয় এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।ফারিয়া আর তামিম দুজনেই উৎসাহের সহিত সাজাচ্ছে।

শ্যামা একা একা বসে আছে।রোজিনা বেগম রুমে গিয়ে বসে আছে,আসার পর একটু দেখা দিয়ে সেই যে চলে গিয়েছে আর আসেনি।ফিরোজ চুপচাপ বসে থাকা বউটার দিকে তাকায়।আজকে তার আম্মা থাকলে বউ নিয়ে কি আহ্লাদ করতো,বউকে কখনোই একা একা বসিয়ে রাখতো না,এই মূহুর্তে নিজের মায়ের অভাববোধ করছে কিন্তু তার মা যে খারাপ ছিলো তাই মায়ের প্রসঙ্গ ভুলতে চায়।শ্যামার দিকে তাকায় শ্যামা এখনো মন খারাপ করে বসে আছে।ফিরোজ মন খারাপ শ্যামাকে দেখে,একটু পরেই সে মন ভালো করে দেবে,হাসাবে।

সুন্দর গোছানো রুমে শ্যামা বসে আছে।এর আগেও অনেকবার সে এইরুমে এসেছে কিন্তু এবার এসেছে সম্পূর্ণ নিজের পরিচয়ে।আজকে থেকে এই রুম তার,এখানেই সুখে দুঃখে প্রিয় পুরুষের সাথে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে।আজকে এই রুমে এসে তার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।ফুলের বিছানায় লাল লেহেঙ্গা পরে বসে আছে।ফিরোজ ফ্রেশ হচ্ছে।কিছুক্ষণ পরে ফিরোজ এসে সোজা শ্যামার সামনে বসে।শ্যামা কিছু বুঝে উঠার আগে ফিরোজ শ্যামাকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় গড়াগড়ি খায়।তারপর উঠে বসে, সুন্দর করে হাসে।ফিরোজের এমন কাজে শ্যামা হতবাক।নিজের কাপড়, সাজ ঠিক করে নেয়,লোকটার জন্য এই ভারী লেহেঙ্গা পরে বসে আছে,উনি মন ভরে দেখবে বলে আর উনি কি করলো?সে বললো,

“এটা কি হলো? ”
ফিরোজের হাসি প্রসস্ত হয়।
“বাসর রাতে বউ নিয়ে এমন ফুলের বিছানায় গড়াগড়ি না খেলে হয় নাকি?”
ফিরোজের মুখের মুগ্ধ করা হাসি আর দুষ্টু কথায় শ্যামা হেসে উঠে।তারপর অভিনয় করে বসে,মোহনীয় চোখে তাকিয়ে বললো,

“আমাকে কেমন লাগছে?”
“সুন্দর।”
“শুধু সুন্দর?”
“রানীর মতো।”
শ্যামা হেসে বললো,
“তুমি আমার রাজা।”

ফিরোজ শ্যামার কোলে শুয়ে পরে আজকে কোনো ভয় নেই,চলে যাওয়ার তাড়া নেই,কারো আসার কথা নেই।
“আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।”
শ্যামা নিচু হয়ে ফিরোজের কপালে চুমু দিয়ে বললো,
“বিশ্বাস হচ্ছে?”
“হ্যাঁ।”

শ্যামা আর ফিরোজ একে অপরের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে।ফিরোজ বললো,
“শ্যামা আমার এতো খুশী লাগছে যে ইচ্ছে করছে চিৎকার করে সারা দুনিয়াকে জানিয়ে দেই।”
ফিরোজ উঠে বসে।
“তুমি কাপড় পালটে নাও।খারাপ লাগছে নিশ্চয়ই!”

শ্যামা ফ্রেশ হয়ে আসে।টকটকে লাল সুতি শাড়ি পরে বেরিয়ে আসে।ফিরোজ বিছানায় বসে তারই অপেক্ষায় ছিলো।স্নিগ্ধ,রূপসী স্ত্রীকে দেখে বুকটা বেশামাল হয়,চোখের পলক ফেলতে ভুলে যায়।শ্যামা ফিরোজের এমন নেশালো ঘোর লাগা চোখের দৃষ্টি দেখে লজ্জা পায়।মুচকি হেসে বিছানার কাছে দাঁড়ায়।ফিরোজ তখনো তাকিয়ে আছে।শ্যামা বললো,

“কি দেখেন?”
“বউ দেখি।”
“এতো দেখার কি আছে?”
“ভাবছি।”
“কি?”
“বাসর রাতে বিড়াল মা,রতে হয় কিভাবে মা,রবো সেটাই ভাবছি।”
“তো কি ভাবলেন?”

“এতো সুন্দর বউয়ের সামনে বিড়াল মা,রতে পারবো না।”
শ্যামা হেসে বললো,
“বাসর রাত তো চলে গেছে।”
ফিরোজ মাথা নেড়ে বললো,
“অসম্ভব,আজকেই বাসর।ওইদিন ভ,য়ে ভ,য়ে ছিলাম।তাছাড়া বিছানায় ফুল ছিলো না ফুল ছাড়া কি বাসর হয়?আসো সোনা ; ফুলের বিছানায় বসো।”

শ্যামা আস্তে করে উঠে বিছানা থেকে সরে টেবিলের কাছে চলে যায়।সে কিছুই ভুলেনি।দুষ্টু কথা,দুষ্টু ছোঁয়া সব মনে হলে এখনো গা কেঁপে উঠে।শ্যামার কাজে ফিরোজ হেসে বিছানায় গড়াগড়ি খায়।
“এতো ভ,য় পাও?”
“একটুও ভ,য় পাই না।”
“তাহলে ছুটাছুটি করছো কেনো?”
শ্যামা কথা বলে না।ফিরোজ উঠে দাঁড়ায় শ্যামার হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে বললো,
“শ্যামা,আমার সোনা।শোনো।

সারাজীবন নারী নিয়ে আমার বিতৃষ্ণা ছিলো ভেবেছিলাম কখনো বিয়ে করবো না সেইভাবেই জীবন চলছিলো কিন্তু তুমি আমার মন চুরি করে সেখানে নিজে দখন নিলে,আমাকে পাগল বানিয়ে ঠিকই ভালোবাসা আদায় করে নিলে।তারপর আমি বুঝলাম যে এই শ্যামাপাখিকে ছাড়া আমার চলবে না।একদম বুকের মধ্যিখানে স্থান দিলাম,পাখি কি আমার বুকে থাকবে?কথা দিচ্ছি খুব ভালোবাসবো,খুব ভালো স্বামী হওয়ার চেষ্টা করবো।”

শ্যামা ফিরোজের দিকে তাকিয়ে থাকে।ফিরোজ এতো সুন্দর করে কথা বলে যে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায় না।ফিরোজ বললো,
“একটু জড়িয়ে নেই?”
শ্যামা কাছে এসে প্রিয়তমা স্বামীর কাছে নিজেকে সপে দেয়।ফিরোজ শ্যামাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।।
“আজকে একটুও ভ,য় লাগছেনা।”
“আমারো।”

মধুমাস পর্ব ৩৫

শ্যামা ফিরোজের দিকে তাকালে দুজনেই খিলখিল করে হেসে উঠে।লুকানো বিয়ের কথা জানতে পারলে আরো সমস্যা হতো,অথচ কেউ জানতে পারেনি।দুজন দুজনের দিকে তাকায়,মুখে কথা না হলেও চোখে হাজারো কথা হয়। দুষ্টু ফিরোজ মিষ্টি শ্যামাকে নিয়ে কোনো ভ,য় ছাড়া পাড়ি জমায় ভালোবাসার এক বিশাল সমুদ্রে।ফিরোজের দুষ্টু ছোঁয়ায় শ্যামা খিলখিল করে হাসে।

মধুমাস শেষ পর্ব