মনের কোণে পর্ব ২৫

মনের কোণে পর্ব ২৫
আফনান লারা

ওসমানকে তে’ড়ে আসতে দেখে নাবিল কিছু করার আগেই লিখি ওর হাত ধরে আবার ছুটলো।আবারও যেদিকে দুচোখ যায়।এখন বেঁচে যাবার একটাই উপায়,আর সেটা হলো গলিতে ঢুকে যাওয়া।
লিখি তাই দুবার না ভেবে গলিতে ঢুকে গেলো।ছুটতে ছুটতে আবারও সেই তরুণ তরুণীর ঘরের কাছে।তারা ওদের দেখে চিনলো সেকারণে সামান্য এগিয়ে গিয়ে ভেতরে নিয়ে আসলো ওদের।দরজা লাগিয়ে জানতে চাইলো ওরা কারা এবং কেনোই বা ওদের ধরতে চাইছে।

নাবিল আর লিখি তো হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ।মেয়েটা উঠে পানি দিলো ওদের হাতে।
পানি খেয়ে হাঁপ ছাড়লো দুজন।পুরো ঘটনাটা খুলে বললো।
কি বুঝলো না বুঝলো,শুধু মাথা নাড়িয়ে গেলো তারা।
মেয়েটির নাম মর্জিনা আর ছেলেটির নাম রাকিব।
রাকিব রাজমিস্ত্রি আর মর্জিনা গার্মেন্টসে চাকরি করে।পালিয়ে বিয়ে দুজনের।দুজনেরই বয়স ১৮/১৮।একই বয়সের।
লিখি মুচকি হেসে বললো একই বয়সের বিয়েগুলো অনেক সুন্দর হয়।নাবিল ওর মুখে এক গাল হাসি দেখে বললো,’তুমি এত খুশি হও কেন?তোমার আর আমার বয়সের তফাৎ অনেক।’
তখন মর্জিনা লিখি আর নাবিলকে জিজ্ঞেস করলো চা খাবে কিনা
কারণ সে তখন চা বানাতে যাচ্ছিলো।লিখি হ্যাঁ বলে দিলো।আর নাবিল না করতে চাইলো।মায়ের হাজারটা কল এসেছে,ফোন সাইলেন্ট বলে নাবিল জানোলইনা,জানলেও ধরার তো সময় পেলোনা সে।।এবার মা রেগে আছেন ওর উপরও।ভয়ে ভয়ে কলব্যাক করলো নাবিল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘কোথায় তুমি?’
‘বাসার কাছেই’
‘লিখি কোথায়?’
‘আমার কাছে’
‘বাসায় কি ফিরবেনা দুজনে?আমি কাল সকালে চলে যাব’
‘ফিরবো কিন্তু একটা কাজে আটকা পড়েছি’
‘এই জায়গায় তোমার কি কাজ থাকতে পারে?’
‘এসে বলি?’
নাবিল লাইনটা কেটে দিল আর কিছু বলবার ভয়ে।মাকে তো আর বলা যায়না যে লিখির ভাই দলবল নিয়ে অপেক্ষা করছে বাইরে।
লিখি তখন টিনের বেড়ার ফুটো দিয়ে দেখছিল ওর ভাইয়া কোথায়।
দেখলো সামনে ঘুরঘুর করছে।ও পা টিপে টিপে আবার নাবিলের কাছে এসে টুল টেনে বসলো।নাবিল ফোনে গেমস খেলছে।এত সিরিয়াস একটা মূহুর্তে সে এত স্বাভাবিক এবং শান্ত কিভাবে সেটা লিখির মাথায় ধরেনা।কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো এর কারণ কি।নাবিল সোজা কথায় বলে দিলো তার বাবার ভাঁড়া করা লোক দেখলে যেন এ কথা আবার জিজ্ঞেস করে।
লিখি অংক কষাকষিতে মাথায় হাত দিয়ে ফেললো।নাবিলের কিছু কথায় হাজারটা অংকের সূত্র লুকিয়ে থাকে।মনে হয় ম্যাথমেটিক্সের স্টুডেন্ট।

‘ঠিক ধরেছো।অনার্স ফ্রম ম্যাথমেটিক্স। ‘
লিখি গালে হাত রেখে নাবিলের দিকে চেয়ে রইলো,
আন্দাজ গুলো কেমন সত্যি হয়ে যায়।মর্জিনা চায়ের কাপ এনে ওদের সামনে রেখেছে।
ছোট সাইজের কাপ।তিন চুমুকে চা শেষ হবে,তবে কালারটা দারুণ।তাছাড়া কাপে গোলাপ ফুলের ডিজাইন করা।
পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।আম্মুর শো কেসে এই কাপ দেখা যেতো সেই ছোট্ট বেলায় দেখা হতো।এখন আর এই ডিজাইন পাওয়া যায়না।পেলেও কম দামে।
নাবিল তার চা শেষ করে দরজাটা হালকা খুলে বের হতেই দেখলো সামনে চায়ের দোকানে ওসমান আর তার লোকজন সবাই আলোচনা সভা বসিয়েছে।তাড়াহুড়ো করে ও দরজাটা আবার লাগিয়ে ফেললো।এরা মনেহয় এই রাতে আর যাবেনা।এখানেই বসে পাহারা দিবে।

মর্জিনাদের ঘরে ২টা রুম।একটাতে তারা দুজন ঘুমায় আর আরেকটাতে চৌকি আছে।বারতি কেউ আসলে খাটে মেহমানদের শুতে দিয়ে তারা পাশের রুমে চৌকিতে শোয়।তাই আজ তারা ঠিক করলো নাবিল আর লিখিকে খাটে শুতে দিবে।তার আগে তো রাতে কিছু খেতে দিতে হবে ওদের।
এদিকে লিখি খিধায় নাবিলের হাতে কপাল চাপড়াচ্ছে।নাবিল ফিসফিস করে বলছে যেন বুঝতে না দেয় ওদের।ওদিকে ওরা ভাবছে দেখে মনে হয় বড়লোকের ছেলেমেয়ে। রাতে তাদের কি খেতে দিবে।রাকিব বাজারে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলো।
নাবিল এই কথা শুনে ফেললো।ফোন টিপতে টিপতে বললো,’খাবার অর্ডার করে দিচ্ছি। আজকে রাতে আমার তরফ থেকে আপনাদের ট্রিট।’
ওরা দুজন প্রথমে লজ্জা পেলো।বারবার মানা করছিল কিন্তু পরে রাজি হলো।নাবিল রাতের খাবার অর্ডার করেছে মোট চারজনের জন্য।
এবার ঝামেলা হলো খাবার কে আনতে যাবে।নাবিল শেষে বুদ্ধি করে আগেই টাকাটা বিকাশে পে করে বলে দিয়েছে ঘরের সামনে রেখে চলে যেতে।

ঘর খুঁজতে ডেলিভারি ম্যানের অনেক দেরি হয়েছে।শেষে দরজা সামান্য খুলে নাবিল খুশি হয়ে তাকে বকসিস ও দিলো।লিখির ভাই ঐ চায়ের দোকানে বসে হাই তুলছিল তখন।ঐ রোড দিয়ে কলোনিতে ঢুকার গেট পড়ে। এমন জায়গায় বসেছে তারা, যে দুই জায়গা দিয়ে ওরা আ*টক হয়ে আছে।
মর্জিনার একটা দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।সেদিন ছিল তার আর রাকিবের দেখা হওয়ার প্রথম দিন।কাঠফাটা রোদের ছটাকে সবাই যখন ঠাণ্ডা আখের রস কিংবা এলোভেরা শরবত খেতে রাস্তায় ভীড় জমাচ্ছিল তখন তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হয় বড় রাস্তার মোড়ে।

মাথার উপর রাগী সূর্য থাকার পরেও তাদের দুটি মনে বইছিল প্রেমের হাওয়া।শীতল হাতের তালুর পরশে মর্জিনা মাথা নিচু করে বলছিল সে খালি আইস্ক্রিম খাবে।কিন্তু রাকিব তো নাছোড়বান্দা।সে অনেক টাকা জমিয়েছে মর্জিনাকে ভাল একটা রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যাবে বলে।বড় রুটির মতন দেখতে,ঐ যে পিজ্জা খাওয়াবে।গুনে গুনে এক হাজার টাকা জমিয়েছে এইটা খাওয়ার জন্য।একেবারে বড় সাইজেরটা অর্ডার করবে,এক মাস আগে দাম জেনে নিয়েছিল।মর্জিনা তো দাম শুনে চলেই আসছিল তাও রাকিব জোর করে ধরে রাখলো।
পিজ্জা আনা হলো।কিন্তু মর্জিনার মন খারাপ
এতগুলো টাকা দিয়ে কত কি কাজ হতো আর বো’কাটা কি করে ফেললো।
তাও পরে রাকিবের জোরাজুরিতে মুখে দিলো পিজ্জার টুকরো।সেটার দারুণ স্বাদ পেয়ে বললো বাকিটা রাকিবের মা বোনের জন্য নিয়ে যেতে।

আজ আবার নাবিলের অর্ডার করা খাবারগুলো দেখে ঐদিনটার কথা দুজনের একসাথে মনে পড়ে গেলো।
রাতের এগারোটার সময় ও ওসমানের কোনো নড়চড় না দেখে নাবিল আর লিখি শেষে ঠিক করলো আজ রাতটা এখানেই থেকে যাবে।
মর্জিনা তাদের খাটে নতুন বিছানার চাদর বিছিয়ে নাবিল আর লিখিকে শুতে বলে চলে গেছে দুজনে পাশের রুমে।
লিখি মশা মা*রতে মা*রতে শেষ।রাকিব এর ভিতরে কয়েল জ্বালিয়ে বললো নতুন সংসার।এখনও মশারী কেনা হয়নি।কয়েল জ্বালিয়ে রাত পার করে।এক রাতে দুইটা কয়েল লাগে।
কয়েল জ্বালিয়ে সে তাড়াহুড়া করে চলে গেছে।লিখি এবার শান্তির দম ফেলে শুয়েছে কিন্তু নাবিলের চোখে ঘুম নেই।সে মায়ের চিন্তায় বিভোর।মা তো রেগে আ’গুন হয়ে থাকার কথা।
কি করে যে তাকে বোঝাবে।সকালে হয়ত গিয়ে তার দেখাও পাবেনা তাতে আরও রেগে যাবে মা।লিখি নাবিলের গায়ের সাথে লেগে ঘুমাচ্ছে আজ।খাটের শেষ প্রান্তে টিন।টিনে হাত পা বার বার লাগছিল বলে সে একটু নাবিলের কাছে ঘেঁষে শুয়েছে।খাটটা ভীষণ ছোট বলে এত কষ্ট হচ্ছে ওদের।

নাবিল লিখির ছোঁয়া পাওয়ায় চোখে যা ঘুম ছিল ওর সেটাও ভেগে গেছে।হা করে শুধু লিখির মুখটা দেখে সে।এ ছাড়া উপায় নেই।
কোথায় মাঝে ইয়া বড় বালিশ রেখে ঘুমাতো দুজন আর আজ গায়ে লেগে ঘুমাচ্ছে।একটা ছোট খাট আর দেয়াল টিনের হওয়ায় সব বদলে গেলো মূহুর্তেই।
আলো নেভানো।বাইরে বড় দালানের আলো এসে টিনের চালের ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকছে।
নাবিল হেলান দিয়ে বসে ছিল।লিখি ঘুমে তখন।এরকম অশান্তিতে ও কি করে ঘুমাচ্ছে একবার জানতে ইচ্ছা হয়।রংপুরের ফুটপাতেও শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিল এই মেয়ে।ঘুমের রাণী।
হাত নিয়ে ওর গাল টিপে দিলো নাবিল।লিখিকে কেমন গলুমলু লাগছিল।গালটাকে বালিশে রেখে তার তলায় দুহাত ভাঁজ করে রেখেছিল।গাল টিপে দেওয়ায় ও চোখ বড় করে তাকালো হঠাৎ।ঘুমের ঘোর কাটেনি তখনও।আস্তে করে বললো,’ভাইয়া এসে গেছে?’
“না”
‘তবে কি হয়েছে?’
‘তোমার গাল টানতে ইচ্ছে হলো,পূরন করলাম’
লিখি বুঝলো কি বুঝলোনা।মাথাটা ঠাস করে আবারও বালিশে রেখে সে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।এবার নাবিলের চোখটা ঝাপসা ঝাপসা লাগলো।তারও ঘুম পাচ্ছে।তাই আর কোনো বারতি চিন্তা না করে সেও শুয়ে পড়েছে।

রাত ২টার কাছাকাছি সময়ে লিখি হঠাৎ করে জেগে গেলো।কাদের যেন বা’জে বা’জে কথা শোনা যায়।উঠে বসে শোনার চেষ্টা করলো সে।মর্জিনাদের বাড়ির পাশে বসে কারা যেন কথার আসর জমিয়েছে।।
কিসব মেয়েদের নিয়ে আ’জে বা*জে কথাবার্তা।নাবিলকে উঠানো দরকার কিন্তু সে এগুলো শুনলে কি অবস্থা হবে তখন।তাছাড়া ওরা তো বাড়ির পাশেই বসেছে।ওকে তো আর বলছেনা তাই আবারও শুয়ে পড়লো।
কিন্তু লোকগুলোর আওয়াজ এত জোরে আসছিল তার আর ঘুম আসবেনা মনে হয়।উঠে বসে নাবিলের মুখ চেয়ে আছে সে এখন।এতক্ষণ নাবিল বসে ছিল আর এখন সে।নাবিল কি সুন্দর ঘুমাচ্ছে।লিখি গালে হাত দিয়ে বসে বসে বা’জে কথা শুনে যাচ্ছে।
“লোকগুলোর কি আর কোনো কাজ নেই নাকি?এত বাজে কেনোই বা বলছে?প্রতি রাতে এমন করে নাকি?
চেহারা দেখলে জমপেশ মা*র মে*রে ঠিক করে দিতাম যদিও এই গভীর রাতে এসবের সাহস কুলাচ্ছেনা।উনাকে জ্বালাবো?যদি সকালের মতন প্রতিশোধ নেয়?না থাক,ঘুমাক।’

কি মনে করে লিখির চোখ গেলো নাবিলের ফোনের দিকে।মিসেস সামিয়া কল করেই যাচ্ছেন।লিখি ফোনটা নিয়ে বিছানা ছেড়ে নামলো।ধরবে কি ধরবেনা তাই ভাবছে।শেষে ধরেই ফেললো।
সালাম শুনে মিসেস সামিয়া বুঝলেন এটা লিখি।সালাম নিয়ে তিনি জানতে চাইলেন তারা কোথায়,এখনও কেন আসছেনা।
‘আন্টি আমি আপনাকে সবটা বলছি।আপনি মন দিয়ে শুনুন’
‘বলো,তবে লজিক ছাড়া কিছু বলবেনা।’
‘তো শুনুন,প্রথমে উনি আমাকে পেয়েছিলেন কলোনিতে কিন্তু আমার বড় ভাইয়া তখন আমায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল বাসার দিকে।ভাইয়া জানেন না আমার যে বিয়ে হয়েছে,জানলে আরও বিপদ।আসলে আমার পরিবার আপনাদের পরিবারেরই মতন।পাওয়ারফুল।

আপনারা যেমন রগচটা আমার পরিবারের প্রতিটা মানুষ ও তেমন,শুধু আমি বাদে আর কি।’
সামিয়া চিন্তিত হয়ে বললেন তারপর কি হয়েছে সেটা বলতে।
‘তারপর আপনার ছেলে আমার হাত ধরে দিছে এক দৌড়।সেই দৌড়ে দৌড়ে এখন আমরা কলোনির বাইরে একটা এলাকার মাঝের একটা ঘরে ঘুমাচ্ছি। ভাইয়া বাহিরে পাহারা দিচ্ছে।’
‘তবে তোমরা এই ঝা’মেলা থেকে বের হবে কি করে?’
‘আপনি শুধু আমার একটা কাজ করেন। আপনার ছেলের আব্বুকে বলেন তার কিছু ভাঁড়া করা লোক এই এলাকায় পাঠাতে।তিনি আসলে তো আরও জোস হতো।
তারপর গু*জব ছড়াবেন যে নাবিল এখানে আশেপাশে আছে কিন্তু এই ছেলেগুলো তাকে খুঁজছে মা*রার জন্য।তারপর আপনার ছেলের আব্বু তো যাবে খেঁ*পে।কি!! এত বড় সাহস আমার ছেলেকে মা*রতে চায়!!
তারপর দু গ্রুপের সং*ঘ’র্ষ হবে মাঝখান দিয়ে আমি আর আপনার ছেলে আমাদের বাসায় চলে যাব।আপনি ও ওখানে আসিয়েন।আপাতত মামার বাসা সেফ না আমাদের জন্য’
‘তোমার আইডিয়া ক্ষেত মনে হলেও মনে হয় কাজে দেবে।আচ্ছা আমি সকালে চেষ্টা করবো।এখন ঘুমাও।আর একটা কথা’
‘কি?’

‘আমার ছেলের আব্বু তোমার শ্বশুর হয়।শ্বশুর বলবা।আমার ছেলের আব্বু আবার কেমন শোনা যায়?’
‘ওপস সরি।আচ্ছা ঠিক আছে।আর সকালের জন্য আমায় মাফ করে দিবেন,আপনার ছেলেকে আর গরম মশলা দিয়ে জ্বালাবো না,(মরিচ দিয়ে জ্বালাবো)’
‘শেষে কি বললে?’
‘ঐ যে জ্বালাবো না’
‘ আচ্ছা,রাখছি।’
লিখি খুশি হয়ে পেছনে তাকাতেই দেখলো নাবিল কোমড়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে।
‘কি আলাপ করলে শাশুড়ির সাথে?’
‘আপনাকে বলবো কেন?এটা সিক্রেট। এই পল্লী থেকে বের হতে পারার টেকনিক শিখিয়ে দিলাম ওনাকে।কাল শ্বশুর শাশুড়ির সাহায্যে আমরা বেঁচে যাবো।’
নাবিল বুঝলোনা।তবে লিখির বুদ্ধি মানে ক্ষেত তবে চলনসই এটা সে জানে।তাই নিশ্চিত হয়ে আবার বালিশে মাথা রাখলো।

মনের কোণে পর্ব ২৪

‘এই আপনি কি বললেন?’
‘কি বললাম?’
‘আমার আইডিয়া ক্ষেত?ক্ষেতে ধান চাষ হয়না?তেমনি আমার আইডিয়া দিয়েও অনেক কিছু অসাধ্য সাধন করা যায়।আপনার ফোন আমি ব্যাক করেছি হুহ।’
‘ক্ষেত মানে খারাপ এটা কখন বললাম?’

মনের কোণে পর্ব ২৬