মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২২

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২২
সাদিয়া জাহান উম্মি

সূর্য যেমন নিজের তেজের প্রখরতা চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।পারলে প্রকৃতিকে জ্বা’লিয়ে পুড়িয়ে দেয়।ঠিক ওই সূর্যের মতোই তেজ নিয়ে বসে আছে অথৈ।রাগে তার সারাশরীর কাঁপছে।ঠিক কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে ভেবে পাচ্ছে না সে।জীবনে প্রথম এমন জঘন্য সিচুয়েশনে পরতে হয়েছে ওকে।আর নিজের সম্পর্কে জঘন্য সব কথা শুনতে হয়েছে।উপরে উপরে নিজেকে শক্ত খোলসে আবৃত করে রাখলেও।

অভ্যন্তরীণে হচ্ছে রক্তক্ষর’ণ।সে আজ অনেক কষ্ট পেয়েছে।পাওয়ারই কথা তা নয় কি?একটা মেয়ে নিজের সম্পর্কে বাজে সব উপাধি শুনতে পেলে কষ্ট পাবে না? অথৈ রাগে,দুঃখে দু হাতে মুখ ঢেকে ফেলল।অনেক কান্না করতে ইচ্ছে করছে ওর।কিন্তু সে তো এতো নরম এতোটাও নরম মনের মানুষ নাহ?অথৈকে এই অবস্থায় দেখতে রিধি,পিহু,প্রিয়ান আর আহিদের একটুও ভালো লাগছে না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রিয়ান হাটু গেড়ে বসল ওর সামনে।রিধি আর পিহু দুজন ওর দুইপাশে বসল।আহিদ দাঁড়িয়েই আছে।তবে সে অবস্থাতেই অত্যন্ত স্নেহ নিয়ে অথৈয়ের মাথায় হাত রাখল।এই মেয়েটাকে নিজের বোনের মতোই ভালোবাসে আহিদ।ঠিক যতোটা পিহুকে ভালোবাসে,ভাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে বোনকে আগলে রাখে।ঠিক ততোটাই অথৈ আর রিধিকেও করে।ওরাও যে তার আরও দুটো বোন। রক্তের সম্পর্ক না হলেই বা কি?

মনের সম্পর্কও অনেক মজবুত হয়।আর প্রমান সরূপ তারা পাঁচ বন্ধু।মাথায় ভরসাশীল মানুষের হাতের স্পর্শ পেয়ে মাথা তুলে তাকায় অথৈ। তাকাতেই সবাই আঁতকে উঠে।অথৈয়ের চোখজোড়া ভয়ানকরকম লাল হয়েছে।মুখটাও লালচে আকার ধারণ করেছে।মূলত কান্না আটকে রাখার কারনেই এমনটা হয়েছে।আহিদ অস্থির হয়ে বলে উঠল,’ এ কি?কি অবস্থা করেছিস নিজের অথৈ? ‘

প্রিয়ান অথৈয়ের হাত দুটো নিজের হাতের মাঝে নিয়ে বলে উঠল,’ তোকে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে একদম ভালো লাগছে না অথৈ। আমাদের অথৈ তো অনেক স্ট্রং একটা মেয়ে।সে বাহিরের একটা মেয়ে।যার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।তার জন্যে এইভাবে নিজেকে কষ্ট দেওয়ার তো কোনো মানে নেই তাই নাহ?’
পিহু অথৈয়ের কাধে হাত রেখে বলে,’ একদম ঠিক বলছে আহিদ আর প্রিয়ান।ফালতু একটা মেয়ের জন্যে তুই কেন এতো কষ্ট পাচ্ছিস?’

রিধি অথৈয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,’ তুই তো আমার আর পিহুর থেকেও স্ট্রং।তাহলে আজ কেন এমন করছিস? এই অথৈকে আমরা চিনি না।আমদের স্ট্রং অথৈকেই চাই।’

বন্ধুদের ভরসায় আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। উঠে দাঁড়িয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি এনে দু হাত প্রসারিত করে দেয়।এতে রিধি,পিহু,প্রিয়ান আর আহিদের ঠোঁটের কোণেও হাসি ফুটে উঠে।তারা দ্রুত এসে প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে।অথৈ প্রশান্তির শ্বাস নেয়।এখন অনেকটা শান্তি লাগছে।এই চারটা মানুষ না থাকলে যে ওর কি হতো?ও নিজেও জানে নাহ।ওরা শুধু অথৈয়ের বন্ধু না।ওর বন্ধু থেকেও বেশি কিছু।তার আরেকটা পরিবার।ওর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।যাদের ছাড়া অথৈ অচল।একদমই অচল।দীর্ঘ একটা হাগ করে সবাই সরে আসল।প্রিয়ান বলল,’ এখন ঠিক আছিস তুই?’

অথৈ মাথা দুলিয়ে জানালো সে ঠিক আছে।তারপর বলে উঠে,’ চিন্তা করিস না আমি ঠিক আছি।আর যা এখন তোরা বাড়ি চলে যা।ক্লাস শেষ অনেকক্ষণ হয়েছে।’
পিহু চিন্তিত কণ্ঠে বলে,’ কিন্তু তুই?’

অথৈ বলে উঠল,’ আমার আবার কি? এটা তো নিত্যদিন হয়ে আসছে।রুদ্রিকের সাথে আমি একান্তভাবে সময় কাটাই এই সময়টায়।তা তো তোরা জানিসই।আর রইলো যেটার জন্যে তোরা এমন করছিস।সেটা হবে না।আমি অথৈ এতো সহজে এই লোককে ছাড়ব না।উনি বিয়ের বিষয়টা নিজের বন্ধুদের কাছে কেন গোপন রেখেছে?সেটার জবাবদিহিতা তো তার করতেই হবে।তিনি যদি বন্ধুদের কাছে এই বিষয়ে বলে দিতেন। তবে আজ আমায় এসব শুনতে হতো না।আমার রাগে ভীতরটা ধাউ ধাউ করে জ্বলছে।সেই রাগের আগুনে যদি তাকে আমি ভ’স্ম না করেছি দেখে নিস তোরা।’

মুহূর্তেই রাগে ওর ফর্সা মুখশ্রী লাল হয়ে আসল।আজ অথৈ প্রচন্ড রেগে আছে।বরাবরের মতোই অথৈয়ের রাগকে ওরা বেশ ভয় পায়।মেয়েটা রাগলে ওরা হুঁশ থাকে না।আর আজ তো এই বাঘিনীকে আঘাত করা হয়েছে।বলে না ব্যথিত বাঘিনীরা আগের থেকেও আরও দ্বিগুন হিংশ্র হয়ে উঠে।অথৈয়ের বেলাতেও ঠিক তাই হয়েছে।ওরা চারজন আর বেশি একটা ঘাটল না।এটা তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার বিষয়।তারাই সামলে নিতে পারবে।মন না চাওয়া সত্তেও অথৈয়ের কাছে হার মেনে ওরা বাড়ির যাওয়ার জন্যে রওনা দিলো।

অথৈ মন মরা হয়ে বসে রইলো গাছের নিচে।স্থির দৃষ্টি তার আকাশপাণে।আনমনা হয়ে কি যেনো ভেবে চলল নির্নিমেষ। প্রায় আধাঘন্টা পর সেখানে এসে উপস্থিত হলো রুদ্রিক।দূর থেকেই প্রেয়সীকে মন মরা হয়ে বসে থাকতে দেখে বুকের বা পাশটায় চিনচিনে ব্যথা অনুভব হতে শুরু করল।মেয়েটা এইভাবে কেন বসে আছে?কোনো কারনে কি মেয়েটার মন খারাপ?রুদ্রিক দ্রুত কদম ফেলে চলে এলো অথৈয়ের কাছে।অথৈ টের পেলো ঠিকই।তবে ওর কোনো হেলদোল হলো না।সে এখনও আকাশে তাকিয়ে আছে।

রুদ্রিকের বুক কাঁপছে।অথৈয়ের মুখশ্রী ভয়ংকর লাল হয়ে আছে। সেই সাথে চোখজোড়াও লাল হয়ে আছে।রুদ্রিক কি করবে ভেবে পেলো না।অথৈকে এমন অবস্থায় দেখে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।রুদ্রিক এদিক সেদিক তাকিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করল।কিন্তু পারল না।তাই হুট করে অথৈকে টেনে বাহুডোরে জড়িয়ে নিলো।এতেও যেন অথৈয়ের কোনো নড়চড় নেই।ও শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুদ্রিকের যেন এতে পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো।একহাত অথৈয়ের কোমড়ে রাখল।আরেক হাত অথৈয়ের মাথায় বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

‘ কি হয়েছে অথৈ?এমন করছ কেন?এমন শান্ত, নিরম অথৈকে দেখতে আমার ভালো লাগছে না।কথা বলছ না কেন?শরীর খারাপ লাগছে তোমার?কিছু তো বলো অথৈ।’
রুদ্রিকের কথার পরিপেক্ষিতে অথৈ নিষ্প্রাণ কণ্ঠে বলে উঠল, ‘ আমাদের বিয়ের বিষয়টা নিজের বন্ধুদের কাছ থেকে কেন গোপন রাখলেন রুদ্রিক?’

অথৈয়ের আকস্মিক এহেন কণ্ঠে আর কথায় চমকে উঠে রুদ্রিক।অথৈকে ঝট করে বুক থেকে সরিয়ে আনল।শক্তপোক্ত হাতটা অথৈয়ের নরম,কোমল কপোল স্পর্শ করল।আজ আর অথৈ লজ্জা পেল না।মিইয়ে গেল না রুদ্রিকের স্পর্শে।বরংচ কেমন যেন কঠোরতার সহিত তার দিকে তাকিয়ে আছে।এই কঠোরতা কিসের জন্যে?তার অথৈ তো সে কাছে আসলেই লজ্জায় মোমের মতো গলে যায়।তাহলে আজ কি এমন হলো?রুদ্রিক ব্যাকুল কণ্ঠে সুধালো,’ কি বলছ এসব অথৈ? আর হঠাৎ এসব কেনই বা বলছ?’

অথৈ রুদ্রিকের হাত নিজের গাল হতে সরিয়ে দিল।তারপর শক্ত কণ্ঠে বলে উঠল,’ আমার প্রশ্নের উত্তর দিন রুদ্রিক।’
রুদ্রিক থমকালো অথৈয়ের ব্যবহারে।পর পর অথৈকে বোঝাতে লাগল,’ আকস্মিক আমাদের বিয়েটা হয়েছে।আর তাছাড়া আমাদের সম্পর্কে এখনও প্রনয় তৈরি হয়নি।আর ওদের না জানিয়ে আমি হুট করে বিয়ে করে নিয়েছি।ওদের এই কথা বললে ওরা কষ্ট পাবে।তাই আমি সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম।সুযোগ সুবিধা বুঝে ওদের সামনে তোমাকে নিয়েই গিয়েই বিয়ের কথাটা বলতাম।’

কথাগুলো একনাগাড়ে বলে থামল রুদ্রিক। ফের বলে উঠে,’ কিন্তু কি হয়েছে?তুমি আমাকে সব খুলে বলো অথৈ। আমি জানি তুমি অকারনে এমন ব্যবহার কোনোদিন করবে না।’

রুদ্রিকের কথা শেষ হতে দেরি।অথৈয়ের রাগি ভয়ংকা’রি দৃষ্টি ওর উপর পরতে দেরি নেই।রাগে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে আচমকা রুদ্রিকের শার্টের কলার চেপে ধরল অথৈ। রাগে চিৎকার করে উঠে অথৈ, ‘ কেন করছি জানতে চান?তো শুনুন।আপনার কারনে?হ্যা,ঠি শুনছেন আপনার কারনেই।আপনি বিয়েটা গোপন রেখেছেন এই কারনেই।আমি আপনার সাথে দেখা করি,একান্ত সময় কাটাই।এইজন্যে বাহিরের একটা মেয়ে এসে আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলেছে।আমাকে ভার্সিটির মধ্যে যা নয় তাই বলেছে।আমার নাকি চরিত্রে দোষ আছে।এইজন্যে নাকি আমি আপনার উপরে হাত ধুয়ে পরেছি।আমা….আমাকে পতিতালয়ের মেয়েদের সাথে তুল….’

আর বলতে পারল না অথৈ। ঝটকা মেরে রুদ্রিকের কলার ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গেল।উল্টো দিকে ঘুরে রাগে ফোঁপাতে লাগল।সে স্ট্রং একটা মেয়ে।যার তার সামনে সে তার আবেগ দেখাতে পারে না।কিন্তু আজ কেন যেন নিজেকে সামলাতে পারছে না মেয়েটা।কথায় আছে না যতোই তুমি নিজেকে শক্ত খোলসে আবৃত করে রাখ না কেন?দিনশেষে প্রিয় মানুষটার সান্নিধ্যে আসলে তোমার সেই শক্ত খোলস একসময় ভেঙে গুড়িয়ে যাবেই।

এটাই যে নিয়ম।তাই অথৈও পারছে না নিজেকে সামলাতে।কান্নাগুলো দলা পাকিয়ে কণ্ঠনালিতে এসে আটকে আছে।কষ্ট হচ্ছে ওর।খুব কষ্ট হচ্ছে।অথৈ ভেজা কণ্ঠে বলে উঠল,’ আমি কি জোড় করেছিলাম আপনায় আমাকে বিয়ে করার জন্যে?করেনি তো! তাহলে,আজ কেন আমায় এইসব কথা শুনতে হবে।আপনার স্ত্রী আমি।তাহলে কেন আপনার কাছে যাওয়ার জন্যে আমাকে চরিত্রহীন উপাধি পেতে হবে।বলুন?জবাব দিন।আমি কি এতোটাই অযোগ্য আপনার স্ত্রী হওয়ার? নাহলে কেন আপনি সবার থেকে আমাদের বিয়েটা আড়াল করে রাখলেন?’

বহু কষ্টে নিজের অশ্রুকণাগুলো ধরে রাখতে চেয়েছিল অথৈ। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো অক্ষিপটের বারিধারাগুলো নিমিডষেই সিক্ত করে তুলল অথৈয়ের কপোল( গাল)। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না অথৈ। নিজেকে দূর্বল হতে দেখে সহ্য করতে পারছে না ও।তাই আর কাল বিলম্ব না করে দৌড়ে সেই স্থান ত্যাগ করল অথৈ।

তবে যাবার আগে রুদ্রিককে বলে গেল,’ আপনাকে অনেক কিছু সহ্য করতে হবে মিঃআরিহান রুদ্রিক।একটা মেয়ের সবচেয়ে বড়ো আর মূল্যবান সম্পদ হলো তার চরিত্র।আর আজ আপনার একটা ভুলের কারনে আমার সেই চরিত্রের উপরে মানুষ এনে আঙুল তুলেছে।এতো সহজে আমি জাফ্রিন অথৈ আপনাকে ক্ষমা করছি না।আমার হৃদয়ের অন্তঃকরণে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে তা না থামা পর্যন্ত অন্তত নাহ।কথাটা মাথায় স্যেট করে নিয়েন।’

অথৈয়ের বলা প্রত্যেকটা কথার প্রতিত্তুরে কিছুই বলেনি রুদ্রিক।এমনকি অথৈয়ের চলে যাবার সময়েও তাকে থামায়নি ও।তবে অথৈয়ের মুখগহ্বর হতে নিশ্রিত প্রতিটা শব্দ যেন ধারা’লো ছুড়ির ন্যায় ওর হৃৎপিণ্ডটা ঝা’ঝড়া করে দিয়েছে।অথৈয়ের চোখের প্রতি ফোটা জল যেন ওর সমস্ত কায়াকে আগুনে ভ’স্ম করে দিয়েছে।অথৈয়ের কষ্টে জর্জরিত প্রতিটা শব্দ,বাক্য ওর কানে বাজতে লাগল অনবরত।

চোখ বন্ধ করে জোড়ে একটা নিশ্বাস নিলো রুদ্রিক।কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ধপ করে চোখ খুলে তাকালো ও।রুদ্রিকের সেই টকটকে লাল চোখজোড়া দেখলে যেন যে কেউ ভয়ে আঁতকে উঠবে।মস্তিষ্কের রগগুলো রাগের কারনে ধাপাধাপি করছে।সর্বশক্তি প্র‍য়োগ করে হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে নিলো রুদ্রিক।ফলে দৃশ্যমান হলো হাতের প্রতিটি শিরা উপশিরা।রুদ্রিকের অথৈয়ের যাওয়ার পাণে তাকিয়ে থেকে ঠান্ডা,শীতল গলায় বলে উঠল,

‘ আজ যার জন্যে, যার কথার তিক্ত কথার কারনে কষ্টে পেয়ে তুমি কাঁদলে।আর তোমার চোখের প্রতিটা অশ্রুকণার সাক্ষি হলাম আমি।সেই মানুষটাকে সস্তির নিঃশ্বাস নিতে দিবো না।আমার সুখ তুমি।আর আমার সুখকে আজ এতোটা দুঃখি করার জন্যে সেই মানুষটাকে খু’ন করতেও আমার দ্বিধা কাজ করবে না।সে যেই হোক না কেন।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২১

আমার স্ত্রী,আমার অর্ধাঙ্গিনীর চোখের প্রতি ফোটা অশ্রুকণার বিনিময়ে তাকে যে আমি কি করব আমি নিজেও জানি না।তুমি শুধু অপেক্ষা করো অথৈ। আমি সব ঠিক করে দিব।শুধু আমায় ভুল বুঝে দূরে সরে যেও না।তোমার দূরত্ব আমি মেনে নিতে পারব না।তার আগেই নাহয় শ্বাস আটকে মে’রে ফেলো আমায়।কারন অথৈ ছাড়া রুদ্রিক অসম্পূর্ণ। ‘

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ২৩